Tag: Canada

Canada

  • Mark Carney: সরকার ভেঙে দিলেন কানাডার নয়া প্রধানমন্ত্রী কার্নে, কারণ কী জানেন?

    Mark Carney: সরকার ভেঙে দিলেন কানাডার নয়া প্রধানমন্ত্রী কার্নে, কারণ কী জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শপথ গ্রহণ করেছিলেন ১৪ মার্চ। তার ঠিক ন’দিনের মাথায় সরকার ভেঙে দিলেন কানাডার (Canada) নয়া প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নে (Mark Carney)। কার্নের আগে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন লিবারেল পার্টির জাস্টিন ট্রুডো। ভারতের সঙ্গে বিবাদে জড়ানোর পর ঘরে-বাইরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন ট্রুডো। ট্রুডোর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন লিবারেল পার্টরই অনেক সাংসদ। শেষমেশ একপ্রকার বাধ্য হয়েই প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন ট্রুডো।

    ২৮ এপ্রিল দেশে সাধারণ নির্বাচন (Mark Carney)

    লিবারেল পার্টির তরফে প্রধানমন্ত্রী পদে বসানো হয় কার্নেকে। সেই কার্নেই পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে অনুরোধ করেন গভর্নর জেনারেলের কাছে। অনুরোধ করেন ২৮ এপ্রিল দেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে। সেই মতো ওই দিনই হচ্ছে কানাডার নির্বাচন। এই নির্বাচনের মাধ্যমেই নয়া সরকার বেছে নেবেন কানাডাবাসী। কার্নে জানান, প্রতিবেশী আমেরিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে কানাডার নাগরিকদের জন্য সময় আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। ট্রাম্প অনবরত শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়ে কানাডাকে চাপে রাখতে চাইছেন। শক্ত হাতে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা দরকার। কার্নে চান, এই কঠিন সময়ে দেশকে কে নেতৃত্ব দেবেন, সেই সিদ্ধান্ত নিন কানাডাবাসীই। সেই কারণেই সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের ডাক দিয়েছেন কার্নে।

    কী লিখেছেন কার্নে?

    রবিবার রাতে সমাজ মাধ্যমে কার্নে লিখেছেন, “আমি এই মাত্র গভর্নর জেনারেলকে বললাম পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে এবং আগামী ২৮ এপ্রিল সাধারণ নির্বাচন ঘোষণা করতে। তিনি রাজি হয়েছেন। জি৭-এ আমাদের কানাডাকে সব চেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতি করে তুলতে হবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুল্কনীতির বিরুদ্ধে লড়তে হবে। দেশের জন্য এই পরিশ্রম কে বা কারা করবেন, তা ঠিক করার অধিকার কানাডার মানুষেরই। তাঁরা সেই অধিকারের দাবিদার।” তিনি বলেন, “কানাডাকে সুরক্ষিত করে তোলার জন্য অনেক কাজ বাকি আছে। এখানে বিনিয়োগ করতে হবে, কানাডাকে নতুন করে গড়ে তুলতে হবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অনৈতিক শুল্ক হুঁশিয়ারির মুখে কানাডায় যে সঙ্কট নেমে এসেছে, তার মোকাবিলা করতে হবে। সেই কারণেই আমি জনগণের কাছ থেকে এ বিষয়ে কঠোর আদেশ চাইছি।”

    ঘুরে যায় হাওয়া

    কানাডায় নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল চলতি বছরের অক্টোবরে। নানা সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ট্রুডোর আমলে লিবারেল পার্টির থেকে কনজারভেটিভরা কিছুটা এগিয়ে গিয়েছেন। এর পরেই শুরু হয় ট্রুডোকে সরানোর তোড়জোড় (Canada)। নয়া প্রধানমন্ত্রী পদে বসানো হয় কার্নেকে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রুডোকে সরানোর পর থেকেই ঘুরে যায় হাওয়া। সেই হাওয়াকে স্ব-দলের নৌকার পালে লাগাতে চাইছেন কার্নে। সেই কারণেই অকাল নির্বাচন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে বসতেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের তরফে কানাডার প্রতি বড়সড় হুমকি উঠে এসেছে। ট্রাম্পের সেই হুমকি প্রসঙ্গে কার্নে বলেন, “তিনি (ট্রাম্প) আমাদের ভেঙে ফেলতে চান, যাতে আমেরিকা আমাদের মালিকানা নেয়, আমরা কখনওই তা হতে দেব না।” তিনি আগেই বলেছিলেন, “ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য আমার নয়া জনমতের প্রয়োজন।”

    জনপ্রিয়তায় এগিয়ে কার্নে

    কার্নে (Mark Carney) জনপ্রিয়তায় এগিয়ে যান মধ্যবিত্ত শ্রেণির কর কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে। তাঁর পূর্বসূরী ট্রুডোর ঘোষিত বেশ কিছু পদক্ষেপের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করেন তিনি। এর মধ্যে ছিল কার্বন কর বাতিল এবং মূলধন লাভ বৃদ্ধি। শনিবারই লিবারেল পার্টি ঘোষণা করেছিল, কার্নে জাতীয় রাজধানী অটোয়ার শহরতলির অন্টারিওর নেপিয়ান আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। লিবারেল পার্টির তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমরা আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে আমাদের নেতা মার্ক কার্নে, আগামী নির্বাচনে নেপিয়ানের জন্য আমাদের প্রার্থী হবে। সেখানে আরও বলা হয়েছে, অটোয়া ছিল সেই জায়গা যেখানে কার্নে তাঁর পরিবারকে লালন-পালন করেছিলেন, জনসেবায় উৎসর্গ করেছিলেন তাঁর কর্মজীবন এবং সর্বদা তাঁর সম্প্রদায়কে রিটার্ন দিয়েছিলেন (Mark Carney)।”

    কী বলেছিলেন কার্নে

    ন’দিন আগে (Canada) কার্নে যখন নয়া প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন তার কিছু দিন আগে থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে কানাডার। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পরেই কার্নে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক নিয়ে কথা বলেন। কানাডার পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপকে নিজেদের জীবনের সব চেয়ে বড় সঙ্কট হিসেবে অভিহিত করেন কার্নে। সেদিন তিনি বলেছিলেন, “আমরা এই (বাণিজ্য) লড়াই চাইনি। কিন্তু কানাডিয়ানরা সব সময় প্রস্তুত থাকে যখন কেউ তার হাতের গ্লাভস ফেলে দেয়। তো মার্কিনিদের কোনও ভুল করা উচিত নয়।” তিনি বলেন, “হকি খেলার মতো বাণিজ্য (Canada) লড়াইয়েও কানাডা জিতবে (Mark Carney)।”

