Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • PM Modi: “ইন্ডি জোটকে বড় থাপ্পড় কলকাতা হাইকোর্টের”, ওবিসি রায় প্রসঙ্গে মোদি

    PM Modi: “ইন্ডি জোটকে বড় থাপ্পড় কলকাতা হাইকোর্টের”, ওবিসি রায় প্রসঙ্গে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আজ ‘ইন্ডি’ জোটকে একটা বড় থাপ্পড় মেরেছে কলকাতা হাইকোর্ট।” ওবিসি সার্টিফিকেট নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায় প্রসঙ্গে বুধবার এক নির্বাচনী জনসভায় এমনই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    মোদির নিশানায় ‘ইন্ডিয়া’ ব্লক (PM Modi)

    তিনি বলেন, “২০১০ সালের পর থেকে জারি হওয়া সব ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করে দিয়েছে আদালত। পশ্চিমবঙ্গের সরকার মুসলমানদের ভোটব্যাঙ্কের জন্য যাচাই না করেই তাঁদের ওবিসি সার্টিফিকেট দিয়ে দিয়েছে। এই ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি, তুষ্টিকরণের রাজনীতি সব সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। আজ আদালত থাপ্পড় মেরেছে।” কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডি জোটকেও নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন (PM Modi), “এরাই বলে দেশের সম্পদের ওপর প্রথম অধিকার মুসলমানদের। এরাই লাগাতার সরকারি জমি ওয়াকফ বোর্ডকে দিচ্ছে, পরিবর্তে ভোট চাইছে। এরা ধর্মের ভিত্তিতে সরকারি টেন্ডার দিতে চাইছে।”

    কী বললেন শাহ?

    কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়ের পর কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। এক সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ভোটব্যাঙ্কের জন্য মুসলমানদের ওবিসি সংরক্ষণ দিতে চাইছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তিনি হাইকোর্টের রায় মানেন না। বাংলার মানুষের কাছে আমার প্রশ্ন, এমন কোনও মুখ্যমন্ত্রী কি হতে পারেন, যিনি বলেন আদালতের নির্দেশ মানেন না? এতেই স্পষ্ট, বাংলায় গণতন্ত্র কী অবস্থায় রয়েছে!” এনিয়ে একটি ট্যুইটও করেন শাহ।

    আর পড়ুন: ভারতভুক্তির দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে, নেপথ্যে কোন কারণ?

    বিজেপি যে ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ চায় না, তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, “হাইকোর্টের রায় যাতে কার্যকর হয়, তা আমরা সুনিশ্চিত করব। যাঁরা পিছিয়ে পড়া শ্রেণির, তাঁরা যাতে নিজেদের অধিকার পান, তা আমরা নিশ্চিত করব। যাঁরা ওবিসি নন, তুষ্টিকরণের নীতি ও ভোটব্যাঙ্কের নীতির জন্য তাঁদের ওবিসির সুবিধা পাইয়ে দেওয়া যাবে না।”

    প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের পরে তৈরি হওয়া ওবিসি তালিকা বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের নির্দেশ, ওয়েস্ট বেঙ্গল ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস কমিশন অ্যাক্ট, ১৯৯৩ অনুযায়ী নতুন করে তালিকা তৈরি করে বিধানসভায় পেশ করে চূড়ান্ত অনুমোদন নিতে হবে (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Viswa Hindu Parishad: মুখ্যমন্ত্রীর ‘সাধু’ মন্তব্যের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

    Viswa Hindu Parishad: মুখ্যমন্ত্রীর ‘সাধু’ মন্তব্যের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঠ-মিশন-সংঘের সাধু-সন্ন্যাসীদের বিরুদ্ধে বেঁফাস মন্তব্য করে বিপাকে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! মুখ্যমন্ত্রীর বেলাগাম মন্তব্যে সন্ন্যাসী ও আশ্রমের ওপর হামলার ঘটনা বাড়বে বলেই মনে করেন বিভিন্ন মঠ-মিশন কর্তৃপক্ষ। এই আশঙ্কা প্রকাশ করে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (Viswa Hindu Parishad)। মামালার শুনানি হবে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের এজলাসে।

