Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • SSC Scam: এখনই বেতন ফেরাতে হচ্ছে না গ্রুপ ডি কর্মীদের, স্থগিতাদেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে

    SSC Scam: এখনই বেতন ফেরাতে হচ্ছে না গ্রুপ ডি কর্মীদের, স্থগিতাদেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলের গ্রুপ ডি কর্মীদের বেতন ফেরানোর নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট (SSC Scam)। তবে চাকরি বাতিলের নির্দেশে কোনও নড়চড় হয়নি। এর আগেই ওএমআর শিট কারচুপিতে অভিযুক্ত ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সিঙ্গল বেঞ্চ। পাশাপাশি ওই অবৈধ চাকরিপ্রার্থীদের বেতন ফেরানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। বেতন ফেরানোর নির্দেশে আপাতত স্থগিতাদেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। তবে সিঙ্গল বেঞ্চের সম্পূর্ণ রায়ের উপর স্থগিতাদেশ জারি করা হয়নি। অর্থাৎ, চাকরি বাতিলের নির্দেশ এখনও রয়েছে।

    কেন এই স্থগিতাদেশ?

    সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম মজুমদারের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন গ্রুপ ডি কর্মীরা (SSC Scam)। তাঁদের দাবি ছিল, শ্রম যখন দিয়েছেন, তখন বেতন কেন ফেরাবেন? বৃহস্পতিবার সেই মামলার রায়ে দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, বেতন ফেরত নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করা হচ্ছে। আগামী ৩ মার্চ পর্যন্ত জারি থাকবে এই স্থগিতাদেশ। ৩ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।    

    ইতিমধ্যেই গ্রুপ ডি নিয়োগে কারচুপির কথা স্বীকার করে নিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC Scam)। ২৮২৩ জনের ওএমআর শিট বিকৃত করে চাকরি পাইয়ে র অভিযোগে শিলমোহর পড়েছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়, এই ২৮২৩ জনের মধ্যে ১৯১১ জনকে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে নিয়োগ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সেনা জওয়ানকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার ডিএমকে কাউন্সিলর-সহ ৮

    এর পরই গত ১০ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ওই ১৯১১ জনের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দেন (SSC Scam)। পাশাপাশি এতদিন যে বেতন পেয়েছেন তাঁরা, তাও ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। বিচারপতি বলেছিলেন, ‘‘আমার বিশ্বাস, বেআইনি ভাবে দুর্নীতি করে এই সব প্রার্থীদের সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল।’’ পাশাপাশি বিচারপতি এ-ও জানিয়ে দেন, যে প্রার্থীদের সুপারিশপত্র বাতিল করা হবে, তাঁরা অন্য কোনও চাকরির পরীক্ষায় আর কখনও বসতে পারবেন না। সেই নির্দেশ মেনে ওই দিনই ওই প্রার্থীদের চাকরি বাতিলের ঘোষণা করে এসএসসি। 

    সিঙ্গল বেঞ্চের এই রায়কেই চ্যালেঞ্জ করে ১৩ ফেব্রুয়ারি ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়া গ্রুপ ডি কর্মীরা (SSC Scam)। বুধবার ওই মামলায় বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশকেও চ্যালেঞ্জ করে নতুন আবেদন করা হয়। এদিন সেই মামলারই শুনানি ছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Panchayat Election 2023: ফের পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তিতে নিষেধাজ্ঞা হাইকোর্টের! শুভেন্দুর মামলায় স্থগিতাদেশ বহাল

    Panchayat Election 2023: ফের পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তিতে নিষেধাজ্ঞা হাইকোর্টের! শুভেন্দুর মামলায় স্থগিতাদেশ বহাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তিতে নিষেধাজ্ঞা কলকাতা হাইকোর্টের! পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে এখনই কোনও ধরনের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারবে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বিজ্ঞপ্তি জারির প্রক্রিয়ায় ফের স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভোটের দিনক্ষণ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ বুধবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টে। অনগ্রসর শ্রেণীর আসন পুনর্বিন্যাস এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে করা শুভেন্দু অধিকারীর মামলার প্রেক্ষিতেই এই নির্দেশ দিল আদালত।

    মামলাটি কী?

