Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Nisith Pramanik: মিথ্যা মামলা! হাইকোর্টে স্বস্তি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের

    Nisith Pramanik: মিথ্যা মামলা! হাইকোর্টে স্বস্তি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টে স্বস্তি পেলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik)।  ২০০৯ সালে আলিপুরদুয়ারে দুটি সোনার দোকানে চুরি হয়। সেই চুরির মামলায় নাম জড়ায় নিশীথ প্রামাণিকের। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল আলিপুরদুয়ার আদালত। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।  এবার গ্রেফতারি পরোয়ানার উপর স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট। 

    আরও পড়ুন: জেলে সত্যেন্দ্রকে মালিশ করা ব্যক্তি ধর্ষণে অভিযুক্ত বন্দি! সরব বিজেপি

    কী ঘটেছিল

    ২০০৯ সালে আলিপুরদুয়ারে দুটি সোনার দোকানে চুরি হয়। সেই মামলায় নাম জড়ায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের। বুধবার হাইকোর্টে নিশীথের আইনজীবী বিকাশ সিং বলেন,সোনার দোকানে চুরির ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আলিপুরদুয়ার থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তাঁর মক্কেলকে এই মামলায় পুলিশ মিথ্যে ফাঁসিয়েছে। গত ১১ নভেম্বর আলিপুরদুয়ারের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থিত হতে তাঁর মক্কেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তাঁর মক্কেল ওইদিন উপস্থিত থাকতে পারবেন না জানিয়ে শুনানি স্থগিতের আবেদন জানান। কিন্তু, তাঁর আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। তারপরই আলিপুরদুয়ার আদালত নিশীথের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। এরপর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন নিশীথ। হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার উপর স্থগিতাদেশ জারি করেন। একইসঙ্গে তিনি নির্দেশ দেন, ২০২৩ সালের জানুয়ারির ৭ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে একদিন আলিপুরদুয়ার আদালতে হাজির হতে হবে নিশীথ প্রামাণিককে।

    আরও পড়ুন: রাজ্যপালের শপথ অনুষ্ঠানে গরহাজির শুভেন্দু-সুকান্তরা, কেন?

    বিজেপি-তৃণমূল দ্বন্দ্ব

    চুরির ঘটনায় বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নাম জড়াতেই আসরে নামে তৃণমূল। তবে তৃণমূলের আক্রমণকে গুরুত্ব দিতে চাননি নিশীথ। গতকালই জলপাইগুড়িতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আদালতকে আমরা সম্মান করি। তবে এগুলো মিথ্যে মামলা। রাজনীতিতে এরকম মিথ্যে মামলা হয়। রাজ্যের শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধেও এরকম মামলা রয়েছে।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Calcutta High Court: কর্মশিক্ষা, শারীরশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদবৃদ্ধি হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: কর্মশিক্ষা, শারীরশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদবৃদ্ধি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উচ্চ প্রাথমিকে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষায় শিক্ষক নিয়োগের ওপর আগেই অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। আজ, বুধবার সেই স্থগিতাদেশের সময় আরও বাড়িয়ে দিলেন তিনি। ৩০ ডিসেম্বর বা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বাড়ান হল। অতিরিক্ত শূন্যপদ মামলায় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

    অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধি

    গত ১৮ নভেম্বর কর্মশিক্ষা ও শারীর শিক্ষায় অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court) । আগামী ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ ছিল। আর আজ এরই মেয়াদ বৃদ্ধি করে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হল।

    এদিন আদালত (Calcutta High Court) জানায়, এই বড় মামলার জন্য আরও শুনানি প্রয়োজন। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ তাদের কথা জানিয়েছে। এই অবস্থায় ২১ ডিসেম্বর সম্ভবত এই মামলার শুনানি। তারপরেই হয়ত এই মামলার ক্ষেত্রে কোনও সিদ্ধান্তের কথা জানাতে পারে কলকাতা হাইকোর্ট।

    সম্প্রতি ২০১৬ সালের কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার প্রার্থীদের পরীক্ষার ভিত্তিতে নিয়োগের তোড়জোড় করেছিল কমিশন। অতিরিক্ত ৭৫০ শূন্যপদ তৈরি করে নিয়োগের প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু এক চাকরিপ্রার্থীর মামলার ভিত্তিতে সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।

    আরও পড়ুন: বাতিল হওয়া প্রার্থীদের শূন্যপদে নিয়োগের আবেদন প্রত্যাহার কমিশনের, কেন জানেন?

