Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Calcutta High Court: রাজ্যের বিরুদ্ধে ২.২৯ লক্ষ কোটি টাকার খরচের হিসাবে গরমিলের অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে বিজেপি নেতা

    Calcutta High Court: রাজ্যের বিরুদ্ধে ২.২৯ লক্ষ কোটি টাকার খরচের হিসাবে গরমিলের অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে বিজেপি নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ২.২৯ লক্ষ কোটি টাকার খরচের হিসেবে গরমিলের অভিযোগ উঠল রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)।  অভিযোগ, কেন্দ্র থেকে পাওয়া এই টাকার সঠিক হিসেব দিতে পারেনি রাজ্য সরকার। পৌর ও নগরোন্নয়ন, শিক্ষা এবং পঞ্চায়েত দফতরের হিসেবে গরমিলের অভিযোগে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হল। সিবিআই তদন্তের আর্জি জানানো হয়েছে। মামলাকারীর অভিযোগ, ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট নেই ২.২৯ লক্ষ কোটি টাকা খরচের। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেছেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হতে পারে। ২০২১ সালে যে ক্যাগ (CAG) রিপোর্টে পাওয়া গিয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে এই খরচের কোনও ইউটিলাইশেন সার্টিফিকেট নেই। অর্থাৎ কোথায় কোন খাতে কত টাকা খরচ হয়েছে তার কোনও তথ্য নেই। এই ক্যাগ রিপোর্টের সূত্র ধরেই মামলা দায়ের হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: পুলওয়ামা নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করায় দিগ্বিজয়কে থামালেন জয়রাম রমেশ   

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে কেন্দ্রের আবাস যোজনার টাকায় দুর্নীতির অভিযোগে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন সাধারণ মানুষ। আদালতে (Calcutta High Court) এই বিষয়ক একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে। রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আবাস যোজনার টাকা শাসক দল নিজেদের পছন্দের ব্যাক্তিদের পাইয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। 

    রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরকারি টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ এই প্রথম না। এর আগেও রাজ্যে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ ঠিকভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে না বলে দাবি করেছে বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে অনেকেই এই বিষয়ে সরব হয়েছেন। এবার হিসেবের গড়মিল নিয়ে মামলা দায়ের করা হল। আদালত (Calcutta High Court) সূত্রে খবর, মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হতে পারে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    
     

     

  • Rajasekhar Mantha: “এভাবে চলতে পারে না”, মামলায় সরকারি আইনজীবীদের অনুপস্থিতি নিয়ে উষ্মা বিচারপতি মান্থার

    Rajasekhar Mantha: “এভাবে চলতে পারে না”, মামলায় সরকারি আইনজীবীদের অনুপস্থিতি নিয়ে উষ্মা বিচারপতি মান্থার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে (Justice Rajashekhar Mantha) ফের গরহাজির সরকারি আইনজীবীরা। আইনজীবীদের একাংশ এখনও মান্থার এজলাস বয়কট চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠছে। এই পরিস্থিতিতে এবার সরব হলেন বিচারপতি মান্থা। কলকাতা হাইকোর্টে সরকারি আইনজীবীদের অনুপস্থিতি নিয়ে এবারে আশঙ্কা প্রকাশ করে বিচারপতি মান্থা বলেন, “এ ভাবে চলতে পারে না! এটা সরকারের জন্যই ক্ষতি! সাংবিধানিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। সমাজের জন্য এটা সুস্থ ব্যবস্থা নয়।”

    হাইকোর্টে গরহাজির সরকারি আইনজীবীরা

    গত ৯ জানুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছিলেন আইনজীবীদের একাংশ। বিচারপতির এজলাস বয়কট করা হয়েছিল। এর পর সেই অবস্থান বিক্ষোভ-বয়কট সরিয়ে নেওয়া হলেও ফের অভিযোগ উঠেছে যে, এখনও কিছু আইনজীবী এই বয়কট চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে সওয়ালে অংশ নিচ্ছেন না সরকারি আইনজীবীরা। এই অবস্থায় শুক্রবার একটি আদালত অবমাননার কেসে কলকাতা পুলিশের এক ডিসির হাজিরা মামলায় আসতে বাধ্য হলেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। আর এতেই বিচার ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।

    আরও পড়ুন:‘‘আপনার ছেলে হলে…’’, ছাত্র-মৃত্যু মামলায় খড়্গপুর আইআইটির ডিরেক্টরকে তিরস্কার বিচারপতির

    সরকারি আইনজীবীদের মামলায় অংশ নেওয়ার আর্জি জানালেন বিচারপতি ও অ্যাডভোকেট জেনারেল

    বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে মামলা লড়তে রাজি হচ্ছেন না কোনও সরকারি আইনজীবী। কিন্তু আজই আবার কলকাতা পুলিশের ডিসির হাজিরা মামলা রয়েছে রাজশেখর মান্থার এজলাসেই। শেষে সরকারি আইনজীবীদের বিরোধিতার জেরে এজলাসে মামলা লড়তে এলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল। এর পরেই বিচারপতি মান্থা মন্তব্য করেন, “যে ভাবে সরকারি আইনজীবীরা হাজিরা এড়াচ্ছেন, আদালতের কাছে এটা চিন্তার। এজন্য পুলিশের ক্ষতি হচ্ছে। পুলিশ অফিসাররা আইনজীবীর অভাবে এখানে দাঁড়িয়ে নিজেদের বক্তব্য বলছেন। এভাবে চললে প্রশাসনের ক্ষতি।” এর পাশাপাশি এদিন তিনি আইনজীবীদের মামলায় অংশ নেওয়ার জন্য আবেদনও করেছেন।

    সেই সঙ্গে আইনজীবীদের এজলাসে এসে মামলা লড়ার অনুরোধ জানালেন অ্যাডভোকেট জেনারেলও। তিনি বলেন, “মামলায় অংশ নিন, আমার সমর্থন আছে। প্যানেল থেকে নাম বাদ গেলে কিছু করতে পারব না। আমি নিজেও মামলায় অংশ নিয়েছি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Calcutta High Court: প্রধান শিক্ষক বাবার স্কুলে বেআইনিভাবে চাকরি ছেলের! সিআইডি তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: প্রধান শিক্ষক বাবার স্কুলে বেআইনিভাবে চাকরি ছেলের! সিআইডি তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একই স্কুলে চাকরি করেন বাবা-ছেলে! অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক বাবা, আর তাঁরই স্কুলে জালিয়াতি করে চাকরি পেয়েছেন ছেলে। শুধু তাই নয়, তিন বছর ধরে বেতনও পেয়েছেন। অথচ তাঁর নিয়োগপত্রও নেই, আর এই অবাক করা ঘটনা জানা নেই জেলা স্কুল পরিদর্শকের! এই ঘটনা সামনে আসতেই চক্ষু চড়কগাছ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। তাই এবারে এই মামলায় সিআইডি (CID) তদন্তের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এই মামলায় সিআইডি ডিআইজিকে তলব করে মামলার তদন্তের রিপোর্ট ২ সপ্তাহের মধ্যে জমা দিতে বলেছেন বিচারপতি। সেই সঙ্গে অভিযুক্ত ‘ভুয়ো’ শিক্ষকের স্কুলে প্রবেশ ও বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ২ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।

     মামলাটি ঠিক কী?

    মুর্শিদাবাদের গোথা এয়ার হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারি। অভিযোগ, তাঁরই স্কুলে চাকরি করেন তাঁর ছেলে অনিমেষ তিওয়ারি। এক আরটিআই থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমা রায় নামে এক চাকরিপ্রার্থী মামলা করেছেন হাইকোর্টে। মুর্শিদাবাদের ওই ‘ভুয়ো’ ভূগোল শিক্ষক অন্য এক প্রার্থী অরবিন্দ মাইতির নিয়োগপত্রের মেমো নম্বর নকল করেই চাকরিতে যোগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে মামলাকারী সোমা রায়ের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন তাঁর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং ফিরদৌস শামিম। এর পরেই আদালত অনিমেষের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। এমনকী, ওই শিক্ষক স্কুলে ঢুকতে পারবেন না বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    বিচারপতির প্রশ্নের মুখে ডিআইরা

    এই নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ মামলায় স্কুল পরিদর্শকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। তাঁর কথায়, “ডিআইয়ের (জেলা স্কুল পরিদর্শক) কাছে এই নিয়োগের তথ্য নেই। মানে ডিআই সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। নিয়োগে দুর্নীতি মানা যাবে না। এর পর এমন তথ্য সামনে এলে রাজ্যের বিপক্ষে যাবে।” তিনি প্রশ্ন করেন, “আমি দেখে অবাক হচ্ছি যে, জেলা স্কুল পরিদর্শক এই নিয়োগ নিয়ে কিছু জানেন না। অথচ ওই শিক্ষক গত ৩ বছর ধরে বেতন পাচ্ছেন। কী করে এ বিষয়ে কেউ কিছু জানেন না!”

