Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Abhijit Gangopadhyay: গ্রুপ-ডি নিয়োগের ক্ষেত্রেও দুর্নীতি! ওএমআর শিট সবার সামনে আনার নির্দেশ হাইকোর্টের

    Abhijit Gangopadhyay: গ্রুপ-ডি নিয়োগের ক্ষেত্রেও দুর্নীতি! ওএমআর শিট সবার সামনে আনার নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাদা উত্তরপত্র জমা দিয়েও ৪৩ নম্বর পেয়েছেন একাধিক পরীক্ষার্থী!নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগের পরে ওএমআর শিটে বিকৃতির (OMR sheet Corruption) অভিযোগ উঠল গ্রুপ ডি নিয়োগ পরীক্ষার ক্ষেত্রেও। পরীক্ষায় পেয়েছেন শূন্য। অথচ স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর সার্ভারে দেখা যাচ্ছে, গ্রুপ ডির সেই প্রার্থী পেয়েছেন ৪৩। সিবিআইয়ের পেশ করা নথি নিয়েই মঙ্গলবার সরব কলকাতা হাইকোর্ট। 

    কী বলল আদালত

    গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে মামলা করেছিলেন লক্ষ্মী টুঙ্গা। এই মামলায় বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, মোট ২৮২৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ১০০ জনের ওএমআর শিটেই এই বিকৃতির অভিযোগ উঠেছে। ওই ১০০ জন গ্রুপ ডি প্রার্থীর উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) জনসমক্ষে আনার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। তবে তার আগে এই নিয়ে বৈঠকে বসার কথা বলেন তিনি। আগামী ১৪ ডিসেম্বর স্কুল সার্ভিস কমিশনের দফতরে বৈঠক করবেন সিবিআই, মামলাকারীর আইনজীবী এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রতিনিধিরা। সূত্রের খবর, স্কুল সার্ভিস কমিশনের বাজেয়াপ্ত করা হার্ডডিক্স এবং ওএমআর শিট খতিয়ে দেখা হবে ওই বৈঠকে। এরপর আগামী ২১ ডিসেম্বর প্রাথমিক রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা দেবে সিবিআই। এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: ‘‘ঢাকি সমেত বিসর্জন দিয়ে দেব’’, প্রাথমিক শিক্ষকের প্যানেল বাতিলের হুঁশিয়ারি বিচারপতির

    উল্লেখ্য, গাজিয়াবাদের সার্ভার থেকে এসএসসিতে নিয়োগ পরীক্ষার বেশ কিছু উত্তরপত্র মিলেছিল। তার মধ্যে রয়েছে গ্রুপ ডি নিয়োগ পরীক্ষার খাতা। সেগুলি যাচাই করে সিবিআই দেখে, পূর্ব মেদিনীপুরের এক প্রার্থী উত্তরপত্রে পেয়েছেন দুই। এমনকি, ওই জেলার এক জন উত্তরপত্রে পেয়েছেন শূন্য। অথচ এসএসসির সার্ভারে দেখা গিয়েছে, তাঁরা পেয়েছেন ৪৩ নম্বর। এই প্রসঙ্গ উল্লেখ করেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মঙ্গলবারই ১০০ জন গ্রুপ ডি প্রার্থীর উত্তরপত্র প্রকাশ করতে হবে কমিশনকে। সেগুলি দেখে যাচাই করতে হবে যে, ওই প্রার্থীদের জন্য ভুয়ো সুপারিশ করা হয়েছে কি না।

    আরও পড়ুন: মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নিজেদের হাইকোর্ট ভাবে! তোপ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Electrification: রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ না পৌঁছনোর সমস্যা মেটাতে বিশেষ কমিটি গঠন হাইকোর্টের

    Electrification: রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ না পৌঁছনোর সমস্যা মেটাতে বিশেষ কমিটি গঠন হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে এখনও অনেক প্রত্যন্ত গ্রাম রয়েছে, যেখানে এখনও বিদ্যুতের আলো (Electrification) পৌঁছয়নি। সূর্য ডুবলে টর্চলাইট বা কেরোসিনের আলোই ভরসা। আর সেই অন্ধকার রাস্তার সুযোগ নিয়ে দেদারে চলছে বহু অনৈতিক কাজকর্ম। একটি জনস্বার্থ মামলায় অভিযোগ ওঠে অন্ধকার রাস্তায় ঘটছে ধর্ষণের মতো ঘটনা। সেই মতো প্রত্যন্ত কতগুলি রাস্তায় আলো নেই, তা জানতে চায় হাইকোর্ট। সেই রিপোর্ট আসতেই বড় পদক্ষেপ নিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রত্যন্ত গ্রাম সহ রাজ্যের কোন কোন রাস্তায় বিদ্যুতের অভাব রয়েছে বা বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি তা খতিয়ে দেখতে  ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করল আদালত। এই নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।

