Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Suvendu Adhikari: আজ বাঁকুড়ায় সভা শুভেন্দুর, আদালতের নির্দেশে নিরাপত্তায় সিআরপিএফ

    Suvendu Adhikari: আজ বাঁকুড়ায় সভা শুভেন্দুর, আদালতের নির্দেশে নিরাপত্তায় সিআরপিএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য প্রশসানের অনুমতি না মিললেও হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে আজ, মঙ্গলবার শুভেন্দু অধিকারীর সভা হচ্ছে বাঁকুড়ার রাইপুরে। আদালতের নির্দেশেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়ে রাইপুরে সভা করবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। । প্রথমে শুধুমাত্র সভার কথা বলা হলেও পরে কর্মসূচীতে বদল আনা হয়েছে। সভার আগে হবে মিছিলও।

    আজকের কর্মসূচি

    হাই কোর্টের অনুমতি পাওয়ার পর আজ, মঙ্গলবার বেলা  ২ টোয় শুভেন্দু অধিকারী বাঁকুড়ায় রাইপুরের থানা গোড়া বাস স্ট্যান্ডে যাবেন। সেখান থেকে দলের কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে মিছিলে হাঁটবেন তিনি। মিছিল করে তিনি যাবেন দেড় কিলোমিটার দূরে রাইপুর ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে। মিছিলে হাঁটার পথে রাস্তায় থাকা পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মু ও সিধু কানহুর মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন তিনি। ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে মিছিল শেষ করে তিনি দলীয় সভা করবেন।  বিজেপির তরফে স্বাধীনতা সংগ্রামী আদিবাসী নেতা বিরসা মুন্ডার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাইপুরে ওই সভার আয়োজন করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতিকে করুচিকর মন্তব্য, অখিল গিরির পদত্যাগের দাবিতে রাজভবন অভিযান শুভেন্দুদের

    আদালতের নির্দেশ

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভায় পুলিশের সঙ্গে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সোমবার এমনই নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। পুলিশের দাবি, অন্যত্র গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা জনিত ডিউটি থাকার কারণে ওই নির্দিষ্ট দিনে বিজেপির সভার জন্য প্রয়োজনীয় পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা সম্ভব নয়। তার উপর রাইপুর থানা মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকা ভুক্ত হওয়ায় পর্যাপ্ত বাহিনী মোতায়েন ছাড়া সভার জন্য ছাড়পত্র দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সভার জন্য অন্য কোনও দিন এবং জায়গা ঠিক করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। এরপরই, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দেন, বাঁকুড়ার রাইপুরে ওই সভায় পুলিশ কম থাকলে সিআরপিএফ নিরাপত্তা দেবে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে। কত বাহিনী প্রয়োজন রাইপুর থানার সঙ্গে কথা বলে সিআরপিএফ-কে তা ঠিক করতে হবে। রাজ্যের বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও আজ থাকছেন ঝাড়গ্রামে। জেলার গোপীবল্লভপুরে সভা করবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এছাড়া আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় সভা করার পাশাপাশি তফসিলি উপজাতি সমাজের কোনও পরিবারের সঙ্গে এদিন মধ্যাহ্নভোজও সারতে পারেন তিনি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • SSC Scam: ‘কমিশনের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই কেন?’ নিয়োগ মামলায় প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকার

    SSC Scam: ‘কমিশনের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই কেন?’ নিয়োগ মামলায় প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অতিরিক্ত শূন্যপদ মামলায় কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) অস্বস্তিতে স্কুল শিক্ষা কমিশন। মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, “রাজ্য এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) অবস্থান যদি এক না হয় তাহলে কমিশন ভেঙে দেওয়া হোক।” আজ অতিরিক্ত শূন্যপদ মামলায় বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু ক্ষোভ উগরে দেন কমিশনের প্রতি (SSC Scam)। কমিশনের তরফে আবেদন করা হয়েছিল, যেসব অযোগ্যরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের চাকরি বহাল রেখে শূন্যপদের সংখ্যা বাড়ানো হোক। কিন্তু এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই বিচারপতি বিশ্বজিৎ এদিন বলেন বেআইনি ভাবে নিযুক্ত করা অযোগ্যদের বরদাস্ত করা হবে না।

