Tag: Canada

Canada

  • S Jaishankar: ‘‘অন্য দেশ থেকে বাক স্বাধীনতা শিখতে যাব না’’, কানাডার উদ্দেশে কড়া বার্তা জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘‘অন্য দেশ থেকে বাক স্বাধীনতা শিখতে যাব না’’, কানাডার উদ্দেশে কড়া বার্তা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাক স্বাধীনতা নিয়ে ট্রুডো সরকারকে তুলোধনা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। শুক্রবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে এক অনুষ্ঠানে বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, “মত প্রকাশের স্বাধীনতা কাকে বলে, তা অন্যের থেকে শেখার দরকার নেই। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র রয়েছে ভারতে। ফলে বাক স্বাধীনতার গুরুত্ব আমরা ভালোভাবেই জানি।”  

    কী বললেন জয়শঙ্কর

    পাঁচদিনের মার্কিন সফরে গিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। সেখানেই শনিবার ফের তিনি বলেন, “আমরা গণতন্ত্রে বাস করি। বাক স্বাধীনতা কী, তা আমাদের অন্য কোনও দেশের কাছ থেকে শেখার প্রয়োজন নেই। আমাদের মনে হয় না বাক স্বাধীনতা কোনও ধরনের হিংসায় উসকানি দিতে পারে না। আমাদের কাছে তা স্বাধীনতার অপব্যবহার, স্বাধীনতা রক্ষা নয়।” সান ফ্রান্সিসকোয় ভারতীয় কনসুলেটে বসে বিদেশমন্ত্রী কানাডায় ভারতীয় রাষ্ট্রদূতদের খালিস্তানি হুমকি দেওয়া প্রসঙ্গেও কথা বলেন। তিনি বলেন, “আপনারা যদি আমার জায়গায় থাকতেন, তবে কী করতেন? যদি আপনাদের দূতাবাসে, আপনাদের রাষ্ট্রদূতদের হুমকি দেওয়া হত, তাহলে আপনারা কী করতেন?”

    আরও পড়ুন: জঙ্গি-নেতা হাফিজ সইদের সন্ত্রাসী ছেলেকে অপহরণ করে হত্যা! তোলপাড় পাকিস্তানে

    বিদেশমন্ত্রীর দাবি

    বিদেশমন্ত্রীর কথায়, “গত ১০ বছরে শিখদের সমস্যা সমাধান করতে নিরলসভাবে চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদের মধ্যে অল্প কয়েকজনই বিচ্ছিন্নতাবাদ ও সন্ত্রাসবাদের কথা বলছে। এটাকে গোটা সম্প্রদায়ের সমস্যা বলে ভাবা ঠিক নয়। নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এটা দেখা উচিত।” উল্লেখ্য, কানাডার সঙ্গে সংঘাতের আবহে গতকাল মার্কিন বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন জয়শংকর। এই প্রসঙ্গে আমেরিকার দৃষ্টিভঙ্গির সমালোচনা করেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, “মার্কিনিরা এই সমস্যার দিকে সেভাবে নজর দিচ্ছেন না। আমরা কানাডার দিকে তাকালে সেখানে হিংসা, বিচ্ছিন্নতাবাদ আর সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দেওয়ার মতো ঘটনা দেখতে পাই। আর আমেরিকানরা তাকালে অন্য কিছু দেখতে পান। যদি কেউ বলেন, এটা জি-৭ ভুক্ত দেশে ঘটতে পারে, তবে সেটা অন্য কিছু ভাবার ইঙ্গিত দেয়।” 

    স্কটল্যান্ডে ভারতীয় হাই কমিশনারকে বাধা 

     এবার স্কটল্যান্ডে দেখা গেল খলিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সক্রিয়তা। তাঁদের নিশানায় ব্রিটেনে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দুরাইস্বামী। ব্রিটেনের ভারতীয় হাই কমিশন সূত্রের খবর, শুক্রবার দুরাইস্বামীকে স্কটল্যান্ডের একটি গুরুদ্বারে প্রবেশ করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হয়। ভারতীয় হাই কমিশনারকে গুরুদ্বার পরিচালন সমিতির কয়েক জন সদস্য জানিয়ে দেন, তিনি স্বাগত নন। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ভারতে নিষিদ্ধ বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘শিখস ফর জাস্টিস’ (Sikhs for Justice)-এর সমর্থকেরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • US India Meet: জয়শঙ্কর-ব্লিঙ্কেন বৈঠকে উঠলই না নিজ্জর খুনের প্রসঙ্গ, হতাশ ট্রুডোর দেশ!