    জেলাভিত্তিক কমিটিতে রাখা হয়েছে সেই জেলার জেলাশাসক বা তাঁর মনোনীত কোনও প্রতিনিধি, জেলার পুলিশ সুপার বা তাঁর কোনও প্রতিনিধি, বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার আঞ্চলিক ও জোনাল ম্যানেজার এবং মামলাকারী আইনজীবী নীলাদ্রি সাহাকে।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের জন্যে জমি নিলে, ক্ষতিপূরণ দিতে হবে কেন্দ্রীয় হারেই, নির্দেশ হাইকোর্টের

    কেন এই নির্দেশ?

    রাজ্যে পর পর কয়েকটি ধর্ষণের ঘটনায় জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত। সম্প্রতি অন্ধকার (Electrification) রাস্তায় একটি ধর্ষণের ঘটনাও সামনে এসেছে। সেই বিষয়টিও তুলে ধরা হয়েছে মামলার শুনানিতে।

    রাজ্যের কোথায় কোথায় এখনও বিদ্যুৎ (Electrification) পৌঁছয়নি, বিদ্যুৎ দফতর এবং বণ্টন সংস্থার কাছে সেই রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিল হাইকোর্ট। সেখানে দেখা যায় রাজ্যের অনেক রাস্তাতেই এখনও বিদ্যুতের আলো নেই। রাজ্যের তরফে জানানো হয়, অনেক জায়গায় বাতি লাগানোর কাজ চলছে। রাজ্যের বিদ্যুৎ সরবরাহ আগের থেকে ভাল। আগামী ৩০ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। শুরুতে পুরুলিয়ার জন্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পুরুলিয়ার পর অন্য জেলাতেও এমন কমিটি গঠনের পথে হাঁঠতে চায় হাই কোর্ট।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Jhalda Municipality: ফের ধাক্কা রাজ্যের, ঝালদায় প্রশাসক বসানোর নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট

    Jhalda Municipality: ফের ধাক্কা রাজ্যের, ঝালদায় প্রশাসক বসানোর নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে কলকাতা হাইকোর্টে ঝালদা পুরসভা নিয়ে ফের ধাক্কা খেল রাজ্য। পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভায় (Jhalda Municipality) প্রশাসক (Administrator) নিয়োগ সংক্রান্ত রাজ্য সরকারের নির্দেশিকায় স্থগিতাদেশ (Stay Order) দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে বলে আদালত জানিয়েছে। আর আগামী এক মাস ঝালদা পুরসভার যাবতীয় দায়িত্ব সামলাবেন পুরুলিয়ার জেলাশাসক।

    প্রশাসক নিয়োগে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    ঝালদা পুরসভায় (Jhalda Municipality) প্রশাসক নির্বাচনের জন্য ৩ ডিসেম্বর, শনিবার ঠিক করা হয়েছিল। কিন্তু তৃণমূল সরকার শুক্রবার রাতেই পুরসভায় প্রশাসক বসিয়ে দেয়। এরপর রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেন ওই পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর। আর এই মামলাতেই এবার হাইকোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য। আগামী মাস পর্যন্ত প্রশাসক নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিয়েছে বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এর ফলে তৃণমূল ও কংগ্রেস কেউই প্রশাসক নিয়োগ করতে পারবে না।

    তৃণমূল জবা মাছোয়াকে চেয়ারপার্সন হিসাবে নিয়োগ করতে চেয়েছিল। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে দিল হাইকোর্টের নির্দেশ। আবার আস্থা ভোটে জয়ী হওয়ার পর শীলা চট্টোপাধ্যায়কে চেয়ারপার্সন করতে চেয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু স্থগিতাদেশের ফলে কোনও নিয়োগই হবে না। ফলে এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহা পুরসভার যাবতীয় কাজের দায়িত্ব দিল পুরুলিয়ার জেলাশাসককে।

    কী ঘটেছিল ঝালদা পুরসভায়?

