Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Abhijit Gangopadhyay: ‘‘দালালের মাধ্যমে শিক্ষকের চাকরি বিক্রি করেছেন পার্থ-মানিক’’! রায়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    Abhijit Gangopadhyay: ‘‘দালালের মাধ্যমে শিক্ষকের চাকরি বিক্রি করেছেন পার্থ-মানিক’’! রায়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেক্স: দালালের মাধ্যমে শিক্ষকের চাকরি বিক্রি করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। শুক্রবার ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশে এমনই পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay)। রায়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় লিখেছেন, ২০১৬ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি সহ আধিকারিকদের কাজ অনেকটা স্থানীয় ক্লাবের মতো। আর ইডির তদন্তে উঠে এসেছে, যাঁদের টাকা ছিল প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি তাঁদের বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay) রায়…

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর রায়ে জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে, তা পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে নজিরবিহীন। তিনি (Abhijit Gangopadhyay) জানান, অপ্রশিক্ষিত শিক্ষকদের যত্রতত্র অনিয়মের ছাপ রয়েছে। ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় অযোগ্য চাকরি প্রার্থীদের নম্বর বাড়িয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় লিখেছেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় কম নম্বর পেয়েছেন এমন চাকরিপ্রার্থীদেরও সংশ্লিষ্ট বিভাগে ১০ নম্বরের মধ্যে সাড়ে ৯ নম্বর দিয়ে দেওয়া হয়েছে। অ্যাপটিটিউড টেস্টও নেওয়া হয়নি। পর্যবেক্ষণে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, চাকরিপ্রার্থীদের অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়ার ভার যাঁদের ওপর দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের অনেকেই জানতেন না অ্যাপটিটিউড টেস্ট আসলে কী।

    যাঁরা বোর্ডের পরীক্ষায় কম নম্বর পেয়েছেন, লিখিত পরীক্ষায় কম স্কোর করেছেন, তাঁদের ইন্টারভিউয়ে বেশি করে নম্বর দিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে। আর এই পুরো দুর্নীতিতে সব চেয়ে বেশি দায় মানিকেরই। রায়ের শেষাংশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় লিখেছেন, এই পুরো অস্বচ্ছতা ও দুর্নীতি হয়েছে পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতির জন্য। তিনি সব নিয়ম জানতেন। তা সত্ত্বেও সেই সব নিয়ম ভেঙেছেন। তাই রাজ্য সরকার যদি মনে করে, নতুন নিয়োগের পুরো ব্যয়ভার নিতে পারে প্রাক্তন সভাপতির কাছ থেকে।

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে উঠে এল আরও এক তৃণমূল নেতার নাম, চিনুন তাঁকে

    এক ঐতিহাসিক রায়ে শুক্রবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) বাতিল করে দেন ৩৬ হাজার প্রশিক্ষণহীন শিক্ষকের চাকরি। ২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে ২০১৬ সালে নিয়োগ করা হয় ৪২ হাজার শিক্ষক। তাঁদের মধ্যে যাঁদের প্রশিক্ষণ নেই, এমন ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে দেয় আদালত। আপাতত চার মাস এঁরা যেসব স্কুলে পড়াচ্ছিলেন, সেখানেই পড়াবেন। তবে বেতন পাবেন পার্শ্বশিক্ষকের মতো। আগামী তিন মাসের মধ্যে শূন্যপদ পূরণ করতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “আদালত সবাইকে ডেকে ডেকে বিধি শেখাতে যাবে না”, কেন বললেন বিচারপতি মান্থা?

    Calcutta High Court: “আদালত সবাইকে ডেকে ডেকে বিধি শেখাতে যাবে না”, কেন বললেন বিচারপতি মান্থা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আদালত সবাইকে ডেকে ডেকে বিধি শেখাতে যাবে না”। শুক্রবার এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha)। উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় বিচারপতি মান্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূলের (TMC) মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সেই প্রসঙ্গেই এদিন বিচারপতি বলেন, “নিজেরাই যদি নিজেদের সম্মান নষ্ট করেন, তাহলে কোর্ট কী করবে? আদালতকে বার বার অসম্মান করতে গিয়ে নিজেদের যে অসম্মান হচ্ছে, তা তাঁরা বুঝছেন না। বা বুঝেও সেটাই করে চলেছেন ইচ্ছাকৃতভাবে।” এর পরেই তিনি বলেন, “আদালত সবাইকে ডেকে ডেকে বিধি শেখাতে যাবে না।”