  • Canada: কানাডার নয়া মন্ত্রিসভায়ও জয়জয়কার ভারতীয় বংশোদ্ভুতদের

    Canada: কানাডার নয়া মন্ত্রিসভায়ও জয়জয়কার ভারতীয় বংশোদ্ভুতদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডার (Canada) নয়া মন্ত্রিসভায়ও জয়জয়কার ভারতীয় বংশোদ্ভুতদের (Indian Origin Ministers)। জাস্টিন ট্রুডো সরকারের পতনের পর কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদে বসেছেন মার্ক কার্ন। তাঁর মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছেন বছর চল্লিশের অনিতা আনন্দ ও বছর ছত্রিশের কমল খেরা। কমল হয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। অনিতা হয়েছেন উদ্ভাবন, বিজ্ঞান ও শিল্পমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, ট্রুডোর মন্ত্রিসভায়ও ছিলেন এই দুই ভারতীয় বংশোদ্ভুত।

    নয়া মন্ত্রিসভায় দিল্লির কমল (Canada)

    কমলের জন্ম দিল্লিতে। স্কুলে পড়ার সময়ই তিনি চলে যান কানাডায়। টরেন্টোর ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন বিজ্ঞানে। ২০১৫ সালে প্রথমবার ব্রাম্পটন ওয়েস্ট থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন কমলা। কানাডার প্রধানমন্ত্রীর ওয়েবসাইটে কমলের বিষয়ে লেখা হয়েছে, তিনি পেশায় নার্স ছিলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এক্স হ্যান্ডেলে কমল লিখেছেন, “নার্স হিসেবে আমি সব সময় রোগীদের পাশে থাকার চেষ্টা করতাম। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবেও তা-ই করে যাব। আমার ওপর আস্থা রাখার জন্য মার্ক কার্নেকে ধন্যবাদ।”

    রাজনীতিতে আসার আগে টরেন্টোর সেন্ট জোসেফ হেল্থ সেন্টারের অঙ্কোলজি বিভাগের নার্স ছিলেন কমল। অতিমারির সময় তিনি ফের তুলে নেন স্বাস্থ্য সেবাদানের দায়িত্ব (Canada)। ব্রাম্পটনের এক হাসপাতালে নার্স হিসেবে কাজে যোগ দেন তিনি। ট্রুডো মন্ত্রিসভায় কানাডার অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন মন্ত্রক, স্বাস্থ্যমন্ত্রক ও জাতীয় রাজস্ব মন্ত্রকের পার্লামেন্টারি সচিব ছিলেন কমল। এবার তিনি স্বাধীনভাবে সামলাবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দায়িত্ব।

    অনিতার জন্মই কানাডায়

    কার্নের মন্ত্রিসভার আর এক ভারতীয় বংশোদ্ভুত অনিতার জন্মই কানাডায়। ১৯৮৫ সালে তাঁর পরিবার চলে যান কানাডায়। নোভা স্কটিয়ায় জন্মেছিলেন অনিতা। ট্রুডোর পরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন তিনিই। পেশায় আইনজীবী অনিতা নয়া মন্ত্রিসভায় সামলাবেন উদ্ভাবন, বিজ্ঞান ও শিল্পমন্ত্রকের দায়িত্ব। মন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগের অধ্যাপক হিসেবেও কাজ করেছেন। ২০১৯ সালে প্রথমবার সাংসদ নির্বাচিত হন। জাতীয় প্রতিরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্বও সামলেছেন তিনি। এক্স হ্যান্ডেলে অনিতা লিখেছেন, “নয়া মন্ত্রক পেয়ে আমি গর্বিত। নেতিবাচক মনোভাব নিয়ে কিছু ভালো করা যাবে না।” বরং (Indian Origin Ministers) ঐক্যবদ্ধ হয়ে কানাডা ও কানাডার অর্থনীতিকে মজবুত করার ডাক দিয়েছেন তিনি (Canada)।

  • Mark Carney: ‘‘যদি প্রধানমন্ত্রী হই…’’, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বড় বার্তা ট্রুডোর উত্তরসূরি মার্ক কার্নির

    Mark Carney: ‘‘যদি প্রধানমন্ত্রী হই…’’, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বড় বার্তা ট্রুডোর উত্তরসূরি মার্ক কার্নির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কার মার্ক কার্নি (Mark Carney) বসছেন কানাডার মসনদে (Canada PM)। সে দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন তিনি। চলতি বছরের শুরুতেই অর্থাৎ জানুয়ারিতে জাস্টিন ট্রুডো প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর থেকেই শুরু হয় জল্পনা। কে হবেন কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী! সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটল রবিবার। এদিন লিবারেল পার্টির নেতা হিসাবে মার্ক কার্নিকে (Canada PM) বেছে নেওয়া হয়েছে। ট্রুডোর উত্তরসূরী হিসেবে তাঁর নাম মনোনীত হওয়ার পর প্রথম ভাষণে কার্নি জানান, আগামী ভোটে জিতে তিনি ক্ষমতায় এলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতি করবেন তিনি। প্রসঙ্গত, কানাডার আগামী সাধারণ নির্বাচনে লিবারেল পার্টিকে তিনিই নেতৃত্ব দেবেন। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই কানাডার সাধারণ নির্বাচন ঘোষণা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    ভারতকে পাশে টানার বার্তা কার্নির

    ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হওয়ার আগে কার্নির মুখে শোনা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা। সম্প্রতি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরেই শুল্ক সংক্রান্ত মার্কিন নীতির পরিবর্তন করেন তিনি। ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের হুমকির বিষয়ে কার্নি বলেন, ‘‘আমরা তাঁকে (ট্রাম্প) সফল হতে দিতে পারি না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যতক্ষণ না মুক্ত ও ন্যায্য বাণিজ্যের বিশ্বাসযোগ্য ও নির্ভরযোগ্য প্রতিশ্রুতি দিতে পারছে, যতক্ষণ না তারা কানাডার সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত পাল্টা ব্যবস্থা (শুল্ক) বহাল থাকবে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আমেরিকা কানাডা নয়। কানাডা কোনওভাবেই আমেরিকার অংশ হবে না।’’  অন্যদিকে, এক প্রশ্নের ভারতকে কাছে টানার বার্তা দিয়ে কার্নি বলেন, “কানাডার লক্ষ্য হল সমমনস্ক দেশগুলির সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে উন্নত করা।” এই আবহে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামত করার সুযোগও রয়েছে বলে জানান তিনি। কার্নি বলেন, ‘‘যদি প্রধানমন্ত্রী হই, তাহলে (ভারত-কানাডা সম্পর্ক) নতুন করে গঠন করার সুযোগের অপেক্ষায় থাকব।’’

