Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Soham Chakraborty: চড়কাণ্ডে সোহমের বিরুদ্ধে মামলা রেস্তোরাঁ মালিকের, উঠল পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও

    Soham Chakraborty: চড়কাণ্ডে সোহমের বিরুদ্ধে মামলা রেস্তোরাঁ মালিকের, উঠল পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিউটাউনের রেস্তোরাঁ মালিককে নিগ্রহের ঘটনায় এবার জল গড়াল আদালতে। অভিনেতা তথা চণ্ডীপুরের বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর (Soham Chakraborty) বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন ওই রেস্তোরাঁর মালিক আনিসুল আলম। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, সোহমের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না পুলিশ। এ বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিন‍্‍হার একক বেঞ্চ মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন রেস্তোরাঁর মালিককে। চলতি সপ্তাহেই এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

    সোহমের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রেস্তোরাঁর মালিক (Soham Chakraborty) 

    রেস্তোরাঁ মালিক আনিসুল ইসলাম ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ধরনের হুমকির মুখে পড়ছেন বলে অভিযোগ। এমন অবস্থায় নিজেদের নিরাপত্তা ও যথাযথ তদন্তের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রেস্তোরাঁর মালিক। একইসঙ্গে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও অসন্তোষ রয়েছে মামলাকারী পক্ষের। আনিসুলের আইনজীবীর দাবি, তাঁর মক্কেল এবং পরিবারকে হুমকি দিচ্ছেন ওই জনপ্রতিনিধি। পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও কাজ হয়নি। ঘটনার পর থেকেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ওই রেস্তোরাঁর মালিক। সেই প্রেক্ষিতে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) সোহমের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: পরবর্তী সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী, চলতি মাসেই দায়িত্ব গ্রহণ

    হোটেল মালিকের অভিযোগ 

    অনিসুল অভিযোগ করেন, “ঘটনার পর তাঁকে থানায় ডেকে বিষয়টি মিটমাট করে নিতে চাপ দেওয়া হয়। তাতে রাজি না হওয়ায় তৃণমূল বিধায়কের (Soham Chakraborty) পক্ষ থেকে তাদের নানা রকম হুমকি দেওয়া হচ্ছে। রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিও এসেছে। সমস্ত কথা পুলিশকে জানালেও সোহমের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করছে না থানা। তার জেরেই তিনি হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।” যদিও পরে অভিনেতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। 

    ঠিক কী ঘটেছিল?  

    গত শুক্রবার সন্ধ্যেবেলা শুটিং করতে গিয়ে নিউটাউন সাপুরজি এলাকার একটি রেস্তোরাঁর মালিককে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল সোহম চক্রবর্তীর (Soham Chakraborty) বিরুদ্ধে। এরপর মারধরের অভিযোগ স্বীকার করে সোহম দাবি করেছিলেন, বচসা চলাকালীন হোটেল মালিক তাঁর নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কটূক্তি করেন। এতেই রেগে যান তিনি। আর তখনই সূত্রপাত হয় এই ঘটনার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: বিচারপতি অমৃতা সিনহার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন! মামলা গেল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে

    Calcutta High Court: বিচারপতি অমৃতা সিনহার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন! মামলা গেল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ এক নজিরবিহীন ঘটনা। এবার বিচারপতির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অমৃতা সিনহার (justice Amrita Sinha) এজলাসে দেওয়া মামলার বিচার শুরুর আগেই তাঁর বিরুদ্ধে নিরপেক্ষতার অভিযোগ তুলে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল হাইকোর্টে। আগামী ১০ জুন গরমের ছুটির পরে হাইকোর্ট চালুর প্রথম দিন থেকেই বিচারপতি সিনহার পুলিশ সংক্রান্ত মামলার বিচার করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই মামলা শুরুর আগেই দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা।

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Calcutta High Court) 

    কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নির্ধারিত ‘রস্টার’ মোতাবেক গ্রীষ্মকালিন ছুটির পর পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা এবং অতি সক্রিয়তা সংক্রান্ত মামলাগুলির শুনানির দায়িত্ব গিয়েছিল বিচারপতি অমৃতা সিনহার (justice Amrita Sinha) এজলাসে। কিন্তু, নজিরবিহীনভাবে তাঁর এজলাসে এই সংক্রান্ত কোনও মামলা যাওয়ার আগেই বিচারপতির নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। 

    আরও পড়ুন: নিয়োগ-দুর্নীতি তদন্তে নয়া মোড়! জেলবন্দি পার্থর আরও সম্পত্তির হদিশ পেল ইডি