    রাজ্য ও কমিশনের আলাদা অবস্থান

    হাইকোর্টের নির্দেশে গত ১৯ মে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, বিভিন্ন শূন্যপদে নিয়োগের জন্য ৬৮২১ টি অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছে। গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি থেকে নবম-দ্বাদশ, শারীরশিক্ষা-কর্মশিক্ষা বিভিন্ন ক্ষেত্রেই যোগ্য কিন্তু বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের জন্যই এই পদ তৈরি করা। অর্থাৎ যেসব যোগ্য প্রার্থীরা চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তাদের নিয়োগ করা হবে। কিন্তু অন্যদিকে কমিশনের তরফে অবৈধ চাকরি পাওয়াদের তাঁদের পরিবারের কথা ভেবে, পুনর্বহালের জন্য অতিরিক্ত শূন্যপদ করার আবেদন করা হয়েছিল (SSC Scam)। আজ শুনানিতে এই বলা হয়েছে, কমিশনের এমন আবেদনের সঙ্গে রাজ্য সরকারের কোনও যোগ নেই, ফলে এরপরেই বিচারপতি প্রশ্ন করেছেন যে, রাজ্য সরকারের কি স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপর কোনও নিয়ন্ত্রণে নেই? কমিশনের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপের কথা ভাবছে রাজ্য, প্রশ্ন বিচারপতির।

    আগামীকাল সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে রাজ্যের কাছে জবাব তলব করেছে হাইকোর্ট। আর কমিশনের উপর নিয়ন্ত্রণ বা থাকায় কমিশন ভেঙে দেওয়ার কথা বলেন বিচারপতি। রাজ্য কী পদক্ষেপ নিচ্ছে, সেটাই জানতে চেয়েছেন বিচারপতি (SSC Scam)।

    কী এই মামলা?

    কর্মশিক্ষায় ৭৫০টি ও শারীর শিক্ষায় ৮৫০টি সুপার নিউমেরিক পোস্ট তৈরির কথা জানানো হয়েছিল কমিশনের তরফে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার পর মামলাকারীরা জানান, কর্মশিক্ষা ও শারীর শিক্ষায় এমন ৬০ জন চাকরি করেন, যাঁদের প্রাপ্ত নম্বর মামলাকারীদের থেকে কম। সেই নিয়েই মামলা চলছিল। তবে এদিন কমিশনের ওই আবেদন পত্র দেখানো হতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টায় ফের এই মামলার শুনানি আছে (SSC Scam)।

    স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে কেন এমন আবেদন করা হয়েছে?

    কমিশনের দাবি, যাঁদের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, তাঁদের তিন বছর চাকরি হয়ে গিয়েছে। তাঁদের কাজ নিয়ে কোনও প্রশ্ন ওঠেনি, অভিযোগও নেই। তাই তাঁদের চাকরি রেখেই নতুন নিয়োগের কথা বলছে কমিশন। কমিশন আরও জানিয়েছে, এই চাকরির সঙ্গে রাজ্যের কোনও সম্পর্ক নেই। তাই রাজ্য সরকারের অন্য কোনও বিভাগে তাঁদের চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়। তবে এই আবেদন প্রত্যাহার করা যেতে পারে বলে জানা গিয়েছে, সূত্রের খবর (SSC Scam)।

  • Akhil Giri: রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অখিল গিরির মন্তব্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে! আদালতে কী বলল রাজ্য?

    Akhil Giri: রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অখিল গিরির মন্তব্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে! আদালতে কী বলল রাজ্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি যে মন্তব্য করেছেন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অখিল-মন্তব্যের বিরুদ্ধে করা জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে হাইকোর্টে এমনটাই জানাল রাজ্য সরকার। দেশের রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগে রামনগরের তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত। তাঁর দাবি ছিল, রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে মন্তব্য, সংবিধানের অবমাননা। সংবিধানের উচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত ব্যক্তির প্রসঙ্গে যে ধরনের মন্তব্য করা হয়েছে অপরাধের সামিল। যিনি মন্তব্য করেছেন তিনি একজন রাজ্যের মন্ত্রী। তার এই মন্তব্য আদিবাসী সমাজকেও আঘাত করেছে। তার এই মন্তব্য নিয়ে রাজ্য সরকার কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। শুধুমাত্র এক লাইনে অ্যাপোলজি চেয়ে খান্ত থেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী আদালত উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।

