Tag: Cancer

Cancer

  • Cancer: শিশুদের মধ্যে বাড়ছে ক্যান্সারের ঝুঁকি! ভারতে এর সংখ্যা বাড়ছে কেন?

    Cancer: শিশুদের মধ্যে বাড়ছে ক্যান্সারের ঝুঁকি! ভারতে এর সংখ্যা বাড়ছে কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ জীবন যাপনে বদল হয়েছে অনেকখানি। আধুনিক জীবনে ব্যস্ততা বাড়ছে। বদলে যাচ্ছে খাদ্যাভ্যাসের ধরন। তার সঙ্গে বদল হচ্ছে ঘুমের সময়ের। পাশাপাশি পরিবেশ, আবহাওয়ার অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। আর এই সবকিছুর শরীরে গভীর প্রভাব পড়ছে। বিশেষত শিশুদের (Children) শরীরে এর প্রভাব মারাত্মক। গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের রিপোর্ট জানাচ্ছে শিশুদের মধ্যে ক্যান্সারের (Cancer) প্রকোপ বাড়ছে। যা যথেষ্ট দুশ্চিন্তার বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কী বলছে রিপোর্ট?

    ন্যাশনাল ক্যান্সার (Cancer) রেজিস্ট্রি প্রোগ্রামের সাম্প্রতিক রিপোর্ট জানাচ্ছে, ১৫ বছরের কম বয়সিদের মধ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে। আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের মোট ক্যান্সার আক্রান্তের মধ্যে ০ থেকে ১৪ বছর বয়সিদের সংখ্যা ৪ শতাংশ। যা বছর দশেক আগেও অনেকটাই কম ছিল। উল্লেখযোগ্যভাবে শিশু (Children) ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, কন্যাসন্তানের তুলনায় পুত্রসন্তানের মধ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি। সদ্যোজাত থেকে ১৪ বছর বয়সি এক মিলিয়ন ছেলের মধ্যে ২০৩ জন ক্যান্সার আক্রান্ত হয়েছে। সেই তুলনায় মেয়েদের সংখ্যা ১২৫ জন।

    কেন শিশু শরীরে ক্যান্সার বাড়ছে?

    ক্যান্সার (Cancer) বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, জিনগত মিউটেশনের জন্যই শরীরে ক্যান্সার হয়। হঠাৎ করেই শরীরের কোষে, জিনে এক ধরনের পরিবর্তন শুরু হয়। যার ফলেই ক্যান্সারের মতো জটিল রোগ তৈরি হয়। এর নির্দিষ্ট কারণ বলা কঠিন। তবে‌ বেশ কিছু কারণের জেরেই এই জিনগত পরিবর্তন। যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ‘জেনেটিক মিউটেশন’ বলা হয়।

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাদ্যাভ্যাস ক্যান্সারের (Cancer) ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিশেষত শিশুদের (Children) প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় একাধিক প্রক্রিয়াজাত খাবার থাকছে। যার প্রভাব শরীরে মারাত্মকভাবে পড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নানান রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে প্রক্রিয়াজাত মাংস নিয়মিত খেলে কিডনির, লিভার এবং পাকস্থলীতে মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। দেহের ওজনও মারাত্মক বাড়তে থাকে।‌ স্থুলতা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

    নিয়মিত শারীরিক কসরত এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম দরকার

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত ফল, সবজি, ডাল, রুটি খাওয়ার অভ্যাস শিশুদের (Children) মধ্যে কমছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের খাবারে প্রচুর পুষ্টিগুণ থাকে। কিন্তু অধিকাংশ শিশু এখন সবজি খায় না। নিয়মিত রুটি, ফলও খায় না। তার ফলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের অভাব দেখা দেয়। তাই ক্যান্সারের মতো রোগের ঝুঁকও বাড়ে।

    শরীর সুস্থ রাখতে প্রয়োজন নিয়মিত পর্যাপ্ত বিশ্রাম। অনেক সময়েই শিশুদের পর্যাপ্ত বিশ্রাম হয় না। নিয়মিত শরীরিক কসরত এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম হলে তবেই শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। নানান রোগের ঝুঁকি কমে। তাই ক্যান্সারের (Cancer) মতো‌ জটিল রোগের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্যকর রুটিন থাকা জরুরি বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ

    ক্যান্সার (Cancer) বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, শিশুদের প্রথম থেকেই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস তৈরি করতে হবে। সেদিকে অভিভাবকদের নজর দেওয়া দরকার। সময় মতো স্বাস্থ্যকর খাবার‌ খাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুম এবং নিয়মিত রুটিন মাফিক শারীরিক কসরত, এগুলো যাতে হয় সেদিকে নজরদারি করলে রোগের ঝুঁকি কমবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • World Cancer Day 2025: দেশে প্রতিদিন বাড়ছে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা, ১২ থেকে ১৮ শতাংশ বৃদ্ধির শঙ্কা

    World Cancer Day 2025: দেশে প্রতিদিন বাড়ছে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা, ১২ থেকে ১৮ শতাংশ বৃদ্ধির শঙ্কা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয়দের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ক্ষয় হচ্ছে। ফলে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতি বছর ৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ক্যান্সার দিবস পালিত হয়। সারা বিশ্বে ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এদিন নানা পদক্ষেপ করা হয়। গত কয়েক দশকে, ক্যান্সার দেশের অন্যতম প্রধান স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে উঠেছে। রোগীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সারা বিশ্বে মৃত্যুর প্রধান কারণগুলির মধ্যে একটি ক্যান্সার। ভারতের জন্য ক্রমে এটি একটি বড় জনস্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে উঠছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR)-এর নতুন তথ্য অনুযায়ী, আগামী দিনে ভারতে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা ১২ শতাংশ থেকে ১৮ শতাংশ বাড়বে।

    ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার কারণ

    আজকাল, দ্রুত নগরায়ন, অলস জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং দূষণের প্রতি বাড়তি এক্সপোজারের কারণে ক্যান্সার বিভিন্ন বয়সের মানুষকে আক্রান্ত করছে। বিশেষ করে বয়স্কদের চেয়ে তরুণদের মধ্যে বেশি ক্যান্সারের প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে। মহিলাদের মধ্যে সাধারণত সবচেয়ে বেশি দেখা যায় ব্রেস্ট ক্যান্সার। পুরুষদের মধ্যে মুখগহ্বর ক্যান্সার সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। লাং ক্যান্সারও দুটি লিঙ্গের মধ্যেই সাধারণ। সিগারেট খাওয়া, স্থূলতা, দেরিতে ডায়াগনোসিস এবং সচেতনতার অভাব এই সমস্যার বাড়তি কারণ। ধূমপান করলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। যাদের ক্যান্সারের পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে, যারা ক্ষতিকর রাসায়নিক বা বিকিরণের সংস্পর্শে আসে, এবং যারা দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ যেমন হেপাটাইটিস বা এইচপিভি আক্রান্ত, তাঁদের ক্যান্সার বেশি হয়। জীবনযাত্রার কারণে যেমন প্রসেসড খাবারের অতিরিক্ত ব্যবহার, অনুশীলনের অভাব এবং মদ্যপানের ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।

    ক্যান্সারের ধরন এবং প্রভাব

    বৈচিত্র্যময় খাদ্যাভ্যাস, ভৌগোলিক অবস্থান এবং জীবনযাত্রার কারণে ভারতে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। পুরুষরা লাং এবং মুখগহ্বর ক্যান্সারে বেশি আক্রান্ত হন, কিন্তু মহিলাদের মধ্যে ব্রেস্ট এবং সার্ভিক্যাল ক্যান্সার বেশি দেখা যায়। পেট, যকৃত এবং কোলন ক্যান্সারের প্রবণতাও বাড়ছে। ক্যান্সার শুধুমাত্র শারীরিক স্বাস্থ্যেই প্রভাব ফেলে না, এর চিকিৎসার ব্যয় অনেক সময় পরিবারগুলোর ওপর মানসিক ও আর্থিক চাপ তৈরি করে। যেমন, তামাক চিবানোর কারণে মুখগহ্বরের ক্যান্সার কেবল মুখের বিকৃতি ঘটায় না, এটি ভাষণ, খাওয়া এবং জীবিকার ওপরও বিরূপ প্রভাব ফেলে।

    ক্যান্সারের চিকিৎসা

    ভারতে ক্যান্সারের চিকিৎসা করা হয় একাধিক পদ্ধতির মাধ্যমে, যেমন সার্জারি, কেমোথেরাপি এবং রেডিয়েশন থেরাপি। প্রাথমিক পর্যায়ের ক্যান্সারে, বেশিরভাগ সময়, সার্জারি চিকিৎসার প্রথম ধাপ। বিশেষত কোলন ক্যান্সার বা মাথা এবং গলার ক্যান্সারের ক্ষেত্রে সার্জারি ছাড়া উপায় নেই। অনেক ক্যান্সার দেরিতে ধরা পড়ে, যার জন্য প্রথমে কেমোথেরাপি, টার্গেটেড থেরাপি বা ইমিউনোথেরাপি দিয়ে সেগুলি ছোট করা হয় এবং পরে সার্জারি করা হয়। তবে অনেক রোগী চিকিৎসা নিতে দেরি করেন, ফলে রোগ পুরোপুরি নিরাময় সম্ভব হয় না। তখন কেবল রোগ নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

    রেডিয়েশন থেরাপি: ক্যান্সারের বিরুদ্ধে শক্তিশালী হাতিয়ার

    রেডিয়েশন থেরাপি ক্যান্সার চিকিৎসার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা ক্যান্সার সেলের প্রতি লক্ষ্য রেখে তাদের ধ্বংস করে। রেডিয়েশন বেশিরভাগ ক্যান্সারের জন্য অত্যন্ত কার্যকর। বিশেষত ব্রেস্ট এবং সার্ভাইক্যাল ক্যান্সারের ক্ষেত্রে, রেডিয়েশন খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। তবে, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রোগীদের ধূমপান এবং মদ্যপান থেকে বিরত থাকতে হবে, কারণ এগুলি রেডিয়েশনের প্রভাবকে আরও খারাপ করতে পারে এবং জটিলতা তৈরি করতে পারে। এটি স্পষ্ট যে, ক্যান্সার মোকাবিলার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি, সময়মতো চিকিৎসা গ্রহণ এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন অপরিহার্য।

    ক্যান্সার প্রতিরোধে কেন্দ্রের ভূমিকা

    আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার আওতায় ক্যান্সার আক্রান্ত বহু রোগী উপকৃত হয়েছেন, বলে সম্প্রতি জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ রোগী তথা তাঁদের পরিবারের চিকিৎসার জন্য আর্থিক বোঝা অনেক কমে গিয়েছে ৷ ক্যান্সার মোকাবিলায় মেডিক্যাল জার্নাল ল্যানসেটের একটি সমীক্ষা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী জানান, ওই সমীক্ষা অনুযায়ী দেশে সময়মতো ক্যান্সারের চিকিৎসা শুরু করার প্রবণতা আগের থেকে কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে ৷ আগের থেকে অনেক বেশি সতর্ক হয়েছেন দেশের নাগরিকরা ৷ মারণ রোগে আক্রান্ত রোগীদের সময়মতো চিকিৎসা নিশ্চিত করতে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের ভূমিকার উপরও জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, কেন্দ্রের এই প্রকল্পের জন্য ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের ৯০ শতাংশ সময়মতো চিকিৎসা শুরু করতে পেরেছেন ৷ আগে অর্থের অভাবে মারণ এই রোগের চিকিৎসা থেকে সরে দাঁড়াতেন দরিদ্র রোগীরা ৷ কিন্তু, আয়ুষ্মান ভারতের কারণে আজ তাঁরা নিজেরাই চিকিৎসার জন্য এগিয়ে এসেছেন ৷ প্রধানমন্ত্রী জানান, কেন্দ্রের এই প্রকল্প ক্যান্সারের চিকিৎসার খরচ অনেক কমিয়ে দিয়েছে ৷

