Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • SSC Scam: সুপারিশ পাওয়া ১৮৩-র মধ্যে চাকরিতেই যোগ দেননি ১০০ অযোগ্য প্রার্থী?

    SSC Scam: সুপারিশ পাওয়া ১৮৩-র মধ্যে চাকরিতেই যোগ দেননি ১০০ অযোগ্য প্রার্থী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) ফের চাঞ্চল্যকর তথ্য এসএসসির (SSC) হাতে! কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে নবম দশম স্তরের শিক্ষক নিয়োগে ১৮৩টি ভুয়ো সুপারিশের চাকরি প্রাপকের তালিকা আগেই প্রকাশ করেছে এসএসসি। সেই তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পরেই ডিআইদের কাছে মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য।

    ৩০ জন চাকরি প্রার্থীর দাবি…

    জানা গিয়েছে, য়ে ১৮৩ জনের নাম প্রকাশিত হয়েছিল, তাদের মধ্যে ১০০ জনই কোনও স্কুলে চাকরিতে যোগ দেননি। এদিকে, অন্তত ৩০ জন চাকরি প্রার্থীর দাবি, তাঁরা চাকরি পাননি, অথচ ভুয়ো সুপারিশের তালিকায় তাঁদের নাম রয়েছে। তাঁদের নাম কীভাবে ওই তালিকায় এল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে পরপর দু দফায় মোট ২২৩ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি। তার মধ্যে থেকেই অন্তত ৩০ জন শরণ নিয়েছেন এসএসসির।

    কমিশন সূত্রে খবর, প্রথম দফায় যে ১৮৩ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে আবার কয়েকজন চাকরি প্রার্থী পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন এসএসসিকে। জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে প্রায় ছ জন চাকরি প্রার্থী পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছেন এসএসসিকে। হাইকোর্টের নির্দেশে কয়েকজন চাকরি প্রার্থীর চাকরিও চলে গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: আরও ৪০ ‘অযোগ্য শিক্ষকের’ নাম, ওএমআর শিট প্রকাশ এসএসসি-র, দেখুন তালিকা

    কমিশনের আধিকারিকদের ধারণা, এই ১৮৩ জনের তালিকায় থাকা চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে থেকে প্রায় ৪০ শতাংশ চাকরি প্রার্থী এখনও স্কুলে কাজ করছেন। সেই রিপোর্টও এসএসসির হাতে এসেছে বলেই কমিশন সূত্রে খবর। প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের নির্দেশে এসএসসি পরিচালিত একাধিক নিয়োগে দুর্নীতির (SSC Scam) অভিযোগের তদন্ত করছে সিবিআই। সেই তদন্তেই উঠে আসে নবম দশম স্তরে অযোগ্য হওয়া সত্ত্বেও চাকরির সুপারিশ পাওয়া ১৮৩ জনের নাম। এঁদের প্রত্যেকেরই নাম ও অন্যান্য তথ্য সম্বলিত তালিকা হাইকোর্টের নির্দেশে কয়েক দিন আগেই ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। চাকরির সুপারিশ পাওয়া এই ১৮৩ জন অযোগ্য প্রার্থী স্কুলে শিক্ষকতা করছেন কিনা, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল ডিআইদের কাছে। তার পরেই আসে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • Calcutta High Court: সরকারি অফিসারদের ‘বাবুগিরি’! ভিজিল্যান্স অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: সরকারি অফিসারদের ‘বাবুগিরি’! ভিজিল্যান্স অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের প্রত্যেকটি মামলায় একের পর এক তাৎপর্যপূর্ণ রায় দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আর এবারে শিক্ষা দফতরের একশ্রেণির কর্মীদের কাজের প্রতি অবহেলা দেখে কড়া পদক্ষেপ নিলেন তিনি। তিনি এদিন  মন্তব্য করেন, “কাজের নামে ‘বাবুগিরি’ দেখানো?” প্রশ্ন করেন, “কাজের নামে বাবুগিরি দেখানো অফিসারদের বেতনবৃদ্ধি সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা কেন দেওয়া হবে?”

