Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Calcutta High Court: মোমিনপুর নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ হাইকোর্টের, দেওয়া হল মামলা দায়ের করার অনুমতি

    Calcutta High Court: মোমিনপুর নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ হাইকোর্টের, দেওয়া হল মামলা দায়ের করার অনুমতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে মোমিনপুর-একবালপুরের ঘটনা নিয়ে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত। লক্ষ্মীপুজোর আগের দিন থেকে একবালপুর ও মোমিনপুর জুড়ে যে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, সেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যেই আদালতের দ্বারস্থ হলেন আইনজীবী সু্স্মিতা দত্ত। আবার এই ঘটনায় মামলা দায়ের করার অনুমতি দেয় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবারই এই গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে আদালতে শুনানির আর্জি জানানো হয়। যদিও এদিনই শুনানির আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। তবে বুধবার শুনানি হতে পারে বলে আদালত সূত্রে খবর। এই ঘটনার পর থেকেই রাজ্য পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে বারবার। কলকাতা পুলিশ এই পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগে গতকাল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রীয় সেনা মোতায়েনের দাবি করেছিলেন। আর তারপরেই হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলার (Calcutta High Court) খবর শোনা যায়। এরপর আজ আবার এই ঘটনায় মামলা দায়ের করার অনুমতি দিল বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ।

    আরও পড়ুন: একবালপুর-মোমিনপুর কাণ্ডের জেরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি, জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে

    একবালপুর-মোমিনপুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। ঘটনায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির পর থেকেই রাজ্য বিজেপি ট্যুইটারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগেন ও এর পাশাপাশি পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ আনেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। গতকাল উত্তেজনাপূর্ণ এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার আগে চিংড়িহাটায় তাঁকে আটকও করা হয়। সন্ধ্যার পর লালবাজার থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় সুকান্তকে। ফলে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে।

    অন্যদিকে জানা গিয়েছে, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে একবালপুর থানা এলাকায় তিনদিনের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এলাকায় আর যাতে আইন শৃঙ্খলার অবনতি না হয় তাই বাড়তি বাহিনী মোতায়ন করা হয়েছে এলাকায়। এবার আরও কড়া পদক্ষেপ নিল কলকাতা পুলিশ৷ শেষমেশ জারি হল ১৪৪ ধারা। তবে ঘটনার এতদিন পর এই পদক্ষেপ নেওয়ার পরে কটাক্ষের শিকার হতে হচ্ছে প্রশাসন সহ পুলিশকে। এলাকার মানুষ থানায় অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও কেন পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি, এই নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে এতকিছুর পরে একবালপুর-মোমিনপুরের কাণ্ড শেষ পর্যন্ত গড়াল আদালত (Calcutta High Court) পর্যন্ত।

  • Mominpur Ekbalpur: মোমিনপুর-একবালপুর কাণ্ডে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব কলকাতা হাইকোর্টের

    Mominpur Ekbalpur: মোমিনপুর-একবালপুর কাণ্ডে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোমিনপুর ও একবালপুর (Mominpur Ekbalpur) এলাকায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ সংক্রান্ত মামলায় (Ekbalpur Mominpur Case) বেলা ২টোর মধ্যে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এই ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে সরব হয়েছিল রাজ্যের বিরোধী দল। এবারে বুধবার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন বিচারপতিও। এই ধরনের হিংসাত্মক ঘটনায় এনআইএ-কে (NIA) কেন জানানো হয়নি, সেই প্রশ্ন তোলে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ।

    মোমিনপুর-একবালপুর (Mominpur Ekbalpur) ঘটনার জেরে গতকাল আদালতের দ্বারস্থ হন আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত। এর পাশাপাশি জনস্বার্থ মামলাও দায়ের করা হয়। ফলে এইসব মামলার শুনানি হয় আজ। তখনই মোমিনপুর সংঘর্ষ সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্ন তোলে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। প্রথমেই বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এদিন কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে কটাক্ষ করে বলেন, এলাকা থেকে যে বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে, রাজ্য পুলিশ সে ব্যাপারে কী তদন্ত করেছে বা অন্যান্য কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তা জানাতে হবে আদালতকে। এর পাশাপাশি প্রশ্ন করা হয়েছে, বোমাবাজি হওয়া সত্ত্বেও কেন এখনও পর্যন্ত এনআইএ-র ধারায় মামলা রুজু করা হয়নি? ফলে এইসব প্রশ্ন করে পুলিশ এবং রাজ্য সরকারের থেকে জবাব চায় আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আজ বেলা ২টোর সময়।