    চলতি বছর বাজেটে ক্যান্সারের ভাবনা

    সম্প্রতি কেন্দ্রীয় বাজেটে সমস্ত জেলা হাসপাতালে ক্যান্সার রোগীদের জন্য ডে-কেয়ার সেন্টারের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। অর্থমন্ত্রী জানান, ৩৬টি জীবনদায়ী ওষুধের উপর মৌলিক শুল্ক ছাড় দেওয়া হবে। এতে করে বড় রকমের সুবিধে পাবেন, ক্যান্সার, বিভিন্ন বিরল রোগ এবং অন্যান্য গুরুতর দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্তরা।

  • Union Budget 2025: ওষুধ বিনা শুল্কে, সব জেলায় ক্যান্সার সেন্টার, বাজেটে বড় ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর

    Union Budget 2025: ওষুধ বিনা শুল্কে, সব জেলায় ক্যান্সার সেন্টার, বাজেটে বড় ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্যান্সার নিরাময়ে জোর দিল কেন্দ্রীয় সরকার। বাজেটে (Union Budget 2025) স্বাস্থ্যখাতে বড় ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। এদিন কেন্দ্রীয় বাজেটে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি জেলায় ক্যান্সার সেন্টার তৈরি করা হবে। দেশে আরও ২০০টি ডে কেয়ার ক্যান্সার সেন্টারও করা হবে। অর্থমন্ত্রী জানান দাম কমতে পারে অনেক বহুমূল্য ক্যান্সারের ওষুধের। ক্যান্সার-সহ ৩৬টি জীবনদায়ী ওষুধ পুরোপুরি শুল্কমুক্ত করল কেন্দ্র। আগামী দিনে ক্যান্সার রোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসায় অনেকটাই সুবিধে দিতে পারে এই পদক্ষেপ।

    ক্যান্সার রোগীদের ওষুধে ছাড়

    কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman) এই নিয়ে আটবার অর্থমন্ত্রী হিসেবে বাজেট (Union Budget 2025) পেশ করলেন। মোদি সরকারের তৃতীয় মেয়াদের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট এটি। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন তাঁর অষ্টম কেন্দ্রীয় বাজেট পেশের সময় জানালেন, এবার সরকার স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশেষ জোর দিচ্ছে। এই বাজেট মধ্যবিত্তের কথা ভেবে, বলে জানান নির্মলা। আর মধ্যবিত্ত শ্রেণির অন্যতম মাথা ব্যথার কারণই হল চিকিৎসা। ক্যান্সার বা অন্যান্য রোগের ক্ষেত্রে মধ্যবিত্তের মাথায় বাজ পড়ে যায়। তাই এই পরিস্থিতিতে মানুষকে চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধে দিল সরকার। ক্যান্সার ও অন্যান্য বেশ কয়েকটি বিরল রোগের ওষুধকে আরও সহজলভ্য করে দেওয়া হল। এর ফলে বিপদের সময়ও অনেকটা সাশ্রয় হতে পারে। অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেন, এবার ক্যান্সার সহ ৩৬টি কঠিন রোগের ওষুধের ওপর থেকে মৌলিক শুল্ক পুরোপুরি তুলে নেওয়া হল। এর ফলে ওষুধের দাম আরও সস্তা হবে। এটা নিঃসন্দেহে বড় সুরাহা।

    ক্যান্সার সেন্টার গড়ে তোলা

    সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, এদেশে উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়ছে মাথা এবং ঘাড়ের ক্যান্সার (মুখ এবং গলার ক্যান্সার সহ)। এছাড়ও বৃদ্ধি পাচ্ছে স্তন ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা। সারভাইকাল ক্যান্সারেও আক্রান্ত হচ্ছেন বহু। সবাইকে সুন্দর, স্বাস্থ্যকর, পরিবেশে, প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীদের তত্ত্বাবধানে যদি ভালভাবে ডে-কেয়ার সেন্টারগুলিতে কেমোথেরাপির মতো চিকিৎসা দেওয়া যায়, তাহলে তা খুবই ইতিবাচক পদক্ষেপ হবে। সেই লক্ষ্যে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করেন যে দেশের প্রতিটি জেলায় ক্যান্সার সেন্টার তৈরি করা হবে। আগামী ৩ বছরের মধ্যে সব জেলায় জেলা হাসপাতালগুলিতে ক্যান্সার সেন্টার তৈরি করা হবে। ২০০টি ক্যান্সার কেয়ার কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। তৈরি করা হবে ডে-কেয়ার সেন্টার।

    গ্রামীণ এলাকায় স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়ন

    সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের অধীনে ১ কোটি কর্মীকে স্বাস্থ্য এবং বিমার আওতায় আনা হবে। নির্মলা সীতারামন আজ বাজেটে ‘চিকিৎসা পর্যটনে’র উপর জোর দেওয়ার কথাও বলেছেন। সেক্ষেত্রে পিপিপি মডেলে কাজ হবে বলে জানান তিনি। তবে বারবার অভিযোগ ওঠে দেশের সরকারি হাসপাতালে রোগী এবং চিকিৎসকের সংখ্যার অনুপাত অনেক কম। তাই চিকিৎসকের সংখ্যা বৃদ্ধিতে জোর দেওয়া হবে। শনিবার বাজেট পেশের সময়ে নির্মলা সীতারামন বিশেষ করে গ্রামীণ এবং সুবিধাবঞ্চিত এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা পরিকাঠামো উন্নত করার উপর জোর দেন। দেশের চিকিৎসকদের সংখ্যা বাড়াতেও বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেন যে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ১০ হাজার আসন বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এতে মেডিক্যাল পড়ার সুবিধা পাবে আরও ছাত্র-ছাত্রী। আগামী ৫ বছরে ৭৫ হাজারটি বেশি সিট বাড়ানো হবে মেডিক্যাল কলেজে। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে প্রযুক্তির প্রয়োগ আরও বাড়াতে এআই সেন্টার তৈরি করা হবে। এর জন্য সরকার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সবকটি পদক্ষেপই সার্বিকভাবে স্বাস্থ্যক্ষেত্রের উন্নয়ন ঘটাবে। সেটা চিকিৎসাশাস্ত্র নিয়ে পড়াশোনা হোক বা চিকিৎসায় প্রযুক্তির ব্যবহার অথবা চিকিৎসার খরচ কমানো, সব ক্ষেত্রেই।