    US India Meet: জয়শঙ্কর-ব্লিঙ্কেন বৈঠকে উঠলই না নিজ্জর খুনের প্রসঙ্গ, হতাশ ট্রুডোর দেশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ধাক্কা খেলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো! খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর খুনে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন তিনি। ভেবেছিলেন, পাশে পাবেন বন্ধু আমেরিকাকে। দিন কয়েক আগে বুক বাজিয়ে বলেওছিলেন, ব্লিঙ্কেন-জয়শঙ্কর বৈঠকে (US India Meet) অবশ্যই উঠবে নিজ্জর খুনের প্রসঙ্গ। বৃহস্পতিবার পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক হয় মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে। সূত্রের খবর, দ্বিপাক্ষিক এই বৈঠকে নানা বিষয় আলোচনা হলেও, ওঠেনি নিজ্জর প্রসঙ্গ।   

    আলোচনা ইতিবাচক, বলছে আমেরিকা 

    ভারত আমেরিকার ‘বিশেষ কৌশলগত মিত্র’। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই কারণে নয়াদিল্লিকে চটাতে চায়নি জো বাইডেনের দেশ। তাই জয়শঙ্কর ব্লিঙ্কেন বৈঠকে ওঠেনি নিজ্জর খুনে কানাডার অভিযোগের প্রসঙ্গ। এদিন বৈঠক শেষে মার্কিন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, “প্রতিরক্ষা, মহাকাশ গবেষণা এবং দুষণমুক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।”

    জয়শঙ্কর-সালিভান বৈঠক

    এদিন জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভানও। বৈঠকের আগে (US India Meet) ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেছিলেন, “গত কয়েক বছরে কানাডায় পরিকল্পিত অপরাধের সংখ্যা ব্যাপক বেড়েছে। বিচ্ছিন্নতাবাদ, উগ্রপন্থার কারণেই এই অপরাধ এবং হিংসা। কানাডা থেকে কী কী অসামাজিক কার্যকলাপ চলে তা জানিয়ে জঙ্গি নেতাদের চিহ্নিত করে প্রত্যর্পণ করতেও আবেদন জানানো হয়েছে।” বৈঠক শেষে এক্স হ্যান্ডেলে জয়শঙ্কর লেখেন, “ওয়াশিংটন সফর শুরু হল আমেরিকার নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভানের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রবল সম্ভাবনার দিকটি খতিয়ে দেখে তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া নিয়ে কথা হয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: এবার পাকিস্তানের পাশ থেকে সরে গেলেন ‘কমরেড’ও! অথৈ জলে ইসলামাবাদ

    গত জুন মানে কানাডায় খুন হয় খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর। ওই ঘটনায় ভারতের হাত রয়েছে বলে সংসদে দাবি করেন ট্রুডো। কানাডার অভিযোগকে মনগড়া ও মিথ্যে বলে জানিয়ে দেয় ভারত। কানাডার এই অভিযোগকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি মিত্র দেশগুলি। কানাডা ‘ফাইভ আইজ অ্যালায়েন্সে’র সদস্য। এই চার সহযোগী দেশকেও পাশে পায়নি ট্রুডোর দেশ। কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে মিথ্যেবাদী বলে দেগে দিয়েছে শ্রীলঙ্কাও। এমতাবস্থায় জয়শঙ্কর-ব্লিঙ্কেনের বৈঠকে (US India Meet) নিজ্জর খুনের প্রসঙ্গ না ওঠায় প্রত্যাশিতভাবেই হতাশ কানাডা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India Canada Row: “বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলির সংগঠিত অপরাধে জর্জরিত কানাডা”, নিউইয়র্কে জয়শঙ্কর

    India Canada Row: “বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলির সংগঠিত অপরাধে জর্জরিত কানাডা”, নিউইয়র্কে জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর খুনে আরও বিপাকে কানাডার জাস্টিন ট্রুডোর সরকার (India Canada Row)। নিজ্জর খুনে ভারতকে দুষে ট্রুডো যখন বিশ্ব রাজনীতিতে ক্রমেই একা হয়ে পড়ছেন, সেই সময় ভারতের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে আমেরিকা। আজ, বৃহস্পতিবার মার্কিন স্টেট সেক্রেটারি অ্যান্টনি ব্লিকেনের সঙ্গে ওয়াশিংটনে বৈঠকে বসতে চলেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বৈঠকের বিষয়বস্তু নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে ভারত এবং কানাডা দুই দেশই। তবে আমেরিকার বন্ধু দুই দেশ ভারত ও কানাডার মধ্যে যে সম্পর্কের শৈত্য চলছে, সে প্রসঙ্গ উঠতে পারে বলে ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের।

    বিশ্বরাজনীতিতে একা ট্রুুুুুুুুডো!