    ঠিক কী ঘটেছে?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, আশা শ্রীবাস্তব জোড়াসাঁকোর মারোয়ারি বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছিলেন। ২০২০ সালের ১ অক্টোবর তিনি অবসর নেন। ডিএ সহ বকেয়া পাওনা টাকার যাবতীয় নথি ডিআই কলকাতা শিক্ষা দফতরে পাঠান ওই প্রাক্তন শিক্ষিকা। ২০২০ সালে অক্টোবরের ২০ তারিখ ডিআই (কলকাতা) সেই নথি পাঠায় কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশনকে। এরপর ২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বর থেকে সেই চিঠি পড়ে ছিল। বিলিং সেকশনে পড়ে ছিল বলে আদালতে (Calcutta High Court) জানানো হয়।

    আরও পড়ুন: ‘‘ঢাকি সমেত বিসর্জন দিয়ে দেব’’, প্রাথমিক শিক্ষকের প্যানেল বাতিলের হুঁশিয়ারি বিচারপতির

    আর এরপরে আদালতে জানানোর পরেই কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) থেকে বলা হয়, কোভিডের বাহানা দেওয়া যাবে না। করোনার সময়েও প্রচুর কাজ হয়েছে। ২০২০ সালে ৯ ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বরের ৫ তারিখ পর্যন্ত চিঠি পড়েছিল। বিচারপতি প্রশ্ন করেছেন, “কোর্ট নির্দেশ দিল, তারপরে এতদিনে চিঠি পাওয়া গেল?”

    বিচারপতির প্রশ্নের মুখে শিক্ষা দফতরের একশ্রেণির কর্মীরা

    বিচারপতি (Calcutta High Court) প্রশ্ন করেন, “যাঁরা নিজেদের দায়িত্বের কাজটুকুও করেন না। অনুভূতিহীন নিজের কাজে। এই ধরনের সরকারি কর্মীদের কেন বেতন কমিশন মেনে বেতন, ডিএ দেওয়া হবে? এদের বেতনবৃদ্ধি সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেওয়ার পক্ষপাতী নয় আদালত।”

    ভিজিল্যান্স গঠন হাইকোর্টের

    ফলে সরকারি অফিসারদের ‘বাবুগিরি’ খুঁজতে ভিজিল্যান্স গঠনের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ভিজিল্যান্স কমিশনার প্রদীপ কুমার ব্যাসকে এই বিষয়ে অনুসন্ধান করার নির্দেশ দিলেন তিনি। ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে গোটা বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। 

  • Abhijit Gangopadhyay: ‘‘ঢাকি সমেত বিসর্জন দিয়ে দেব’’, প্রাথমিক শিক্ষকের প্যানেল বাতিলের হুঁশিয়ারি বিচারপতির

    Abhijit Gangopadhyay: ‘‘ঢাকি সমেত বিসর্জন দিয়ে দেব’’, প্রাথমিক শিক্ষকের প্যানেল বাতিলের হুঁশিয়ারি বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক (Primary Teachers) নিয়োগ নিয়ে ফের হুঁশিয়ারির সুর কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay) গলায়। এবার সাড়ে ৪২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের প্যানেল বাতিলের হুঁশিয়ারি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার পুরো প্যানেল বাতিলের হুঁশিয়ারি দেন তিনি। কেবল তাই নয়, এদিন তিনি বলেন, ঢাকি সহ বিসর্জন কীভাবে দিতে হয় জানি। তবে ঢাকি বলতে তিনি কাকে বোঝাতে চেয়েছেন, তা পরিষ্কার নয়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, যেদিন ২০১৬-র পুরো প্যানেল বাতিল করব, সেদিন ঢাকি সমেত বিসর্জনের মানে বলব। তিনি বলেন, মানিক ভট্টাচার্য পর্যন্ত পৌঁছানোর ক্ষমতা নেই বলে চাকরি পায়নি মামলাকারীরা। 

    অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী…

    ১৪০ জন অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী ২০১৬-র নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরির আবেদন জানিয়ে মামলা করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টে। মঙ্গলবার ছিল ওই মামলার শুনানি। তাঁদের দাবি, সেই বছরের নিয়ম অনুযায়ী অপ্রশিক্ষিত প্রার্থীদের নিয়োগ করা হত। প্রায় ৩২ হাজার অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী ২০১৬ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নিয়োগপত্র পেয়েছেন বলে দাবি মামলাকারীদের।