    বাজেটে খুশি স্বাস্থ্যক্ষেত্র 

    বাজেটে (Union Budget 2025)  কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর (Nirmala Sitharaman) ঘোষণায় খুশি স্বাস্থ্যক্ষেত্র। বাজেট পেশের পর স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ক্যান্সার-সহ ৩৬টি জীবনদায়ী ওষুধকে পুরোপুরি শুল্কমুক্ত করা নিঃসন্দেহে একটি উল্লেখযোগ্য ঘোষণা। ক্যান্সারের চিকিৎসার ব্যয়ভার বইতে বইতে ন্যুব্জ পরিবারগুলোকে অনেকটা স্বস্তি দেবে এই সিদ্ধান্ত। এর ফলে কমতে পারে ক্যান্সারের ওষুধের দাম। এই বাজেটে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি) মডেলকে উৎসাহিত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে দেশকে আত্মনির্ভর করে তোলার পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এফআইসিসিআই ক্যান্সার টাস্ক ফোর্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাজ গোর আইএএনএস-কে বলেন, এই শুল্ক অব্যাহতি গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসার খরচ কমাবে । রোগীদের কাছে ওষুধ আরও সহজলভ্য করে তুলবে। মেডিকেল টেকনোলজি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী ভারতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের জন্য অনেক ক্ষেত্রে ভিসা প্রক্রিয়াটি সহজ করে দেওয়ায় সাধুবাদ জানিয়েছেন।

  • Cancer: বয়স ৩৫-এর কোঠায় পৌঁছনোর আগেই দেখা দিচ্ছে ক্যান্সার! কীভাবে দ্বিগুণ হচ্ছে ঝুঁকি?

    Cancer: বয়স ৩৫-এর কোঠায় পৌঁছনোর আগেই দেখা দিচ্ছে ক্যান্সার! কীভাবে দ্বিগুণ হচ্ছে ঝুঁকি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বয়স আর কোনও সীমানা নয়! বরঞ্চ কম বয়সিদের মধ্যেই বাড়ছে ঝুঁকি। ক্যান্সার (Cancer) নিয়ে তাই আরও বেশি সচেতনতা জরুরি বলেই জানালেন বিশেষজ্ঞ মহল! সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, খুব কম বয়সিদের মধ্যে মারাত্মক ভাবে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে। বিশেষত ফুসফুস, লিভার, কোলন, জরায়ু এবং স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়েছে। বিশ্বের অধিকাংশ দেশের মোট ক্যান্সার আক্রান্তের মধ্যে অনেকেই তরুণ প্রজন্মের। আর এই পরিসংখ্যান যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কী বলছে নয়া রিপোর্ট? (Cancer)

    সম্প্রতি আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি একটি সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। আর সেই রিপোর্ট ক্যান্সার নিয়ে আরও বেশি উদ্বেগ তৈরি করছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, গড়ে প্রতি পাঁচ জন ক্যান্সার আক্রান্তের মধ্যে একজনের বয়স ৩৫ বছরের কম। অর্থাৎ তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ক্যান্সারের দাপট বাড়ছে। আর তার মধ্যে দেখা যাচ্ছে ফুসফুস, মুখ ও গলা, স্তন এবং জরায়ুর ক্যান্সারের দাপট বেশি। আর এই ক্যান্সারে আক্রান্তের মধ্যে অধিকাংশ তরুণ প্রজন্ম। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে। গত কয়েক বছরের ক্যান্সার আক্রান্তদের নিয়ে একাধিক গবেষণায় দেখা দিয়েছে, কম বয়সিদের ক্যান্সারের অন্যতম কারণ অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন।

    কেন তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ক্যান্সারের (Cancer) ক্ষেত্রে দুটি বিষয় সবচেয়ে বেশি‌ জরুরি। প্রথমত, প্রিভেনশন অঙ্কোলজি! ক্যান্সার রুখতে হলে এই ব্যাপারে সচেতনতা সবচেয়ে জরুরি। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, গত কয়েক বছরের লিভার, পাকস্থলীর ক্যান্সারের প্রকোপ ৮ শতাংশ থেকে ১৬ শতাংশ হয়েছে। অধিকাংশ রোগীরা বয়সে তরুণ! জীবন যাপনের ধরন এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। প্রিভেনশন অঙ্কোলজি হল এমন ভাবেই জীবন যাপন করা, যাতে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। তামাক সেবন না করা, ধূমপান বর্জন, মদ্যপান না করার মতো অভ্যাস এক্ষেত্রে জরুরি। এগুলো ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। পাশপাশি স্বাস্থ্যকর খাবার নিয়মিত খাওয়া জরুরি। 
    ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানোর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল ‘আর্লি ডিটেকশন’! অর্থাৎ ক্যান্সারের (Cancer) উপসর্গ সম্পর্কে সতর্ক থাকা। এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা শুরু করা। তাহলেই ক্যান্সারকে কাবু করা সহজ হবে। এমনটাই জানাচ্ছেন ক্যান্সার রোগ বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, মহিলাদের অনিয়মিত ঋতুস্রাব, পেট ফুলে থাকা ইত্যাদি নানান উপসর্গ জরায়ুর ক্যান্সার, জরায়ুর মুখের ক্যান্সারের মতো রোগের উপসর্গ। পাশপাশি লাগাতার কাশির সমস্যা, কাশি থেকে রক্তক্ষরণ, মলত্যাগের সময় রক্তক্ষরণ, ফুসফুস, লিভারের ক্যান্সারের মতো রোগের উপসর্গ হতে পারে। এ সম্পর্কে সচেতনতা জরুরি। তাহলেই দ্রুত রোগ নির্ণয় সম্ভব হবে।

