Tag: Canada

Canada

  • Lawrence Bishnoi: নিজ্জর খুনে কানাডায় ধৃত ৩ শিখ, নেপথ্যে বিষ্ণোই গ্যাং?

    Lawrence Bishnoi: নিজ্জর খুনে কানাডায় ধৃত ৩ শিখ, নেপথ্যে বিষ্ণোই গ্যাং?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হরদীপ সিং নিজ্জর খুনে নয়া মোড়। তিনজনকে গ্রেফতার করল কানাডার পুলিশ। ধৃতদের নাম কমলপ্রীত সিং, করণপ্রীত সিং এবং করণ ব্রার। উল্লেখ্য যে, নিজ্জর নিজেও (Lawrence Bishnoi) শিখ সম্প্রদায়ের। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারাও শিখ। জানা গিয়েছে, ধৃতেরা গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত। এনআইএ জানিয়েছে, লরেন্স বিষ্ণোই, গোল্ডি ব্রার ও আরও কিছু গ্যংস্টারের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনালের।

    বিষ্ণোই এবং ব্রারের যোগ! (Lawrence Bishnoi)

    খালিস্তানপন্থী আরও কয়েকটি জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গেও যোগ রয়েছে বিষ্ণোই এবং ব্রারের। শিখ সম্প্রদায়ের তিনজন গ্রেফতার হওয়ায় এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, নিজ্জর খুন আসলে খালিস্তানপন্থীদের উপদলীয় কোন্দল। অথচ, নিজ্জর খুনে সংসদে দাঁড়িয়ে কোনও প্রমাণ ছাড়াই খোদ কানাডার প্রেসিডেন্ট জাস্টিন ট্রুডো বলেছিলেন, এই ঘটনায় ভারতের হাত রয়েছে। জানা গিয়েছে, তদন্তকারীরা অভিযুক্তদের চিহ্নিত (Lawrence Bishnoi) করার পর তাঁদের ওপর কড়া নজর রাখছিলেন। শেষমেশ শুক্রবার গ্রেফতার করা হয় তাদের। পুলিশ জানিয়েছে, হিট স্কোয়াডের এই সদস্যরা অন্তত তিনটি খুনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। এর মধ্যে এডমন্টন নামে বছর এগারোর এক বালকও রয়েছে। নির্জ্জর খুনে আদালতে ধৃতদের বিরুদ্ধে ফার্স্ট ডিগ্রি মার্ডার এবং ষড়যন্ত্রের চার্জ জমা দিয়েছে পুলিশ।

    আরও পড়ুুন: হামিদা বানুর লড়াইকে কুর্নিশ গুগল ডুডুলের, চেনেন এই মহিয়সীকে?

    স্টুডেন্ট ভিসায় ধৃতেরা কানাডায় 

    ধৃতেরা তিনজনই ভারতীয় নাগরিক। ২০২১ সালে তারা কানাডায় গিয়েছিল। এদের মধ্যে কেউ কেউ আবার স্টুডেন্ট ভিসায় সে দেশে গিয়েছিল। যদিও কানাডায় পৌঁছে তারা আর কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়নি। সে দেশের স্থায়ী বাসিন্দাও হয়নি। গত বছর ১৮ জুন খুন হন নিজ্জর। গুরু নানক শিখ গুরুদ্বার সাহিবের প্রধান ছিলেন তিনি। ভারতে তিনি ছিলেন মোস্ট ওয়ান্টেড খালিস্তানি জঙ্গি। কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশের সারে এলাকায় খুন হন তিনি। এই ঘটনার তিন মাস পরে ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন ট্রুডো। যার জেরে তলানিতে ঠেকে দুই দেশের সম্পর্ক। যদিও ভারত সরকার প্রথম থেকেই দাবি করে আসছিল এই ঘটনায় নয়াদিল্লির কোনও হাত নেই। এর পাশাপাশি সে দেশে বেড়ে চলা ভারত-বিরোধী আন্দোলনে রাশ টানতেও কানাডা প্রশাসনকে বলেছিল ভারত (Lawrence Bishnoi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • D Gukesh: দাবায় ইতিহাস! কনিষ্ঠতম হিসেবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে চ্যালেঞ্জ জানাবে ভারতের ডি গুকেশ

    D Gukesh: দাবায় ইতিহাস! কনিষ্ঠতম হিসেবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে চ্যালেঞ্জ জানাবে ভারতের ডি গুকেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে চ্যালেঞ্জ জানানোর যোগ্যতা অর্জন করলেন ভারতের ১৭ বছরের গুকেশ ডোম্মারাজু (D Gukesh)। বিশ্বের কনিষ্ঠতম হিসাবে এই কৃতিত্ব অর্জন করলেন তিনি। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ডিং লিরেনকে এই বছর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে (Chess) চ্যালেঞ্জ জানাবেন তিনি।