    জুন মাসে কানাডায় (India Canada Row) খুন হয় খালিস্তানি জঙ্গি নিজ্জর। ওই ঘটনায় ভারতের হাত রয়েছে বলে সংসদে দাবি করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। অভিযোগের সারবত্তা নেই বলে দাবি করে নয়াদিল্লি। তার পর থেকে ভারত-কানাডা সম্পর্ক গিয়ে ঠেকেছে তলানিতে। তবে কানাডার ওই অভিযোগের পরেও বন্ধু দেশের পাশে দাঁড়ায়নি আমেরিকা। নিজ্জর খুনে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও, ভারতকে আঘাত করে এমন একটি কথাও বলেনি জো বাইডেনের দেশ। ট্রুডোর পাশে দাঁড়ায়নি ‘ফাইভ আইজ অ্যালায়েন্সে’র কানাডা বাদে বাকি চার দেশের কেউই। এহেন আবহে ভারত-মার্কিন বৈঠক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলের।

    কানাডার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিল ভারত 

    এদিকে, সন্ত্রাসবাদী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের (India Canada Row) বিরুদ্ধে কানাডা সরকার কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ ভারত। মঙ্গলবার নিউইয়র্কে তিনি বলেন, “বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলির সংগঠিত অপরাধে জর্জরিত কানাডা।” এজন্য ভারত যে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা যেভাবে কানাডিয়ান হিন্দু, শিখ এবং ভারতীয় কূটনীতিকদের হুমকি দিচ্ছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন জয়শঙ্কর। রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার কারণে যে কানাডা সরকার সন্ত্রাসবাদী ও বিচ্ছন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করছে না, তাও জানিয়ে দেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। নিজ্জর খুনে কানাডার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “প্রথমত, এটা ভারত সরকারের নীতির পরিপন্থী। আর দ্বিতীয়ত, আমরা তো কানাডা সরকারকে বলেইছি যে ভারতের হাত হয়েছে এমন কোনও প্রমাণ পেলে আমাদের দাও, আমরা তা পরীক্ষা করে দেখব।”

    আরও পড়ুুন: চাঁদ-সূর্যের পরে এবার পরের লক্ষ্য শুক্র অভিযান, ঘোষণা ইসরো প্রধানের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Justin Trudeau: ছিলেন নাইটক্লাবের বাউন্সার! ট্রুডোর বর্ণিল জীবন হার মানায় রুপোলি পর্দার জগতকেও

    Justin Trudeau: ছিলেন নাইটক্লাবের বাউন্সার! ট্রুডোর বর্ণিল জীবন হার মানায় রুপোলি পর্দার জগতকেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি ছিলেন নাইট ক্লাবের বাউন্সার (Justin Trudeau)। শখের বশে বক্সিংও খেলতেন। দিয়েছেন স্নোবোর্ড প্রশিক্ষণও। অভিনয় করেছেন একটি সিনেমায়ও। পরে বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে রাজনীতিতে আসেন। তবে বাউন্সার হিসেবে কাজ করার সময় তিনি কোকেনের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েন বলে দাবি নেটিজেনদের একাংশের।

    একা হয়ে পড়ছেন ট্রুডো!

    আজও সেই নেশার কবল থেকে বের হতে পারেননি তিনি। এত গুণের আধার যিনি, তিনি কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর খুনে দিন কয়েক আগে যিনি খাস সংসদে দাঁড়িয়ে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন ভারতের দিকে। এই ইস্যুতে ট্রুডোকে ‘মিথ্যেবাদী’ বলে দেগে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। ‘ফাইভ আইজ অ্যালায়েন্সে’র সদস্য হওয়া সত্ত্বেও যাঁর পাশে দাঁড়ায়নি আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং ব্রিটেন।

    সর্বনাশা কোকেনের নেশা

    সর্বনাশা কোকেনের নেশা যে ট্রুডোর (Justin Trudeau) পিছন ছাড়েনি, তার প্রমাণ মিলেছে সম্প্রতি ভারতের এক কূটনীতিকের দাবিতে। জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে এসেছিলেন ট্রুডো। সেই সময় তিনি বিমান ভর্তি করে কোকেন নিয়ে এসেছিলেন বলে দাবি ভারতীয় কূটনীতিক দীপক ভোরার। অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে কানাডা সরকার।

    বছর কয়েক আগে প্রকাশিত হয় ট্রুডোর আত্মজীবনী। সেখানে শখের বক্সিং শেখার প্রসঙ্গের উল্লেখ করেছেন তিনি। বলেছেন, “কীভাবে লড়াই করে এগিয়ে যেতে হয়, তা বক্সিং থেকে শিখেছি। ওখানে বিষাক্ত পাঞ্চগুলি এড়িয়ে যাওয়ার কৌশল আয়ত্ত করতে হয়েছিল। পরবর্তীকালে যা আমাকে কূটনীতি বুঝতে সাহায্য করে। যাবতীয় সতর্কতার পরেও ঘুষি লাগলে বুঝতে হবে আপনার কূটনীতি ব্যর্থ হতে চলেছে।”

    আরও পড়ুুন: নিজ্জর খুনে আরও গাড্ডায় ট্রুডো, পাশে পেলেন না ‘ফাইভ আইজ’ অ্যালায়েন্সকেও