    দলের মধ্যেই ৮৬ শতাংশ ভোট পান কার্নি (Mark Carney)

    যদিও এর আগে কার্নিকে অনেক কঠিন পরীক্ষার মধ্য দিয়েই যেতে হয়। লিবারেল পার্টির নেতা কে হবেন সেই সংক্রান্ত ভোটাভুটি হয়। লিবারেল পার্টির নেতা হিসেবে প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের নাম ভাসছিল। কিন্তু ভোটাভুটিতে মাত্র আট শতাংশই ভোট পেয়েছেন তিনি। অন্যদিকে ৫৯ বছর বয়সি, প্রাক্তন এই ব্যাঙ্কার মার্ক কার্নি প্রায় ৮৬ শতাংশ ভোট পেয়ে হারিয়ে দিয়েছেন ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডকে।জানা গিয়েছে, লিবারেল পার্টির নেতা হওয়ার দৌড়ে মার্ক কার্নির ঝুলিতে এসেছে ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৭৪ ভোট। এই পরিমাণ ভোট মোট ভোটের প্রায় ৮৫.৯ শতাংশ বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড পেয়েছেন মাত্র ১১ হাজার ১৩৪ ভোট। এছাড়া কারিনা গোল্ড পেয়েছেন ৪ হাজার ৭৮৫ ভোট এবং ফ্রাঙ্ক বেলিস পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৮ ভোট। ব্যবধানেই বোঝা যাচ্ছে পার্টির অন্দরে বিপুল জনপ্রিয়তা রয়েছে তাঁর।

    কার্নির সংক্ষিপ্ত পরিচয় (Mark Carney)

    কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর ছিলেন কার্নি (Mark Carney)। জানা যায়, এর আগে কখনও কোনও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি তিনি। ১৯৬৫ সালে তিনি ফোর্ট স্মিথে জন্মগ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে পড়াশোনা করেন হার্ভার্ডে। ২০০৩ সালে তিনি ব্যাঙ্ক অফ কানাডায় ডেপুটি গভর্নর হিসেবে কাজে যোগদান করেন। ২০০৮ সালে গভর্নর হিসেবে পদোন্নতি হয়। ২০০৮-২০০৯ সালে কানাডা যখন আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল, সেসময় তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের নেতৃত্ব দেন। ২০১৩ সালে, কার্নি ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ডের গর্ভনর হন। প্রায় ৩০০ বছর এমন ঘটনা ঘটে, যখন কোনও ব্রিটিশ নাগরিক নন, এমন ব্যক্তি গভর্নর হন। ২০২০ সালে ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ড থেকে অবসর নেওয়ার পরে অর্থ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক রাষ্ট্রসংঘের দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জানা যায়, মার্ক কার্নির বাবা ১৯৮০-এর দশকে আলবার্টায় লিবারেল প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। নিজের ভাষণে একথাও উল্লেখ করেন কার্নি।

    ট্রুডোর গ্রহণযোগ্যতা তলানিতে ঠেকেছিল

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত প্রায় ৯ বছর ধরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন জাস্টিন ট্রুডো। সম্প্রতি একাধিক ইস্যুতে দেশেই তাঁর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। ট্রুডোর জনপ্রিয়তাও একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছিল। খালিস্তান ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে সংঘাতের পথে হেঁটে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলেন। ট্রুডোকে নিয়ে লিবেরাল পার্টির অন্দরের নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এখন দায়িত্ব পেলেন কার্নি (Mark Carney)। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন মার্ক কার্নির সামনে বর্তমানে অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জ রয়েছে।

  • Canada: ট্রুডোর পরে এবার লিবারেল পার্টির রাশ ধরছেন মার্ক কার্নি!

    Canada: ট্রুডোর পরে এবার লিবারেল পার্টির রাশ ধরছেন মার্ক কার্নি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হয়েছিল দলের অন্দরেই। ঘরে-বাইরে চাপের চোটে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন কানাডার (Canada) প্রধানমন্ত্রী লিবারেল পার্টির (Liberal Party) নেতা জাস্টিন ট্রুডো। তবে যেহেতু এখনও নেতা নির্বাচিত হয়নি, তাই তিনিই চালাচ্ছেন দেশ।

    নেতা বদলের কারণ (Canada)

    জানা গিয়েছে, এবার লিবারেল পার্টির রাশ ধরতে চলেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় ব্যাংকার মার্ক কার্নি। আগামী রবিবার তিনি দলের রাশ হাতে নিতে পারেন। নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর তিনিই হবেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, চলতি বছরই রয়েছে কানাডার সাধারণ নির্বাচন। ট্রুডোকে সামনে রেখে নির্বাচনে যেতে চাইছিলেন না তাঁর দলের নেতারা। সেই কারণেই প্রয়োজন ছিল নেতা বদলের।

    সমীক্ষায় ইঙ্গিত

    মেইনস্ট্রিট রিসার্চের লিবারেল পার্টির ভোটারদের সমীক্ষায় ইঙ্গিত, কার্নি প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডকে পরাজিত করবেন (Canada)। ওই সমীক্ষা অনুযায়ী, কার্নি পেয়েছেন ৪৩ শতাংশের সমর্থন, আর ফ্রিল্যান্ডের ঝুলিতে পড়েছে মাত্র ৩১ শতাংশের সমর্থন। কার্নি ইতিমধ্যেই ট্রুডোর সঙ্গে দূরত্ব রচনা করতে শুরু করেছেন। গত মঙ্গলবার তিনি মন্ট্রিয়লে নেতৃত্ব প্রতিযোগিতার ইংরেজি ভাষার বিতর্কে তিনি বলেন, “আমাদের অর্থনীতি দুর্বল ছিল। এর আগেই আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই হুমকিগুলির মুখোমুখি হয়েছি।” তাঁর নির্বাচনী ইস্তাহারে ট্রুডোর বিভিন্ন নীতির সমালোচনা করা হয়েছে। কার্নির ইস্তাহারে বলা হয়েছে, অনেক কানাডিয়ান, বিশেষ করে তরুণ কানাডিয়ানরা মহামারি ও জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্কটে বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে – যা আরও খারাপ হয়েছে অভিবাসনের উল্লম্ফন ও সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসনের ঘাটতির কারণে।