    উল্লেখ্য, আদালতে দাখিল করা নতুন চারটি হলফনামায় কমিশনের আবেদন ছিল যে রাজ্যের তৈরি করা শূন্যপদে যেন চাকরি বাতিল হওয়া ব্যক্তিদের নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়। আর অন্যদিকে কমিশনের এই অবস্থানের উল্টো পথে হেঁটে রাজ্য জানায় তারা এই অবস্থানের বিপক্ষে, অযোগ্যদের নিয়োগের পক্ষে তারা নয়। আর এরপরেই কমিশন ও রাজ্যের আলাদা অবস্থানে আদালতে বিচারক বিশ্বজিৎ বসুর কাছে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। পরে কমিশন তাদের আবেদন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়। আর এরপরেই নিয়োগপত্র দেওয়ায় স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। পরে আজও মামলাটি আদালতে উঠলে, নিয়োগে স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও এক মাস বাড়াল আদালত। এই নিয়োগ মামলার পরবর্তী শুনানি সম্ভবত ২১ ডিসেম্বর।

    অন্যদিকে, গ্রামের স্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগ দিতে অনীহা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশও করেন বিচারপতি (Calcutta High Court) । তিনি এবিষয়ে আজ বলেন, ‘শহর ও শহরতলিতে বহু স্কুলে শিক্ষক আছে, কিন্তু ছাত্র নেই। এই শিক্ষকদের গ্রামের স্কুলে পাঠালে ভাল হয়। গ্রামাঞ্চলের বহু স্কুলে পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। হয় গ্রামের স্কুলে যান, নইলে চাকরি ছাড়ুন, এই নীতি নির্ধারণ করা প্রয়োজন’। এ ব্যাপারে রাজ্যে উপযুক্ত নীতি নির্ধারণ করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি।

  • Calcutta High Court: মিনাখাঁ, কেশপুর বিস্ফোরণে এনআইএ? সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র, জানাল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: মিনাখাঁ, কেশপুর বিস্ফোরণে এনআইএ? সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র, জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিনাখাঁ (Minakhan) ও কেশপুরে (Keshpur) বোমা বিস্ফোরণের (Bomb Blast) ঘটনায় এনআইএ তদন্তভার নেবে কিনা, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

    রাজ্য সরকার জানিয়েছে…

    এদিন আদালতে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই মিনাখাঁ নিয়ে কেন্দ্রকে রিপোর্ট পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। কেশপুর নিয়েও দ্রুত রিপোর্ট পাঠানো হবে। সব শুনে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ জানায় রিপোর্ট খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র।

    গত ১৬ নভেম্বর উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁয় মামার বাড়িতে এসেছিল এক নাবালিকা। বল ভেবে মামার বাড়িতে বোমা নিয়ে খেলতে গিয়েছিল সে। আচমকাই সশব্দে ফেটে যায় বোমাটি। বসিরহাট জেলার মিনাখাঁ থানার চাপালি গ্রাম পঞ্চায়েতের গাইন পাড়ার ওই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। যার বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছিল, তিনি তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। নাম আবুল হোসেন গায়েন। ঘটনার পরে পরেই ঝুমা খাতুন নামে ওই নাবালিকাকে নিয়ে যাওয়া হয় মিনাখাঁ গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ঘটনার পরে পরে আবুল হোসেন গায়েনের বাড়িতে যায় বম্ব স্কোয়াডের চারজনের এক প্রতিনিধি দল। তল্লাশি চালানো হয় তাঁর বাড়ির বিভিন্ন ঘরে। পরে গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের ওই সক্রিয় কর্মীকে। অভিযোগ ওঠে, এই প্রথম নয়, এর আগেও অস্ত্র আইনে গ্রেফতার হয়েছিলেন আবুল হোসেন গায়েন।

    আরও পড়ুন: ১.৩ লক্ষের র‌্যাঙ্ক নিয়ে পড়ছে আরজিকরে! ‘মেধাবী’ মেয়ের হয়ে সওয়াল শান্তনু সেনের