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে প্রার্থীদের নম্বর বিভাজন করে তালিকা প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। মামলাকারী চাকরি প্রার্থীদের দাবি, সেই তালিকায় দেখা যাচ্ছে, তাঁদের থেকে কম নম্বর পেয়েও অনেক অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী সুপারিশপত্র পেয়েছেন। সেই তথ্য এদিন আদালতে পেশ করেন মামলাকারীরা। তাঁদের আরও বেশ কিছু নথি পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। ১৬ ডিসেম্বর ফের শুনানি হবে এই মামলার।

    আরও পড়ুন: মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নিজেদের হাইকোর্ট ভাবে! তোপ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    ২০১৪ সালে টেটের পর ২০১৬ সালে নিয়োগের প্রথম প্যানেল প্রকাশ করা হয়। ২০১৭ সালে প্রকাশ পায় নিয়োগের দ্বিতীয় তালিকা। সেখানে ২৬৯ জন প্রার্থীর নাম ছিল। অভিযোগ ওঠে, ফেল করে এমনকি পরীক্ষা না দিয়েও, ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পেয়েছেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) জানান, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এই নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি নির্দেশ দেন, ২৬৯জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হচ্ছে। অবিলম্বে তাঁদের বেতনও বন্ধ করতে হবে। বরখাস্ত হওয়া প্রাথমিক শিক্ষকরা যাতে কোনওভাবেই স্কুলে ঢুকতে না পারে, সেজন্য জেলা স্কুল পরিদর্শককে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Land Acquisition: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের জন্যে জমি নিলে, ক্ষতিপূরণ দিতে হবে কেন্দ্রীয় হারেই, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Land Acquisition: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের জন্যে জমি নিলে, ক্ষতিপূরণ দিতে হবে কেন্দ্রীয় হারেই, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ (Land Acquisition) করলে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে কেন্দ্রীয় আইন মেনেই। রাজ্য সরকারকে এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সিঙ্গুর আন্দোলনের জেরে তৈরি এই জমি অধিগ্রহণ আইন এখন মানতে নারাজ এক সময়ের সিঙ্গুর আন্দোলনের মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারই।

    আরও পড়ুন: নিয়োগের পর এবার বদলিতেও দুর্নীতি? রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ হাইকোর্টের

    সিঙ্গুর–নন্দীগ্রাম আন্দোলনের জেরে ব্রিটিশ আমলের জমি অধিগ্রহণ (Land Acquisition) আইনের বদলের দাবি ওঠে দেশজুড়ে। তৎকালীন ইউপিএ ২ সরকার ২০১৩ সালে পাশ করে নতুন জমি অধিগ্রহণ আইন। সেই সরকারের অন্যতম শরিক ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছিল তৃনমূলও। নতুন আইনে জমিদাতাকে আরও বেশি সুযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এখন সেই আইনই মানতে চাইছে না রাজ্য সরকার।

    রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের  

    এমনই অভিযোগে হাইকোর্টে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেন কিছু জমিদাতা। সেই মামলার বিষয়েই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ নির্দেশ দেন, রাজ্যে সমস্ত কেন্দ্রীয় প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণের (Land Acquisition) জন্য জমি দিতে হবে ২০১৩ সালের অধিগ্রহণ আইন অনুসারে। এমনকী কোথাও অধিগ্রহণের বকেয়া এখনো মেটানো না হলে সেক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে এই আইন। সমস্ত জমিদাতার সঙ্গে কথা বলতে হবে প্রশাসনকে। ৬ মাসের মধ্যে মেটাতে হবে বকেয়া। এই রায়ের ফলে রাজ্যে জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত সমস্যার দ্রুত নিষ্পত্তি হবে বলে মনে করছেন মামলাকারী।

    সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙ্গার হিসাবী ও মুর্শিদাবাদের আঁধারমানিক ও বাসুদেবখালি মৌজার অধিগৃহীত জমির মালিকরা এই বিষয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, জাতীয় সড়কের জন্য অধিগৃহীত (Land Acquisition) জমির জন্য তাঁদের নতুন আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। জমির দাম নিয়েও আপত্তি ছিল তাঁদের। বিষয়টি নিয়ে তাঁদের আরবিট্রেশনের জন্যও ডাকা হয়নি বলে অভিযোগ করেন মামলাকারীরা।