    কী বলেছিলেন মমতা? (Viswa Hindu Parishad)

    সন্ন্যাসী বিতর্কের জল এতদূর গড়ানোর কারণ শনিবার আরামবাগের এক জনসভায় করা তৃণমূল নেত্রীর একটি মন্তব্য। ওই সভায় মমতা রামকৃষ্ণ মিশন ও ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের কয়েকজন সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেছিলেন। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের বেলডাঙা শাখার কার্তিক মহারাজের নাম করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “সব সাধু সামান হয় না। সব স্বজন সমান হয় না। আমাদের মধ্যেও কি আমরা সবাই সমান? এই যে বহরমপুরের একজন মহারাজ রয়েছেন। আমি শুনেছি অনেক দিন ধরে, কার্তিক মহারাজ। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘকে আমি খুব শ্রদ্ধা করতাম। আমার শ্রদ্ধার্ঘের তালিকায় তারা দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। কিন্তু যে লোকটা বলে, তৃণমূলের এজেন্ট বসতে দেব না, সেই লোকটাকে আমি সাধু বলে মনে করি না। তার কারণ, সে ডাইরেক্ট পলিটিক্স করে দেশটার সর্বনাশ করছে।” মুখ্যমন্ত্রীর এই (Viswa Hindu Parishad) মন্তব্যের পরে পরেই শিলিগুড়িতে রামকৃষ্ণ মিশনে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা।

    আর পড়ুন: “ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ নেই”, বললেন পিকে

    মুখ্যমন্ত্রীকে আইনি চিঠি

    মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যে তোলপাড় হয় রাজ্যও। সোশ্যাল মিডিয়ায় বয়ে যায় নিন্দার ঝড়। বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে সোমবার মুখ্যমন্ত্রীকে আইনি চিঠি পাঠিয়েছেন ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের কার্তিক মহারাজ। চিঠিতে চার দিনের মধ্যে তাঁর বক্তব্যের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জবাব চাওয়া হয়েছে। চার দিনের মধ্যে জবাব না মিললে মহারাজ আইনি পদক্ষেপ করবেন বলেও জানিয়ে দেওয়া হয় ওই চিঠিতে। মহারাজের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের কোনও সারবত্তা নেই। তাঁর সম্মানহানির চেষ্টায় মুখ্যমন্ত্রী অসত্য ও বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করেছেন বলেও অভিযোগ ওই সর্বত্যাগী সন্ন্যাসীর। সাধুদের নিশানা করায় মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। পদযাত্রার ডাক দিয়েছেন বিভিন্ন মঠ-মিশন-আশ্রমের সাধু-সন্তরা। এহেন আবহে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা ঠুকে দিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (Viswa Hindu Parishad)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • OBC Certificate: রাজ্যে তৃণমূল জমানায় দেওয়া সব ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল! বড় রায় হাইকোর্টের

    OBC Certificate: রাজ্যে তৃণমূল জমানায় দেওয়া সব ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল! বড় রায় হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টে ফের বিপাকে রাজ্য। ২০১০ সাল পরবর্তী সময়ে রাজ্যের দেওয়া সব ওবিসি সার্টিফিকেট (OBC Certificate) বাতিল করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এর ফলে বাতিল হতে চলেছে প্রায় ৫ লক্ষ ওবিসি শংসাপত্র। অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি ভুক্তদের সংরক্ষণের সুবিধা দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে যে শংসাপত্র দেওয়া হয়, তা-ই হল ওবিসি সার্টিফিকেট। বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, এই রায় ঘোষণার পর থেকেই বাতিল হওয়া শংসাপত্র আর কোনও চাকরি প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করা যাবে না।