    কার্নি নিজেকে বারবার ‘আউটসাইডার’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। যদিও গত বছর প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো তাঁকে অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “আমি পেশাদার রাজনীতিবিদ নই। আমি একজন বাস্তববাদী, যিনি কাজ সম্পন্ন করেন।” প্রসঙ্গত, ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত কানাডার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন (Liberal Party) কার্নি। ২০১৩ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ব্রিটেনের কনজারভেটিভ সরকারের অধীনে ইংল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন (Canada)।

  • Christian Evangelist: ট্যুরিস্ট ভিসার মেয়াদে অসমে এসে ধর্মান্তকরণ, কানাডার নাগরিককে বহিষ্কার

    Christian Evangelist: ট্যুরিস্ট ভিসার মেয়াদে অসমে এসে ধর্মান্তকরণ, কানাডার নাগরিককে বহিষ্কার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল আগেই। তার পরেও অসমে (Assam) খ্রিস্টধর্ম প্রচার করে চলেছিলেন তিনি (Christian Evangelist)। ব্র্যান্ডন জোয়েল ডেভল্ট নামের ওই কানাডিয়ান নাগরিককে ফেরত পাঠানো হল তাঁর নিজের দেশে।

    ট্যুরিস্ট ভিসায় অসমে (Christian Evangelist)

    ডেভল্ট ট্যুরিস্ট ভিসায় অসমে এসেছিলেন। চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি তাঁর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। ৫ ফেব্রুয়ারি জোরহাটে আটক করা হয় তাঁকে। এর পরেই শুরু হয় তদন্ত। জোরহাট পুলিশ বিদেশিদের আঞ্চলিক নিবন্ধন অফিসের সঙ্গে যৌথভাবে তদন্ত করে। জোড়হাটের এসপি শ্বেতাঙ্ক মিশ্র বলেন, “ডেভল্ট জোড়হাটের গ্রেস চার্চের অধীনে ধর্মান্তরিতকরণের কাজে জড়িত ছিলেন। ৪ ফেব্রুয়ারি, আমরা জানতে পারি যে কানাডার এক নাগরিক, ব্র্যান্ডন জোয়েল ডেভল্ট, যিনি ট্যুরিস্ট ভিসায় ভারতে এসেছিলেন, তিনি জোরহাটে ধর্মপ্রচার করছিলেন।” তিনি বলেন, “তদন্তে জানা যায় যে, তিনি ধর্মান্তরিতকরণের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। জোড়হাট শহরের বরভেটা এলাকার জেল রোডে অবস্থিত গ্রেস চার্চ থেকে তিনি ধর্মপ্রচার করছিলেন।” জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি তাঁর ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছিলেন। তখনই কর্তৃপক্ষ তাঁর ধর্মপ্রচারমূলক কর্মকাণ্ডের কথা জানতে পারেন।

    ইউটিউব চ্যানেল

    ব্র্যান্ডন জোয়েল ডেভল্ট ধর্মান্তরের জন্য একটি ইউটিউব চ্যানেলও চালাচ্ছিলেন। এসপি জানান, ডেভল্ট স্থানীয়দের খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত করতে ওই ইউটিউব চ্যানেল (Christian Evangelist) চালাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, “স্থানীয়দের তাঁর ধর্মে ধর্মান্তরিত করার জন্য তিনি একটি ইউটিউব চ্যানেল চালাচ্ছিলেন। ইউটিউব চ্যানেলটি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। আমরা তাঁর বিরুদ্ধে প্রমাণ পেয়েছি। সেই মতো ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।” প্রসঙ্গত, ভারতীয় ট্যুরিস্ট ভিসা বিদেশিদের ধর্মান্তকরণ বা মিশনারি কাজে জড়িত থাকার অনুমতি দেয় না।

    ডেভল্টের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি এফআরআরও কলকাতাকে জানানো হয়। তারা তাঁকে ‘ভারত ছেড়ে যাওয়ার’ নোটিশ জারি করে। জোরহাট পুলিশ তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাঁকে তুলে দেওয়া হয় টরেন্টোর ফ্লাইটে। এসপি জানান, সম্পূর্ণ বহিষ্কার প্রক্রিয়াটি যথাযথ প্রোটোকল মেনে করা হয়েছে। এজন্য একাধিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় সাধন করা হয়েছিল।

    ২০২২ সালে অসম থেকে সাতজন জার্মান নাগরিক এবং তিনজন সুইডিশ নাগরিককে বহিষ্কার করা হয়েছিল (Assam)। তাঁরাও ট্যুরিস্ট ভিসায় ভারতে প্রবেশ করে ধর্মান্তরকরণে যুক্ত ছিলেন (Christian Evangelist)।

  • Justin Trudeau: মুখ পুড়ল ট্রুডোর! নিজ্জর হত্যায় ভারত-যোগের প্রমাণ নেই, বলছে কানাডার রিপোর্টই

    Justin Trudeau: মুখ পুড়ল ট্রুডোর! নিজ্জর হত্যায় ভারত-যোগের প্রমাণ নেই, বলছে কানাডার রিপোর্টই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্দিষ্ট কোনও প্রমাণ ছাড়াই নিজ্জর খুনে ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। এবার নিজের দেশের রিপোর্টেই জানা গেল ট্রুডোর দাবি ভিত্তিহীন। স্বাভাবিকভাবেই মুখ পুড়ল কানাডিয়ান প্রধানমন্ত্রীর। কানাডার রিপোর্টেই সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নিজ্জর হত্যায় (Nijjars Killing) কোনও বিদেশি রাষ্ট্রের যোগের নির্দিষ্ট প্রমাণ নেই।

    নিজ্জর খুনে কানাডার অভিযোগ (Justin Trudeau)

    ২০২৩ সালের ১৮ জুন কানাডার সারেতে একটি গুরুদ্বারের বাইরে খুন হন খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং পুরী নিজ্জর। ওই ঘটনায় ভারতীয় এজেন্টের হাত রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন ট্রুডো। কেবল দাবি করাই নয়, কানাডার সংসদেও এমন দাবি করেছিলেন তিনি। কানাডার প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ পত্রপাঠ খারিজ করেছিল ভারত। নয়াদিল্লি সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, নিজ্জর খুনে ভারতের কোনও হাত নেই। এবার কানাডা কমিশনের নয়া রিপোর্টেও জানিয়ে দেওয়া হল, খালিস্তানপন্থী নেতা নিজ্জর খুনে ভারতের হাতই নেই। মঙ্গলবার ‘পাবলিক ইনকোয়ারি ইনটু ফরেন ইন্টারফেয়ারেন্স ইন ফেডারেল ইলেক্টোরাল প্রসেসেস অ্যান্ড ডেমোক্র্যাটিক ইনস্টিটিউশনস’ শীর্ষক রিপোর্টেই এ কথা জানানো হয়েছে।

