Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Panchayat Election 2023: এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য নির্বাচন কমিশন, কেন জানেন?

    Panchayat Election 2023: এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য নির্বাচন কমিশন, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ রাজ্য নির্বাচন কমিশনও। রাজ্যে পর্যবেক্ষক পাঠাবে বলে জানিয়েছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। কমিশনের সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই আদালতের (Panchayat Election 2023) দ্বারস্থ হয়েছে নির্বাচন কমিশন। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের কাছে নির্বাচন কমিশন জানতে চেয়েছে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কি আদৌ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওপর নজরদারি করার এক্তিয়ার আছে? জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কি এ ব্যাপারে অতিসক্রিয়তা দেখাচ্ছে?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট

    গত বৃহস্পতিবারই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নয়া কমিশনার রাজীব সিনহা। ভোট হবে ৮ জুলাই। শুক্রবার থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে মনোনয়নপত্র পেশ-পর্ব। প্রথম দিনই মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে খুন হয়েছেন এক কংগ্রেস কর্মী। অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে তৃণমূলের দিকে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকেও কেন্দ্র করে নিত্য আসছে অশান্তির খবর। অশান্তির এই আবহেই গন্ডগোলের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। একেই অতিসক্রিয়তা বলছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তাদের যুক্তি, একটি স্বাধীন সংস্থার কাজের ওপর নজরদারি করতে পারে না অন্য স্বাধীন সংস্থা।

    রাজ্য নির্বাচন কমিশনের প্রশ্ন

    সম্প্রতি মানবাধিকার কমিশনের তরফে (Panchayat Election 2023) পর্যবেক্ষক নিয়োগের কথা ঘোষণা করা হয়। রাজ্যের নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করেই পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখবেন তিনি। চিহ্নিত করবেন স্পর্শকাতর এলাকাগুলিও। পরে রিপোর্ট দেবেন কমিশনকে। ওই এলাকাগুলিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় বা পরে প্রয়োজনে মাইক্রো হিউম্যান রাইটস অবজার্ভার মোতায়েনের পরামর্শও দিতে পারেন তিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচন চলাকারীন রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা সুনিশ্চিত করতে মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে নোটিশও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিল কমিশন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সেই পদক্ষেপ নিয়েই প্রশ্ন তুলল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

    আরও পড়ুুন: শক্তিগড়ে রাজু ঝা খুনের তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে দিল হাইকোর্ট

    প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলায় রবিবার ভোটে পর্যবেক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ বলেছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশন ভোটের জন্য পর্যবেক্ষক নিয়োগ করে। সেখানে ডব্লিউবিসিএস এবং আইএএস কর্তাদের নিয়োগ করা হয়। তাই আলাদাভাবে পর্যবেক্ষকের প্রয়োজন নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: স্পর্শকাতর জেলা, এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্দেশ হাইকোর্টের!

    Calcutta High Court: স্পর্শকাতর জেলা, এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্দেশ হাইকোর্টের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের সবকটি স্পর্শকাতর জেলা ও এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। রাজ্যের ৭টি স্পর্শকাতর জেলায় অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর নির্দেশ দিয়ে আদালত বলেছে, ভয়মুক্ত পরিবেশের জন্য কমিশনের উচিত কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নেওয়া। তবে মনোনয়নের সময়সীমা বৃদ্ধি করা হবে কি না, সেই সিদ্ধান্তের দায়িত্ব রাজ্য নির্বাচন কমিশনের হাতেই ছেড়ে দিল প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলার প্রথম শুনানি হয় শুক্রবার। সোমবার দু দফায় চার ঘণ্টারও বেশি সময় চলার পর শেষ হয় পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত শুনানি। মঙ্গলবার ছিল রায় (Calcutta High Court) ঘোষণার দিন। এদিন বিকেল ৫টা নাগাদ এই মামলার রায় ঘোষণা হয়। 

