Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Abhishek Banerjee: আদালতের নির্দেশে রক্ষাকবচ রইল না অভিষেক-শ্যালিকার, পদক্ষেপ করতে পারবে ইডি?

    Abhishek Banerjee: আদালতের নির্দেশে রক্ষাকবচ রইল না অভিষেক-শ্যালিকার, পদক্ষেপ করতে পারবে ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রক্ষাকবচ রইল না তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরের (Maneka Gambhir)। মেনকার মামলা খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এর জেরে মেনকার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির (ED) আর কোনও বাধা রইল না। মেনকার রক্ষাকবচ খারিজের দাবিতে চলতি সপ্তাহেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি। আদালত মেনকার রক্ষাকবচ তুলে নেওয়ায় বিপাকে অভিষেক ও তাঁর শ্যালিকা।

    গরু পাচার মামলা…

    এর আগে গরু পাচার মামলায় মেনকাকে অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল ইডি। তখন ইডির আবেদনে সাড়া দেয়নি আদালত। তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী মামলাটির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই রায় অনুযায়ী শুক্রবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ মেনকার মামলা খারিজ করে দেয়। তবে আগামিদিনে ইডির বিরুদ্ধে নতুন করে আদালতে মেনকা যাতে আবেদন করতে পারেন, সেই স্বাধীনতাও তাঁকে দিয়েছে উচ্চ আদালত। প্রসঙ্গত, আদালতের এই নির্দেশের ফলে মেনকার বিরুদ্ধে এখন যে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে ইডি। আবার সেই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ফের আদালতের দ্বারস্থও হতে পারবেন অভিষেকের (Abhishek Banerjee) শ্যালিকা।

    আরও পড়ুুন: ‘তৃণমূলে থেকে মানুষের চোখের জল…’, নদিয়ায় বিজেপিতে যোগ দিয়ে বললেন ২০০ তৃণমূল নেতা-কর্মী

    গরু পাচার মামলায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের শ্যালিকাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লিতে তলব করেছিল ইডি। ইডির এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মেনকা। মেনকাকে গ্রেফতার করা যাবে না এবং দিল্লির পরিবর্তে কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে ইডিকে। অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়ে এমনই জানিয়েছিলেন বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য। আদালতের এই নির্দেশ মতো ইডির সমন কার্যকর করেন অভিষেক-শ্যালিকা। পরে বিদেশ যেতে চেয়ে ফের আদালতের শরণ নেন মেনকা। পরে অবশ্য সেই আবেদনও প্রত্যাহার করে নেন তিনি। তাই আটকে গিয়েছিল তাঁর বিদেশ যাত্রাও। এদিন আদালতে ইডির তরফে কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল বলেন, মেনকার দু দেশের নাগরিকত্ব রয়েছে। এটা থাকতে পারে না। যদিও এই বিষয়টি নিয়ে কোনও পর্যবেক্ষণ বা নির্দেশ দেয়নি আদালত।

    আরও পড়ুুন: ‘‘গণতন্ত্র বিপন্ন’’! দার্জিলিং পুরসভায় দল ক্ষমতায় আসার দিনেই তৃণমূল ছাড়লেন বিনয়

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • West Midnapore Gang Rape: গণধর্ষণের তদন্তে গাফিলতি! মেদিনীপুরের এসপি-র বিরুদ্ধে কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের

    West Midnapore Gang Rape: গণধর্ষণের তদন্তে গাফিলতি! মেদিনীপুরের এসপি-র বিরুদ্ধে কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম মেদনীপুরের কেশপুর ব্লকের আনন্দপুর থানার গণধর্ষণের মামলায় (West Midnapore Gang Rape) জেলা পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যকে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছেন, জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমারকে সতর্ক করতে হবে। শুধু মৌখিকভাবে সতর্ক করলেই চলবে না, তাঁকে যে সতর্ক করা হল তা তাঁর সার্ভিস বুকে উল্লেখ করতে হবে বলেও জানিয়েছে আদালত। 

    কেন এমন নির্দেশ? 