    ওই ঘটনার পরের দিনই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দলের জেরে ব্যাপক বোমাবাজি হয় পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে। ঘটনায় জখম হন শেখ রফিক। তিনি প্রাক্তন ব্লক সভাপতির অনুগামী বলে এলাকায় পরিচিত। ওই ঘটনায় রফিকের ডান হাতের আঙুল উড়ে যায়। ঘটনায় নাম জড়ায় রাজ্যের মন্ত্রী শিউলি সাহার। যদিও শিউলি ঘটনার দায় চাপান সিপিএমের ওপর।

    তবে এই প্রথম নয়, দিন কয়েক আগে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) জানিয়েছিল, সাঁইথিয়া বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ তদন্ত করবে কিনা, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র। এদিকে, বীরভূমের মহম্মদবাজারের বিস্ফোরক পাচার ও বেলডাঙা বিস্ফোরণকাণ্ডের ঘটনার তদন্তভারও ইতিমধ্যেই নিয়েছে এনআইএ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

  • Primary TET: টেট পরীক্ষায় বসতে পারবে স্পেশ্যাল বিএডরাও, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Primary TET: টেট পরীক্ষায় বসতে পারবে স্পেশ্যাল বিএডরাও, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  এবার টেটে (Primary TET) বসতে পারে স্পেশ্যাল বিএড প্রার্থীরা। চাকরিপ্রার্থীদের আর্জি মেনে নিল কলকাতা হাইকোর্ট। নিয়োগ এবং টেট পরীক্ষায় বসার আবেদন নিয়ে আদালতে দ্বারস্থ হয় স্পেশাল বিএড’রা। নিয়োগ এবং পরীক্ষায় বসতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন প্রায় ৫০ জন প্রার্থী। আপাতত আসন্ন টেট পরীক্ষায় বসার অনুমতি পেল স্পেশাল বিএডরা। এই প্রথম বিএডদের পাশাপাশি পরীক্ষায় বসবে স্পেশাল বিএড। প্রাথমিকে নিয়োগের আবেদনের শুনানি ৬ ডিসেম্বর।   

    উচ্চ আদালতের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় শুক্রবার এই নির্দেশ দেন। বিএড-রা যদি প্রাথমিক টেট (Primary TET) পরীক্ষায় বসতে পারেন, তাহলে বিএড স্পেশালরা নয় কেন? এই প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাকারীদের বক্তব্য, বিভিন্ন রাজ্যে বিএড ও বিএড স্পেশালদের একই গণ্য করা হয়। কিন্তু এই রাজ্যে সেটি হয় না বলে অভিযোগ মামলাকারীদের। এই নিয়ে মামলায় শুক্রবার বিএড স্পেশাল চাকরিপ্রার্থীদের প্রাথমিক টেটে বসার সুযোগ দিল হাইকোর্ট।

    আরও পড়ুন: ‘‘মমতাকে গণতান্ত্রিকভাবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করব’’, চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর  

    শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের তরফে অন্তর্বর্তী নির্দেশে বলা হয়েছে, বিএড স্পেশাল যে ক্যান্ডিডেটরা ফর্ম ফিল আপ করেছেন, তাঁদের প্রত্যেককে অ্যাডমিট কার্ড দিতে হবে। আগামী ৬ ডিসেম্বর এই সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। উল্লেখ্য, আগামী ১১ ডিসেম্বর প্রাথমিক টেট (Primary TET) পরীক্ষা রয়েছে। প্রায় ৬ বছর পর টেট পরীক্ষায় আয়োজন হচ্ছে রাজ্যে। কিন্তু এই পরীক্ষায় স্পেশাল বিএড-এর জন্য কোনও অপশন দেওয়া হচ্ছিল না। যাঁরা আবেদন করেছেন, তাঁদের বিএড হিসেবেই আবেদন করতে হয়েছে। এদিকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছিল, বিএড স্পেশালরা টেট পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। সেই নিয়েই মামলা করা হয়েছিল আদালতে।

    স্পেশ্যাল বিএড কী? 