    মামলাটিতে হস্তক্ষেপ করল না ডিভিশন বেঞ্চ 

    জানা গিয়েছে, কেন তাঁর এজলাসে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা কিংবা অতি সক্রিয়তার মামলার শুনানি হবে? এই প্রশ্ন তুলে অমৃতা সিনহার নিরপেক্ষতা নিয়ে দায়ের হয়েছে এই জনস্বার্থ মামলা। বৃহস্পতিবার গরমের ছুটির অবকাশকালীন বিচারপতি কৌশিক চন্দের ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলাটির (Calcutta High Court) শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু, বিচারপতি অমৃতা সিনহার (justice Amrita Sinha) বিচার্য বিষয় বদলের আবেদন সংক্রান্ত এই জনস্বার্থ মামলাটির প্রেক্ষিতে কোনও হস্তক্ষেপ করেনি বিচারপতি কৌশিক চন্দের ডিভিশন বেঞ্চ। ইতিমধ্যেই মামলাটি ফেরত পাঠানো হয়েছে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে। উল্লেখ্য, বর্তমানে কলকাতা হাইকোর্টে গ্রীষ্মকালীন ছুটি চলছে। আগামী ১০ জুন ফের শুরু হবে আদালত। এরপরেই প্রধান বিচারপতির দেওয়া রস্টার মোতাবেক মামলা শুনবেন অন্যান্য বিচারপতিরা। 
    প্রসঙ্গত, কোনও বিচারপতির রায় পছন্দ না হলে তাঁর নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা, এজলাসের সামনে ধর্না, এজলাস বয়কট, এমনকি, ওই এজলাস থেকে মামলা সরানোর জন্য প্রধান বিচারপতির এজলাসে আবেদন— সবই হয়েছে অতীতে। তবে কোনও বিচারপতির এজলাসে মামলা শুরুর আগেই তাঁর নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা এবং জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা নজিরবিহীন বলেই মনে করছেন অনেকে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: রেখা পাত্র এবং  আরও ৫ বিজেপি কর্মীকে স্বস্তি দিয়ে জামিনের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: রেখা পাত্র এবং আরও ৫ বিজেপি কর্মীকে স্বস্তি দিয়ে জামিনের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ১ জুন  শনিবার সপ্তম দফা অর্থাৎ শেষ দফার নির্বাচন। গতকাল বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে লোকসভার নির্বাচনী শেষ প্রচার। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বিরাট স্বস্তি পেলেন বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র এবং ৫ বিজেপি কর্মী। গতকাল তাঁদের সকলকে জামিনের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। উল্লেখ্য সন্দেশখালি নারী নির্যাতনের মূলচক্রী তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে অন্যতম প্রধান প্রতিবাদী চরিত্র ছিলেন রেখা পাত্র। তাঁকেই বসিরহাট লোকসভার প্রার্থী করে বিজেপি বিরাট চমক দিয়েছে।

    ৬ মে অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করেছিল তৃণমূল (Calcutta High Court)

    গত ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি থেকে সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে ক্ষোভের আন্দোলন উত্তাল হয়ে উঠেছিল। কিন্তু লোকসভার মধ্যেই আরেকবার নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় সন্দেশখালিতে। গত ৬ মে অস্ত্র নিয়ে বিজেপি কর্মীদের উপর তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব হামলা করেছিল। এই ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ জানালেও কাউকে গ্রেফতার করেনি। প্রতিবাদে থানার সামনে বসে অবস্থান বিক্ষোভ করে বিজেপির কর্মীরা। এরপর এক অভিযুক্তের বাড়িতে ৪০-৫০ জন মিলে লাঠি নিয়ে আক্রমণ করে। এমনকী মারধরের ঘটনাও ঘটে। এই ঘটনাকে ঘিরে পুলিশ পাল্টা রেখা পাত্র এবং আরও কিছু বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করে। এরপর মামলায় জামিন নিতে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয় বিজেপি। অবশেষে স্বস্তি মিলেছে হাইকোর্টে।

    আইনজীবীর বক্তব্য

    মামলার শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবী বলেন, “পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করেছে। প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। মূল অভিযুক্তরা এখনও গ্রেফতার হয়নি। আবার যে ব্যক্তির বাড়িতে মারধর করা হয়েছে সেই ঘটনায় এখনও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেননি। তাই যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে তাঁদেরকে স্বস্তি দিয়ে আদালতে (Calcutta High Court) জামিন মঞ্জুর করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। রেখা পাত্রের সঙ্গে আরও পাঁচ সঙ্গীর নাম হল অজিত সর্দার, গীতা বর, সুপ্রকাশ মণ্ডল, উৎপল মাইতি এবং সুদেব দে। প্রত্যেকেই জামিন পেয়েছেন।”

    হাইকোর্টের বক্তব্য

    কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) এইদিন জামিন দেওয়ার সময় বক্তব্য ছিল, “অস্ত্র নিয়ে হামলা অত্যন্ত দুঃখজনক। এতে যে এখনও পর্যন্ত কোনও গ্রেফতারি হয়নি সেটাও দুর্ভাগ্যজনক বিষয়।” দ্রুত এই বিষয়ে পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। সেই সঙ্গে রেখা পাত্র এবং আরও ৫ বিজপি কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআরের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ। 