    আনন্দপুর গণধর্ষণ মামলায় (West Midnapore Gang Rape) পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। আর তার জেরেই এই নির্দেশ। রাজ্য পুলিশের ডিজি-র কাছে রিপোর্ট তলব করেছিল আদালত। সেই রিপোর্টে ডিজি স্পষ্ট জানান, এসপির কর্তব্যে গাফিলতি ছিল। রিপোর্ট পাওয়ার পরেই আদালতের নির্দেশ, কর্তব্যে গাফিলতির বিষয়টি এসপি দীনেশ কুমারের সার্ভিস বুকে উল্লেখ করতে হবে।

    আরও পড়ুন: রেকর্ড শীত কলকাতায়! মরশুমের শীতলতম দিনে কাঁপুনি ধরাল হাড়ে 

    কয়েক মাস আগেই কেশপুর ব্লকের আনন্দপুর থানা এলাকায় জমি বিবাদকে ঘিরে এক গণধর্ষণের ঘটনা (West Midnapore Gang Rape) ঘটে। নির্যাতিতা মহিলার অভিযোগ নিতে দেরি করার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। অভিযোগ সামনে আসার পরই আনন্দপুর থানার ওসিকে সাসপেন্ড করা হয়। এবার কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হল পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধেও।     

    মেদিনীপুরের বিষয়টিকে সামনে রেখে আদালত এদিন রাজ্যের সমস্ত এসপি ও পুলিশ কমিশনারদের সতর্ক করে বলে, কোনওভাবেই এই ধরনের ফৌজদারি অপরাধের (West Midnapore Gang Rape) অভিযোগ নিতে দেরি করলে চলবে না। এইসব মামলায় পুলিশের গাফিলতির অভিযোগ এলে তৎক্ষণাৎ রাজ্যকে সংশ্লিষ্ট এসপি বা পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করতে হবে। 

    আনন্দপুরের গণধর্ষণের (West Midnapore Gang Rape) অভিযোগ পুলিশ না নেওয়ায় ইতিমধ্যে আদালতের নির্দেশে ওই থানার ওসি এবং বিভাগীয় ডিএসপির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। নির্যাতিতার আইনজীবী সৌম্যজিৎ দাস মহাপাত্রের অভিযোগ, শুধু এই একটি ঘটনা নয়, শুধু ওই জেলা নয়, রাজ্যের আরও কিছু জেলায় এমন গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। আদালতও এই অভিযোগ মেনে নিয়েছে। অভিযুক্ত এসপির বিরুদ্ধে এমন মামলা এই এজলাসেই ঝুলে রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Contai Tender Scam: এবার ‘ভুয়ো’ এফআইআর! কাঁথি টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-নির্দেশ হাইকোর্টের

    Contai Tender Scam: এবার ‘ভুয়ো’ এফআইআর! কাঁথি টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার কাঁথি টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই মামলায় শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দুর ঘনিষ্ঠ রামচন্দ্র পান্ডার গ্রেফতারির ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। এই মর্মে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে আগামী পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট জমার নির্দেশ দিয়েছে বেঞ্চ। যে এফআইআর-এর ভিত্তিতে রামচন্দ্রকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, সেই তৃতীয় এফআইআরের ওপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছে বেঞ্চ। রামচন্দ্রের জামিন মঞ্জুর করা হয়। একইসঙ্গে, অভিযোগকারিনীকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত।

    ঘটনার প্রেক্ষাপট কী?

    গত বছর, কাঁথি পুরসভার একটি টেন্ডার দুর্নীতি নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। কারণ, ওই দুর্নীতির অভিযোগের তির ছিল শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দুর দিকে। ২০১৯-২০২০ সালে কাঁথি পুরসভার শ্মশানের সংস্কারের বরাত পেয়েছিলেন ঠিকাদার রামচন্দ্র পান্ডা, যিনি শুভেন্দু এবং অধিকারী পরিবারের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি। অভিযোগ ওঠে, ভুয়ো শংসাপত্রের মালিক রামচন্দ্রকে বরাত দেওয়া হয়। রামচন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ, টেন্ডার পেয়েও তিনি কাজ শেষ করেননি। আরও অভিযোগ, ওই টেন্ডারে দেড় কোটির টাকার দুর্নীতি হয়েছে। 

    তৃতীয় এফআইআর ঘিরে সন্দেহ

    এই অভিযোগের ভিত্তিতে রামচন্দ্র পান্ডার বিরুদ্ধে তিনটি এফআইআর দায়ের হয়। প্রথম দুটি আগে দায়ের হয়েছিল। এরপর গত ২৮ ডিসেম্বর তৃতীয় এফআইআর দায়ের হয়। আর এই তৃতীয় এফআইআর ঘিরে তৈরি হয় যাবতীয় সন্দেহ। কেন? জানা যায়, তৃতীয় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ফ্রেন্ডস ইঞ্জিনিয়ার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সম্পাদক কাকলি পান্ডা। যিনি আবার কাঁথি পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার শান্তনু পান্ডার স্ত্রী। আদালতে রাজ্য জানায় যে, কাকলির অভিযোগের ভিত্তিতেই রামচন্দ্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    আদালতে রামচন্দ্রের দাবি

    আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করেন রামচন্দ্র। হাইকোর্টে তিনি জানান, এই অভিযোগের পিছনে রাজনৈতিক কারণ রয়েছে। এর আগেও কয়েক বার অভিযোগ করা হয়েছিল। এখন যে এফআইআর করা হয়েছে তা সাজানো বলেও দাবি করেন তিনি। তিনি আরও জানান, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত হওয়ার দরুন তাঁকে রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার হতে হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ফের আরও এক রুশ নাগরিকের মৃত্যু হল রাশিয়ায়, এবার দেহ মিলল জাহাজে  

    কাকলির হলফনামা তলব আদালতের

    রামচন্দ্রের দাবির প্রেক্ষিতে অভিযোগকারিনী কাকলির হলফনামা তলব করে আদালত। তাতেই বেরিয়ে পড়ে আসল সত্য। রামচন্দ্রের দাবির সত্যতা রয়েছে বলে বুধবার আদালতে স্বীকার করে নেন কাকলি। তৃতীয় এফআইআর (Contai Tender Scam) সম্পর্কে আদালতে জমা দেওয়া হলফনামায় কাকলি জানিয়েছেন, গত বছর ২৫ ডিসেম্বর কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি তাঁকে জোর তুলে নিয়ে গিয়ে অভিযোগপত্র লিখিয়েছেন এবং তাতে সই করতে বাধ্য করেছেন। তিনি এও জানান, ওই অভিযোগপত্রে যা লেখা রয়েছে, তা তাঁর নিজের অভিযোগে ছিলই না। 

    আদালতের নির্দেশ

    কাকলির হলফনামার প্রেক্ষিতে পুলিশের ভূমিকায় বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি। তাঁর প্রশ্ন, “টেন্ডার দুর্নীতি নিয়ে পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার! এও কি সম্ভব?” এরপরই দায়ের হওয়া মামলার মামলার উপর স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। সেইসঙ্গে, ভুয়ো এফআইআর-এর পিছনে প্রভাবশালী যোগ খুঁজতে সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি। পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে সেই রিপোর্ট আদালতে জমা দেবে সিবিআই। এদিকে, রামচন্দ্র পান্ডাকে নিঃশর্তে জামিন দেয় বিচারপতি মান্থার বেঞ্চ। একইসঙ্গে, এদিন থেকে রামচন্দ্র ও কাকলিকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা ২৪ ঘণ্টা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • TET Scam: ১৪৩ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করল হাইকোর্ট, বেতন বন্ধের নির্দেশ

    TET Scam: ১৪৩ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করল হাইকোর্ট, বেতন বন্ধের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক দুর্নীতি (TET Scam) মামলায় বড় পদক্ষেপ নিল হাইকোর্ট। ফের ১৪৩ জন ভুয়ো শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন ১৪৬ জন শিক্ষকের আবেদনের শুনানি ছিল আদালতে। তাঁদের মধ্যে ১৪৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ বহাল রাখা হল। বিচারপতি সাফ জানিয়ে দেন, এঁদের চাকরি বাতিল করতে হবে। অবিলম্বে বেতন বন্ধের নির্দেশও দেন বিচারপতি।

    আরও পড়ুন: প্রিয়জনদের অস্থি গঙ্গায় ভাসাতে পারবে পাকিস্তানের হিন্দুরা! নয়া নীতি মোদি সরকারের  

    প্রসঙ্গত, প্রত্যেকের চাকরির স্বপক্ষে নথি খতিয়ে দেখে চাকরি (TET Scam) বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই ৫৩ জনের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এই পর্যন্ত সবমিলিয়ে ১৯৬ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিল উচ্চ আদালত। 

    গত ২৩ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। এর আগে এই মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (TET Scam) নির্দেশে ২৬৯ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। ২৩ ডিসেম্বরের শুনানিতে বরখাস্ত হওয়া প্রাথমিক শিক্ষকদের হলফনামা খতিয়ে দেখে প্রথম দফায় তাঁদেরই ৫৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এঁদের মধ্যে একজনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

