Tag: Calcutta

Calcutta

  • Calcutta High Court: “চার্জশিটে কেন বাদ শেখ শাহজাহানের নাম?”, সিআইডিকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: “চার্জশিটে কেন বাদ শেখ শাহজাহানের নাম?”, সিআইডিকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতে (Calcutta High Court) ফের ভর্ৎসিত পুলিশ। তিন বিজেপি কর্মী খুনের মামলায় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের তোপের মুখে পড়লেন এই মামলার তদন্তকারী আধিকারিক।

    শাহজাহানের নাম বাদ কেন? (Calcutta High Court)

    বিচারপতির প্রশ্ন, “চার্জশিটে কেন বাদ শেখ শাহজাহানের নাম?” ১ এপ্রিলের মধ্যে এ বিষয়ে জবাব তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের প্রশ্ন, “মামলায় মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান, সাক্ষীরা তাঁর নামই জানিয়েছেন। তাও কেন চার্জশিট থেকে তাঁর নাম বাদ দিল পুলিশ?” সাক্ষীরা বিশ্বাসযোগ্য না হওয়ায় তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। এর পরেই বিস্ময় প্রকাশ করে বিচারপতি বলেন, “আপনিই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন যে, সাক্ষী বিশ্বাসযোগ্য নয়!”

    সন্দেশখালিতে বিজেপির মহিলা প্রতিনিধি দল

    এদিকে, শুক্রবার (Calcutta High Court) ফের সন্দেশখালিতে গেল বিজেপির মহিলা মোর্চার প্রতিনিধি দল। এদিন তাঁরা গিয়েছেন জেলিয়াখালিতে। কথা বলেন স্থানীয়দের সঙ্গেও। আদালতের অনুমতি নিয়ে সন্দেশখালিতে গিয়েছেন প্রাক্তন আইপিএস বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষও। ২০১৯ সালে সন্দেশখালিতে খুন হন বিজেপির তিন কর্মী প্রদীপ মণ্ডল, দেবদাস মণ্ডল ও সুকান্ত মণ্ডল। ওই ঘটনায় শেখ শাহজাহান ও তার দলবলের বিরুদ্ধে দু’টি এফআইআর দায়ের হয়। হাইকোর্টের নির্দেশেই সেই মামলার তদন্তভার যায় সিআইডির হাতে। শুরু হয় তদন্ত।

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে জামিন সংক্রান্ত মামলায় নোটিশ রাজ্যের মুখ্যসচিবকে

    সাক্ষীদের গোপন জবানবন্দি নেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। যদিও মামলার চূড়ান্ত চার্জশিট জমা দেওয়ার পর দেখা যায়, সেখানে প্রধান অভিযুক্ত ও সাক্ষীদের বয়ানে সবার ওপরে থাকা শেখ শাহজাহানের নাম বাদ গিয়েছে। এরপরেই সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন, “রাজ্য অনেক দিন সময় নিয়েছে। আর সময় দেওয়া যায় না। প্রত্যক্ষদর্শী শাহজাহানের নাম নিয়েছে। তার পরেও নাম বাদ দেওয়া হয়েছে তাঁর।”

    এদিন রাজ্যের তরফে এক আইনজীবী বলেন, “চার্জশিট জমা পড়েছে। তবে চার্জ ফ্রেম হয়নি এখনও। কেস ডায়েরি হাজির করতে রাজ্যকে আরও কয়েকদিন সময় দেওয়া হোক।” এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১ এপ্রিল (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Recruitment Case: শুনানি শেষ এসএসসি নিয়োগ মামলার, কী বললেন বিচারপতি?

    SSC Recruitment Case: শুনানি শেষ এসএসসি নিয়োগ মামলার, কী বললেন বিচারপতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে চলা শুনানি শেষ হল বুধবার। প্রতিদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রসিদির ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয়েছে এসএসসি নিয়োগ মামলার (SSC Recruitment Case)। শুনানি শেষ হলেও, স্থগিত রয়েছে রায় ঘোষণা।

    ‘অতিরিক্ত নিয়োগ বাতিল হওয়া উচিত’ (SSC Recruitment Case)

    সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, এদিন আদালত যে মন্তব্য করেছে, তাতেই রায়ের ইঙ্গিত রয়েছে। প্রসঙ্গত, এদিন শুনানি শেষে বিচারপতি বসাক বলেন, “এই নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে ভালো কিছু খুঁজে পাওয়া কঠিন। অতিরিক্ত নিয়োগ সরাসরি বাতিল হওয়া উচিত।” প্রসঙ্গত, এসএসসিতে বহু বেআইনি নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসএসসি নিয়োগ (SSC Recruitment Case) সংক্রান্ত একাধিক মামলা দীর্ঘদিন ধরে কলকাতা হাইকোর্টের বিভিন্ন বেঞ্চে ঘোরাফেরা করছে।

    রায় ঘোষণা মুলতুবি

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (অধুনা অবসরপ্রাপ্ত), বিচারপতি অমৃতা সিনহা সহ আদালতের সিঙ্গল বেঞ্চ, ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয়েছে এই মামলার। পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এসএসসি সংক্রান্ত মামলা শুনানির জন্য গঠিত হয় বিশেষ বেঞ্চ। বিশেষ বেঞ্চকে ছ’মাসের মধ্যেই শুনানি শেষ করতে বলেছিল দেশের শীর্ষ আদালত। তার পর থেকে প্রতিদিনই শুনানি হয়েছে এই মামলার। এই বেঞ্চেই এদিন শেষ হয় শুনানি। যদিও রায় ঘোষণা মুলতুবি রেখেছে হাইকোর্ট।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালিতে মহিলাদের তাড়া খেয়ে ছুটে ঘরে ঢুকে প্রাণ বাঁচালেন দুই তৃণমূল নেতা

    এদিন মামলাকারীদের পক্ষে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও ফিরদৌস শামিম সওয়াল করতে গিয়ে বলেন, “এটি একটি সুপরিকল্পিত অপরাধ। শূন্যপদের চেয়েও বেশি সংখ্যক ব্যক্তিকে নিয়োগ করা হয়েছে। এই বেআইনি নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের টাকা নয়ছয় করা হয়েছে। প্রশাসনিক স্তরে যুক্ত আধিকারিকদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করা উচিত। ওই সব দুর্নীতির টাকা ফেরানোর ব্যবস্থা করা উচিত।” বিকাশের বক্তব্য, “এই দুর্নীতির ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ করা উচিত আদালতের। তা না হলে এই ধরনের অপরাধ প্রবণতা কমবে না। অপরাধীরা এই ধরনের অপরাধ করতেই থাকবে।”

    এদিন মামলাকারীদের আইনজীবীরা অতিরিক্ত নিয়োগের খতিয়ানও প্রকাশ করেছেন। তাতে দেখা গিয়েছে, ২০১৬ সালে নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগে কমিশনের তরফে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছিল ১১ হাজার ৪২৫ জনের। সেবার পর্ষদ নিয়োগপত্র দিয়েছিল ১২ হাজার ৯৬৪টি। যার অর্থ, বাড়তি নিয়োগ হয়েছে ১ হাজার ৫৩৯ জনের। ওই বছরই একাদশ-দ্বাদশে বাড়তি নিয়োগ হয়েছে ১৯৯ জনের। গ্রুপ-ডি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে ৬৬৯ জনকে অতিরিক্ত নিয়োগ করা হয়। গ্রুপ-সি পদে বাড়তি নিয়োগ হয়েছিল ৪১৬জন (SSC Recruitment Case)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “অবৈধ বাড়ি ভাঙার নির্দেশে কোনও স্থগিতাদেশ নয়”, বললেন বিচারপতি সিনহা

    Calcutta High Court: “অবৈধ বাড়ি ভাঙার নির্দেশে কোনও স্থগিতাদেশ নয়”, বললেন বিচারপতি সিনহা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বেআইনিভাবে নির্মাণের অভিযোগে বাড়ি ভাঙার নির্দেশের ওপর কোনওরকম স্থগিতাদেশ নয়। স্থগিতাদেশের কোনও আবেদনই শুনব না। যে আদালতই নির্দেশ দিক, সেটাই বহাল থাকবে।” মঙ্গলবার এমনই মন্তব্য করলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আদালত জানিয়েছে, আগে মানুষের জীবন সুরক্ষিত হোক, আদালত এই ধরনের মামলায় কোনও হস্তক্ষেপই করবে না। বাড়ি ভাঙার নির্দেশের বিরুদ্ধে কোনও মামলার অনুমতিও নয়। মঙ্গলবার বিচারপতি সিনহার এজলাসে এ সংক্রান্ত তিনটি মামলার আবেদন এসেছিল। একটি মামলাও গৃহীত হয়নি।

