Tag: Canada

Canada

  • Canada: সাইবার হামলার হুমকি দিচ্ছে ভারত! ফের এক নতুন অভিযোগ কানাডার, কী প্রতিক্রিয়া দিল্লির?

    Canada: সাইবার হামলার হুমকি দিচ্ছে ভারত! ফের এক নতুন অভিযোগ কানাডার, কী প্রতিক্রিয়া দিল্লির?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চড়ছে ভারত-কানাডা কূটনৈতিক সম্পর্ক। কানাডায় সাইবার হামলার হুমকি দিচ্ছে ভারত। এমনই দাবি কানাডার সাইবার সিকিউরিটি সংস্থার। কানাডার সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার দ্বারা প্রস্তুত করা “ন্যাশনাল সাইবার থ্রেট অ্যাসেসমেন্ট ২০২৫-২০২৬” প্রতিবেদনে ভারতকে “রাষ্ট্রীয় প্রতিপক্ষদের সাইবার হুমকি” শীর্ষক অংশে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। অন্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে চিন, রাশিয়া, ইরান এবং উত্তর কোরিয়া।

    কানাডার অভিযোগ

    ভারত নাকি সাইবার প্রযুক্তি ব্যবহার করে কানাডায় বসবাসকারী খলিস্তানিদের চিহ্নিত করছে। সম্প্রতি এমনই দাবি করেছে কানাডার গুপ্তচর সংস্থা। এই আবহে ভারতকে সাইবার প্রযুক্তি ব্যবহার করে খলিস্তানিদের ‘ট্র্যাক’ করতে বারণ করেছে কানাডা সরকার। এর আগে কানাডা সরকার দাবি করেছিল, ভ্যানকুভারে শিখদের ওপর হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন ভারতের এক শীর্ষকর্তা। আর এবার ভারতের বিরুদ্ধে সাইবার অপরাধ সংগঠিত করার অভিযোগ করল কানাডা। প্রসঙ্গত, কানাডার কমিউনিকেশনস সিকিউরিটি এস্ট্যাবলিশমেন্ট সম্প্রতি বলে, বিদেশে বসবাসকারী বিক্ষুব্ধদের ওপর নজরদারি চালাচ্ছে ভারত। এদিকে কানাডার সরকারি প্রতিষ্ঠানের ওপর সাইবার হামলাও নাকি করছে ভারত। 

    আরও পড়ুন: উপত্যকায় দফায় দফায় সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ! অনন্তনাগে নিহত ২ জঙ্গি, শ্রীনগরে চলছে অভিযান

    অভিযোগ অস্বীকার দিল্লির

    উল্লেখ্য, ভ্যানকুভারেই ২০২৩ সালে খুন হয়েছিল খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর। হরদীপ সিং নিজ্জর খুনের ঘটনায় প্রথম থেকেই ভারতের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে আসছে কানাডা। তবে দিল্লিও দাবি করে এসেছে, এই মামলায় দিল্লির হাতে কোনও প্রমাণ তুলে দেয়নি জাস্টিন ট্রুডোর সরকার। এবার কানাডা সরকারের নতুন অভিযোগ, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ সাইবার কর্মসূচি তৈরি করছে যা কানাডার জন্য ভিন্নমাত্রার হুমকি উপস্থাপন করছে। কানাডার সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার-এর দাবি, ভারত তার জাতীয় নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য সাইবার কর্মসূচি ব্যবহার করে, যার মধ্যে গোপন তথ্য সংগ্রহ, সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম এবং ভারতের বৈশ্বিক অবস্থান উন্নীত করার প্রচেষ্টা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর জন্য ভারত এমন এক জাল বিস্তার করেছে যা কানাডাবাসীর পক্ষে ঠিক নয়। এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে দিল্লি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Justin Trudeau: আরও গাড্ডায় ট্রুডো! কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে সরাতে এবার গোপন ভোটের দাবি উঠল দলেই

    Justin Trudeau: আরও গাড্ডায় ট্রুডো! কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে সরাতে এবার গোপন ভোটের দাবি উঠল দলেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও গাড্ডায় কানাডার (Canada) প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)! অচিরেই বোধ হয় ভারত বিরোধিতার মাশুল গুণতে হবে তাঁকে। ক্রমেই দলে সুর চড়ছে ট্রুডো বিরোধিতার। আগামী বছর সাধারণ নির্বাচন রয়েছে কানাডায়। সেই নির্বাচনে ট্রুডোর দল লিবারেল পার্টি লড়তে চায় না ট্রুডোকে সামনে রেখে। তাই ক্রমেই জোরালো হচ্ছে ট্রুডোকে সরানোর দাবি। দিন কয়েক আগেই লিবারেল পার্টির সাংসদদের একাংশ সরব হয়েছিলেন ট্রুডোর পদত্যাগের দাবিতে। এবার তাঁকে সরাতে গোপন ভোটের দাবি জানালেন তাঁরা।

    ক্ষোভ ট্রুডোর দলেই (Justin Trudeau)

    গত বছর খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর খুন হন কানাডায়। ওই ঘটনায় ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন ট্রুডো। কানাডার সংসদে দাঁড়িয়ে তিনি সরাসরি তোপ দেগেছিলেন ভারতের বিরুদ্ধে। নিজ্জর খুনে ভারত-যোগের প্রমাণ চেয়েছিল নয়াদিল্লি। যদিও ট্রুডো সরকার তা দিতে পারেনি। ওই ঘটনায় তলানিতে ঠেকে ভারত-কানাডা সম্পর্ক। তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন তাঁরই দলের লোকজন।

    গোপন ভোটের দাবি

    সম্প্রতি ট্রুডো প্রকাশ্যে স্বীকার করেন, উপযুক্ত কোনও প্রমাণ ছাড়াই তিনি দোষারোপ করেছিলেন ভারতকে। তারপরেই দলে আরও কোণঠাসা হয়ে পড়েন ট্রুডো (Justin Trudeau)। ট্রুডোরই দলের ২৪ সাংসদ ‘নিজের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ’ করতে ট্রুডোকে সময় দিয়েছিলেন ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত। তাঁদের দাবি মেনে ট্রুডো অবশ্য পদত্যাগ করেননি। তাই এবার গোপন ভোটের দাবি তুললেন তাঁর দলের সাংসদরাই। কানাডার একটি জনপ্রিয় সংবাদপত্রের দাবি, নতুন করে লিবারেল পার্টির আরও ছজন সাংসদ সরব হয়েছেন ট্রুডোর পদত্যাগের দাবিতে।