    গুকেশের সাফল্য

    কানাডার টরন্টোয় ক্যান্ডিডেটস দাবা প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন  হলেন গুকেশ। শেষ রাউন্ডে কালো ঘুঁটি নিয়ে গুকেশ ড্র করেন আমেরিকার গ্র্যান্ডমাস্টার হিকারু নাকামুরার সঙ্গে। ফ্যাবিয়ানো করুয়ানা এবং ইয়ান নেপমনিয়াচির ম্যাচ ড্র হওয়ার ফলে গুকেশের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য ড্র-ই দরকার ছিল।  ১৪ রাউন্ডের প্রতিযোগিতার পর সোমবার ভোরে চ্যাম্পিয়ন হন গুকেশ। শনিবার ভারতীয় তারকা হারিয়ে দিয়েছিলেন ফ্রান্সের আলিরেজো ফিরউজা-কে। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর গুকেশ বলেন, “ভাল লাগছে, স্বস্তি লাগছে। করুয়ানা আর নেপমনিয়াচির খেলা দেখছিলাম। তারপর আমার সেকেন্ড গ্রেগর গাজেভস্কির সঙ্গে একটু হাঁটতে বেরিয়েছিলাম। সেটা দারুন সাহায্য করেছে।” ক্যান্ডিডেটস দাবায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুবাদে ৮৮,৫০০ ইউরো পুরস্কার মূল্য পেলেন গুকেশ (D Gukesh)।

    আরও পড়ুন: ‘বিজেপি একাই পেতে পারে ৩৫০টি আসন’, দাবি শীর্ষ অর্থনীতিবিদের

    আনন্দিত আনন্দ

    গুকেশের (D Gukesh) এই সাফল্যে আনন্দিত তাঁর মেন্টর কিংবদন্তি বিশ্বনাথন আনন্দ। তিনি বলেন, “কনিষ্ঠতম চ্যালেঞ্জার এখন গুকেশ। অভিনন্দন। আনন্দ অ্যাকাডেমির সবাই তোমার জন্য গর্বিত। যে ভাবে কঠিন পরিস্থিতিগুলোর মোকাবিলা করেছ তার জন্য ব্যক্তিগত ভাবে আমিও খুব গর্বিত। মুহূর্তটা উপভোগ কর।”

    বিশ্বনাথন আনন্দের পর দ্বিতীয় ভারতীয় হিসাবে ক্যান্ডিডেটস দাবায় চ্যাম্পিয়ন হলেন গুকেশ। আনন্দ আরও বলেন,‘‘এই ১৭ বছরের ছেলেটা যে কী করতে পারে, তা কেউ কল্পনাও করতে পারবেন না। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফল যা-ই হোক না কেন, গুকেশ (D Gukesh) যা করবে সেটাই ভারতীয় দাবার ইতিহাসে নতুন অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।’’ নিজের মেন্টর আনন্দকে আগেই ছাপিয়ে গিয়েছিলেন গুকেশ। ভারতের এক নম্বর দাবাড়ু হিসেবে নিজের ছাপ রেখেছেন গুকেশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • India Canada Relation: ‘ভারত নয়, কানাডার ভোটে নাক গলিয়েছে চিন’, দাবি সেদেশেরই গোয়েন্দা সংস্থার

    India Canada Relation: ‘ভারত নয়, কানাডার ভোটে নাক গলিয়েছে চিন’, দাবি সেদেশেরই গোয়েন্দা সংস্থার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডার সাধারণ নির্বাচনে নাক গলিয়েছে চিন। একবার নয়, অন্তত দু’বার ড্রাগনের দেশ প্রভাবিত করেছে কানাডার ভোটারদের। যে ভারতের বিরুদ্ধে বিদ্বেষের মনোভাব তৈরি হয়েছে কানাডায়, সে নয়াদিল্লি (India Canada Relation) মাথাই ঘামায়নি কানাডার নির্বাচন নিয়ে। সম্প্রতি এই মর্মে রিপোর্ট দিল কানাডার গোয়েন্দা সংস্থা ‘কানাডিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস’।

    গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট (India Canada Relation)

    কানাডার এই সংস্থা সাফ জানিয়েছে, গত দু’টি সাধারণ নির্বাচনে নাক গলিয়েছে কানাডা। এই দুই নির্বাচনেই জয়ী হয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। সংসদে যাঁর একটি বিরূপ মন্তব্যের জেরে সম্প্রতি তলানিতে ঠেকেছে ভারত-কানাডার সুসম্পর্ক (India Canada Relation)। কানাডার ওই গোয়েন্দা সংস্থা সম্প্রতি ‘ব্রিফিং টু দ্য প্রাইম মিনিস্টার্স অফিস অন ফরেন ইন্টারফারেন্স থ্রেটস টু কানাডাজ ডেমক্রেটিক ইনস্টিটিউশনস’ শীর্ষক একটি ডক্যুমেন্ট তৈরি করেছে।

    প্রতারণা করেছে চিন!