    বরখাস্ত হওয়া ২৬৯ জনের মধ্যে চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবিতে হাই কোর্টে পাল্টা আবেদন করেন ১৪৬ জন (TET Scam)। এঁদের মধ্যে বুধবারই চাকরি গিয়েছে ১৪৩ জনের। বাকি ৩ জনের মামলার শুনানি ছিল। সেই শুনানিতে প্রাথমিকের দুই শিক্ষক তরুণ কারক এবং প্রসেনজিৎ ভট্টাচার্যকে চাকরিতে বহাল রাখার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি, ওই দুই শিক্ষকের বেতন আবার চালু করার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। নথি খতিয়ে দেখে আবার শুনানি হবে এক জন আবেদনকারীর। 

    অন্য দিকে, বুধবার আরও ৫৯ জন প্রাথমিক শিক্ষক নিজেদের চাকরি বাঁচাতে আদালতে গিয়েছিলেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাঁদের মামলাটি বৃহস্পতিবার শুনবেন তিনি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • Babita Sarkar: এসএসসি-র ভুলে চাকরি? নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ খোদ ববিতা

    Babita Sarkar: এসএসসি-র ভুলে চাকরি? নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ খোদ ববিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের প্রশ্নের মুখে স্কুল সার্ভিস কমিশন (School Service Commission)। নম্বর ভুল দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এসএসসি-র বিরুদ্ধে। মেধা তালিকা প্রকাশ্যে আসতেই ববিতা সরকারের (Babita Sarkar) চাকরি ঘিরে বাঁধল নতুন বিতর্ক। কমিশনের ভুলে ২ নম্বর তিনি বেশি পেয়েছেন বলে দাবি। এসএসসি-র নম্বর বিভ্রাটের জন্যই তাঁর চাকরি হয়েছে, এমন অভিযোগেই মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। ববিতার নম্বর-বিভ্রাট প্রকাশ্যে আসতেই, চাকরির দাবি তুলেছেন, মেধাতালিকায় পরবর্তী নাম থাকা, অনামিকা রায়। আবার তাঁর নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে আদালতের দ্বারস্থ হলেন খোদ ববিতা সরকার। নম্বর সত্যি কম পেলে তাঁর চাকরি চলে যেতে পারে, এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “নিশ্চয়ই, তাঁর লড়াই অন্যায়ের বিরুদ্ধে।”

    ঠিক কী ঘটেছে?

    স্কুল সার্ভিস কমিশন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে রাজ্যের মুখ হয়ে উঠেছিলেন ববিতা সরকার। তাঁর দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতেই এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডের ওপর থেকে পর্দা সরে। কিছু দিন আগেই দুর্নীতির অভিযোগে চাকরি গেছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার। আর সেই চাকরি দেওয়া হয়েছিল ববিতা সরকারকে (Babita Sarkar)। কিন্তু এবারে সেই ববিতার চাকরি পাওয়া নিয়েই ফের বিতর্ক তৈরি হল। ফের একবার প্রশ্নের মুখে এসএসসির ভূমিকা। ভুলবশত তাঁকে অতিরিক্ত ২ নম্বর দিয়েছে এসএসসি, দাবি ববিতা সরকারের।

    আরও পড়ুন: ‘‘কোনও ভুল করেননি নরেন্দ্র মোদি’’, নোটবন্দির সিদ্ধান্তকে সিলমোহর সুপ্রিম কোর্টের

    এসএসসি-র কাছে জমা দেওয়া ববিতার আবেদনপত্রে দেখা যাচ্ছে, স্নাতক স্তরে ৮০০ নম্বরের মধ্যে ৪৪০ নম্বর পেয়েছেন ববিতা। অর্থাৎ, শতকরা হিসাবে ৫৫ শতাংশ। স্নাতকস্তরের প্রাপ্ত নম্বরের শতকরা হিসাব ৬০ শতাংশ বা তার বেশি উল্লেখ করা হয়েছে আবেদনপত্রে। যে কারণে ববিতার ‘অ্যাকাডেমিক স্কোর’ গণনায় ভুল হয়েছে। নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকা চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের দাবি, এই অভিযোগ যদি সত্যি হয়, সে ক্ষেত্রে ববিতার ‘অ্যাকাডেমিক স্কোর’ ৩৩-এর বদলে কমে ৩১ হবে। এতে র‌্যাঙ্কিংয়েও অনেকটাই পিছিয়ে পড়বেন ববিতা। আর এই নিয়ে প্রশ্ন উঠলেই এসএসসির তরফে ব্যাখ্যা চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন ববিতা।