    কী বলল হাইকোর্ট

    ওবিসি সংরক্ষণ (OBC Certificate) মামলায় ১৪ বছর পর রায় ঘোষণা করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)৷ বুধবার এই রায় ঘোষণা করল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ৷ বুধবার হাইকোর্টের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ২০১০ পরবর্তী সমস্ত ওবিসি সংরক্ষণ তালিকা বাতিল করা হল৷ ২০১০ সালের আগের নথিভুক্ত ওবিসি তালিকা বহাল থাকছে৷ এতদিন যাঁরা ওবিসি সংরক্ষণ তালিকায় চাকরি পেয়েছেন বা নিয়োগ প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই পুরনো সংরক্ষণ তালিকায় চাকরি পাবেন৷ এ ছাড়া নতুন করে সংরক্ষণ তালিকা প্রকাশ করতে হবে৷ মোট কথা, আজ থেকে রাজ্যে ওবিসি বলে আর কিছু থাকল না৷  তবে একই সঙ্গে হাইকোর্ট জানিয়েছে, এই সার্টিফিকেট ব্যবহার যাঁরা ইতিমধ্যে সুযোগ পেয়ে গিয়েছেন এই রায়ে তাঁদের উপর প্রভাব পড়বে না। ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ‘‘এর পর কারা ওবিসি হবেন তা রাজ্যের আইনসভাকে ঠিক করতে হবে। ওয়েস্ট বেঙ্গল ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস ওয়েলফেয়ার কমিশনকে ওবিসিদের তালিকা নির্ধারণ করতে হবে। যাঁদের নাম আইনসভা অনুমোদন দেবে পরবর্তীকালে তাঁরা ওবিসি বলে গণ্য হবেন।’’

    আরও পড়ুন: লাইসেন্সের জন্য আরটিওতে দিতে হবেনা ড্রাইভিং টেস্ট! চালু হচ্ছে নতুন নিয়ম

    এই রায়ের প্রভাব

    হাইকোর্টের এই নির্দেশের ফলে বাতিল হল প্রায় পাঁচ লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট (OBC Certificate)। এই রায় অনুসারে তৃণমূল জমানায় দেওয়া রাজ্যের সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত জানিয়েছে, ২০১০ সালের পরে জারি হওয়া সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করা হবে। ঘটনাচক্রে ২০১১ সাল থেকে রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। নতুন ওবিসি সংরক্ষণ তালিকা ১৯৯৩ সালের আইন মেনে তৈরি করার পর রাজ্যে তা কার্যকর করা হবে, বলে ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে জানানো হয়েছে৷ কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) বলছে, ২০১০ সালের পরে যে সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট তৈরি করা হয়েছে, সেই সমস্ত শংসাপত্র আইনসম্মতভাবে বানানো হয়নি। তাই ওই শংসাপত্র বাতিল করতে হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু-হিরণ, কোলাঘাটকাণ্ডের কথা জানানো হল শাহকেও

    Suvendu Adhikari: আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু-হিরণ, কোলাঘাটকাণ্ডের কথা জানানো হল শাহকেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের অতিসক্রিয়তার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ও ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। পর্যাপ্ত তথ্য ও প্রয়োজনীয় নথি ছাড়াই পুলিশ তাঁদের ভাড়া বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে বলে অভিযোগ এই দুই পদ্ম-নেতার।

    শাহকে ফোন শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। পুলিশি হানার কথা ফোনে শুভেন্দু জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও। শুভেন্দু বলেন, “বিবরণ দিয়েছি গোটা ঘটনার।” আদালতে মামলা দায়ের করার পরে তাঁর হুঁশিয়ারি, “এর শেষ দেখে ছাড়ব।” মঙ্গলবার বিকেলে শুভেন্দুর কোলাঘাটের বাড়িতে যায় পুলিশ। খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে পৌঁছে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি সার্চ ওয়ারেন্ট দেখতে চাইলেও, পুলিশ তা দেখাতে পারেনি বলে দাবি শুভেন্দুর।

    সার্চ ওয়ারেন্ট কোথায়, পুলিশকে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    বলেন, “সার্চ ওয়ারেন্ট থাকলে, হাইকোর্টের অনুমোদন থাকলে আমি অভিযানের অনুমতি পুলিশকে দিতাম।” তিনি বলেন, “আমি আইন মেনে চলি। আইনি পথেই এর মোকাবিলা করব। রাতের মধ্যেই নির্বাচন কমিশনকে সিসিটিভির ফুটেজ পাঠাব। যে পুলিশকর্মীরা গিয়েছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।” তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, “বাড়ির লোকের উপস্থিতি ছাড়া কীভাবে অভিযান হতে পারে? যদি দু’টো ভাঙা বন্দুক বা জাল নোট বা মাদক রেখে যায়, তার দায়িত্ব কে নেবে?”