    সেখানেই বলা হয়েছে, “আমরা জানি পিপলস রিপাবলিক অফ চায়না গোপনে ও প্রতারণামূলকভাবে ২০১৯ ও ২০২১ সালের সাধারণ নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছে।” ওই ডক্যুমেন্টে আরও বলা হয়েছে, “২০২১ সালের নির্বাচন মনিটরিং করছিলেন প্রবীণ আধিকারিকরা। তাঁরাও ঘূণাক্ষরে জানাননি যে ভারত কোনওভাবেই ওই নির্বাচন প্রভাবিত করার চেষ্টা করেনি।” অথচ কিছু দিন আগে কানাডার এই গোয়েন্দা সংস্থাই দাবি করেছিল, ভারত ও পাকিস্তান প্রাচ্যের এই দুই দেশ কানাডায় উনিশ ও একুশের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছিল (India Canada Relation)।

    কানাডার এই গোয়েন্দা সংস্থার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভারত সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, ভারত অন্য কোনও দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলায় না। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “কানাডার নির্বাচনে ভারতের হস্তক্ষেপের যে অভিযোগ উঠেছিল, তা যে সর্বৈব ভিত্তিহীন, তা আমরা আগেই জানিয়েছিলাম। অন্য দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ভারত হস্তক্ষেপ করবে, এমন নীতি আমাদের নয়। প্রকৃতপক্ষে, কানাডাই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অনধিকার চর্চা করে।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘নাক গলাব না, আলোচনায় মিটিয়ে নিন’’, পাকিস্তানকে বার্তা মার্কিন প্রশাসনের

    চিন ছাড়াও রাশিয়া এবং ইরানও কানাডার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলায় বলে অভিযোগ করা হয়েছে কানাডার গোয়েন্দা সংস্থার ওই ডক্যুমেন্টে (India Canada Relation)। প্রসঙ্গত, চিন যে অন্য দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করে, ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করে সম্প্রতি অন্য একটি রিপোর্টেও দাবি করা হয়েছিল। চলতি বছরই নির্বাচন রয়েছে ভারত ও আমেরিকায়। চিন এই দুই দেশের ভোটারদের প্রভাবিত করতে পারে বলে সতর্ক করেছিল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা (India Canada Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Canada: ‘‘ট্রুডো যে অভিযোগ এনেছেন, তাতে ভারত নয়, কানাডারই বিপদ বেশি’’, মত প্রাক্তন পেন্টাগন কর্তার

    Canada: ‘‘ট্রুডো যে অভিযোগ এনেছেন, তাতে ভারত নয়, কানাডারই বিপদ বেশি’’, মত প্রাক্তন পেন্টাগন কর্তার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খালিস্থানপন্থী জঙ্গিদের আশ্রয় দানের প্রসঙ্গে ভারত কানাডা (Canada) কূটনৈতিক বিবাদ চরম আকার ধারন করেছে। এই আবহে প্রাক্তন মার্কিন প্রতিরক্ষা আধিকারিক মাইকেল রুবিনের মন্তব্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রাক্তন পেন্টাগন কর্তা এদিন বিবৃতি দেন, ‘‘ট্রুডো যে অভিযোগ এনেছেন, তাতে ভারত নয়, কানাডারই বিপদ বেশি।’’ পাশাপাশি তাঁকে বলতে শোনা যায়,  ‘‘ভারত কানাডার লড়াই হল পিঁপড়ে ও হাতির লড়াই।’’