    আরও পড়ুন: ২০১৬-এর পর স্কুলের সমস্ত নিয়োগ খতিয়ে দেখতে হবে ডিআইদের! নির্দেশ বিচারপতি বসুর

    সিআইডি ডিআইজিকে তলব

    আজ সকাল সাড়ে দশটায় সিআইডি ডিআইজিকে তলব করেছিলেন তিনি। নির্দেশ মত হাজিরা দেন ডিআইজি-সিআইডি। এরপরই বিশেষ দল গঠনের নির্দেশ দেন বিচারপতি। আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছে, স্কুল পরিদর্শক স্বতঃপ্রাণোদিত এফআইআর দায়ের করবে। এরপরই তাঁর নির্দেশ, ২০১৬ সালের পর থেকে যাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন, সব জেলার স্কুল পরিদর্শকরা তাঁদের ডেটা তৈরি করবেন। ২ সপ্তাহের মধ্যে তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে। ২ ফেব্রুয়ারি মামলাটি আবার শুনবে আদালত।

  • Calcutta High Court: ২০১৬-এর পর স্কুলের সমস্ত নিয়োগ খতিয়ে দেখতে হবে ডিআইদের! নির্দেশ বিচারপতি বসুর

    Calcutta High Court: ২০১৬-এর পর স্কুলের সমস্ত নিয়োগ খতিয়ে দেখতে হবে ডিআইদের! নির্দেশ বিচারপতি বসুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগ মামলা নিয়ে আরও কড়া পদক্ষেপ নিল কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১৬ সালের পরে রাজ্যের সমস্ত জেলায় যত সরকারি স্কুল আছে, তাতে যতজন নিয়োগ হয়েছেন, তাদের সকলের নিয়োগ পদ্ধতি সংশ্লিষ্ট জেলার ডিআই-কে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বিচারপতির এই নির্দেশে রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে শিক্ষামহলে। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক বাবার স্কুলে জালিয়াতি করে চাকরি করছেন ছেলে। এই মামলার শুনানিতেই আজ এমন নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বসু। শুধু তাই নয়, রাজ্যের মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে গত ছ’বছরে যত শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে, তাদের হিসাব রাজ্যের কাছে চাইলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। পাশাপাশি বিচারপতি জানিয়ে দিয়েছেন, ওই হিসাব বা রিপোর্ট আগামী ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আদালতে জমা দিতে হবে।

    মুর্শিদাবাদের ভুয়ো শিক্ষক মামলায় প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি

    বৃহস্পতিবার একটি মামলার শুনানি চলাকালীন এই নির্দেশ দেন বিচারপতি। মুর্শিদাবাদের গোথা এয়ার হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারির পুত্র অনিমেষের বিরুদ্ধে এক পাস করা শিক্ষকের নিয়োগপত্র জাল করে প্রধান শিক্ষক বাবার স্কুলে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। গত তিন বছর ধরে তিনি বেতনও পেয়েছেন। অথচ জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে তাঁর নিয়োগের কোনও নথিই ছিল না! ঘটনাটি জানার পরেই বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “একজন ভুয়ো শিক্ষক তিন বছর ধরে চাকরি করছেন, আর সেই জেলার ডিআই তা জানেন না? কীভাবে সম্ভব?” নিয়োগপত্রে নাম না থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে ওই ‘শিক্ষক’ এতদিন বেতন পেলেন?  এরপরই গোটা ঘটনার তদন্তভার সিআইডিকে দিয়েছেন বিচারপতি বসু। বিচারপতি আরও বলেন, “তবে তো এমন অনেক জালিয়াতিই হয়ে থাকতে পারে, যার এখনও খবরই নেই রাজ্যের কাছে!” তার পরেই এমন নির্দেশ দিলেন ডিআইয়ের।

    আরও পড়ুন: খারিজ জামিন-সওয়াল, ফের ১৪ দিন জেল হেফাজতে পার্থ, সুবীরেশ সহ ৭

    ২০১৬-এর পর স্কুলের সমস্ত নিয়োগ খতিয়ে দেখতে হবে ডিআইদের

    গত ছ’বছরে অর্থাৎ ২০১৬ সালের পর থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরে স্কুলে নিয়োগের একটিই পরীক্ষা হয়েছে। তবে বেশ কয়েক দফায় নিয়োগ হয়েছে প্রায় সাড়ে ২৩ হাজার শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীর। এদের মধ্যে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি— ১১,৪২৫ জন। এ ছাড়াও একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির সাড়ে ৫ হাজার শিক্ষক, ৪৪৮৭ জন গ্রুপ-ডি কর্মী এবং ২,০৩৭ জন গ্রুপ-সি কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। বিচারপতি বসুর নির্দেশে এ বার এই সমস্ত চাকরিই নিয়োগপত্র পেয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখবেন জেলা স্কুল পরিদর্শক বা ডিআইরা।