    আর পড়ুন: “ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ নেই”, বললেন পিকে

    কেবল শুভেন্দু নন, মঙ্গলবার মাঝরাতে পশ্চিম মেদিনীপুরেও কয়েকজন বিজেপি নেতার বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। ঘাটালের বিজেপি প্রার্থীর আপ্ত সহায়ক তমোঘ্ন দে-সহ দুই বিজেপি নেতার বাড়িতে হানা দেয় ঘাটাল ও খড়্গপুর লোকাল থানার পুলিশ। বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক সৌমেন মিশ্র ও মেদিনীপুরে বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক তন্ময় ঘোষের বাড়িতেও গভীর রাতে হানা দেয় পুলিশ। কী কারণে এই অভিযান, সে ব্যাপারে রা কাড়েনি পুলিশ। হিরণ বলেন, “আমার আপ্তসহায়কের মা অসুস্থ। রাতে তিনি যদি দরজা খুলে দিতেন, টাকা, পিস্তল, হেরোইন রেখে আসতে পারত ওরা। আমার পার্টির কারও নামে কেস দিত। আমাকে ফাঁসাত। এটাই তো এদের মোটিভ। মানুষ দেখছে (Suvendu Adhikari)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Calcutta High Court: “আরএসএসে ছিলাম, ফিরে যেতেও প্রস্তুত”, অবসর নিয়ে বললেন বিচারপতি দাশ

    Calcutta High Court: “আরএসএসে ছিলাম, ফিরে যেতেও প্রস্তুত”, অবসর নিয়ে বললেন বিচারপতি দাশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আজ আমার বিদায়ের দিন। শুনতে খারাপ লাগলেও একটা কথা আমি আপনাদের বলতে চাই, সেটা হল আমি আরএসএসে ছিলাম, সেই সংগঠনেই ফিরে যেতে প্রস্তুত। আমি আরএসএসের সদস্য ছিলাম এবং এখনও রয়েছি।” অবসরের দিনে কথাগুলি বললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাশ।

    ‘আমার যাবার সময় হল’… (Calcutta High Court)

    এদিন তাঁর সম্মানে আয়োজিত বিদায় সম্বর্ধনা সভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিরা, ছিলেন বার কাউন্সিলের সদস্যরাও। বিদায়ের দিনে সেখানেই তিনি তাঁর সঙ্গে আরএসএসের সম্পর্কের কথা জানান। কোনও কাজে অথবা কোনও সাহায্যের জন্য আরএসএস তাঁকে ডাকলে তিনি তা করতে সক্ষম বলেও জানান সদ্য অবসরপ্রাপ্ত এই বিচারপতি। গত ১৪ বছর ধরে তিনি ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি। ওড়িশা হাইকোর্ট থেকে কলকাতা হাইকোর্টে পাঠানো হয়েছিল তাঁকে।

    আরএসএসের শিক্ষা

    আরএসএসে থেকে তিনি যে অনেক কিছু শিখেছেন, এদিন তাও জানাতে ভোলেননি ওড়িশা থেকে বাংলায় আসা এই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। বলেন, “আমি এই সংগঠনের (আরএসএস) কাছে বিভিন্নভাবে ঋণী…শৈশব থেকে আমি এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত, পুরো যৌবনও কেটেছে সংগঠনেই। এই সংগঠন আমায় সাহসী হতে শিখিয়েছে, শিখিয়েছে ন্যায়নিষ্ঠ হতে। সবার প্রতি সমদৃষ্টি দিতে শিখিয়েছে এবং সর্বোপরি পাঠ দিয়েছে দেশপ্রেমের, কাজের প্রতি দায়বদ্ধতার।” তিনি জানান, যে পেশায় তিনি এতদিন ছিলেন, সেই পেশার কারণেই এতদিন সংগঠনের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল তাঁর।

