Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Jhalda: আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আগামী জুন অবধি ঝালদা পুরসভার দায়িত্বে শীলা, অস্বস্তিতে তৃণমূল

    Jhalda: আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আগামী জুন অবধি ঝালদা পুরসভার দায়িত্বে শীলা, অস্বস্তিতে তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝালদা পুরসভা (Jhalda) মামলায় নয়া মোড়। শীলা চট্টোপাধ্যায় এবং পূর্ণিমা কান্দুর নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশের সময়সীমা বাড়ালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বিচারপতির নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত নিজ নিজ পদে বহাল থাকবেন তাঁরা। আর সেদিনই হবে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। তার আগে দুই পক্ষকে হলফনামা পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে সিঙ্গল বেঞ্চ।    

    ঝালদা পুরসভার (Jhalda) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে অসাংবিধনিকভাবে সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শীলা চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে সঙ্গ মৃত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। মামলাটি ওঠে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার সিঙ্গল বেঞ্চে। সেই বেঞ্চ যা রায় দিয়েছিল তার বিরোধিতায় আবার ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। কিন্তু বৃহস্পতিবার ওই মামলার শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখল। ডিভিশন বেঞ্চের স্পষ্ট নির্দেশ, আপাতত দায়িত্ব সামলাবেন শীলা চট্টোপাধ্যায়ই।

    আরও পড়ুন: বীরভূমে জাল স্লিপ দিয়ে তোলা হচ্ছে কোটি কোটি টাকা, সিবিআই তদন্তের দাবি          

    কী ঘটেছে? 

    ঝালদা পুরসভার (Jhalda) নির্বাচনে কংগ্রেস জেতার পরে শীলা চট্টোপাধ্যায়কে চেয়ারপার্সন করলে, তৃণমূল তা নিয়ে আপত্তি তোলে। সেই আপত্তির ভিত্তিতে পুরুলিয়ার মহকুমাশাসক রীতম ঝাঁ নির্দেশিকা জারি করে তৃণমূল কাউন্সিলর সুদীপ কর্মকারকে চেয়ারম্যান নিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু সেই নির্দেশকে যে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন শীলা চট্টোপাধ্যায়। তাতে আদালত তৃণমূলের সুদীপকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছে। সেইসঙ্গে পরবর্তী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল কংগ্রেস কাউন্সিলর তথা নিহত কংগ্রেস নেতা তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দুকে।   

    এরপর কাউন্সিলর পদ (Jhalda) থেকে তাঁকে অপসারণের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শীলা চট্টোপাধ্যায়। সেই মামলা গ্রহণ করে দ্রুত শুনানির ব্যবস্থা করে আদালত। মামলার শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দেন, ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পূর্ণিমা কান্দু ঝালদা পুরসভার চেয়ারপার্সনের পদ সামলাবেন। সঙ্গে শীলা চট্টোপাধ্যায়ের কাউন্সিলর পদ খারিজের নির্দেশেও স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। এবার শীলার চেয়ারপার্সন পদের সময়সীমা বাড়ানো হল জুন অবধি।

    আরও পড়ুন: বীরভূমে জাল স্লিপ দিয়ে তোলা হচ্ছে কোটি কোটি টাকা, সিবিআই তদন্তের দাবি          

    গত ১৬ জানুয়ারি ১২টি আসন বিশিষ্ট ঝালদা (Jhalda) পুরসভার নির্বাচন হয়। ৬ জন কংগ্রেস কাউন্সিলর এবং ১ জন নির্দল কাউন্সিলের ভোট আসে কংগ্রেসের ঝুলিতে। ৫ তৃণমূল কাউন্সিলর ভোটদান থেকে বিরত থাকেন। শীলা চট্টোপাধ্যায় নির্দল কাউন্সিলর হিসাবে কংগ্রেসকে সমর্থন করেন। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায় চেয়ারপার্সন হিসেবে নির্বাচিত হন। তার পরদিনই এক নির্দেশিকায় মহকুমাশাসক শীলাদেবীর কাউন্সিলর পদ খারিজ করেন। প্রশাসনের যুক্তি, নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে জয়যুক্ত হলেও পরে নিজেকে নির্দল ঘোষণা করেছেন তিনি। যা দলত্যাগবিরোধী আইন বিরোধী। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

         