  • Recruitment Scam: নথি জাল করে বাবার স্কুলে চাকরি! ভূগোল শিক্ষকের কাণ্ডে সিআইডি ডাকল হাইকোর্ট

    Recruitment Scam: নথি জাল করে বাবার স্কুলে চাকরি! ভূগোল শিক্ষকের কাণ্ডে সিআইডি ডাকল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাবা একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। পাশ করা এক শিক্ষকের সুপারিশপত্র জাল (Recruitment Scam) করে সেই স্কুলেই চাকরি করছিলেন ছেলে। এক আধ বছর নয়, টানা তিন বছর। শেষমেশ ফাঁস হল কেলেঙ্কারির পর্দা। বুধবার অনিমেষ তিওয়ারি নামের ওই শিক্ষকের স্কুলে ঢোকা ও বেতন বন্ধের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বেঞ্চে শুনানি ছিল মামলাটির। এই মামলার পরবর্তী শুনানিতে সিআইডির ডিআইজিকে উপস্থিত থাকার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।

    কেলেঙ্কারি…

    বছর তিনেক আগে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সুতির এক নম্বর ব্লকের গোথা এয়ার স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি পান ওই স্কুলেরই প্রধান শিক্ষকের ছেলে অনিমেষ। এতে সন্দেহ হয়ে অনেকেরই। দায়ের হয় মামলা। তথ্য জানার অধিকার আইনেও অনিমেষের নিয়োগ নিয়ে তথ্য জানতে চান অনেকে। তার পরেই জানা যায়, অনিমেষ ওই স্কুলে দীর্ঘ দিন ধরে চাকরি করলেও, জেলার স্কুল পরিদর্শকের কাছে তাঁর নামে কোনও নিয়োগপত্রই নেই। ভূগোলের শিক্ষক অনিমেষ ভূগোল বিষয়ে পরীক্ষাই দেননি (Recruitment Scam) বলে অভিযোগ। এদিন আদালতে মধ্য শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, মেধা তালিকায় নাম ছিল না অনিমেষের, কোনও সুপারিশও হয়নি তাঁর নামে। আসলে আতাউর রহমানের নামে সুপারিশ করা হয়েছিল বলে দাবি পর্ষদের। শুধু তাই নয়, অরবিন্দ মাইতি নামে অন্য এক চাকরি প্রার্থীর নিয়োগপত্র জাল করে অনিমেষ চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুুন: পাখির চোখ পঞ্চায়েত নির্বাচন, বেকায়দায় পড়া তৃণমূলকে জব্দ করতে আসরে মিঠুন

    জানা গিয়েছে, প্রত্যেক নিয়োগপত্রের একটি মেমো নম্বর থাকে। অনিমেষের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সেই মেমো নম্বর এক রেখে নিজের নাম বদলে দেন নিয়োগপত্রে (Recruitment Scam)। সেই নকল মেমো নম্বরের নিয়োগপত্রেই ভূগোল শিক্ষক হিসেবে চাকরি পান গোথা এলাকায় স্কুলে। আরটিআইয়ের মাধ্যমে স্কুলের কাছে অনিমেষের ব্যাপারে তথ্য চাওয়া হলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানিয়ে দেন, অনিমেষ কর্মশিক্ষার শিক্ষক। অভিযোগ শুনে বিচারপতি বসু বলেন, দেখে অবাক হচ্ছি। এমন আর কত হয়েছে? হেড মাস্টার জানেন না, যাঁকে নিয়োগ করা হয়েছে, তিনি তথ্য বিকৃত করছেন কি না? তাহলে ছাত্রদের ভবিষ্যৎ কী?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Jhalda: ঝালদা পুরসভা নিয়ে আদালতে ধাক্কা রাজ্যের, পূর্ণিমা কান্দুই অস্থায়ী চেয়ারপার্সন