    আর পড়ুন: কার্তিক মহারাজের পাশে সাধু-সন্তরা, মমতাকে ধিক্কার জানিয়ে হল প্রতিবাদ মিছিল

    বলেন, “দীর্ঘ কেরিয়ারে কোনও সুবিধা নিতে সংগঠনের সদস্যপদ আমি ব্যবহার করিনি। কারণ এটা নীতিবিরুদ্ধ। ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে আমি সমস্ত বিচারপ্রার্থীকে সমদৃষ্টিতে দেখেছি। বিচারের সময় কখনও ভাবিনি তিনি কমিউনিস্ট, না বিজেপি, না কংগ্রেস, না তৃণমূল।” তিনি বলেন, “আমার কাছে সবাই সমান। কারও প্রতি কখনও কোনও পক্ষপাতিত্ব করিনি। আমি মনে করি, বিচার করতে গিয়ে আইনকে নত করা যায়, কিন্তু বিচারপতিকে নয়।”

    আরএসএস ডাকলে তিনি যে আবারও সংগঠনে ফিরে যেতে প্রস্তুত, তাও জানান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দাশ। বলেন (Calcutta High Court), “আমার জীবনে আমি কখনও কোনও অন্যায় কিছু করিনি। আমি যে ওই সংগঠন থেকে এসেছি, তা বলার মতো সাহস আমার রয়েছে। কারণ এটাও তো কোনও অন্যায় নয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Calcutta High Court: আদালতের নোটিশ ফেরত সচিবের, ঔদ্ধত্যের জবাব দিলেন বিচারপতি 

    Calcutta High Court: আদালতের নোটিশ ফেরত সচিবের, ঔদ্ধত্যের জবাব দিলেন বিচারপতি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নামের বানান অপছন্দ হওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নোটিশ গ্রহণ করেননি রাজ্যের এক সচিব। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ওই সচিবকে শিক্ষা দিতে শুক্রবার তড়িঘড়ি ডেকে পাঠালেন। আদালতের চিঠি গ্রহণ না করার যুক্তি শুনে অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠেন বিচারপতি।

    ‘ভিভেক’ বনাম ‘বিবেকের’ দোটানা

    হাইকোর্ট (Calcutta High Court)  সূত্রে জানা গিয়েছে ওই সচিব প্রাণী সম্পদ বিভাগে কর্মরত। তিনি নিজের নাম ‘ভিভেক’ লিখে থাকেন। আদালতের নোটিশে ‘ভিভেকের’ পরিবর্তে ‘বিবেক’ লেখায় হাইকোর্টের পাঠানো আদালত অবমাননা সংক্রান্ত মামলার নোটিশ দিতে অস্বীকার করেন সচিব সাহেব। বিচারপতি নোটিশ না নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে রাজ্যের আইনজীবীর যুক্তি ছিল ‘বিবেক’ শব্দটি উচ্চারিত হয় ঠোঁট থেকে এবং ‘ভিভেক’ শব্দটি আসে হৃদয় থেকে। তাই নামের বানানের এই ত্রুটির জন্য সচিব আদালতের নোটিশ নিতে অস্বীকার করে থাকতে পারেন।

    রাজ্যের আজগুবি যুক্তি (Calcutta High Court)

    আদালত অবমাননার মামলায় এই সচিবের এমন আজগুবি যুক্তি শুনে একেবারে অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। রেগে আগুন হয়ে বিচারপতি  বলেন, সচিবের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হচ্ছে। বিধাননগর পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হল ওকে ধরে নিয়ে এসে সোমবার আদালতে (Calcutta High Court)   নিয়ে আসতে হবে। তারপর দেখব কোন শব্দ হৃদয় থেকে বেরোয় আর কোন শব্দ ঠোঁট থেকে বেরোয়।

    আরো পড়ুন: “পরিবর্তন দরকার, নাহলে রাজ্যের অবস্থা ভয়ঙ্কর হবে”, বললেন মিঠুন

    বিচারপতি এদিন স্পষ্ট ভাবে বলেন, “আদালতের একের পর এক নির্দেশ কার্যকর না করায়, তলব করার পরও একজন সচিব আদালতের নোটিশ নিতে অস্বীকার করেন, এই আচরণ ঔদ্ধত্যের সমান।”