    আরও পড়ুন: রাজস্থানে নতুন রেল লাইনে বিস্ফোরণ, তদন্তে এনআইএ

    মামলার শুনানি

    সেই মামলারই শুনানি ছিল বুধবার। বুধবার শুনানি চলাকালীন আদালতে রাজ্য জানিয়েছে, অখিলের মন্তব্যে বিরুদ্ধে যে সব স্মারক লিপি জমা পড়েছে তার প্রেক্ষিতে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ-ও বলা হয়েছে, এ নিয়ে নির্দিষ্ট করে এফআইআর হয়নি। কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। একটা ডেপুটেশন জমা পড়েছে। তার ভিত্তিতে অনুসন্ধান চলছে। বুধবার আদলতের কাছে এক দিন সময় চেয়েছেন অখিলের আইনজীবী। বৃহস্পতিবার ফের হতে চলেছে ওই মামলার শুনানি। প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর পরিবারকে নিশানা করতে গিয়ে গত শনিবার বিতর্কিত মন্তব্য করেন রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি। বাদ পড়েননি রাষ্ট্রপতি দৌপদী মুর্মুও। অখিল গিরি বলেন, “আমরা রূপের বিচার করি না। তোমার রাষ্ট্রপতির চেয়ারকে আমরা সম্মান করি। তোমার রাষ্ট্রপতিকে কেমন দেখতে বাবা?”

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতিকে কুরুচিকর মন্তব্য, অখিল গিরির পদত্যাগের দাবিতে রাজভবন অভিযান শুভেন্দুদের

    অখিল গিরির সমালোচনা

    এই প্রসঙ্গে শাসকদলকে নিশানা করেছেন বিজেপি। ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন থানায় অখিল গিরির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। দিল্লির নর্থ অ্যাভিনিউ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীও মেনে নিয়েছেন অখিল গিরি অন্যায় করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা রাষ্ট্রপতিকে সন্মান করি। সর্বোচ্চ সম্মানীয় ব্যক্তি। অখিলের এমন মন্তব্য করা ঠিক হয়নি। অখিল এটা অন্যায় করেছে। আমি সমালোচনা করছি।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • SSC Scam: মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নিজেদের হাইকোর্ট ভাবে!  তোপ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    SSC Scam: মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নিজেদের হাইকোর্ট ভাবে! তোপ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নিজেদেরকে হাইকোর্ট মনে করে না কি? নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় প্রশ্ন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। আদালতের নির্দেশ অমান্য করায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে তীব্র ভর্ৎসনা করলেন তিনি। পর্ষদের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে পর্ষদ সভাপতি রামানুজ বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলবও করেন বিচারপতি। যদিও পরে সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করেন তিনি।

    কী হয়েছিল

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় আগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, ২৮ অক্টোবরের মধ্যে প্রিয়াঙ্কা সাউ, নামে আদালতে আবেদনকারী এক চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগপত্র দিতে হবে। কিন্তু তা হয়নি। তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয় ১৪ নভেম্বর। মঙ্গলবার বিচারপতিকে সেকথা জানান প্রিয়াঙ্কার আইনজীবী। এর পরই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের উদ্দেশে তীব্র ভর্ৎসনা করে বিচারপতি বলেন, কেন ২৮ অক্টোবরের মধ্যে প্রিয়াঙ্কাকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি? এদিন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে তা জানতে চান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। তিনি বলেন, ‘যদি সময়ে চাকরি না দিতে পারে, তা হলে আদালতে এসে জানানো উচিত ছিল। কেন পর্ষদ নিয়োগপত্র দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন করেনি আদালতে?’ এ প্রসঙ্গে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতিকে এজলাসে তলবও করেন তিনি। পরে পর্ষদের তরফে জানানো হয় যে, ২৮ অক্টোবর এসএসসি নিযোগ সুপারিশপত্রের হার্ড কপি হাতে পায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তাই ২৮ অক্টোবর প্রিয়াঙ্কা সাউকে নিয়োগপত্র দেওয়া যায়নি। একথা জানার পর মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতির হাজিরার নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: জামিন হল না পার্থ-সুবীরেশ সহ ধৃত ৭ জনের! এসএসসি কাণ্ডে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ

    প্রিয়াঙ্কার অভিযোগ

    প্রিয়াঙ্কা সাউয়ের অভিযোগ ছিল, তার থেকে কম নম্বর প্রাপ্তরা নিয়োগ পেলেও তিনি পাননি। পর্ষদের দফতরে অভিযোগ জানাতে গেলে কর্ণপাত করেননি কোনও আধিকারিক। তাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন প্রিয়াঙ্কা। আদালতের তরফে এদিন বিচারপতি পর্ষদের কাজে উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, ‘রাজ্যের একাধিক শিক্ষা সংক্রান্ত অফিসার জেলে। তারপরেও এই বোর্ডের দৃষ্টিভঙ্গি, আচরণ পরীক্ষার্থী বিরোধী। বোর্ডের বহু কর্তা ছাত্রবিরোধী কাজ করছেন। যা কখনওই কাম্য নয়’।

    সিটের প্রধানকে তলব

    নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের সিটের প্রধানকেও তলব করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আজ দুপুর ২টোয় সিটের প্রধানকে তলব করেছেন তিনি। ‘ভুয়ো নিয়োগের প্রকৃত সংখ্যা কত?’ সিবিআইয়ের কাছে জানতে চাইলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Calcutta High Court: ৩৯২৯টি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বড় রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: ৩৯২৯টি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বড় রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ফের ধাক্কা খেল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বড় জয় পেল ২০১৪-এর টেট উত্তীর্ণরা। বকেয়া ৩ হাজার ৯২৯টি শূন্যপদেই নিয়োগ করতে হবে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের। এই শূন্যপদে অন্য কোনও প্রার্থীর নিয়োগের অধিকার নেই। এমনটাই নির্দেশে জানাল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ এই সংক্রান্ত মামলার রায় দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। অর্থাৎ নিয়োগ নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকেই বহাল রাখল বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ।

    ডিভিশন বেঞ্চে কী বলা হল?

    আজ কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জানানো হয়েছে, ২০১৪-এর টেট পরীক্ষায় যে ৩৯২৯টি শূন্যপদে নিয়োগ হয়নি, সেই শূন্যপদে ২০১৪-এর টেট উত্তীর্ণদেরই মেধাতালিকার ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে। এই শূন্যপদে অন্য কোনও টেট উত্তীর্ণদের অধিকার নেই। গত সেপ্টেম্বরে প্রাথমিকের ৩৯২৯টি শূন্যপদে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এরপর তাঁর রায় বহাল রেখেই আজকের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। আবার, সেসময় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ ২৫২ জনকে সরাসরি নিয়োগের নির্দেশও দিয়েছিল। কিন্তু আজ তা খারিজ করে ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে যে, একমাত্র যোগ্যতার ভিত্তিতেই নিয়োগ করতে হবে।

    আরও পড়ুন: প্রাথমিকে ৩২৫ জনের নিয়োগ করতে টাকা নিয়েছিলেন মানিক! ইডির হাতে নতুন তথ্য

    এরপরেই সিঙ্গল বেঞ্চের ওই নিয়োগ-নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে (Calcutta High Court) যায় পর্ষদ। দাবি করে তারা ২০২২ সালে প্রায় সাড়ে এগারো হাজার শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে। সেই মামলায় আজ ডিভিশন বেঞ্চ সরাসরি জানিয়ে দিয়েছে যে, পর্ষদ যদি ওই ৩৯২৯টি শূন্যপদ ধরে ২০২২ সালে সাড়ে ১১ হাজার শূন্যপদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে থাকে, তাহলে প্রথমেই ওই ৩৯২৯টি পদ হিসেব থেকে বাদ দিতে হবে। কারণ ওই পদগুলিতে ২০১৪-র টেটের ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। এ বাদে যে পদগুলি বাকি থাকবে তার নিয়োগে অংশ নিতে পারেন ২০১৭-র টেট উত্তীর্ণরা।

    প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের টেট-র ভিত্তিতে ২০১৬ এবং ২০২০ সালে দু’বার নিয়োগ হয়। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সব পদ পূরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। ২০২০ সালের নিয়োগে ১৬ হাজার ৫০০ পদে নিয়োগের কথা জানিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু পরে জানা যায়, সেই সময় সাড়ে ১২ হাজার পদে নিয়োগ হয়েছিল। অর্থাৎ ৩৯২৯টি পদ বাকি থেকে যায়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Calcutta High Court) শূন্যপদে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের নিয়োগের নির্দেশ দেন। প্রশ্ন ভুল থাকায় পরে মামলাকারীদেরও চাকরি দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপরেই আজ সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকেই মান্যতা দিল ডিভিশন বেঞ্চ। শুধুমাত্র সরাসরি ২৫২ জন প্রার্থীর নিয়োগের নির্দেশকেই মানা হয়নি।