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী গত বছরের শেষ দিকে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলা দায়ের করা হয়েছিল পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে এবং আসন পুনর্বিন্যাস নিয়ে। মামলায় বলা হয়, ২০১৩ সালে রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন সম্পূর্ণ হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানে এবং ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া। মামলাতে শুভেন্দুর অভিযোগ, ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায় হিংসার অভিযোগ উঠেছিল। তাই ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোট কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানে হোক। এর পাশাপাশি শুভেন্দুর অভিযোগ ছিল, তপশিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের গণনার যে বিজ্ঞপ্তি রাজ্য নির্বাচন কমিশন দিয়েছে, তাতে ত্রুটি রয়েছে। তাই নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে প্রত্যেক বাড়ি গিয়ে সংরক্ষণের তালিকা খতিয়ে দেখা হোক। এরপরই পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হোক। ফলে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও আসন পুনর্বিন্যাসের দাবি জানিয়ে মামলা করেন শুভেন্দু।

    আরও পড়ুন: ‘ভোটমুখী বাজেট, কিন্তু কাঁচা কাজ হয়েছে’, রাজ্যের বাজেট নিয়ে তুমুল সমালোচনায় শুভেন্দু অধিকারী

    অন্তর্বর্তী নির্দেশের মেয়াদ বৃদ্ধি

    এরপরেই এই মামলার শুনানি গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে। সেই সময় আদালত নির্দেশ দিয়েছিল ৯ জানুয়ারি ওই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। সেই শুনানি না হওয়া পর্যন্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কোনও ঘোষণা করতে পারবে না। কিন্তু ৯ জানুয়ারির পরিবর্তে আজ মামলাটির শুনানির দিন ধার্য করা হয়। আর এদিনই বেঞ্চ ফের স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়িয়ে জানিয়ে দিয়েছে যে, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে পারবে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন। শুধু তাই নয়, আগামী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পঞ্চায়েত ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করা যাবে না বলেও এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে আদালত। ফলে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে আইনি জটিলতাও জারি থাকল।

  • Recruitment Scam: ‘পাঁচ বছর চাকরি করেছি, বেতন ফেরত দেব কেন?’, হাইকোর্টে গ্রুপ ডি কর্মীরা

    Recruitment Scam: ‘পাঁচ বছর চাকরি করেছি, বেতন ফেরত দেব কেন?’, হাইকোর্টে গ্রুপ ডি কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচ বছর চাকরি করেছি। স্কুলে নিজের শ্রম দিয়েছি। বেতন (Salary) ফেরত দেব কেন? প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন চাকরি (Recruitment Scam) হারানো গ্রুপ ডি কর্মীরা। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। এর আগে চাকরি হারানো ১ হাজার ৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মী চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এবারও ফের দ্বারস্থ হলেন ডিভিশন বেঞ্চের। তবে এবার তাঁরা আদালতে গিয়েছেন বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে।

    নিয়োগ দুর্নীতি…

    নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় ২ হাজার ৮২৩ জন গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীর ওএমআর শিট বিকৃত করে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে আদালতে স্বীকার করে নিয়েছিলেন এসএসসি কর্তৃপক্ষ। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়, এই ২ হাজার ৮২৩ জনের মধ্যে ১ হাজার ৯১১ জনকে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে নিয়োগ করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসের ১০ তারিখে আইন অনুযায়ী ক্ষমতা প্রয়োগ করে এসএসসিকে বেআইনিভাবে চাকরি প্রাপক ১ হাজার ৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এতদিন ধরে নেওয়া বেতনও ধাপে ধাপে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।

    আরও পড়ুুন: মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে থাকছেন না শুভেন্দু! কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    এই ১ হাজার ৯১১ জনের সুপারিশপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশও এসএসসিকে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, আমার বিশ্বাস, বেআইনিভাবে দুর্নীতি করে এই সব প্রার্থীদের সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এও জানিয়ে দিয়েছিলেন, যাঁদের সুপারিশপত্র বাতিল করা হবে, তাঁরা অন্য কোনও চাকরির পরীক্ষায় আর কখনও বসতে পারবেন না। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ মোতাবেক ওই দিনই চাকরি খোয়ান (Recruitment Scam) ১ হাজার ৯১১ জন গ্রুপ ডি স্টাফ। সিঙ্গল বেঞ্চের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ১৩ ফেব্রুয়ারি ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Recruitment Scam: এখনও চাকরি যায়নি ৬১৮ জন শিক্ষকের, সংশয় দূর করে সাফ জানাল এসএসসি