    ভারত-কানাডা সম্পর্কের অবনতি

    খালিস্তানপন্থী নেতা নিজ্জর খুনের জেরে ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে ছ’জন ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করে কানাডা। পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে ভারতও বহিষ্কার করে কানাডার ছ’জন কূটনীতিককে। নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের জেরে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভারত-কানাডার সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। পরবর্তীকালে দুই দেশের সম্পর্কের আরও অবনতি হয়। ১২৩ পাতার ওই রিপোর্টে কমিশনার মেরি জোসি হোগ বলেন (Justin Trudeau), “বিভ্রান্তিমূলক তথ্যকে এখানে একটি প্রতিশোধমূলক কৌশল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, যা রাষ্ট্রের স্বার্থের পরিপন্থী সিদ্ধান্তগুলির জন্য হুমকির কারণ হতে পারে।” অর্থাৎ ভারতের বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে কমিশনের রিপোর্টে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যায় সন্দেহভাজন ভারতীয় জড়িত থাকার বিষয়ে কানাডার সংসদে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের পরে পাল্টা ভারতের তরফে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার করা হয়েছে। তবে রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে বিদেশের যোগ নেই (Nijjars Killing)।

    কী বলছে কমিশনের রিপোর্ট

    জানা গিয়েছে, কানাডার নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং সে দেশের গণতান্ত্রিক সংগঠনগুলির ওপর বিদেশিদের হস্তক্ষেপ নিয়ে তদন্ত করছিল ওই কমিশন। সেই কমিশনের রিপোর্টেই বলা হয়েছে, নিজ্জর খুনে কোনও বিদেশি রাষ্ট্রের ভূমিকা রয়েছে বলে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অথচ কানাডার প্রধানমন্ত্রী ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলার পরে পরেই গত মে মাসে নিজ্জর খুনের অভিযোগে চারজন ভারতীয় এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে গ্রেফতার করে কানাডা পুলিশ। চলতি মাসেই জামিন পান তাঁরা। এঁরা হলেন করণ ব্রার, আমনদীপ সিং, কমলপ্রীত সিং এবং করণপ্রীত সিং। অবশ্য জামিন মিললেও, জেলমুক্তি হয়নি তাঁদের। জানা গিয়েছে, পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত বন্দিদশা ঘুঁচবে না ওই চার অভিযুক্তের (Justin Trudeau)। ঘরে-বাইরে অসন্তোষের জেরে ইতিমধ্যেই কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন ট্রুডো। তবে এখনও কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এমতাবস্থায় প্রকাশ্যে এল কমিশনের রিপোর্ট। যে রিপোর্টের জেরে আদতে মুখ পুড়ল স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর।

    উপযুক্ত জবাব দিয়েছিল ভারতের বিদেশমন্ত্রক

    গত অক্টোবরেই কানাডা সরকার অভিযোগ করেছিল, বিচ্ছিন্নতাবাদী খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরকে খুনের ঘটনায় ভারত জড়িত। কিন্তু বুধবার সে দেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানান, এই বিষয়ে তাঁদের কাছে কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই। আছে কেবল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রাপ্ত কিছু ধারণা। সেই সব সম্ভাবনার কথা ভারতকে জানানো হয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন ট্রুডো। ট্রুডোর ওই স্বীকারোক্তির পরে পরেই বিবৃতি দেয় বিদেশমন্ত্রক। কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে তোপ (Nijjars Killing) দেগে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মন্ত্রক জানায়, তারা যা বলে আসছিল, তা-ই অবশেষে সত্যি হল (Justin Trudeau)। সেই সময় বিদেশমন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল (Justin Trudeau), অভিযোগের প্রেক্ষিতে কানাডা আমাদের কাছে কোনও প্রমাণ দেয়নি। তার পরেই কানাডার প্রধানমন্ত্রীর রুক্ষ আচরণের নিন্দা করে নয়াদিল্লির তরফে বলা হয়, ভারত-কানাডা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে যে প্রভাব পড়েছে, তার দায় কেবল ট্রুডোর।

    নিজ্জরকে সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা

    ২০২০ সালে খালিস্তানপন্থী নেতা নিজ্জরকে সন্ত্রাসবাদী বলে ঘোষণা করে ভারত। এর ঠিক তিন বছর পর খুন হন খালিস্তানপন্থী ওই নেতা। তার পরেই ভারতকে কাঠগড়ায় তোলেন ট্রুডো স্বয়ং। কানাডার প্রধানমন্ত্রীর এহেন অভিযোগের ভিত্তিতে দলের মধ্যেই সমালোচনার শিকার হন ট্রুডো। তিনি যতই ভারতকে নিশানা করেছেন, ততই তাঁর দলের মধ্যেই মাথাচাড়া দিয়েছে বিদ্রোহ। যার জেরে তাঁকে সরতে হয় প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে। চলতি বছরের শেষের দিকে কানাডায় সাধারণ নির্বাচন। এই নির্বাচনে ট্রুডোকে সামনে রেখে লড়তে রাজি নয় তাঁর দল। সেটাও ট্রুডোকে সরিয়ে দেওয়ার একটা বড় কারণ। এমতাবস্থায় ট্রুডোর মুখোশ খুলে দিল তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট (Nijjars Killing)।

    এর পর ফের প্রার্থী হলে আদৌ জিততে পারবেন তো কানাডার প্রধানমন্ত্রী (Justin Trudeau)?