    রাজ্যের তরফে আইনজীবী চণ্ডীচরণ দে বলেন, “আদালত যা নির্দেশ দেবে, তা সরকার মেনে নেবে।” অন্যদিকে জমিদাতাদের তরফে আইনজীবী অরিন্দম দাস বলেন, “কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য জমি নিলেও (Land Acquisition) রাজ্য যেহেতু কেন্দ্রের নতুন আইন কার্যকরের ক্ষেত্রে বিধি তৈরি করেনি, তাই এখানে তার সবকটি ধারা ব্যবহারের সুযোগ পাওয়া যায়নি। এই জটিলতা দীর্ঘ দিনের। কিন্তু হাইকোর্টের এই নতুন নির্দেশে অন্তত এখন থেকে কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য যাদের জমি অধিগ্রহণ করা হবে, তারা নতুন আইনের সব ধারা মেনেই ক্ষতিপূরণ ও সুযোগ পাবেন। আদালতের এই নির্দেশ দীর্ঘদিনের জটিলতা মেটাবে।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     

     

  • SSC Scam: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৮৩ ভুয়ো নিয়োগের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    SSC Scam: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৮৩ ভুয়ো নিয়োগের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবারের মধ্যে অবৈধ উপায়ে সুপারিশপত্র (SSC Scam) নিয়েছেন এমন ১৮৩ জনের তালিকা প্রকাশ করতে হবে এসএসসিকে (SSC)। তাঁদের নাম স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার তিনি এমন নির্দেশ দিয়েছিলেন। ওই ১৮৩ জনের মধ্যে কতজন চাকরি পেয়েছিলেন, তা জানানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। এদিনই পরে অবৈধ নিয়োগ সংক্রান্ত অন্য একটি মামলায় শুনানির সময় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, বৃহস্পতিবারই প্রকাশ করতে হবে না অবৈধদের তালিকা। আজ, বৃহস্পতিবার ফের মামলাটি ওঠে আদালতে। এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই ১৮৩ জনের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। এই ১৮৩ জনের মধ্যে কত জন কোন স্কুলে যোগ দিয়েছেন, তা জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে জানার জন্য এসএসসি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশ, তিন দিনের মধ্যে কমিশনকে এই তথ্য জানাবেন জেলা স্কুল পরিদর্শকরা। ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে এ বিষয়ে পরবর্তী রিপোর্ট পেশ করার জন্য এসএসসি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

    ওএমআর শিটের নমুনা…

    এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, আগামী ৩ ডিসেম্বর এসএসসি কর্তৃপক্ষ, মামলাকারী এবং সিবিআই (CBI) নিজেদের মধ্যে বৈঠক করবেন। ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে দুই সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে বেআইনি সুপারিশ ‘১৮৩’ তথ্য জানাতে নির্দেশ এসএসসি কে। গাজিয়াবাদ ও এসএসসির দফতর থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া হার্ডডিস্ক থেকে ইতিমধ্যেই ওএমআর শিটের যে নমুনা দেওয়া হয়েছে, তা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবে সিবিআই। এর পরেই এসএসসির উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, কোনও রকম ভয় পাবেন না। অনেক ধেড়ে ইঁদুর বেরবে। তিনি বলেন, ওএমআর শিটে ৩ আর এসএসসি দেখাচ্ছে ৫৩! সুবীরেশ ভট্টাচার্য কেন মুখ খুলছেন না, এদিন সে প্রশ্ন করেন বিচারপতি। তিনি বলেন, সুবীরেশ ভট্টাচার্য মুখ খুলছে না? মুখ খোলানোর কৌশল প্রয়োগ করুক সিবিআই। দিল্লি নিয়ে যাক।  এদিন সিবিআইকে বিচারপতির নির্দেশ, দুপুর তিনটের সময় এসে আমাকে জানান যে সুবীরেশ ভট্টাচার্য মুখ খুলছেন কিনা। তারপরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, অকল্পনীয় নির্দেশ দেব। এরা সরকারকে  সমস্যায় ফেলছে। কমিশনের অফিসে ভুরি ভুরি দুর্নীতি হয়েছে।

    আরও পড়ুন: মিলল না জামিন, ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতেই পার্থ-অর্পিতা