    Jhalda: ঝালদা পুরসভা নিয়ে আদালতে ধাক্কা রাজ্যের, পূর্ণিমা কান্দুই অস্থায়ী চেয়ারপার্সন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝালদা (Jhalda) পুরসভা নিয়ে নাটকে নয়া মোড়। আদালতে মুখ পুড়ল রাজ্যের শাসক দলের। ঝালদা পুরসভার নির্বাচনে কংগ্রেস জেতার পরে শীলা চট্টোপাধ্যায়কে চেয়ারপার্সন করলে, তৃণমূল তা নিয়ে আপত্তি তোলে। সেই আপত্তির ভিত্তিতে গতকাল পুরুলিয়ার মহকুমাশাসক রীতম ঝাঁ নির্দেশিকা জারি করে তৃণমূল কাউন্সিলর সুদীপ কর্মকারকে চেয়ারম্যান নিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু সেই নির্দেশকে যে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন শীলা চট্টোপাধ্যায়। এদিন সেই মামলার শুনানি ছিল। তাতে আদালত তৃণমূলের সুদীপকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছে। সেইসঙ্গে পরবর্তী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কংগ্রেস কাউন্সিলর তথা নিহত কংগ্রেস নেতা তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দুকে।

    কাউন্সিলর (Jhalda) পদ থেকে তাঁকে অপসারণের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শীলা চট্টোপাধ্যায়। সেই মামলা গ্রহণ করে দ্রুত শুনানির ব্যবস্থা করে আদালত। বিকেলে সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দেন, আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পূর্ণিমা কান্দু ঝালদা পুরসভার চেয়ারপার্সনের পদ সামলাবেন। সঙ্গে শীলা চট্টোপাধ্যায়ের কাউন্সিলর পদ খারিজের নির্দেশেও স্থগিতাদেশ দেয় আদালত।

    গত ১৬ জানুয়ারি ১২টি আসন বিশিষ্ট ঝালদা (Jhalda) পুরসভার নির্বাচন হয়। ৬ জন কংগ্রেস কাউন্সিলর এবং ১ জন নির্দল কাউন্সিলের ভোট আসে কংগ্রেসের ঝুলিতে। ৫ তৃণমূল কাউন্সিলর ভোটদান থেকে বিরত থাকেন। শীলা চট্টোপাধ্যায় নির্দল কাউন্সিলর হিসাবে কংগ্রেসকে সমর্থন করেন। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায় চেয়ারপার্সন হিসেবে নির্বাচিত হন। তার পরদিনই এক নির্দেশিকায় মহকুমাশাসক শীলাদেবীর কাউন্সিলর পদ খারিজ করেন। প্রশাসনের যুক্তি, নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে জয়যুক্ত হলেও পরে নিজেকে নির্দল ঘোষণা করেছেন তিনি। যা দলত্যাগবিরোধী আইন বিরোধী। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১০ ফেব্রুয়ারি।

    এর আগে শীলা চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থন পেয়েই বোর্ড গঠন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার ঝালদা (Jhalda) পুরসভা গেল কংগ্রেসের দখলে। পুরপ্রধান হওয়ার লোভে কংগ্রেসকে সমর্থন করেছেন শীলা, এই দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল।

    আরও পড়ুন: প্রবল তুষারপাত, ফের ভূমিধসের আশঙ্কা! আস্তে আস্তে বসছে জোশীমঠ    

    এর আগে এই পুরসভায় (Jhalda) নির্বাচনে পাঁচটি আসন তৃণমূল কংগ্রেস এবং পাঁচটি আসন কংগ্রেস পায়। দুই নির্দল প্রার্থীর সমর্থন নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস পুরবোর্ডের দখল করেছিল। তারপর চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে কংগ্রেস। কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করলে সুরেশ আগরওয়াল চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হন। আস্থাভোটে জয়লাভ করে কংগ্রেস। কিন্তু বোর্ড গঠন করতে পারেনি। কারণ সরকারের পক্ষ থেকে সেখানে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের এক কাউন্সিলর জবা মাছুয়াকে প্রশাসক হিসাবে নিয়োগ করা হয়।

    তৃণমূলকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    ঝালদাকাণ্ডে (Jhalda) এবার দলত্যাগ বিরোধী আইনের প্রশ্নে প্রশাসনকে খোঁচা দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু মুকুল রায়কে কটাক্ষ করে বলেন, “বিধানসভায় বিজেপি সেজে জনসমক্ষে তৃণমূল বিধায়ক হয়ে ঘুরছেন গিরগিটিরা। এই বিধায়করা দিদির সুরক্ষা কবচের জোরে দলত্যাগ বিরোধী আইন থেকে সুরক্ষিত।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Asansol Stampede Case: কম্বল কাণ্ডের তদন্ত চলবে কিন্তু গ্রেফতার করা যাবেনা জিতেন্দ্র-জায়াকে, জানাল হাইকোর্ট