    এই ঘটনার জল (Mominpur Ekbalpur) আদালত পর্যন্ত গড়ালে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে হাইকোর্ট। এই রিপোর্টে জানাতে হবে, জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, ক্ষতিপূরণ নিয়ে কী চিন্তাভাবনা করেছে রাজ্য এবং সেই এলাকার শান্তি, সম্প্রীতি ফেরাতে কী করা হচ্ছে? এখানেই শেষ নয়, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে তলবেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছে আদালত। নির্দেশ না মানলে ডাকা হতে পারে তাঁকেও, এমনই তথ্য জানা গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: একবালপুর-মোমিনপুর কাণ্ডের জেরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি, জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে

    প্রসঙ্গত, মোমিনপুর-একবালপুর (Mominpur Ekbalpur) ঘটনায় জোড়া মামলা দায়ের করা হয়। এক হলেন আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দও ও অপরজন নবেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন আদালতে আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত বলেন, “৮ তারিখ থেকে ঝামেলা শুরু হয়েছে। বস্তিতে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি ঘটনার দিন গিয়েছিলাম আক্রান্ত এলাকায়। ময়ুরভঞ্জ এলাকায় যে বস্তি রয়েছে, সেখানে কোনও পুলিশের নিরাপত্তা ছিল না। শুধুমাত্র কয়েকজন লাঠি হাতে পুলিশ সেখানে ছিলেন।” অপর পিটিশনার নবেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, “কার্নিভালের জন্য রেড রোডে বিরাট আয়োজন করা হল কার্নিভালের। তারই পাশে এই পরিস্থিতি, তবুও পুলিশ কিছু করতে পারল না?”

    এছাড়াও পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ঘটনায় এপর্যন্ত ৪২ জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আরও ৩৫ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। নোটিস পাঠিয়ে ৪১ জনকে সতর্ক করা হয়েছে। অশান্তির ছবি ছড়ানোর জন্য ৮০টি ভিন্ন ভিন্ন মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারাও। ফলে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে বলে দাবি করেছে প্রশাসন।

  • DA Case: কেন্দ্রের ডিএ বৃদ্ধিতে ফের পিছলো রাজ্য, ব্যবধান বেড়ে দাঁড়াল ৩৫%

    DA Case: কেন্দ্রের ডিএ বৃদ্ধিতে ফের পিছলো রাজ্য, ব্যবধান বেড়ে দাঁড়াল ৩৫%

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মরশুমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর এনে দিয়েছে। কারণ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ডিএ ৩৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে করা হল ৩৮ শতাংশ। অর্থাৎ একদিকে যেমন ৪ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার, অন্যদিকে তেমনি রাজ্য সরকার ডিএ-এর (DA Case) দৌঁড়ে অনেকটা পিছিয়ে গেল। এর ফলে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বেতনের ব্যবধান আরও বাড়ল। ডিএ-ব্যবধান বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৫ শতাংশ।

    এর আগেই ডিএ (DA Case) মামলায় রাজ্যের আর্জি খারিজ হয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ফলে অস্বস্তিতে রয়েছে রাজ্য সরকার। সেদিন বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছিল, মহার্ঘ ভাতা (DA Case) সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য। এটা সরকারের তরফে দেওয়া কোনও অনুদান নয়। তাই বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তাতেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি রাজ্য সরকার।  

    আরও পড়ুন: প্রাক-পুজো উপহার! কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ৪ শতাংশ ডিএ বাড়াল মোদির মন্ত্রিসভা