    কী বললেন মার্কিন প্রতিরক্ষা আধিকারিক

    এক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রুবিন বলেন, “সত্যি কথা বলতে গেলে এই লড়াইতে ভারতের চেয়ে কানাডার (Canada) বিপদ অনেক বেশি। এখন কানাডা যদি যুদ্ধটা চালিয়ে যায়, তাহলে পিঁপড়ে হাতির সঙ্গে লড়াই করলে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়, সেটাই হবে।” কানাডার থেকে ভারত যে আমেরিকার বেশি ভাল বন্ধু, সেকথাও এদিন বলতে শোনা যায় তাঁকে। এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রাক্তন মার্কিন কূটনীতিক বলেন, “এটা মনে রাখতে হবে যে চিন ইস্যুতে কৌশলগত দিক থেকে কানাডার (Canada) চেয়ে ভারত অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ইন্দো-প্রশান্ত ও ভারত মহাসাগরীয় এলাকায় দাদাগিরি চালিয়ে যাচ্ছে বেজিং। সেটা বন্ধ করতে গেলে ভারতের মতো বন্ধু দেশের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করা একেবারেই উচিত হবে না।” পাশাপাশি এদিন জাস্টিন ট্রুডোকেও তুলোধোনা করেন মাইকেল রুবিন। প্রসঙ্গত, সেদেশে ট্রুডো ব্যাপকভাবে জনসমর্থন হারিয়েছেন। সেখানকার সংবাদপত্রগুলির প্রতিবেদনে তা বলাও হয়েছে। এই আবহে সমর্থন ফেরাতে শিখ উগ্রপন্থীদের আশ্রয়দানের অভিযোগও উঠেছে ট্রুডোর বিরুদ্ধে। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে রুবিন বলেন, ‘‘ওনার প্রধানমন্ত্রীত্ব (ট্রুডো) আর বেশি দিন নেই। উনি চলে যাওয়ার পর আমেরিকার সঙ্গে কানাডার সম্পর্ক আবার ভাল হবে।’’

    ভারত-কানাডা কূটনৈতিক বিবাদ 

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৮ জুন খালিস্থানপন্থী জঙ্গি নিজ্জরকে হত্যা করা হয় কানাডায় (Canada)। এই ঘটনায় কানাডার সংসদে দাঁড়িয়ে ভারতের যোগের কথা বলেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী। এর পাশাপাশি ভারতের এক শীর্ষ কূটনীতিককে সেদেশ থেকে বহিষ্কারও করে কানাডা। পাল্টা হিসেবে এদেশে থাকা কানাডার এক কূটনীতিককে বহিষ্কার করে দিল্লি। এ নিয়ে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে চাপানউতোর শুরু হয়। সম্পর্ক এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে ভারত শেষ পর্যন্ত কানাডার (Canada) ভিসাও বাতিল করে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Canada: কানাডায় মৃত্যু আরেক খালিস্তানি জঙ্গির, ভারত-বিরোধী শক্তির নয়া ঘাঁটি ট্রুডোর দেশ?

    Canada: কানাডায় মৃত্যু আরেক খালিস্তানি জঙ্গির, ভারত-বিরোধী শক্তির নয়া ঘাঁটি ট্রুডোর দেশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতবিরোধী সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের আতুঁড়ঘর হয়ে উঠেছে কানাডা (Canada)। আগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই শুধুমাত্র এমন অভিযোগ আনা হতো। সম্প্রতি নানা ঘটনায় ভারত বিরোধী ষড়যন্ত্রে কানাডার মাটি ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। এনিয়ে জাস্টিন ট্রুডোদের দেশকে চরম হুঁশিয়ারিও দিয়েছে নয়া দিল্লি। কানাডা সরকারের কাছে বারবার অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও কোনওরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, এমনই অভিযোগ দিল্লির। সন্ত্রাসবাদীরা ভারত ছেড়ে পালানোর পর তাদের নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে বেছে নিচ্ছে কানাডাকে। ভারত বিরোধী জঙ্গি এবং গ্যাংস্টারদের আস্তানা এখন তাই কানাডা (Canada)। ইতিমধ্যে এনআইএ তরফে বুধবারই ৩৩ জন মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসবাদীর তালিকা কানাডা সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ওই সন্ত্রাসবাদীরা প্রত্যেকেই কানাডায় আশ্রয় নিয়েছে বলে খবর। তারই মধ্যে বুধবার কানাডায় মৃত্যু হয়েছে এক খালিস্তানি জঙ্গির। 

    কানাডাতে আশ্রয় নেওয়া সন্ত্রাসবাদীদের ছবি সহ নাম প্রকাশ এনআইএ-এর 

    কানাডাতে (Canada) আশ্রয় নেওয়ার জঙ্গিদের লিস্ট নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে প্রকাশ করেছে এনআইএ, ছবি সহ ওই লিস্টে নাম দেখা যাচ্ছে  লরেন্স বিষ্ণোই, জসদীপ সিংহ, কালা জাথেরি ওরফে সন্দীপ, বীরেন্দ্র প্রতাপ ওরফে কালা রানা এবং জোগিন্দর সিংহের মতো কুখ্যাত গ্যাংস্টার ও অপরাধীদের। অন্যদিকে গতকালই খালিস্তানি জঙ্গি সুখদল সিং-এর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। গ্যাংস্টারদের এই আভ্যন্তরীণ লড়াইয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    ২০১৭ সালে পাঞ্জাব থেকে কানাডায় পালায় সুখা