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ…

    বৃহস্পতিবার কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় সিট গঠনের নির্দেশ দেন বিচারপতি মান্থা। তাঁর পর্যবেক্ষণ ছিল, পুলিশ স্বচ্ছভাবে তদন্ত করতে পারছে না। চাপের মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে তাদের। এর পরেই সিট গঠনের নির্দেশ দেন বিচারপতি মান্থা। সিটে রয়েছেন বর্তমান আইপিএস দময়ন্তী সেন এবং দুই প্রাক্তন আইপিএস উপেন বিশ্বাস এবং পঙ্কজ দত্ত। এর পরেই তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, “টিভি চ্যানেলে বিষোদ্গার করাটাই কি আসল? রাজ্যে আইপিএস অফিসার কি কম পড়েছিল?” পরে কুণাল বলেন, “এঁরা প্রত্যেকেই যোগ্য ও স্বীকৃত। সবই ঠিক আছে। দময়ন্তী সেনকে নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু বাকিরা তো চ্যানেলে বসে বিষোদ্গার করেন। সেই কারণেই কি তাঁদের সিটের সদস্য করা হয়েছে?”

    আরও পড়ুুন:‘‘ঢাকি সমেত বিসর্জন’’! ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    এ নিয়ে বিচারপতি (Calcutta High Court) মান্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আর এক আইনজীবী। তাঁর বক্তব্য, ওই নেতার বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা করা উচিত। এর পরেই শিষ্টাচার পালনের পরামর্শ দেন বিচারপতি মান্থা। তিনি ওই আইনজীবীকে জানান, এ নিয়ে যদি কিছু করতে চান, তা হলে আলাদাভাবে মামলা দায়ের করুন। আদালত বিবেচনা করবে। প্রসঙ্গত, বিচারপতি (Calcutta High Court) মান্থার একাধিক নির্দেশ ও পর্যবেক্ষণ নিয়ে এর আগেও প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূলের কুণাল। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশ নিয়েও বিস্তর সমালোচনা করেছেন তৃণমূলের এই মুখপাত্র।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘‘ঢাকি সমেত বিসর্জন’’! ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Calcutta High Court: ‘‘ঢাকি সমেত বিসর্জন’’! ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি খোয়ালেন ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে এঁদের। এঁরা সকলেই ২০১৪ সালের টেট (TET) পরীক্ষার মাধ্যমে নিযুক্ত হয়েছিলেন। এঁরা অপ্রশিক্ষিতও। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়, এঁরা আগামী চার মাস স্কুলে যেতে পারবেন। তবে বেতন পাবেন প্যারা টিচার হিসেবে। রাজ্যকে তিন মাসের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে শেষ করতে হবে। তিনি জানান, যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে, তাঁরা ইতিমধ্যেই প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকলে নয়া নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে নিয়োগ দুর্নীতিতে অনেক ক্ষেত্রেই চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। তবে এত বিপুল পরিমাণ চাকরি আগে বাতিল হয়নি।

    কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা বিজেপি নেতার…

    টেটের মাধ্যমে নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে ন’ বছর আগে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেছিলেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। তবে তিনি বলেছিলেন, “এই প্যানেলের ৪২ হাজার ৫০০ জনের নিয়োগ হয়েছিল। তবে সবাই যে বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন, তা নয়। কেউ কেউ পরীক্ষা দিয়ে মেধার ভিত্তিতেও চাকরি পেয়েছেন।” তিনি বলেছিলেন, “যাঁরা বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের বিষয়ে তদন্ত করা হোক। তার পরেই এই মামলার তদন্তভার সিবিআইকে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।”

    ওই বছর চাকরি না পেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ১৪০ জন অপ্রশিক্ষিত চাকরি প্রার্থী। তাঁদের দাবি, সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশে যে নম্বর বিভাজন সহ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, সেই তালিকায় দেখা যাচ্ছে তাঁদের থেকে কম নম্বর পেয়েও অনেক অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী চাকরির সুপারিশপত্র পেয়েছেন। তার পরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Calcutta High Court) জানিয়েছিলেন, ২০১৬ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার পুরো প্যানেল বাতিল করে দেবেন। তিনি মন্তব্য করেছিলেন, “আমি ঢাকি সমেত বিসর্জন দিয়ে দেব।”