  • Private Tuition: সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন বন্ধের নির্দেশ, সময় বেঁধে দিল হাইকোর্ট

    Private Tuition: সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন বন্ধের নির্দেশ, সময় বেঁধে দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকার নিয়ন্ত্রিত স্কুলের শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন (Private Tuition) বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এখনও সেই নির্দেশ মানা হয়নি বলে অভিযোগ। এবার সেই বিষয়ে সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং জেলা স্কুল পরিদর্শককে নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। এ প্রসঙ্গে স্কুল শিক্ষা দফতরকে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবগণনমের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, আগামী আট সপ্তাহের মধ্যে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং জেলা স্কুল পরিদর্শককে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

    আদালতে সওয়াল জবাব

    স্কুল শিক্ষকরা যে প্রাইভেট টিউশন (Private Tuition) করাতে পারবেন না, কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) সেই নির্দেশ আগেই ছিল। তবে অভিযোগ উঠছে, এখনও স্কুল শিক্ষকরা জেলায় জেলায় প্রাইভেট টিউশন করাচ্ছেন। সম্প্রতি এ নিয়ে কলকাতায় হাইকোর্টে একটি আদালত অবমাননার মামলা হয়েছে। এই মামলা করে ‘গৃহশিক্ষক কল্যাণ সমিতি’। এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর দাস জানান ২০২৩-এর ১ মে আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, ওই শিক্ষকদের টিউশন বন্ধের জন্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে তিন মাসের মধ্যে পদক্ষেপ নিতে হবে। স্কুলের শিক্ষকরা প্রাইভেট টিউশন করছেন না বলে পর্ষদ বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে মুচলেকা চায়। সমিতির অভিযোগ, মুচলেকা দেওয়ার পরেও শিক্ষকরা টিউশন করছেন। গত ডিসেম্বরে ফের আদালত অবমাননা মামলা করেন সমিতি। এই মামলার শুনানির পর দীপঙ্কর বলেন, ‘‘এ বার আদালত পর্ষদ এবং সমস্ত জেলা স্কুল পরিদর্শকদের নিয়ে একটা কমিটি করতে বলেছে স্কুল শিক্ষা দফতরকে। প্রধান শিক্ষকদের মুচলেখা ঠিক কিনা এবং কী করে এই প্রাইভেট টিউশন বন্ধ হবে সে সম্পর্কে একটা রিপোর্ট আট সপ্তাহের মধ্যে হাই কোর্টকে জমা দিতে হবে।’’

    আরও পড়ুন: আরও পড়ুন: আজ কলকাতায় মেগা রোড-শো মোদির, রয়েছে অশোকনগর ও বারুইপুরে জোড়া সভাও

    আদালতের নির্দেশ

    সরকারি এবং সরকার পোষিত স্কুলের কর্মরত শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন (Private Tuition) আগেই অবৈধ বলে জানিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এ নিয়ে রাজ্য সরকারের নিয়ম রয়েছে। ২০১৮ সালের মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়, পর্ষদের আওতাভুক্ত সরকারি স্কুল বা সরকার পোষিত স্কুলের শিক্ষকরা নিজের বাড়িতে বা কোনও প্রতিষ্ঠানে প্রাইভেট টিউশন করাতে পারবেন না। সরকারের নির্দেশিকা না মেনে কেউ প্রাইভেট টিউশন করালে সেটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু, তারপরেও প্রাইভেট টিউশন চলতে থাকে। সরকার এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করছে না বলে অভিযোগ। এবার প্রধান বিচারপতির টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ২০১৮ সালে শিক্ষকদের জন্য যে বিধি তৈরি হয়েছে সেই অনুযায়ী, সরকারি শিক্ষকরা প্রাইভেট টিউশন করাতে পারবেন না। কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশনকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ করতে হবে। নইলে আদালত উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rajasthan Govt: মুসলমানদের ওবিসি শংসাপত্র, এবার খতিয়ে দেখবে রাজস্থান সরকার

    Rajasthan Govt: মুসলমানদের ওবিসি শংসাপত্র, এবার খতিয়ে দেখবে রাজস্থান সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র দু’দিন আগেই পশ্চিমবঙ্গের ৭৭টি শ্রেণিকে (যার সিংহভাগই মুসলমান এবং তাদের ওবিসি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল তৃণমূল জমানায়) দেওয়া ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তা নিয়ে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য-রাজনীতি। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও উচ্চতর আদালতের এই রায়ের প্রসঙ্গে নিশানা (Rajasthan Govt) করেছেন তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “কলকাতা হাইকোর্টের এই রায় রাজ্যকে কষিয়ে এক থাপ্পড়।”

    কাদের ওবিসি শংসাপত্র! (Rajasthan Govt)