    জানা গিয়েছে, কানাডা (Canada) নিবাসী অন্যতম মাফিয়া অর্শদীপ সিংয়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিল সুখা। জাল নথিপত্র বানিয়ে ভারত থেকে পালিয়ে যায় সে। ২০১৭ সালেই পাঞ্জাব থেকে কানাডায় আশ্রয় নেয় সুখা। অন্যদিকে এর আগেই কানাডার মাটিতেই গোষ্ঠী সংঘর্ষে খুন হয় খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং। এই ঘটনায় কানাডা সরকার ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র’য়ের ভূমিকা রয়েছে বলে সোমবারই অভিযোগ করে। যার পরে ভারত এবং কানাডার কূটনৈতিক সম্পর্কে চাপানউতোর শুরু হয়। শুধু তাই নয় এক ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করে কানাডা। তারপরেই পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে কানাডার (Canada) এক শীর্ষ কূটনীতিককে পাঁচদিনের মধ্যে ভারত ছাড়তে নির্দেশ দেয় দিল্লি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Khalistan Movement: তেরঙ্গায় ছাইল আকাশ! কানাডার দূতাবাসে খালিস্তানিদের আটকাল প্রবাসীরা

    Khalistan Movement: তেরঙ্গায় ছাইল আকাশ! কানাডার দূতাবাসে খালিস্তানিদের আটকাল প্রবাসীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খালিস্তানপন্থীদের বিরুদ্ধে পালটা পথে নামল প্রবাসী ভারতীদের একাংশ। শনিবার টরন্টোয় ভারতীয় কনসুলেটের (Indian Consulate) সামনে জাতীয় পতাকা হাতে চলে আসেন তাঁরা। নেতার খুনে সুবিচারের দাবিতে কানাডার (Canada) ভারতীয় দূতাবাসে বিক্ষোভের পরিকল্পনা ছিল খলিস্তানিদের। কিন্তু বিক্ষোভ শুরু হওয়ার আগেই থামিয়ে দিলেন সেদেশের ভারতীয়রা। তাঁদের তেরঙ্গার ভিড়ে হারিয়ে গেল খলিস্তানিদের (Khalistan Movement) হলুদ পতাকা।

    প্রবাসী ভারতীয়দের প্রতিরোধ

    বেশ কয়েকদিন আগেই খলিস্তানিদের তরফে ঘোষণা করা হয়, ব্রিটেনে নিহত নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের মৃত্যুর সুবিচার চান তাঁরা। এই খুনের নেপথ্যে ভারতের হাত রয়েছে বলেই দাবি খলিস্তানিদের। সেই কারণেই ভারতীয় দূতাবাসের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচির পরিকল্পনা করে তারা।

    উল্লেখ্য, খালিস্তানপন্থীদের এবারের মিছিল ঘিরে অশান্তির আশঙ্কা থাকায় কনসুলেটের সামনে বাহিনী মোতায়েন করেছিল কানাডা সরকার। তবে এবার জাতীয় পতাকা হাতে খলিস্তানিদের রুখে দিতে প্রবাসী ভারতীয়েরা নিজেরাই এগিয়ে আসেন। তেরঙ্গা উড়িয়ে একেবারে খলিস্তানিদের মুখোমুখি হন তাঁরা। রাস্তার দু’দিকে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ। একে অপরের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করেন। খালিস্তানি সমর্থক ও প্রবাসী ভারতীয়রা মুখোমুখি চলে এলে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারন করে। ভারতীয়দের পোস্টারে লেখা ছিল, “খলিস্তানিরা প্রকৃত শিখ নন।” ভারতীয় দূতাবাসের সামনে জড়ো হয়ে ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’, ‘লং লিভ ইন্ডিয়া’র মতো স্লোগানও দেন ভারতীয়রা।

    আরও পড়ুন: “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কানাডা সব সময় পদক্ষেপ করেছে”, বললেন ট্রুডো

    ক্ষুব্ধ ভারত

    বিদেশের মাটিতে, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ব্রিটেন এবং অস্ট্রেলিয়ায় খলিস্তানিদের ভারত বিরোধী তৎপরতা (Khalistani activity) দিন দিন বাড়ছে। বিগত কয়েক মাস যাবৎ তা ক্রমে হিংসাত্মক ঘটনার রূপ নিয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই ভারত (India) সরকার সংশ্লিষ্ট দেশগুলির কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছে। কিন্তু গত সপ্তাহে ওই চার দেশে খলিস্তানিরা অবাধে ভারত-বিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করায় ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয় থেকে আগাম ওই চার দেশকে বলা হয়েছিল, খলিস্তানিদের স্বাধীনতা মিছিলের যেন অনুমতি না দেওয়া হয়। কারণ তা ভারতের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার পরিপন্থী। বিদেশের মাটিতে খালিস্তানিদের তাণ্ডব নিয়ে ইতিমধ্যেই কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে নয়াদিল্লি। অন্যদিকে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Canada: কানাডায় রামমন্দিরের দেওয়ালে মোদির বিরুদ্ধে স্লোগান লিখল দুষ্কৃতীরা