    অন্যদিকে মেধাতালিকায় পরবর্তী নাম থাকা অনামিকা বলেন, “যদি অ্যাকাডেমিকে ২ নম্বর কমে যায়, তা হলে র‌্যাঙ্কও পিছিয়ে যাবে। মেরিট লিস্টে অন্তত ১৪ জনের পিছনে চলে যাওয়ার কথা। সে ক্ষেত্রে চাকরিটা তাঁর (ববিতা) কোনও ভাবেই প্রাপ্য নয়। এই ভাবে দেখলে পরবর্তী প্রার্থী হিসাবে এই চাকরিটা আমারই পাওয়ার কথা। আমি চাই, চাকরিটা আমায় দেওয়া হোক।”

    হাইকোর্টের দ্বারস্থ ববিতা

    ববিতা (Babita Sarkar) অ্যাকাডেমিক স্কোরে ২ নম্বর বেশি পাওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়ে বলেন, “আমি এতদিন বুঝতে পারিনি কমিশন ২ নম্বর বেশি দিয়েছে ভুল করে। আপনারা জানেন আমরা নম্বরই জানতাম না। র‌্যাঙ্ক- এর লিস্ট দেওয়া হয়েছিল।” তিনি আরও বলেন, “বিষয়টি যাতে বিচারপতির নজরে আনা হয়, তার জন্য বলেছি আমাদের আইনজীবীকে। আমার লড়াইটা এসএসসি কমিশনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে। অতীতেও লড়েছি, আগামী দিনেও লড়ব। কোর্ট যা নির্দেশ দেবে, সেই অনুযায়ীই সব হবে।” পরশু অর্থাৎ আগামী বুধবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে।

     

  • TET Scam: প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে নয়া রহস্য! টেট প্রার্থীকে কে ফোন করেছিল জানাল সিবিআই

    TET Scam: প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে নয়া রহস্য! টেট প্রার্থীকে কে ফোন করেছিল জানাল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকে চাকরি দেওয়ার জন্য পর্ষদ অফিস থেকে ফোন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক চাকরি প্রার্থী। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে কয়েক ঘণ্টায় সেই ফোন নম্বর রহস্য ভেদ করে ফেলল সিবিআই। রহস্যময় ফোন নম্বরের প্রসঙ্গে মুখ খুলল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ওই নম্বর পর্ষদের কারও নয়। জেলার কারও হতে পারে বলেই মত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের। সিবিআইয়ের দাবি, ওই নম্বরটি সম্ভবত নদিয়া জেলা প্রাইমারি কাউন্সিলের। ওই ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই। কার নির্দেশে তিনি ফোন করে চাকরির কথা বলেন, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। 

    কী অভিযোগ

    শিল্পা চক্রবর্তী নামে এক টেট পরীক্ষার্থী বুধবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে দাবি করেন, ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর তাঁর কাছে একটি ফোন এসেছিল। পর্ষদ অফিস থেকে ফোন করার কথা ফোনে বলা হয়েছিল। জানতে চাওয়া হয়েছিল, তিনি টেট পরীক্ষা দিয়েছেন কি না। ওই প্রার্থী অভিযোগে জানান, তাঁকে চাকরি হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার জন্য পর্ষদের অফিসে গিয়ে পর্ষদ সভাপতির সঙ্গে দেখা করার কথা বলা হয়েছিল। কোন পর্ষদের অফিসে যাওয়ার কথা বলা হয়েছিল, তা স্পষ্ট ছিল না ওই প্রার্থীর কাছে।

    আরও পড়ুন: ১৫০ অ্যাকাউন্টে সই একজনেরই! সিউড়ির ব্যাঙ্কে সিবিআই হানা, এখানেও কেষ্ট-যোগ?

    কী বলল সিবিআই

    বৃহস্পতিবারই সিবিআই-এর তরফে আদালতে জানানো হয়েছে, ফোন নম্বরটি কার, তা চিহ্নিত করা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার আদালতে সিবিআই-এর আইনজীবী জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ওই নম্বরটি তৎকালীন নদিয়া জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের। এ কথা শুনে বিচারপতি বলেন, ‘আপনারা তদন্ত চালিয়ে যান। যা পদক্ষেপ করার করুন।’ উল্লেখ্য, এই নদিয়ার নাকাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলে রয়েছেন।  প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে বুধবার আরও ১৪০ জনকে চাকরি থেকে পাকাপাকিভাবে বরখাস্ত করেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। অন্যদিকে, প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় আরও একটি নতুন অভিযোগ সামনে এসেছে। একই দিনে, একই সময়ে বেশ কয়েকজন প্রার্থীর কাছে একটি বিশেষ এসএমএস এসেছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। এসএমএসে চাকরি দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে সিবিআই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • TET Scam: আরও ৫৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল, বন্ধ হবে বেতনও! নির্দেশ হাইকোর্টের