    Recruitment Scam: এখনও চাকরি যায়নি ৬১৮ জন শিক্ষকের, সংশয় দূর করে সাফ জানাল এসএসসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ মামলায় শিক্ষকদের সংশয় অবশেষে দূর করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। বুধবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে কমিশনের দাবি, এখনও ৬১৮ জন শিক্ষকের চাকরি বহালই আছে। এদিন আদালতে এসএসসির দাবি, এই ব্যাপারে তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ঠিক করা হবে। ওএমআর শিটে কারচুপির অভিযোগে এই শিক্ষকদের নিয়োগের সুপারিশপত্র বাতিলের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল এসএসসি। আর এই নিয়েই অভিযোগ করে এই ৬১৮ জন শিক্ষক অভিযোগ করেছেন, যে বিষয়ের উপর স্থগিতাদেশ রয়েছে, সেখানে কী ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গেল। আর আজ সেই প্রশ্নেরই উত্তর দিয়ে কমিশন জানাল যে, তাঁদের চাকরি এখনও যায়নি। তাঁদের সুপারিশপত্র এখনই বাতিল হয়নি, কেবল সুপারিশপত্র বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

    কী ঘটেছে?

    নবম-দশমে নিয়োগের পরীক্ষায় ওএমআর শিট কারচুপির অভিযোগে অভিযুক্ত ৯৫২ জনের মধ্যে ৮০৫ জনের চাকরি বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এ ব্যাপারে এসএসসিকেই নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছিলেন তিনি। আদালতে বিচারপতি বসুর একক বেঞ্চের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন অভিযুক্ত শিক্ষকেরা। ডিভিশন বেঞ্চ সেই বক্তব্য শোনে। পরে একক বেঞ্চের নির্দেশে কোনও স্থগিতাদেশ না দিলেও রায়দান স্থগিত রাখেন। এর পর সোমবার রাতেই অভিযুক্ত ৮০৫ জনের মধ্যে ৬১৮ জন শিক্ষকের চাকরির সুপারিশ পত্র বাতিলের বিজ্ঞপ্তি দেয় এসএসসি।

    আরও পড়ুন:‘ভিক্ষাবৃত্তি গ্রহণ করছি না…’, ৩ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি প্রত্যাখ্যান করলেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা

    কমিশনের বিজ্ঞপ্তি নিয়েই অভিযোগ অভিযুক্ত শিক্ষকদের

    বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে এই মামলা। সেক্ষেত্রে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা চলাকালীন কী ভাবে এসএসসি প্রথম দফায় ৬১৮ জন শিক্ষকের নিয়োগপত্রের সুপারিশ প্রত্যাহারের নির্দেশ দিল সেই বিষয়ে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন এই শিক্ষকদের একাংশ। দাখিল করা হয়েছিল অতিরিক্ত হলফনামাও।

    এরপরেই আজ আদালতে অভিযুক্ত শিক্ষকদের সমস্ত সংশয় দূর করে জানিয়ে দেয় যে, তাঁদের চাকরি থেকে এখনই বরখাস্ত করা হচ্ছে না, কারণ এই মামলায় ডিভিশন বেঞ্চ একক বেঞ্চের নির্দেশ নিয়ে রায়দান স্থগিত রেখেছে। তাই এদিন কমিশন জানিয়েছে, ওই বিজ্ঞপ্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষকদের সুপারিশপত্র বাতিল হয়ে যায়নি। সুপারিশপত্র বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ফলে এখনই মধ্য শিক্ষা পর্ষদ ওই শিক্ষকদের নিয়োগ বাতিল করতে পারবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Recruitment: শিক্ষক পদে চাকরির ‘পরীক্ষা’-র দাবিতে ডিগ্রিধারীদের অন্দোলনে অনুমতি হাইকোর্টের