    Canada: কানাডায় রামমন্দিরের দেওয়ালে মোদির বিরুদ্ধে স্লোগান লিখল দুষ্কৃতীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার কানাডার (Canada) মিসিসাগায় একটি রাম মন্দিরের দেওয়ালে  ভারত-বিরোধী স্লোগান লেখার অভিযোগ উঠল অজ্ঞাত পরিচিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি বিবিসি-র তথ্যচিত্র অনুযায়ী দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সন্ত্রাসী ঘোষণা করার কথাও লেখা হয়েছে সেখানে। যে তিনটি স্লোগান রামমন্দিরের দেওয়ালে নজরে পড়ছে, সেগুলি হল ‘মোদিকে সন্ত্রাসী ঘোষণা কর’, ‘সন্ত ভিন্দ্রাওয়ালা হলেন শহীদ’ এবং ‘হিন্দুস্তান মুর্দাবাদ’।

    প্রতিবাদে সরব সব মহল

    ব্রাম্পটনের মেয়র এই ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ট্যুইট করেছেন

    <

    এই ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ট্যুইট করা হয়েছে ভারতের কনস্যুলেট জেনারেলের পক্ষ থেকে। ট্যুইটে লেখা হয়েছে,  মিসিসাগায় রাম মন্দিরের দেওয়ালে ভারত-বিরোধী স্লোগান লেখার ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। আমরা এখানকার কর্তৃপক্ষকে ঘটনার তদন্ত করতে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

    তবে জানা যাচ্ছে, কানাডায় (Canada)  মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে সেদেশে। ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে, ব্র্যাম্পটনে শ্রী গৌরী শঙ্কর মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটে। কানাডার ভারতীয় বংশোদ্ভূত সংসদ সদস্য চন্দ্র আর্য, ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সেখানকার পার্লামেন্টে বিষয়টি উত্থাপন করেন।

    <My statement in Canadian parliament today on the recent hate crime on Gouri Shankar Hindu Mandir in Brampton pic.twitter.com/8RX92dYjxQ

    — Chandra Arya (@AryaCanada) February 1, 2023

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • S Jaishankar: “আমেরিকা করলেও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেনি কানাডা”, ক্ষোভ জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: “আমেরিকা করলেও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেনি কানাডা”, ক্ষোভ জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করছে আমেরিকা। করছে তদন্তও। তবে এ ব্যাপারে কোনও পদক্ষপ করছে না কানাডার জাস্টিন ট্রুডোর সরকার।” সোমবার এমনই মন্তব্য করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। গত কয়েক মাসে কানাডা ও আমেরিকায় ভারতীয় হাইকমিশনে হামলা চালিয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। হামলা চালানো হয়েছে হিন্দু মন্দিরেও। তার পরেই বাইডেন সরকার পদক্ষেপ করলেও, করেনি ট্রুডো সরকার। সোমবার এ নিয়ে মুখ খুলেছেন জয়শঙ্কর। ভারত-কানাডা সম্পর্ক এবং খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী সমস্যা নিয়েও সোচ্চার হয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী।

    কী বললেন জয়শঙ্কর?

    জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, “আমাদের রাষ্ট্রদূতদের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। তাঁদের প্রাণহানির ঝুঁকি ছিল। তাই আমরা কানাডার নাগরিকদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিলাম। এখন অবশ্য ভিসা দেওয়া ব্যবস্থা প্রায় স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। আসলে বাক স্বাধীনতার নামে কূটনীতিকদের ভয় দেখানো যায় না।” তিনি বলেন, “এটা বাক স্বাধীনতার অপব্যবহার বলে আমি মনে করি।  হাইকমিশনারদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। তাঁদের কোনও নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে না। ভারতের পতাকা নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমার প্রশ্ন হল, এটাকে কী বাক স্বাধীনতা বলা যায়?”

    বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে

    তিনি বলেন, “আমেরিকায়ও একই ধরনের হামলা হয়েছিল। সেই দেশে এই ঘটনার তদন্ত চলছে। যদি কানাডা কোনও পদক্ষেপ না করে, তবে সেটাকে একটা বার্তা হিসেবেই পড়তে হবে। যারা আমাদের কূটনীতিকদের হুমকি দিয়েছে, যারা তাঁদের বিরুদ্ধে পোস্টার সাঁটিয়েছে, সেই সব বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে।”