    ভয়মুক্ত পরিবেশে ভোট

    আদালত তার নির্দেশে জানায়, নির্বাচন কমিশনের উচিত ভয়মুক্ত পরিবেশে ভোট করানো। কমিশনের উচিত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা। রাজ্য পুলিশের ঘাটতিও রয়েছে। তাই পর্যাপ্ত নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত রাজ্য যা বাহিনী চাইবে, তা দেওয়ার। কমিশন আগেই হাইকোর্টে জানিয়েছিল সাতটি জেলা স্পর্শকাতর। এই সাতটি জেলায় অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। স্পর্শকাতর জেলাগুলি ছাড়াও যে যে জেলা বা জায়গায় রাজ্য পুলিশের সংখ্যা কম, সেখানেই শান্তিতে ভোট সুনিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি ভোট কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কমিশনকে নির্দেশ দিল আদালত। 

    কেন্দ্রীয় বাহিনীর খরচ

    কেন্দ্রীয় বাহিনীর খরচ রাজ্য দেবে না, দিতে হবে কেন্দ্রকেই। সিভিক ভলান্টিয়ারদের নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। সিভিক ভলান্টিয়ার সংক্রান্ত গাইডলাইন মেনেই ভোট করাতে হবে। একান্ত নিরুপায় হলে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ করা যেতে পারে। ভোট কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নির্দেশ কমিশনকে। সব বুথে সিসি ক্যামেরা লাগানোর নির্দেশ (Calcutta High Court), প্রয়োজনে করতে হবে ভিডিওগ্রাফিও। অনলাইনে মনোনয়নপত্র পেশের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ তিনটি স্তরেই এক সঙ্গে ভোট গণনা করতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মনোনয়নের সময়সীমা নিয়ে আদালত কোনও মতামত দেবে না। চুক্তিভিত্তিক কর্মী ও এনসিসি ছেলেদের চতুর্থ পোলিং অফিসার হিসেবে কাজে লাগাতে পারে রাজ্য। 

    আরও পড়ুুন: রণক্ষেত্র ভাঙড়, ব্যাপক বোমাবাজি, গুলিবিদ্ধ আইএসএফ কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে জোড়া মামলা দায়ের করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোটগ্রহণ, মনোনয়নপত্র পেশের সময়সীমা বৃদ্ধি সহ একাধিক বিষয়ে দায়ের হয়েছিল মামলা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Pakistanis in Indian Army: বারাকপুরের সেনা ছাউনিতে কাজ করছে ২ পাক নাগরিক! অভিযোগে বড় নির্দেশ হাইকোর্টের

    Pakistanis in Indian Army: বারাকপুরের সেনা ছাউনিতে কাজ করছে ২ পাক নাগরিক! অভিযোগে বড় নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনার (Indian Army) গোপন খবরাখবর পেতে সামরিক বাহিনীর একাধিক অফিসার ও কর্মীর জন্য ‘হানি ট্র্যাপ’ পেতেছে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই— এমন খবর প্রায়ই শোনা যায়। বিভিন্ন সময়ে শত্রুর পাতা ফাঁদে পা দিয়ে ধরাও পড়েছেন একাধিক সামরিক কর্মী। 

    কিন্তু, কোনও পাকিস্তানি নাগরিক ভারতীয় সেনা কর্মী হিসেবে ভারতে কর্মরত, এমন অভিযোগ আগে ওঠেনি। আগেও, আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল যে ভারতীয় সেনায় লোক ঢোকানোর চেষ্টা করছে আইএসআই, কিন্তু নির্দিষ্ট তথ্য মেলেনি। তবে, এবার শুধু দাবি-অভিযোগ উঠল তা নয়। দুই সেনা কর্মীর নামও উঠে এল, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা আদতে পাকিস্তানি নাগরিক। 

    অভিযোগ উঠেছে, নাম বদলে ভুয়ো পরিচয়, শংসাপত্র তৈরি করে সেনায় যোগ দিয়েছে (Pakistanis in Indian Army)। এখানেই শেষ নয়। আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে যে, এই চক্রে জড়িয়ে রয়েছে স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তা থেকে শুরু করে সামরিক বাহিনীর একাংশও! গোটা ঘটনায় রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    চলতি মাসের ৬ তারিখ হুগলির মগরার বাসিন্দা বিষ্ণু চৌধুরী হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, বারাকপুরের সেনা ছাউনিতে দু’জন পাকিস্তানি নাগরিক কর্মরত রয়েছেন (Pakistanis in Indian Army)। ওই দুজনের একজনের নাম জয়কান্ত কুমার এবং অন্যজন প্রদ্যুম্ন কুমার বলে দাবি করেন মামলাকারী। তাঁর অভিযোগ, পাকিস্তান থেকে এসে তাঁরা ভারতীয় সেনায় যোগ দিয়েছেন। সরকারি পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁদের নিয়োগও হয়েছে। ওই পরীক্ষায় প্রয়োজনীয় নথিপত্র জাল করে চাকরি পেয়েছেন তাঁরা। 