    হাজিরা দেওয়ায় বাতিল গ্রেফতারি পরোয়ানা

    ওই সচিবের বিরুদ্ধে বিধাননগর সিটি পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয় আগামী সোমবার তাকে বেলা সাড়ে দশটায় (Calcutta High Court) এজলাসে হাজির করতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের আইনজীবী মরিয়া হয়ে বলেন, এই নির্দেশ যাতে না দেওয়া হয়। সেই ব্যাপারে জোড়াজুড়ি করলে আদালত জানিয়ে দেয়, একটাই শর্ত এই নির্দেশ প্রত্যাহার করার। যদি তিনি সেদিনই হাজির হন। এরপরই তড়িঘড়ি আদালতে হাজিরা দেন বিবেক কুমার। হাজিরা দেওয়ায় গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করে নেন বিচারপতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: হাইকোর্টে স্বস্তি, ভোট পর্যন্ত অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তদন্তে স্থগিতাদেশ

    Calcutta High Court: হাইকোর্টে স্বস্তি, ভোট পর্যন্ত অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তদন্তে স্থগিতাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা হয়েছিল প্রাক্তন বিচারপতি তথা তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay) বিরুদ্ধে। এফআইআর খারিজের আবেদন নিয়ে  কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সেই মামলার (Calcutta High Court) শুনানিতে আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিল, ভোটের মধ্যে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে না রাজ্য সরকার। 

    কী বলল হাইকোর্ট

    এদিন মামলার শুনানিতে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ জানিয়েছেন, আগামী ২১ জুন এফআইআর-এর গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে কিনা তার বিচার হবে। তার আগে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না। ভোট না মেটা পর্যন্ত অভিজিৎকে বিরক্ত করা যাবে না। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তও করতে পারবে না পুলিশ। তবে ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়া তারা চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। অভিজিতের সঙ্গে এফআইআর খারিজের আবেদন করেছিলেন বিজেপি নেতা প্রশান্ত দাসও। বৃহস্পতিবার তাঁকেও রক্ষাকবচ দিয়েছে আদালত। উল্লেখ্য, তমলুকে ষষ্ঠ দফায় আগামী ২৫ মে ভোটগ্রহণ রয়েছে।

    তদন্তে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ 

    গত ৪ মে মনোনয়ন জমা দিতে যান তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ। সে দিন তমলুকের হাসপাতাল মোড়ে কিছু গোলমাল হয়েছিল। সেই ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। যা খারিজের আবেদন নিয়ে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) যান প্রাক্তন বিচারপতি। বিচারপতি জানিয়েছেন, যে হেতু মামলাকারী নির্বাচনের প্রার্থী, তাই তাঁর বিরুদ্ধে ১৪ জুন পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও তদন্তও করা যাবে না। তদন্ত প্রক্রিয়াতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: কোনও বাপের বেটা সিএএ রুখতে পারবে না! হুঁশিয়ারি মোদির

    কেন স্থগিতাদেশ ব্যাখ্যা 

    অভিজিতের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের বিরোধিতা করেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। এ প্রসঙ্গে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জামিনের উল্লেখ করে বিচারপতি ঘোষের বক্তব্য, ”আপনি জানেন কয়েকদিন আগেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জামিন হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে কোনও হয়রানি করবেন না।” মামলার পরবর্তী শুনানির দিন, অর্থাৎ ১২ জুন পুলিশকে আদালতে কেস ডায়েরি জমা করতে হবে। এছাড়া, ১৪ জুনের মধ্যে দু’পক্ষকে হলফনামা জমা দিতে বলেছে আদালত। প্রাক্তন বিচারপতির হয়ে আদালতে এই মামলার সওয়াল করেন আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: হাইকোর্টে দুই নেত্রী, রেখা চাইলেন রক্ষাকবচ, জামিন চাইছেন পিয়ালি দাস