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রীয় একতা দিবসে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রীর

    সাম্প্রতিককালে দুই সুরক্ষিত আসনে হেরে যায় ট্রুডোর দল। তার পরেই ফের প্রশ্ন ওঠে ট্রুডোর নেতৃত্ব নিয়ে। সম্প্রতি এক জনমত সমীক্ষায় প্রকাশ, ট্রুডোর নেতৃত্বে নির্বাচনে গেলে ধরাশায়ী হবে লিবারেল পার্টি। ভারত-বিরোধিতার ক্ষোভের যে ধোঁয়া পুঞ্জীভূত হচ্ছিল ট্রুডোর দলের অন্দরে, জনমত সমীক্ষার ফল তাতে অক্সিজেন জোগায়। তার পরেই জোরালো হতে থাকে ট্রুডোর পদত্যাগের দাবি। সম্প্রতি এক শরিক সমর্থন প্রত্যাহার করায় ট্রুডো সরকার এমনিতেই সংখ্যালঘু। তার ওপর দলেই উঠছে পদত্যাগের দাবি। সব মিলিয়ে লেজেগোবরে দশা ট্রুডোর (Justin Trudeau)।

    ট্রুডোকে (Canada) ভারত বিরোধিতার মাশুল গুণতে হবে প্রধানমন্ত্রীর পদ খুইয়ে!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

      

  • Gurpatwant Pannun: শাহের সম্পর্কে খবর দিলে মিলবে মোটা ইনাম, ঘোষণা খালিস্তানি জঙ্গি পান্নুনের

    Gurpatwant Pannun: শাহের সম্পর্কে খবর দিলে মিলবে মোটা ইনাম, ঘোষণা খালিস্তানি জঙ্গি পান্নুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খবর দিতে হবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) গতিবিধির। তাতেই মিলবে দশ লক্ষ মার্কিন ডলার পুরস্কার। অমিত শাহের বিদেশ সফরের আগেই ‘শিখস ফর জাস্টিস’কে ওই তথ্য দিতে পারলে পুরস্কার দেবেন খালিস্তানপন্থী জঙ্গি গুরপতবন্ত সিং পান্নুন (Gurpatwant Pannun)।

    সিআরপিএফ স্কুল বন্ধের আহ্বান (Gurpatwant Pannun)

    ২৬ নভেম্বর থেকে সিআরপিএফ স্কুলগুলি বন্ধ করে দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন খালিস্তানপন্থী ওই জঙ্গি। ঠিক একদিন আগেই উত্তর দিল্লির রোহিণী অঞ্চলের একটি সিআরপিএফ স্কুলের বাইরে বিস্ফোরণ ঘটে। তার পরেই পান্নুনের এই বিবৃতিতে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে ‘খালিস্তান জিন্দাবাদ ফোর্স’ নামের একটি সংগঠন।

    পান্নুনের বক্তব্য

    ভারত-বিরোধী কাজে লিপ্ত পান্নুন। নানা সময় ভারতকে বিভিন্নভাবে হুমকিও দিয়েছে খালিস্তানপন্থী এই জঙ্গি। সেই পান্নুনই ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের সিআরপিএফ স্কুল বয়কট করার আহ্বান জানান। তাঁর বক্তব্য, এই বাহিনী নৃশংসতায় লিপ্ত। তাঁর অভিযোগ, অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে হামলা, ১৯৮৪ সালের গণহত্যায় মৃত্যুদণ্ড পরিচালনা ও পঞ্জাবে শিখদের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল সিআরপিএফ।

    আরও পড়ুন: প্রত্যাঘাত ইজরায়েলের! নিশানায় ইরানের সামরিক ঘাঁটিগুলি, হামলা সিরিয়াতেও

    ভারতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ‘শিখস ফর জাস্টিস’কে। দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন পান্নুনও (Gurpatwant Pannun)। বর্তমানে বিদেশে বসেই একের পর এক হুমকি দিয়ে চলেছেন নিষিদ্ধ এই জঙ্গি সংগঠনের প্রধান। তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যেহেতু সিআরপিএফের প্রধান, তাই অমিত শাহের বিদেশ ভ্রমণ সংক্রান্ত যে কোনও তথ্যের জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।” শাহের বিরুদ্ধে কানাডায় খুন হওয়া হরদীপ সিং নিজ্জরকে হত্যার জন্য ভাড়াটে খুনি নিয়োগ করার এবং নিউইয়র্কে একটি মার্ডার ফর হায়ার ষড়যন্ত্র করার অভিযোগও তুলেছেন তিনি। পান্নুন বলেন (Gurpatwant Pannun), “সিআরপিএফের প্রাক্তন কর্তা, পঞ্জাবের প্রাক্তন শীর্ষ পুলিশ কর্তা কেপিএস গিল এবং প্রাক্তন রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইংয়ের কর্তা বিকাশ যাদব বিভিন্ন মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী। পঞ্জাব এবং বিদেশে শিখদের হত্যায়ও যুক্ত ছিলেন তাঁরা।

    প্রসঙ্গত, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর কার্যালয়ের সঙ্গেও তিনি কথা বলেছেন বলে সম্প্রতি দাবি করেছেন পান্নুন। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি (Gurpatwant Pannun) বলেন, “কানাডার প্রধানমন্ত্রীর দফতরের সঙ্গে (Amit Shah) যোগাযোগ রাখছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Justin Trudeau: কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ চাইলেন তাঁরই দলের সাংসদরা! ঘোর বিপাকে ট্রুডো