    SSC Recruitment: শিক্ষক পদে চাকরির ‘পরীক্ষা’-র দাবিতে ডিগ্রিধারীদের অন্দোলনে অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরির পরীক্ষার দাবিতে আন্দোলনে অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (SSC Recruitment)। শহিদ মিনারে চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান-বিক্ষোভের অনুমতি দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। শিক্ষক পদে অবিলম্বে নিয়োগ করতে হবে। নিতে হবে পরীক্ষা। এই দাবিতে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। ২০১৬ সালে শেষবার এসএলএসটি পরীক্ষা নিয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশে শিক্ষক নিয়োগের জন্য এই পরীক্ষা নেওয়া হয়। শেষ ৬ বছর হয়নি কোনও পরীক্ষা। কমিশনে একাধিক চিঠি দিয়েও মেলেনি কোনও আশ্বাস। এতদিন আন্দোলনের অনুমতি দিচ্ছিল না পুলিশ। সে কারণেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন চাকরি প্রার্থীরা।

    আরও পড়ুন: এক মিনিটেই সনাক্ত হবে টিবি, পোর্টেবল এক্সরে ডিভাইস বাজারে আনছে ভারতীয় সংস্থা        

    মঙ্গলবার বিচারপতি মান্থা আন্দোলনের অনুমতি দিয়েছেন। আগামী সপ্তাহ থেকেই আন্দোলন করতে পারবেন চাকরিপ্রার্থীরা (SSC Recruitment)। এর আগেও হয়েছে বহু আন্দোলন। সুরাহা হয়নি কিছুই।  

    গত দুবছর ধরে চলছে আন্দোলন। প্রেস ক্লাব, বিকাশ ভবন, গান্ধীমূর্তির পাদদেশ। আন্দোলন হয়েছে সর্বত্র। লাভ হয়নি কিছুই। সম্প্রতি সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠি লিখেছেন আন্দোলনকারীরা। নিজেদের জীবন-যন্ত্রণার কথা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দিতে চান তাঁরা। তাঁদের একটাই অনুরোধ, মুখ্যমন্ত্রী যেন তাঁদের দ্রুত স্কুলে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।

    মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল 

    এদিকে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে দিয়ে মিছিল করলেন চাকরিপ্রার্থীরা। মাঝ রাস্তায় মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর পাঁচ বছর ধরে তাঁরা বসে রয়েছেন। কিন্তু নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। আন্দোলনকারীদের হাতের ব্যানারে লেখা দেখা যায়, ‘কন্যাশ্রীকে রাত জেগে বিশ্বসেরা করল যারা, তারাই আজ বঞ্চিত’।

    স্কিল ইন্ডিয়ার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কম্পিউটার শিক্ষকদের মিছিল এগোতে থাকে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে। মাঝ রাস্তায় তা আটকে দেয় পুলিশ। তারপরেই রাস্তায় বসে পড়ে স্লোগান দিতে শুরু করেন স্কিল ইন্ডিয়ার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কম্পিউটার শিক্ষকরা। বেশ খানিকক্ষণ এসব চলার পর সরিয়ে দেয় পুলিশ।  স্কিল ইন্ডিয়ার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কম্পিউটার শিক্ষকরা অনেক দিন ধরেই নিয়োগের দাবি করছেন। এবার পথে নেমেছেন তাঁরাও। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Calcutta High Court: স্কুলে অবিলম্বে শরীরচর্চা ও এনসিসি চালু করতে হবে, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: স্কুলে অবিলম্বে শরীরচর্চা ও এনসিসি চালু করতে হবে, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলে যোগব্যায়াম, শরীরচর্চা এবং এনসিসির মত গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনিং অবিলম্বে চালু করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। নির্দিষ্ট একটি স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং পরিচালন কমিটির বিরুদ্ধে পড়ুয়াদের ট্রেনিং থেকে বঞ্চিত করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এইসব গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনিং থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষ ছাত্র-ছাত্রীদের কখনই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বঞ্চিত করতে পারে না, এমনটাই পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের। এই সংক্রান্ত এক মামলার শুনানিতে এমনটাই জানিয়েছেন, বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়। আজ আদালতের তরফে এই সমস্ত ট্রেনিং চালু করার নির্দেশ দেওয়া হল।

    কী ঘটেছিল?