  • TET Exam: ‘আইন না মানলে বন্ধ টেট’, পর্ষদকে কড়া হুঁশিয়ারি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    TET Exam: ‘আইন না মানলে বন্ধ টেট’, পর্ষদকে কড়া হুঁশিয়ারি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার টেট পরীক্ষা (TET Exam) বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। আইন মেনে পরীক্ষা না হলে বন্ধ করে দেওয়া হবে পরীক্ষা, সাফ জানিয়ে দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পর্ষদ বন্ধুর মতো আচরণ করছে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

    কবে টেট পরীক্ষা?

    টেট কেলেঙ্কারির জেরে বিব্রত রাজ্য সরকার (State Govt.)। শেষমেশ শিক্ষক সমস্যার সমাধান করতে চলতি বছরের ১১ ডিসেম্বর নতুন করে শিক্ষক নিয়োগের জন্য টেট পরীক্ষা (TET Exam) নেওয়ার কথা। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি ছিল টেট সংক্রান্ত একটি মামলার। ২০১৭ সালে টেটের মেধাতালিকা প্রকাশ করা হলেও, ২০১৪র ফল বের করেনি পর্ষদ। তা নিয়েই মামলা হয়। চলছিল শুনানিও। কেবল এটিই নয়, টেট নিয়ে বুধবার একাধিক মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেখানে পর্ষদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠতে থাকে। তার জেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: গুজরাটে বিজেপির প্রার্থী তালিকায় চমক, কে কে লড়ছেন জানেন?

    এদিন টেট নিয়ে মামলার শুনানি চলাকালীনই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে আরও একবার অসন্তোষ প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন আদালতে তিনি বলেন, পর্ষদ বন্ধুর মতো আচরণ করছে না। আমি আমার আগের মন্তব্য প্রত্যাহার করছি, যেখানে বলেছি নিয়োগে বাধা দেব না। এখন যদি দেখি আইন মানা হচ্ছে না, তাহলে পরীক্ষা (TET Exam) বন্ধ করে দেব। নভেম্বর মাসের তিন তারিখে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ২০১৪ এবং ২০১৭র টেটে সংরক্ষিত বিভাগের যে প্রার্থীরা ৮২ পেয়েছেন, তাঁদের টেট উত্তীর্ণ বলে গণ্য করতে হবে। ২০২২ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁদের অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। এর জেরে পর্ষদ কর্তৃক ঘোষিত লক্ষাধিক টেট অনুত্তীর্ণ প্রার্থী ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। এদিকে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী জানান, শুক্রবারের মধ্যে ২০১৪ সালের সংরক্ষিত বিভাগের ৮২ নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের টেট উত্তীর্ণ বলে ঘোষণা করা হবে। প্রকাশ করা হবে মেধা তালিকাও। আপাতত তারই প্রতীক্ষায় কর্মপ্রার্থীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Jhalda: ঝালদা পুরসভার আস্থা ভোটে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    Jhalda: ঝালদা পুরসভার আস্থা ভোটে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ হচ্ছে না ঝালদা পুরসভার (Jhalda Municipality) আস্থা ভোট। ঝালদা পুরসভার আস্থা ভোটে স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিনই আস্থা ভোট গ্রহণের কথা ছিল। আজকের পরিবর্তে ২১ নভেম্বর আস্থা ভোট হবে বলে জানা গিয়েছে। ৪ নভেম্বর তিন কংগ্রেস কাউন্সিলরের জারি করা নোটিসও এদিন খারিজ করে দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। 