    Justin Trudeau: কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ চাইলেন তাঁরই দলের সাংসদরা! ঘোর বিপাকে ট্রুডো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোর বিপাকে কানাডার (Canada) প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। এবার তাঁর পদত্যাগ দাবি করলেন তাঁরই দলের এমপিরা! ট্রুডোকে পদত্যাগের জন্য সময়ও বেঁধে দিয়েছেন লিবারেল পার্টি অফ কানাডার এমপিরা। ট্রুডোর এই দলের সাংসদরা জানিয়ে দিয়েছেন, ২৮ অক্টোবরের মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে।

    রুদ্ধদ্বার বৈঠক (Justin Trudeau)

    স্থানীয় সময় বুধবার কানাডার পার্লামেন্টে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন তাঁর দলের সাংসদরা। সেখানে ট্রুডোর কাজকর্ম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা। এই বৈঠকেই ট্রুডোকে পদত্যাগের জন্য আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। তবে এই সময়সীমার মধ্যে ট্রুডো পদত্যাগ না করলে কী হবে, তা অবশ্য জানানো হয়নি। গত ৯ বছর ধরে কানাডায় প্রধানমন্ত্রী পদে রয়েছেন ট্রুডো। ক্রমশ কমতে থাকে তাঁর জনপ্রিয়তা। আগামী বছরের অক্টোবরে কানাডায় সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা। তার আগেই নিজের দলেই ট্রুডোর পদত্যাগের দাবি উঠল। জানা গিয়েছে, ২৪ জন সাংসদ আল্টিমেটাম দিয়ে পদত্যাগ করতে বলেছেন ট্রুডোকে। যদিও বৈঠকে ট্রুডোর প্রথম পদত্যাগের দাবি তোলেন ব্রিটিশ কলম্বিয়ার এমপি প্যাট্রিক ওয়েলার। তাঁর সঙ্গে গলা মেলান একে একে ২৩ জন। যদিও এই ‘বিদ্রোহী’রা কেউই ট্রুডো (Justin Trudeau) মন্ত্রিসভার সদস্য নন।

    ট্রুডোর পদত্যাগ দাবি

    কানাডার পার্লামেন্টে ট্রুডোর দলের সাংসদ রয়েছেন ১৫৩ জন। তাই ট্রুডো যে আল্টিমেটাম মেনে পদত্যাগ করবেনই, তার কোনও ইঙ্গিত মেলেনি। এ ব্যাপারে ট্রুডো স্বয়ংও কিছু বলেননি। তবে ট্রুডোর কোনও বিকল্প নেতাও এই মুহূর্তে তার দলে নেই। সিবিসি পোল ট্র্যাকারের সমীক্ষা বলছে, বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টি ট্রুডোর দলের তুলনায় জনপ্রিয়তার নিরিখে ২০ পয়েন্ট এগিয়ে রয়েছে। যেহতু বছরখানেক পরেই নির্বাচন, তাই ট্রুডোর দলের নেতাদের একাংশ চাইছে না ট্রুডোকে সামনে রেখে নির্বাচনে যেতে। তাঁরাই ট্রুডোর পদত্যাগ দাবি করেছেন বলে খবর। ট্রুডোর দলের নেতাদের আশঙ্কা, ট্রুডো পদ না ছাড়লে নির্বাচনে তাঁদের দল তৃতীয় স্থানে চলে যাবে।

    আরও পড়ুন: তৃণমূলের কল্যাণকে বরখাস্ত করার সুপারিশ বিজেপির, স্পিকারকে চিঠি তিন সাংসদের

    খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর খুনে ভারতকে দোষারোপ করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো। তার জেরে অবনতি ঘটে ভারত-কানাডা সম্পর্কে। তা নিয়ে অসন্তোষের আগুন ধূমায়িত হচ্ছিল ট্রুডোর দলের অন্দরেই। এবার দলীয় সাংসদরা তাঁর (Canada) পদত্যাগ দাবি করায় সেই ক্ষোভই প্রকাশ্যে এল বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের (Justin Trudeau)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • India-Canada Relation: খালিস্তানি জঙ্গিরা কানাডার গুপ্তচর! বিস্ফোরক দাবি ভারতীয় হাই কমিশনারের

    India-Canada Relation: খালিস্তানি জঙ্গিরা কানাডার গুপ্তচর! বিস্ফোরক দাবি ভারতীয় হাই কমিশনারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডায় থাকা খালিস্তানি জঙ্গিরা আদতে কানাডা সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসের গোপন এজেন্ট। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনই দাবি করেছেন কানাডায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার সঞ্জয় ভার্মা। তাঁর বিরুদ্ধে কানাডা সরকারের আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে সঞ্জয় দাবি করেন, প্রথম থেকেই কানাডায় খালিস্তানি কট্টরপন্থীদের প্রশ্রয় দিয়ে এসেছে জাস্টিন ট্রুডোর সরকার। ভারত-কানাডা সম্পর্কের অবনতির জন্যও দায়ী ট্রুডো সরকার। তিনি জানান, খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কানাডা ভারতকে কোনও প্রমাণ দেখায়নি। অভিযোগগুলো ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’।

    খালিস্থানপন্থীদের সঙ্গে কানাডা-যোগ

    সম্প্রতি কানাডার এক সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সঞ্জয় বলেন, ‘আমি জানি বেশ কয়েকজন খালিস্থানপন্থী জঙ্গি সিএসআইএস-এর ডিপ অ্যাসেট। এটা আমার অভিযোগ। অবশ্য আমি এর পরিপ্রেক্ষিতে কোনও প্রমাণ দিচ্ছি না এখন।’ এদিকে নিজ্জরের খুন নিয়ে সঞ্জয় বলেন,  ‘‘যে কোনও খুনই দুর্ভাগ্যজনক এবং জঘন্য। আমি এই খুনের নিন্দা জানাচ্ছি। আমি এর আগেও বলেছি, এই ঘটনার মূলে যেতে হবে আমাদের।’’ ভারতীয় কূটনীতিবিদ আরও বলেন,  ‘‘আমরা চাই, কানাডার বর্তমন সরকার এমন কারও সঙ্গে মাখামাখি না করুক, যারা ভারতের অখণ্ডতাকে চ্যালেঞ্জ করছে। আমরা চাই যাতে কানাডা সরকার আমাদের সমস্যাটা বোঝে।’’