    আদালতের এই রায়ের দু’দিনের মধ্যেই বিজেপি নেতৃত্বাধীন রাজস্থান সরকার পূর্বতন সরকারের আমলে কাদের ওবিসি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে, তা পুনর্মূল্যায়ন করতে চলেছে। ২৪ মে রাজস্থানের সোশ্যাল জাস্টিস অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট মন্ত্রী অবনীশ গেহলট বলেন, “তুষ্টিকরণের রাজনীতির অংশ হিসেবে কংগ্রেস ১৪টি মুসলিম শ্রেণিকে ১৯৯৭ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে ওবিসি সংরক্ষণের আওতায় নিয়ে এসেছিল।” তিনি বলেন, “এ সংক্রান্ত সমস্ত সার্কুলার আমাদের রয়েছে। যথা সময়ে দফতর ও সরকার এটি পুনর্মূল্যায়ন করবে।” গেহলট বলেন (Rajasthan Govt), “ধর্মের ভিত্তিতে কোনও শ্রেণিকে সংরক্ষণের আওতায় নিয়ে আসা সংবিধানের নীতিবিরুদ্ধ। আমরা এ ব্যাপারে একগুচ্ছ অভিযোগ পেয়েছি। দফতর অভিযোগগুলি যাচাই করে দেখছে। এজন্য উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    রাজস্থানে সরকারি চাকরিতে ওবিসিদের জন্য সংরক্ষণের হার ২১ শতাংশ। চলতি বছর এপ্রিল মাসে এসসি, এসটি এবং ওবিসিদের জন্য সংরক্ষণের কোটা কমিয়ে দিয়ে মুসলমানদের জন্য সংরক্ষণের ঢালাও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে এক নির্বাচনী জনসভায় অভিযোগ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। তিনি বলেছিলেন, “আমি কংগ্রেসকে জিজ্ঞাসা করতে চাই এরা কী দলিত, উপজাতি এবং পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য সংরক্ষণ কমিয়ে দিয়ে মুসলমানদের সংরক্ষণের কথা ঘোষণা করবে না? যদি তা না করে, তাহলে দেশবাসীকে কথা দিতে হবে।”

    আর পড়ুন: মোদির ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পের সুফল, ব্যাপক বংশবৃদ্ধি গাঙ্গেয় ডলফিনের

    প্রসঙ্গত, দিন দুয়েক আগে ২০১০ সালের পরে তৈরি হওয়া সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশে বাতিল হতে চলেছে প্রায় ৫ লাখ ওবিসি সার্টিফিকেট। যদিও ২০১০ সালের পরে ওবিসি সংরক্ষণের কারণে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন বা নিয়োগপ্রক্রিয়ায় রয়েছেন, তাঁদের চাকরি বহাল থাকবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে আদালত। তবে বাকিরা আর চাকরিপ্রক্রিয়ায় ওই সার্টিফিকেট ব্যবহার করতে পারবেন না বলেই নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চের। বেঞ্চের নির্দেশ, ১৯৯৩ সালের ওবিসি সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী রাজ্যকে ফের নতুন করে তালিকা তৈরি করতে হবে (Rajasthan Govt)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: হাইকোর্টে স্বস্তি হিরণের, তদন্ত করতে পারবে না পুলিশ, অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: হাইকোর্টে স্বস্তি হিরণের, তদন্ত করতে পারবে না পুলিশ, অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘাটালে বিজেপি প্রার্থী হিরন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর-এ অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিনের মামলায় হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতার সিনহার বেঞ্চ জানিয়েছে, ১৭ জুন এই মামলার পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিতাদেশ বজায় থাকবে। এর পাশাপাশি হিরণে বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত করতে পারবে না পুলিশ, এমন নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। জানা গিয়েছে, মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১০ জুন।

    আরও পড়ুন: ম্যালেরিয়া নাশে নয়া ভ্যাকসিন, আবিষ্কারের পথে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা

    মূল ঘটনা, ভাইরাল অডিও

    প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ১৮ তারিখ তৃণমূলের ব্লক সভাপতি দিলীপ মাজির অভিযোগের ভিত্তিতে ঘাটাল থানায় হিরণোর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। সেখানে হিরণ ছাড়াও আরও তিনজনের নাম ছিল। ওই অভিযোগ অনুযায়ী, ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী তথা অভিনেতা দেবের একটি ভুয়ো অডিও তৈরি করে তা সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন হিরণ। এই মর্মেই মামলার জল গড়ায় হাইকোর্ট (Calcutta High Court) পর্যন্ত। কিন্তু এদিন সে সবকিছুতে স্থগিতাদেশ দিল উচ্চ আদালত (Calcutta High Court)। প্রসঙ্গত, মামলা দায়ের হওয়ার পরেই এফআইআর-কে চ্যালেঞ্জ করে হিরণ আদালতে যান। ওই এফআইআর-এ নাম থাকা স্থানীয় বিজেপি নেতা তমোঘ্ন দেও এফআইআর-এর বিরুদ্ধে মামলা করেন।