    সুদানের প্রাক্তন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত দীপক ভোরার দাবি, চলতি মাসে জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে আসা কানাডার প্রধানমন্ত্রীর বিমান কোকেনে ভর্তি ছিল। দু’ দিন নিজের ঘর থেকে বের হতে পারেননি তিনি। ভোরা বলেন, “শিশুদের মতো আচরণ করছিলেন ট্রুডো। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিষয়ে তাঁর কোনও খেয়ালই ছিল না। তাঁকে বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত লাগছিল।” তিনি বলেন, “আমার স্ত্রী ওঁকে দিল্লি বিমানবন্দরে দেখেছে। ও জানিয়েছে, ট্রুডোকে তখন মানসিকভাবে চাপে রয়েছেন বলে মনে হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার খবর অনুযায়ী, ট্রুডোর বিমানে ভর্তি ছিল কোকেন। তিনি রাষ্ট্রপতির নৈশাহারেও যাননি। কেউ কেউ বলছেন, ড্রাগ নেওয়ার কারণে তাঁর কোনও হুঁশ ছিল না।” ভোরা বলেন, “জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারত সফরে এসে তিনি একাকীত্ব বোধ করছিলেন।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India Canada Row: নিজ্জর খুনে আরও গাড্ডায় ট্রুডো, পাশে পেলেন না ‘ফাইভ আইজ’ অ্যালায়েন্সকেও

    India Canada Row: নিজ্জর খুনে আরও গাড্ডায় ট্রুডো, পাশে পেলেন না ‘ফাইভ আইজ’ অ্যালায়েন্সকেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খালিস্তানি জঙ্গি খুনে ভারতের দিকে আঙুল তুলে বিশ্ব রাজনীতিতে ক্রমেই কোণঠাসা হয়ে পড়ছে কানাডা (India Canada Row)। কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে ‘মিথ্যেবাদী’ তকমা দিয়ে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে শ্রীলঙ্কা। খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর খুনে সাদামাটা একটা বিবৃতি দিলেও, ভারতকে চটাল না ফাইভ আইজ অ্যালায়েন্স।

    ফাইভ আইজ অ্যালায়েন্স

    আমেরিকা, ব্রিটেন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের মধ্যে একটি আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা তথ্য আদানপ্রদানের প্লাটফর্ম হল ফাইভ আইজ অ্যালায়েন্স। নিজ্জর খুনে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও, ভারতের বিরুদ্ধে কোনও কড়া প্রতিক্রিয়া দেয়নি আমেরিকা। জো বাইডেনের দেশের পন্থা অবলম্বন করেছে কানাডা ছাড়া ফাইভ আইজ অ্যালায়েন্সের বাকি চারটি দেশও।

    স্বার্থের কারণে কানাডার পাশে নেই অস্ট্রেলিয়াও

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতকে ঢাল করে চিনের বিরুদ্ধে জোট মজবুত করতে চাইছে আমেরিকা। এজন্য নয়াদিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করতে চাইছে না আমেরিকা, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড। তাছাড়া আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানের পাশাপাশি কোয়াড গ্রুপে রয়েছে ভারতও। সেই কারণেই কানাডার পাশে দাঁড়ায়নি ফাইভ আইজ অ্যালায়েন্সের চার (India Canada Row) দেশ। আবার দক্ষিণ চিন সাগরে চিনকে রুখতে গেলে ভারতকে পাশে পাওয়া প্রয়োজন বলে মনে করে অস্ট্রেলিয়া। সেই কারণে কানাডার পাশে নেই অস্ট্রেলিয়াও।

    অটোয়াজ কার্লেটন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক স্টেফানি কার্ভিন বলেন, “পশ্চিমি বিশ্বের হিসেবে চিনের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করতে হলে তাদের প্রয়োজন ভারতকে, কানাডাকে নয়। সেই কারণেই পশ্চিমি বিশ্বের দেশগুলি কানাডার পাশে দাঁড়ায়নি।” আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একটি বড় অংশের মতে, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকার ৩ নম্বরে চলে আসবে ভারত। সেই কারণেও নয়াদিল্লিকে চটাতে চাইছে না পশ্চিমের কোনও দেশ।

    আরও পড়ুুন: “রাজনৈতিক স্বার্থে সন্ত্রাসবাদে উসকানি দেওয়া কাম্য নয়”, কানাডাকে নিশানা জয়শঙ্করের

    অথচ নিজ্জর খুনে ভারতকে দোষী সাব্যস্ত করতে হলে ‘বন্ধু’ কোনও দেশের সমর্থন প্রয়োজন। সেই সমর্থন পাচ্ছে না ট্রুডোর দেশ। জঙ্গি খুনে কানাডা মিথ্যে বলছে বলে জানিয়ে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। জঙ্গিদের বাড়বাড়ন্তে উদ্বেগ (India Canada Row) প্রকাশ করেছেন ট্রুডোর দলেরই সাংসদ চন্দ্র আর্য। যার জেরে ক্রমেই নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ছেন ট্রুডো। নাম প্রকাশ করা হবে না এই শর্তে ভারতের এক প্রবীণ আধিকারিক বলেন, “ভারত যে কানাডাকে সাহায্য করতে প্রস্তুত, আমরা তা পরিষ্কার করে দিয়েছি। তবে কোনও প্রমাণ যদি সামনে আসে তাহলেই সেটা করা সম্ভব। কানাডা কখনওই ভারতকে সাহায্য করেনি। বরং ভারত থেকে পালিয়ে যাওয়া গ্যাংস্টারদের আশ্রয় দিয়েছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India Canada Row: “রাজনৈতিক স্বার্থে সন্ত্রাসবাদে উসকানি দেওয়া কাম্য নয়”, কানাডাকে নিশানা জয়শঙ্করের