    প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে নবম-দশমে নিয়োগের তালিকায় রয়েছে প্রায় ১৩ হাজারের নাম। নবম-দশমে নিয়োগের মেধা তালিকার নীচে থাকা প্রার্থীদের নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। বুধবার আদালতে এসএসসির আইনজীবী জানিয়েছিলেন, মূলত র‌্যাঙ্ক জাম্প করে সুপারিশের তথ্য খুঁজে পেয়েছে কমিশন। তালিকায় নীচের দিকে থাকা চাকরি প্রার্থীদের আগে নিয়োগ করার অভিযোগ উঠেছে। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ের নিয়োগের ক্ষেত্রেও এমনই অভিযোগ উঠেছিল। ওই দিনই অবৈধ নিয়োগ সংক্রান্ত অন্য একটি মামলায় শুনানির সময় সিবিআই জানিয়েছিল, ১৮৩ নয়, ভুয়ো সুপারিশ (SSC Scam) দেওয়া হয়েছে ৯৫২ জনকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে পিছিয়ে গেল কেষ্টর দিল্লি যাত্রা, পরবর্তী শুনানি ১ ডিসেম্বর

    Anubrata Mondal: হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে পিছিয়ে গেল কেষ্টর দিল্লি যাত্রা, পরবর্তী শুনানি ১ ডিসেম্বর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) ইডি দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু এতে এল বাধা। রাজধানীতে নিয়ে যাওয়ার জন্য ইডি দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করলে, তাদের বিরুদ্ধেই দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূল নেতার আইনজীবীরা। তাদের বিরুদ্ধে মামলাও ঠুকেছেন অনুব্রত। আজ এই মামলার শুনানির কথা হলেও কোনও নির্দেশ দিলেন না বিচারপতি। পরবর্তী শুনানি হতে পারে ১ ডিসেম্বর। ফলে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া সাতদিন পিছিয়ে গেল।

    কেষ্টর (Anubrata Mondal) প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন থেকে এনামুক হক, প্রত্যেকেই বর্তমানে রয়েছে তিহাড় জেলে। আর সেখানে এবারে অনুব্রতকে পাঠাতে মরিয়া কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। কিন্তু ইডির এই উদ্যোগকে ভেস্তে দিল কেষ্ট।

    দিল্লি যাওয়া পিছিয়ে গেল কেষ্টর…

    গত ১৭ নভেম্বর, টানা ৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) হেফাজতে নেয় ইডি। এরপর অনুব্রত অ্যারেস্ট মেমোতে সই না করায় তাঁকে সরাসরি দিল্লি নিয়ে যেতে পারেনি ইডি। এর ফলে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট আনার জন্য সরাসরি দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। তাঁকে দিল্লি নিয়ে জেরা করতে নির্দেশ জারি করতে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে আবেদন জানায় ইডি। কিন্তু সেই আবেদনের শুনানির আগেই সেই আবেদনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেন অনুব্রত। আর সেই মামলার আজ শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও আইনি জটিলতায় তা পিছিয়ে যায়। তাই আপাতত দিল্লি যেতে হচ্ছে না অনুব্রতকে।

    আরও পড়ুন: জামিনের আবেদনই করলেন না, আরও ১৪ দিন জেল হেফাজতেই কেষ্ট

    অনুব্রতের আইনজীবীর সওয়াল

    এদিন আদালতে অনুব্রতের (Anubrata Mondal) আইনজীবী কপিল সিব্বল তাঁর হয়ে সওয়াল করেন। সিব্বলের যুক্তি ছিল, অনুব্রতের বিরুদ্ধে যে সমস্ত অপরাধের অভিযোগ, তার সবটাই পশ্চিমবঙ্গে হয়েছে। যে সব সম্পত্তি আটক করা হয়েছে, তা-ও পশ্চিমবঙ্গে। তাই তিনি প্রশ্ন করেন, এটি রাজ্যের মামলা, আদালত কীভাবে হস্তক্ষেপ করবে? ইডি প্রয়োজনে এখানেই অনুব্রতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করুক। অন্যদিকে পাল্টা যুক্তি দিয়ে ইডির আইনজীবীও বলেন, একই মামলায় অনুব্রতের প্রাক্তন দেহরক্ষী গরু পাচার মামলায় ধৃত সায়গল হোসেনকেও দিল্লি এনে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছিল আদালত। তবে কেষ্টর ক্ষেত্রে কেন নয়?