    কী বলেছিলেন হিরণ

    ওই অডিও ক্লিপ ভাইরাল হতেই দেব মামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। সেই সময়ে ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরন বলেছিলেন,‘‘আমি তো এটাই চেয়েছিলাম। উনি কোর্টে যান। তাহলে কালীঘাটের কাকুর মতো দেবেরও গলার স্বর পরীক্ষা হলেই সবটা প্রমাণ হয়ে যাবে।’’ প্রসঙ্গত আগামীকালই ঘাটালে ভোট রয়েছে। সেখানে বিজেপি এবং তৃণমূল প্রার্থী করেছে দুই তারকাকে। বিজেপি প্রার্থী হীরণ চট্টোপাধ্যায়, অন্যদিকে তৃণমূল প্রার্থী অভিনেতা দেব। টলিউডের দুই তারকার মধ্যে কে জেতেন তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ৪ জুন পর্যন্ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CV Anand Bose: বড় স্বস্তি রাজভবনের! তদন্তে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ

    CV Anand Bose: বড় স্বস্তি রাজভবনের! তদন্তে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপালের (C V Anand Bose) বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশের কাছে দায়ের করা শ্লীলতাহানির অভিযোগের ঘটনায় পুলিশি তদন্তের উপর অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। মামলার পরবর্তী শুনানি ১০ জুন।  

    পুলিশের অতিসক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠল আদালতে

    আদালত জানিয়েছে যে অভিযোগ দায়ের হয়েছে সেই এফআইআরের ভিত্তিতে নতুন করে আর কাউকে তলব করা যাবে না। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে লোকসভা ভোট মিটে যাওয়ার পর ১০ জুন। ততদিন পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বহাল রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    আরও পড়ুন: : নন্দীগ্রাম কাণ্ডে কমিশনের অজুহাতে রাজ্যপালকে রিপোর্ট দিতে নারাজ রাজ্য

    সম্প্রতি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন রাজভবনের এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী। রাজ্যপাল নাকি তাঁকে প্রলোভন দেখিয়ে শ্লীলতাহানি করেন বলে অভিযোগ করেন ওই তরুণীর। এর পাল্টা রাজ্যপাল স্পষ্টভাবে বলেছিলেন তিনি দিদিগিরি বরদাস্ত করবেন না। অর্থাৎ শাসকদলের সুপ্রিমর অঙ্গুলিহেলনে এই অভিযোগ হয়েছিল স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল রাজ্যপালের (C V Anand Bose)। প্রথমে মহিলার বক্তব্য রেকর্ড করে তাঁকে ছেড়ে দিলেও পরে হেয়ার স্ট্রিট থানায় জমা পড়ে অভিযোগ। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে শুরু করে লালবাজার। রাজভবনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি রাজ্যপালের ওএসডি সন্দীপ সিংহ সহ রাজভবনের তিনজন কর্মীকে ৪১ (এ) ধারায় নোটিশ পাঠিয়ে তলব করে কলকাতা পুলিশ।  

    পুলিশ সহযোগিতা করেনি, অভিযোগ রাজভবনের কর্মীদের

    রাজভবনের কর্মীদের অভিযোগ, স্পষ্টভাবে তাঁদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আছে এই বিষয়টি জানতে চাওয়া হলেও কলকাতা পুলিশ খোলসা করে তাঁদের কিছু বলেনি। তাঁদের সঙ্গে সহযোগিতা করেনি। এর পর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। রাজভবনের কয়েকজন কর্মীর অভিযোগ ছিল পুলিশ তাঁদের ভয় দেখাচ্ছে। ওই আবেদনের শুনানির দিনই সংশ্লিষ্ট মামলায় পুলিশের তদন্তের উপর অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। স্বাভাবিকভাবেই আদালতের স্থগিতাদেশ চলে আসায় কলকাতা পুলিশের মুখ পুড়েছে এই মামলায়। রাজ্যপালের (C V Anand Bose) বিরুদ্ধে মামলা যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত সেই তত্ত্ব আরও জোরালো হল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA: ভূপতিনগরকাণ্ডে এনআইএ আধিকারিকের বদলি চেয়েছিল তৃণমূল! হস্তক্ষেপে না হাইকোর্টের

    NIA: ভূপতিনগরকাণ্ডে এনআইএ আধিকারিকের বদলি চেয়েছিল তৃণমূল! হস্তক্ষেপে না হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের মাঝে ভূপতিনগরকাণ্ডে দুই তৃণমূল নেতার গ্রেফতারির ঘটনায় এনআইয়ের (NIA) আধিকারিক ধনরাম সিংহের বদলির আবেদনে হস্তক্ষেপ করল না কলকাতা হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, তাদের দলের নেতা গ্রেফতার হতেই আদালতে আবেদন জানায় শাসক দল এবং এদিনই সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে উচ্চ আদালত। হাইকোর্টের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের বদলির বিষয়টি তাদের এক্তিয়ারভুক্ত নয়।