    আরও পড়ুুন: কেষ্ট গড়ে ধাক্কা খেল শাসক দল, তৃণমূলের যুব নেতা যোগ দিলেন বিজেপিতে

    জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা আশা করি, সানফ্রান্সিসকোয় যেসব কালপ্রিট আমাদের কনস্যুলেটে হামলা চালিয়েছিল, তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা হবে। আমরা আশা করি লন্ডনে আমাদের হাইকমিশনে যারা হামলা চালিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধেও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা এও আশা করি, কানাডায় যারা আমাদের কূটনীতিকদের হুমকি দিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    প্রসঙ্গত, গত বছর ১৯ মার্চ লন্ডনের ভারতীয় হাইকমিশনে হামলা চালিয়েছিল খালিস্তানপন্থী দুষ্কৃতীরা। ওই বছরেরই জুলাই মাসে সান সানফ্রান্সিসকোয় ভারতীয় দূতাবাসে হামলা হয়েছিল। আর সেপ্টেম্বরে কানাডায় ভারতীয় কূটনীতিকদের হুমকি দিয়েছিল (S Jaishankar) বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: গত ৬ বছরে কানাডায় ৯১ ভারতীয় পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে, লোকসভায় জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: গত ৬ বছরে কানাডায় ৯১ ভারতীয় পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে, লোকসভায় জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ছ’বছরে বিদেশে পড়তে গিয়ে সব মিলিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪০৩ ছাত্রের। এর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে কানাডা। যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে দুর্ঘটনায়, কয়েকজনের মেডিক্যাল কন্ডিশনের কারণ এবং কয়েকজনের ন্যাচারাল কারণে।

    কানাডায় মৃত্যু ৯১ জন ছাত্রের

    জানা গিয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত কানাডায় মৃত্যু হয়েছে ৯১ জন ছাত্রের। তার পরেই রয়েছে ব্রিটেন। এখানে মৃত্যু হয়েছে ৪৮ জনের। শুক্রবার লোকসভায় এই তথ্য জানালেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। বিদেশমন্ত্রী বলেন, “ভিন দেশে পড়তে যাওয়া ভারতীয় ছাত্রদের কল্যাণই রয়েছে সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায়।” জয়শঙ্কর বলেন, “মন্ত্রকের তরফে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ৪০৩ জন ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বিদেশে পড়তে গিয়ে। ২০১৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত এই ছাত্রদের মৃত্যু হয়েছে।”

    কী বললেন বিদেশমন্ত্রী?

    বিদেশমন্ত্রী জানান, বিদেশে পড়তে গিয়ে ভারতীয় ছাত্রছাত্রীরা যেসব সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, সেগুলির সমাধানই আশু লক্ষ্য সরকারের। এই ছ’বছরে যেসব পড়ুয়ার বিভুঁইয়ে মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের তালিকাও দিয়েছেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি জানান, কানাডায় মৃত্যু হয়েছে ৯১ জনের, ব্রিটেনে মৃত্যু হয়েছে ৪৮ জনের। রাশিয়ায় পড়তে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৪০ জন। আমেরিকায় মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের। অস্ট্রেলিয়ায় মারা গিয়েছেন ৩৫ জন। ইউক্রেনে মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের। আর জার্মানিতে মারা গিয়েছেন ২০ জন। সাইপ্রাসে মারা গিয়েছেন ১৪ জন ভারতীয়। ফিলিপিন্স ও ইটালিতে মারা গিয়েছেন ১০ জন করে। কাতার, কিরঘিস্তান এবং চিনে মৃত্যু হয়েছে ৯ জন করে ভারতীয়ের।

    আরও পড়ুুন: “আব কি বার ৪০০ পার…”! খাড়্গের মুখে বিজেপির স্লোগান শুনে কী করলেন মোদি?

    বিদেশ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ভি মুরলীধরণ বলেন, “প্যালেস্তাইনের প্রতি ভারতের নীতি দীর্ঘ মেয়াদি এবং একই রয়েছে।” তিনি বলেন, “ইজরায়েল এবং প্যালেস্তাইনের সমাধান হোক আলোচনার মাধ্যমে। প্যালেস্তাইন একটি সার্বভৌম, স্বাধীন রাষ্ট্র হোক। নির্দিষ্ট সীমান্তও তৈরি হোক। পড়শি দুই দেশই থাকুক শান্তিতে।” তিনি জানান, অক্টোবরের সাত তারিখে হামাস যে ইজরায়েলের ওপর হামলা চালিয়েছে এবং তাতে যে বহু নিরীহ মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তার প্রতিবাদ করেছে ভারত। মন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, “প্রতিবেশী দুই দেশের দ্বন্দ্বের অবসানে শান্তিপূর্ণ সমাধান ও আলাপ-আলোচনা ও কূটনৈতিক স্তরে কথাবার্তা চলুক।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Canada: ভারত মাতা মন্দিরের পর কানাডার ‘খালিস্তান গড়ে’ বসছে ৫৫ ফুট হনুমানজির মূর্তি