    ফলে এসবের মাঝেই আজ কোনও নির্দেশ না দিয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করলেন বিচারপতি। তবে এখন এটাই দেখার যে, ইডি শেষপর্যন্ত অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে পারেন কিনা।

     
  • Calcutta High Court: হাইকোর্টে ধাক্কা খেল স্কুল সার্ভিস কমিশন! এবার কি সুপ্রিম দুয়ারে যাবে রাজ্য সরকার?

    Calcutta High Court: হাইকোর্টে ধাক্কা খেল স্কুল সার্ভিস কমিশন! এবার কি সুপ্রিম দুয়ারে যাবে রাজ্য সরকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেনামি আবেদন মামলায় বহাল থাকল সিবিআই তদন্ত। সঙ্গে শিক্ষাসচিবকে হাজিরার নির্দেশও। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ধাক্কা খেল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)।  রাজ্য সরকার এবার সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।

    আজ কী হল

    তাঁকে সশরীরে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ সেই নির্দেশ মেনে আদালতে হাজিরা দিলেন শিক্ষাসচিব মণীশ জৈন। কিন্তু তার আগেই শিক্ষাসচিবের হাজিরার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য৷  অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে ‘বেনামি’ আবেদনের কৈফিয়ত চেয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই প্রশ্নের উত্তর দিতে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে পৌঁছন রাজ্যের স্কুলশিক্ষা দফতরের প্রধান সচিব মনীশ জৈন। তবে আগে ডিভিশন বেঞ্চের শুনানি শুরু হয়। শুনানি শুরু হতেই ডিভিশন বেঞ্চে অস্বস্তিতে পড়ে কমিশন। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় বহাল থাকায় বেকায়দায় পড়ে রাজ্য।

    আরও পড়ুন: ‘কার নির্দেশে নিয়োগের আবেদন?’ ফের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ

    প্রথমে অবৈধভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে যাদের চাকরি বাতিল হয়, তাঁদের পরিবারের কথা ভেবে পুর্নবহালের আবেদন করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। এ প্রসঙ্গে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, এটা অত্যন্ত বিস্ময়কর যে কিভাবে কমিশন অবৈধদের চাকরি দেওয়ার এরকম একটা আবেদন করল ? কিভাবে অতিরিক্ত শূন্যপদ অযোগ্য প্রার্থীদের দিয়ে পূরণ করার আবেদন আদালতে করা হল ? একজন সচিবকে তলবের নির্দেশ কিভাবে চ্যালেঞ্জ করা যায় অভিমত ডিভিশন বেঞ্চের। তাই সিঙ্গল বেঞ্চে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই বহাল রাখা হয়। ডিভিশন বেঞ্চও পরিষ্কার জানিয়ে দেয় এবিষয়ে তদন্ত করবে সিবিআই। আদালতে হাজিরাও দিতে হবে শিক্ষা দফতরের সচিবকে। এর ফলে এই মামলায় ধাক্কা খেল রাজ্য। এবার হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতা পারে রাজ্য।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Nisith Pramanik: মিথ্যা মামলা! হাইকোর্টে স্বস্তি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের

    Nisith Pramanik: মিথ্যা মামলা! হাইকোর্টে স্বস্তি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টে স্বস্তি পেলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik)।  ২০০৯ সালে আলিপুরদুয়ারে দুটি সোনার দোকানে চুরি হয়। সেই চুরির মামলায় নাম জড়ায় নিশীথ প্রামাণিকের। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল আলিপুরদুয়ার আদালত। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।  এবার গ্রেফতারি পরোয়ানার উপর স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট। 