    বিচারপতি সিনহার প্রশ্ন (Calcutta High Court)

    এদিন ইকবালপুরের একটি বেআইনি নির্মাণ মামলার শুনানি হচ্ছিল বিচারপতি (Calcutta High Court) অমৃতা সিনহার এজলাসে। বাড়িটির বাইরের অংশ ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এই মামলায় পুরসভা ৩০ দিন সময় চেয়েছিল। এর পরেই বিচারপতি সিনহার প্রশ্ন, একটা বাড়ির বাইরের অংশ ভাঙতে ৩০ দিন সময় লাগে? বাড়ি ভাঙার নির্দেশ কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আছে কিনা, তা জানাতে পুরকমিশনারের হলফনামা তলব করেছে আদালত। ৯ এপ্রিল ওই হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা। তিনি বলেন, “যখন একটা বিল্ডিং ভাঙে তখন কয়েক সেকেন্ড সময় লাগে। আর সেই বাড়ি ভাঙতে এখানে ৩০ দিন সময় লাগবে কেন?”

    বহুতল বিপর্যয়ে ভয়ঙ্কর ছবি

    গার্ডেনরিচে (Calcutta High Court) বহুতল বিপর্যয়ের পর উঠে আসছে ভয়ঙ্কর সব ছবি। একটি বহুতলের ওপর হেলে পড়েছে আর একটি বহুতল। দুই বহুতলের মাঝে ফাঁক মাত্র এক আঙুলের। ৯টি প্রাণের বিনিময়ে নড়েচড়ে বসেছে কলকাতা পুরসভাও। থানাগুলিকেও নজরদারির নির্দেশ দিয়েছে পুলিশের হেড কোয়ার্টার লালবাজার। এহেন আবহেই এমন পর্যবেক্ষণ বিচারপতি সিনহার। বিচারপতি বলেন, “বাইরের অংশের কলাম আর বিম ভাঙার নির্দেশ দেওয়া ছিল। বাইরের দেওয়াল ভাঙতেও এত সময়! কেন? প্রশ্ন বিচারপতি সিনহার। তার পরেই তিনি (Calcutta High Court) বলেন, “যখন একটা বিল্ডিং ভাঙে তখন কয়েক সেকেন্ড সময় লাগে, আর সেই বাড়ি ভাঙতে এখানে ৩০ দিন সময় লাগবে কেন?

    আরও পড়ুুন: সিএএ-তে স্থগিতাদেশ নয়, তিন সপ্তাহে কেন্দ্রের জবাব তলব সুপ্রিম কোর্টের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Calcutta High Court: মুখ পুড়ল রাজ্যের! ডিএ-র দাবিতে মিছিলের নির্দেশ বহাল ডিভিশন বেঞ্চেও

    Calcutta High Court: মুখ পুড়ল রাজ্যের! ডিএ-র দাবিতে মিছিলের নির্দেশ বহাল ডিভিশন বেঞ্চেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার হাইকোর্ট ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। ডিএ-র দাবিতে নবান্ন পর্যন্ত মিছিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের কো-অর্ডিনেশন কমিটি। বুধবারই শর্তসাপেক্ষে কমিটিকে ওই কর্মসূচি পালনের অনুমতি দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য সরকার।

    নির্দেশ বহাল ডিভিশন বেঞ্চেও (Calcutta High Court)

    বৃহস্পতিবার শর্তসাপেক্ষে সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশই বহাল রাখে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। এখানেও বেশ কিছু শর্ত মেনে চলার কথা বলা হয়েছে মিছিলকারীদের। বেঞ্চের নির্দেশ, “এক লাইনে মিছিল করতে হবে। মিছিল শেষে কেবল একজন মাত্র বক্তৃতা দিতে পারবেন। শান্তিপূর্ণ মিছিল করতে হবে। মিছিল যেন কোথাও দাঁড়িয়ে না যায়।” প্রধান বিচারপতির (Calcutta High Court) মন্তব্য, “মিষ্টি দই, আলুপোস্ত, লুচি যেমন বাংলার সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ, মিটিং-মিছিলও তাই। এখানে সবাই জন্মগত যোদ্ধা।” তিনি বলেন, “কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে, সেদিকে নজর রাখতে হবে সংগঠনকে। কর্মসূচি শেষ করতে হবে দু’ ঘণ্টার মধ্যে।”