    ঝালদার বিরোধী কংগ্রেস কাউন্সিলাররা গত ২১ নভেম্বর তাঁরা একটি আস্থা ভোট ডাকেন। সেই আস্থা ভোটের পর অপসারিত হন চেয়ারম্যান। নিয়ম অনুযায়ী আস্থা ভোটের ৭ দিনের মধ্যে ভাইস চেয়ারম্যানকে নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ করতে হয়। সেই অনুযায়ী ভাইস চেয়ারম্যানকে একটি সভা ডাকতে বলেন তাঁরা। এর মধ্যেই ভাইস চেয়ারম্যানও পদত্যাগ করেন। ফলে পুর আইন অনুযায়ী, তিনজন বিরোধী কাউন্সিলার ২৯ নভেম্বর একটি সভা ডাকেন এবং সেই সভায় ঠিক হয় ডিসেম্বর মাসের ৩ তারিখ চেয়ারম্যান নির্বাচন হবে। কিন্তু আগেই রাজ্য সরকার গত ২ তারিখ ঝালদা পুরসভায় (Jhalda Municipality) প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্ত জানিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে।

    সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেহেতু ঝালদা পুরসভায় কোনও চেয়ারম্যান নেই তাই রোজকার কাজ চালাতে একজন প্রশাসক নিয়োগ করবে রাজ্য সরকার। সরকারের সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী ইতিমধ্যেই প্রশাসক সেই কার্যভার গ্রহণ করেছেন। আর এই নিয়েই আদালতের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস কাউন্সিলর।

    বিচারপতির প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকার

    পুরসভায় (Jhalda Municipality) প্রশাসক নিয়োগে রাজ্যের হস্তক্ষেপ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় সরকারকে। বিচারপতি প্রশ্ন করেছেন, “রাজ্য কীভাবে এই প্রক্রিয়ার মধ্যে হস্তক্ষেপ করে?” এরপর বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ভাইসম্যানের পদত্যাগ নিয়ে। “ঝালদা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান কার কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন?” রাজ্যকে প্রশ্ন করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। রাজ্য এর উত্তরে জানায়, তিনি পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু কার কাছে সেটা জানা নেই।

    এর পর আদালতে ভাইস চেয়ারম্যানের আইনজীবী জানান, গত ২৮ নভেম্বর এসডিও-র কাছে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন তিনি। বিচারপতি জানতে চান, সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে যে তার কোনও লিখিত প্রতিলিপি আছে কিনা। কিন্তু আইনজীবী জানান মৌখিক ভাবে পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন এসডিও। এই যুক্তি মানতে নারাজ বিচারপতি অমৃতা সিনহা। যেহেতু নিয়ম অনুযায়ী প্রশাসক নিয়োগ করেননি ভাইস চেয়ারম্যান, তাই এই প্রশাসক নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিয়েছে বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৩ জানুয়ারি।

  • Anubrata Mondal: বিপাকে অনুব্রত! তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলা খারিজের আবেদনের শুনানি পিছোল

    Anubrata Mondal: বিপাকে অনুব্রত! তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলা খারিজের আবেদনের শুনানি পিছোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টে পিছিয়ে গেল অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)বিরুদ্ধে করা এফআইআর খারিজের মামলা। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রতের বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)- মামলা করেছিলেন। সেই মামলা খারিজের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। দ্রুত শুনানির আর্জিও জানান কেষ্ট। কিন্তু সেই মামলার প্রতিলিপি এখনও হাতে পায়নি তদন্তকারী সংস্থা। সোমবার উচ্চ আদালতে মামলার শুনানিতে এমনই জানাল ইডি। তাই, নিজেদের অবস্থান জানাতে আরও কিছুটা সময় চাইল তদন্তকারী সংস্থা। তার ভিত্তিতে আগামী ১৬ ডিসেম্বর দুপুর ২টোয় মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানান বিচারপতি বিবেক চৌধুরী।