    বিশেষভাবে সক্ষম পড়ুয়াদের পড়ানোর জন্য প্রশিক্ষিতদের স্পেশ্যাল বিএড বলে। তাঁদের দাবি, দেশের একাধিক রাজ্য রয়েছে, যেখানে বিএড এবং বিএড স্পেশালদের একই সারিতে রাখা হয়। এমন অবস্থায় তাঁদের প্রশ্ন, টেটে বিএড উত্তীর্ণরা অংশ নিতে পারলে, বিএড স্পেশালরা কেন অংশ নিতে পারবেন না? তাঁদের বক্তব্য, টেট পরীক্ষায় তাঁদেরও সুযোগ দেওয়া হোক। এমনকী তাঁদের দাবি, প্রাথমিক স্কুলগুলিতে অনেক ক্ষেত্রেই স্পেশাল স্টুডেন্ট থাকে। সেক্ষেত্রে বিএড স্পেশালরা যদি সুযোগ পান, তাহলে স্পেশাল স্টুডেন্টদের (Primary TET) পড়ানোর ক্ষেত্রেও সুবিধা পাওয়া যাবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

     
  • Calcutta High Court: ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনকারীদের গ্রেফতারি দুর্ভাগ্যজনক, বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    Calcutta High Court: ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনকারীদের গ্রেফতারি দুর্ভাগ্যজনক, বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) তোপের মুখে রাজ্য সরকার। এবারও তোপ দাগলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhya)। ডিএ-র (DA) দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে গ্রেফতারির ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। হাইকোর্টের ওই কর্মীকে গ্রেফতারির পরেও ছাড়া হয়নি। প্রসঙ্গত, এসএসসি মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলা চলাকালীনই স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এই মন্তব্য করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    ডিএর দাবিতে…

    বকেয়া ডিএর দাবিতে বুধবার লেনিন মূর্তির পাদদেশ থেকে বিধানসভা পর্যন্ত অভিযানের ডাক দিয়েছিল সরকারি কর্মীদের তিরিশটি সংগঠন। তিরিশটি সংগঠনের যৌথমঞ্চের বিধানসভা অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমারকাণ্ড বাঁধে। পূর্ব কর্মসূচি অনুযায়ী মিছিল ডোরিনা ক্রসিং হয়ে রানি রাসমণি রোডে আন্দোলনকারীদের মিছিল পৌঁছতেই পথ আটকায় পুলিশ। ডিএর দাবিতে আন্দোলনকারীদের রুখতে তৈরি করা হয় ত্রিস্তরীয় ব্যারিকেড। এর মধ্যে দুটি ভেঙে এগিয়ে যান আন্দোলনকারীরা। ধর্মতলা থেকে মিছিল বিধানসভার দিকে এগোতেই রুখে দেয় পুলিশ। বকেয়া ডিএ চাওয়ায় পুলিশ কয়েকজনকে ঘুষিও মারে বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত হন কয়েকজন। টেনে হিঁচড়ে চ্যাংদোলা করে আন্দোলনকারীদের তোলা হয় গাড়িতে। পুলিশের ধাক্কাধাক্কি থেকে রেহাই পাননি অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীরাও। এঁদের মধ্যে অনেকের দাবি, ডিএ বকেয়া থাকায় তাঁরা পেনশনে অনেক টাকা কম পাচ্ছেন। ওই ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়।

    আরও পড়ুন: মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে হস্তক্ষেপ অনভিপ্রেত, সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র

    কেবল একবার নয়, নানা সময়ে হাইকোর্ট জানিয়েছে যে ডিএ হল সরকারি কর্মীদের আইনি অধিকার। এটি প্রাপ্য। ডিএ দিতেই হবে। তা নিয়ে মামলা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। রাজ্যের করা পুনর্বিবেচনার আর্জি ইতিমধ্যেই খারিজ করে দিয়েছে আদালত। হাইকোর্ট যখন নির্দেশ দিচ্ছে সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা দিতে হবে, তখন সেই কথা কার্যত শুনছে না রাজ্য সরকার। এর পর গতকাল একে একে গ্রেফতার করা হয় আন্দোলনকারীদের। আইনজীবী মহলের একাংশের মতে, সেই কারণেই এদিন এহেন মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    এদিকে, ডিএ নিয়ে এখনও অবস্থান বদলায়নি রাজ্য সরকার। কলকাতা হাইকোর্ট তিন মাসের বকেয়া ডিএ মেটানোর যে নির্দেশ দিয়েছে, তা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই মামলার শুনানি এখনও শুরু হয়নি। দেশের শীর্ষ আদালত কী রায় দেয়, আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে ডিএর দাবিদাররা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dengue: ‘ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যর্থ রাজ্য’, হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা

    Dengue: ‘ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যর্থ রাজ্য’, হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে শীতের আমেজ শুরু হয়ে গেলেও ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ কমছে না। বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। মৃত্যুর সংখ্যাও আশঙ্কাজনক। এমন অবস্থায় রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। এর আগেও ডেঙ্গি মোকাবিলায় রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে বার বার প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। এবার এই ইস্যুতেই দায়ের হল মামলা। এবার এই বিষয়ে আদালতের হস্তক্ষেপের দাবি জানানো হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: শিক্ষাসচিবের হাজিরা নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ! রাতেই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ রাজ্য

    এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গিতে (Dengue) আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৭৫ জনেরও বেশি মানুষের। স্বাভাবিকভাবেই ডেঙ্গি নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিরোধী দলগুলি। ডেঙ্গি নিয়ে নজরদারি চালানোর জন্য একটি ‘মনিটরিং সেল’ গঠন করার পাশাপাশি ডেঙ্গি মোকাবিলায় মেডিক্যাল কমিশন গঠনের আর্জি জানিয়েছেন মামলাকারী। মামলাটি দায়ের করেছেন বিশিষ্ট চিকিৎসক সঞ্জীব কুমার মুখোপাধ্যায়। আগামী মঙ্গলবার মামলাটির শুনানি হবে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে। 

    কী বলেন মামলাকারীর আইনজীবী?

    মামলাকারীর আইনজীবী জানান, রাজ্যে ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ ক্রমশ বেড়ে চলেছে। গত কয়েকদিনে রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়েছে। গত ১৬ নভেম্বর মালদায় ১৩ বছরের এক কিশোর ডেঙ্গিতে মারা যায়। কলকাতা পুরসভা সহ অন্যান্য পুরসভা ডেঙ্গি মোকাবিলায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ। রাজ্যের পঞ্চায়েতগুলিও ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যার্থ। হাসপাতালগুলিতে প্লেটলেটের অভাব রয়েছে। তাই এ বিষয়ে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন রয়েছে। মেডিক্যাল কমিশন ও মনিটারিং সেল গঠনের পাশাপাশি মৃতদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, ডেঙ্গি সংক্রমণ বৃদ্ধিই শুধু নয়, রাজ্যের বিরুদ্ধে ডেঙ্গি (Dengue) সংক্রান্ত তথ্য চাপা দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীও অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারকে ডেঙ্গি সংক্রান্ত কোনও তথ্য দিচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গ। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের নিয়ম অনুযায়ী তথ্য প্রকাশ করা যায় না। তাই তথ্য পোর্টালে দেওয়া হচ্ছে না। অন্য রাজ্যেও ডেঙ্গি হচ্ছে, সেই সব রাজ্যও তথ্য দিচ্ছে না বলে দাবি করেছেন মমতা। কিন্তু রাজ্যের এই দাবি মানতে নারাজ বিরোধীরা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

      

     

     

  • High Court on Dengue: ডেঙ্গি মোকাবিলায় কী কী পদক্ষেপ? রাজ্যের কাছে হলফনামা চাইল হাইকোর্ট

    High Court on Dengue: ডেঙ্গি মোকাবিলায় কী কী পদক্ষেপ? রাজ্যের কাছে হলফনামা চাইল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গি পরিস্থিতির মোকাবিলায় সরকার কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। ডেঙ্গি সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলায় রাজ্য সরকারের কাছে হলফনামা চাইল আদালত। এই বিষয়ে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে নবান্নকে হলফনামা জমা দিতে বলেছে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।

    ডেঙ্গি নিয়ে মামলা

    ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকার ব্যর্থ এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন চিকিৎসক সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়। তাঁর আইনজীবী শমীক বাগচী জানান, এর আগে কলকাতা হাইকোর্ট ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকারকে যে সমস্ত নির্দেশ দিয়েছিল সেগুলি কতদূর কার্যকর হয়েছে তাই জানাতে বলা হয়েছে হলফনামায়। মামলাকারীরা কলকাতা পুরসভা এবং মেয়র ফিরহাদ হাকিমকেও এই মামলায় যুক্ত করেছেন। তবে এ দিন পুরসভার তরফে কোনও কৌঁসুলি শুনানিতে হাজির ছিলেন না। কোর্টের নির্দেশ, কলকাতা পুর এলাকায় ডেঙ্গি প্রতিরোধে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা জানিয়ে পুরসভাকে আদালতে আলাদা হলফনামা জমা দিতে হবে।