    বিরোধী কাউন্সিলরদের জারি করা নোটিস খারিজের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ঝালদা পুরসভার উপপুরপ্রধান সুদীপ কর্মকার। উপপুরপ্রধানের দাবি, ১৩ অক্টোবর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন বিরোধীরা। ১৫ দিনের মধ্যেই এ নিয়ে পদক্ষেপ নিতে হয় চেয়ারম্যানকে। এটাই নিয়ম। কিন্তু তিনি তা না করায় ২৮ অক্টোবর উপপুরপ্রধান সুদীপ কর্মকারের কাছে তলবি সভা ডাকার আবেদন জানান বিরোধী কাউন্সিলররা। নিয়ম  অনুযায়ী, ৭ দিনের মধ্যে পদক্ষেপ নিতে হয় উপপুরপ্রধানকে। ৩ নভেম্বর উপপুরপ্রধান সুদীপ কর্মকার জানান, আস্থা ভোট হবে ২১ নভেম্বর। এরই মাঝে ৪ঠা নভেম্বর তিন বিরোধী কাউন্সিলর আস্থা ভোটের জন্য নোটিশ জারি করেন। আজই আস্থা ভোটের দিন ধার্য হয়েছিল।   

    উপপুরপ্রধানের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ৭ নভেম্বর, অর্থাৎ সোমবার তলবি সভা ডেকেছিলেন বিরোধী কাউন্সিলররা। কাউন্সিলরদের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন উপপুরপ্রধান। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই সোমবারের আস্থা ভোটে স্থগিতাদেশ দিলেন বিচারপতি। বিচারপতির দাবি, উপপুরপ্রধান ৭ দিনে কোনও পদক্ষেপ না নিলে, বিরোধীরা আস্থা ভোট করতে পারতেন। কিছু ৭ দিনের মধ্যেই পদক্ষেপ নিয়েছেন উপপুরপ্রধান সুদীপ কর্মকার।

    প্রসঙ্গত, পুরুলিয়া জেলার ঝালদা পুরসভায় মোট ১২টি ওয়ার্ড রয়েছে। গত পুরসভা ভোটে ঝালদায় ৫টি করে আসন জেতে তৃণমূল ও কংগ্রেস। ২টি আসনে জয়লাভ করেন নির্দল প্রার্থীরা। জয়ের পর নির্দল প্রার্থী শীলা চ্যাটার্জি তৃণমূলে যোগ দেন। এর জেরে সেখানে তৃণমূলের কাউন্সিলর সংখ্যা দাঁড়ায় ৬। সেই সঙ্গে আরও একজন নির্দলেরও সমর্থন পায় রাজ্যের শাসক দল। এই সমর্থন নিয়ে সেখানে পুরবোর্ড গঠন করে তৃণমূল। 

    আরও পড়ুন: রাজ্য সরকারের ‘অদক্ষতায়’ বাড়ছে ডেঙ্গি, উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর   

    বোর্ড গঠন নিয়ে তৃণমূল-কংগ্রেস অশান্তির মধ্যেই গত ১৩ মার্চ খুন হন কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থী তপন কান্দু। তপন কান্দু খুনের ঘটনায় উত্তাল হয় গোটা রাজ্য। পরবর্তীতে উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে কাকা তপন কান্দুর আসনে জয়ী হন ভাইপো মিঠুন কান্দু। যদিও বোর্ড গঠন করতে পারেনি কংগ্রেস।        

    এরপর পদত্যাগ করেন শীলা চ্যাটার্জি। শীলার পদত্যাগের পর তৃণমূলের কাউন্সিলের সংখ্যা কমে হয় পাঁচ। তৃণমূল বোর্ড সংখ্যা গরিষ্ঠতা হারায়। এরপরেই পাঁচ কাউন্সিলর ও একজন নির্দল প্রার্থীর সমর্থনে অনাস্থার ডাক দেয় কংগ্রেস। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, তৃণমূলের মোট কাউন্সিলর ৫ জন। অনাস্থার ডাক দেন এক নির্দল সহ ৬ জন কংগ্রেস কাউন্সিলর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

          

  • TET Scam: দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রাথমিকে ২০০৯ প্যানেলের ১৬৩২ জনকে নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের

    TET Scam: দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রাথমিকে ২০০৯ প্যানেলের ১৬৩২ জনকে নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০৯ সালের প্যানেলের ১৬৩২ শূন্যপদে নিয়োগে সবুজ সংকেত দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। নিয়োগ (TET Scam) হবে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas)। দু’সপ্তাহের মধ্যে পদক্ষেপের নির্দেশ বিচারপতির। ২০০৯ সালে নেওয়া হয় লিখিত পরীক্ষা। কিন্তু তার পরও ২০১১ সালে বাতিল ঘোষণা হয় সেই প্যানেল।   

    বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্ট নির্দেশ দেয়, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে ২০০৯ সালে প্রাথমিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। উত্তর ২৪ পরগনা, মালদা এবং হাওড়ার মতো দক্ষিণ ২৪  পরগনা জেলার ২০০৯ সালের চাকরিপ্রার্থীদের ক্ষেত্রেও একই ধরনের পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ।

    ২০০৯ সালের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে তৈরি নিয়োগ তালিকা প্রকাশ করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আদালত জানিয়েছে, যাঁদের প্যানেলভুক্ত করা হয়েছে, তাঁদের নাম প্রকাশ করতে হবে। তা না হলে মামলাকারীরা জানতে পারবেন না তাঁদের অবস্থান।

    কী অভিযোগ?

    এর আগে এই প্যানেলে গুরুতর বেনিয়ম হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়ে আদালত আগেই পদক্ষেপ নিয়েছিল। সেই অনুযায়ী, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া ও মালদা জেলা আগেই নির্দেশ মতো নিয়োগ করেছে। কিন্তু দক্ষিণ ২৪ পরগনায় নিয়োগ বাতিল করা হয়। সেই প্যানেলের ভিত্তিতেই দু’সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগ শুরু করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

    আরও পড়ুন: গরুপাচার মামলা যোগ, অনুব্রতর জামাইবাবুকে শুক্রবার দিল্লিতে তলব ইডির

    মামলাকারীদের আইনজীবী কমলেশ ভট্টাচার্য বলেন, “২০০৯ সালে রাজ্যজুড়ে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হয়৷ ২০১২ সালে চারটি জেলার প্যানেল বাতিল করে দেওয়া হয়৷ বেআইনি ভাবে প্যানেল তৈরি হয়েছে, এই অভিযোগে তা বাতিল করা হয়েছিল৷ আবার পরীক্ষার মাধ্যমে নতুন প্যানেল তৈরি হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু সেই পরীক্ষার ফল আজও প্রকাশিত হয়নি৷ এই অভিযোগেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা।” 

    এক চাকরিপ্রার্থী অরিন্দম মণ্ডল বলেন, “আদালতের রায়ে তাঁরা খুশি৷ আদালতের নির্দেশ মেনে তাঁদের নিয়োগ করার জন্য সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা৷”  

    অন্যদিকে, ২০১৪-র টেট চাকরিপ্রার্থীদের ৪০ দিনের ধরনার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, গান্ধিমূর্তির সামনে ধরনায় বসতে পারবেন চাকরিপ্রার্থীরা। বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, বুধবার রাতে ৩০জন প্রার্থীর নামে ৩৫৩, ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯ -সহ আরও বেশ কিছু ধারায় মামলা করা হয়েছে। আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • Justice Abhijit Ganguly: সকালে গরম, বিকেলে নরম…! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের উপরেই আস্থা বিচারপতির

    Justice Abhijit Ganguly: সকালে গরম, বিকেলে নরম…! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের উপরেই আস্থা বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে প্রথমে সিবিআইয়ের  (CBI) ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেও দিনের শেষবেলায় সিবিআই তদন্তের উপরই আস্থা প্রকাশ করলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। সোমবার দিনের শুরুতে সিবিআইয়ের গঠন করা বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেও বিকেলে তিনি বলেন, ‘‘সিবিআইয়ের উপর আমার আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে।’’

    আরও পড়ুন: ৬০০ দিন পেরোলো চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন, আরও জোরদার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

    এদিন, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, যোগ্য প্রার্থীরা কেন চাকরি পাননি তদন্ত করে তা সিবিআইকে জানাতে হবে। নইলে বিচারব্যবস্থা ও প্রশাসনের ওপর তাদের আস্থা উঠে যাবে। সিবিআইয়ের গঠিত সিটের কয়েক জন সদস্য ঠিক মতো কাজ করছেন না বলে সোমবার সকালে এই মামলায় পর্যবেক্ষণ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।  প্রয়োজনে ওই সদস্যদের পরিবর্তন করার কথাও বলেন তিনি। কিন্তু দুপুরে তিনি জানান, ‘বিচারব্যবস্থা যোগ্যদের কথা ভাবে। রাজ্যের ভবিষ্যতের কথা ভাবে। সিবিআইয়ের ওপর আমার আস্থা রয়েছে। কেন দেরি হয়েছে তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পেরেছি। সিবিআইকে নিজের জায়গা ধরে রাখতে হবে। অনেকে বলছেন মুড়ি মুড়কির মতো সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। মুড়ি মুড়কির মতো দুর্নীতি হচ্ছে তাই সিবিআই। সিবিআই ম্যাজিক দেখাতে পারে। আশা করব তারা দেখাবে’।