    আদালতে সওয়াল

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর করা মামলায় জামিনের আবেদন নিয়েও হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সেই মামলাটিরও শুনানি রয়েছে ১৬ ডিসেম্বর। দুই মামলাতেই তাঁর হয়ে আদালতে সওয়াল করছেন বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিবাল। আগামী দিনে অনুব্রত মণ্ডলের ভবিষ্যৎ অনেকটাই নির্ভর করছে এই দুই মামলার উপর। ইডির করা এফআইআর খারিজের মামলা রয়েছে বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর এজলাসে। অন্যদিকে সিবিআই-এর করা মামলায় জামিনের আর্জির শুনানি রয়েছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির এজলাসে।

    আরও পড়ুন: ফের বেঁফাস অখিল গিরি, অশীতিপর শিশিরকে কী ভাষায় আক্রমণ করলেন জানেন?

    প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে তৎপর ইডি। তা নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টেও মামলা চলছে। তার মধ্যেই উচ্চ আদালতে ইডির মামলা খারিজের আর্জি জানান অনুব্রত। সেই মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে নিজেদের অবস্থান জানাতে বলেছিল উচ্চ আদালত। তখনই আদালতের কাছে সময় চেয়ে নেন ইডির আইনজীবী। সেইমতোই এদিন ইডিকে কিছুটা সময় দিল আদালত। গরুপাচার মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে (Anubrata Mondal) গ্রেফতার করে সিবিআই। কিন্তু অনুব্রতর আইনজীবীদের দাবি, টাকা নেওয়ার প্রমাণ এখনও পেশ করতে পারেনি সিবিআই। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Jhalda Municipality: হাইকোর্টের রক্ষাকবচে স্বস্তিতে ঝালদা পুরসভার বিরোধী কাউন্সিলররা

    Jhalda Municipality: হাইকোর্টের রক্ষাকবচে স্বস্তিতে ঝালদা পুরসভার বিরোধী কাউন্সিলররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝালদা পুরসভার কংগ্রেস ও নির্দল কাউন্সিলরদের আগামী বুধবার পর্যন্ত রক্ষাকবচ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ঝালদা পুরসভার ৬ বিরোধী কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ নয় শুক্রবার এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। শনিবার ঝালদা পুরসভায় বোর্ড গঠনের কথা। তার আগে পুলিশকে ব্যবহার করে শাসকদল কংগ্রেস ও নির্দল কাউন্সিলরদের গ্রেফতার করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন আবেদনকারীরা। 

    ঝালদা পুরসভার বোর্ড গঠন

    চলতি বছর পুরভোটে দেখা যায় ১২ ওয়ার্ডের ঝালদা পুরসভা ত্রিশঙ্কু হয়েছে। কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) পাঁচজন করে কাউন্সিলর জয়ী হন। অপরদিকে দু’জন নির্দল কাউন্সিলর জেতেন। এদিকে ভোটের ফল প্রকাশের পর‌ই খুন হয়ে যান কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু (Tapan Kandu)। হাইকোর্টের নির্দেশে খুনের তদন্তভার পায় সিবিআই (CBI)। এর‌ই মাঝে তৃণমূল দুই নির্দল কাউন্সিলরের সমর্থন নিয়ে ঝালদায় বোর্ড গঠন করে। কিন্তু উপনির্বাচনে তপন কান্দুর ওয়ার্ডে জিতে যাওয়ায় কংগ্রেসের কাউন্সিলর সংখ্যা ফের পাঁচ হয়ে যায়। এরপরই তারা তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ডের চেয়ারম্যান সুরেশ আগর‌ওয়ালের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে। গত ২১ নভেম্বর অনাস্থা ভোটে পুরবোর্ড হাতছাড়া হয় তৃণমূলের। দুই নির্দল কাউন্সিলর কংগ্রেসকে সমর্থন করেন। 