    আরও পড়ুুন: প্রথমবার অফিসিয়াল স্টেট ভিজিটে আমেরিকা যাচ্ছেন মোদি, জানুন সফরের গুরুত্ব

    এদিন যাঁরা চাকরি খোয়ালেন তাঁরা ছিলেন ৪২ হাজার ৫০০ জনের মধ্যেই। এঁরা যে সময় টেট দিয়েছিলেন, সেই সময় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। পরে তাঁকে চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারিত করা হয়। সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়েছিল, ওএমআর শিট জালিয়াতিতে আসল মাস্টারমাইন্ড মানিকই। দেখা গেল, তাঁর সময়ে হওয়া টেটের মাধ্যমে যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে থেকেই চাকরি গেল ৩৬ হাজার জনের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: পুলিশ অনুমতি দেয়নি! বাঁকুড়ার সিমলাপালে শুভেন্দুর সভায় সম্মতি হাইকোর্টের

    Suvendu Adhikari: পুলিশ অনুমতি দেয়নি! বাঁকুড়ার সিমলাপালে শুভেন্দুর সভায় সম্মতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সভার জন্য অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বাঁকুড়ার সিমলাপালে বিজেপি-র সভায় আপত্তি জানিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু আদালত সম্মতি দিল। ফলে আগামী ১৭ মে দুপুর ৩টে থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সভা করায় অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।

    সিমলাপালে শুভেন্দুর সভা

    বাঁকুড়ার সিমলাপালে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) মিছিল ও সভার (Public Meeting in Bankura) জন্য অনুমতি চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে তা দেয়নি রাজ্য পুলিশ। তাই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিল বিজেপি। শুক্রবার সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha) বলেন, রাজ্য সরকার যদি মনে করে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নিরাপত্তার জন্য আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করতে হবে, তাহলে তাই করতে হবে। কিন্তু সভা করতে দিতে হবে। বিচারপতি মান্থা এদিন নির্দেশে বলেন, এর পর থেকে কোথাও সভা বা মিছিল করতে চাইলে অন্তত ১৫ দিন আগে আবেদন করতে হবে। পুলিশের কোনও বক্তব্য থাকলে তা ওই আবেদন জানানোর চার দিনের মধ্যে জানাতে হবে। এর অন্যথা যেন না হয়।

    আরও পড়ুুন: নন্দীগ্রামে গৃহযুদ্ধ! তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের হুমকিতে ঘরছাড়া দলেরই পঞ্চায়েত সদস্য

    উল্লেখ্য, বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার জন্যেই সরকারের নির্দেশে পুলিশ বাঁকুড়ায় সভা করার জন্য অনুমতি দেয়নি। এমনটাই অভিযোগ তুলেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর এই নিয়েই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো এদিন বলেন, “পুলিশের এখন প্রধান কাজ বিজেপিকে আটকানো। বিজেপির কর্মসূচী দেখে এ রাজ্যের শাসক দল আতঙ্কিত।” আগামী দিনে এর প্রভাব পঞ্চায়েত নির্বাচনে পড়বে বলে জানান তিনি। এটাই প্রথম নয়, এর আগেও শুভেন্দু অধিকারীর সভায় অনুমতি না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত এপ্রিল মাসে শুভেন্দু অধিকারীর চন্দ্রকোনার সভার অনুমতি নিয়েও তৈরি হয়েছিল জটিলতা। পরে শর্তসাপেক্ষে সেই সভা করার অনুমতি দেয় হাইকোর্ট।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “যখন ইচ্ছে আদালতে আসুন, কোনও রক্ষাকবচ নয়”! অভিষেকের আর্জি খারিজ হাইকোর্টে

    Calcutta High Court: “যখন ইচ্ছে আদালতে আসুন, কোনও রক্ষাকবচ নয়”! অভিষেকের আর্জি খারিজ হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুন্তলের চিঠি মামলায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে রক্ষাকবচ দিল না কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় অব্যাহতি চেয়েছিলেন অভিষেক। এদিনের শুনানিতে বিচারপতির অমৃতা সিনহার সিঙ্গল বেঞ্চ স্পষ্ট করে দেন, ‘২৪ ঘণ্টা আদালত খোলা আছে। প্রয়োজন পড়লে আদালতে আসুন।’ মামলার পরবর্তী শুনানি হবে সোমবার। 