    হুগলির ভদ্রেশ্বরের তেলেনিপাড়া হাইস্কুলে ২০০৮ সাল থেকে এনসিসির ট্রেনিং ভালোভাবেই চলছিল। কিন্তু ২০১১ সালের সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর থেকে এই ট্রেনিংগুলো কেমন যেন উধাও হয়ে যায়। কেন্দ্রের সরকার পরিবর্তন হয়। এরপর মোদি সরকার ক্ষমতায় আসে৷ কেন্দ্র সরকার যোগব্যায়াম, শারীরশিক্ষা, স্বাস্থ্য সচেতনতার উপরও জোর দেওয়া বাধ্যতামূলক করেছিল। এই মর্মে সমস্ত রাজ্যগুলিতে নির্দেশিকা পাঠায় কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। পশ্চিমবঙ্গেও সেই নির্দেশিকা কেন্দ্রের তরফে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রের ওই নির্দেশিকা রাজ্যের বেশ কিছু স্কুল বিরোধিতা করে এনসিসির ট্রেনিং দেওয়ার ক্ষেত্রে অনীহা প্রকাশ করে। যার মধ্যে অন্যতম তেলেনিপাড়া ভদ্রেশ্বর হাইস্কুল রয়েছে। অভিযোগ, স্কুল পরিচালন কমিটি জানিয়ে দেয়, স্কুলে কোনও এনসিসি হবে না।

    হাইকোর্টে মামলা এনসিসি শিক্ষকের

    এরপর স্কুলের এনসিসির শিক্ষক দিব্যেন্দু বিশ্বাস আবেদন করেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং ডিআইকে। তাতেও টনক নড়েনি স্কুল কর্তৃপক্ষের। পরে সমস্ত অভিভাবকরা এবং এনসিসির শিক্ষক স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং হুগলির বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। পরে সেই অভিযোগ পেয়ে ডিআইকে নির্দেশ দিলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ এনসিসির প্রোগ্রাম চালু করতে দেয়নি বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের সুস্বাস্থ্যের কথা ভেবে এনসিসির শিক্ষক দিব্যেন্দু বিশ্বাস কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।

    এরপরেই বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের এজলাসে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। মামলাকারী পক্ষের আইনজীবী আশিস চৌধুরী আদালতে জানান, স্কুল কর্তৃপক্ষ এভাবে এনসিসি ট্রেনিং বন্ধ করে দিয়ে পড়ুয়াদের প্রতি অবিচার করছে। তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।

    এই নিয়ে বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায় স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতিকে কলকাতা হাইকোর্টে তলবও করেন। কিন্তু হাইকোর্টের সেই নির্দেশ পালন করেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং তারা আদালতেও হাজিরা দেননি। এরপরেই ক্ষুব্ধ বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, হুগলির বিদ্যালয় পরিদর্শকের নির্দেশ মেনে অবিলম্বে কর্তৃপক্ষকে এনসিসি চালু করতে হবে ওই স্কুলে।

  • Calcutta High Court: রাজ্যের সব সংশোধনাগারে জ্যামার ও ফুল বডি স্ক্যানার বসানোর নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: রাজ্যের সব সংশোধনাগারে জ্যামার ও ফুল বডি স্ক্যানার বসানোর নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোবাইলের সাহায্যে জেলে বসেই জেলা কন্ট্রোল করছেন কেষ্ট, এমন অভিযোগ নিয়ে যখন রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়, ঠিক তখনই অন্য একটি মামলার শুনানিতে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। জেলে বন্দিদের মোবাইল ব্যাবহার রুখতে রাজ্যের সব সংশোধনাগারে জ্যামার ও ফুল বডি স্ক্যানার বসানোর নির্দেশ দিল আদালত (Kolkata High Court)। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এই নির্দেশ কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে। সোমবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ (Divison Bench) এই নির্দেশ দিয়েছে।

    আদালতের নির্দেশ

    বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, বন্দিদের কোর্ট থেকে ফিরিয়ে আনার পর আগে তাদের গোটা দেহ ওই মেশিনে তল্লাশি করতে হবে। মোবাইল সহ কোনো ইলেকট্রনিক গ্যাজেট যাতে জেলের ভিতরে ঢুকতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে জেল দফতরকে। হাইকোর্টকে (Kolkata High Court) বিভ্রান্তিকর রিপোর্ট দেওয়ার জন্য কারা দফতরের একাধিক অফিসারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত। তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের লিখিত নির্দেশ দিলেও পরে রাজ্যের অনুরোধে তা প্রত্যাহার করে আদালত।