    India Canada Row: “রাজনৈতিক স্বার্থে সন্ত্রাসবাদে উসকানি দেওয়া কাম্য নয়”, কানাডাকে নিশানা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাজনৈতিক স্বার্থে সন্ত্রাসবাদে উসকানি দেওয়া কাম্য নয়।” মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘের ৭৮ তম সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। জুন মাসে কানাডায় (India Canada Row) খুন হয় খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর। ওই ঘটনায় ভারতের হাত রয়েছে বলে সংসদে দাবি করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তীব্র প্রতিবাদ করে ভারত। তার পর থেকে ভারত-কানাডার সম্পর্ক গিয়ে ঠেকেছে তলানিতে।

    জয়শঙ্করের নিশানায় কানাডা

    এহেন আবহে মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘে ভাষণ দিতে গিয়ে নাম না করেই কানাডাকে নিশানা করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, “রাজনৈতিক স্বার্থে সন্ত্রাসবাদে উসকানি দেওয়া কাম্য নয়। ঠিক একই কারণে চরমপন্থা ও কোনও হিংসায় মদত দেওয়াও অনুচিত। খেয়াল রাখতে হবে এমনটা যেন না হয় নিয়ম নির্মাতারা নিয়ম গ্রহীতাদের বশীভূত করছে। নিয়ম তখনই কাজ করবে, যখন সকলের জন্য নিয়ম সমান হবে।” এদিন নাম না করে চিন এবং পাকিস্তানকেও একহাত নিয়েছেন জয়শঙ্কর।

    আক্রমণ চিন, পাকিস্তানকেও

    তিনি বলেন, “কিছু কিছু দেশ নিজেদের মতো এজেন্ডা তৈরি করে আশা করে যে অন্যরাও সেটা মেনে নেবে। সেই দিন এবার শেষ।” তিনি বলেন (India Canada Row), “নয়াদিল্লি অবশ্য মনে করে কূটনীতি আর আলোচনাই সমাধানের একমাত্র পথ।” এক বিশ্ব এক পরিবারের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিদেশমন্ত্রী বলেন, “এটা শুধু ভারতের ধারণা নয়, গোটা বিশ্ব এতে বিশ্বাস করছে। এর ফলে সহযোগিতার বীজ বপন করা সম্ভব হচ্ছে।” এদিন বক্তব্যের শেষে বিদেশমন্ত্রী বলেন, “নমস্তে ফ্রম ভারত।” তবে ‘ইন্ডিয়া’ নামটিও বাদ দেননি জয়শঙ্কর। যখনই দেশের প্রসঙ্গ এসেছে, তিনি ব্যবহার করেছেন ‘ইন্ডিয়া’ নামটি। ভাষণের একেবারে শেষে জয়শঙ্কর বলেন, “ইন্ডিয়া দ্যাট ইজ ভারত।”

    আরও পড়ুুন: খালিস্তানি দমনে কড়া ব্যবস্থা এনআইএ-র! দেশজুড়ে ৫০ জায়গায় হানা

    প্রসঙ্গত, সদ্য (India Canada Row) সমাপ্ত জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে ‘ভারত’ কথাটি প্রথম ব্যবহার করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার পরেই জল্পনা ছড়ায়, দেশের নাম ‘ইন্ডিয়া’ বদলে ‘ভারত’ হচ্ছে। খাতায়-কলমে এখনও অবশ্য তা হয়নি। তবে ‘ইন্ডিয়া’ আর ‘ভারত’ যে একই দেশ, প্রধানমন্ত্রীর পর বিশ্ব রাজনীতিতে সেই পরিচয় করাতে উদ্যোগী হলেন বিদেশমন্ত্রীও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • NIA in Canada Row: খালিস্তানি দমনে কড়া ব্যবস্থা এনআইএ-র! দেশজুড়ে ৫০ জায়গায় হানা

    NIA in Canada Row: খালিস্তানি দমনে কড়া ব্যবস্থা এনআইএ-র! দেশজুড়ে ৫০ জায়গায় হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে নিষিদ্ধ খালিস্তান গোষ্ঠীর নেতা হরদীপ সিংহ নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে ভারত এবং কানাডার সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারতকে অভিযুক্ত করে ট্রুডোর বক্তব্যের এক দিন পরেই এনআইএ (NIA in Canada Row) ৪৩ জন নিষিদ্ধ জঙ্গির ছবি-সহ নামের তালিকা প্রকাশ করে। বর্তমানে তাদের অনেকেরই ঠিকানা কানাডা। ভারতের অভিযোগ, এ দেশে নিষিদ্ধ জঙ্গিদের আশ্রয় দিয়েছে ট্রুডো সরকার। দেশবিরোধী কার্যকলাপ রুখতে সক্রিয় এনআইএ। সেই আবহে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-তে নতুন সাতটি পদ তৈরি করা হল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ওই পদগুলি তৈরিতে অনুমোদন দিয়েছে।এনআইএ-তে নতুন একটি সহকারী ডিরেক্টর জেনারেল (এডিজি) পদ তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া, ছ’টি ইনস্পেক্টর জেনারেল পদও নতুন করে সৃষ্টি করা হয়েছে। ওই পদগুলিতে নিযুক্ত হয়েছেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকেরা।