    Canada: ভারত মাতা মন্দিরের পর কানাডার ‘খালিস্তান গড়ে’ বসছে ৫৫ ফুট হনুমানজির মূর্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডায় হরদীপ সিং নিজ্জর খুনের জেরে ঘটেছিল ভারত-কানাডা সম্পর্কের অবনতি। তবে সম্পর্কে সুসময় বোধহয় ফিরছে। খুব শীঘ্রই কানাডায় (Canada) বসতে চলেছে ৫৫ ফুট উঁচু হনুমানজির মূর্তি। আগামী বছরের এপ্রিলে ওই মূর্তি বসবে। রাজস্থানের ভাস্কর নরেশ কুমায়ত তৈরি করছেন মূর্তিটি। খরচ জোগাবে স্থানীয় মন্দির কর্তৃপক্ষ। কানাডার ব্রাম্পটনে রয়েছে হিন্দু সভা মন্দির। ২৩ এপ্রিল হনুমান জয়ন্তী। এদিনই একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্বোধন হবে নরেশের হাতে গড়া ওই মূর্তির।

    খালিস্তানপন্থী কার্যকলাপ

    ব্রাম্পটন এলাকাটি গ্রেটার টরন্টো এরিয়ার অন্তর্ভুক্ত। এলাকাটি সম্প্রতি পরিচিতি পেয়েছে খালিস্তানপন্থীদের কার্যকলাপ বেড়ে যাওয়ায়। দীপাবলি পালনকে কেন্দ্র করে দীপান্বিতা অমাবস্যার দিন স্থানীয় হিন্দুদের সঙ্গে খালিস্তানপন্থীদের মধ্যে উত্তেজনাও ছড়িয়েছিল (Canada)। তার আগে ভারত মাতা মন্দির চত্বরে ভারতীয় কূটনীতিক ও গৌরী শঙ্কর মন্দিরের গায়ে ভারত বিরোধী স্লোগান লেখাকে কেন্দ্র করেও উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। কানাডার এই হনুমানজির মূর্তিই শুধু নয়, রাজস্থানের নরেশের রয়েছে আরও একাধিক উল্লেখযোগ্য কীর্তি। বিশ্বের ৮০টি দেশে ২০০-র বেশি স্থাপত্যকীর্তি ছড়িয়ে রয়েছে তাঁর।

    নরেশের কীর্তি 

    কানাডারই ‘ভয়েস অফ বেদাস’ মন্দিরে রয়েছে নরেশেরই গড়া ৫০ ফুটের হনুমানজির একটি স্ট্যাচু। সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রজেক্টে দিল্লিতে ৭৫ ফুট উঁচু সমুদ্র মন্থনের যে ম্যুরাল রয়েছে, সেটিও নরেশেরই তৈরি। স্বামী বিবেকানন্দ, ডঃ সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ইন্দিরা গান্ধী, মহাত্মা গান্ধী, মার্টিন লুথার কিং এবং নেলসন ম্যান্ডেলার মূর্তিও তৈরি করেছেন রাজস্থানের এই শিল্পী। রাজস্থানের নাথওয়াড়ায় শোভা পাচ্ছে তাঁর তৈরি ৩৬৯ ফুটের শিবের স্ট্যাচু। এই মূর্তির নাম লেখা হয়েছে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে। হিমাচল প্রদেশের সোলানের ১৫৬ ফুটের হনমানজির মূর্তিটিও তৈরি নরেশের হাতে।

    আরও পড়ুুন: সংসদের বাইরে গায়ে আগুন লাগানোর ছক কষেছিল লোকসভাকাণ্ডে ধৃত সাগর!

    লিমকা বুক অফ রেকর্ডসে ঠাঁই করে নিয়েছে নরেশের এই কীর্তি। শিমলার জাকু মন্দিরে রয়েছে নরেশেরই হাতে গড়া ১০৮ ফুটের হনুমানজির মূর্তি। কেবল স্বদেশ নয়, রাজস্থানের এই শিল্পীর ভাস্কর্য শোভা পাচ্ছে আমেরিকা, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, পোল্যান্ড, সিসিলিস, মরিশাস, দুবাই, ওমান এবং রাশিয়ায়ও। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকুলামে রয়েছে ১৮০ ফুট হনুমানজির মূর্তি। এটিরও (Canada) রূপদান করেছেন নরেশ। প্রসঙ্গত, কানাডায় খুন হন নিজ্জর। অভিযোগের আঙুল ওঠে ভারতের দিকে। তার পরেই অবনতি হয় ভারত-কানাডা সম্পর্কে।

    ভারত-কানাডা তলিয়ে যাওয়া সম্পর্কে সুদিন ফিরছে নরেশের হাত ধরে?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share