    স্বস্তি মিলল না

    নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষ আদালতে (Calcutta High Court) যাওয়ার পথে দাবি করেছিলেন, তাঁর মুখ দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন তদন্তকারীরা। অভিযোগ জানিয়ে নিম্ন আদালতে চিঠিও দেন কুন্তল। চিঠি দিয়েছিলেন হেস্টিংস থানাতেও। সেই চিঠি প্রসঙ্গে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ছিল, ইডি কিংবা সিবিআই প্রয়োজনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করতে পারে। এরপর সুপ্রিম কোর্ট ওই মামলা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরিয়ে দেয়। সেই মামলা গিয়েছিল বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। শুক্রবার সেখানেও স্বস্তি মিলল না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

    রক্ষাকবচ দেওয়ার আর্জি

    এদিন শুনানিতে অভিষেকের আইনজীবী হাইকোর্টের (Calcutta High Court) পুরনো নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানান। একই সঙ্গে তৃণমূল নেতাকে অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ দেওয়ার আর্জি জানান তাঁর আইনজীবী। এই সময়ের মধ্যে তদন্তকারী সংস্থা যাতে চরম পদক্ষেপ নিতে না পারেন, তার জন্যও আবেদন করেন অভিষেকের আইনজীবী। বৃহস্পতিবারই কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন অভিষেক। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হার বেঞ্চে তিনি এই আবেদন জানান।

    আরও পড়ুুন: নন্দীগ্রামে গৃহযুদ্ধ! তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের হুমকিতে ঘরছাড়া দলেরই পঞ্চায়েত সদস্য

    হাকিম বদলালে, হুকুম বদলায় না

    অভিষেকের আইনজীবী বলেন, এই মামলায় কী ভাবে তাঁর মক্কেলের নাম জড়াল, সেটাই পরিষ্কার নয়। অভিষেকের বিরুদ্ধে অভিযোগটা ঠিক কী, তা-ও তাঁর জানা নেই বলে জানান তিনি। সেই বক্তব্য শুনে বিচারপতি অভিষেককে তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এ প্রসঙ্গে বলেন, “দেখুন হাকিম বদলালে, হুকুম বদলায় না। হুকুম একই থাকে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে মামলা সরে যাওয়ায় যারা আনন্দ করছিল, তা বন্ধ। এখন শোকের আবহ। তৈরি হয়ে থাকুন, সময় আসছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Abhishek Banerjee: কুন্তলের চিঠি সংক্রান্ত মামলা থেকে অব্যাহতি চান অভিষেক, আবেদন হাইকোর্টে

    Abhishek Banerjee: কুন্তলের চিঠি সংক্রান্ত মামলা থেকে অব্যাহতি চান অভিষেক, আবেদন হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে নিয়োগ সংক্রান্ত দুটি মামলা সরানো হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে। সেই মামলা দুটি গিয়েছে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। এর একটি তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) সংক্রান্ত। বিচারপতি সিনহা অভিষেককে মামলায় যুক্ত হতে বলেছিলেন। সেই মতো বৃহস্পতিবার মামলাটিতে যুক্ত হয়েছেন তৃণমূলের দু নম্বর ব্যক্তি। সেই সঙ্গে মামলা থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদনও জানিয়েছেন অভিষেক।

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)…

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষকে। তার পরেই তাঁকে বহিষ্কার করে তৃণমূল। পরে কুন্তল অভিযোগ করেন, ইডি এবং সিবিআই তাঁকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলার জন্য চাপ দিচ্ছে। এ নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে নিম্ন আদালতে চিঠি দেন কুন্তল। পুলিশি হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দেন হেস্টিংস থানায়ও। সেই চিঠির বিষয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ছিল, ইডি বা সিবিআই প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে অভিষেককে। আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, জেলবন্দি কুন্তল ঘোষের চিঠি ও অভিষেকের বক্তব্যের মধ্যে মিল রয়েছে। তাই জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলা হয়েছিল।

    হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এ সংক্রান্ত মামলা সরিয়ে নেওয়া হয় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে। মামলা চলে যায় বিচারপতি সিনহার এজলাসে। ওই মামলায় বিচারপতি সিনহার পর্যবেক্ষণ ছিল, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নন। তাহলে তদন্তে সহযোগিতা করতে অভিষেকের অসুবিধা কোথায়? অভিষেকের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, এই মামলায় কীভাবে তাঁর মক্কেলের নাম জড়াল, সেটাই পরিষ্কার নয়।

    আরও পড়ুুন: মধ্যরাতেই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে মোকা, শুক্রে কমবে তাপমাত্রা

    অভিষেকের বিরুদ্ধে অভিযোগটা ঠিক কী, তাও জানা নেই। সেই বক্তব্য শুনেই বিচারপতি অভিষেককে তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপর এদিন বিচারপতি সিনহার কথা মতো মামলায় যুক্ত হন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। পরে আদালতের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে এই মামলা থেকে অব্যাহতি চান। শুক্রবার হবে এই মামলার শুনানি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Calcutta High Court: শুভেন্দুর কনভয় দুর্ঘটনা মামলায় কেস ডায়েরি তলব হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: শুভেন্দুর কনভয় দুর্ঘটনা মামলায় কেস ডায়েরি তলব হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কনভয়ে মৃত্যু মামলায় এবার কেস ডায়েরি তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ভিআইপিদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কী কী বন্দোবস্ত করা হয়, রাজ্যের কাছে তাও জানতে চাইল আদালত। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, ভিআইপিদের ক্ষেত্রে রুট লাইনিং, ওয়াচার্স ম্যানেজমেন্ট কী প্রক্রিয়া মেনে করা হয়, তা রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে রাজ্যকে। রিপোর্ট দিতে হবে সোমবারের মধ্যে। পুলিশের উদ্দেশে বিচারপতি মান্থার মন্তব্য, আপাতত ইয়োলো বুক মেনে কাজ করুন।

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতির বিস্ময়…

    এই মামলার পরবর্তী শুনানি বুধবার। এই শুনানি না হওয়া পর্যন্ত কোনও কনভয় সুরক্ষা কর্মীকে ডাকবে না পুলিশ। আদালতে (Calcutta High Court) রাজ্যের আইনজীবী অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু অত্যন্ত গুরুতর ঘটনা। সেই কারণেই এই ঘটনার তদন্তভার সিআইডিকে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে গাড়ি দুর্ঘটনার মতো একটি বিষয়ের তদন্তভার সিআইডিকে দেওয়া হয়েছে শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি মান্থা। তাঁর মন্তব্য, “সিআইডি কেন? আরও বেশি কিছু দেওয়া দরকার”!

    বুধবার শুভেন্দুর আইনজীবী আদালতে দাবি করেছিলেন, কনভয় দুর্ঘটনার অভিযোগের মধ্যেই রাজনীতি রয়েছে। আদালতে সওয়াল করতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, শুভেন্দু ছিলেন প্রথম গাড়িতে। দুর্ঘটনাটি ঘটে তাঁর কনভয়ের ৭ নম্বর গাড়িতে। তিনি এও বলেছিলেন, যে ঘটনাটি ঘটেছে, তা খুবই দুঃখজনক। কনভয়ের সাত নম্বর বুলেটপ্রুফ গাড়িটিতে ধাক্কা লেগেছে। রাস্তার ধার দিয়ে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন ওই ব্যক্তি। সেই সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে।

    আরও পড়ুুন: রামনবমীর মিছিলে অশান্তি, ৬টি এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু এনআইএ-র

    বৃহস্পতিবার দিঘা-নন্দকুমার জাতীয় সড়কের চণ্ডীপুরে শুভেন্দুর কনভয়ের একটি গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় ভৈরবপুরের ইস্রাফিল খানের। পরে ইস্রাফিলের বাবা সফিরউদ্দিন অভিযোগ দায়ের করেন চণ্ডীপুর থানায়। মৃত ইস্রাফিলের দেহ নিয়ে শুভেন্দুর বাড়ির সামনে মিছিল করে তৃণমূল। ওই ঘটনায় শুভেন্দুর কনভয়ের এক গাড়ির চালককে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় সিআইডি। পরের দিনই সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাঁর অভিযোগ, যে রুটে তাঁর কনভয় যাচ্ছে, সেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছে না রাজ্য সরকার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে শপথ নিলেন টিএস শিবজ্ঞানম