    আরও পড়ুন: এবার ভারতীয় মেট্রো ক্যাশ অ্যান্ড ক্যারির মালিকও আম্বানি? জানুন কত টাকায় হচ্ছে হস্তান্তর 

    সোমবার এই মামলার শুনানিতে আদালতে OMR শিট দুর্নীতি সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করে সিবিআই। কিন্তু এদিন সেই রিপোর্ট গ্রহণ করেননি বিচারপতি। সুপ্রিমকোর্টে মানিক ভট্টাচার্য এই সংক্রান্ত মামলা দায়ের করায় রিপোর্ট সেখানে জমা দিতে বলেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। অন্যদিকে, চাকরিপ্রার্থীদের ধর্নার বিরোধিতায় সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। আবেদনে বলা হয়, প্রতিবাদকে দুর্ভোগ বানানো যায় না। ট্রাফিকের সমস্যা তৈরি হতে দেওয়া যায় না। সোমবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। রায়দান স্থগিত রেখেছেন বিচারপতি।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Tapas Mondal: “যা বলার সব ইডিকে বলেছি…”, কী বললেন মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল?

    Tapas Mondal: “যা বলার সব ইডিকে বলেছি…”, কী বললেন মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা ১২ ঘণ্টা ইডির (ED) দফতরে ছিলেন তাপস মণ্ডল (Tapas Mondal)। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ। বৃহস্পতিবার রাত বারোটা নাগাদ ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, যা বলার সব ইডিকে বলেছি। সব হিসেব মিলিয়ে দিয়েছি।

    ডিএলএড (DLED) কোর্সে ভর্তির জন্য পড়ুয়াদের কাছ থেকে প্রায় ২১ কোটি টাকা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তাপস (Tapas Mondal)। তাঁর আরও অভিযোগ, টাকা সংগ্রহ করতেন মানিকের লোক। এই মামলায় তাপসকে প্রায় সাড়ে ১০ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, টানা জেরায় সব বলে দেন তাপস। জানিয়ে দেন, ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত মোট ৪১ হাজার পড়ুয়ার কাছ থেকে অফলাইনে ভর্তির জন্য টাকা নেওয়া হয়েছে। পুরো টাকাটাই গিয়েছে পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের কাছে। বুধবার সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের হওয়ার পর তিনি দাবি করেছিলেন, বৃহস্পতিবার ইডি দফতরে হাজিরা দিয়ে হিসেব দেবেন ওই ২১ কোটি টাকার।

    আরও পড়ুন: ‘‘সব বলে এসেছি…’’, ইডি-র সামনে কোন কোন সত্যের খোলসা করলেন কেষ্ট-কন্যা?

    এদিন তাপস (Tapas Mondal) বলেন, পর্ষদের সভাপতি ছিলেন উনি। স্বাভাবিকভাবেই উনি সব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কোনও অনিয়ম হয়েছে কিনা, তা বলতে পারবে বোর্ড। তাপসের দাবি, তাঁর মহিষবাথানের অফিসে টাকার লেনদেন হয়েছে। তাপসের (Tapas Mondal) দাবি, ২০১৮ সাল থেকে ডিএলএড কলেজে অনলাইন ভর্তি শেষ হওয়ার পর দেখা যায় অনেক আসন ফাঁকা পড়ে রয়েছে। এনিয়ে মানিকের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তখনই সিদ্ধান্ত হয়, পড়ুয়াদের কাছ থেকে লেট ফি বাবদ নগদ পাঁচ হাজার করে টাকা নিয়ে অফলাইনে রেজিস্ট্রেশন করানো হবে।

    এদিকে, মানিককে আরও একটা সুযোগ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে অপসারণের যে রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট, তার বিরুদ্ধে আত্মপক্ষ সমর্থন করে হলফনামা জমা দিতে পারবেন মানিক। ১৮ নভেম্বর আদালতে নিজের বক্তব্য জানাতে পারবেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

LinkedIn
Share