  • Birbhum: বীরভূমে জাল স্লিপ দিয়ে তোলা হচ্ছে কোটি কোটি টাকা, সিবিআই তদন্তের দাবি

    Birbhum: বীরভূমে জাল স্লিপ দিয়ে তোলা হচ্ছে কোটি কোটি টাকা, সিবিআই তদন্তের দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কার্বন স্লিপের মাধ্যমে পাথর বোঝাই লরির চালকদের কাছ থেকে ফি দিন আদায় হয় কাঁচা টাকা। সম্পূর্ণ ক্যাশে আদায় হয় অর্থ। সরকারিভাবে স্লিপ দেওয়া হলেও, আদায় করা অর্থ জমা পড়ে না সরকারের ঘরে। কারণ স্লিপটি নকল। বীরভূমে (Birbhum) প্রতিদিন এভাবে প্রায় ৩ কোটি টাকা তোলাবাজি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন রামপুরহাট পুরসভার কাউন্সিলর, সঞ্জীব মল্লিক।

    ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সরকার…

    ওই মামলায় আদালত মনে করছে, এতে একদিকে যেমন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সরকার, তেমনি অযথা দাম বেড়ে যাচ্ছে পাথরের। বৃহস্পতিবার সরকারের তরফে কোনও প্রতিনিধি শুনানিতে উপস্থিত না থাকায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, অবিলম্বে এই বিষয়ে আবেদনকারীকে রাজ্যের এডভোকেট জেনারেলকে নোটিশ দিয়ে জানাতে হবে। রাজ্য সরকারকে মামলায় যুক্ত করতে হবে। রাজ্যের লিগ্যাল রিমাম্ব্রান্সরকেও যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে সোমবার।

    ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের (Birbhum) কাউন্সিলরের আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, মুরারই, রামপুরহাট, মহম্মদবাজার, নলহাটি সহ বীরভূম জেলার ছটি জায়গা থেকে কার্বন স্লিপের মাধ্যমে পাথর বোঝাই লরির ড্রাইভারদের কাছ থেকে কাঁচা টাকা আদায় করা হয়। সরকারিভাবে ওই স্লিপ দেওয়া হলেও, আদায় করা টাকা জমা পড়ে না সরকারের ঘরে। কারণ স্লিপটি জাল। জাল ওই স্লিপটিও এদিন আদালতে পেশ করেন মামলাকারীর আইনজীবী।

    আরও পড়ুুন: চাকরি বাতিল ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর, ফেরত দিতে হবে বেতনও

    বীরভূমে এই অর্থ আদায় নিয়ে একাধিকবার সংঘর্ষ হয়েছে দুই গোষ্ঠীর। অন্তত আবেদনকারীর দাবি এমনই। তাঁর মতে, বগটুইয়ে ভাদু শেখের খুনের নেপথ্যেও রয়েছে এই পাথর খাদানের তোলা বাঁটোয়ারার বিষয়টি। বগটুইকাণ্ডের পর কিছু দিন বন্ধ থাকলেও, ফের সেই তোলাবাজি শুরু হয়েছে। আবেদনকারীর অভিযোগ, প্রতিদিন প্রায় তিন কোটি টাকা নগদে আদায় হলেও, রাজ্যের কোষাগারে জমা পড়ছে না। চলছে বেআইনি লেনদেন। তৃণমূলের বীরভূম (Birbhum) জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের লোকজনই একাজ করছে বলে অভিযোগ। বিচারপতি মান্থা বলেন, এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের বক্তব্য শোনা বিশেষ জরুরি। তাই ফের সব পক্ষকে নোটিশ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় আবেদনকারীকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • SSC Scam: চাকরি বাতিল ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর, ফেরত দিতে হবে বেতনও

    SSC Scam: চাকরি বাতিল ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর, ফেরত দিতে হবে বেতনও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯১১ জন গ্রুপ ডি (Group D) কর্মীর চাকরি বাতিল (SSC Scam)! তাঁদের বেতনও বন্ধ হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, বেতন বাবদ এতদিন যে টাকা তাঁরা নিয়েছেন, সেটাও ফেরত দিতে হবে তাঁদের। ধাপে ধাপে সেই টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি সিবিআই (CBI) তাঁদের জেরাও করবে। প্রয়োজনে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই। শুক্রবার এসএসসিকে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, অবিলম্বে ১ হাজার ৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করতে হবে। বিচারপতি বলেন, আমার বিশ্বাস বেআইনিভাবে দুর্নীতি করে এই সব প্রার্থীদের সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল। এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের সঙ্গে সঙ্গেই ওয়েব সাইটে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ওই কর্মীদের সুপারিশ প্রত্যাহার করে নিল এসএসসি। এবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে ওই প্রার্থীদের আইন মেনে অবিলম্বে চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    এসএসসি…