    Calcutta High Court: কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে শপথ নিলেন টিএস শিবজ্ঞানম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে (Calcutta High Court New Chief Justice) বৃহস্পতিবার শপথ নিলেন টিএস শিবজ্ঞানম (Justice TS Shivagnanam)। আজ সকাল ১১টা নাগাদ অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor C V Ananda Bose) প্রধান বিচারপতিকে শপথ বাক্য পাঠ করান। 

    শপথ অনুষ্ঠান

    এদিনের শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম-সহ একাধিক বিশিষ্ট জনেরা। ছিলেন হাইকোর্টের বহু সিনিয়র আইনজীবী ও বারের সদস্যরাও। ছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও। হাইকোর্টের বারান্দায় বড় পর্দার মাধ্যমে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান দেখানোর ব্যবস্থাও করা হয়। করা হয় লাইভ সম্প্রচারও। আজ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে পাশাপাশি আসনে দেখা গেল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও মেয়র ববি হাকিমকে। এদিন প্রধান বিচারপতির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে মুখোমুখি হলেও কোনও কথা হয়নি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। মূল অনুষ্ঠান শুরুর আগে দেখা যায় রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের পাশের চেয়ারে বসেছেন শুভেন্দু। তারপর এক নম্বর কোর্টে মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছনোর পর বিরোধী দলনেতা উঠে দাঁড়ান এবং আসন বদল করে কিছুটা বাঁ দিকের সারিতে গিয়ে বসেন।

    আরও পড়ুুন: রামনবমীর মিছিলে অশান্তি, ৬টি এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু এনআইএ-র

    কলকাতার প্রধান বিচারপতি হয়ে গর্বিত

    শপথ গ্রহণ চলাকালীন প্রধান বিচারপতি বলেন, “কলকাতার প্রধান বিচারপতি হয়ে গর্বিত। এই শহর সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র। রবীন্দ্রনাথ, সুভাষ বোসের জন্মভূমি। এই কোর্ট বড় বড় মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করেছে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দিতে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখব না। বারের সহযোগিতা আশা করছি।” গত ৯ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম বিচারপতি শিবজ্ঞানমের নাম সুপারিশ করেছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পদের জন্য। গত ৩০ মার্চ ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে তাঁর নাম উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রক। প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব অবসর গ্রহণের পর ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন তিনি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kaliyaganj Murder Case: কালিয়াগঞ্জে ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় সিট গঠন কলকাতা হাইকোর্টের

    Kaliyaganj Murder Case: কালিয়াগঞ্জে ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় সিট গঠন কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে (Kaliyaganj Murder Case) দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে খুনের মামলায় সিট গঠন করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বৃহস্পতিবার ওই বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেন। রাজ্য পুলিশের আধিকারিক দময়ন্তী সেন, প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্ত এবং প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাসকে সিটে রেখেছেন তিনি। তাঁর নির্দেশ, আদালতের নজরদারিতে হবে তদন্ত। সিট যদি প্রয়োজন মনে করে, তাহলে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত করতে পারবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। 

    সিটকে বিশেষ ক্ষমতা

    এই মামলায় (Kaliyaganj Murder Case) বিচারপতির পর্যবেক্ষণ— ‘‘প্রচণ্ড চাপের মুখে কাজ করতে পারছে না পুলিশ। তাই এই সিট গঠন।’’ তিনি জানান, এই মামলার তদন্ত চলাকালীন বাইরে নিজেদের মত প্রকাশ করবেন না সিটের সদস্যরা। পাশাপাশি, হাইকোর্টের নির্দেশ, কেস ডায়েরি এবং অন্যান্য নথি সিটকে দেবে রাজ্য পুলিশ। তদন্তে রাজ্যকে সাহায্য করতে হবে। পরবর্তী শুনানির আগে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করবে রাজ্য। নিহত ছাত্রীর পরিবারের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্যও রাজ্য পুলিশকে নির্দেশ দেন বিচারপতি মান্থা। সিআরপিসি অনুযায়ী, তদন্তের সব ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সিটকে। প্রয়োজনে নতুন অফিসার নিয়োগ করে তদন্ত করতে পারবে এই তদন্তকারী দল। আগামী ২৮ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি। 

    আরও পড়ুন: রামনবমীর মিছিলে অশান্তি, ৬টি এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু এনআইএ-র