    আরও পড়ুন: মানিক-ছটা থেকে মুক্ত হতে পর্ষদের ২-৩ বছর সময় লাগবে! অভিমত হাইকোর্টের

    আগামী শনিবার,অর্থাৎ ৩ নভেম্বর নতুন বোর্ড গঠন হ‌ওয়ার কথা পুরুলিয়ার এই পুরসভায়। কিন্তু কংগ্রেসের তরফে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়, কংগ্রেসি ও নির্দল কাউন্সিলরদের জামিন অযোগ্য ধারা দিয়ে গ্রেফতার করা হতে পারে আস্থা ভোটের আগে। যার ফলে বোর্ড গঠনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে ব্যর্থ হবে কংগ্রেস শিবির। এই আশঙ্কা প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস। সেই মামলার শুনানিতে শুক্রবার বিচারপতি রাজশেখর মান্থা জানান, আগামী বুধবার পর্যন্ত ঝালদা পুরসভার ৪ জন কংগ্রেসি ও ২ নির্দল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। আরও ১ কংগ্রেস কাউন্সিলর আগেই রক্ষাকবচ পেয়েছিলেন আদালত থেকে। আদালতের এই নির্দেশের ফলে আপাতত স্বস্তিতে ঝালদা পুরসভার বিরোধী কাউন্সিলররা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Abhijit Ganguly: মানিক-ছটা থেকে মুক্ত হতে পর্ষদের ২-৩ বছর সময় লাগবে! অভিমত হাইকোর্টের

    Abhijit Ganguly: মানিক-ছটা থেকে মুক্ত হতে পর্ষদের ২-৩ বছর সময় লাগবে! অভিমত হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharyee) আমলে দুর্নীতির আখড়া হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। দুর্নীতি এবং মানিক ভট্টাচার্যের ছটা থেকে এখনই মুক্ত হতে পারবে না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এর থেকে নিষ্কৃতি পেতে পর্ষদের আরও ২-৩ বছর সময় লাগবে। অভিমত, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের (Abhijit Ganguly)। দুর্নীতির তদন্তের জন্য প্রয়োজনে মানিককে সিবিআই হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের কথাও বলেন বিচারপতি। সেই মতো বৃহস্পতিবারই মানিক ভট্টাচার্যকে হেফাজতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানায় সিবিআই।

    কী বললেন বিচারপতি

    টেট দুর্নীতি মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharyee) গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আপাতত রয়েছেন জেল হেফাজতে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর হাত রয়েছে বলে অভিযোগ। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশেই তাঁকে পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারিত করা হয়। তার পর ইডি তাঁকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) বলেন, “দুর্নীতি ও মানিক ভট্টাচার্যের ছটা মুক্ত হতে পর্ষদের আরও ২ থেকে ৩ বছর সময় লাগবে।” নিয়োগ দুর্নীতিতে যে মানিক ভট্টাচার্যের ভূমিকা অনেকটাই এদিন ফের তা বুঝিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন,  “আমাকে কি আবার সিট পুর্নগঠন করতে হবে?” দ্রুত নিয়োগ দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছনোর কথা বলেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ ইডি-র, জানেন কী?

    এদিন শুনানির সময় এক মামলাকারী দাবি করেন, টেটে নিয়োগের একটি নির্দিষ্ট পরীক্ষায় কয়েক জন চাকরিপ্রার্থীকে কেবলমাত্র হাজিরা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নম্বর দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের পরীক্ষা নেওয়াই হয়নি। তার পরেও তাঁরা ওই পরীক্ষায় পুরো নম্বর পেয়েছেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) এই অভিযোগ শুনে মন্তব্য করেন, ‘‘কেউ আর্জেন্টিনার জার্সি পরে আছে বলে নম্বর পেয়ে যাবে, ব্রাজিলের জার্সি পরলে নম্বর পাবে না, এটা হতে পারে না।’’ এই মন্তব্য করে এজলাস ছেড়ে বেরিয়ে যান বিচারপতি। 

    সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই

    মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharyee) হেফাজতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছে সিবিআই। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে একথা জানানো হয়েছে সিবিআই-এর তরফে। সিবিআই সূত্রে খবর, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে  জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই আবেদনই জানানো হয়েছে শীর্ষ আদালতে। তবে মানিকের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট রক্ষাকবচ দিয়েছিল। বৃহস্পতিবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের নবম-দশমের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানির সময় রক্ষাকবচের কথা শুনে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) বলেন, ‘রক্ষাকবচ খারিজ করার আবেদন জানান।’ 

  • Subiresh Bhattacharya: তদন্তে সাহায্য করছেন না সুবীরেশ, অন্য রাজ্যে নিয়ে গিয়ে জেরা করার পরামর্শ বিচারপতির