    এবারে কেন্দ্রের তরফে নতুন ডিএ ঘোষণার পরে রাজ্যের বিভিন্ন কর্মচারী সংগঠনগুলোও আইনি লড়াইয়ের সঙ্গে সঙ্গে পথে নেমে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। কর্মী সংগঠনগুলি জানিয়েছে, সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় কেন্দ্র ২০১৬ সালের ১ জুলাই থেকে নতুন হারে ডিএ দিতে শুরু করে। তার পরে জুলাই ও জানুয়ারি, বছরে দু’বার রীতি মেনে ডিএ বাড়াতে থাকে তারা। বুধবার কেন্দ্র যে-ডিএ ঘোষণা করেছে, তা কার্যকর হবে গত জুলাই থেকে। ফলে এখন কেন্দ্রীয় কর্মীদের ডিএ-র পরিমাণ বেড়ে হচ্ছে ৩৮%। বাংলায় ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় ২০২১-এর ১ জানুয়ারি মাত্র ৩% ডিএ চালু হওয়ায় বাস্তবে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের সেই ব্যবধান বেড়ে দাঁড়াল ৩৫ শতাংশে।   

    কর্মী সংগঠন থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, কয়েক বছর ধরে সর্বনিম্নের বেতনে চাকরি করা কর্মচারীদের অনেক টাকার লোকসানও হচ্ছে। যারা গ্রুপ ডি-তে কাজ করেন তাঁদের প্রায় ৭০০০ টাকাকর মত লোকসান হচ্ছে ও যাঁরা গ্রুপ সি-তে চাকরি করেন তাঁদের প্রায় ১০০০০ টাকা লোকসান হচ্ছে।

    মামলাকারী কর্মী সংগঠন কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেছেন, আদালত ডিএ (DA Case) মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলেও রাজ্য সরকার এই বিষয়কে এড়িয়ে চলেছে। তবে তাঁরা এই রাজ্য সরকারের থেকে ডিএ আদায় করেই ছাড়বে ও দরকার পড়লে আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি রাস্তায় আন্দোলনো বসবেন বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে কর্মচারী পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল অভিযোগ করেছেন, “রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা চরম আর্থিক বঞ্চনার শিকার। প্রতারণা করছে তৃণমূল সরকার। পুজোর ছুটির পরে ফের রাস্তায় নামব আমরা।’’ তবে এই নিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেখাননি রাজ্য সরকার। হাইকোর্টের সর্বশেষ রায়ের পরে রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ নেবে সেটার অপেক্ষায় রাজ্যের সরকারি কর্মচারী।  

  • Primary TET: পুজোর আগেই টেট উত্তীর্ণ আরও ৬৫ জনকে নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Primary TET: পুজোর আগেই টেট উত্তীর্ণ আরও ৬৫ জনকে নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যমিক নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের নির্দেশে পুজোর আগে আবারও নিয়োগ। প্রাথমিক টেট (Primary Tet) উত্তীর্ণ আরও ৬৫ জনকে পুজোর আগেই নিয়োগের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। সোমবার একটি মামলায় এই রায় দান করেন তিনি। বিচারপতির নির্দেশে পুজোর আগে মোট ২৫২ জন চাকরি পেতে চলেছেন।  

    আরও পড়ুন: রাজ্যে বাড়ছে নাবালিকা বিয়ে, কন্যাশ্রীর সাফল্য কি শুধুই বিজ্ঞাপনে?  

    ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটে প্রশ্ন ভুল থাকার কারণে বহু চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগ আটকে যায়। অভিযোগ ছিল, আদালত ভুল প্রশ্নের জন্য ১ নম্বর বরাদ্দ করার নির্দেশ দিলেও, বহুদিন সেই নম্বর দেওয়া হয়নি। চলতি বছরের গোড়ায় সেই নম্বর দেওয়া হলেও বাড়তি নম্বর পেয়ে যারা টেট উত্তীর্ণ হয়েছেন তাদের নিয়োগ না করারও অভিযোগ ছিল। এই চাকরি প্রার্থীরা আদালতের দ্বারস্থ হন। এই ধরণের ৩টি মামলায় আগেই ১৮৭ জনকে পুজোর আগে নিয়োগপত্র দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ১৯ সেপ্টেম্বর আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র ভবনে ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। আদালতের নির্দেশ মতো গত সপ্তাহে তাদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। এর পর সোমবার আরও ৬৫ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। আর এই নিয়ে পুজোর আগে চাকরি পাচ্ছেন মোট ২৫২ জন।  