    আরও পড়ুন: কঠোর পদক্ষেপ! জঙ্গি তালিকায় কানাডার পুলিশ আধিকারিকের নাম জুড়ল ভারত

    কোনও বৈধ প্রমাণ ভারতকে দেওয়া হয়নি

    নিজ্জর খুন প্রসঙ্গে সঞ্জয় বলেন, ‘‘কানাডার পক্ষ থেকে কোনও বৈধ প্রমাণ ভারতকে দেওয়া হয়নি, যা ভারতীয় আইনের ভিত্তিতে গ্রহণযোগ্য হতে পারে। ভারত সরকার তদন্তের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত, কিন্তু কানাডা এখনও কোনও প্রমাণ দেয়নি। প্রমাণ ছাড়া কোনও বিষয় নিয়ে এগনো যায় না।’’ সঞ্জয় আরও বলেন, ‘‘ভারত আইন মেনে চলা দেশ। কানাডার আদালতে যদি কোনও প্রমাণ গ্রহণযোগ্য হয়, তাহলে তা ভারতের আদালতেও গ্রহণযোগ্য হবে। তবে কানাডার আধিকারিকরা তো আমাদের সেই ক্ষেত্রে সাহায্য করেননি।’’ দাবি করা হয়, গত ৮ অক্টোবর কানাডার অফিসাররা ভারতে আসতে চেয়েছিলেন নিজ্জর খুনের ‘প্রমাণ’ তুলে ধরার জন্যে। এই নিয়ে সঞ্জয় ভার্মা বলেন, ‘‘এই সব ক্ষেত্রে ডেলিগেশনের ভিসা অ্যাফিক্স করতে হয়। এই ধরনের সরকারি দলকে অন্য দেশে যেতে হলে একটি অ্যাজেন্ডা থাকতে হয়। তারা এমন সময়ে আমাদের অ্যাজেন্ডা জানায়, যখন তাদের বিমান টেকঅফ করে চলে গিয়েছে। আমার মনে হয়, ইচ্ছে করেই তারা এটা করেছে। তারা জানত যে এভাবে আধ ঘণ্টা, এক ঘণ্টায় ভিসা ইস্যু করা যায় না। এটা পুরোপুরি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আমার মনে হয়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India-Canada Relation:কঠোর পদক্ষেপ! জঙ্গি তালিকায় কানাডার পুলিশ আধিকারিকের নাম জুড়ল ভারত

    India-Canada Relation:কঠোর পদক্ষেপ! জঙ্গি তালিকায় কানাডার পুলিশ আধিকারিকের নাম জুড়ল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও কানাডার কুটনৈতিক সম্পর্কে (India-Canada Relation) ফাটল ক্রমশ বড় হচ্ছে। এবার শিখ সন্ত্রাসবাদীদের তালিকায় কানাডার এক পুলিশ আধিকারিকের নাম যোগ করল ভারত। কানাডিয়ান বর্ডার সার্ভিস এজেন্সিজ-এ কর্মরত এই যুবকের নাম সন্দীপ সিং সিন্ধু। ভারতের দাবি, সিন্ধু নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল শিখ ইয়ুথ ফেডারেশনের সদস্য। পাঞ্জাবে সন্ত্রাসবাদের প্রসারে এই সংগঠন কাজ করে চলেছে।

    সন্দীপের সঙ্গে পাক যোগ

    রিপোর্ট অনুযায়ী, কানাডিয়ান (India-Canada Relation) বর্ডার পুলিশের আধিকারিক সন্দীপ সিং সিন্ধুকে পলাতক সন্ত্রাসবাদীদের তালিকায় যুক্ত করেছে ভারত। কানাডায় খলিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ড ইস্যুতে বিগত কয়েক মাসে ভারত-কানাডার সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। ভারতীয় গোয়েন্দাদের রিপোর্ট অনুযায়ী সিন্ধুর সঙ্গে পাকিস্তানের বাসিন্দা খলিস্তানি নেতা লখবীর সিং রোডে এবং কয়েক জন আইএসআই কর্তার যোগাযোগ আছে। এরাই ২০২০ সালে খলিস্তানি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে শৌর্যচক্র পাওয়া সেনা অফিসার বলবিন্দর সিং সান্ধুকে হত্যা করেছিল। তাই সন্দীপ সিংকে প্রত্যর্পণের দাবি জানাল দিল্লি।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতেই বাংলায় উপনির্বাচন, সব বুথে হবে ওয়েব কাস্টিংও

    সম্প্রতি,  সন্দীপকে সুপারিন্টেন্ডেন্ট পদে প্রোমোশন দিয়েছে কানাডার (India-Canada Relation) জাস্টিন ট্রুডো সরকার। ট্রুডো সরকারের খলিস্তানি প্রীতি নিয়ে সে দেশের বিরোধীরাও সরব হয়েছে। ভারতের সঙ্গে এত দিনের বন্ধুত্বের সম্পর্কে চিড় ধরার জন্য বিরোধী নেতারা প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোকে দুষছেন। তাঁদের দাবি খলিস্তানি জঙ্গি নিজ্জরের হত্যাকাণ্ড নিয়ে অনাবশ্যক উত্তেজনা তৈরি করে ট্রুডো সরকার অন্য বিষয়ে তাদের অকর্মণ্যতাকে আড়াল করতে চাইছে। কানাডার পিপলস পার্টির নেতা ম্যাক্সিম বার্নিয়ারের কথায় নিজ্জর এক জন বিদেশি সন্ত্রাসবাদী। কানাডা সরকারের উচিত এক জন জঙ্গির মৃত্যু নিয়ে এত জটিলতা তৈরি না করে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করে মতভেদ মিটিয়ে ফেলা। কারণ ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি কানাডার পক্ষেও গুরুত্বপূর্ণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sikhs For Justice: দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য কানাডা! কীভাবে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠল?