    কীভাবে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানো‌ যাবে? (Cancer)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন হল তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকি (Risk) কমানোর প্রধান হাতিয়ার।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের ও এখন প্রক্রিয়াজাত খাবার নিয়মিত দেওয়া হয়। বার্গার, হটডগের মতো প্রক্রিয়াজাত খাবারে যে ধরনের উপকরণ ব্যবহার করা হয়, তাতে শরীরে একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এর ফলে একাধিক ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাছাড়া, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ধূমপান এবং মদ্যপানের অভ্যাস বাড়ছে। যা একেবারেই অস্বাস্থ্যকর। ফুসফুস, লিভার, পাকস্থলীর ক্যান্সারের অন্যতম কারণ এই অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস। তাছাড়া, মহিলাদের স্তন ক্যান্সারের অন্যতম কারণ ঠিকমতো স্তন্যপান না করানো। সন্তান জন্মের পরে স্তন্যপান না করালে স্তন ও জরায়ুর ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। শিশুর পাশপাশি মায়ের স্বাস্থ্যের জন্য ও স্তন্যপান করানো জরুরি। কিন্তু এখনও বিশ্ব জুড়ে এই নিয়ে (Cancer) সচেতনতা খুবই কম। 
    খাদ্যাভাসের দিকে নজর দেওয়া দরকার বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ স্থূলতার সমস্যায় ভুগছেন‌। স্থূলতা ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। ফলে, কী খাবার নিয়মিত খাওয়া হচ্ছে, কতখানি পরিমাণ খাওয়া হয়, এগুলোতে নজর দেওয়া দরকার। শরীরে যাতে অতিরিক্ত মেদ না জমে, নিয়মিত যাতে হাঁটাচলা হয়, ওজন যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে, এই বিষয়গুলো সম্পর্কে সতর্কতা দরকার। তবেই ক্যান্সারের ঝুঁকি (Risk) কমবে। 

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vegetables: শীতের রোগ মোকাবিলা করবে কোন পাঁচ সবজি? কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা? 

    Vegetables: শীতের রোগ মোকাবিলা করবে কোন পাঁচ সবজি? কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শীত মানেই পিকনিক, বেড়াতে যাওয়া, বড়দিনের উৎসব। কিন্তু শীতের সময়েই হানা দেয় নানান ভাইরাস ঘটিত অসুখ, পেটের গোলমাল, হজমের সমস্যার মতো একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা। এর ফলে ভোগান্তি বাড়ে। শিশু থেকে বয়স্ক, শীতের সময়ে অনেকেই নানান রোগের দাপটে নাজেহাল হয়। সর্দি-কাশির মতো অসুখের পাশপাশি অনেকেই ফুসফুসের নানান সংক্রমণের শিকার হন। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতের সবজিতেই (Vegetables) হতে পারে বাজিমাত। তাঁরা জানাচ্ছেন, শীতের সবজির পুষ্টিগুণ একাধিক। রয়েছে রোগ মোকাবিলা শক্তি। তাই শীতের মরশুমে নিয়মিত কয়েকটি সবজি খেলেই সুস্থ থাকবে শরীর। আসুন, দেখে নিই, কোন কোন সবজির কী কী পুষ্টিগুণ?

    পালং শাক বাড়াবে রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Vegetables)

    শীতের সবজির তালিকায় প্রথমেই থাকে পালং শাক। এর পুষ্টিগুণ প্রচুর। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, পালং শাকে থাকে ভিটামিন এ, বি, সি, ই এবং ভিটামিন কে। এই একাধিক ভিটামিন থাকার জেরেই এই শাক শীতকালে খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। আবার পালং শাকে প্রচুর ম্যাগনেশিয়াম এবং আয়রন রয়েছে। ফলে, হাড় মজবুত হয়। শীতে অনেকেই বাতের যন্ত্রণায় কাবু হন।‌ তাই শীতে এই শাক নিয়মিত খেলে ক্যালসিয়ামের জোগান সহজ হয়। আবার আয়রন থাকায় হিমোগ্লোবিনের জোগানও পাওয়া যায়।

    ব্রোকলি হজমে বাড়তি সাহায্য করে

    শীতের মরশুমে অনেকেই হজমের গোলমালে ভোগেন। হজম না হওয়া কিংবা বমি, পেটের সমস্যার মতো‌ ভোগান্তিও দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ব্রোকলি এই সমস্যা কমাতে অনেকটাই সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ব্রোকলিতে (Vegetables) আছে‌‌ ভিটামিন কে, সি, ফাইবারের মতো উপাদান। ফলে, ব্রোকলি খেলে হজম ভালো হয়। পাচনতন্ত্র সুস্থ থাকে।

    শরীর সুস্থ রাখতে এবং ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করবে ফুলকপি

    শীতের অন্যতম সবজি ফুলকপি। বাঙালির রান্নাঘরে শীতে ফুলকপি থাকবেই। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতে ফুলকপি শুধু স্বাদে নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর। তাঁরা জানাচ্ছেন, ফুলকপিতে থাকে প্রচুর ক্যালসিয়াম। তাছাড়া, ম্যাগনেশিয়াম এবং জিঙ্কের মতো খনিজ পদার্থও যথেষ্ট থাকে। তাই ফুলকপি খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলে। পাশপাশি ক্যালসিয়ামের চাহিদা সহজেই পূরণ হয়।

    ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে মূলো (Vegetables)

    শীতের মরশুমে বিয়ে‌বাড়ির নেমন্তন্ন কিংবা বনভোজনের ভূরিভোজে মেতে ওঠেন কমবেশি সকলেই। আর দেদার খাওয়া-দাওয়ার জেরে অনেকেই কিন্তু ওজন বাড়িয়ে ফেলেন। অতিরিক্ত ওজন একাধিক রোগের কারণ। তবে শীতে এই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে মূলো। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মূলো খুবই কম ক্যালোরি যুক্ত একটি সবজি। তাই নিয়মিত মূলো খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাছাড়া মূলোতে জলীয় পদার্থের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই মূলো ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকিও কমায়। শীতে অনেকেই জল খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেন। ফলে, শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। মূলোর মতো সবজি খেলে এই ঝুঁকি (Winter diseases) কমবে।

    শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জোগান দেবে গাজর

    সর্দি-কাশির মতো সমস্যা হোক কিংবা ফুসফুসের অসুখ, যে কোনও রোগের সঙ্গে লড়াই করতে জরুরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জোগান ঠিকমতো থাকলে রোগ মোকাবিলা সহজ হয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, গাজরে (Vegetables) থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। নিয়মিত গাজর খেলে তাই শরীর সুস্থ থাকবে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cancer: সিগারেট কিংবা মদ্যপানই যেন ‘স্মার্টনেস’-এর পরিচয়! বয়ঃসন্ধিকালে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ক্যান্সার

    Cancer: সিগারেট কিংবা মদ্যপানই যেন ‘স্মার্টনেস’-এর পরিচয়! বয়ঃসন্ধিকালে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ক্যান্সার

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার অনেক আগেই হাতে এখন স্মার্টফোন! বন্ধুমহলে দেশ-বিদেশের ট্রেন্ডি ফ্যাশন থেকে জীবন যাপনের ধরন, সবটাই এখন হাতের মুঠোয়। বছর বছর বদলে যাচ্ছে ‘স্মার্ট’ দেখানোর সংজ্ঞা। কিন্তু এই সবকিছুর মধ্যেও থেকে যাচ্ছে ধূমপানের মতো অভ্যাস! বিশেষ করে কম বয়সি ছেলেমেয়েদের মধ্যে বাড়ছে এই অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস। আর তার জেরেই বিপদ বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেশ জুড়ে মুখ ও গলার ক্যান্সারে (Cancer) আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষত কম বয়সিদের মধ্যেও এই সমস্যা বিশেষভাবে বাড়ছে। তাই উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল।

    কতখানি বিপদ বাড়াচ্ছে মুখ ও গলার ক্যান্সার? (Cancer)

    সাম্প্রতিক প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশ জুড়ে ক্যান্সারের প্রকোপ বাড়ছে। বিশেষত মুখ ও গলার ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। এ রাজ্যে মোট ক্যান্সার আক্রান্তের এক তৃতীয়াংশ মুখ ও গলার ক্যান্সারে আক্রান্ত। প্রতি বছর দেশে প্রতি দশজনের মধ্যে ২ জন মুখ ও গলার ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। আর সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, খুব কম বয়সিদের মধ্যেও এই সমস্যা বাড়ছে। বয়স কুড়ির কোঠায় যাওয়ার পরেই অনেকেই এই ধরনের সমস্যায় (Cancer) আক্রান্ত হচ্ছেন। এর ফলে তাঁর স্বাভাবিক জীবন যাপন সম্পূর্ণ ব্যাহত হচ্ছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগের বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কেন কম বয়সিদের মধ্যে এই ক্যান্সারের প্রকোপ বাড়ছে?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, কম বয়সিদের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা বেড়েছে। আর তামাকজাত পণ্যের অভ্যাস বাড়াচ্ছে‌ ক্যান্সারের দাপট। তাঁরা জানাচ্ছেন, সিগারেট কিংবা মদ্যপান করাকে বারো-তেরো বছরের অধিকাংশ ছেলেমেয়ে বন্ধুমহলে নিজেদের ‘স্মার্টনেস’ (Smartness) প্রকাশের মাধ্যম ভাবছে, আর তাতেই বাড়ছে বিপদ! স্মার্টনেস প্রকাশের মাধ্যম যে শরীরে ভয়ানক প্রভাব ফেলছে, তা অনেক সময়েই তারা টের পাচ্ছে না। অজান্তেই নেশার কবলে পড়ছে। পরবর্তীতে অনেক সময়েই অভ্যাস ছাড়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আর তার জেরেই বাড়ছে ক্যান্সারের মতো রোগের দাপট। তামাকের জেরে মুখ ও গলার ক্যান্সারের (Cancer) ঝুঁকি যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে ফুসফুসের ক্যান্সারের দাপট। ধূমপানের পাশপাশি একাধিক পান মশলাতেও তামাক ব্যবহার করা হয়। কম বয়সিদের মধ্যে এই জাতীয় পণ্যের ব্যবহারও বাড়ছে। তাই বাড়ছে মুখ ও‌ গলার ক্যান্সারের ঝুঁকি।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল? (Cancer)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সচেতনতা জরুরি। ক্যান্সার রোগ নির্ণয়ে যেমন সচেতনতা জরুরি, তেমনি ক্যান্সারের প্রকোপ রুখতেও প্রয়োজন সচেতনতা।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, স্কুল স্তর থেকে এই নিয়ে কর্মশালা প্রয়োজন। বিশেষত বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের আরও বেশি করে কাউন্সেলিং দরকার। ধূমপান যে স্মার্টনেস প্রকাশের মাধ্যম নয়, সে সম্পর্কে‌ তাদের বোঝানো‌ জরুরি। পাশপাশি প্রয়োজন নজরদারি। কম বয়সি পড়ুয়ারা কী ধরনের জিনিস কিনছে, সে নিয়ে পরিবারের সতর্কতা প্রয়োজন। পাশপাশি স্থানীয় প্রশাসনের সক্রিয়তা দরকার বলেও‌ মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্কুল চত্বরের আশপাশে যাতে সিগারেট এবং অন্যান্য তামাকজাত দ্রব্যের দোকান না থাকে, বিজ্ঞাপন না থাকে, সে নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সক্রিয়তা দরকার। তবেই এই রোগের দাপট আটকানো সহজ হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mobile Phone: মোবাইল ফোনের ব্যবহারে মানব শরীরে ক্যান্সার উৎপন্ন করে না, জানালো ‘হু’