    আরও পড়ুন: ভুল প্রশ্নের জের! ২৩ টেট পরীক্ষার্থীকে দ্রুত চাকরি দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এদিন বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে চাকরির অপেক্ষায় রয়েছেন এই যোগ্য প্রার্থীরা। ফলে পুজোর আগেই তাদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিতে হবে।” আদালতের নির্দেশ, শূন্য পদ নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর। এবং সেই পদে ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিয়োগ করতে হবে সংশ্লিষ্ট টেট উত্তীর্ণদের। আদালতের এই রায়ে খুশিতে ভেসেছেন চাকরি প্রার্থীরা। বিচারপতির তরফে এটা পুজোর উপহার বলে মন্তব্য করেছেন বেশ কয়েকজন মামলাকারী।    

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Primary TET: পুজোর আগেই টেট উত্তীর্ণ আরও ৬৫ জনকে নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Primary TET: পুজোর আগেই টেট উত্তীর্ণ আরও ৬৫ জনকে নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যমিক নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের নির্দেশে পুজোর আগে আবারও নিয়োগ। প্রাথমিক টেট (Primary Tet) উত্তীর্ণ আরও ৬৫ জনকে পুজোর আগেই নিয়োগের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। সোমবার একটি মামলায় এই রায় দান করেন তিনি। বিচারপতির নির্দেশে পুজোর আগে মোট ২৫২ জন চাকরি পেতে চলেছেন।  

    আরও পড়ুন: রাজ্যে বাড়ছে নাবালিকা বিয়ে, কন্যাশ্রীর সাফল্য কি শুধুই বিজ্ঞাপনে?  

    ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটে প্রশ্ন ভুল থাকার কারণে বহু চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগ আটকে যায়। অভিযোগ ছিল, আদালত ভুল প্রশ্নের জন্য ১ নম্বর বরাদ্দ করার নির্দেশ দিলেও, বহুদিন সেই নম্বর দেওয়া হয়নি। চলতি বছরের গোড়ায় সেই নম্বর দেওয়া হলেও বাড়তি নম্বর পেয়ে যারা টেট উত্তীর্ণ হয়েছেন তাদের নিয়োগ না করারও অভিযোগ ছিল। এই চাকরি প্রার্থীরা আদালতের দ্বারস্থ হন। এই ধরণের ৩টি মামলায় আগেই ১৮৭ জনকে পুজোর আগে নিয়োগপত্র দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ১৯ সেপ্টেম্বর আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র ভবনে ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। আদালতের নির্দেশ মতো গত সপ্তাহে তাদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। এর পর সোমবার আরও ৬৫ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। আর এই নিয়ে পুজোর আগে চাকরি পাচ্ছেন মোট ২৫২ জন।  

    আরও পড়ুন: ভুল প্রশ্নের জের! ২৩ টেট পরীক্ষার্থীকে দ্রুত চাকরি দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এদিন বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে চাকরির অপেক্ষায় রয়েছেন এই যোগ্য প্রার্থীরা। ফলে পুজোর আগেই তাদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিতে হবে।” আদালতের নির্দেশ, শূন্য পদ নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর। এবং সেই পদে ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিয়োগ করতে হবে সংশ্লিষ্ট টেট উত্তীর্ণদের। আদালতের এই রায়ে খুশিতে ভেসেছেন চাকরি প্রার্থীরা। বিচারপতির তরফে এটা পুজোর উপহার বলে মন্তব্য করেছেন বেশ কয়েকজন মামলাকারী।    

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Bolpur Municipality Case: কাটমানি না গেলে বোলপুরে পাস হয় না ‘বিল্ডিং প্ল্যান’! অনুব্রতর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হাইকোর্টে

    Bolpur Municipality Case: কাটমানি না গেলে বোলপুরে পাস হয় না ‘বিল্ডিং প্ল্যান’! অনুব্রতর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘বিল্ডিং প্ল্যান’ পাস করাতে গেলে লাগে অনুদান। বোলপুর পুরসভার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। আর এই গোটা চক্রের মূলে রয়েছে অনুব্রত মণ্ডল, অভিযোগ মামলাকারীর। অর্থাৎ মামলাকারীর অভিযোগ, অনুব্রতর কাছে কাটমানি না গেলে বোলপুরে বাড়ি করা যায় না। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হল হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে। এই মামলার শুনানিতে সরাসরি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে এই চক্র চালানোর অভিযোগ করা হয়েছে৷ তবে এদিন শুনানি শেষ হলেও আদালত এখনও রায় ঘোষণা করেনি।