    কলকাতা হাইকোর্টে বৃহস্পতিবারই এসএসসির (SSC Scam) আইনজীবী দাবি করেছিলেন, গ্রুপ ডি নিয়োগের ক্ষেত্রে ২ হাজার ৮১৯ জনের ওএমআর শিটে কারচুপি করা হয়েছে। তিনি এও জানিয়েছিলেন, তাঁদের তরফে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে কারচুপি যে হয়েছে, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। ওই ২ হাজার ৮১৯ জনের মধ্যে নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন ১ হাজার ৯১১ জন। শুক্রবার তাঁদেরই চাকরি বাতিলের সুপারিশ করল আদালত। এসএসসির আইনজীবীকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আপনারাই যখন বলছেন ২ হাজার ৮১৯ জনের ওএমআর শিটে কারচুপির বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই, তা হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ আপনাদেরই করতে হবে।

    আরও পড়ুুন: ‘ইডি একেবারে মমতার পরিবারের কাছে পৌঁছে গিয়েছে’, সুকান্ত কেন বললেন জানেন?

    প্রথমে আলাদাভাবে এই প্রার্থীদের নাম কমিশনের সাইটে আবারও প্রকাশ করুন। তার পর তাঁদের নিয়োগ বাতিল করুন। এজন্য কমিশনকে ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়েছিলেন বিচারপতি। দেশের কোনও সরকারি চাকরিতে এঁরা বসতে পারবেন না বলেও জানায় আদালত। আদালত এও জানায়, এঁদের সরকারি চাকরির পরীক্ষায় বসতে হলে তাঁদের আদালতের অনুমতি নিতে হবে। নিজেদের প্রমাণ করতে হবে নির্দোষ। ২০২১ সালে এসএসসি (SSC Scam) গ্রুপ ডি-রই ৬০৭ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁদের বেতন বন্ধের নির্দেশও দিয়েছিল আদালত।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Calcutta High Court: কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে শিবজ্ঞানমের নাম সুপারিশ কলেজিয়ামের

    Calcutta High Court: কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে শিবজ্ঞানমের নাম সুপারিশ কলেজিয়ামের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  নয়া প্রধান বিচারপতি (Chief Justice) পেতে চলেছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কেন্দ্রের কাছে ওই পদে বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের নাম সুপারিশ করল সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) কলেজিয়াম। শুধু তাই নয়, এলাহাবাদ হাইকোর্ট, ছত্তিশগড় হাইকোর্ট, গুজরাট হাইকোর্ট এবং মণিপুর হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিদের নামও সুপারিশ করেছে ওই কলেজিয়াম। ৩০ মার্চ কলকাতা হাইকোর্টের বর্তমান প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের মেয়াদ শেষ হবে। তার প্রায় মাস দেড়েক আগেই প্রধান বিচারপতির নাম সুপারিশ করল দেশের শীর্ষ আদালতের কলেজিয়াম। বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সহ তিন বিচারপতির কলেজিয়াম কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে বিচারপতি শিবজ্ঞানমের নাম সুপারিশ করেছে। ওই কলেজিয়ামে রয়েছেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি এসকে কল এবং বিচারপতি কেএম জোসেফ।

    কলেজিয়ামের সুপারিশ…

    জানা গিয়েছে, কলেজিয়াম এলাহাবাদ হাইকোর্টের জন্য সুপারিশ করেছে বিচারপতি প্রীতিঙ্কর দিবাকরের নাম। ছত্তিশগড়ের জন্য ওই পদে সুপারিশ করা হয়েছে বিচারপতি রমেশন সিংহের নাম। গুজরাট হাইকোর্টের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে সোনিয়া জি গোকানির নাম। আর মণিপুর হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে সুপারিশ করা হয়েছে বিচারপতি ধীরজ সিং ঠাকুরের নাম। প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব অফিস ছাড়বেন ৩০ মার্চ। তাঁরই স্থলাভিষিক্ত হতে চলেছেন বর্ষীয়ান বিচারপতি শিবজ্ঞানম।

    আরও পড়ুুন: ‘ইডি একেবারে মমতার পরিবারের কাছে পৌঁছে গিয়েছে’, সুকান্ত কেন বললেন জানেন?