    Asansol Stampede Case: কম্বল কাণ্ডের তদন্ত চলবে কিন্তু গ্রেফতার করা যাবেনা জিতেন্দ্র-জায়াকে, জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই আসানসোলে (Asansol Stampede Case) বিজেপির এক সভায় কম্বল নিতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল তিন জনের। এই ঘটনায় আয়োজনে গাফিলতির অভিযোগ ওঠে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রীর বিরুদ্ধে। সেই মামলা কলকাতা হাইকোর্টে বিচারাধীন। তদন্ত চালিয়ে গেলেও, এখনই গ্রেফতার করা যাবে না, জিতেন্দ্র-জায়া চৈতালি তিওয়ারি। আজ মামলার শুনানিতে এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।

    আরও পড়ুন: দৃশ্যে বদল! ‘পাঠান’ নিয়ে বড় নির্দেশ দিল্লি হাইকোর্টের 

    বুধবার আসানসোলে (Asansol Stampede Case) পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনার শুনানি ছিল কলকাতা হাই কোর্টে। আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ জানায়, চৈতালি তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। চৈতালিকে গ্রেফতার করার আর্জি জানায় পুলিশ। এর জবাবে পুলিশকে বিচারপতি মান্থা বলেন, “অভিযুক্ত তো অসত্য তথ্যপ্রমাণ দিতেই পারেন। পুলিশেরই তো কাজ সত্যি ঘটনা কী এবং আসল তথ্য খুঁজে বের করা।” তবে এর পরে চৈতালির বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার অনুমতিও দেন পুলিশকে। হাইকোর্টের তরফে এদিন চৈতালির রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়ানো হয়। আগেই চৈতালিকে রক্ষাকবচ দিয়েছিল হাই কোর্ট। তার মেয়াদ বুধবার আরও তিন সপ্তাহ বাড়িয়ে দেন বিচারপতি মান্থা। যার ফলে আপাতত তদন্তকারীরা এই মামলায় গ্রেফতার করতে পারবেন না চৈতালিকে। 

    কী ঘটেছিল? 

    প্রসঙ্গত, গত বছরের শেষে আসানসোলে (Asansol Stampede Case) একটি কম্বল বিতরণ কর্মসূচিতে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। ঘটনার জেরে পদপিষ্ট হয়ে মারা যান ৩ জন। ঘটনাটি যেখানে ঘটে, সেই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন বিধায়ক জিতেন্দ্রর স্ত্রী চৈতালি। চৈতালি আসানসোল পুরসংস্থার একজন কাউন্সিলর। ওই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন রাজ্যের বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনাটি ঘটে শুভেন্দু সভা ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর। অভিযোগ, শুভেন্দু সভা ছাড়ার পরই কম্বল নেওয়া নিয়ে হুড়োহুড়ি পরে যায় ওই অনুষ্ঠানে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা না থাকায় এমন অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Bar Council of India: ‘বাধা’ পাওয়া আইনজীবীদের বয়ান রেকর্ড করল বার কাউন্সিলের প্রতিনিধি দল

    Bar Council of India: ‘বাধা’ পাওয়া আইনজীবীদের বয়ান রেকর্ড করল বার কাউন্সিলের প্রতিনিধি দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বিরুদ্ধে পোস্টার দেওয়ার ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হল। প্রধান বিচারপতির কাছে মামলা দায়ের করেছেন আইনজীবী শামিন আহমেদ। যার শুনানি চলতি সপ্তাহেই হতে পারে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে। অন্যদিকে, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার (Rajsekhar Mantha) এজলাস বয়কটের সিদ্ধান্তে অত্যন্ত কড়া অবস্থান নিল বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়াও (Bar Council of India)। সম্পূর্ণ ঘটনা খতিয়ে দেখার জন্য তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল তদন্ত শুরু করল।

    বার কাউন্সিলের প্রতিনিধি দল

    সোমবার সকাল ১০.৪০ মিনিট নাগাদ বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার (Bar Council of India) তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল কলকাতা হাইকোর্টে পৌঁছন। তাঁরা জানান, কেবল হাইকোর্টের বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার এজলাসই নয়, তাঁরা প্রত্যেকটি জায়গা ঘুরে দেখছেন। যে সকল আইনজীবীরা তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছুক, তাঁরা তাঁদের সঙ্গেও কথা বলেন। তাঁরা বিষয়টি জানার চেষ্টা করেন, আদৌ সেদিন কী এমন ঘটনা ঘটল, যাতে বয়কটের রাস্তায় হাঁটতে হল আইনজীবীদের। ৯ ও ১০ জানুয়ারি বিচারের কাজে যোগ দিতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হন যে আইনজীবীরা এদুন তাঁদের বয়ান রেকর্ড করা হয়। ১৭ জানুয়ারির মধ্যে বার কাউন্সিলের প্রতিনিধি দল রিপোর্ট জমা দেবেন।  

    বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার (Bar Council of India) তিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক চলাকালীন, রেজিস্ট্রার জেনারেলের সঙ্গে দেখা করতে চান অশোক দেব। বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিরা অশোক দেবকে জিজ্ঞাসা করেন আপনারা  রাজ্য বার কাউন্সিল কি কোনও অভিযোগ পেয়েছেন? অশোক দেব জানান, না তাঁরা এখনও কিছু পাননি। আমরা প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি বিষয়টি নিয়ে দেখবেন আশ্বাস দিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: আবাস যোজনার টাকা না ফেরালে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মামলা দায়ের

    সম্প্রতি, কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বিরুদ্ধে আদালত চত্বরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন আইনজীবীদের একাংশ। এর পরেই হাই কোর্ট চত্বরে প্রকাশ্যে আসে বিচারপতির নামে ফেলা কিছু পোস্টার। তাতে লাল রঙের কাগজে বিচারপতির মুখের ছবি দিয়ে পাশে লেখা ছিল, ‘ইনি বিচারের নামে কলঙ্ক।’ এমনকি বড় বড় অক্ষরে বিচারপতির মুখের উপর লেখা ছিল ‘লজ্জা’। পরে ওই একই পোস্টার দেখা যায় বিচারপতি মান্থার পাড়া দক্ষিণ কলকাতার যোধপুর পার্ক এলাকাতেও। এই নিয়ে হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন আইনজীবী শামিম আহমেদ। বিচারপতি হাইকোর্টে প্রধানবিচারপতির বেঞ্চে এই মামলার জন্য অনুমতি চেয়েছিলেন। তাতে অনুমতি দিয়েছে বেঞ্চ। কোনও রাজ্যের সংস্থা নয় অন্য কোনও অরাজনৈতিক সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের আর্জি জানানো হয়েছে মামলায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Justice Rajasekhar Mantha: বিচারপতি মান্থার রুল জারির রায়, হাইকোর্টে গঠিত তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চ

    Justice Rajasekhar Mantha: বিচারপতি মান্থার রুল জারির রায়, হাইকোর্টে গঠিত তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) আইনজীবীদের একাংশ। তার জেরে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha)। ওই ঘটনায় শুক্রবার তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চ তৈরি হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। এই বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম, বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাশ। এদিকে, হাইকোর্ট সূত্রে খবর, দিল্লি যাচ্ছেন বিচারপতি মান্থা। আইনজীবীদের একাংশের অনুমান, গত কয়েক দিনের ঘটনা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেন তিনি।

    বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা…

    গত সোমবার থেকে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে বিক্ষোভ শুরু করেন আইনজীবীদের একাংশ। মঙ্গলবার পরিস্থিতি চরমে ওঠে। দফায় দফায় বিক্ষোভের জেরে উত্তাল হয়েছিল হাইকোর্ট চত্বর। ডাক দেওয়া হয়েছিল বিচারপতি মান্থার এজলাসও। কিছু মামলায় তাঁর পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশে অসন্তুষ্ট আইনজীবীদের একাংশ। তার জেরে শুরু হয় বিক্ষোভ প্রদর্শন। মান্থার এজলাস বয়কটের পাশাপাশি পোস্টার পড়ে তাঁর বাড়ির সামনেও। আইনজীবীদের টানা বিক্ষোভের জেরেই গত বুধবার স্বতঃপ্রণোদিতভাবে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছিলেন বিচারপতি মান্থা। তাঁর পর্যবেক্ষণ, আদালত কক্ষ অবরোধ করে বিচার করতে না দেওয়া অপরাধের সমতুল্য। কারণ এর ফলে বিচারব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সেই প্রেক্ষিতেই গঠিত হয়েছে তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চ। এভাবে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে রুল জারি করা যায় কিনা, তা খতিয়ে দেখতেই গঠিত হয়েছে বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চ।  

    আরও পড়ুুন: ‘‘নিরপেক্ষ থাকুন, না হলে পদপিষ্ট হতে হবে’’! পুলিশকে সতর্কবার্তা সুকান্তর