    মামলাকারীর দাবি, এই গোটা ঘটনার নেপথ্যে বড়সড় চক্র কাজ করছে। যাতে জড়িয়ে রয়েছে একাধিক প্রশাসনিক আধিকারিক থেকে শুরু করে স্থানীয় পুরনেতা। এছাড়া জড়িয়ে রয়েছে পুলিশ থেকে শুরু করে সেনারও একাংশ। মামলাকারীর দাবি, পুলিশ ও প্রভাবশালী ও সেনা বাহিনীতে কর্মরতরা এই নিয়োগে যুক্ত। ভুয়ো বাসস্থানের শংসাপত্র জোগাড় করে দিচ্ছে। একাধিক প্রশাসনিক আধিকারিক জাল আবাসিক শংসাপত্র, জাতিগত শংসাপত্র বানিয়ে সহযোগিতা করছে। অভিযোগ, খড়দা থানা ও স্থানীয় কাউন্সিলরও তাদের চারিত্রিক সার্টিফিকেট দিয়েছে (Pakistanis in Indian Army)।

    আরও পড়ুন: ফের অসমে সক্রিয় আল কায়েদা! এনআইএ-এর জালে ৪

    কী বলছে কলকাতা হাইকোর্ট?

    এদিন মামলার শুনানি হয় হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে। মামলাকারীর দাবি শুনে, বিষয়টিকে মারাত্মক অভিযোগ বলে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি। এর ফলে দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে বলে মন্তব্য করেন রাজাশেখর মান্থা। তাঁর পর্যবেক্ষণ, দেশের নিরাপত্তার প্রেক্ষিতে এই অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর। পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। আইএসআইয়ের চক্রান্তে ভারতীয় সেনায় পাকিস্তানের নাগরিকদের ঢোকানো অসম্ভব নয় (Pakistanis in Indian Army)।

    এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে অবিলম্বে সিআইডি-কে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আপাতত এই মামলা সংক্রান্ত অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখবে সিআইডি (Pakistanis in Indian Army)। একইসঙ্গে হাইকোর্টের নির্দেশ, সিবিআই ও কেন্দ্রকেও মামলায় যুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি, ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি)-কে ও মিলিটারি পুলিশকে মামলায় পার্টি করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। ২৬ জুন পরবর্তী শুনানি। পাশাপাশি মামলাকারী বিষ্ণু চৌধুরীকে প্রয়োজনে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: পঞ্চায়েত নির্বাচন মামলার শুনানি শেষ কলকাতা হাইকোর্টে, স্থগিত রায়দান

    Calcutta High Court: পঞ্চায়েত নির্বাচন মামলার শুনানি শেষ কলকাতা হাইকোর্টে, স্থগিত রায়দান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলার পর শেষ হল পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Vote 2023) সংক্রান্ত মামলার শুনানি। তবে রায়দান স্থগিত রাখল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সোমবার শুনানি শুরু হয় বেলা ১১টায়, প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। প্রথমার্ধে শুনানি চলে বেলা দেড়টা পর্যন্ত।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    এই অর্ধে প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করলে ভাল হয়। রাজ্য নিজের মতো বাহিনী দেবে। ধরুন, কলকাতা থেকে পুলিশ পাঠালেন হাওড়ায় ও হুগলিতে। সে ক্ষেত্রে শহরে তো বাহিনী কম পড়তে পারে। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে চিন্তা করা প্রয়োজন কমিশনের।” রাজ্যের চুক্তিভিত্তিক কর্মী কিংবা সিভিক ভলান্টিয়ারদের নির্বাচনে ব্যবহার নিয়েও কমিশনকে সতর্ক করেন প্রধান বিচারপতি। আদালতের পর্যবেক্ষণ, “মনে রাখতে হবে, সিভিক কিন্তু পুলিশ নয়। তারা পুলিশকে সাহায্য করার কাজে যুক্ত।”