    Subiresh Bhattacharya: তদন্তে সাহায্য করছেন না সুবীরেশ, অন্য রাজ্যে নিয়ে গিয়ে জেরা করার পরামর্শ বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আরও কড়া নির্দেশ দিতে পারে আদালত। তদন্ত সাহায্য না করলে মানিক ভট্টাচার্য ও সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে (Subiresh Bhattacharya) রাজ্যের বাইরে নিয়ে গিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এমন পরামর্শও দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মুখ না খুললে দুজনকেই ফের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে সিবিআই। হাইকোর্টের তরফ থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়ার আশ্বাস বিচারপতির। 

    বিচারপতি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছে জানতে চান, প্রেসিডেন্সি জেলে শেষ কবে সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে (Subiresh Bhattacharya) জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ? কতক্ষণ জেরা করেছে? 

    আদালতে সিবিআই অভিযোগ করে, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না সুবীরেশ ভট্টাচার্য (Subiresh Bhattacharya)। তিনি বর্তমানে জেল হেফাজতে আছেন। জেলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এই জন্যেই সম্প্রতি তার জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে। অন্য মামলায় তিনি যুক্ত আছেন কিনা তার খোঁজও চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ইতিমধ্যে গ্রুপ ডি মামলায় চাকরি বাতিল হওয়া ৫৪২ জনের মধ্যে ৩৩০ জনের জিজ্ঞাসাবাদ সম্পূর্ণ হয়েছে।

    বিচারপতি কী বলেন? 

    বিচারপতি আরও বলেন, “সুবীরেশ ভট্টাচার্য (Subiresh Bhattacharya) যদি সহযোগিতা না করেন, তাহলে তাকে হেফাজতে চেয়ে আবেদন করুন।আপনারা কোন পরিস্থিতিতে কোনও অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দিল্লি, অসম বা ভুবনেশ্বরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যেতে পারেন? যেমন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজীব কুমারকে শিলং – এ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।”  সিবিআই উত্তরে বলে, “সেটা বিভিন্ন পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে।” বিচারপতি পাল্টা প্রশ্ন করেন, ”সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে হেফাজতে না নিলে তথ্য জানা সম্ভব নয়। জেলে কতক্ষন জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন? আপনাদের  মাধ্যমে আমি সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে মুখ খোলার আবেদন জানিয়েছিলাম। তিনি মুখ খোলেননি। আপনারা সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানান। তারপর আমি তাকে অন্য কোথাও নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেব।” বিচারপতি আরও বলেন, ”একই ধরনের নির্দেশ মানিক ভট্টাচার্যর ক্ষেত্রেও দিতে হবে।”

    মানিক ভট্টাচার্যের রক্ষাকবজের বিষয়ে সিবিআই প্রশ্ন করলে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় উত্তরে বলেন, “রক্ষাকবচ খারিজের আবেদন করুন । আমাকে কি আবার সিট পুনর্গঠন করতে হবে?”  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

          

  • Suvendu Adhikari: হাজরা ও কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীকে সভা করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট

    Suvendu Adhikari: হাজরা ও কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীকে সভা করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রশাসনের আপত্তিতে কিছু হল না। কাঁথি ও হাজরায় সভা করতে পারবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ, আগামী ১২ ডিসেম্বর কলকাতার হাজরা এবং ২১ ডিসেম্বর কাঁথিতে সভা করতে পারবেন শুভেন্দু অধিকারী। অনুমতি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার।

    শুভেন্দুকে সভা করার অনুমতি আদালতের

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) পাড়ায় গিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে এসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার ঘরের মাঠ থেকেই সেই চ্যালেঞ্জের জবাব দিতে চান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফলে শুভেন্দুর কাঁথির সভাকে অভিষেকের কাঁথির সভার ‘পাল্টা জবাব’ বলেই দাবি করা হচ্ছে। তাই এবার কাঁথিতেই সভা করবেন শুভেন্দু। আর এতে আইনি জটিলতা যা ছিল তা সব কেটে গেল। ২১ ডিসেম্বরের সেই সভার প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে৷