    তল্লাশি অভিযান

    খালিস্তানপন্থী নেতাদের সন্ধানে ৬ রাজ্যে একযোগে তল্লাশি শুরু করেছে এনআইএ (NIA in Canada Row)। ৬ রাজ্যের ৫০টি লোকেশনে চলছে তল্লাশি অভিযান। এর আগে ১৯ জন পলাতক খালিস্তানপন্থী নেতার তালিকা প্রকাশ করেছে এনআইএ। শুধুমাত্র পাঞ্জাবের ৩০টি জায়গায় চলছে তল্লাশি। এছাড়া রাজস্থানের ১৩টি জায়গা, হরিয়ানার ৪টি জায়গা, উত্তরাখণ্ডের ২টি জায়গা, এবং দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশের ১টি করে জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। 

    আরও পড়ুুন: কানাডায় হিন্দু-শিখদের লাগাতার হুমকি খালিস্তানপন্থীদের, গদি বাঁচাতে চুপ ট্রুডো

    বিদেশেও তল্লাশি

    দেশের পাশাপাশি বিদেশেও তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এনআইএ (NIA in Canada Row) খালিস্তান-আইএসআই এবং গ্যাংস্টারদের নিয়ে অনেক তথ্য সংগ্রহ করেছে। গ্রেফতার হওয়া সমস্ত গ্যাংস্টার এবং খালিস্তানি সন্ত্রাসীদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় একাধিক তথ্য পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। সেই তদন্তেই গ্যাংস্টার-খালিস্তানি জোট, সন্ত্রাস যোগ, অস্ত্র সরবরাহের পাশাপাশি বিদেশের মাটি থেকে দেশবিরোধী কার্যকলাপ চালানোর একাধিক তথ্যপ্রমাণ মিলেছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, অস্ত্র ও মাদক চোরাচালান থেকে প্রাপ্ত টাকা দিয়ে খালিস্তানপন্থী সন্ত্রাসীদের হাতে টাকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। টাকার উৎস সন্ধানে কানাডা, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া সহ বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নেওয়া খালিস্তানিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে ইডি, এনআইএ। আমেরিকাবাসী খালিস্তানি জঙ্গি গুরপাতবন্ত সিং পান্নুনের ভারতে অবস্থিত দু’টি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে এনআইএ। ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান হিন্দুদের ভারতে ফিরে যাওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এই পান্নুন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Khalistani Terrorists: কানাডায় হিন্দু-শিখদের লাগাতার হুমকি খালিস্তানপন্থীদের, গদি বাঁচাতে চুপ ট্রুডো

    Khalistani Terrorists: কানাডায় হিন্দু-শিখদের লাগাতার হুমকি খালিস্তানপন্থীদের, গদি বাঁচাতে চুপ ট্রুডো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গদি বাঁচাতে মুখে কুলুপ এঁটেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। সেই সুযোগে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কানাডায় আশ্রয় নেওয়া খালিস্তানপন্থী জঙ্গি ও বিচ্ছিন্নতাবাদীরা (Khalistani Terrorists)। সে দেশে বসবাসকারী হিন্দুদের হুমকি দিচ্ছে তারা। কেবল তাই নয়, শান্তিপ্রিয় শিখদেরও হুমকি দিচ্ছে খালিস্তানপন্থীরা। জঙ্গি হুমকির ভয়ে কার্যত আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন কানাডায় বসবাসাকারী হিন্দু ও শিখরা। হুমকির পাশাপাশি ভারত-বিরোধী অস্ত্রে শান দিতে চলছে হিন্দু-বিরোধী প্রচারও। দেশের আকাশে যখন উড়ছে এহেন বিদ্বেষের বিষবাষ্প, তখনও আশ্চর্যজনকভাবে নীরব ট্রুডো সরকার।

    কানাডায় বাড়ছে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপ 

    জুলাই মাসে কানাডায় খুন হয় খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর। মূলত তার পর থেকেই সে দেশে বাড়ছে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপ (Khalistani Terrorists)। দিন কয়েক আগে নিজ্জর খুনে ভারতের হাত রয়েছে বলে সংসদে দাবি করেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো। এতেই আগুনে ঘি পড়ে। তোল্লাই পেয়ে আগের চেয়েও বেশি করে সক্রিয় হয়ে ওঠে কানাডায় ঘাঁটি গেড়ে বসে থাকা খালিস্তানপন্থী জঙ্গি ও বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। তারা হিন্দুদের সে দেশ ছেড়ে ভারতে ফিরে যেতে বলে। হিন্দুদের পাশাপাশি বহু শিখও বসবাস করছেন কানাডায়। খালিস্তানপন্থীরা তাঁদেরও হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ।

    হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর

    কেবল তাই নয়, গত কয়েক দিন ধরে কানাডায় হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর চালাচ্ছে খালিস্তানপন্থীরা। তা সত্ত্বেও কার্যত চোখে ঠুলি বেঁধে বসে রয়েছে ট্রুডো প্রশাসন। খালিস্তানপন্থীদের আয়ের মূল উৎস তোলাবাজি, মাদক এবং অস্ত্র পাচার। এসব দেখেশুনেও কানাডা সরকার কোনও পদক্ষেপ করছে না বলে অভিযোগ।

    কানাডার ঘটনার গতিপ্রকৃতির দিকে নজর রাখছেন এমন এক (Khalistani Terrorists) প্রবীণ আধিকারিক বলেন, “পঞ্জাবে সামান্য কিছু ঘটলেই, হইচই জুড়ে দেয় কানাডা। আর সে দেশে হিংসা, মাদক পাচার এবং জঙ্গি কার্যকলাপ বাড়লেও কোনও পদক্ষেপ করছে না সে দেশের সরকার।” গোয়েন্দারা জেনেছেন, জঙ্গিরা পাকিস্তান থেকে মাদক নিয়ে যাচ্ছে কানাডায়।

    আরও পড়ুুন: ‘‘অভিষেকের মা লতার সম্পত্তির হিসাব চাই’’! ইডিকে নির্দেশ বিচারপতি সিনহার

    পরে তা বিক্রি করা হচ্ছে ভারতের পঞ্জাবে। কানাডায় বসবাসকারী বহু খালিস্তানি এখন মাদক ব্যবসায় জড়িত। সরকারি প্রবীণ এক আধিকারিক বলেন, “কানাডায় বসবাসকারী হিন্দু এবং ভারতীয় কূটনীতিকদের যে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, তা নিঃসন্দেহে উদ্বেগের বিষয়। এটি ভিয়েনা কনভেনশনেরও পরিপন্থী।”  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Canada India Relationship: বেসুরো গাইছেন দলীয় সাংসদ, বিপাকে জাস্টিন ট্রুডো, তাই সুর নরম প্রতিরক্ষামন্ত্রীর!

    Canada India Relationship: বেসুরো গাইছেন দলীয় সাংসদ, বিপাকে জাস্টিন ট্রুডো, তাই সুর নরম প্রতিরক্ষামন্ত্রীর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের অন্দরেই বেসুরো ধ্বনি। শেষমেশ তাই বোধহয় ঢোক গিলতে বাধ্য হল কানাডা সরকার। প্রায় তলানিতে ঠেকে যাওয়া ভারত-কানাড সম্পর্কের (Canada India Relationship) উন্নতি ঘটাতে সুর নরম করলেন সে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, “ভারতের সঙ্গে কানাডার সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর খুনের তদন্ত চলবে বলেও জানান তিনি।

    সরকার বাঁচাতে ভারতের দিকে আঙুল!

    গত জুন মাসে কানাডায় প্রকাশ্যে খুন হন নিজ্জর। ওই ঘটনায় ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তার পরেই ভারত-কানাডা সম্পর্কে অবনতি হয়। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, যেহেতু শিখদের একটা বড় অংশের সমর্থনে চলছে ট্রুডোর জোট সরকার, তাই শিখদের চটানো ট্রুডোর পক্ষে সম্ভব নয়। সরকার বাঁচাতে সেই কারণে ট্রুডো দুষছেন ভারতকে।

    দলের অন্দরেই পুঞ্জীভূত হচ্ছে ক্ষোভ

    তবে এনিয়ে ট্রুডোর দল লিবারাল পার্টির অন্দরেই পুঞ্জীভূত হচ্ছে ক্ষোভ। দলীয় সাংসদ চন্দ্র আর্য সরকারের কড়া সমালোচনা করে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর ওই বিবৃতির পরেই কানাডায় বসবাসকারীরা আতঙ্কে রয়েছেন। বিষয়টি উদ্বেগজনক।” দলের (Canada India Relationship) অন্দরেই বেসুরো ধ্বনি ওঠায় খানিক সুর নরম করেছে ট্রুডো সরকার। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিল ব্লেয়ার বলেন, “আমরা বুঝতে পারছি যে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষার প্রশ্নে এটা (নিজ্জর হত্যা বিতর্ক) একটা কঠিন বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু দেশের আইন এবং নাগরিকদের রক্ষা করাও আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তাই আমরা তদন্ত চালিয়ে সত্যিটা খুঁজে বের করার চেষ্টা করব।”

    আরও পড়ুুন: উপত্যকায় বড় নাশকতার ছক ফাঁস! কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার পাঁচ লস্কর জঙ্গি