    আরও পড়ুন: “কোভিড মৃত্যুর জন্যে দায়ী নয় সরকার”, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    রাজ্যের যুক্তি সমর্থন যোগ্য নয়

    এদিন শুনানির সময় রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়, শীত আসছে। তাপমাত্রা কমলে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। কিন্তু হাইকোর্ট সেই যুক্তি পুরোপুরি মেনে নেয়নি। ডিভিশন বেঞ্চ মনে করিয়ে দিয়েছে, ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মানুষের মৃত্যুতে প্রশাসন দায় এড়াতে পারবে না। ডেঙ্গির ভয়াবহতা উল্লেখ করে আইনজীবী জানান, রাজ্যে সংক্রমণ হুহু করে বাড়ছে। গত কয়েকদিনে সারা রাজ্য জুড়ে বেশ কয়েকজন মারাও গিয়েছেন। মৃতের তালিকায় রয়েছে শিশুরাও। ডেঙ্গি রোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্লাড ব্যাঙ্কে পর্যাপ্ত প্লেটলেটও পাওয়া যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে এটা স্পষ্ট যে, রাজ্যে ডেঙ্গি মোকাবিলায় প্রশাসন ব্যর্থ।  তাই এবিষয়ে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন রয়েছে। মেডিক্যাল কমিশন ও মনিটারিং সেল গঠনের পাশাপাশি মৃতদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • TET: হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ২০১৪ টেট উত্তীর্ণদের নম্বরের তালিকা প্রকাশ পর্ষদের

    TET: হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ২০১৪ টেট উত্তীর্ণদের নম্বরের তালিকা প্রকাশ পর্ষদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জয়ের দিকে আরও এক ধাপ অগ্রসর হলেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ২০১৪-এর টেট (TET) উত্তীর্ণদের নম্বরের তালিকা প্রকাশ করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। টেট উত্তীর্ণদের নম্বরের ব্রেক আপ প্রকাশ করা হয়েছে সোমবার।      

    ২০১৪ সালে টেট (TET) পাশদের ২০১৬ ও ২০২০ সালে নিয়োগ হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে এই নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কলকাতার রাজপথে আন্দোলনে নামেন চাকরিপ্রার্থীরা। দায়ের করা হয় মামলা। মামলাকারীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল ২০১৪ সালে যাঁরা টেট পাশ করেছেন, তাঁরা লিখিত, মৌখিক পরীক্ষায় কত পেয়েছেন, স্পষ্ট উল্লেখ করে তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সেইমতোই তালিকা প্রকাশ করল পর্ষদ।

    আরও পড়ুন: জামিনের পর এবার মামলা খারিজের দাবি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ কেষ্ট

    কী রয়েছে স্কোর ব্রেকআপে? 

    ২০১৪ সালের টেটে (TET) ৪২ হাজার ৯৪৯ জনের শূন্যপদে নিয়োগ হয়েছে। তাঁদেরই প্রাপ্ত নম্বরের তালিকা এদিন প্রকাশিত হয়েছে। ব্রেক আপ স্কোরে রয়েছে টেটের স্কোর, মাধ্যমিকের স্কোর, উচ্চমাধ্যমিকের স্কোর, ট্রেনিং স্কোর, ভাইভার নম্বর, অ্যাপ্টিটিউড টেস্টের নম্বর। মোট ১২৮১ পাতার একটি পিডিএফ ফাইল প্রকাশ করা হয়েছে।

    পর্ষদের কাছে আগেই এই তথ্য চেয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা, সিবিআই। সিবিআইয়ের তলবের পরই জেলা প্রাথমিক স্কুল কাউন্সিল বা ডিপিএসসিকে (DPSC) ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। দ্রুত এক্সেল ফরম্যাটে প্রত্যেকের নিয়োগ তথ্য ইমেল করতে বলা হয়েছিল পর্ষদে। টেটের (TET) রোল নম্বর, টেট পাশের সার্টিফিকেট-সহ, পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় নথি জমা দিতে বলা হয়েছিল। আদালতই এই তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিল। এর আগেও ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৯৫২ জনের নম্বর প্রকাশ করেছে পর্ষদ। কিন্তু সেই তালিকা ‘অসম্পূর্ণ’ বলে অভিযোগ করেছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা।  দীর্ঘ ৮ বছরের লড়াইয়ের পর প্রকাশিত হল তালিকা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