    বিস্ফোরক শুভেন্দু 

    এদিন শুনানি শুনবেন বলে আদালতে (Calcutta High Court) উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী স্বয়ং। প্রথমার্ধের শুনানি শেষের পর তিনি বলেন, “সিভিক ভলান্টিয়ারকে নীল জলপাই রংয়ের পোশাক পরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের সিভিক ভলান্টিয়ার অন্য জেলায় যাবে, অন্য জেলা থেকে সিভিক ভলান্টিয়ার এই জেলায় আসবে। যাতে কেউ চিনতে না পারে।”

    আরও পড়ুুন: “বাংলায় গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    বেলা আড়াইটে নাগাদ শুরু হয় দ্বিতীয়ার্ধের শুনানি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন কি পিছবে এই প্রশ্ন নিয়েই শুরু হয় শুনানি। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় কম এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধীরা। এই মামলার শুনানিতে মনোনয়নপত্র পেশ-পর্বের সময় বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন প্রধান বিচারপতি (Calcutta High Court) টিএস শিবজ্ঞানম। প্রতিদিন ৪ ঘণ্টা সময় মনোনয়ন পেশের জন্য অপর্যাপ্ত বলেও পর্যবেক্ষণ বিচারপতির। কমিশন জানায়, মনোনয়নপত্র পেশের সময় চাইলে এক দিন বাড়ানো যেতে পারে। মনোনয়নপত্র পেশের শেষ দিন ছিল ১৫ জুন। সেটা বাড়িয়ে ১৬ জুন পর্যন্ত করা যেতে পারে। বিচারপতি বলেন, “সেক্ষেত্রে পঞ্চায়েত নির্বাচন করাতে হবে ১৪ জুলাই।” এদিন বিকেল পৌনে ৫টা নাগাদ শেষ হয় শুনানি। যদিও রায়দান স্থগিত রাখেন বিচারপতি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “পঞ্চায়েত নির্বাচন হোক ১৪ জুলাই”, প্রস্তাব কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির

    Calcutta High Court: “পঞ্চায়েত নির্বাচন হোক ১৪ জুলাই”, প্রস্তাব কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিছিয়ে যাচ্ছে পঞ্চায়েত নির্বাচন! অন্তত এমনই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ঘটনার সূত্রপাত সোমবার। পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে একটি মামলার শুনানি হচ্ছিল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, “৮ জুলাইয়ের পরিবর্তে নির্বাচন করানো হোক ১৪ জুলাই।”

    নির্বাচনের নির্ঘণ্ট

    বৃহস্পতিবারই পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেখানে বলা হয়েছিল, ভোট হবে ৮ জুলাই, এক দফায়। মনোনয়নপত্র পেশ-পর্ব শুরু হয়ে যায় তার পরের দিনই। চলবে ১৫ জুন পর্যন্ত। এই সময়সীমার মধ্যে ২ দিন ছুটি থাকায় মনোনয়নপত্র পেশ করার জন্য হাতে থাকছে মাত্রই ৫ দিন। এত অল্প সময়ে এত প্রার্থীর মনোনয়ন সম্ভব নয় বলেই জানিয়ে দিয়েছিলেন বিরোধীরা। দ্বারস্থ হন আদালতের। এর পরেই মনোনয়নপত্র পেশ-পর্বের মেয়াদ বাড়িয়ে ১৬ জুন করার প্রস্তাব দেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তখনই প্রধান বিচারপতি বলেন, ৮ জুলাইয়ের বদলে নির্বাচন করানো হোক ১৪ জুলাই।

    প্রধান বিচারপতির পরামর্শ

    এদিন শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি (Calcutta High Court) নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী আনার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, “কমিশনকে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। ভোটাররা যাতে ভোট দিতে পারেন। আপনাদের প্রচুর ক্ষমতা রয়েছে। ভিডিওগ্রাফি, সিসিটিভি হয়েছে কি? আধাসেনা রাজ্যের পুলিশকে সাহায্য করতে পারে। কমিশন এ বিষয়ে অ্যাসেসমেন্ট করবে। সেন্ট্রাল ফোর্স এলে সুবিধা হবে।” প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, “ভোটের কাজে রাজ্যের সব পুলিশ চলে গেলে কী হবে?” রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা রক্ষার কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “সিভিকরা পুলিশ নয়। তারা কিছু করবে না।”