    বিচারপতি শিবজ্ঞানমের জন্ম তামিলনাড়ুতে। ১৯৮৬ সালে আইনজীবী হিসেবে পেশা শুরু করেন। দীর্ঘ ২৩ বছর ওই পেশায় থাকার পর ২০০৯ সালে তিনি মাদ্রাজ হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। ২০১১ সালে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। সেখানে ১২ বছর থাকার পর তাঁকে কলকাতা হাইকোর্ট স্থানান্তরিত করে দেশের শীর্ষ আদালত। ২০২১ সালে তিনি প্রধান বিচারপতির পরেই হাইকোর্টে দ্বিতীয় সিনিয়র বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। বিচারপতি হিসেবে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ ২০২৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি পদে নিযুক্ত হতে চলেছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • SSC Scam: এসএসসি গ্রুপ ‘ডি’ মামলায় ফের ২৮১৯ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ হাইকোর্টের

    SSC Scam: এসএসসি গ্রুপ ‘ডি’ মামলায় ফের ২৮১৯ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবারে এসএসসির গ্রুপ ডির কর্মী নিয়োগের মামলায় চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিল আদালত। গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অবৈধভাবে চাকরি পাওয়া ২৮১৯ জনকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে ওএমআর শিটে কারচুপির অভিযোগ নিয়ে নিশ্চিত হওয়ার কথা জানায় কমিশন। এরপরেই নির্দেশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, শুক্রবারের মধ্যে এদের নাম, বাবার নাম ও বাড়ির ঠিকানাসহ তালিকা প্রকাশ করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে।

    ওএমআর শিটে কারচুপি!

    এসএসসি গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কমিশন আদালতকে জানায় ৬,৮৯৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ২৮১৯ জনেরই নিয়োগে গরমিল রয়েছে। গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে ওএমআর উত্তরপত্রে কারচুপির অভিযোগ ছিল। তাতে কমিশনের তরফে আইনজীবী আজ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে জানান, ২৮১৯ জনের ওএমআর শিটে কারচুপি হয়েছিল, সে বিষয়ে নিশ্চিত কমিশন।

    আরও পড়ুন: কোভিডকালে নির্মাণ-শিল্পে উল্কাবেগে উত্থান শিকারিয়ার! কীভাবে সম্ভব? খোঁজ করছে ইডি

    বিচারপতির প্রশ্নের মুখে কমিশন

    ওএমআর শিটে কারচুপি হয়েছে জেনেও কেন কমিশন পদক্ষেপ নেয়নি, সেই নিয়ে প্রশ্ন করেছেন বিচারপতি গাঙ্গুলি। তিনি বলেন, “আপনারাই যখন বলছেন ২৮১৯ জনের ওএমআর শিট কারচুপির বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই, তা হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ আপনাদের করতে হবে। আলাদাভাবে এই প্রার্থীদের নাম কমিশনের সাইটে আবারও প্রকাশ করুন। তারপর তাঁদের নিয়োগ বাতিল ঘোষণা করুন।” অযোগ্যদের নাম, বাবার নাম ও ঠিকানাসহ তালিকা ওয়েবসাইটে আপলোড করে ও চাকবি বাতিল করার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ার জন্য বিচারপতি এবারে ২৪ ঘণ্টাও বেঁধে দিলেন। আগামীকালের মধ্যেই তাঁদের বরখাস্ত করতে হবে বলে জানা গিয়েছে।

    বিচারপতি আরও বলেছেন, শুক্রবার আদালতে কমিশন হলফনামা জমা দেওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যে ২৮১৯ জনের নাম আপলোড করার এবং সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেওয়া হবে। তার ৫ মিনিটের মধ্যে তাঁদের নিয়োগপত্র প্রত্যাহার করবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ফলে বিচারপতির এমন নির্দেশে গ্রুপ ডির যোগ্য প্রার্থীরা ফের আশার আলো দেখছেন। এর পর এটাই দেখার যে পরবর্তীতে এই মামলায় আর কী কী তথ্য বেরিয়ে আসে।  