    আরও পড়ুুন: “রাজ্যের ক্ষমতা নেই আটকানোর, রাজনীতি করবেন না”, সিএএ নিয়ে মমতাকে ‘শাহি’ তোপ

    মিছিলে শর্ত আদালতের 

    বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মান্থাও নির্দেশ দিয়েছিলেন, হাওড়া রেল মিউজিয়াম থেকে নবান্ন বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত মিছিল করতে পারবে কো-অর্ডিনেশন কমিটি। দুপুর ১টা থেকে কর্মসূচি শুরু করা যাবে। মিছিলে সর্বাধিক ১৫০০ জন থাকতে পারবেন। পুলিশ ওই মিছিলের ওপর প্রয়োজনীয় শর্ত আরোপ করতে পারবে। বিচারপতি মান্থার নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য।

    মিছিল শুরু দুপুর ১টায়

    এদিনের শুনানিতে নবান্ন বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত মিছিলে আপত্তি জানায় রাজ্য। সওয়ালে রাজ্যের এজি বলেন, “ওই জায়গায় কোনও কর্মসূচি হয় না। শাসক বা বিরোধী কাউকে কোনও দিন অনুমতি দেওয়া হয় না। গতবারের চেয়ে এবার কর্মসূচিতে লোকের সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হয়েছে।” এজির উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, “একটি লাইন ধরে মিছিল যাবে। সেখানে সরকারি কর্মচারীরা অংশ নেবেন। সরকার তো তাঁদের সবার পরিচয় জানবে। তাই অসুবিধা হওয়ার কথা নয় (Calcutta High Court)।” প্রসঙ্গত ডিএ-র দাবিতে বৃহস্পতিবার কোঅর্ডিনেশন কমিটির মিছিল শুরু হওয়ার কথা দুপুর ১টায়। শেষ হবে নবান্ন বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে।

    ‘মহার্ঘ ভাতা বাড়লে তো পুলিশেরও বাড়বে’

    পুলিশের উদ্দেশেও তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করেছেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘‘তারা (আন্দোলনকারী) সরকারি কর্মী, তারা সব নির্দেশ মেনে চলবেন। যদি না মানেন তাহলে তাদের সনাক্ত করতে পুলিশের কোন অসুবিধা হবে না। এর আগে যখন কর্মবিরতি হয়েছিল তখন মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন যে বেতন কাটা হবে। ফলে এই সরকারি কর্মীদের ওপর আপনাদের নিয়ন্ত্রণ আছে।’’ তখন আন্দোলনকারীদের তরফে বলা হয়, ‘‘পুলিশ অসুবিধা সৃষ্টি না করলে অশান্তি কেন হবে?’’ এর উত্তরে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘না না, পুলিশ কেন বাধা দেবে। আপনারা যদি মহার্ঘ ভাতা পান, তাহলে পুলিশও পাবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘‘ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দিয়ে ভাষণ নয়…’’, তৃণমূলকে নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ‘‘ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দিয়ে ভাষণ নয়…’’, তৃণমূলকে নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন সংহতি যাত্রার আয়োজন করেছে তৃণমূল। তা নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। মামলা করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সেই মামলায় শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের এই রায়ের পর ২২ জানুয়ারি তৃণমূলের মিছিলে আর কোনও বাধা রইল না।

    হিংসার আশঙ্কা

    বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয় মামলাটির। মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবী সৌম্য মজুমদার বলেন, “২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধনের পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে এই মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। ব্লকে ব্লকে এই মিছিল হলে হিংসা ছড়াতে পারে। রাম নবমীতে রাজ্যে হিংসার ছবি দেখা গিয়েছে। তেমন হিংসার আশঙ্কা করা হচ্ছে।” সওয়াল-পর্ব শেষে (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, বেশ কিছু শর্ত মেনে মিছিল করা যাবে ২২ জানুয়ারি। তবে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়াতে পারে এমন কোনও মন্তব্য করা যাবে না। মিছিল করতে হবে শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে। শব্দবিধি মানতে হবে। তবে মিছিল থেকে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হলে তার দায় নিতে হবে তৃণমূলকে।

    কী বলল আদালত?