    Sikhs For Justice: দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য কানাডা! কীভাবে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডা (Canada)। বর্তমানে দেশটা হয়ে দাঁড়িয়েছে দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য। কানাডিয়ান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর জমানায় যা আরও বেড়েছে বলেও দাবি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের। দুষ্কৃতীদের এই স্বর্গরাজ্যেই ঘাঁটি গেড়েছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ‘শিখস ফর জাস্টিস’ (Sikhs For Justice)। ভারতে নিষিদ্ধ খালিস্তানপন্থী এই জঙ্গি সংগঠনের চাঁই গুরুপন্ত সিং পান্নুন। তাঁকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ তোলা হয়েছে ভারতের বিরুদ্ধে। এই পান্নুনের সংগঠনের ট্রুডোর অফিসের ওঠাবসা চলছে বছর তিনেক ধরে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ কথা কবুলও করেছেন পান্নুন। ট্রুডো মন্ত্রিসভা সংখ্যালঘু। সেই সরকার টিকে আছে জোড়াতালি দিয়ে, শিখদের সমর্থন নিয়ে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই সুড়ঙ্গ দিয়েই ট্রুডোর অফিসের লোকজনের সঙ্গে দহরম মহরম করছেন শিখস ফর জাস্টিসের লোকজন।

    খুলল ট্রুডো সরকারের মুখোশ (Sikhs For Justice)

    এই সংগঠনেরই নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর খুন হয় গত জুনে, কানাডা-ভূমে। ওই ঘটনায় ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে ট্রুডো সরকার। প্রমাণ চায় ভারত। প্রমাণ দিতে পারেনি ট্রুডো সরকার। তবে ট্রুডো সরকারের এই দোষারোপের পর ভারত-কানাডা সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। ‘বিকশিত ভারত’ পাশ থেকে সরে যাওয়ায় প্রমাদ গোণে ট্রুডো সরকার। ভারত-কানাডার ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক মেরামত করতে উদ্যোগী হন কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো স্বয়ং। সম্প্রতি ট্রুডো প্রকাশ্যে কবুল করেন, নিজ্জর খুনে ভারতকে দোষারোপ করার সময় তাঁর কাছে কোনও প্রমাণ ছিল না। তার পরেই খুলে যায় ট্রুডো সরকারের মুখোশ।

    খালিস্তান-প্রীতি

    ট্রুডো সরকারের খালিস্তান-প্রীতি (Sikhs For Justice) নিয়ে সরব হয়েছেন সে দেশের বিরোধীরাও। তাঁদের দাবি, খালিস্তানপন্থী জঙ্গি নিজ্জর খুনে অনাবশ্যক উত্তেজনা তৈরি করে ট্রুডো সরকার অন্যান্য বিষয়ে তাদের অকর্মণ্যতাকে আড়াল করতে চাইছে। কানাডার পিপলস পার্টির নেতা ম্যাক্সিম বার্নিয়ার বলেন, “নিজ্জর একজন বিদেশি সন্ত্রাসবাদী। তার পরেও তাঁকে ২০০৭ সালে জোর করে কানাডার নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে।” তাঁর দাবি, ট্রুডো সরকারের উচিত প্রশাসনিক ভ্রান্তি দূর করে মরণোত্তরভাবে নিজ্জরের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া। বার্নিয়ার বলেন, “কানাডা সরকারের উচিত একজন জঙ্গির মৃত্যু নিয়ে এত জটিলতা তৈরি না করে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করে মতভেদ মিটিয়ে ফেলা। কারণ ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি কানাডার পক্ষেও গুরুত্বপূর্ণ।”

    নাৎসি-যোগ

    ২০১৮ সালে ট্রুডো সরকার চারজন রাশিয়ার কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছিল। রাশিয়া তৎকালীন কানাডিয়ান বিদেশমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের নাৎসি-যোগ প্রকাশ করার পরে আরও তিনজনের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছিল। ‘গ্লোব অ্যান্ড মেইল’ ও অন্যান্য কানাডিয়ান মিডিয়ার দাবি, ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড প্রায় দু’দশক ধরে জানতেন, তাঁর মামাবাড়ির দাদুর সঙ্গে নাৎসি যোগ ছিল। সেই সময় ফ্রিল্যান্ড রাশিয়াকে বিভ্রান্তি ছড়ানোর ও কানাডিয়ান গণতন্ত্রকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছিলেন।ফ্রিল্যান্ডের অফিসের (Canada) দাবি ছিল, ফ্রিল্যান্ডের দাদুর সঙ্গে নাৎসিদের যোগ কোনওকালেই ছিল না। তবে লিবারেল পার্টি লিডারের দাদুর সঙ্গে যে নাৎসিদের সত্যিই যোগ রয়েছে, এটা রাশিয়া সরকারের মিথ্যে প্রচার নয়, তার স্বপক্ষে যথেষ্ঠ প্রমাণ ছিল। তার পরেও ফ্রিল্যান্ডের পাশে দাঁড়িয়েছে ট্রুডো সরকার, শাস্তি দিয়েছে রাশিয়ান কূটনীতিকদের।

    ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের দাদু

    ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের দাদু মাইখাইলো চমিয়াক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান মিলিটারি গোয়েন্দা বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তিনি একটি প্রমিনেন্ট ইউক্রেনিয়ান পাবলিকেশনের এডিটর ছিলেন। এই পাবলিকেশন হিটলারকে নিয়ে হইচই করেছিল, প্রচার করেছিল তীব্র ইহুদি বিদ্বেষ। এই সংবাদপত্রের মাধ্যমেই নাৎসিদের প্রোপাগান্ডা চলত, ছড়ানো হত নাৎসিদের মতাদর্শ, হোয়াইটওয়াশ করা হত হলোকাস্টকে। যুদ্ধ শেষে চমিয়াক সপরিবারে ঢুকে পড়েন কানাডায়। সেই থেকে তাঁরা রয়েছেন ট্রুডোর দেশে, যোগাযোগও রয়েছে নাৎসিদের সঙ্গে।

    আরও পড়ুন: সোমবার পর্যন্ত সময়সীমা মমতাকে, না মানলে মঙ্গলে সর্বাত্মক ধর্মঘট, ঘোষণা ডাক্তারদের