    এই চক্রে শুধুমাত্র অনুব্রত নয়, আরও অনেকজন জড়িত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই মামলার আইনজীবী শামিম আহমেদ এদিন জানান, বোলপুর পুরসভার চেয়ারপার্সন পর্ণা ঘোষ ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধেও এই চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগ এসেছে। মামলাকারীর অভিযোগ, পুরসভার বিল ছাপিয়ে টাকা নেওয়া হত। কাটমানি না পেলে বিল্ডিং প্ল্যান পাস করানো হত না।

    আরও পড়ুন: অর্পিতার ৩১টি পলিসির দেড় কোটি টাকা প্রিমিয়াম দিতেন পার্থ! দাবি ইডির, জানেন আর কী বলা হয়েছে চার্জশিটে?

    তবে এই অভিযোগের পাল্টা উত্তরে বোলপুর পৌরসভার আইনজীবী দাবি করেছেন, সব হিসাব পুরসভার খাতায় আছে, বেআইনিভাবে কিছু নেওয়া হয়নি, গোটা প্রক্রিয়া অনলাইনে হয়। অন্যদিকে, রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় এই অভিযোগের পাল্টা প্রশ্ন করে আদালতকে জিজ্ঞেস করেন, ‘অনুদান নেওয়া বেআইনীর কী আছে?’ তিনি জানিয়েছেন, অনুদান নেওয়া বেআইনি নয়, পুরসভা অনুদান নিয়ে থাকে। বহু মানুষ স্বেচ্ছায় অনুদান দিয়ে থাকেন। পরে এই টাকা গরীব মানুষদের উন্নয়নের জন্যই খরচ করা হয়ে থাকে।

    ফলে বোলপুর পুরসভার বিরুদ্ধে যা যা অভিযোগ করা হয়েছিল, তা সবই অস্বীকার করা হয় এদিন। কিন্তু আজ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর রায়দান স্থগিত রেখেছে৷

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Cattle Smuggling Case: গরুপাচার মামলায় কেন হবে সিআইডি তদন্ত? রাজ্যের জবাব তলব হাইকোর্টের

    Cattle Smuggling Case: গরুপাচার মামলায় কেন হবে সিআইডি তদন্ত? রাজ্যের জবাব তলব হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) রাজ্য পুলিশের তদন্তে স্থগিতাদেশ চেয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। এবার এই মামলায় রাজ্যের রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে তাদের বক্তব্য তিন সপ্তাহের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিয়েছে (PIL filed in Calcutta High Court)। 

    আরও পড়ুন: অনুব্রত-কন্যার ব্যাংকের নথি চাইল সিবিআই! মেয়ের অ্যাকউন্ট থেকেই কি লেনদেন? 

    গরু পাচার মামলায় ইতিমধ্যেই তদন্ত করছে সিবিআই। একই মামলায় রাজ্য পুলিশ কেন পৃথক তদন্ত করবে, এই প্রশ্ন তুলে মামলা করেছিলেন সুমন শংকর চট্টোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি। এ দিন মামলাকারীর আইনজীবী জয়দীপ কর বলেন, “রাজ্য পুলিশের থেকে সিবিআইয়ের হাতে তদন্ত নিয়ে যেতে চাইছি। কারণ সিবিআই ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তদন্ত করছে। রাজ্যের তদন্তের এক্তিয়ার নেই।” তিনি যুক্তি দিয়ে বলেন, “অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে চলতি বছরের ১০ জুন গ্রেফতার করা হয় । পুরনো একটি মামলায় রাজ্য এই ঘটনায় তদন্ত করে ২০১৯ সালেই চার্জশিট দিয়ে দেয়। কিন্তু সেই মামলা ফের ১২ জুলাই নতুন করে উত্থাপন করা হয়েছে। সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করার পর রাজ্য ১০ জুলাই এই মামলায় ফের তদন্ত করার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন জানায়। অথচ আগে চার্জশিটে পরবর্তী তদন্তের আর্জি ছিল না। সিবিআই দীর্ঘদিন ধরেই তদন্ত করছে। পরবর্তী তদন্তের দরকার হলে তা সিবিআই করতে পারে। রাজ্য পুলিশ হঠাৎ করে কেন এত সক্রিয় হয়ে উঠল?”   