  • Calcutta High Court: কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি! বিচারপতির নির্দেশে হাইকোর্টেই ইডির হাতে গ্রেফতার হাওড়ার দুই ব্যবসায়ী

    Calcutta High Court: কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি! বিচারপতির নির্দেশে হাইকোর্টেই ইডির হাতে গ্রেফতার হাওড়ার দুই ব্যবসায়ী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টে নজিরবিহীন ঘটনা। এজলাস থেকেই গ্রেফতার করা হল হাওড়ার দুই অভিযুক্ত ব্যবসায়ীকে। গত বছর অক্টোবর মাসে হাওড়ার দুই ব্যবসায়ীর ফ্ল্যাট, অফিস, গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল বিপুল পরিমাণ টাকা। সেই মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবার বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি ইডিকে নির্দেশ দেন, ওই দুই ব্যবসায়ী শৈলেশ পান্ডে এবং প্রসেনজিৎ দাসকে বৃহস্পতিবারই গ্রেফতার করতে হবে। হাওড়ার এই দুই ব্যবসায়ীকে জামিন দিয়েছিল নিম্ন আদালত। কিন্তু আজ তা হাইকোর্টে খারিজ হয়ে গেল। ইতিমধ্যেই ইডি গ্রেফতার করেছে ওই দুই ব্যবসায়ীকে। বিচারপতি আরও নির্দেশ দেন যে, এই দুই ব্যবসায়ীকে বেলা তিনটের মধ্যে নিম্ন আদালতে পেশ করতে হবে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    গত বছর অক্টোবর মাসে শৈলেশ কুমার পান্ডে, প্রসেনজিৎ দাস নামে হাওড়ার শিবপুরের ওই ব্যবসায়ীর গাড়ি ও ফ্ল্যাট মিলিয়ে উদ্ধার হয় ৮ কোটি নগদ টাকা। সেই সঙ্গে সোনা, হীরের গয়নাও উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশ। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের নরেন্দ্রপুর শাখার লেনদেন নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় ব্যাঙ্কের তরফে হেয়ার স্ট্রিট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপর ওই অ্যাকাউন্টের দুই হোল্ডারকে ডেকে পাঠায় পুলিশ। তাঁদের কথাবার্তায় অসঙ্গতি দেখেই শুরু হয় তদন্ত। এরপর কেঁচো খুড়তে কেউটের সন্ধান মেলে। ওই ব্যাঙ্কের নরেন্দ্রপুর শাখার দু’টি অ্যাকাউন্ট থেকে ৭৭ কোটি টাকার লেনদেনের হদিশ পায় পুলিশ।

    আরও পড়ুন: শিবপুরে টাকা উদ্ধার-কাণ্ডে তদন্ত শুরু করল ইডি! জানেন কী খুঁজছে তারা?

    এখানেই থেমে নেই, পরের তদন্তে আরও ১৭টি ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ মেলে। যার মধ্যে ছ’টি খতিয়ে দেখে প্রায় ৫৭ কোটি টাকা লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছিল কলকাতা পুলিশের আর্থিক দুর্নীতি দমন শাখা। লালবাজার সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ২০৭ কোটি টাকা লেনদেনের হদিশ মিলেছে। এর পর মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার মধ্যে ছিলেন পান্ডে ব্রাদার্স অর্থাৎ শৈলেশ পান্ডে, তাঁর দাদা অরবিন্দ পান্ডে ও ভাই রোহিত পান্ডে ও প্রসেনজিৎ দাস। তবে পরে তাঁদের জামিন হয়ে যায়। এর ফলেই ইডি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়।

    বিচারপতির নির্দেশ

    দীর্ঘ শুনানির পর আজ, বৃহস্পতিবার ওই মামলায় বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ অভিযুক্তদের আদালত থেকেই গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। সেই মত হাইকোর্ট থেকেই অভিযুক্ত দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে ইডি। আবার বিচারপতি বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টের মধ্যে অভিযুক্তদের নিম্ন আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘জোর করে নাবালিকার অন্তর্বাস খুলে দেওয়া ধর্ষণের সমতুল্য’, বলল কলকাতা হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: ‘জোর করে নাবালিকার অন্তর্বাস খুলে দেওয়া ধর্ষণের সমতুল্য’, বলল কলকাতা হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জোর করে এক নাবালিকার অন্তর্বাস খুলে (removing minor’s undergarment) তাকে শুয়ে থাকতে বাধ্য করা ধর্ষণের অপরাধের সমান। সম্প্রতি একটি মামলায় এমনই রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। মেডিক্যাল পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ না থাকলেও অন্যান্য সাক্ষ্য-প্রমাণ এবং অপরাধীর উদ্দেশ্য বিচার করেই এই রায় দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    কী ঘটেছিল