      

     

  • Recruitment Scam: ‘কমিশনকে বলব তৃণমূলের প্রতীক প্রত্যাহার করার জন্য?’, বিস্ফোরক বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    Recruitment Scam: ‘কমিশনকে বলব তৃণমূলের প্রতীক প্রত্যাহার করার জন্য?’, বিস্ফোরক বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্ত্রিসভাকে পার্টি করে তৃণমূলের (TMC) প্রতীক কেড়ে নিতে বলব কি? শুক্রবার এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gganguly)। নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) নিয়ে গত কয়েক মাসে নজিরবিহীন বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ জানিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন সে সবকে ছাপিয়ে গেল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য। তিনি বলেন, হয় ক্যাবিনেটকে বলতে হবে যে আমরা অযোগ্যদের পাশে নেই এবং ১৯ শে মে-র বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করতে হবে। নাহলে এমন পদক্ষেপ করব যেটা গোটা দেশে কখনও হয়নি। তিনি বলেন, আমার সন্দেহ আছে যে, হয় গণতন্ত্র সঠিক হাতে নেই। আর নাহলে গণতন্ত্র বিকশিত হয়নি। আমি ক্যাবিনেটকে পার্টি করে দেব। সবাইকে এসে উত্তর দিতে হবে। শোকজ করতে পারি।

    সওয়াল জবাব…

    এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং মণীশ জৈনের দীর্ঘ সওয়াল জবাব চলে আদালতে। এক প্রশ্নের উত্তরে মণীশ বলেন, অতিরিক্ত শূন্যপদ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নির্দেশ এসেছিল। তিনিই আইনি পরামর্শ নেওয়ার কথা বলেছিলেন।

    প্রশ্ন: আপনি কি জানেন যে কমিশনের আইন অনুযায়ী কোন বেআইনি নিয়োগ করা যায় না?

    উত্তর: হ্যাঁ।

    প্রশ্ন: তাহলে অতিরিক্ত শূন্যপদ কেন তৈরি করা হল?

    উত্তর: উপযুক্ত স্তর থেকে নির্দেশ এসেছিল। ব্রাত্য বসুর নির্দেশ এসেছিল। তিনি আইনি পরামর্শ নেওয়ার কথা বলেছিলেন। আমার আইনজীবী এবং অ্যাডভোকেট জেনারেলের সঙ্গে কথা হয়েছিল। আইন দফতরের সঙ্গেও কথা হয়েছে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়। মুখ্যসচিবকে জানানো হয়। ক্যাবিনেটে নোট পাঠানো হয়।

    প্রশ্ন: অবৈধদের নিয়োগ নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন আইনজীবীরা?

    উত্তর: না।

    প্রশ্ন: আপনার কি মনে হয় না যে অবৈধদের বাঁচানোর জন্য এই অতিরিক্ত শূন্যপদ? অবৈধদের সরানোর কোন সিদ্ধান্ত হয়েছিল?

    উত্তর: আমরা আইন দফতরের সঙ্গে কথা বলেছি।

    প্রশ্ন: আমি বিস্মিত যে কীভাবে ক্যাবিনেটে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল?  যেখানে আইনে এর কোন সংস্থান নেই। আপনি কি মনে করেন যে অবৈধদের চাকরি বাঁচানো দরকার?

    উত্তর: না।

    প্রশ্ন: কোন ক্যাবিনেটে এই সিদ্ধান্ত হয়?

    উত্তর:  আমরা আইন দফতরের সঙ্গে কথা বলেছি।

    প্রশ্ন: এটা কোনও রাজ্যের নীতি হতে পারে?  আবার বলা হচ্ছে, যে কারও চাকরি যাবে না। স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবীর কাছে আবেদন দাখিল করার কোনও লিখিত নির্দেশিকা নেই। অতিরিক্ত প্রায় ২৬২ কোটি টাকা কেন প্রতি বছর ব্যয় করা হবে এই অযোগ্যদের জন্য?