    TET Scam: আরও ৫৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল, বন্ধ হবে বেতনও! নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (TET Scam) ফের এক বড় পদক্ষেপ নিল কলকাতা হাইকোর্ট। গতকালের পর ফের আজ আরও ৫৯ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্ট৷ শুধুমাত্র চাকরি নয়, তাঁদের বেতন বন্ধ করে দেওয়ারও নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই নিয়ে সব মিলিয়ে ২৫৫ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করা হল৷

    ফের প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল

    এদিন মোট ৬১ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি ছিল হাইকোর্টে। নিয়োগের নথিপত্র খতিয়ে দেখার পর ৫৯ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বরখাস্তদের বেতনও বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি। প্রাথমিক শিক্ষক হিসাবে কর্মরত বাকি ২ জনের মামলা পরবর্তী শুনানির দিন হবে।

    যাদের চাকরি বাতিল করা হল, তাঁরা যে অর্থের বিনিময়ে প্রাথমিকে শিক্ষকের চাকরি পেয়েছিলেন, তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আজ শুনানির সময় চাকরি খোয়ানোদের আইনজীবীদের প্রতি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাঁদের মক্কেলরা যে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তা তাঁরাও জানেন। মনে করা হচ্ছে, টাকা নেওয়া ব্যক্তিদের হদিশ মিললে নিয়োগ দুর্নীতির আসল মাথাদের কাছে পৌঁছানো যাবে।

    আরও পড়ুন: ১৪৩ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করল হাইকোর্ট, বেতন বন্ধের নির্দেশ

    গতকালেও বাতিল হয়েছে চাকরি

    এর আগে বুধবারই ১৪৩ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করা হয়েছে। প্রাথমিকে নিয়োগে অনিয়মের জন্য যাঁদের চাকরি গিয়েছিল, বুধবার তাঁদের মধ্যে ১৪৬ জন প্রাথমিক শিক্ষকের আবেদনের শুনানি ছিল হাইকোর্টে। বিচারপতি তাঁদের সমস্ত নথি খতিয়ে দেখার পর ১৪৬ জনের মধ্যে ১৪৩ জনেরই চাকরি বাতিলের নির্দেশ বহাল রাখেন। অবিলম্বে তাঁদের বেতন বন্ধেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। এবার বৃহস্পতিবারেও ৫৯ জনের চাকরি বাতিল করলেন তিনি।

    প্রসঙ্গত, প্রাথমিকে কারচুপি করে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে গত বছরই ২৬৮ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিযুক্ত শিক্ষকেরা। কিন্তু শীর্ষ আদালত তাঁদের সাফ জানায়, কলকাতা হাইকোর্টেই তাঁদের মামলা শোনা হবে৷ এর পর ২৬৮ জনের মধ্যে চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবিতে হাইকোর্টে পাল্টা আবেদন করেন ১৪৬ জন (TET Scam)। এঁদের মধ্যে বুধবারই চাকরি গিয়েছে ১৪৩ জনের। আবার গত ডিসেম্বর মাসেও প্রাথমিকে কর্মরত ৫৩ জনের চাকরি বাতিল করেছিল আদালত। আর আজ চাকরি গেল ৫৯ জনের। ফলে মোট চাকরি হারালেন ২৫৫ জন।

  • Suvendu Adhikari: কাঁথির টেন্ডার দুর্নীতি মামলাতেও হাইকোর্টের রক্ষাকবচ পেলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: কাঁথির টেন্ডার দুর্নীতি মামলাতেও হাইকোর্টের রক্ষাকবচ পেলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগের পাঁচটি মামলার মতোই কাঁথির টেন্ডার দুর্নীতি মামলাতেও শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর ‘রক্ষাকবচ’ আগামী ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়াল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। আগামী ৫ জানুয়ারি টেন্ডার দুর্নীতি মামলার পরবর্তী শুনানি।

    শুভেন্দুর আইনজীবী যা বললেন 

    এদিন মামলার শুনানিতে শুভেন্দুর আইনজীবী বলেন, গত ২৮ নভেম্বর তাঁর মক্কেলের পক্ষে রায় দেওয়া হয়েছিল। অথচ ২৮ নভেম্বর নতুন মামলা হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। আইনজীবীর অভিযোগ, সেই তথ্য রাজ্য সরকার গোপন করেছে আদালতে। উল্লেখ্য, তাঁর বিরুদ্ধে মোট ২৬টি এফআইআর রয়েছে বিভিন্ন থানায়। তার পরিপ্রেক্ষিতেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু অধিকারী। আদালতে বিরোধী দলনেতার আইনজীবী জানান, এই সমস্ত মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। শুভেন্দুবাবুর প্রতি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে মামলাগুলি দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে কোনও মামলারই কোনও ভিত্তি নেই। অকারণে হেনস্থা করতে পুলিশকে ব্যবহার করতে চাইছে তৃণমূল ও রাজ্য সরকার।