    মামলার বয়ান অনুযায়ী, ২০০৭ সালের মে মাসে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে এক নাবালিকা একটি খেলনার দোকানের কাছে দাঁড়িয়ে ছিল। তখন এক ব্যক্তি তার কাছে এসে তাকে আইসক্রিম দেয়। তারপর অভিযুক্ত আরও আইসক্রিমের প্রলোভন দিয়ে ওই নাবালিকাকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে অভিযুক্ত নাবালিকাকে তার প্যান্ট খুলে ফেলতে বললে সে সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তারপর অভিযুক্ত নাবালিকার পিছু ধাওয়া করে এবং তাকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে তার অন্তর্বাস খুলে দেয়। কিন্তু, মেয়েটি চিৎকার করতে শুরু করলে আশেপাশের লোকজন সেখানে চলে আসে এবং ওই ব্যক্তিকে ধরে ফেলে। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। যদিও ডাক্তারি পরীক্ষায় মেয়েটিকে নির্যাতনের কোনও প্রমাণ মেলেনি।

    আরও পড়ুুন: ফের বাংলাদেশে আক্রান্ত সংখ্যালঘু হিন্দুরা, ১৪টি মন্দিরে ভাঙচুর, কী বলছে প্রশাসন?

    নিম্ন আদালতের রায় বহাল

    সেই ঘটনায় অভিযুক্ত রবির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা রুজু হয়। ২০০৮ সালে বালুরঘাট জেলা ও দায়রা আদালত রবিকে দোষী সাব্যস্ত করে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৩ হাজার টাকা জরিমানারও নিদেশ দেন। জেলা ও দায়রা আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে পাল্টা মামলা দায়ের করে রবি রায়। নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষায় ধর্ষণের কোনও প্রমাণ মেলেনি। তার দাবি, কোনও অসৎ উদ্দেশ্যে নয়, বরং কিশোরীকে আদর করার জন্যই এমন কাজ করেছিল সে। সেই মামলাতেই অভিযুক্তের দাবি নস্যাৎ করে দিয়ে এমন যুগান্তকারী রায় দিয়েছেন কলকাতা উচ্চ আদালতের সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচারক জানিয়েছেন, অপরিচিত কোনও ব্যক্তি এমন কাজ করেছেন মানে তিনি নাবালিকাকে ধষর্ণের উদ্দেশ্যেই তা করেছিলেন, এ নিয়ে সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই। বিচারপতি জানিয়েছেন, শারীরিক পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ না পাওয়া গেলেও এই ঘটনা ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারা অনুযায়ী ধর্ষণের সমতুল্য অপরাধ। ফলে এই মামালয় নিম্ন আদালতের রায়ই বহাল রেখেছেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • TET Scam: অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়া নিয়োগ কীভাবে? প্রশ্ন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    TET Scam: অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়া নিয়োগ কীভাবে? প্রশ্ন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যাপটিটিউড টেস্ট (Aptitude Test) হয়নি বলে অভিযোগ। তার পরেও দিব্যি হয়েছে নিয়োগ (TET Scam)। এ সংক্রান্ত একটি মামলায়্ সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়া নিয়োগ কীভাবে?  ২০১৬ সালে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়াই হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এনিয়ে জানুয়ারি মাসে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কয়েকজন পরীক্ষার্থী। এদিন ছিল ওই মামলার শুনানি। এর আগে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদের কাছে হলফনামা তলব করেন।

    হলফনামা…

    এদিন সেই হলফনামা জমা দেয় পর্ষদ। তার পরেই বিচারপতির প্রশ্ন, অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়া কীভাবে নিয়োগ?  দেড়-দু মিনিট সময়ের মধ্যে কীভাবে এক সঙ্গে ইন্টারভিউ ও অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয়?  বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, পর্ষদের হলফনামায়ও অ্যাপটিটিউড টেস্টের সংজ্ঞা অনুযায়ী, ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও ইন্টারভিউ (TET Scam) নেওয়াই হয়নি। এদিন পর্ষদের তরফে ওই বছর প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ইন্টারভিউ নেওয়া শিক্ষকদের নামের তালিকা পেশ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: কেলেঙ্কারির পর্দা ফাঁস! নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগের জন্য নেওয়া হয়েছে ২০ লক্ষ টাকা!