    ভারতের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রমাণিত হলে যে সমস্যা হবে, তাও মানছেন কানাডার প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, “সেটা খুবই উদ্বেগের বিষয় হবে। কারণ, সে ক্ষেত্রে আমাদের সার্বভৌম ক্ষমতা খর্ব করে দেশের মাটিতেই কানাডার নাগরিককে হত্যার ঘটনা প্রমাণিত হবে।”

    এদিকে, কানাডা (Canada India Relationship) যে ক্রমেই খালিস্তানি জঙ্গিদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠছে, তা জানা গিয়েছে সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে। জানা গিয়েছে, ট্রুডো সরকারের মদতে অন্তত ২১ জন কট্টরপন্থী খালিস্তানি নেতা কানাডায় আশ্রয় পেয়েছে। ২৫ সেপ্টেম্বর তারা সে দেশের ভারতীয় হাই কমিশন সহ বিভিন্ন কূটনৈতিক কেন্দ্রগুলিতে হামলার ছক কষছে বলেও দাবি করা হয়েছে ওই রিপোর্টে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Khalistani Terrorists: খালিস্তানপন্থী জঙ্গিদের ভাতে মারার উদ্যোগ কেন্দ্রের, জানুন কীভাবে

    Khalistani Terrorists: খালিস্তানপন্থী জঙ্গিদের ভাতে মারার উদ্যোগ কেন্দ্রের, জানুন কীভাবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার খালিস্তানপন্থী জঙ্গিদের (Khalistani Terrorists) ভাতে মারতে উদ্যোগী হল কেন্দ্র। বুধবারই ৪৩ জন খালিস্তানপন্থী জঙ্গি ও বিচ্ছিন্নতাবাদীর নামের তালিকা প্রকাশ করেছিল কেন্দ্র। এর মধ্যে ১৯ জন পলাতক। এই পলাতক খালিস্তানপন্থী জঙ্গিদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে উদ্যোগী হল কেন্দ্র।

    ওসিআই কার্ড বাতিলের ভাবনা 

    শনিবার মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি তথা ‘শিখস ফর জাস্টিসে’র প্রধান গুরুপতবন্ত সিং পান্নুনের অমৃতসর ও চণ্ডীগড়ে থাকা সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে এনআইএ। বাকিদেরও ভারতে থাকা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর পাশাপাশি তালিকাভুক্ত জঙ্গি ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ওসিআই কার্ডও (বিদেশি ভারতীয় নাগরিকের পরিচয়পত্র) বাতিল করতে পারে সরকার। যে ১৯ জন জঙ্গির তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে, সেই তালিকায় রয়েছে ব্রিটেনে আত্মগোপন করে থাকা পরমজিৎ সিং পামা, দুপিন্দরজিৎ, সুখপাল সিং, সর্বজিৎ সিং বেন্নুর, কুলবন্ত সিং ওরফে কান্তা, গুরপ্রীত সিং ওরফে বাঘি ও কুলবন্ত সিং মুথরা, পাকিস্তানের ওয়াধওয়া সিং বব্বর ওরফে চাচা, রঞ্জিত সিং নিতা, গুরমিত সিং ওরফে বাগ্গা ওরফে বাবা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জয় ঢালিওয়াল, এস হিম্মত সিং, হরপ্রীত সিং ওরফে রানা সিং, হরজপ সিং ওরফে জপ্পি সিং, অমরদীপ সিং পুরেওয়াল, দুবাইয়ের জসমিৎ সিং হাকিমজাদা, অস্ট্রেলিয়ার গুরজন্ত সিং ধিলোঁ এবং কানাডার লখবীর সিং রোডে ও যতিন্দর সিং গ্রেওয়াল।

    ধাক্কা খাবে রসদ সংগ্রহের কাজ

    জানা গিয়েছে, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, পাকিস্তান সহ বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে খালিস্তানপন্থী জঙ্গিরা (Khalistani Terrorists)। যদিও ভারত থেকে চলছে অর্থ সংগ্রহের কাজ। কখনও তোলাবাজি, কখনও অস্ত্র কিংবা মাদক পাচারের মাধ্যমে জোগাড় হচ্ছে রসদ। হাওয়ালার মাধ্যমে তা পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে কানাডায়। মূলত সেখান থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে জঙ্গিদের। তরুণদের মগজ ধোলাই করে জঙ্গি বানানো হচ্ছে। ভিন দেশে ঠাঁই নেওয়া খালিস্তানপন্থী জঙ্গিরা (Khalistani Terrorists) যাতে ভারত থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে না পারে, তাই ওসিআই কার্ড বাতিল করার কথা ভাবছে কেন্দ্র। এই কার্ড বাতিল হয়ে গেলে ভারত থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে না জঙ্গিরা। যার জেরে ধাক্কা খাবে খালিস্তান আন্দোলন।

    আরও পড়ুুন: সিনেমা, খেলায় টাকা লগ্নি করছে খালিস্তানপন্থী জঙ্গিরা! বিস্ফোরক তথ্য এনআইএ-র চার্জশিটে

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share