    প্রধান বিচারপতি মনে করিয়ে দিয়েছেন, এই ধরনের মিছিলের ক্ষেত্রে ট্রাফিকের সমস্যা হতে পারে, আটকে পড়তে পারে অ্যাম্বুল্যান্স। এই বিষয়গুলি নিয়ে সংশ্লিষ্ট পার্টি ও রাজ্য সরকারকে তৎপর হতে হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের মন্তব্য, প্রতি ব্লকে যদি এই মিছিল হয়, তবে সেখানকার সাধারণ মানুষের সমস্যা হবে। এই মিছিলের জন্য আগাম কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। ওই দিন আরও ৩৫টি মিছিলের আবেদন জমা পড়েছে। সেগুলি অনুমতি পেলে সমস্যা আরও বাড়বে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানে মিছিলের যে আর্জি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলনেতা জানিয়েছিলেন, তাও খারিজ করে দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

    আরও পড়ুুন: দোরগোড়ায় রাম মন্দির উদ্বোধন, নেতিবাচক প্রচার শুরু পাকিস্তানের!

    রায়ে বলা হয়েছে, ‘অঘটন ঘটলে দায় বর্তাবে ওই দলের ওপর। আদালতের (Calcutta High Court) রায় লঙ্ঘন করলে দায়ী হতে পারেন ব্যক্তিও।’ প্রসঙ্গত, রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন কলকাতার হাজরা থেকে পার্ক সার্কাস পর্যন্ত মিছিলের আয়োজন করেছে তৃণমূল। নাম দেওয়া হয়েছে সংহতি যাত্রা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: কলকাতা হাইকোর্টে ক্ষমা চাইলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সচিব, কেন জানেন?

    Calcutta High Court: কলকাতা হাইকোর্টে ক্ষমা চাইলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সচিব, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতে ভুল তথ্য দিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সচিব সুব্রত ঘোষ। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) হাজিরা দেন তিনি। ভুল তথ্য দেওয়ার জন্য দায়ী করেন দফতরের চার কর্মীকে। পর্ষদকে ভুল শুধরে দ্রুত পদক্ষেপ করার নির্দেশও দেয় আদালত।

    পর্ষদকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ

    বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশ, ২২ জানুয়ারির মধ্যে কার্যকর করতে হবে আদালতের নির্দেশ। কোথায় গাফিলতি ছিল, তা রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে পর্ষদকে। গাফিলতির প্রেক্ষিতে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, জানাতে হবে তাও। রাজ্য শিক্ষা দফতর, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও এসএসসিকে শূন্যপদ নিয়ে বৈঠকে বসার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বসু। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাঁকুড়া শালতোড়া গার্লস স্কুলে চাকরির সুপারিশ পান জনৈক উমা প্রামাণিক। অভিযোগ, দু’বছর (Calcutta High Court) পরেও তাঁকে চাকরি দেয়নি মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।

    কীভাবে ঘুরল মামলার মোড়?

    হাইকোর্টে মামলা দায়ের হলে পর্ষদ জানায়, সুপারিশপত্র দেয়নি এসএসসি। তাই চাকরি দেওয়া যায়নি। পরে এসএসসি উমাকে সুপারিশপত্র দিয়েছে, এমন প্রমাণ তুলে ধরতেই ঘুরে যায় মামলার মোড়। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, পর্ষদ অসত্য তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। পর্ষদের গাফিলতির জেরেই দু’বছর পরেও চাকরি পাননি মামলাকারী। এর পরেই পর্ষদের ভূমিকায় ক্ষোভপ্রকাশ করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সচিবকে তলব করেন বিচারপতি। আদালত কেন তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে না, তার কারণ দর্শানোর নির্দেশও দেন বিচারপতি।

    আরও পড়ুুন: ‘অকাল দীপাবলি’ পালনের আবেদন জানালেন শুভেন্দু

    এদিন আদালতে হাজিরা দিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে সুব্রত বলেন, “ভুল ছিল পর্ষদেরই। দফতরের চার কর্মীর উদাসীনতার কারণেই ওই ভুল হয়েছে। এঁরা হলেন, পর্ষদের সহকারী সচিব, পর্ষদ সভাপতির পিএ এবং চুক্তিভিক্তিক দুই গ্রুপ সি কর্মী।” বিচারপতি বসু জানান, একজন যোগ্য প্রার্থীকে এতদিন চাকরি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এর জন্য যাঁরাই দায়ী, তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। ওই চারজনের বিরুদ্ধে পর্ষদ সচিব কী পদক্ষেপ করেছেন, পরবর্তী শুনানিতে তা জানাতে হবে আদালতে (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Calcutta High Court: ডালিম, তপনের পর এবার নেতাই গণহত্যায় জামিন পেলেন সিপিএমের রথীন