    জানা গিয়েছে, ৫ হাজার ২১৬ প্রশিক্ষণহীনের চাকরি বেআইনিভাবে হয়েছে বলে অভিযোগ মামলাকারীদের। অ্যাকাডেমিক স্কোর কম, অথচ ইন্টারভিউ ও অ্যাপটিটিউড টেস্টে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি নম্বর দিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এদিকে, এদিন পর্ষদের তরফে ইন্টারভিউ (TET Scam) নেওয়া যে শিক্ষকদের নামের তালিকা হাইকোর্টে পেশ করা হয়েছে, সেই তালিকা থেকে প্রথম পর্যায়ে হাওড়া, হুগলি, উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহার ও মুর্শিদাবাদের শিক্ষকদের তলব করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ২১ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টোয় তাঁদের আদালতের হাজিরা দিতে হবে।

    সূত্রের খবর, ইন্টারভিউ ও অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া শিক্ষকদের কাছ থেকে নানা তথ্য জানতে চায় আদালত। শুধু তাই নয়, গোটা প্রশ্নোত্তর পর্বই হবে রুদ্ধদ্বার শুনানিতে। ধাপে ধাপে তলব করা হবে মামলাকারী চাকরিপ্রার্থীদেরও। দূরের জেলার ওই শিক্ষকদের রাহা খরচ বাবদ পর্ষদকে দিতে হবে দু হাজার করে টাকা। আর কাছের জেলার শিক্ষকদের দিতে হবে ৫০০ টাকা করে। এদিন পর্ষদকে এই নির্দেশও দিয়েছে হাইকোর্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Kanthi: স্বস্তি নেই নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত কাঁথির তৃণমূল ছাত্রনেতার, সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল ডিভিশন বেঞ্চে

    Kanthi: স্বস্তি নেই নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত কাঁথির তৃণমূল ছাত্রনেতার, সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল ডিভিশন বেঞ্চে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিঙ্গল বেঞ্চের পর এবারে ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা খেল নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত কাঁথির তৃণমূল ছাত্রনেতা শুভদীপ গিরি। নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ অভিযুক্তকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিল। সিঙ্গল বেঞ্চের এই রায়ের উপর হস্তক্ষেপে নারাজ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। তবে অভিযুক্ত শুভদীপ গিরি চাইলে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের দ্বারস্থ হতে পারেন, নির্দেশ দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

    ডিভিশন বেঞ্চে ধাক্কা তৃণমূল ছাত্রনেতার

    সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের উপর হস্তক্ষেপ করল না প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের রায়, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ অভিযুক্তকে আত্মসমর্পণের যে নির্দেশ দিয়েছিল, সেখানে তারা হস্তক্ষেপ করবে না। ফলে নাবালিকাকে ধর্ষণের মামলায় অস্বস্তিতে পড়লেন শুভদীপ গিরি।

    সিঙ্গল বেঞ্চে কী রায় দেওয়া হয়েছিল?

    জানুয়ারির শেষ দিকে হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছিলেন, আত্মসমর্পণ করলেও জামিন দেওয়া যাবে না অভিযুক্ত শুভদীপ গিরিকে। সঙ্গে নির্দেশ, তাঁকে গ্রেফতারির সব রকম চেষ্টা করতে হবে পুলিশকে। অভিযুক্তকে অবিলম্বে গ্রেফতারের চেষ্টা করতে হবে। তিনি যেন নিম্ন আদালতে জামিন না পান, তার চেষ্টা করতে হবে পুলিশকে। আর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্রনেতা। তার পরই আজ এই নির্দেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ।

    কী ঘটেছিল?