    রাজ্যের তরফের আইনজীবী সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় (এজি) এদিন শুনানির সময় পাল্টা প্রশ্ন করেন, “২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর বিএসএফের এফআইআর-এর ভিত্তিতেই রাজ্য তদন্ত শুরু করেছিল। এতদিন পরে কেন এই ধরনের জনস্বার্থ মামলা?” সিবিআইয়ের তরফে আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন, “এনামুল হক নামে গরুপাচার চক্রের মাথাকে গ্রেফতার করার পর সিবিআই জানতে পারে মুর্শিদাবাদ ও মালদা জেলায় এই চক্র অত্যন্ত সক্রিয়। এই ধরনের সীমান্তবর্তী এলাকায় সিবিআই তদন্ত করছে কারণ এর সঙ্গে জাতীয় স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে। রাজ্যই সুপ্রিম কোর্টের একটা মামলায় বলেছে, সিবিআই এই ব্যাপারে কিছু করছে না।” 

    আরও পড়ুন: দুটি গাড়ি দিয়েছিলেন নেতাকে, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ মলয় পিটকে তলব সিবিআই-এর   

    আইনজীবী জয়দীপ কর ফের বলেন, “তদন্ত স্থগিত রাখার কোনও আর্জি আমরা জানাচ্ছি না। আমরা চাই তদন্ত সিবিআই করুক। সীমান্ত বিষয়টি কেন্দ্রের আওতায় পড়ে।” দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পরেই বিচারপতি তিন সপ্তাহে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে ১৪ নভেম্বর। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Manik Bhattacharya: হদিশ মিলল সিবিআই-এর হাজিরা এড়ানো ‘নিখোঁজ’ মানিকের! কোথায় তিনি?

    Manik Bhattacharya: হদিশ মিলল সিবিআই-এর হাজিরা এড়ানো ‘নিখোঁজ’ মানিকের! কোথায় তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই (CBI) দফতরে হাজিরা দিলেন না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। সিবিআই সূত্রে খবর, মানিককে গতকাল রাত ৮টার মধ্যে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কিন্তু তিনি সেখানে উপস্থিত হননি। ফলে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে যে, কোথায় মানিক ভট্টাচার্য? এরপর তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে জানা যায়, তিনি দিল্লিতে রয়েছেন। আজ, বুধবার সুপ্রিম কোর্টে তাঁর মামলার শুনানি রয়েছে, তাই তিনি দিল্লিতে।

    গতকাল রাত ৮ টা পেরিয়ে গেলেও নিজাম প্যালেসে দেখা যায়নি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Recruitment Scam) অভিযুক্ত মনিক ভট্টাচার্যকে। তবে সেখানে উপস্থিত হন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতির আইনজীবী। সিবিআই সূত্রে খবর, তিনি রাত ৮টা ১৫ মিনিট নাগাদ সেখানে দুই পাতার চিঠি নিয়ে এসেছিলেন। চিঠিতে মানিক জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টে আজ দুপুর ২টোয় শুনানি আছে। তাই তিনি দিল্লিতে আছেন। আর এই শুনানির ফলেই হাজিরা দিতে যেতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে একদিনের রক্ষাকবচ দিয়েছে বলেও চিঠিতে সিবিআই-কে জানান মানিক ভট্টাচার্য। তাই আজ পর্যন্ত মানিকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না সিবিআই। ফলে আপাতত সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচই এখন মানিক ভট্টাচার্যের ঢাল।

    আরও পড়ুন: রাত ৮টার মধ্যে মানিককে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টের, আজই কি গ্রেফতার?

    সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আজ সুপ্রিম কোর্টে মানিক ভট্টাচার্যের স্পেশ্যাল লিভ পিটিশনের শুনানি রয়েছে। সেই মামলার জন্যই তিনি সরাসরি আইনি পরামর্শ নিতে দিল্লিতে এসেছেন বলে জানা গিয়েছে।

    প্রসঙ্গত, গতকাল কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ওএমআর শিট মামলায় (OMR Sheet Case) সিবিআই(CBI) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি সিবিআই-কে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। তিনি আরও নির্দেশ দিয়ে বলেন, পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান যদি তদন্তে সাহায্য না করেন, তবে সিবিআই তাঁকে হেফাজতে নিতে পারবে। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় যে কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি।

    উল্লেখ্য, সূত্রের খবর অনুযায়ী, গতকাল হাই কোর্টের নির্দেশে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার সিবিআইয়ের দফতরে হাজিরা দেওয়ার নোটিস নিয়ে মানিক ভট্টাচার্যের যাদবপুরের বাড়িতেও গিয়েছিন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন যাদবপুর থানার পাঁচ জন আধিকারিক ও পুলিশকর্মী। কিন্তু সেখানে পৌঁছে জানতে পারেন, তিনি কোথায়, তা বাড়ির লোকেরাও জানে না। তিনি গতকাল সকালেই বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গিয়েছিলেন। এরপর পুলিশ মানিক ভট্টাচার্যর সঙ্গে মোবাইলেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করে। কিন্তু দেখা যায়, তাঁর মোবাইল সুইচড অফ। ফলে এরপরে যাদবপুর থানায় গিয়ে জেনারেল ডায়েরি করে কলকাতা পুলিশের তরফে এসি জানান, তাঁরা মানিকবাবুর সন্ধান পাননি এবং এই তথ্য হাই কোর্টকে জানানো হবে। আগামী ১ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানিতে হাই কোর্টে রিপোর্ট দেবে সিবিআই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Coal Smuggling Case: স্বস্তি জিতেন্দ্রর, কয়লা পাচার কাণ্ডে সিআইডি তদন্তে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    Coal Smuggling Case: স্বস্তি জিতেন্দ্রর, কয়লা পাচার কাণ্ডে সিআইডি তদন্তে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লাপাচার কাণ্ডে (Coal Smuggling Scam) আদালতে (Calcutta High Court) স্বস্তি পেলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তাঁর বিরুদ্ধে সিআইডি (CID) তদন্তে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই মুহূর্তে আসানসোলের প্রাক্তন মেয়রের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নিতে পারবে না রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা। আজ মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা। আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানায়, একই অপরাধের ক্ষেত্রে দুটি সমান্তরাল তদন্ত চলতে পারে না। 

    এর আগেই কয়লা পাচার মামলায় তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে সিবিআই এবং ইডি। একই মামলায় সমান্তরালভাবে তদন্ত চালাচ্ছে সিআইডি। ওই মামলায় জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে (Jitendra Tiwari) সমন পাঠিয়েছিল সিআইডি। এরপরেই সিআইডি তলবের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন বিজেপি নেতা। আদালতে তাঁর আইনজীবী সওয়াল করে বলেন, “কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যখন তদন্ত করছে, তারপরেও কীভাবে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি তদন্ত করতে পারে?” এই প্রসঙ্গে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা বলেন, “কয়লা পাচার মামলায় সিআইডিকে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হলে, সেটা সমান্তরাল তদন্ত প্রক্রিয়ায় সায় দেওয়া হবে এবং সিবিআইয়ের তদন্তে বাধা দেওয়া হবে।”

    আরও পড়ুন: কয়লা পাচার কেলেঙ্কারিতে লালার সহযোগীদের বিরুদ্ধে জারি গ্রেফতারি পরোয়ানা   
      
    এদিন শুনানি চলাকালীন সরকার পক্ষের আইনজীবী দাবি করেন, বিজেপি নেতাকে শুধু জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে ডেকে পাঠিয়েছিল রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা। গ্রেফতার করার কোনও পরিকল্পনা ছিল না আধিকারিকদের। তদন্তে সহযোগিতা করলে গেফতার করার প্রয়োজন পড়বে না। এদিন জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে সাক্ষী হিসেবে ডেকে পাঠানোর নোটিসের উপরও স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। ভারতীয় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬০ নম্বর ধারায় পাঠানো গত ১০ সেপ্টেম্বরের নোটিসের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করল আদালত। 

    আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়, “একই অপরাধের ক্ষেত্রে দুটি সমান্তরাল তদন্ত চলতে পারে না। দু’টি সমান্তরাল তদন্ত প্রক্রিয়া মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।” রাজ্যের আইনজীবীকে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “যে মামলায় ইতিমধ্যেই সিবিআই চার্জশিট দাখিল করেছে সেই মামলায় রাজ্য হস্তক্ষেপ করতে পারে কি?” সরকারি আইনজীবী পাল্টা দাবি করেন, রাজ্য আগে কয়লা পাচার মামলার তদন্ত শুরু করেছে। পরে সিবিআই এসে এই মামলার তদন্ত শুরু করেছে। এতে রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। জিতেন্দ্র তিওয়ারির আইনজীবীর দাবি,কয়লাপাচার মামলা শীর্ষ আদালতে বিচারাধীন। বৃহত্তর তদন্ত চলাকালীন সিআইডি এই তদন্ত করতে পারে না। আদালত জানায়, কয়লাপাচার কাণ্ডে দ্বিতীয় কোনও তদন্তকারী সংস্থার প্রয়োজন নেই বলেই মনে করছে আদালত। 

    আরও পড়ুন: এবার দুধের কন্টেনারে কয়লা, জামুরিয়ায় বিরল পাচারে তাজ্জব পুলিশ

    জিতেন্দ্র সিআইডির সমন পাওয়ার পর বলেছিলেন, “সাক্ষী হিসাবে যদি আমাদের কাছে জানতে চান, তা হলে নিশ্চয়ই আমরা জানিয়ে দেব। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মেটাতেই তলব করা হয়েছে। বিজেপির সঙ্গে যারা যুক্ত, তাদের কাছেই সব তথ্য পাওয়া, তাদের সাক্ষী হিসাবে ডাকবে না। সকলেই বুঝতে পারছেন কী হচ্ছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • DA Case: ডিএ মামলায় ফের ধাক্কা রাজ্যের! রিভিউ পিটিশন খারিজ করল হাইকোর্ট

    DA Case: ডিএ মামলায় ফের ধাক্কা রাজ্যের! রিভিউ পিটিশন খারিজ করল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগে ফের ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। ডিএ (DA) মামলায় রাজ্যের আর্জি খারিজ হয়ে গেল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta Highcourt)। সরকারি কর্মীদের পক্ষেই রায় দিল আদালত। বৃহস্পতিবার বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ হাইকোর্টের পূর্ব নির্দেশই বহাল রাখল। 

    বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছে, মহার্ঘ ভাতা (DA Case) সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য। এটা সরকারের তরফে দেওয়া কোনও অনুদান নয়। তাই বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল,সেটাই বহাল রাখছে আদালত। দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে সরকারি কর্মীদের। প্রায় ৬ বছর ধরে সরকারি কর্মী এবং সরকারের মধ্যে এই মামলা চলছে। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে রাজ্যের সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলি লড়াই চালিয়ে আসছে। কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হওয়ার পর চলতি বছরের ২০ মে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, তিন মাসের মধ্যে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মেটাতে হবে রাজ্য সরকারকে। যার জেরে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দিতে হবে। কিন্ত সেই সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে অগাস্ট মাসে। তবু ডিএ না মেলায় হাই কোর্টে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়। এরপর রাজ্যের তরফে আদালতের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়।

    আরও পড়ুন: ১০ দিন ধরে শুনানি হচ্ছে, এটা চলতে পারে না, হিজাব বিতর্কে সুপ্রিম কোর্ট

    বৃহস্পতিবার এ প্রসঙ্গে রায় দিতে গিয়ে আদালত জানায়, রাজ্য সরকারের আবেদনের কোনও  যুক্তি নেই। তাই আদালতের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি গ্রহণ করা যাচ্ছে না। প্রসঙ্গত, হাইকোর্টে আগেই রাজ্য সরকার মেনে নিয়েছিল মহার্ঘ্য ভাতা সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য অধিকার। তাই তহবিলে টাকা নেই বলে উঁচু হারে ডিএ দেওয়া যাচ্ছে না। রাজ্যের এই যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়। এবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে রাজ্য। ডিএ দেওয়া নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা আপাতত বিচারাধীন রেখেছে কলকাতা হাই কোর্ট। আগামী ৭ নভেম্বর আদালত অবমাননার মামলাটির শুনানি হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share