    আরও পড়ুন: জেলে সত্যেন্দ্রকে মালিশ করা ব্যক্তি ধর্ষণে অভিযুক্ত বন্দি! সরব বিজেপি

    কী ঘটেছিল

    ২০০৯ সালে আলিপুরদুয়ারে দুটি সোনার দোকানে চুরি হয়। সেই মামলায় নাম জড়ায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের। বুধবার হাইকোর্টে নিশীথের আইনজীবী বিকাশ সিং বলেন,সোনার দোকানে চুরির ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আলিপুরদুয়ার থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তাঁর মক্কেলকে এই মামলায় পুলিশ মিথ্যে ফাঁসিয়েছে। গত ১১ নভেম্বর আলিপুরদুয়ারের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থিত হতে তাঁর মক্কেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তাঁর মক্কেল ওইদিন উপস্থিত থাকতে পারবেন না জানিয়ে শুনানি স্থগিতের আবেদন জানান। কিন্তু, তাঁর আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। তারপরই আলিপুরদুয়ার আদালত নিশীথের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। এরপর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন নিশীথ। হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার উপর স্থগিতাদেশ জারি করেন। একইসঙ্গে তিনি নির্দেশ দেন, ২০২৩ সালের জানুয়ারির ৭ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে একদিন আলিপুরদুয়ার আদালতে হাজির হতে হবে নিশীথ প্রামাণিককে।

    আরও পড়ুন: রাজ্যপালের শপথ অনুষ্ঠানে গরহাজির শুভেন্দু-সুকান্তরা, কেন?

    বিজেপি-তৃণমূল দ্বন্দ্ব

    চুরির ঘটনায় বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নাম জড়াতেই আসরে নামে তৃণমূল। তবে তৃণমূলের আক্রমণকে গুরুত্ব দিতে চাননি নিশীথ। গতকালই জলপাইগুড়িতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আদালতকে আমরা সম্মান করি। তবে এগুলো মিথ্যে মামলা। রাজনীতিতে এরকম মিথ্যে মামলা হয়। রাজ্যের শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধেও এরকম মামলা রয়েছে।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Calcutta High Court: কর্মশিক্ষা, শারীরশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদবৃদ্ধি হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: কর্মশিক্ষা, শারীরশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদবৃদ্ধি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উচ্চ প্রাথমিকে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষায় শিক্ষক নিয়োগের ওপর আগেই অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। আজ, বুধবার সেই স্থগিতাদেশের সময় আরও বাড়িয়ে দিলেন তিনি। ৩০ ডিসেম্বর বা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বাড়ান হল। অতিরিক্ত শূন্যপদ মামলায় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

    অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধি

    গত ১৮ নভেম্বর কর্মশিক্ষা ও শারীর শিক্ষায় অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court) । আগামী ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ ছিল। আর আজ এরই মেয়াদ বৃদ্ধি করে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হল।

    এদিন আদালত (Calcutta High Court) জানায়, এই বড় মামলার জন্য আরও শুনানি প্রয়োজন। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ তাদের কথা জানিয়েছে। এই অবস্থায় ২১ ডিসেম্বর সম্ভবত এই মামলার শুনানি। তারপরেই হয়ত এই মামলার ক্ষেত্রে কোনও সিদ্ধান্তের কথা জানাতে পারে কলকাতা হাইকোর্ট।

    সম্প্রতি ২০১৬ সালের কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার প্রার্থীদের পরীক্ষার ভিত্তিতে নিয়োগের তোড়জোড় করেছিল কমিশন। অতিরিক্ত ৭৫০ শূন্যপদ তৈরি করে নিয়োগের প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু এক চাকরিপ্রার্থীর মামলার ভিত্তিতে সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।

    আরও পড়ুন: বাতিল হওয়া প্রার্থীদের শূন্যপদে নিয়োগের আবেদন প্রত্যাহার কমিশনের, কেন জানেন?

    উল্লেখ্য, আদালতে দাখিল করা নতুন চারটি হলফনামায় কমিশনের আবেদন ছিল যে রাজ্যের তৈরি করা শূন্যপদে যেন চাকরি বাতিল হওয়া ব্যক্তিদের নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়। আর অন্যদিকে কমিশনের এই অবস্থানের উল্টো পথে হেঁটে রাজ্য জানায় তারা এই অবস্থানের বিপক্ষে, অযোগ্যদের নিয়োগের পক্ষে তারা নয়। আর এরপরেই কমিশন ও রাজ্যের আলাদা অবস্থানে আদালতে বিচারক বিশ্বজিৎ বসুর কাছে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। পরে কমিশন তাদের আবেদন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়। আর এরপরেই নিয়োগপত্র দেওয়ায় স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। পরে আজও মামলাটি আদালতে উঠলে, নিয়োগে স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও এক মাস বাড়াল আদালত। এই নিয়োগ মামলার পরবর্তী শুনানি সম্ভবত ২১ ডিসেম্বর।