    এদিকে, কলকাতা হাইকোর্টের এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া। ঘটনার তদন্ত করতে বাংলায় তিন সদস্যের দল পাঠাচ্ছে তারা। বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, তাদের পাঠানো দল বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসের বাইরে যাবেন। যেখানে ঘটনা ঘটেছিল, সেই জায়গাও পরিদর্শন করবেন। তাঁরা কথা বলতে পারেন বিচারপতি মান্থার সঙ্গেও। অন্যদিকে, বিক্ষোভ প্রদর্শন বন্ধ হলেও, অচল হয়ে রয়েছে বিচারপতি মান্থার ১৩ নম্বর এজলাস। হাইকোর্ট সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ৪০টি মামলায় যোগ দেননি সরকারি আইনজীবীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Jhalda Municipality: ঝালদায় চেয়ারম্যান নির্বাচনের দিন ঘোষণা হাইকোর্টের, রাজ্যের বিজ্ঞপ্তি খারিজ

    Jhalda Municipality: ঝালদায় চেয়ারম্যান নির্বাচনের দিন ঘোষণা হাইকোর্টের, রাজ্যের বিজ্ঞপ্তি খারিজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচনের দিন ঠিক করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই নির্বাচনের দিন নিয়েই এতদিন টানাপোড়েন চলছিল। দীর্ঘদিন ধরে আইন-আদালতের পর আজ, শুক্রবার পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচনের দিন ঠিক করা হল। রাজ্যের বিজ্ঞপ্তি এদিন খারিজ করে দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আর তখনই নির্দেশ দিলেন, আগামী ১৬ জানুয়ারি বেলা ১১ টায় ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচন করতে হবে। এছাড়াও নির্দেশে বলা হয়েছে যে, জেলাশাসকের তত্ত্বাবধানে ও পুলিশ প্রশাসনের নজরদারিতে হবে এই নির্বাচন। কাউন্সিলরদের পুর-নির্বাচনে অংশগ্রহণে যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেই বিষয়টিও পুলিশ প্রশাসনকেই নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচনের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফি করতে হবে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। 

    ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচনের দিন ঘোষণা

    পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভায় (Jhalda Municipality) চেয়ারম্যান নিয়োগ সংক্রান্ত রাজ্য সরকারের নির্দেশিকায় স্থগিতাদেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে বলে জানিয়েছিল আদালত। আর আগামী এক মাস ঝালদা পুরসভার যাবতীয় দায়িত্ব পুরুলিয়ার জেলাশাসককে দেওয়া হয়েছিল। আর আজ অবশেষে রাজ্য সরকারের বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী ১৬ জানুয়ারি জেলাশাসকের উপস্থিতিতে ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচন করতে হবে। আর সেখানে রাখতে হবে পর্যাপ্ত পুলিশবাহিনী। নির্বাচন প্রক্রিয়া ভিডিও-নজরদারিতে করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: ফের ধাক্কা রাজ্যের, ঝালদায় প্রশাসক বসানোর নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট

    রাজ্যের বিজ্ঞপ্তিতে কী ছিল?

    রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে গত ২ ডিসেম্বর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, তৃণমূল কংগ্রেসের একজন কাউন্সিলর জবা মাছুয়াকে চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করে অস্থায়ী প্রশাসক বোর্ড তৈরি করা হবে। আজ সেই নির্দেশের বিজ্ঞপ্তিই খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। ফলে ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচনের ক্ষেত্রেও হাইকোর্টে ফের ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার।

    কী ঘটেছিল ঝালদা পুরসভায়?

    ১২ আসন বিশিষ্ট ঝালদা পৌরসভায় আসনের নিরিখে সমীকরণ ছিল কংগ্রেস ৫, তৃণমূল ৫, নির্দল ২। এই অবস্থায় অনাস্থা ডাকে কংগ্রেস। আস্থা ভোটের ৭-০ ভোটে জয়লাভ করে কংগ্রেস। এর ফলে অপসারণ করা হয় তৃণমূলের পৌরপ্রধান সুরেশ আগরওয়ালকে। এরই মধ্যে ২ ডিসেম্বর কাউন্সিলর জবা মাছুয়াকে ঝালদা পৌরসভার নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ করে রাজ্য। অন্যদিকে কাউন্সিলর শিলা চট্টোপাধ্যায়কে পৌরপ্রধান হিসেবে নির্বাচিত করতে চায় কংগ্রেস। এরপরেই মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। তার পর ঝালদা পুরসভা নিয়ে স্থগিতাদেশ জারি করে হাইকোর্ট। আর অবশেষে নির্বাচনের দিন জানিয়ে দিল আদালত। ফলে এই অবস্থায় রাজ্যবাসীর নজরে এখন ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচনের লড়াই।

LinkedIn
Share