  • India Canada Relation: কানাডার নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ, পত্রপাট খারিজ করল ভারত

    India Canada Relation: কানাডার নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ, পত্রপাট খারিজ করল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডার সাধারণ নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ ভারতের বিরুদ্ধে (India Canada Relation)। খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকে কেন্দ্র করে এমনিতেই ভারত-কানাডা সম্পর্ক তলানিতে (Election Meddling)। তার পর এমনতর অভিযোগ করায় কানাডাকে মোক্ষম জবাব দিল ভারত।

    কানাডার দাবি (India Canada Relation)

    কানাডার বিদেশি হস্তক্ষেপ কমিশনের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, কানাডার নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপ কমিশন একটি রিপোর্টে দাবি করেছে, কানাডার নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপের নিরিখে চিনের পরেই সব চেয়ে সক্রিয় দেশ হল ভারত। সেই অভিযোগ খারিজ করে দিল নয়াদিল্লি।

    পাল্টা দাবি ভারতের

    ভারতের পাল্টা দাবি, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে কানাডা। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা একটি রিপোর্টে দেখেছি যেখানে ভারতের হস্তক্ষেপের অভিযোগ তোলা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে কানাডাই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে লাগাতার হস্তক্ষেপ করছে। অবৈধ অভিবাসন এবং সংগঠিত অপরাধের পরিবেশ তৈরি করছে।’ ওই রিপোর্টে ‘ভারতের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ খারিজ করছি। আশা করছি, অবৈধ অভিবাসনে উৎসাহ দেওয়া বন্ধ হবে।’

    প্রসঙ্গত, কানাডিয়ান কমিশন ১২৩-পৃষ্ঠার রিপোর্টে উল্লেখ করেছে যে চিনের পর ভারত কানাডার নির্বাচনে হস্তক্ষেপের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সর্বাধিক জড়িত দেশ। রিপোর্টে বলা হয়েছে, “ভারত কানাডায় নির্বাচনী বিদেশি হস্তক্ষেপের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সর্বাধিক সক্রিয় দেশ। গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের মতো, ভারতও বিশ্ব মঞ্চে একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। কানাডা এবং ভারত কয়েক দশক ধরে একসঙ্গে কাজ করেছে, তবে এই সম্পর্কের কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলো দীর্ঘদিনের এবং এগুলো ভারতের বিদেশি হস্তক্ষেপ কার্যকলাপকে প্রভাবিত করে (India Canada Relation)।”

    গত মে মাসে প্রাথমিক রিপোর্টে চিনকে নিশানা করেছিল কানাডা। জানিয়েছিল, কানাডার বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে হস্তক্ষেপ করছে চিন। কিন্তু চূড়ান্ত রিপোর্টে তারা জানিয়েছে, কানাডার নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপের বিষয়ে দ্বিতীয় সক্রিয় দেশ ভারত। কানাডার বিদেশি হস্তক্ষেপ কমিশনের নেতৃত্ব দিয়েছেন কমিশনার মারি জোস হগ। তদন্তে তিনি লিখেছেন, ‘চিনের মতো ভারত কূটনৈতিক অফিসার ও প্রক্সি এজেন্টদের (Election Meddling) মাধ্যমে হস্তক্ষেপ করেছে।’ ওই রিপোর্টে রাশিয়া, পাকিস্তান এবং ইরানকেও কানাডায় বিদেশি হস্তক্ষেপের তালিকায় রাখা হয়েছে (India Canada Relation)

  • Chandra Arya: কানাডার প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত চন্দ্র আর্য, মসনদে কি এবার ‘গর্বিত হিন্দু’?

    Chandra Arya: কানাডার প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত চন্দ্র আর্য, মসনদে কি এবার ‘গর্বিত হিন্দু’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম হিন্দু প্রধানমন্ত্রী (Canada PM Race) কি পেতে চলেছে কানাডা? কারণ, জাস্টিন ট্রুডোর ইস্তফার পর তাঁরই দল লিবারেল পার্টির পরিবহণমন্ত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত অনিতা আনন্দের নাম ঘোরাফেরা করছিলই। এবার সেই দৌড়ে অবতীর্ণ হলেন আরও এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত তথা নিজেকে ‘গর্বিত হিন্দু’ বলে পরিচয় দেওয়া চন্দ্র আর্য।

    সম্প্রতি ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান সংসদ সদস্য চন্দ্র আর্য (Chandra Arya) ঘোষণা করেছেন যে, তিনি লিবারেল পার্টির তরফে কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। রাজতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে কানাডাকে সার্বভৌম প্রজাতান্ত্রিক গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন চন্দ্র আর্য। ইতিমধ্যেই কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো। যদিও পরবর্তী কেউ দায়িত্ব না নেওয়া পর্যন্ত তিনিই সবকিছু সামলাবেন।

    চন্দ্রের প্রতিশ্রুতি 

    পেশায় ইঞ্জিনিয়র ও কানাডার নেপিয়ানের সাংসদ চন্দ্র আর্য (Chandra Arya) । ভারতের কর্নাটকে জন্ম তাঁর। বৃহস্পতিবার এক্স পোস্টে তিনি জানান, কানাডাকে সার্বভৌম প্রজাতান্ত্রিক দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চান তিনি। বিবৃতিতে চন্দ্র লেখেন, কানাডাবাসীর কাছে নিজের ভবিষ্যৎ নিজেই রচনা করার সুযোগ এসেছে। চন্দ্রের দাবি, তাঁর মন্ত্রিসভায় সংরক্ষণের ভিত্তিতে নয়, মেধার ভিত্তিতে আসন বণ্টন হবে। তাঁর প্রতিশ্রুতি, তিনি কানাডা পুনর্গঠনের জন্য একটি ‘ছোট এবং আরও দক্ষ’ সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। আরও একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই কানাডিয়ান সাংসদ। তার মধ্যে অন্যতম অবসর গ্রহণের বয়স বাড়ানো। নাগরিকত্বের উপর ভিত্তি করে কর ব্যবস্থার প্রবর্তন ও প্যালেস্তাইনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি। 

    কানাডার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার বার্তা

    ২০১৫ সালে প্রথম সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন চন্দ্র আর্য। প্রজন্মের পর প্রজন্ম কানাডায় বেশকিছু সমস্যা চলে আসছে, যেগুলির সমাধান আজও হয়নি বলে দাবি তাঁর। ক্ষমতায় এলে সেগুলিই আগে নিরসনের ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন চন্দ্র আর্য। কানাডার অর্থনীতিকেও ঘুরে দাঁড় করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংসদ। তাঁর কথায়, “কানাডার মধ্যবিত্তরা জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কাজই করে চলেছে। এমনকী মরণকালেও তাদের দরিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে। কঠোর হলেও সিদ্ধান্ত আমাদের এখনই নিতে হবে। অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে আমার কাছে উপায় রয়েছে। সেগুলি বাস্তবায়ন করতে আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।” কানাডাবাসীর কাছে সমর্থনের জন্য আহ্বানও জানান চন্দ্র আর্য।