    অন্যদিকে, গ্রামের স্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগ দিতে অনীহা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশও করেন বিচারপতি (Calcutta High Court) । তিনি এবিষয়ে আজ বলেন, ‘শহর ও শহরতলিতে বহু স্কুলে শিক্ষক আছে, কিন্তু ছাত্র নেই। এই শিক্ষকদের গ্রামের স্কুলে পাঠালে ভাল হয়। গ্রামাঞ্চলের বহু স্কুলে পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। হয় গ্রামের স্কুলে যান, নইলে চাকরি ছাড়ুন, এই নীতি নির্ধারণ করা প্রয়োজন’। এ ব্যাপারে রাজ্যে উপযুক্ত নীতি নির্ধারণ করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি।

  • Calcutta High Court: মিনাখাঁ, কেশপুর বিস্ফোরণে এনআইএ? সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র, জানাল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: মিনাখাঁ, কেশপুর বিস্ফোরণে এনআইএ? সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র, জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিনাখাঁ (Minakhan) ও কেশপুরে (Keshpur) বোমা বিস্ফোরণের (Bomb Blast) ঘটনায় এনআইএ তদন্তভার নেবে কিনা, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

    রাজ্য সরকার জানিয়েছে…

    এদিন আদালতে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই মিনাখাঁ নিয়ে কেন্দ্রকে রিপোর্ট পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। কেশপুর নিয়েও দ্রুত রিপোর্ট পাঠানো হবে। সব শুনে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ জানায় রিপোর্ট খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র।

    গত ১৬ নভেম্বর উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁয় মামার বাড়িতে এসেছিল এক নাবালিকা। বল ভেবে মামার বাড়িতে বোমা নিয়ে খেলতে গিয়েছিল সে। আচমকাই সশব্দে ফেটে যায় বোমাটি। বসিরহাট জেলার মিনাখাঁ থানার চাপালি গ্রাম পঞ্চায়েতের গাইন পাড়ার ওই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। যার বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছিল, তিনি তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। নাম আবুল হোসেন গায়েন। ঘটনার পরে পরেই ঝুমা খাতুন নামে ওই নাবালিকাকে নিয়ে যাওয়া হয় মিনাখাঁ গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ঘটনার পরে পরে আবুল হোসেন গায়েনের বাড়িতে যায় বম্ব স্কোয়াডের চারজনের এক প্রতিনিধি দল। তল্লাশি চালানো হয় তাঁর বাড়ির বিভিন্ন ঘরে। পরে গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের ওই সক্রিয় কর্মীকে। অভিযোগ ওঠে, এই প্রথম নয়, এর আগেও অস্ত্র আইনে গ্রেফতার হয়েছিলেন আবুল হোসেন গায়েন।

    আরও পড়ুন: ১.৩ লক্ষের র‌্যাঙ্ক নিয়ে পড়ছে আরজিকরে! ‘মেধাবী’ মেয়ের হয়ে সওয়াল শান্তনু সেনের

    ওই ঘটনার পরের দিনই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দলের জেরে ব্যাপক বোমাবাজি হয় পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে। ঘটনায় জখম হন শেখ রফিক। তিনি প্রাক্তন ব্লক সভাপতির অনুগামী বলে এলাকায় পরিচিত। ওই ঘটনায় রফিকের ডান হাতের আঙুল উড়ে যায়। ঘটনায় নাম জড়ায় রাজ্যের মন্ত্রী শিউলি সাহার। যদিও শিউলি ঘটনার দায় চাপান সিপিএমের ওপর।

    তবে এই প্রথম নয়, দিন কয়েক আগে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) জানিয়েছিল, সাঁইথিয়া বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ তদন্ত করবে কিনা, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র। এদিকে, বীরভূমের মহম্মদবাজারের বিস্ফোরক পাচার ও বেলডাঙা বিস্ফোরণকাণ্ডের ঘটনার তদন্তভারও ইতিমধ্যেই নিয়েছে এনআইএ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

LinkedIn
Share