    Mobile Phone: মোবাইল ফোনের ব্যবহারে মানব শরীরে ক্যান্সার উৎপন্ন করে না, জানালো ‘হু’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোবাইল ফোনের (Mobile Phone) ব্যবহার ক্যান্সার ডেকে আনে না। অনেক আশঙ্কাকে মিথ্যে প্রমাণিত করে স্বস্তির খবর শোনাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ‘হু’ (WHO)। তাদের দাবি, সারা বিশ্বে গবেষণা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, মোবাইল ফোনের বেশি ব্যবহার মস্তিস্কে ক্যান্সার বৃদ্ধি করেনি। মানব শরীরে আলাদা করে তেমনভাবে প্রভাবও ফেলেনি। এই গবেষণাটি প্রকাশ পেয়েছে ‘এনভায়রনমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল’ নামক একটি জার্নালে। ২০১১ সালে আইএআরসি (IARC) রেডিয়েশনকে মানব স্বাস্থ্যেরর জন্য কার্সিনোজেনের তকমা দিয়েছিল। আর এই ঘটনার কারণেই ব্রেন ক্যান্সার এবং মোবাইল ফোন ব্যবহারের ওপর গবেষণা, পর্যালোচনা শুরু হয়।

    গবেষণায় কী বলেছে (Mobile Phone)?

    গবেষণায় (WHO) জানা গিয়েছে, সেই সব ব্যক্তিদের উপর সমীক্ষা করা হয়েছে, যাঁরা দীর্ঘক্ষণ ধরে মোবাইলে (Mobile Phone) কথা বলেন। পেশাগত কারণে গত কয়েক দশক ধরে এই ভাবে মোবাইলে যাঁরা বেশি কথা বলেন, তাঁদেরকে সামনে রেখে তথ্য গ্রহণ করে গবেষণাপত্রটি তৈরি করা হয়েছে। ১৯৯৪ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৬৩টি গবেষণার প্রতিবেদনকে একত্রিত করে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। গবেষক দলে ছিলেন ১০টি দেশের মোট ১১ জন বিশেষজ্ঞ। একই ভাবে এই গবেষণা কাজে ‘রেডিয়েশন প্রোটেকশন অথরিটি’ যুক্ত ছিল।

    আরও পড়ুনঃ চিংড়ির মালাইকারি কিংবা সন্ধ্যার মশলামুড়ি, শরীরে নারকেলের প্রভাব কম নয়!

    গবেষকদের বক্তব্য

    গবেষক দলের সদস্য নিউজিল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব অকল্যান্ডের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ মার্ক এলউড বলেন, “বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখা হয়েছিল। কোনও ক্ষেত্রেই ক্যান্সার বাড়ার আশঙ্কা দেখা যায়নি। শুধু পরিণতদের ক্ষেত্রেই নয়, কম বয়সিদের শরীরেও মোবাইল ফোনের (Mobile Phone) রেডিয়েশনের প্রভাব খতিয়ে দেখা হয়েছে। কোনও ক্ষেত্রেই বিপদের আশঙ্কা নেই। মস্তিষ্কের ক্যান্সার বা পিটুইটারি গ্ল্যান্ড-স্যালাইভারি গ্ল্যান্ডে ক্যান্সার কিংবা লিউকেমিয়ার ভয় একেবারেই নেই।” একই ভাবে আরও দুই বিজ্ঞানী সারা লোগার্ন ও কেন কারিপিডিস বলেছেন, “গবেষণার ফালাফল অত্যন্ত সন্তোষজনক। মোবাইল ফোনে খুব সামান্য মাত্রায় রেডিও তরঙ্গ বিকিরণ করে। আর এই বিকিরণ একদম বিপজ্জনক নয়। মানুষের শরীর-স্বাস্থ্যে তার খুব একটা প্রভাব পড়ে না।”

    লো-লেভেল রেডিওওয়েভ

    উল্লেখ্য আগেও একটি সমীক্ষা করেছিল হু (WHO)। সেখানেও রিপোর্টে বলা হয়েছে মোবাইল ফোন (Mobile Phone) ব্যবহারের সঙ্গে মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতির কোনও যোগসূত্র পাওয়া যায়নি। তবে সেই সময় বলা হয়েছিল, আরও বিস্তৃত গবেষণার প্রয়োজন। তবে এই বারের গবেষণায় বিশেষজ্ঞরা আরও জোর দিয়ে তাঁদের সিদ্ধান্তকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তবে স্বাস্থ্যের সুরক্ষার জন্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে মোবাইলের সেফটি লিমিট স্থির করা হয়েছে। এই লিমিটের মধ্যেই খুব লো-লেভেল রেডিওওয়েভ নিঃসরণ করে মোবাইল ফোন। যা খুব একটা প্রভাব ফেলে না বলে দাবি গবেষকদের।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jon Landau: ক্যান্সারে ভুগে প্রয়াত টাইটানিকের অস্কারজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক জন ল্যান্ডিন

    Jon Landau: ক্যান্সারে ভুগে প্রয়াত টাইটানিকের অস্কারজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক জন ল্যান্ডিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলচ্চিত্র দুনিয়ায় শোকসংবাদ। প্রবীণ চলচ্চিত্র পরিচালক জন ল্যান্ডো (Jon Landau) প্রয়াত হয়েছেন। যিনি বিজ্ঞান কল্পকাহিনী মূলক চলচ্চিত্র ‘অ্যাভাটার’ এবং ‘টাইটানিক’-এর মতো হলিউডে সিনেমা নির্মাণ করেছিলেন। মাত্র ৬৩ বছর বয়সে জীবনাবসান হয়েছে তাঁর। এই সংবাদ প্রকাশ্যে আসতেই চলচ্চিত্র জগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শোক প্রকাশ করেছেন বিখ্যাত পরিচালক জেমস ক্যামরন। তবে কী ভাবে মারা গিয়েছেন এই পরিচালক, তা এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি। মৃত্যুর কারণ শুধু ক্যান্সার বলা হয়েছে।

    ‘অবতার ২’-তে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিলেন (Jon Landau)

    জেমস ক্যামরনের চলচ্চিত্র ‘অবতার ২’ সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। ১৯৯৭ সালে বিখ্যাত চলচ্চিত্র টাইটানিক ছবিতেও অনন্য প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। সেই সময় জনকে অনেকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। তিনি তিনবার অস্কার পুরস্কার পেয়েছিলেন। একই সঙ্গে সেরা পুরস্কারও জিতে ছিলেন। এই ছবিতে তাঁর সঙ্গে জেমস ক্যামেরনেরও পূর্ণ অবদান ছিল।