    Calcutta High Court: হাইকোর্টে দুই নেত্রী, রেখা চাইলেন রক্ষাকবচ, জামিন চাইছেন পিয়ালি দাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে এবার হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) দুই বিজেপি নেত্রী। একদিকে বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র (Rekha Patra) রক্ষাকবচ চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। অন্যদিকে জেলবন্দি স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বে পিয়ালি দাস ওরফে মাম্পি নিম্ন আদালতে জামিনের আবেদন খারিজ হওয়ায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন। পিয়ালি দাসের ৭ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল বসিরহাট আদালত।

    রক্ষাকবচ চাইলেন রেখা পাত্র

    ভাইরাল ভিডিও পর্বের পর বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে সন্দেশখালিতে।  তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দায়ের হয়েছে, হাইকোর্টে এই অভিযোগ জানিয়েছেন রেখা। হাইকোর্টে তাঁর আইনজীবী জানিয়েছেন, এমন কত মামলা আছে তার তালিকা দিক পুলিশ। একই সঙ্গে রেখা পাত্রকে নিরাপত্তা দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে বিচারপতির জয় সেনগুপ্তর বেঞ্চে। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। অন্যদিকে পিয়ালি দাস জানিয়েছেন প্রথমে পুলিশের তরফ থেকে জামিনযোগ্য ধারা দেওয়া হয়েছিল। আদালতে আত্মসমর্পণ করতে গেলে শেষ মুহূর্তে জামিন অযোগ্য ধারা যুক্ত করে পিয়ালি দাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বসিরহাট মহকুমা আদালত তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। এরপরই নিম্ন আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন পিয়ালি।

    ভাইরাল ভিডিও তৃণমূলের হাতিয়ার

    প্রসঙ্গত সন্দেশখালি পর্বের পরবর্তী অধ্যায়ের সূত্রপাত ভাইরাল ভিডিওকে কেন্দ্র করে। স্টিং অপারেশনের পর সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয় বেশ কয়েকটি ভিডিও। তাতে সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ ভুয়ো বলে দাবি করা হয়। এই দাবি করে তৃণমূল কংগ্রেস। পাল্টা বিজেপির দাবি ভিডিওটি ভুয়ো এবং বিকৃত করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: “ডায়মন্ড হারবারে সন্ত্রাস সৃষ্টিকারী অভিষেক-ভাইরাসের বিরুদ্ধেই লড়াই”, কটাক্ষ ববির

    এরপরেই একের পর এক মামলা হয় স্থানীয় বিজেপি নেত্রী রেখা পাত্র এবং পিয়ালি দাসের বিরুদ্ধে। এই সব মামলা থেকে নিস্তার পেতে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন দুই নেত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Calcutta High Court: সন্দেশখালির বিজেপি নেতা গঙ্গাধরের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা নয়, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: সন্দেশখালির বিজেপি নেতা গঙ্গাধরের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা নয়, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়ালের বিরুদ্ধে এখনই এগোবে না কোনও তদন্ত। তাঁর বিরুদ্ধে করা এফআইআরের ওপরও কোনও কড়া পদক্ষেপও করা যাবে না বলে মৌখিকভাবে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আজ, মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে। মামলার পরবর্তী শুনানি শুক্রবার।

    গঙ্গাধরের বিরুদ্ধে এফআইআর (Calcutta High Court)

    সন্দেশখালিকাণ্ড নিয়ে একটি ভিডিওকে কেন্দ্র করে গঙ্গাধরের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন জনৈক শক্তিপদ রাউত। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য মামলায় দায়ের করা হয় এফআইআর। এই এফআইআরের ওপর রক্ষাকবচ চেয়ে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন গঙ্গাধর। বিচারপতি সেনগুপ্তর মন্তব্য, “মিথ্যা মামলায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আর তাতে থানায় এফআইআর রুজু করা হল কীসের ভিত্তিতে? ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি সাপেক্ষে এই এফআইআর করার সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত ছিল।” তিনি জানান, সন্দেশখালি মামলার তদন্ত চলছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নজরদারিতে। সিবিআই তদন্ত করছে। এই আবেদনেরও শুনানি হওয়া উচিত প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে।

    আরও পড়ুুন: “চাবাহার বন্দর চুক্তিতে খুলে গেল বিনিয়োগের বৃহত্তর দ্বার”, বললেন জয়শঙ্কর