    নাৎসি-প্রীতি

    ট্রুডোর নাৎসি-প্রীতিও প্রকাশ্যে আসে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। সেই সময় কানাডিয়ান হাউস অফ কমন্স দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রবীণ ইয়ারোস্লাভ হুঙ্কাকে সংবর্ধনা দেয় (Sikhs For Justice)। যদিও জানানো হয়নি হুঙ্কা নাৎসিদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি এসএস ইউনিটের সদস্য ছিলেন ১৯৪৩ সালে। ট্রুডোর নাৎসি-প্রীতির পর ইদানিং প্রকাশ্যে এসেছে তাঁর শিখস ফর জাস্টিস-প্রেমের কথা। যা নিয়ে ভারতের সঙ্গে কানাডার অশান্তির সূত্রপাত। যা নিয়ে ভারত-কানাডার বন্ধুত্বের সম্পর্কে ইতি।

    কানাডায় খালিস্তানপন্থী জঙ্গি সংগঠনের বাড়বাড়ন্ত 

    পান্নুনের নেতৃত্বাধীন শিখস ফর জাস্টিস (Sikhs For Justice) ছাড়াও আরও অন্তত তিনটি খালিস্তানপন্থী জঙ্গি সংগঠন লালিত-পালিত হচ্ছে ট্রুডো সরকারের জল-হাওয়ায়। এদের মধ্যে রয়েছে বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল। খালিস্তান আন্দোলনে নিবেদিত প্রাণ এই সংগঠন একাধিক জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। খালিস্তানপন্থীদের এই সংগঠনই এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান কনিষ্কয় বম্বিং করেছিল। যার জেরে মৃত্যু হয়েছিল ৩০০ জনেরও বেশি মানুষের।

    ১৯৮৪ সালে (Canada) ব্রিটেনে জন্ম হয়েছিল ইন্টারন্যাশনাল শিখ ইয়ুথ ফেডারেশনের। এই সংগঠনেরও শাখা রয়েছে কানাডায়। কানাডার মাটিতে লালিত হয়েছে প্রয়াত নিজ্জরের সংগঠন খালিস্তান টাইগার ফোর্স। ভারত-বিরোধী সন্ত্রাসমূলক কার্জকর্মে লিপ্ত তারাও। এদেরই প্রধান মুখ ছিল নিজ্জর। কখনও হিন্দু মন্দিরে (Sikhs For Justice) হামলা, কখনও ভারত-বিরোধী স্লোগান দেওয়া, কখনও আবার হিন্দুদের কানাডা ছেড়ে চলে যাওয়ার আওয়াজ তুলেছে এই সংগঠন। তার পরেও মুখে কুলুপ এঁটেছেন ট্রুডো। আসলে শিখ সমর্থন না থাকলে যে পড়ে যাবে (Canada) তাঁর সরকার!

    অতএব…।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India-Canada Relation: ভারতের সঙ্গে সু-সম্পর্কের দাবি, কানাডার অভ্যন্তরে চড়ছে ট্রুডো-বিরোধী সুর

    India-Canada Relation: ভারতের সঙ্গে সু-সম্পর্কের দাবি, কানাডার অভ্যন্তরে চড়ছে ট্রুডো-বিরোধী সুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের অভ্যন্তরে (India-Canada Relation) তীব্র সমালোচনার মুখে পড়লেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। ভারতের সঙ্গে কানাডার কূটনৈতিক সম্পর্ক ক্রমশ তলানিতে ঠেকেছে। এই আবহে ট্রুডোর বিপক্ষে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ, কনজারভেটিভ পার্টির নেতা পিয়ের পোয়ালিয়েভ্রে। তাঁর দাবি, চিনের সহায়তায় দুটি নির্বাচন জিতেছেন ট্রুডো। ভারত সরকারের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে বিভ্রান্তিকর প্রচার করছেন কানাডার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী।

    চিনের সঙ্গে ট্রুডোর সম্পর্ক

    সম্প্রতি ট্রুডো অভিযোগ করেছিলেন যে, কনজারভেটিভ পার্টির সাংসদরা বিদেশি শক্তির সঙ্গে সম্পর্ক রাখছেন। এই অভিযোগের জবাবে পোয়ালিয়েভ্রে বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি জানতে চেয়েছিলাম, কোন কোন এমপি বিদেশি শক্তির সঙ্গে সম্পর্ক রাখছেন, প্রকাশ করতে। কিন্তু উনি তাঁদের নাম বলতে পারেননি। মিথ্যা প্রচার করাই ওনার লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাস্তবে লিবারেল পার্টি তথা ট্রুডোর দল সর্বদা চিনের সহায়তা নিয়ে চলে। তাঁরা চিনের সাহায্যেই দুটো নির্বাচন জিতেছে। এইবিষয়টি সামনে আসতেই নানা রকম মিথ্যা দাবি করছেন ট্রুডো।”

    ভারতের বিরুদ্ধে প্রমাণ কই?

    পোয়ালিয়েভ্রে আরও জানান নিজ্জর হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে ভারতের যুক্ত থাকার যে দাবি ট্রুডো এনেছিলেন তারও কোনও প্রমাণ তিনি দিতে পারেননি। প্রসঙ্গত, বুধবার তদন্ত কমিশনের কাছে জমা দেওয়া বিবৃতিতে ক্যানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো নিজেই জানিয়েছিলেন, গত বছর সেপ্টেম্বরে ভারতের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলার সময়ে তাঁর কাছে শুধুমাত্র গোয়েন্দাসূত্রে পাওয়া খবর ছিল, হাতে-কলমে কোনও তথ্যপ্রমাণ ছিল না। পোয়ালিয়েভ্রে বলেন, “আমি ১৪ অক্টোবর ন্যাশনাল সিকিউরিটি এবং ইন্টেলিজেন্স উপদেষ্টা নাথালি ড্রুইন, গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার ডেপুটি মন্ত্রী ডেভিড মরিসন, এবং সিএসআইএস পরিচালক ড্যানিয়েল রজার্সের কাছ থেকে ব্রিফিং পেয়েছিলাম ভারতের হস্তক্ষেপ সম্পর্কে। কিন্তু ট্রুডোর দল তখনও কোনও বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করেনি।” পোয়ালিয়েভ্রে বলেন, “যদি ট্রুডোর কাছে ভারতের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ থাকে, তবে তিনি তা জনসমক্ষে প্রকাশ করুন। কিন্তু তিনি তা করবেন না, কারণ তিনি এগুলো তৈরি করছেন।”