    আরও পড়ুন: ভাঙল অতীতের সব রেকর্ড, গুজরাটে ইতিহাস সৃষ্টি বিজেপির

    কাঁথি ও হাজরা এই দুই জায়গায় সভা করার অনুমতি পাওয়া যায়নি প্রশাসন থেকে। ফলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। এরপর বৃহস্পতিবারের শুনানিতে অবশেষে সেই অনুমতি দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। তবে এতে কিছু শর্ত ও বিধিনিষেধ মানতে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। আদালত থেকে বলা হয়েছে, শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখে, শব্দবিধি মেনে সভা করতে হবে এমনকি সভার পর সভাস্থল পরিস্কার করে দিতে হবে বলে নির্দেশে জানানো হয়েছে।

    উল্লেখ্য, গত ৩ ডিসেম্বর কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বাড়ির কাছে সভা করেছিলেন সর্বভারতীয় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেককে জবাব দিতে সেদিনই পাল্টা সভা করেছিলেন শুভেন্দুও। ডায়মন্ড হারবারে সভা করেছিলেন তিনি। কিন্তু এবারে কাঁথিতে দাঁড়িয়েই অভিষেককে কড়া জবাব দিতে চান বিজেপি নেতা। কাঁথি শহরের যে মাঠে অভিষেক বক্তব্য রেখেছিলেন, সেই প্রভাত কুমার কলেজের মাঠেই আগামী ২১ ডিসেম্বর সভা করতে চলেছে বিজেপি। প্রধান বক্তা শুভেন্দু অধিকারী। ফলে আজ আদালতের থেকে অনুমতি পাওয়াার পর কাঁথি সভার প্রস্তুতি নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে কাঁথির সভার আগে ১২ ডিসেম্বর কলকাতার হাজরাতে সভা করবেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Calcutta High Court: ফের মুখ পুড়ল রাজ্যের! এবার কলকাতা হাইকোর্টে খারিজ এমবিবিএসের মেধা তালিকা

    Calcutta High Court: ফের মুখ পুড়ল রাজ্যের! এবার কলকাতা হাইকোর্টে খারিজ এমবিবিএসের মেধা তালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মুখ পুড়ল রাজ্যের! এবার এমবিবিএসের (MBBS) মেধা তালিকা (Merit List) খারিজের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। চলতি বছর যে মেধা তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, সেই তালিকাই বাতিল করে ফের নয়া তালিকা প্রকাশের নির্দেশ আদালতের। দুঃস্থ শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের নির্দেশ ছিল। সেই নির্দেশ কার্যকর হয়নি। সেই কারণেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায় সোমবার এই  মেধা তালিকা খারিজের নির্দেশ দেন। এক সপ্তাহের মধ্যে নয়া তালিকা প্রকাশের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

    মামলার কারণ…

    মামলাকারী তিস্তা দাস নিট পাশ করেছিলেন। মেধাতালিকায় তাঁর নামও ছিল। তিস্তার তরফে তাঁর আইনজীবী দাবি করেন, মেধা তালিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে সংরক্ষণের নিয়ম মানা হয়নি। তাই তাঁর মক্কেল যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও অনেক দূরের মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন। তাঁর দাবি, সংরক্ষণের নিয়ম মানা হয়নি বলেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ৩ হাজার ৪১৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ১০ শতাংশ দুঃস্থদের জন্য সংরক্ষিত হওয়ার কথা। কিন্তু করা হয়েছে মাত্র ২৩৪ জনকে। শতাংশের হিসেবে মাত্র ৬। তিস্তার আইনজীবী আদালতে (Calcutta High Court) জানান, সংরক্ষণের এই নিয়ম না মানায় তাঁর মক্কেল যোগ্য হয়েও অনেক দূরের কলেজে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে সওয়াল জবাব শেষ এদিন বিচারপতি ওই তালিকাই খারিজ করে দেন।

    আরও পড়ুন: ফের ধাক্কা রাজ্যের, ঝালদায় প্রশাসক বসানোর নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট

    রাজ্যসভার সাংসদ তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা শান্তনু সেন বলেন, বিচারাধীন বিষয় নিয়ে বিতর্কিত কিছু বলব না। তবে একথা বলতে পারি, যখন আমরা পড়াশোনা করেছি, তখন হাতেগোণা কয়েকটি মেডিক্যাল কলেজ, কয়েকটি মাত্র এমবিবিএসের আসন ছিল। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত ১১ বছরে যে পরিমাণ মেডিক্যাল কলেজ তৈরি করেছেন, তা দৃষ্টান্ত। প্রায় সাড়ে চার হাজার এমবিবিএস ডাক্তারি আসনও তৈরি করেছেন। পশ্চিমবঙ্গের ছাত্রছাত্রীরা চিকিৎসার জগতে যাওয়া বা মেডিক্যাল নিয়ে পড়াশোনা করার অনেক সুযোগ পেয়েছেন। সুতরাং আদালতের (Calcutta High Court) সেই বিষয়টি দেখা উচিত। তিনি বলেন, কারণ একটা নির্দেশের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। কিছুদিন আগেই বালুরঘাটের সাংসদ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ট্যুইটারে নিটের ফল নিয়ে সরব হয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ, শান্তনু সেনের মেয়ে সৌমিলি নিট পাশ না করেই মেডিক্যাল পড়ছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Corruption: নিয়োগের পর এবার বদলিতেও দুর্নীতি? রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ হাইকোর্টের

    Corruption: নিয়োগের পর এবার বদলিতেও দুর্নীতি? রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তো ছিলই, এবার শিক্ষকদের বদলিতেও দুর্নীতির অভিযোগ (Corruption) উঠল রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। সোমবার এই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে বিচারপতি বলেন, “ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করতে হবে। এখন দেখছি বদলিতেও দুর্নীতি! এটা খুবই খারাপ ইঙ্গিত দিচ্ছে।” বিচারপতির নির্দেশ, ২ সপ্তাহের মধ্যে পুরুলিয়া জেলার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে শিক্ষক বদলি নিয়ে রিপোর্ট দিতে হবে। আগামী ২০ জানুয়ারি এই  মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

    আরও পড়ুন: অভিষেকের সভার জবাবে একুশে কাঁথিতেই পাল্টা সভা শুভেন্দুর? 

    সোমবার পুরুলিয়ার ঝালদা হাইস্কুলের এক শিক্ষক বদলি মামলায় জেলা স্কুল পরিদর্শককে ডেকে পাঠান বিচারপতি বসু। স্কুল পরিদর্শক জানান, “বদলির কারণে গোটা জেলার সব স্কুলের অবস্থাই খুব খারাপ। ৬০ শতাংশ শিক্ষকই বদলি (Corruption) নিয়ে অন্য জেলায় চলে গেছেন। বহু স্কুল উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। ছাত্র – শিক্ষক অনুপাত রক্ষা করা যাচ্ছেনা। ঝালদা স্কুলে ২১ জন শিক্ষক ছিলেন, ইতিমধ্যেই ৮ জন বদলি নিয়ে চলে গেছেন।” এরপরই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু পুরুলিয়ার সব স্কুলে পড়ুয়া-শিক্ষকের অনুপাতের হিসেব চেয়ে পাঠান।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ  

    স্কুল পরিদর্শকের বক্তব্য শুনে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “পড়ুয়াদের কথা না ভেবেই শিক্ষকদের বদলি করা হচ্ছে? এর পিছনেও কি দুর্নীতি (Corruption) রয়েছে? আদালতের পর্যবেক্ষণে বলে, এমন বদলির কারণে শিক্ষকের অভাবে ধুঁকছে অনেক স্কুল। বিশেষ করে গ্রাম্য এলাকায় যেখানে সরকারি স্কুলই ভরসা। সেখানে এমন চললে শিশুরা সঠিক পদ্ধতিতে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবেন। 

    এদিন পুরুলিয়ার ঝালদার শিক্ষক সোমনাথ মণ্ডলের বদলি সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, “খুব আশ্চর্যের বিষয় যে ঝালদা স্কুলে ১১৫৩ জন ছাত্র আছে৷ সেখানে ২১ জন শিক্ষকের মধ্যে ৮ জনকে অন্যত্র বদলির অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷ ওই স্কুলে এখন মাত্র ১৩ জন শিক্ষক রয়েছেন ! এর পিছনে অন্য বিষয় (Corruption) আছে কিনা, খতিয়ে দেখা দরকার৷’’

    প্রসঙ্গত, শিক্ষক বদলিতে দুর্নীতি (Corruption) হতে পারে তা আঁচ করতে পেরে আগেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যদিও ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেয়। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থাও শিক্ষক বদলির মামলায় শিক্ষক-ছাত্র অনুপাতের উপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। এ বার শিক্ষক বদলি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share