    আদালতে গঙ্গাধর

    বিজেপি নেতা গঙ্গাধর খবরে চলে আসেন সন্দেশখালিকাণ্ড নিয়ে দু’টি স্টিং অপারেশন পর্ব-১ ও পর্ব-২ প্রকাশ্যে আসার পর। প্রথম পর্বে গঙ্গাধরকে বলতে শোনা যায়, সন্দেশখালির ঘটনা সাজানো। ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যা। দ্বিতীয় পর্বের ভিডিওয় তাঁকে বলতে শোনা যায়, ৭২ জন মহিলাকে দু’হাজার করে টাকা দিয়ে ধর্ষণের মিথ্যা মামলা করানো হয়েছে। ভিডিও দু’টির সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। ভিডিও দু’টি ভাইরাল হতেই চাপে পড়ে যান গঙ্গাধর। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা চেয়ে দ্বারস্থ হন কলকাতা হাইকোর্টের। তাঁর আরও অভিযোগ, তাঁর ছবি ব্যবহার করে ভুয়ো ভিডিও তৈরি করা হয়েছে। পরে তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সমাজমাধ্যমে। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলার অনুমতি চান গঙ্গাধর। সেই অনুমতি দিয়েছে বিচারপতি সেনগুপ্তের সিঙ্গল বেঞ্চ (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: বাড়ছে পড়ুয়াদের আত্মহত্যার প্রবণতা, রাজ্যের পদক্ষেপ জানতে চেয়ে মামলা হাইকোর্টে

    Calcutta High Court: বাড়ছে পড়ুয়াদের আত্মহত্যার প্রবণতা, রাজ্যের পদক্ষেপ জানতে চেয়ে মামলা হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পড়ুয়াদের মধ্যে বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা। এই প্রবণতা ঠেকাতে রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানতে চেয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের হল মামলা। প্রসঙ্গত, প্রতিনিয়ত বাড়ছে পড়াশোনার প্রতিযোগিতা। এর ফলে এই কম বয়সী পড়ুয়াদের ওপর পড়ছে ব্যাপক মানসিক চাপ। চাপ সামলাতে না পেরে অনেকেই আত্মহত্যার পথকে বেছে নিচ্ছেন।

    সংসদে পেশ করা রিপোর্ট 

    গত বছরে দেশের সংসদে একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়। ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এই পাঁচ বছরে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে অন্তত ৯৮ জন পড়ুয়া আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। এর মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। এর পাশাপাশি আইআইটি এনআইটি বা আইআইএম-এর মতো উচ্চ শিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলিও রয়েছে তালিকায়। মানসিক অবসাদের শিকার হয়ে আত্মহত্যার পথকে বেছে নিচ্ছেন মেডিক্যাল পড়ুয়ারাও। ওই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন এইমসে কমপক্ষে এমন ১৩ জন পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছেন। এবার এ নিয়ে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের হল মামলা।

    কেন আত্মহত্যা

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলাচ্ছে প্রতিযোগিতার ধরন। কঠিন হচ্ছে প্রতিযোগিতা। এই সময়ে যে সমস্ত পড়ুয়া নিজেদেরকে প্রতিযোগিতার যোগ্য করে তুলতে পারছেন না বলে মনে করছেন, তাঁরাই আত্মহত্যার পথকে বেছে নিচ্ছেন। বিশেষত দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন বোর্ডের পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পরেই এমন আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে। এ নিয়েই মঙ্গলবার হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল।

    মামলাকারীদের দাবি

    ওই জনস্বার্থ মামলাটি যাঁরা করেছেন, তাঁদের দাবি, আত্মহত্যার প্রবণতা ঠেকাতে ২০১৭ সালে একটি আইন তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার (Calcutta High Court)। মেন্টাল হেলথ কেয়ার নামের সেই আইনের ১০০ নম্বর ধারায় আত্মহত্যার প্রবণতা রুখতে একাধিক পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে। একইসঙ্গে আইন প্রণয়ন করার জন্য প্রতিটি জেলাকে ৮৩ লক্ষ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে ওই আইনে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share