    আরও পড়ুুন: ‘নিম্নমানের, নিম্নরুচির রাজনীতিবিদ’, জয় শ্রীরাম স্লোগান বিতর্কে মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    বিচারপতির পর্যবেক্ষণ

    শুভেন্দু মামলায় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার পর্যবেক্ষণ ছিল, শুভেন্দু অধিকারী একটা সময়ে তৃণমূলে ছিলেন। বর্তমানে তিনি বিরোধী দলেনতা। মানুষের ভোটে নির্বাচিত। ফলে পুলিশ নিজে অথবা অন্য কারও নির্দেশে তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তুলে বিরোধী দলনেতার কাজ স্তব্ধ করার চেষ্টাও করতে পারে। এই ইস্যুতে ২৬টি এফআইআরেই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। স্পষ্ট বলা হয়েছিল, কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি ছাড়া শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নতুন করে আরও কোনও এফআইআর করা যাবে না।  এরপরেও তাঁর নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে দাবি করেন শুভেন্দুর আইনজীবী। যদিও এব্যাপারে নিজের বক্তব্য এদিন জানায়নি রাজ্য সরকার। আগামী ৫ জানুয়ারি মামলাটির শুনানিতে রাজ্যের পক্ষ রাখবেন অ্যাডভোকেট জেনারেল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Anubrata Mondal: জেলে বসেও গরুপাচারের মূল অভিযুক্ত এনামুলের সঙ্গে কথা হয়েছে অনুব্রতর, দাবি সিবিআই- এর

    Anubrata Mondal: জেলে বসেও গরুপাচারের মূল অভিযুক্ত এনামুলের সঙ্গে কথা হয়েছে অনুব্রতর, দাবি সিবিআই- এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েক মাস ধরেই জেলে রয়েছেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। কিন্তু জেলেও কমেনি তাঁর দাপট। জেলের মধ্যে বসেও অবাধে চলেছে অবৈধ কার্যকলাপ। জেলে বসেই গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হক-সহ একাধিক ঘনিষ্ঠের সঙ্গে কথা বলেছেন কেষ্ট মণ্ডল। এমনটাই দাবি করল সিবিআই। আর এই তথ্য সামনে রেখেই অনুব্রতর জামিনের বিরোধীতা করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। 

    আজ, মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চে অনুব্রতর (Anubrata Mondal) জামিন মামলার শুনানি ছিল। সিবিআইয়ের গ্রেফতারি থেকে জামিনের আবেদন করেছিলেন তৃণমূল নেতা। ফের প্রভাবশালী তত্ত্বকে সামনে রেখে অনুব্রতের জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআই। সিবিআই কেষ্টকে ‘এলাকার রাজনৈতিক দৈত্য’ বলেও মন্তব্য করে। অনুব্রতের আইনজীবী কপিল সিব্বল তাঁর হয়ে সওয়াল করে বলেন, “একই মামলায় সতীশ কুমাররা জামিন পেয়েছেন। তখন অনুব্রত কেন ১৪৫ দিন জেলে কাটাবেন?” এই সওয়ালের বিরোধীতা করেই সিবিআই দাবি করে গরু পাচার মামলার অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হকের সঙ্গে প্রায়শই ফোনে কথা হত অনুব্রতের। সিবিআইয়ের আইনজীবী ডিপি সিংহ আদালতে দাবি করেন, আসানসোল জেলে থাকার সময়ও অনুব্রত এনামুলের সঙ্গে কথা বলেছেন। 