    মাদক মামলা চলাকালীন নির্দেশ

    ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে জলঙ্গি থেকে  তাজবুল শেখ ও সুকুর মণ্ডল নামের দুই যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। মাদক মামলায় অভিযুক্ত ওই দুই যুবকের জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই রাজ্যের সমস্ত সংশোধনাগারে নজরদারি কড়াকড়ি করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আদালতে শুনানি চলাকালীন সরকারি আইনজীবী রুদ্রদ্বিপ্ত নন্দী বলেন, তাজবুল ও সুকুর মাদক ব্যবসায় পারদর্শী। সংশোধনাগার (Jail) থেকে গোপনে ফোনের মাধ্যমে ওরা ব্যবসা চালায়। মাদক ব্যবসায় এক অভিযুক্তের সঙ্গেও দুই যুবকের যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে। বিচারপতি বাগচী এই তথ্য শুনে  হতবাক হয়ে পড়েন। এরপরই তিনি রাজ্যের সমস্ত সংশোধনাগারে চার সপ্তাহের মধ্যে জ্যামার ও ফুল বডি ইলেকট্রনিক্স স্ক্যানার (Full Body Electronic Scanner) বসানোর নির্দেশ দেন।

    আরও পড়ুন: ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাত রাজ্যপাল আনন্দ বোসের! কী কথা হল প্রাক্তন ও বর্তমানের মধ্যে?

    নির্দেশ প্রসঙ্গে

    প্রসঙ্গত, রাজ্যে সাম্প্রতিককালে একাধিক হেভিওয়েট নেতা জেলবন্দি রয়েছেন। অনুব্রত মণ্ডল প্রসঙ্গে সম্প্রতি বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন কাজল শেখ। তাঁর দাবি ছিল, জেলে বসেই জেলা কন্ট্রোল করছেন অনুব্রত। এমনই এক পরিস্থিতিতে কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে আইনজীবী মহল। হাইকোর্টের এই নির্দেশ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলছেন, ‘নিরাপত্তার দৃষ্টিভঙ্গিতে এটা ভীষণভাবে দরকার। জেলের সাধারণ কয়েদিদের পরিবার যখন দেখা করতে যান, তখন তাঁদের একটু হয়ত হয়রানি হবে। কিন্তু জেলটাকে তো তামাশা হিসেবে নেওয়া যায় না। রাজ্য সরকার এটিকে তামাশা বানিয়ে দিয়েছে।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির জের, চাকরি হারাচ্ছেন নবম-দশম শ্রেণির ৬১৮ জন শিক্ষক! বিজ্ঞপ্তি জারি এসএসসি-র

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির জের, চাকরি হারাচ্ছেন নবম-দশম শ্রেণির ৬১৮ জন শিক্ষক! বিজ্ঞপ্তি জারি এসএসসি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওএমআর শিট এবং সার্ভারে দেদার নম্বরের ফারাক রয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি খোয়াতে চলেছেন নবম-দশম শ্রেণির ৬১৮ জন শিক্ষক। সোমবার ওই ৬১৮ জনের নাম প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করে তাঁদের সুপারিশপত্র বাতিল করার কথা ঘোষণা করে এসএসসি।

    এসএসসির বিজ্ঞপ্তি

    দিন দু’য়েক আগেই স্কুল সার্ভিস কমিশন ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর সুপারিশ বাতিল করে দিয়েছিল। গ্রুপ ডি-র পর এবার চাকরি বাতিল নবম-দশমের।  নবম এবং দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির কথা এর আগে স্বীকার করে নিয়েছিল এসএসসি। এসএসসির সভাপতি সিদ্ধার্থ মজুমদার জানিয়েছিলেন, নির্দিষ্ট আইন মেনে ২০১৬ সালের নবম-দশমের নিযুক্ত শিক্ষকদের তালিকা থেকে ‘অযোগ্য’ ৮০৫ জনেরও বেশি শিক্ষকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে পর্যায়ক্রমে। সেই মতো প্রথম ধাপে ৬১৮ জনের চাকরি বাতিল হওয়ার পথে। পর্যায়ক্রমে আরও অযোগ্য প্র্রার্থীর নাম প্রকাশ করা হবে।