    উত্তর: আমরা অ্যাডভোকেট জেনারেলের সঙ্গেও এবিষয়ে কথা বলেছিলাম।

    প্রশ্ন: আপনার কি মনে হয় না যে ক্যাবিনেট তার এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সংবিধানবিরোধী কাজ করেছে? ক্যাবিনেটের সদস্যরা সই করলেন?  কেউ তাঁদের সতর্ক করলেন না?

    উত্তর: আমি সেখানে ছিলাম না।

    এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বলেন, বিধানসভায় দলনেতা মুখ্যমন্ত্রী। আর লোকসভায় দলনেতা প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি ইলেকশন কমিশনকে বলব তৃণমূল কংগ্রেসের লোগো প্রত্যাহার করার জন্য। দল হিসাবে তাদের মান্যতা প্রত্যাহার করতে বলব নির্বাচন কমিশনকে। সংবিধান নিয়ে যা ইচ্ছা করা যায় না, হুঁশিয়ারি বিচারপতির। তিনি বলেন, আমি মুখ্যমন্ত্রীর যন্ত্রণা বুঝতে পারি। কিন্তু কিছু দালাল যারা মুখপাত্র বলে পরিচিত তারা আদালতের নামে যা ইচ্ছা বলছে। বলছে, যে নিয়োগ হলেই আদালতে গিয়ে স্থগিতাদেশ নিয়ে আসছে। আদালত কি এগরোল নাকি যে এলেই স্থগিতাদেশ পেয়ে যাবে? প্রশ্ন বিচারপতির।

    আরও পড়ুন: অভিষেকই ‘কয়লা ভাইপো’? মেনে নিচ্ছে তৃণমূল?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Calcutta High Court: শিক্ষাসচিবের হাজিরা নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ! রাতেই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ  রাজ্য

    Calcutta High Court: শিক্ষাসচিবের হাজিরা নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ! রাতেই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষাসচিবের হাজিরা নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাতেই ডিভিশন বেঞ্চে (Calcutta High Court)আবেদন রাজ্যের। SSC নিয়োগে অতিরিক্ত শূন্যপদে (SSC Case) বেনামি-আবেদনের কৈফিয়ত চেয়ে শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনকে (Manish Jain) হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Judge Abhijit Ganguly)। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় শিক্ষাসচিবকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেন তিনি।

    আরও পড়ুন: বসিরহাটে গুলিবিদ্ধ পুলিশ অফিসার, ঘরে আছে ছোট্ট মেয়ে, উদ্বেগ পরিবারের  

    রাজ্যের আবেদন

    শিক্ষাসচিবের হাজিরার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বুধবার রাতেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। সকাল সাড়ে দশটার আগেই ডিভিশন বেঞ্চ বসিয়ে আবেদনের বিষয়টি খতিয়ে দেখার আর্জি জানিয়েছে রাজ্য। প্রধান বিচারপতির সচিবালয় মারফত ই-মেইল করে আবেদন করে রাজ্য। সূত্রের খবর, সকাল সাড়ে ১০টার আগেই ডিভিশন বেঞ্চ বসিয়ে রাজ্যের আবেদনের শুনানির আর্জি জানানো হয়। পাশাপাশি, অতিরিক্ত শূন্যপদে বেনামি-আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিবিআই তদন্তের নির্দেশকেও চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে রাজ্যের তরফে। গতকাল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বেনামি আবেদনের ক্ষেত্রে সিবিআই তদন্ত এবং বৃহস্পতিবার সকালে শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনকে হাজিরার নির্দেশ দেন।  এই দুই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। এ নিয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে, তাঁর অনুমতি সাপেক্ষে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ‘কার নির্দেশে নিয়োগের আবেদন?’ ফের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    অবৈধ আবেদন

    প্রথমে অবৈধভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে যাদের চাকরি বাতিল হয়, তাঁদের পরিবারের কথা ভেবে পুর্নবহালের আবেদন করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। যা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এরপরেই নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসে কমিশন। এরপরে সেই মামলাতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কমিশনের আইনজীবীদের কাছে জানতে চান, কার নির্দেশে করা হয় এহেন আবেদন। এবিষয়ে কোনও লিখিত প্রমাণ দেখাতে পারেননি কমিশনের আইনজীবী। তখনই শিক্ষাসচিবকে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share