    ট্রুডো সরকারের অপপ্রচার

    পোয়ালিয়েভ্রে ছাড়াও পিপলস পার্টি অব কানাডার নেতা ম্যাক্সিম বার্নিয়ার বৃহস্পতিবার বলেছেন, রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ (RCMP) এবং লিবারেল সরকার ভারতের (India-Canada Relation) বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছে, তা অত্যন্ত গুরুতর। কিন্তু ভারতীয় কূটনীতিকদের বিপক্ষে এখনও কোনও প্রমাণ পেশ করতে পারেনি ট্রুডোর সরকার। আসলে ট্রুডো এবং লিবারেল পার্টি তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা নানা অভিযোগ থেকে নজর ঘোরাতেই এই সব মিথ্যা দাবি তুলছেন। বার্নিয়ার আরও দাবি করেন যে, গত বছর নিহত খলিস্তানি সন্ত্রাসী হরদীপ সিং নিজ্জর কানাডিয়ান ছিলেন না। বার্নিয়ার বলেন, “একটি ভুল ধারণা ভেঙে দেওয়া উচিত। সত্য হল, এই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর আসলে একজন বিদেশি সন্ত্রাসবাদী। যিনি ১৯৯৭ সাল থেকে একাধিকবার ভুয়া নথি ব্যবহার করে কানাডায় আশ্রয়ের আবেদন করেছিলেন। তাঁর আবেদনগুলি প্রত্যাখ্যাত হলেও, তাকে এই দেশে থাকতে দেওয়া হয়েছিল এবং ২০০৭ সালে তাঁকে কোনওভাবে নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়।”

    ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক কাম্য

    বার্নিয়ার বলেন, এই পরিস্থিতি কানাডার দীর্ঘদিনের ভুলের ফল, যেখানে বিদেশিদের এবং তাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তিনি ভারতের (India-Canada Relation) সঙ্গে ফের সু-সম্পর্ক স্থাপন করার আহ্বান জানান। বার্নিয়ার দাবি করেন, গুরুত্বপূর্ণ মিত্রের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করা উচিত নয়। এই পরিস্থিতির সমাধান খুঁজতে ভারতের সরকারের সঙ্গে শীঘ্রই কথা বলা উচিত। বিশ্বের একটি ক্রমবর্ধমান শক্তির সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করা কখনওই কাম্য নয়।

    আরও পড়ুন: উচ্ছ্বাস ইজরায়েলে, হামাস প্রধান সিনওয়ারের মৃত্যু নিশ্চিত ডিএনএ পরীক্ষায়

    দিল্লির দাবি

    ইতিমধ্যেই নিজ্জর হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে ট্রুডো সরকারের অভিযোগকে ‘রাজনৈতিক লাভের জন্য ভারতকে অপমান করার একটি ইচ্ছাকৃত অপপ্রচার’ বলে জানিয়েছে সাউথ ব্লক। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের অভিযোগ, কানাডার আসন্ন পার্লামেন্ট নির্বাচনে কট্টরপন্থী খলিস্তানি গোষ্ঠীগুলির সমর্থন পাওয়ার জন্য ট্রুডো সরকার নতুন করে নিজ্জর বিতর্ক সামনে নিয়ে আসছে। খলিস্তানি নেতা নিজ্জরকে ২০২০ সালে ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলে ঘোষণা করেছিল ভারত। তিন বছর পর ২০২৩ সালের ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশের সারের একটি গুরুদ্বারের সামনে তাঁকে হত্যা করা হয়। এর পরে নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারতের ‘ভূমিকা’ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন ট্রুডো।  তার পর থেকেই দু’দেশের সম্পর্কে চিড় ধরে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Canada Row: পান্নুন খুনের চেষ্টার ষড়যন্ত্রের তদন্তে মার্কিন মুলুকে ভারতীয় তদন্ত কমিটি

    India Canada Row: পান্নুন খুনের চেষ্টার ষড়যন্ত্রের তদন্তে মার্কিন মুলুকে ভারতীয় তদন্ত কমিটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খালিস্তানপন্থী জঙ্গি গুরুপতওয়ান্ত সিং পান্নুনকে (Gupatwant Singh Pannun) হত্যার চেষ্টার ষড়যন্ত্রের তদন্ত করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গেল ভারতীয় তদন্ত কমিটি (India Canada Row)। আজ, মঙ্গলবার আমেরিকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে ওই তদন্ত কমিটি। ভারত ও কানাডার মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্যে ভারতীয় তদন্ত কমিটির আমেরিকা সফর নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের।

    কী বলছেন মার্কিন কর্তারা (India Canada Row)

    মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেটের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ভারতীয় তদন্ত কমিটি, যা নির্দিষ্ট কিছু সংঘবদ্ধ অপরাধীর কার্যকলাপ তদন্ত করতে গঠন করা হয়েছিল, তারা সক্রিয়ভাবে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত করছে। ওই ব্যক্তি গত বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের অভিযোগপত্রে ভারতীয় সরকারি কর্মী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিলেন। সেই ব্যক্তি নিউ ইয়র্ক সিটিতে একজন মার্কিন নাগরিককে হত্যার পরিকল্পনা পরিচালনা করেছিলেন। এই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছিল। বিবৃতিতে (India Canada Row) বলা হয়েছে, তদন্ত কমিটি ১৫ অক্টোবর ওয়াশিংটন, ডিসিতে যাবে। তদন্তের অংশ হিসেবে মামলাটি নিয়ে আলোচনা করতেই তারা সেখানে যাবে। মার্কিন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সে দেশে মামলার অগ্রগতির আপডেট পেতেও তারা সেখানে যাবে। ভারত আমেরিকাকে জানিয়েছে, তারা অভিযুক্ত সরকারি কর্মীর অন্যান্য সংযোগের বিষয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। যা যা পদক্ষেপ নেওয়ার, তা-ও নেবে।