    Calcutta High Court: ডালিম, তপনের পর এবার নেতাই গণহত্যায় জামিন পেলেন সিপিএমের রথীন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছর জামিন পেয়েছিলেন নেতাই গণহত্যা মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ডালিম পাণ্ডে ও তপন দে। সোমবার ওই মামলায় জামিন পেলেন সিপিএম নেতা রথীন দণ্ডপাট। প্রায় দশ বছর পর জামিন পেলেন তিনি। রথীনের জামিন মঞ্জুর করেছে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি পার্থসারথি সেনের ডিভিশন বেঞ্চ।

    সিবিআইয়ের অপদার্থতা!

    রথীনের জামিনের পর সিবিআইয়ের দিকে আঙুল তোলেন আইনজীবী সঞ্জয় বর্ধন। তিনি বলেন, “আজ নেতাইয়ের বাসিন্দারা সিবিআইয়ের কাছে প্রশ্ন করছেন। তাঁরা রাজনৈতিক মামলায় এত সক্রিয়। অথচ নেতাইয়ের নয় শহিদের পরিবার কেন এখনও বিচার পাচ্ছে না? সিবিআইয়ের অপদার্থতার জন্য আজও নেতাই মামলার বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে। শহিদ পরিবার বিচার পাচ্ছে না।”

    নেতাইকাণ্ডের নেপথ্যে

    ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি লালগড়ের নেতাই গ্রামে (Calcutta High Court) দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে মৃত্যু হয় ন’জন গ্রামবাসীর। গুলির ঘায়ে জখম হন ২৮ জন। অভিযোগ, স্থানীয় সিপিএম নেতা রথীনের বাড়ি থেকে গুলি চালিয়েছিল সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। রথীনের বাড়িতে সিপিএমের সশস্ত্র বাহিনীর শিবির ছিল। স্থানীয়দের তারা নানাভাবে কাজে লাগাচ্ছিল। শিবিরের নানা কাজে সাহায্যের জন্য ডেকে পাঠানো হত বাড়ির মহিলাদের। এসব নিয়েই ক্ষোভ বাড়ছিল স্থানীয়দের মধ্যে। জানুয়ারির সাত তারিখে প্রতিবাদ আন্দোলনে শামিল হন স্থানীয়রা। তার পরেই রথীনের বাড়ি থেকে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুুন: “চুরির সাত কাহন কাব্য লেখা উচিত”, তৃণমূলকে তোপ সুকান্তর

    ঘটনার তদন্ত শুরু করে সিআইডি। পরে ২০১৩ সালে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে হাত বদল হয় তদন্তের রশি। তদন্ত শুরু করে সিবিআই। গ্রেফতার হন সিপিএমের তৎকালীন বিনপুর জোনাল সম্পাদক অনুজ পাণ্ডে-সহ ২০ জন সিপিএম নেতা-কর্মী। নেতাই গণহত্যা মামলায় বছরখানেক আগে জামিন পান ফুল্লরা মণ্ডল। গত ফেব্রুয়ারিতে জামিনে মুক্ত হন ডালিম এবং তপন। এদিন পেলেন (Calcutta High Court) রথীন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: প্রাথমিকের ৪২ হাজার প্রার্থীর প্যানেল প্রকাশ করার নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: প্রাথমিকের ৪২ হাজার প্রার্থীর প্যানেল প্রকাশ করার নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রাথমিকের ৪২ হাজার ৯৪৯ প্রার্থীর প্যানেল প্রকাশ করার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১৪ সালে প্রাথমিকে টেট সংক্রান্ত মামলায় এই নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে হয় এই মামলার শুনানি।