    আরও পড়ুন: জটে জমি আটকে রেল-৬: একযুগ অতিক্রান্ত! বিশ বাঁও জলে হাসনাবাদ-হিঙ্গলগঞ্জ রেলপ্রকল্প

    উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে কমিশন কমিশনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নবম- দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। হাইকোর্টের নির্দেশের পর ২০১৮ সালে মেধা তালিকা প্রকাশ করে চাকরির সুপারিশপত্র দেয় কমিশন। অভিযোগ, চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের মধ্যে অনেকেই যোগ্য ছিলেন না। প্রসঙ্গত, সিবিআই দাবি করেছিল, ওএমআর শিটে ব্যাপক কারচুপি করা হয়েছে। কম নম্বর পাওয়া পরীক্ষার্থীদের পাশ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওএমআর শিটে কেউ পেয়েছেন ৪, কেউ পেয়েছেন ২৬, অথচ তাঁদের সকলকে ৫৩ নম্বর দিয়ে পাশ করানো হয়েছে।ওএমআর শিটে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে এসএসসির পরীক্ষায় বসা ৯৫২ জন চাকরিপ্রার্থীর বিরুদ্ধে। 

    সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল

    কমিশন নিয়োগ দুর্নীতির কথা স্বীকার করার পরেই হাই কোর্ট নির্দেশ দেয়, এসএসসি নিজ ক্ষমতা প্রয়োগ করে ওই ৮০৫ জনের চাকরি বাতিল করুক। এই প্রক্রিয়া ৭ দিনের মধ্যে শুরু করার নির্দেশও দেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল ৮০৫ জন শিক্ষক। কিন্তু এদিন সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘পার্থ’-কে টাকা দিয়েও মেলেনি চাকরি! আত্মহত্যা যুবকের, সিবিআই-নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ‘পার্থ’-কে টাকা দিয়েও মেলেনি চাকরি! আত্মহত্যা যুবকের, সিবিআই-নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রুপ ডি চাকরির জন্য টাকা দিয়েও মেলেনি নিয়োগপত্র। ফলে বাধ্য হয়ে আত্মহত্যারই পথ বেছে নিয়েছিলেন লালগোলার বাসিন্দা আবদুল রহমান। তাঁর মৃত্যুর পরই উদ্ধার করা হয়েছিল একটি সুইসাইড নোট। যেখানে লেখা ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ আরও কয়েকজনের নাম। সেই মামলায় এবারে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। প্রথমে এই ঘটনার তদন্তে নেমেছিল লালগোলা থানার পুলিশ। তাঁরা একটি চার্জশিট পেশ করলে সেখানে দেখা যায়, তাঁরা মৃতের বিরুদ্ধেই চার্জশিট পেশ করেছে। এর পরই পুলিশি তদন্তে অনাস্থা প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি করে মৃতের পরিবার। আর আজ সেই দাবি মেনে মামলার তদন্তভার দেওয়া হল সিবিআইকে।

    সুইসাইড নোটে পার্থর নাম!

    ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। জানা যায়, গ্রুপ ডি পদে চাকরির জন্য ছয় লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন আব্দুল রহমান। কিন্তু, ঘুষের টাকা দিয়েও চাকরি না মেলায় অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। অবশেষে বছর ২৫-এর এই যুবক আত্মঘাতী হন। তাঁর ঘর থেকে উদ্ধার হয় একটি সুইসাইড নোটও। যেখানে জনৈক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এই ঘুষের টাকা তোলার কথা লিখে যান আবদুল। সেই নোট-এ পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ কারা কারা এই নিয়োগের ক্ষেত্রে অর্থ নিয়েছিলেন, তাও উল্লেখ ছিল।

    আরও পড়ুন: মনজিৎ সিং গ্রেওয়ালের তৃণমূল যোগ নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু, কী লিখলেন ট্যুইটে?

    আবদুলের মৃত্যুর তদন্তে চার্জশিটে রয়েছে মৃতেরই নাম!