    আরও পড়ুন: “আইসি মিটিং করেছেন খুনিদের সঙ্গে! মজা দেখাব”, নন্দীগ্রাম থানার পুলিশকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    তৃণমূল কংগ্রেস প্রথমে গিয়েছিল নির্বাচন কমিশনের কাছে

    প্রসঙ্গত, উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার আগে তৃণমূল কংগ্রেস প্রথমে গিয়েছিল নির্বাচন কমিশনের কাছে। সেখানেও কোনও রকমে সুরাহা মেলেনি। এরপরেই তারা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে এদিনই এনআইএ (NIA) আদালতে দাবি করে, তদন্ত থেকে বাঁচতেই এই ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানানো যেতে পারে কিন্তু কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের বদলি সিদ্ধান্ত হাইকোর্ট নিতে পারেনা।

    তৃণমূলের দাবি খারিজ জিতেন্দ্রর

    অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস এতদিন ধরে যে দাবি করে আসছে যে জিতেন্দ্র তিওয়ারির সঙ্গে ধনরাম সিংহের বৈঠকের পরেই অতি সক্রিয় হয়েছে এনআইএ। তারা দাবি করেছিল, গত ২৬ মার্চ ধনরাম সিং-এর বাড়িতে গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছেন আসানসোলের বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি। জিতেন্দ্র তিওয়ারির দাবি, তৃণমূল যদি প্রমাণ করতে পারে যে এনআইয়ের আধিকারিকের সঙ্গে তার কোনও বৈঠক হয়েছে তবে তিনি রাজনীতির ময়দান থেকে সম্পূর্ণভাবে সরে যাবেন। এই মর্মে সামনে এসেছে বিজেপির বক্তব্য। রাজ্য বিজেপির দাবি, চাপে পড়ে এনআই-এর তদন্তকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলছে তৃণমূল। তাই এনআইএ-এর (NIA) বিরুদ্ধে ভূপতি নগরের শ্লীলতাহানির অভিযোগও করেছে বিজেপি।

    আরও পড়ুনঃ রামকৃষ্ণ মিশনে হামলাকারীর ছবিতে মিলল পুলিশকর্তা-তৃণমূল নেতার যোগ!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • OBC status in WB: ভোটব্যাঙ্ক! তৃণমূল জমানায় ওবিসি হয়েছিল যারা, খারিজ করেছে হাইকোর্ট, দেখুন তালিকা

    OBC status in WB: ভোটব্যাঙ্ক! তৃণমূল জমানায় ওবিসি হয়েছিল যারা, খারিজ করেছে হাইকোর্ট, দেখুন তালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টে বড় ধাক্কা রাজ্য সরকারের। ২০১০ সাল থেকে জারি করা সমস্ত ওবিসি (OBC status in WB) সার্টিফিকেট বাতিল বলে সম্প্রতি নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট৷ বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) রায় দিয়ে জানিয়েছে, ‘এই আদালত মনে করছে যে মুসলিমদের ৭৭টি শ্রেণিকে অনগ্রসর বলে চিহ্নিত করার বিষয়টি সার্বিকভাবে পুরো সম্প্রদায়ের জন্য অপমানজনক। রাজনৈতিক স্বার্থে ওই সম্প্রদায়গুলিকে যে পণ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়নি, তা নিয়ে আদালত যে সন্দেহ-মুক্ত, তা নয়। যে যে ঘটনার রেশ ধরে (ওই) ৭৭টি শ্রেণিকে ওবিসি তকমা দেওয়ার হয়েছিল, তা দেখে এটা স্পষ্ট যে (ওই শ্রেণিগুলিকে) ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে গণ্য করা হয়েছিল।’

    পশ্চিমবঙ্গে মোট কতগুলি সম্প্রদায় ওবিসি তালিকাভুক্ত?

    পশ্চিমবঙ্গে ওবিসির (OBC status in WB) তালিকায় ১৭৯টি সম্প্রদায়কে রাখা হয়েছে। তাদের আবার দুটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ক্যাটেগরি এ হল— অতি অনগ্রসর এবং ক্যাটেগরি বি হল অনগ্রসর। ক্যাটেগরি এতে রয়েছে ৮৩টি জাতি, যাদের মধ্যে আবার ৭৩টি জাতি মুসলিম। যেমন বৈদ্য মুসলিম, ব্যাপারী মুসলিম, মুসলিম ছুতোর মিস্ত্রি, মুসলিম দফাদার, গায়েন মুসলিম, মুসলিম জমাদার, মুসলিম কালান্দার, মুসলিম কসাই, মুসলিম মাঝি, খানসামা ইত্যাদি। অন্যদিকে ক্যাটেগরি বি তালিকায় থাকা ৯৮টি জাতির মধ্যে ৪৫টি মুসলিম। এই তালিকায় যারা রয়েছেন তারা হলেন বৈশ্য কাপালি, বংশী বর্মণ, বারুজীবী, চিত্রকর, দেওয়ান, কর্মকার, কুর্মি, মালাকার, ময়রা, গোয়ালা, তেলি ইত্যাদি।

    কী কী সুবিধা মেলে?