    প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ 

    তখনই এমন নির্দেশ দেন তিনি। যদি আগেই প্যানেল প্রকাশ হয়ে থাকে, তাহলে সেই প্যানেলের হার্ড ও সফ্ট কপি আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। ২০১৪ সালের ওই টেটে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন ১ লক্ষ ২৫ হাজারের মতো চাকরিপ্রার্থী। দু’ বছর পরে শুরু হয় নিয়োগ। উত্তীর্ণদের মধ্যে থেকে নিয়োগ (Calcutta High Court) করা হয়েছিল ৪২ হাজার ৯৪৯জনকে। নিয়োগে ত্রুটি রয়েছে বলে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। অভিযোগ, যাঁদের চাকরি দেওয়া হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৩২ হাজারই ‘প্রশিক্ষিত’ নন। ঠিকঠাক ইন্টারভিউ এবং অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট না নিয়েই অনেককে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ মামলাকারীদের।

    চাকরি খোয়া যায় ৩২ হাজার শিক্ষকের

    ওই মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী ও পরীক্ষকের বয়ান রেকর্ড করেন। মামলাকারীদের অভিযোগের সত্যতা রয়েছে বলে মেনে নিয়ে ১২ মে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একাধিক অসঙ্গতির উল্লেখ করে রায় দেন তিনি। চাকরি খোয়া যায় ৩২ হাজার শিক্ষকের। পরের চার মাস ওই শিক্ষকরা প্যারাটিটারের মতো বেতন পাবেন বলেও জানিয়ে দেন। তিন মাসের মধ্যে পর্ষদকে নতুন করে সম্পন্ন করতে হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন ওই ৩২ হাজার শিক্ষকও।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব, নবীন-প্রবীণ কারা, ছবি এঁকে বুঝিয়ে দিলেন শুভেন্দু

    প্রসঙ্গত, কেবল প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারি নয়, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশও অতীতে দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার চাকরিও গিয়েছিল তাঁর রায়ে। চাকরির সময় বেতন বাবদ তিনি যে অর্থ নিয়েছিলেন, তাও ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তাঁর জায়গায় প্রথমে চাকরি দেওয়া হয় ববিতা সরকারকে। পরে অবশ্য তাঁরও চাকরি যায় (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Calcutta High Court: প্রাথমিকে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য, রায় কলকাতা হাইকোর্টের   

    Calcutta High Court: প্রাথমিকে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য, রায় কলকাতা হাইকোর্টের   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড়দিনের আগেই বড় খবর! তবে এই খবর সুপবন বয়ে আনবে কেবল রাজ্যের পার্শ্বশিক্ষকদের জীবনে। রাজ্যের সরকারি ও সরকার পোষিত উচ্চ প্রাথমিক স্কুলগুলিতে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ থাকবে পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য। এমনই রায় দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য। আদালতের এই রায়ের সঙ্গে সঙ্গেই আইনি জট কাটল প্রায় সাত বছর পরে।

    আদালতের রায়

    আদালতের এই রায়ে আদতে মান্যতা পেল রাজ্যের উচ্চ প্রাথমিক স্কুলগুলিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের ২০১৬ সালের বিজ্ঞপ্তিই। বিচারপতি ভট্টাচার্য তাঁর রায়ে জানিয়েছেন, পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য সংরক্ষণ সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত। আদালত এতে হস্তক্ষেপ করবে না। আদালত জানিয়েছে, প্যারাটিচার নিয়োগ, তাঁদের কাজের ধরন, গুরুত্ব সবই অন্যদের থেকে আলাদা। তাই ২০১৭ সাল থেকে স্পেশাল এডুকেটর, সম্প্রসারক, সম্প্রসারিকা, মুখ্য সহায়ক এবং সহায়িকাদের দায়ের করা সব মামলা খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। পার্শ্বশিক্ষকদের নিয়োগের ক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) আগের স্থগিতাদেশও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

    রাজ্যে পার্শ্বশিক্ষকের সংখ্যা 

    প্রসঙ্গত, বাম আমলে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে পার্শ্বশিক্ষক ছিলেন ৫০ হাজারেরও বেশি। সেই সংখ্যা কমতে কমতে বর্তমানে ঠেকেছে ৪২ হাজারে। রাজ্যে ১৪ হাজার ৩৩৯ শূন্যপদের মধ্যে পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য সংরক্ষিত ১ হাজার ৪৩৩টি পদ। প্রসঙ্গত, এতদিন এই ১ হাজার ৪৩৩টি পদে নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। আদালতের এই রায়ের জেরে এবার উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিতে ১৪ হাজার ৩৩৯ শূন্যপদেই শুরু হবে কাউন্সেলিং।