    আরও পড়ুুন: সোনামুখীতে মনোনয়নে বাধা! রক্ত ঝরল বিজেপি নেতার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    প্রধান বিচারপতি (Calcutta High Court) বলেন, “২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচন বিজ্ঞপ্তির ৫ দিন পর থেকে শুরু হয়েছিল মনোনয়ন। এটাই তো মামলাকারীরা তাঁদের অভিযোগে বলছেন। সকাল ১০টায় বিজ্ঞপ্তি এবং সকাল ১১টায় মনোনয়ন কীভাবে? বিগত বছরের ভোটে এমনটা তো করা হয়নি।”

    প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হয় ২৭ মে। মনোনয়ন জমা শুরু হয় ২ জুন। এবার কমিশন যদি বিজ্ঞপ্তির দিন বাদ দিয়ে ৫ দিন পর থেকে মনোনয়ন পেশ-পর্ব শুরু করে, সেক্ষেত্রে ১৫ থেকে ২১ জুন পর্যন্ত মনোনয়ন জমা চলবে। স্ক্রুটিনি হবে ২৩ জুন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন হবে ২৬ জুন। সেক্ষেত্রে পিছিয়ে দিতে হবে ভোট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘মনোনয়নের সময়সীমা পর্যাপ্ত নয়, পুনর্বিবেচনা করা হোক’, পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ‘মনোনয়নের সময়সীমা পর্যাপ্ত নয়, পুনর্বিবেচনা করা হোক’, পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়াতে হবে। এমনই পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। আদালতের পর্যবেক্ষণ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) মনোনয়ন জমার সময়সীমা পর্যাপ্ত নয়। এনিয়ে নির্বাচন কমিশনকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে হবে। পঞ্চায়েতে মনোনয়নপত্র পেশের সময়সীমা বাড়ানো সহ একাধিক দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি ও কংগ্রেস। শুক্রবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের এজলাসে শুনানি হয় ওই মামলার।

    আদালতের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ

    প্রধান বিচারপতি বলেন, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোনয়নের গোটা প্রক্রিয়া ভিডিওগ্রাফি করতে হবে। প্রয়োজনে রাজ্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে একত্রে কাজ করতে পারে। এই বিষয়ে আগামী সোমবার রাজ্য তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে। প্রধান বিচারপতি বলেন, নির্বাচন বন্ধ করার জন্য এই মামলাগুলি দায়ের হয়নি, শান্তিপূর্ণভাবে যাতে ভোট হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে কমিশনকে। নির্বাচনে সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজে লাগানোর বিষয়ে সম্ভবত আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, সেটাও কমিশনকে মাথায় রাখতে বলেছেন প্রধান বিচারপতি (Calcutta High Court)।

    অনলাইনে মনোনয়নপত্র পেশ!

    মনোনয়নপত্র পেশ করার প্রক্রিয়া যাতে অনলাইনে করা যায়, সেজন্য আইন পরিবর্তন করা উচিত ছিল বলেও মন্তব্য করেন টিএস শিবজ্ঞানম। তিনি বলেন, এই প্রযুক্তির যুগে রাজ্যের উচিত পরিবর্তন এনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা। অনলাইনে মনোনয়নপত্র পেশ করা হলে গোটা বিষয়টি অত্যন্ত সহজ হয়ে যাবে। প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে রাজ্যের অ্যালার্জি থাকলে চলবে না।

    আরও পড়ুুন: আদালত নির্দেশ দিলে অভিষেককে কান ধরে নিয়ে যাবে ইডি, বললেন সুকান্ত

    প্রসঙ্গত, রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে ৮ জুলাই। শুক্রবার থেকেই শুরু হয়েছে নমিনেশনপত্র জমা নেওয়ার কাজ। নমিনেশন জমা নেওয়া হবে ১৫ জুন পর্যন্ত। এতেই আপত্তি জানিয়েছেন বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ, ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে ৭০ হাজারেরও (Calcutta High Court) বেশি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র পেশের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে মাত্র ২৪ ঘণ্টা। হিসেব কষে তা দেখিয়েও দিয়েছেন তাঁরা। ৯ জুন থেকে শুরু হয়েছে মনোনয়নপত্র পেশ পর্ব। চলবে ১৫ জুন পর্যন্ত। এর মধ্যে একদিন রবিবার, সেদিন মনোনয়নপত্র পেশ করা যাবে না। হাতে রইল ৬ দিন। মনোনয়নপত্র পেশের সময় সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত। দিনে ৪ ঘণ্টা। তাহলে ৬ দিনে দাঁড়াল ২৪ ঘণ্টা। এত কম সময়ের মধ্যে মনোনয়নপত্র পেশ করা সম্ভব কীভাবে, সেই প্রশ্নই তুলেছেন বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক দলকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই এই নির্ঘণ্ট।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