    যে সকল নাগরিকদের ওবিসি (OBC status in WB)  সার্টিফিকেট রয়েছে তারা সরকারি চাকরি থেকে শুরু করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার জন্য সংরক্ষণের সুবিধা পেয়ে থাকেন। সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে মোট ১৭ শতাংশ ওবিসি সংরক্ষণ রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। যাদের মধ্যে ১০% ক্যাটাগরি এ এবং ৭% ক্যাটাগরি বি-র। সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সংরক্ষণের পাশাপাশি উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রেও অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের ক্ষেত্রেও যাদের ওবিসি সার্টিফিকেট রয়েছে তারা অতিরিক্ত সুবিধা পান। উদাহরণ দিয়ে বলা যেতে পারে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে ওবিসি সম্প্রদায়ের মহিলারা বেশি টাকা পান, এছাড়াও কেন্দ্র সরকারের উজ্জ্বলা যোজনা সহ বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যায়। 

    হাইকোর্টের রায়ে কোন কোন শ্রেণির উল্লেখ রয়েছে?

    চাসাট্টি (চাষা), বেলদার মুসলিম, খোট্টা (মুসলিম), সর্দার (মুসলিম), নিকারি, মহলদার, ঢুকরে (মুসলিম), বসনি (মুসলিম),  আবদাল (মুসলিম), কান (মুসলিম), টুটিয়া (মুসলিম), গায়েন (মুসলিম), ভাটিয়া মুসলিম, মিদ্যে (মুসলিম), মল্লিক (মুসলিম),  কালান্দর (মুসলিম), লস্কর (মুসলিম),বৈদ্য (মুসলিম), জমাদার (মুসলিম), ছুতোর মিস্ত্রি (মুসলিম), দফাদার (মুসলিম), মাল (মুসলিম), পাটনি/মাজি (মুসলিম), মুচি-চামার (মুসলিম), নেহারিয়া, মুসলিম হালদার, শিউলি (মুসলিম), মুসলিম মণ্ডল, মুসলিম সাঁপুই, মুসলিম বিশ্বাস, মুসলিম মালি, ঘোসি, দর্জি/ওস্তাগর/ইদ্রিসি, রাজমিস্ত্রি, ভাতিয়ারা, মোল্লা, ঢালি (মুসলিম), তালপাখা বেনিয়া, মুসলিম পিয়াদা, মুসলিম বারুজীবী/বারুই, ব্যাপারি মুসলিম, পেঞ্চি, ভাঙ্গি (মুসলিম), ধাত্রী/দাই (মুসলিম), ঘরামি (মুসলিম), ঘোরখান (মুসলিম), গোলদার (মুসলিম), হালসানা (মুসলিম), কয়াল (মুসলিম), নাইয়া (মুসলিম), শিকারি (মুসলিম), আদলদার (মুসলিম), আখান/আকান/আকুঞ্জি (মুসলিম), বাগ (মুসলিম), চাপরাশি (মুসলিম), চুরিহার (মুসলিম), দপতরি (মুসলিম), দেওয়ান (মুসলিম), ধবক (মুসলিম), গাজি (মুসলিম), খান (মুসলিম), কোলু (মুসলিম), মাজি (হিন্দু), মালিতা/মালিতা/মালিত্য (মুসলিম), মিস্ত্রি (মুসলিম), পাইক (মুসলিম), পৈলান (মুসলিম), পুরকাইত (মুসলিম), সানা (মুসলিম), সারাং (মুসলিম), সরকার (মুসলিম),  শাহ (ফকির), শাহ, শা (মুসলিম), সাহাজি (মুসলিম), ফকির, তরফদার (মুসলিম), গাভারা, মৌলি (মুসলিম), সেপাই (মুসলিম)। 

    আরও পড়ুন: ২ দশক ধরে চলা ব্রিটেনের স্বাস্থ্য কেলেঙ্কারির আসল সত্য প্রকাশ্যে! কী ঘটেছিল?

    ২০১০ সাল থেকে আর কোন কোন শ্রেণিকে ‘ওবিসি’ ঘোষণা করা হয়েছিল?