    কেন সিট গঠন

    সম্প্রতি উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে (Kaliyaganj Murder Case) এক কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয়। পরিবার ও প্রতিবেশীরা দাবি করেন, কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশের তদন্তে উঠে আসে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই কিশোরী। বৃহস্পতিবার রাজ্যের তরফে ওই ঘটনার তদন্তের রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। রিপোর্টে দেখা যায়, ইনকোয়েস্ট বা সুরতেহাল হয়েছিল ঘটনার দিন বিকেল সাড়ে ৫ টায়, আর ময়নাতদন্ত হয় সাড়ে ৩ টেয়। বিচারপতি মান্থা প্রশ্ন তোলেন, কেন ময়নাতদন্তের পর সুরতেহাল হল? সুরতেহাল ও ময়নাতদন্তের সময়ের মধ্যে সন্দেহজনক পার্থক্য রয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন বিচারপতি মান্থা। রিপোর্টে আরও জানা গিয়েছে, ময়নাতদন্তের সময় পরিবারের লোক উপস্থিত ছিল না। পুলিশ নৃশংসভাবে দেহ টেনে নিয়ে গিয়েছিল বলেও উল্লেখ করেন বিচারপতি। এরপরই সিট গঠনের নির্দেশ দেন বিচারপতি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami: রামনবমীর মিছিলে অশান্তি, ৬টি এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু এনআইএ-র

    Ram Navami: রামনবমীর মিছিলে অশান্তি, ৬টি এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু এনআইএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রা ঘিরে ব্যাপক অশান্তি হয়েছিল হাওড়া এবং হুগলিতে। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে ওই অশান্তির ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয় এনআইএ-কে (NIA)। তার পরেই হাওড়ার পুলিশ কমিশনার, চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার ও এডিজি সিআইডিকে চিঠি দেয় এনআইএ। অশান্তির মামলার তদন্ত কীভাবে এগোবে, তা নিয়েও বৈঠক করেন এনআইএ-র কলকাতা শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিআইজি।

    রামনবমীর (Ram Navami) অশান্তিতে এফআইআর…

    হাওড়া ও হুগলির ওই অশান্তির ঘটনায় এফআইআর দায়ের করেছে এনআইএ। বৃহস্পতিবার তা আদালতে পেশ করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। হাইকোর্টের নির্দেশে হাওড়ার শিবপুরে একটি, হুগলির শ্রীরামপুরে দুটি, রিষড়ায় একটি এবং উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায় রামনবমীর মিছিলে গোলমালের ঘটনার প্রেক্ষিতে এফআইআর দায়ের করেছে এনআইএ। প্রসঙ্গত, রামনবমীর (Ram Navami) মিছিলে অশান্তির জেরে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। এনআইএকে দিয়ে তদন্তের দাবিতে আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন তিনি। ২৭ এপ্রিল তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেয়।

    আরও পড়ুুন: ফের সভার অনুমতি দেওয়া হল না শুভেন্দুকে, আদালতে যাচ্ছে বিজেপি!

    দু সপ্তাহের মধ্যে মামলা সংক্রান্ত সমস্ত নথি এনআইএকে হস্তান্তর করার নির্দেশও রাজ্যকে দেয় আদালত। আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, পুলিশের রিপোর্টে স্পষ্ট যে অশান্তি হয়েছে। কারা এই অশান্তির ঘটনায় জড়িত এবং কারা উসকানি দিয়েছে, তা জানা রাজ্য পুলিশের পক্ষে সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করা প্রয়োজন। তার পরেই এনআইএ তদন্তের নির্দেশ। সচরাচর তদন্ত শুরু করার আগে এনআইএ এফআইআরের একটি খসড়া তৈরি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে পাঠায়। তার ভিত্তিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সবুজ সংকেত মিললেই শুরু হয় তদন্ত। ইতিমধ্যেই সেই এফআইআরের খসড়া পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। 

    ৩০ মার্চ রামনবমীর (Ram Navami) মিছিলকে কেন্দ্র করে দু পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে হাওড়ার শিবপুর থানার জিটি রোড এলাকা। পুলিশের গাড়ি, বাস, টোটো, অটো, বাইকে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইটপাটকেল। সেদিনই অশান্তি হয় উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায়ও। রামনবমীর দু দিন পরে অশান্ত হয়ে ওঠে হুগলির রিষড়াও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share