      

  • Calcutta High Court: পুর-নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে সিবিআই তদন্ত নিয়ে এখনই হস্তক্ষেপ নয়, সাফ জানাল আদালত

    Calcutta High Court: পুর-নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে সিবিআই তদন্ত নিয়ে এখনই হস্তক্ষেপ নয়, সাফ জানাল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মুখ পুড়ল রাজ্যের। পুর-নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে সিবিআই (CBI) তদন্ত নিয়ে এখনই কোনও হস্তক্ষেপ নয়। সাফ জানিয়ে দিল আদালত। রাজ্যকে ভর্ৎসনা করে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী বলেন, “সুপ্রিম কোর্টে মামলার তথ্য লুকিয়েছে রাজ্য। এমন আচরণ রাজ্যের কাছে বরদাস্ত নয়।”

    সুপ্রিম কোর্টে এসএলপি দাখিল

    পুর-নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর ডিভিশন বেঞ্চের (অবসরকালীন) নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে এসএলপি দাখিল করেছে রাজ্য। জুলাই মাসে শুনানি রয়েছে ওই মামলার। জানা গিয়েছে, দেশের শীর্ষ আদালতে এসএলপিতে তথ্য লুকিয়েছে রাজ্য। রাজ্যের এমন আচরণ বরদাস্ত নয় বলেই মন্তব্য করেন হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী।

    কী বললেন বিচারপতি চক্রবর্তী?

    বৃহস্পতিবার রাজ্যের আবেদনের শুনানি ছিল প্রধান বিচারপতি ও বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে (Calcutta High Court)। বিচারপতি চক্রবর্তী বলেন, “এখন অয়ন শীলের ঘটনায় পুর-নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষক নিয়োগের ওএমআর এবং পুরসভায় নিয়োগের ওএমআর অয়ন শীলের সংস্থা থেকেই গিয়েছিল বলে দাবি করা হচ্ছে। তাহলে, এই দুর্নীতি কি একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয়? এই দুই দুর্নীতির তদন্ত কি একত্রে হওয়া উচিত নয়? এই পরিস্থিতিতে এই দুই দুর্নীতিকে কি আদৌ আলাদা করা সম্ভব? এই দুই দুর্নীতিকে যদি আলাদা আলাদা জায়গায় দাঁড় করাতে হয় তাহলে সেটা কীভাবে সম্ভব হবে? যদি আলাদা করা সম্ভব হয় তখনই এই প্রশ্ন উঠতে পারে যে তাহলে পুর-নিয়োগে দুর্নীতির তদন্ত কে করবে? রাজ্য না সিবিআই?”

    আরও পড়ুুন: রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন ৮ জুলাই, জারি আদর্শ আচরণ বিধি

    ১৯ মার্চ ইডির হাতে গ্রেফতার হন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অয়ন শীল। তার পর দু দিন ধরে অয়নের চূঁচুড়ার বাড়ি ও সল্টলেকের অফিস, ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় ইডি। উদ্ধার হয় পুর-নিয়োগের ওএমআর শিট। সেই তথ্য আদালতে পেশ করে ইডি। ওই মামলার শুনানি চলছিল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চে। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন তিনি। সিবিআই তদন্তের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। পরে মামলা যায় হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখেন বিচারপতি সিনহাও। এর পর ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য সরকার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • SSC Scam : একাদশ-দ্বাদশ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ওএমআর শিট নিয়ে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

    SSC Scam : একাদশ-দ্বাদশ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ওএমআর শিট নিয়ে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে (SSC Scam) ওএমআর সংক্রান্ত কারচুপি-তে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। ২৮ জুনের মধ্যে পেশ করতে হবে রিপোর্ট, এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। 