    শেখ, বায়েন (মুসলিম), ভুঁইয়া (মুসলিম), বোরা (মুসলিম), গোরে (মুসলিম), হাতি (মুসলিম), জাটুয়া (মুসলিম), খন্দেকার বা খঙ্কর (মুসলিম), পাহার (মুসলিম), রাফতান (মুসলিম), বরাদি (মুসলিম), দালাল (মুসলিম), হোসেন গোয়ালা (মুসলিম), খালাসি (মুসলিম), কিচনি (মুসলিম), মুক্তি/মুফতি (মুসলিম), কালাল/ইরাকি, কালোয়ার, আট্ট (মুসলিম), খানসামা, সরলা/সারওয়ালা (মুসলিম), বাগানি (মুসলিম), ভাণ্ডারী (মুসলিম), হাওয়াইকার (মুসলিম), খাজনক্রিয়া / খাজনক্রিয়া (মুসলিম), কাথা (মুসলিম), মুদি/মেহদি (মুসলিম), সাহানা (মুসলিম), কাজি (মুসলিম), কোতল (মুসলিম), গুরুং, হাজারি (মুসলিম), লায়েক (মুসলিম), খাস, শিকদার (মুসলিম), চৌধুরী (মুসলিম), বৈরাগী/বৈষ্ণব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • OBC Reservation Case: “অনেক জাতিকেই নিয়ম বিরুদ্ধভাবে ওবিসির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে”, তোপ কমিশনের

    OBC Reservation Case: “অনেক জাতিকেই নিয়ম বিরুদ্ধভাবে ওবিসির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে”, তোপ কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পশ্চিমবঙ্গে এক বছরে অনেক জাতিকে ওবিসির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা নিয়ম বিরুদ্ধ।” বুধবার সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কথাগুলি বললেন জাতীয় ওবিসি কমিশনের চেয়ারম্যান হংসরাজ গঙ্গারাম আহির (OBC Reservation Case)।

    বিস্ফোরক দাবি জাতীয় ওবিসি কমিশনের (OBC Reservation Case)

    তিনি বলেন, “ওবিসি তালিকায় কোনও জাতিকে জুড়তে গেলে যে যে নিয়ম মানতে হয়, যেভাবে রিপোর্ট তৈরি করতে হয়, তার কোনও কিছুই করা হয়নি। সেটাই এখন সামনে এসেছে। হাইকোর্ট মেনে নিয়েছে। কোনও জাতিকে ওবিসি তালিকায় আনতে গেলে তার একটা সার্ভে করতে হয়, রিপোর্ট তৈরি করতে হয়।” ওবিসি কমিশনের (OBC Reservation Case) চেয়ারম্যান বলেন, “এই কাজটা করে কালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট। কিন্তু ওরা ঠিকভাবে কাজ করে না। এদিকে, ওদের রিপোর্ট এখানকার ওবিসি কমিশন মানে, সেটাই আবার এখানকার সরকার মানে। এটা ঠিক নয়।” তিনি বলেন, “আমরা ১০ থেকে ১২ বার রিপোর্ট দিতে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছিলাম। এক বছর হয়ে গেল, রিপোর্ট দেয়নি। কেউ আসেনি দেখা করতে। আমরা দ্রুত অ্যাকশন নেব।”

    নিশানা মুখ্য সচিবকেও

    এদিন রাজ্যের মুখ্য সচিবকেও নিশানা করেছেন হংসরাজ। বলেন, “এখানকার মুখ্যসচিব কোনও সহযোগিতা করেন না। আমরা রাজ্যের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করব। কতবার রিপোর্ট চেয়েছি, পাইনি। এরা অসম্মান করে।” তিনি বলেন, “একশোর বেশি মুসলিম জাতি আর ৬১টি হিন্দু জাতির মানুষ এখানকার ওবিসির তালিকায়। এখানকার কালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট একদম খারাপ সার্ভে করে। কতবার রিপোর্ট চেয়েছি, দেয়নি।”

    আর পড়ুন: “ইন্ডি জোটকে বড় থাপ্পড় কলকাতা হাইকোর্টের”, ওবিসি রায় প্রসঙ্গে মোদি

    প্রসঙ্গত, বুধবার ২০১০ সালের পরে রাজ্যে তৈরি হওয়া ওবিসি তালিকা বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ওয়েস্ট বেঙ্গল ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস কমিশন অ্যাক্ট, ১৯৯৩ অনুযায়ী নতুন করে তালিকা তৈরি করে বিধানসভায় পেশ করে চূড়ান্ত অনুমোদন নিতে হবে।

    এদিকে, আদালতের নির্দেশের জেরে বাতিল হতে চলেছে প্রায় ৫ লাখ ওবিসি সার্টিফিকেট। শুধু ৫ লাখ সার্টিফিকেট নয়, ৩৭টি শ্রেণির ওবিসি সংরক্ষণও বাতিল করেছে আদালত। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মুসলমানদের ৭৭টি শ্রেণিকে ওবিসি সংরক্ষণ দেওয়া গোটা মুসলিম সমাজ ও গণতন্ত্রের অপমান। তবে হাইকোর্টের রায় মানবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দমদম লোকসভা কেন্দ্রের খড়দহের এক নির্বাচনী জনসভায় তিনি বলেন, “কাউকে দিয়ে একটা অর্ডার করিয়েছে। তাঁর রায় আমি মানি না। এটা বিজেপির রায়। আমরা মানব না (OBC Reservation Case)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share