    আদালতের বক্তব্য

    সিবিআইয়ের এই দাবির পক্ষে প্রমাণ চায় আদালত। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী সিবিআইকে প্রশ্ন করেন, “আপনারা ফোনের বিস্তারিত তথ্য খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছেন? কোনও কল রেকর্ড রয়েছে?” উত্তরে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, “ফেস টাইমের মাধ্যমে কথা হয়েছে ওঁদের (Anubrata Mondal)। তাই তাই কল রেকর্ড পাওয়া যায়নি।” বিচারপতি বাগচীর পাল্টা প্রশ্ন, “ফেস টাইমের মাধ্যমে কথা হলেও ফোনের আইএমইআই নম্বর বা কোন এলাকা থেকে কথা হয়েছে, সেটা তো জানা যায়। কেন এক মাসের মধ্যেও সেটা বের করতে পারল না সিবিআই?” সিবিআই জানায়, এ বিষয়ে তদন্ত চালানো হচ্ছে। দু তরফের সওয়াল-জবাব শোনার পর জামিন মামলার রায়দান স্থগিত রেখেছে বেঞ্চ। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামীকাল, ৪ জানুয়ারি।

    আরও পড়ুন: ‘‘সিএএ তো হবেই, পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি-ও চাই’’, সুকান্তর বালুরঘাটে বললেন শুভেন্দু

    গত বছরের অগাস্ট মাসে গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। অনুব্রতকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে সিবিআই। পরে ওই একই মামলায় অনুব্রতকে হেফাজতে নিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তিনি আপাতত আসানসোল জেলে রয়েছেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Stridhan: স্ত্রীকে স্ত্রীধন থেকে বঞ্চিত করা গার্হস্থ্য হিংসার সামিল! অভিমত হাইকোর্টের

    Stridhan: স্ত্রীকে স্ত্রীধন থেকে বঞ্চিত করা গার্হস্থ্য হিংসার সামিল! অভিমত হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  স্ত্রীকে স্ত্রীধন অথবা অন্য কোনও অর্থনৈতিক সম্পদ থেকে বঞ্চিত করাকেও গার্হস্থ্য হিংসা হিসাবেই ধরা হবে, বলে জানাল কলকাতা হাইকোর্ট। স্বেচ্ছায় মেয়ের বাড়ির লোকেরা বিয়ের সময় তাঁকে যে উপহার দিয়ে থাকেন তাই হল স্ত্রীধন। অনেক সময় বিয়ের পরে বউয়ের কাছ থেকে সেই সম্পদ কেড়ে নেওয়া হয়। এবার থেকে এই ধরনের ঘটনাকেও গার্হস্থ্য হিংসা বলেই ধরা হবে। একটি মামলার প্রেক্ষিতে একথা জানান হাইকোর্টের একক বেঞ্চের বিচারপতি শুভেন্দু সামন্ত।

    কী বলল আদালত

    বিচারপতি শুভেন্দু সামন্ত বলেন, ‘‘কোনও আর্থিক বা অর্থনৈতিক সম্পদ থেকে মামলাকারীকে বঞ্চিত করা গার্হস্থ্য হিংসা হিসাবেই বিবেচিত হবে। এ ক্ষেত্রে এটা সত্য যে আবেদনকারীকে তাঁর স্ত্রীধন থেকে দীর্ঘদিন বঞ্চিত করে রাখা হয়েছিল। যা অপর পক্ষের হেফাজতে ছিল। এই বাস্তব পরিস্থিতিতে স্ত্রীধন নিজেদের কাছে আটকে রাখাও গার্হস্থ্য হিংসার আওতায় পড়ে।’’ পাশাপাশি, এই মামলায় হাওড়ার এক নিম্ন আদালতের রায়ও খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি সামন্ত। সেই রায়ে হাওড়ার নিম্ন আদালত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রায় খারিজ করে জানিয়ে দিয়েছিল, বিধবাকে শ্বশুর ও শাশুড়ির তরফে কোনও ধরনের আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন নেই।

    আরও পড়ুন: শিবঠাকুর মণ্ডল মামলায় জামিন অনুব্রতের! এবার ইডির হাত ধরে দিল্লি যাত্রা?

    প্রসঙ্গত, হাওড়া আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই হাইকোর্টে আসেন ওই মহিলা। ২০১০ সালে তাঁর স্বামীর মৃত্যু হয়। স্বামীর মৃত্যুর দু’দিন পরে কোনও আর্থিক সহায়তা ছাড়াই তাঁকে স্বামীর বাড়ি থেকে বার করে দেওয়া হয়। ফিরে পাননি স্ত্রীধনও। এই প্রেক্ষিতে তিনি মামলা করেন আদালতে। নিম্ন আদালত হয়ে সেই মামলা হাইকোর্টে পৌঁছোয়। হাইকোর্টে সুবিচার পেলেন ওই মহিলা, এমনই অভিমত সমাজকর্মীদের। বহু মহিলাকেই এভাবে স্ত্রীধন থেকে বঞ্চিত করা হয়। এবার থেকে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হতে পারবেন সুবিচারের আশায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share