    ওএমআর নিয়ে বিশদ তথ্য

    বৃহস্পতিবার সিবিআই-কে ৯০৭ ওএমআর (SSC Scam) কারচুপি তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেন বিচারপতি। এর আগে নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগেও ওমএমআর শিটে-দুর্নীতির বিষয়টি আদালতের নজরে এনেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। হাতে আসা তথ্যের ভিত্তিতে তদন্তকারীদের দাবি, নবম ও দশমের ৯৫২টি, একাদশ ও দ্বাদশের ৯০৭টি ওমএরআর শিটে গরমিল রয়েছে। স্কুল সার্ভিস দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে একের পর এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। এর আগে গাজিয়াবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল নীলাদ্রি দাস নামে এক ব্যক্তিকে। নিলাদ্রি যে সংস্থার আধিকারিক সেই সংস্থা নাইসার হাতেই ছিল এসএসসি পরীক্ষার ওএমআর শিট তৈরির দায়িত্ব। গাজিয়াবাদ ও দিল্লির অক্ষরধামে সেই সংস্থার অফিসে তল্লাশি চালিয়ে ওএমআর বিকৃতির ব্যাপারে একাধিক তথ্য এসেছে সিবিআইয়ের হাতে।

    আরও পড়ুন: বন সহায়ক পদে নতুন করে ইন্টারভিউয়ের নির্দেশে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    তদন্তে অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন

    এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত (SSC Scam) একটি মামলার শুনানিতে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেছিলেন, “দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত কাউকে ছাড়া হবে না।” প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির পাশাপাশি একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির ওএমআর-এর ক্ষেত্রেও কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। এবার এই সংক্রান্ত মামলায় বৃহস্পতিবার উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তিনি বলেন, “৯০৭ ওএমআর কারচুপি’র ধরণ কী? এই ওএমআর প্রকাশিত করা যায়নি কেন?” তাঁর আরও সংযোজন, “এই ওএমআর প্রকাশিত করা গেলে কবে যাবে, তা বিস্তারিত জানাতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে।” একইসঙ্গে ২৮ জুনের মধ্যে সিবিআইকে ৯০৭ ওএমআর কারচুপির তদন্তে অগ্রগতির রিপোর্ট পেশ করারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Bana Sahayak Recruitment: বন সহায়ক পদে নতুন করে ইন্টারভিউয়ের নির্দেশে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    Bana Sahayak Recruitment: বন সহায়ক পদে নতুন করে ইন্টারভিউয়ের নির্দেশে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন সহায়ক পদে (Bana Sahayak Recruitment) নতুন করে নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের বিজ্ঞপ্তিতে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার এজলাসে শুনানির পর একক বেঞ্চের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। ৬ জুলাই পর্যন্ত স্থগিতাদেশ জারি করা হয়। এর ফলে বন সহায়ক পদে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনই শুরু করতে পারবে না রাজ্য। পাশাপাশি, দু’হাজার অস্থায়ী কর্মীর প্যানেল বাতিলের যে নির্দেশ সিঙ্গল বেঞ্চ দিয়েছিল, আপাতত তার উপরেও স্থগিতাদেশ থাকবে বলে জানিয়েছে উচ্চ আদালত।

    বন সহায়ক পদে এখনই নিয়োগ নয়

    উল্লেখ্য, রাজ্যে বন বিভাগে কর্মী নিয়োগেও (Bana Sahayak Recruitment) দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের পর্যবেক্ষণে নিয়োগ প্রক্রিয়ার গলদ ধরা পড়ে। তিনি নির্দেশ দেন, দু’মাসের মধ্যে পুরনো প্যানেল বাতিল করে নতুন প্যানেল তৈরি করতে হবে। সেই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ। বনসহায়ক পদে আবেদনের শেষ দিন ছিল ২৯ মে। গত ১৯ তারিখ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছিল। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ভিএম ভেলুমণি এবং বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, বন সহায়ক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর যে বিজ্ঞপ্তি রাজ্যের তরফে প্রকাশ করা হয়েছিল, তাতে আগামী ৬ জুলাই পর্যন্ত অন্তর্বর্তিকালীন স্থগিতাদেশ থাকবে। 

    আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামের মিছিলে ‘না’ পুলিশের, হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    দু’হাজার জনের পুরনো প্যানেল বাতিল করে নতুন প্যানেল গঠন এবং তার মাধ্যমে পুরনো নিয়োগ প্রক্রিয়া আবার শুরু করার যে নির্দেশ বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ দিয়েছিল, তার বিরুদ্ধে বিচারপতি বিবেক চৌধুরী এবং বিচারপতি বিশ্বরূপ চৌধুরীর অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চে মামলা হয়। প্যানেলে থাকা ৫০ জন এই মামলা করেন। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টেবর মাসে বনসহায়ক পদে নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউ হয়। দু’হাজার শূন্যপদ ছিল, চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ হয়। মাসিক ভাতা ১০ হাজার টাকা। সহায়করা মূলত ফরেস্ট গার্ডদের মতোই বনসুরক্ষার কাজ করবেন। এমনটাই ঠিক করেছিলেন রাজ্যের বনকর্তারা। বিরোধীরা প্রথম থেকেই অভিযোগ তোলেন, কিছু লোককে চাকরি পাইয়ে দিতেই এই পদ তৈরি করা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Kaliaganj: “সিবিআই তদন্ত দিলে ভালো হবে?’’ কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে রাজ্যকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    Kaliaganj: “সিবিআই তদন্ত দিলে ভালো হবে?’’ কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে রাজ্যকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে (Kaliaganj) রাজ্যের ভূমিকায় খুশি নন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এদিন হাইকোর্টে বিচারপতির চরম ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় রাজ্যকে। প্রসঙ্গত, কালিয়াগঞ্জে নাবালিকা খুনের ঘটনায় তদন্ত চালাচ্ছে সিট। ঘটনাক্রমে, এই সিট গঠন করেছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নিজেই। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে কালিয়াগঞ্জে এক নাবালিকার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে সেখানকার পরিস্থিতি। প্রতিবেশীরা অভিযোগ তোলেন, ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। সেই মামলাতেই পুলিশকর্তা পঙ্কজ দত্ত, উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস এবং পুলিশ আধিকারিক দময়ন্তী সেনকে সদস্য হিসেবে রেখে সিট গঠন করেছিলেন রাজাশেখর মান্থা।

    তীব্র ভর্ৎসনার মুখে রাজ্য! তদন্তে (Kaliaganj) অসহযোগিতার অভিযোগ

    বিচারপতি মান্থা এদিন বলেন, ‘‘সিটকে পুলিশ সাহায্য করছে না বলে অভিযোগ উঠছে। তাহলে বলতেই হচ্ছে, রাজ্য নিজেই নিজের বিপদ ডেকে আনছে। সিট যাতে কাজ করতে না পারে, সেই চেষ্টা করছে রাজ্য। এবার কি সিবিআইকে তদন্তভার দিলে ভালো হবে?’’ তাঁর আরও সংযোজন, পুলিশ সিটকে সাহায্য করছে না (Kaliaganj)। আর পুলিশ কিছুই জানে না, এটা কি হতে পারে?’’ এরপরেই তিনি নির্দেশ দেন, রাজ্য পুলিশ কেন হাইকোর্টের নির্দেশ মানেনি, তা এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে স্বরাষ্ট্র দফতরকে।

    সিটের সদস্যই সিবিআই-এর পক্ষে সওয়াল করছেন

    বিশেষ তদন্তকারী দলের অন্যতম সদস্য হলেন উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস। তিনিও রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করেছেন ইতিমধ্যেই। সিটের পক্ষ থেকে প্রাথমিক রিপোর্টও (Kaliaganj) আদালতে (Calcutta High Court) জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। উপেন বিশ্বাস প্রাক্তন সিবিআই কর্তা। তিনি বলেন, ‘‘সব তথ্যের স্ক্রুটিনি করা হয়েছে। আমাদের কেউ সাহায্য করেনি। যদি ওই পরিবার ও রাজ্যবাসীর বিশ্বাস ফেরাতে হয়, তাহলে রাজ্য পুলিশের উপর নির্ভর করলে হবে না। সিবিআই-কে ছাড়া এই তদন্ত সম্ভব নয়।’’

    আরও পড়ুুন: নন্দীগ্রামের মিছিলে ‘না’ পুলিশের, হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

LinkedIn
Share