    কর্নাটক থেকে কানাডা

    চন্দ্র আর্য (Chandra Arya)  কর্নাটকের সিরা তহশিলের দ্বারলু গ্রাম থেকে উঠে এসেছেন। তিনি ধরওয়াদের কৌশালি ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ থেকে এমবিএ করেন। ভারত থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি অর্জনের পর ২০ বছর আগে তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে কানাডায় চলে যান। রাজনীতিতে প্রবেশের আগে, তিনি প্রযুক্তি ও ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করেছেন। পরে ব্যবসা শুরু করেন। প্রথমে অটোয়ায় একটি দু-কামরার বাড়িতে পরিবার নিয়ে থাকতে শুরু করেন চন্দ্র। প্রথমে একজন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ শুরু করেন, তারপর ছোট ছোট শিল্প প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। পরে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যোগ দেন চন্দ্র। এরপর কানাডায় তিনি একটি ব্যাঙ্কে বিনিয়োগ পরামর্শক হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। রাজনীতিতে আসার আগে, তিনি একটি ছোট প্রযুক্তিগত প্রতিরক্ষা সংস্থার এক্সিকিউটিভ হিসেবে ছয় বছর কাটান। ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো কানাডার পার্লামেন্টে নির্বাচিত হন চন্দ্র। ২০১৯ সালে পুনরায় নির্বাচিত হন তিনি।

    মাতৃভাষা নিয়ে গর্বিত চন্দ্র

    ২০২২ সালে কানাডার সংসদে তাঁর মাতৃভাষা কন্নড়ে বক্তৃতা দেওয়ার সময় চন্দ্র আর্য গর্বের সঙ্গে নিজের সাংস্কৃতিক শিকড়ের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। বলেছিলেন, “আমি কানাডিয়ান পার্লামেন্টে আমার মাতৃভাষা কন্নড় ভাষায় কথা বললাম। এই সুন্দর ভাষার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে এবং প্রায় ৫ কোটি মানুষ এই ভাষায় কথা বলেন। ভারতের বাইরে বিশ্বের কোনও সংসদে এই প্রথম কন্নড় ভাষায় কথা বলা হচ্ছে।” 

    কানাডায় গর্বিত হিন্দু চন্দ্র

    কানাডার হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি তাঁর সমর্থনের কথা বারবার প্রকাশ্যে জানিয়েছেন চন্দ্র আর্য (Chandra Arya)। গতবছর নভেম্বর মাসে, চন্দ্র কানাডার পার্লামেন্টের সামনে একটি গৈরিক পতাকা উত্তোলন করেন, যাতে ‘ওম’ প্রতীক ছিল। তিনি হিন্দু হেরিটেজ মাস উদযাপন করেন এবং কানাডার রাজনৈতিক পরিসরে হিন্দু কানাডিয়ানদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর আহ্বান জানান। কানাডায় একের পর এক হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন চন্দ্র। এরপরই  নিষিদ্ধ খালিস্তানপন্থী সংগঠন ‘শিখস ফর জাস্টিস’ (এসএফজে)-এর প্রধান গুরপতবন্ত সিং পান্নুনের হুমকির মুখে পড়েন তিনি। কানাডায় খালিস্তানি উগ্রবাদের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন চন্দ্র। খালিস্তানি কট্টরপন্থীরা কানাডার বিভিন্ন অংশে ভারতবিরোধী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Donald Trump: যুক্তরাষ্ট্রে মিশবে কানাডা, গ্রিনল্যান্ড! আমেরিকার সীমানা বাড়াতে চান ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প

    Donald Trump: যুক্তরাষ্ট্রে মিশবে কানাডা, গ্রিনল্যান্ড! আমেরিকার সীমানা বাড়াতে চান ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত বাড়ানোর অ্যাজেন্ডা শুরু করে দিলেন আমেরিকার হবু প্রেসিন্ডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ২০ জানুয়ারি ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ট্রাম্প। তার আগেই তিনি শুরু করে দিলেন ‘কাজ’! তাঁর দাবি, কানাডা (Canada) হতে চলেছে আমেরিকার ৫১তম স্টেট (প্রদেশ)। কেবল মুখের কথাই নয়, এ সংক্রান্ত ম্যাপও শেয়ার করে দিয়েছেন ট্রাম্প।

    কানাডা আমেরিকারই! (Donald Trump)

    সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে দুটি ম্যাপ শেয়ার করেছেন ট্রাম্প। একটিতে তিনি দেখিয়েছেন, কানাডা আমেরিকারই অন্তর্গত আর একটি স্টেট। প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেওয়ার পর কানাডা দখলে তিনি অর্থনৈতিক বাহিনী পাঠাবেন বলেও দাবি করেছেন সাংবাদিক সম্মেলনে। তাঁর প্রতিশ্রুতি, তিনি মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করে ‘আমেরিকার উপসাগর’ রাখবেন এবং নেটো মিত্রদের কাছ থেকে অনেক বেশি প্রতিরক্ষা ব্যয় দাবি করবেন। তিনি বলেন, “কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র এক সঙ্গে হলে, সেটা সত্যিই অসাধারণ কিছু হবে।” হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “আপনি যদি সেই কৃত্রিমভাবে আঁকা লাইনটি (মার্কিন-কানাডা সীমান্ত) সরিয়ে দেন এবং দেখেন এটি কেমন দেখায়, তবে এটি জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও অনেক ভালো হবে।” ট্রাম্প কানাডিয়ান পণ্য ও দেশের সামরিক সাহায্যের জন্য আমেরিকার ব্যয়ের তীব্র সমালোচনা করেছেন। বলেন, “ওয়াশিংটন তার থেকে কোনও উপকার পায় না।” এই প্রথম নয়। গতমাসেও কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত করার জোর সওয়াল করেছিলেন ট্রাম্প। এমনকি, তিনি সেই সময়ে ট্রুডোকে ‘কানাডার গভর্নর’ বলেও অভিহিত করেছিলেন।

    পানামা খাল পুনরুদ্ধার!