    আরও পড়ুুন: ফের অ্যাম্বুলেন্সকে পথ ছেড়ে দিল প্রধানমন্ত্রীর কনভয়, ভাইরাল মোদির ‘কীর্তি’

    পার্শ্বশিক্ষকদের তরফে এদিন আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী সৌমিক প্রামাণিক। তিনি বলেন, “পার্শ্বশিক্ষকদের নিয়োগ হয় জেলা প্রজেক্ট অফিসারের মাধ্যমে। তাই তাঁদের নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার সুযোগ কম। তাঁদের নিয়মিত ক্লাস করতে হয়। পরীক্ষা নেওয়া ও খাতা দেখার কাজও করতে হয় তাঁদের।” এ সংক্রান্ত নথি আদালতে জমা দেন সৌমিক। আদালত সাফ জানিয়েছে, সর্বশিক্ষা মিশনের অন্তর্গত স্পেশাল এডুকেটর, সম্প্রসারক, সম্প্রসারিকা সহ সমগোত্রীয়রা যেহেতু এমন কোনও নথি দিতে পারেননি, তাই তাঁদের দায়ের করা সব মামলা খারিজ করে দিয়েছে আদালত (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • BJP Rally: ধর্মতলায় ‘শাহি’ সমাবেশ নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির দুয়ারে রাজ্য

    BJP Rally: ধর্মতলায় ‘শাহি’ সমাবেশ নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির দুয়ারে রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সভার অনুমতি দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তাঁর সেই রায়ের বিরুদ্ধে এবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দুয়ারে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। স্বাভাবিকভাবেই অনিশ্চিত হয়ে পড়ল ২৯ নভেম্বর ধর্মতলায় বিজেপির ‘শাহি’ সমাবেশ (BJP Rally)।

    হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য 

    ফি বার একুশে জুলাই ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে সভা করে তৃণমূল। ওই একই জায়গায় ২৯ নভেম্বর সভা করার অনুমতি চেয়ে কলকাতা পুলিশের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। সভায় উপস্থিত থাকার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। সভার অনুমতি না পেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। আদালতে কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছিল, কম্পিউটার জেনারেটেড মাধ্যমে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় আবেদন বাতিল হয়ে গিয়েছে। পর্যবেক্ষণে আদালত জানায়, মামলাকারীর সভার জন্য নিয়ম অনুযায়ী দু সপ্তাহ আগে আবেদন করেছেন। তাহলে কেন কম্পিউটার জেনারেটেড বিষয়টি সামনে আনা হচ্ছে এবং তাদেরকে মেনে চলতে বলা হচ্ছে? আদালতের কাছে এটা পরিষ্কার যে, পুলিশ ওই আবেদনকে গুরুত্ব দেয়নি। আগেই সিদ্ধান্ত নিয়ে কম্পিউটারের এই ত্রুটি তৈরি করা হয়েছে। যাতে মামলাকারী কোনও আবেদন করলেই তা খারিজ হয়ে যায়। এর পরেই বিজেপিকে (BJP Rally) সভার অনুমতি দেয় আদালত।

    বিচারপতি মান্থার রায় 

    বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা রায় দিতে গিয়ে বলেন, “স্বাধীন দেশে যে কেউ যে কোনও জায়গায় যেতে পারেন। কারণ না জানিয়ে সভার অনুমতি বাতিল করার উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ জাগছে। বিচারপতি মান্থার এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার। রাজ্যকে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। দ্রুত শুনানি হতে পারে এই মামলার।

    প্রসঙ্গত, ধর্মতলায় বিজেপির ওই সভার অনুমতি চেয়ে ১৮ অক্টোবর কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট কমিশনারের কাছে আবেদন করেছিলেন বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। সেখানে সভার তারিখ উল্লেখ করা হয়েছিল ২৮ নভেম্বর। তারিখটি খারিজ হয়ে যাওয়ায় সভার জন্য চাওয়া হয় ২৯ নভেম্বর। সেই দিনটিও খারিজ হয়ে যায়। আদালতের দ্বারস্থ হয় পদ্মশিবির (BJP Rally)।

    আরও পড়ুুন: আগেই উদ্বেগ প্রকাশ মোদির, ডিপফেক নিয়ে মেটা, গুগলকে ডেকে পাঠাচ্ছে কেন্দ্র

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share