    নির্যাতিতার বাবা-মায়ের অভিযোগ, শুভদীপ তাঁদের মেয়েকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করেন। মোবাইলে একান্ত মুহূর্তের বেশ কিছু ছবিও তুলে রাখেন। কিন্তু পরে তাঁদের মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি হননি। মেয়েটি তাঁকে ওই সব একান্ত মুহূর্তের ছবি মোবাইল থেকে মুছে দিতে বলে। অভিযোগ, এর পর গত বছরের ১৪ অক্টোবর সেই ছবি মোছার অজুহাতে প্রাক্তন বান্ধবীকে দিঘার একটি হোটেলে ডাকেন তৃণমূল ছাত্রনেতা। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, সেখানেই তাঁদের কন্যাকে ধর্ষণ করেন শুভদীপ। এই ঘটনার পর ১ নভেম্বর তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

    চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি কাঁথি থানায় তৃণমূল ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেও কোনও পদক্ষেপ করেনি কাঁথি থানার পুলিশ। এরপর পুলিশি তদন্তে অসন্তুষ্ট ওই পরিবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এর পর গত ১৯ জানুয়ারি মামলা দায়ের হয়। আদালত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু তার পরও শুভদীপকে পুলিশ গ্রেফতার না করায় পুলিশের তদন্ত নিয়েই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন খোদ বিচারপতি মান্থা। এর আগে এক তদন্তকারী পুলিশ কর্তাকে তিনি বলেন, ‘‘আপনি সঠিক ভাবে তদন্ত করছেন না…। যত দ্রুত সম্ভব তাঁকে গ্রেফতার করুন।” এছাড়া, অভিযুক্তকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয় আদালত। তবে অভিযুক্তের আইনজীবী এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চ এই রায়ে হস্তক্ষেপ করতে নারাজ।

  • Calcutta High Court: ‘‘কীভাবে তদন্ত এগোবে রোজ বলে দিতে হবে কেন?’’ সিবিআইকে ফের ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ‘‘কীভাবে তদন্ত এগোবে রোজ বলে দিতে হবে কেন?’’ সিবিআইকে ফের ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে (Calcutta High Court) ফের মুখ পুড়ল সিবিআই- এর। সিবিআই আধিকারিকদের অপদার্থতায় ক্ষোভ উগরে দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বিচারপতির প্রশ্নবানের মুখে কার্যত বোবা হয়ে যান সিবিআইয়ের আইনজীবী।

    কী বললেন বিচারপতি? 

    সিবিআইয়ের অপদার্থতায় বিরক্তি প্রকাশ করে গত শুক্রবার তদন্তকারী আধিকারিকদের সম্পত্তির হিসাব পেশের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Calcutta High Court) । শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিবিআইয়ের অপদার্থতায় বিরক্তি প্রকাশ করে গত শুক্রবার তদন্তকারী আধিকারিকদের সম্পত্তির হিসাব পেশের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার যেই অবস্থায় আদালতের কাজকর্ম বন্ধ হয়েছিল সোমবার সেখান থেকেই শুরু হল। বদলাল শুধু এজলাস। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর এবার সিবিআই- এর কাজে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিচারপতি বসু।

    আরও পড়ুন: জোরালো ভূমিকম্পে পর পর দু’ বার কেঁপে উঠল তুরস্ক! মৃত অন্তত ৩৬০

    এদিন নবম – দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি বসু সিবিআইয়ের আইনজীবীকে (Calcutta High Court) প্রশ্ন করেন, “চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? যারা টাকা দেওয়া-নেওয়া করেছেন তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? আদালত কেন বার বার একে ওকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি বলে প্রশ্ন তুলছে?” বিচারপতির একের পর এক প্রশ্নে কার্যত  বাকরুদ্ধ হয়ে যান সিবিআইয়ের আইনজীবী।   
     
    এএরপর বিচারপতি আরও প্রশ্ন করেন, “যারা ওএমআর শিট বিকৃত করেছেন তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? সিবিআই কী ভাবে তদন্ত করবে সেটা কেন বার বার আদালতকে বলে দিতে হবে? সিবিআই কী ভাবে কাজ করবে সেটা আদালতকে বারবার বলে দিতে হচ্ছে? এটা ভালো দেখায় না। কেন দুর্নীতিতে যুক্তদের প্রতি এত সদয় সিবিআই?”

    প্রসঙ্গত, রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের দায়িত্বে সিবিআই (Calcutta High Court)। সাম্প্রতিককালে বার বার আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যে ২ বার তদন্তকারী আধিকারিক বদলের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কিন্তু তাতেও সিবিআই- এর ভূমিকায় অখুশি সিবিআই।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     

          
     
      

     

LinkedIn
Share