    অপরাধমূলক কার্যকলাপের তথ্য

    এদিকে, রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ কমিশনার মাইক ডুহেমের দাবি, তাদের কাছে ভারত সরকারের এজেন্টদের দ্বারা পরিচালিত নানা অপরাধমূলক কার্যকলাপের তথ্য রয়েছে। তিনি বলেন, “গত কয়েক বছরে ও সাম্প্রতিক কালে কানাডায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি সফলভাবে তদন্ত করেছে। এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্যক্তিকে হত্যা, তোলাবাজি-সহ অন্যান্য অপরাধমূলক কাজে সরাসরি জড়িত থাকার জন্য অভিযুক্ত করেছে। পান্নুনকাণ্ডে ইতিমধ্যেই ভারতীয় নাগরিক নিখিল গুপ্তাকে চেক প্রজাতন্ত্র থেকে প্রত্যর্পণ করে মার্কিন মুলুকে নিয়ে গিয়েছে নিউ ইয়র্ক পুলিশ।

    আরও পড়ুন: এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে পাকিস্তানে পৌঁছলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর

    প্রসঙ্গত, মার্কিন নাগরিক তথা খালিস্তানপন্থী নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার ছক কষার অভিযোগে চেক প্রজাতন্ত্রে গ্রেফতার করা হয়েছিল নিখিলকে। প্রায় এক বছর পরে চেক পুলিশ তাঁকে তুলে দেয় মার্কিন বিচার বিভাগের কাছে। পান্নুন হত্যার চেষ্টার মামলায় নিখিলকে আদালতে পেশ করা হয়। সেই মামলায় (Gupatwant Singh Pannun) নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন নিখিল (India Canada Row)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ram Mandir: মার্কিন মুলুকে পালিত ভারতীয় দিবস, প্যারেডে নজর কাড়ল রাম মন্দিরের ট্যাবলো

    Ram Mandir: মার্কিন মুলুকে পালিত ভারতীয় দিবস, প্যারেডে নজর কাড়ল রাম মন্দিরের ট্যাবলো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুষ্ঠানের নাম ‘ইন্ডিয়া ডে প্যারেড’ (India Day Parade)। আর সেখানে রাম মন্দির (Ram Mandir) থাকবে না, তা হয় নাকি? হয়নিও। মার্কিন মুলুকে ‘ইন্ডিয়া ডে প্যারেড’-এ সবার নজর কাড়ল রাম মন্দিরের ট্যাবলো। বিদেশে এভাবেই উদযাপিত হল ৪২তম বার্ষিক ‘ইন্ডিয়া ডে প্যারেড’। প্যারেড হয় ম্যাডিসন অ্যাভেনিউতে। প্যারেডে অংশ নেন হাজার হাজার মানুষ। যা দেখতে ভিড় জমে যায় রাস্তার দুধারে।

    রাম মন্দিরের ট্যাবলো (Ram Mandir)

    প্যারেডের পরতে পরতে তুলে ধরা হয়েছে ভারতীয় সংস্কৃতির চিত্র। জাতীয় পতাকার পাশাপাশি বাজানো হয়েছে ঢোল। প্রবাসী ভারতীয় ও তাদের শেকড়ের মধ্যে গভীর সম্পর্ক স্থাপনের যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছিল এই প্যারেডে। সেখানেই নজর কাড়ে রাম মন্দিরের ট্যাবলো। ট্যাবলোটি ছিল ১৮ ফুট লম্বা, চওড়ায় ৯ ফুট। উচ্চতা ৮ ফুট। ভারতে তৈরি এই ট্যাবলো পাঠানো হয়েছিল মার্কিন মুলুকে। প্রসঙ্গত, রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ বিতর্কের অবসান শেষে অযোধ্যায় গড়ে ওঠে রাম মন্দির। গত ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয় মন্দিরের। গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠিত হন রামলালা। তার পর থেকে অযোধ্যার এই মন্দির তামাম বিশ্বের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। নিউ ইয়র্কে দাঁড়িয়ে সেই মন্দিরই (হোক না রেপ্লিকা) দর্শন করলেন মার্কিন নাগরিকরাও।

    কী বলছে ভিএইচপি

    প্যারেডে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) ট্যাবলো প্রদর্শনের ব্যবস্থা করেছিলেন আমেরিকার বিশ্ব হিন্দু পরিষদ কর্তৃপক্ষ। তাদের বক্তব্য, হিন্দুদের ধর্মীয় স্থান উপস্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছে ট্যাবলোয়। উদ্দেশ্য, ভারত ও হিন্দুদের দেবতার মহিমা তুলে ধরা। অনুষ্ঠানের আয়োজক ‘দ্য ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশনস’ জানিয়েছে, এই প্যারেড ভারতের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র তুলে ধরে। জানা গিয়েছে, সপ্তাহান্তের এই প্যারেডে হাজির ছিল ৪০টি ফ্লোট, ৫০টি মার্চিং গ্রুপ এবং ৩০টি মার্চিং ব্যান্ড। প্যারেডে পা মিলিয়েছেন অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠী, সোনাক্ষী সিন‍্‍হা, বিজেপি অভিনেতা-সাংসদ মনোজ তিওয়ারিও। অনুষ্ঠানে ছিলেন স্বামী অবধেশানন্দ গিরিও।

    আরও পড়ুন: ভূস্বর্গে একলা লড়ার সিদ্ধান্ত বিজেপির, প্রচারে মোদি, শাহ, নাড্ডা, সিংহ

    কানাডায় তাণ্ডব খালিস্তানপন্থীদের

    আমেরিকায় ইন্ডিয়া ডে প্যারেড নির্বিঘ্নে উদযাপিত হলেও, কানাডায় কার্যত তাণ্ডব চালায় খালিস্তান পন্থীরা। ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে টরন্টোয় আয়োজন করা হয়েছিল শোভাযাত্রার। অভিযোগ, এই শোভাযাত্রায় হামলা চালায় খালিস্তানপন্থীরা। ছুরি দিয়ে ফালাফালা করে দেওয়া হয় ভারতের জাতীয় পতাকা (India Day Parade)। প্রবাসী ভারতীয়দের হুমকি দিয়ে (Ram Mandir) ‘গো ব্যাক টু ইন্ডিয়া’ স্লোগানও দেয় দুষ্কৃতীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share