    এরপর ঘটনার তদন্ত শুরু করে লালগোলা থানার পুলিশ। প্রথমে তদন্তে নেমে অভিযুক্ত দিবাকর কনুইকে গ্রেফতার করা হয়। সে কান্দির বাসিন্দা হলেও কলকাতা থেকে মিডলম্যান হিসেবে ভূমিকা পালন করছিল বলে তদন্তে উঠে আসে। এরপর আব্দুল রহমানের মৃত্যুর তদন্তে চার্জশিট পেশ করে লালগোলা থানার পুলিশ। তবে আশ্চর্যজনক ভাবে ওই চার্জশিটে নাম রয়েছে মৃত আব্দুলেরই। এর পর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় পরিবার। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে ওঠে মামলাটি। চার্জশিট ও অন্যান্য নথি খতিয়ে দেখে এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি মান্থা।

    এদিন এই মামলায় আবেদনকারীদের আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায় কে, খোঁজার বদলে আত্মঘাতী ব্যক্তির বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে পুলিশ। পুলিশের এই কাজের নিন্দার ভাষা নেই। চোরেদের আড়াল করতে বুক চিতিয়ে নেমে পড়েছে গোটা প্রশাসন। আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব।”

  • SSC Scam: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ! ডিভিশন বেঞ্চে চাকরি হারানো গ্রুপ ডি কর্মীরা

    SSC Scam: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ! ডিভিশন বেঞ্চে চাকরি হারানো গ্রুপ ডি কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন এসএসসি গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতিতে চাকরি থেকে বহিষ্কৃতরা। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন তাঁরা। মামলাটির শুনানি হবে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের এজলাসে। যাঁরা আবেদন করেছেন, তাঁদের হয়ে আদালতে সওয়াল করছেন আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ, অনিন্দ্য লাহিড়ী এবং পার্থ দেববর্মণ। অন্যদিকে বিচারপতি বসুর রায়কেও চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে গেলেন চাকরি খোয়ানো নবম-দশমের শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

    ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ

    শুক্রবারই বেআইনি নিয়োগের অভিযোগে এসএসসি নিযুক্ত ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিল করেছিল হাইকোর্ট। ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল হাইকোর্টের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। সেই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে ডিভিশন বেঞ্চে।

    আরও পড়ুন: বিদায় নিচ্ছে শীত! আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় বাড়ছে ভয়ঙ্কর ব্যাকটেরিয়ার দাপট

    এদের প্রত্যেকের ওএমআর শিটে কারচুপি করা হয়েছিল বলে স্বীকার করে নিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। বহিষ্কৃতদের মধ্যে রয়েছেন বহু তৃণমূল নেতা, তাদের আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠরা। আদালতে কমিশন স্বীকারও করেছে ২৮১৯ জনের ওএমআর শিটে কারচুপি করা হয়েছে। তার মধ্যে নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন ১৯১১ জন। ফলে এই ১৯১১জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সেদিন বলেছিলেন, “অবিলম্বে ১৯১১ জন গ্ৰুপ ডি কর্মীর সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করতে হবে। আমার বিশ্বাস, বেআইনি ভাবে, দুর্নীতি করে এই সব প্রার্থীদের সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল।” তাঁরা অন্য কোনও চাকরির পরীক্ষায় আর বসতে পারবেন না, সে বিষয়েও জানিয়ে দিয়েছিলেন বিচারপতি। আর এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই আজ ডিভিশন বেঞ্চের দারস্থ হন চাকরি খোয়া কর্মীরা।

    বিচারপতি বসুর রায়কে চ্যালেঞ্জ নবম এবং দশমের চাকরি যাওয়া শিক্ষকদের

    উত্তরপত্র বিকৃত করে ৯৫২ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এই ৯৫২ জনের মধ্যে ৮০৫ জনের ওএমআর শিট বিকৃত করা হয়েছে বলে স্বীকার করে নেয় স্কুল সার্ভিস কমিশন। এরপরেই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু কমিশনকে নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে এই ৮০৫ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর পরেই সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে যান ওই চাকরি খোয়া শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এই দুই মামলাতেই ডিভিশন বেঞ্চ কী রায় দেয় সেদিকেই নজর রাজ্যবাসীর।

LinkedIn
Share