    প্রেস কনফারেন্সে ট্রাম্প পানামা খাল পুনরুদ্ধার ও ডেনমার্ক থেকে গ্রিনল্যান্ড অধিকার করার কথাও (Canada) বলেন। সীমান্ত বাড়ানোর অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়টিও উড়িয়ে দেননি তিনি। হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্যই আমাদের প্রয়োজন মধ্য আমেরিকার বাণিজ্য পথ এবং ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল অধিকার করা। পানামা খাল আমাদের সামরিক উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল।” প্রসঙ্গত, নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরেই ট্রাম্প (Donald Trump) পানামা খাল সংযুক্ত করার ইচ্ছে পুনর্ব্যক্ত করেছিলেন। পানামা খাল দিয়ে যাওয়া মার্কিন জাহাজগুলি থেকে অন্যায়ভাবে ফি আদায় করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন তিনি। ট্রাম্প জানান, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার মাঝখান দিয়ে প্রশান্ত ও আটলান্টিক মহাসাগরকে যুক্ত করা এই গুরুত্বপূর্ণ খালটি পরিচালনার কাজে চিনের কোনও খবরদারি তিনি বরদাস্ত করবেন না। পানামা প্রশাসন এই খালটির পরিচালন ব্যবস্থা সুরক্ষিত করতে না পারলে আমেরিকা সেটির নিয়ন্ত্রণভার নিজের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানাবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প।

    পানামা খালের গুরুত্ব

    সমুদ্রপথে সারা বিশ্বের মোট পণ্য পরিবহণের প্রায় ৫ শতাংশ ক্ষেত্রে পানামা খাল ব্যবহার করা হয়। আমেরিকা ছাড়াও পানামা খাল মূলত ব্যবহার করে চিন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। এই খাল ব্যবহার করলে দক্ষিণ আমেরিকার দক্ষিণ উপকূল ঘুরে যেতে হয় না বলে সাশ্রয় হয় সময় ও জ্বালানি। নিজের সমাজমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছিলেন, আমাদের নৌবাহিনী এবং বাণিজ্যের প্রতি অত্যন্ত অন্যায় ও অবিবেচক আচরণ করা হচ্ছে। পানামা যে ফি নিচ্ছে, তা হাস্যকর (Canada)। আমাদের দেশকে নিয়ে এভাবে ছিনিমিনি খেলা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার। ট্রাম্প বলেছিলেন, এই চ্যানেলটি চালাবে শুধুমাত্র পানামা, চিন বা অন্য কেউ নয়। পানামা যদি কাজটা সুরক্ষিত, দক্ষ ও নির্ভরযোগ্যভাবে করতে না পারে, তাহলে আমরা দাবি করব, বিনা প্রশ্নে পানামা খাল সম্পূর্ণভাবে আমাদের হাতে তুলে দেওয়া হোক।   

    মেক্সিকো উপসাগরের নাম বদল!

    এদিন ট্রাম্প বলেন, “আমরা মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করে আমেরিকার উপসাগর রাখব, যা একটি সুন্দর নাম। এটি অনেক অঞ্চলের ধারণা দেয়। আমেরিকার উপসাগর। কী সুন্দর একটি নাম এবং এটি যথার্থও।” নেটো সদস্যদের তাদের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের পাঁচ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করা উচিত বলেও মনে করেন ট্রাম্প। বলেন, “আমি মনে করি, নেটোর ৫ শতাংশ থাকা উচিত। তারা সবাই এটা করতে পারে (Canada)। ২ শতাংশ না হয়ে তাদের উচিত ৫ শতাংশে পৌঁছানো (Donald Trump)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Justin Trudeau: ঘরে-বাইরে সমালোচনার জের, আজই পদত্যাগ করছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো?

    Justin Trudeau: ঘরে-বাইরে সমালোচনার জের, আজই পদত্যাগ করছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদত্যাগ করতে চলেছেন কানাডার (Canada) প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)! কানাডার একটি সংবাদপত্রের দাবি, আজ, সোমবারই প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিতে পারেন তিনি। নিতান্তই যদি তা না হয়, তবে চলতি সপ্তাহে বুধবারের আগেই লিবারাল পার্টির নেতা হিসেবে পদত্যাগ করবেন ট্রুডো। সংবাদপত্র ‘দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেল’ এমনতর দাবি করলেও, প্রধানমন্ত্রীর দফতর কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।

    মুখ রক্ষা করার চেষ্টা ট্রুডোর! (Justin Trudeau)

    দলীয় সদস্যপদ ছাড়ার পরেও তিনি প্রধানমন্ত্রী থেকে যাবেন কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রসঙ্গত, চলতি বছর অক্টোবরে কানাডায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন হওয়ার কথা। বিভিন্ন সংস্থার করা সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, ওই নির্বাচনে ট্রুডোর দলের পরাজয় এক প্রকার অবশ্যম্ভাবী। হারতে পারেন ট্রুডো স্বয়ংও। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই আগেভাগে পদত্যাগ করে মুখ রক্ষা করতে চাইছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। কানাডার সংসদের বহু সাংসদ ট্রুডোর অপসারণ চাইছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিন, চাইছেন তাঁর দলের সাংসদরাও। এমতাবস্থায় ট্রুডোর কাছে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়া ছাড়া আর কোনও পথ খোলা নেই বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    প্রধানমন্ত্রী পদে ৯ বছর

    ২০১৩ সালে লিবারাল পার্টির নেতা হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ট্রুডো। গত ৯ বছর ধরে তিনি রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পদে। নানা কারণে বর্তমানে তাঁর জনপ্রিয়তা এখন তলানিতে। তাঁর আন্তর্জাতিক নীতি নিয়েও দেশের মধ্যেই সমালোচিত হয়েছেন তিনি। আগামী নির্বাচনে ট্রুডোর (Justin Trudeau) দল গোহারা হারবে বলে বিভিন্ন নির্বাচনী সমীক্ষায় ইঙ্গিত মিলেছে। আগামী নির্বাচনে কানাডায় কনজারভেটিভ পার্টি ক্ষমতায় আসছে বলেও জানিয়েছে ওই সমীক্ষা। এহেন পরিস্থিতিতে কিছুদিন আগে হঠাৎই পদত্যাগ করেন কানাডার উপমুখ্যমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। তার পর থেকে দেশের অভ্যন্তরে ট্রুডো-বিদ্বেষ বাড়ছে বই কমছে না।

    আরও পড়ুন: সাধুর ভিড়ে মহাকুম্ভে হানা দিতে পারে জঙ্গিরা, কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা

    সমস্যা মেটানোর যে কোনও চেষ্টা ট্রুডো করেননি, তা নয়। মন্ত্রিসভায় রদবদল করেছেন তিনি। তার পরেও অব্যাহত রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যাওয়ার চাপ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ট্রুডো পদত্যাগ করলে এগিয়ে আনা হতে পারে সাধারণ নির্বাচন। ততদিন কে চালাবেন দেশ, তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমের খবর। ভারত বিরোধিতার খেসারত কি ট্রুডোকে (Justin Trudeau) গদি হারিয়েই দিতে হবে? প্রশ্নটা কিন্তু উঠছেই (Canada)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share