    প্রোডাকশন ম্যানেজার দিয়ে কাজ শুরু (Jon Landau)

    জন কর্মজীবনে প্রোডাকশন ম্যানেজার হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। প্রসঙ্গত, জন ল্যান্ডিউ তাঁর কেরিয়ার শুরু করেছিলেন ১৯৮০ সালে। তিনি কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠার সঙ্গে চলচ্চিত্র প্রযোজক হওয়ার যাত্রা শুরু করেছিলেন। তিনি বিখ্যাত পরিচালক জেমস ক্যামেরনের সঙ্গে বিশাল ব্যয়ের চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। তাঁরা ১১ বার অস্কার মনোনয়ন পেয়েছিলেন। জনের দুই ছেলে জেমি ল্যান্ডো এবং জোডি। তাঁর স্ত্রীর নাম জুলি। তাঁদের রেখে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন জন।

    আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোর প্রচলন এখানেই! বাংলাদেশের মেধস মুনির আশ্রমের জমি দখলের অভিযোগ

    পুত্রের শোক প্রকাশ

    প্রযোজকের ছেলে জেমি ল্যান্ডিউ এক বিবৃতিতে বলেছেন, “আমার বাবা আর পৃথিবীতে নেই।” অন্যদিকে, জনের মৃত্যুতে জেমস ক্যামেরন গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। সামাজিক মাধ্যমে এই চলচ্চিত্র নির্মাতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রচুর ভক্ত। এছাড়াও হলিউডের আরও অনেক তারকা জনের মৃত্যুতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। তাঁরা জনের (Jon Landau) পরিবারের প্রতিও সমবেদনা জানিয়েছেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Fish: নিয়মিত ভাতের পাশে মাছ! কোন মাছে শরীরে উপকার, আর কোনটি বাড়াচ্ছে রোগ? 

    Fish: নিয়মিত ভাতের পাশে মাছ! কোন মাছে শরীরে উপকার, আর কোনটি বাড়াচ্ছে রোগ? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    অতিথি আসুক কিংবা কোনও আনন্দ উদযাপন, অথবা রোজদিনের খাবারের মেনু, বাঙালির ভাতের পাশে মাছ না হলে চলে না। বাঙালির প্রিয় খাবারের তালিকায় মাছ থাকবেই। নানান রকমের মাছ বাঙালির হেঁসেলে রান্না হয়। কিন্তু সব মাছের (Fish) পুষ্টিগুণ কি সমান! কোন ধরনের মাছ নিয়মিত খাওয়া উচিত, আর কোন মাছ বিপদ বাড়াচ্ছে, এ নিয়ে স্পষ্ট ধারণা অনেকের নেই। আর তার জেরেই স্বাস্থ্যে প্রভাব পড়ছে‌। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বহু রোগ মোকাবিলায় মাছ সাহায্য করে‌। আবার কিছু রোগ বাড়ায় মাছ! এ নিয়ে সচেতনতা থাকলে, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা সহজ হবে‌ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কোন মাছ শরীরের জন্য উপকারী? (Fish)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রুই, কাতলার মতো বড় মাছ শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের মাছে ওমেগা থ্রি ও ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। ফলে একাধিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। বিশেষত হাড়ের জন্য এই মাছ বিশেষ উপকারী। তাছাড়া, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এই মাছ। রেটিনার কার্যক্ষমতা বাড়ায়। ফলে চোখের সমস্যা কমে। 
    পাশপাশি যে কোনও সামুদ্রিক মাছ শরীরে ভিটামিন ডি-র জোগান দেয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ মানুষ ভিটামিন ডি-র অভাবে ভুগছেন। বিশেষত মহিলাদের হাড়ের নানান সমস্যার কারণ শরীরে ভিটামিন ডি-র অভাব। তাই সামুদ্রিক মাছ (Fish) খেলে শরীরে ভিটামিন ডি-র জোগান পাওয়া যাবে। ইলিশ, চিংড়ি, পমফ্লেটের মতো সামুদ্রিক মাছ খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে। এই ধরনের মাছে আয়োডিন বেশি থাকে। ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। 
    লইট্যা, চিংড়ির মতো মাছে মিনারেল, জিঙ্কের মতো উপাদান আছে। ফলে শরীরে খনিজ পদার্থের চাহিদা সহজেই পূরণ করে এই মাছ। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ক্লান্তি দূর করে পেশিকে শক্তিশালী করতে এই মাছ খুবই উপকারী (Health Benefits of Fish)।

    ক্যান্সার এবং স্নায়ুর রোগেও কার্যকর

    যে কোনও মাছে থাকে সেলেনিয়াম। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই উপাদান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। যা শরীরের ক্যান্সার সহ একাধিক জটিল রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে দেয়। স্নায়ুর রোগ কমাতেও মাছ বিশেষ সাহায্য করে। বিশেষত ভেটকি মাছ (Fish) স্নায়ুর রোগ কমাতে বিশেষ সাহায্য করে বলেই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। পুঁটি, কাচকি, মৌরলার মতো ছোট মাছ শরীরে ক্যালসিয়ামের জোগান দেয়। এই মাছে ক্যালসিয়াম, আয়রন পর্যাপ্ত থাকে। তাই নিয়মিত এই ধরনের মাছ খেলে রক্তাল্পতার মতো রোগ প্রতিরোধ সহজ হয়‌। 
    তাছাড়া, রুই, কাতলা, ইংলিশ যে কোনও বড় আকারের মাছে থাকে ফসফরাস। এই উপাদান রক্ত সঞ্চালনে বিশেষ সাহায্য করে। তাই হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। 

    বিপদ বাড়ায় কোন মাছ? (Fish) 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মাছে বিশেষ বিপদ নেই। বিপদ রয়েছে রান্নার পদ্ধতিতেই। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, যেকোনও খাবার অতিরিক্ত খাওয়া বিপজ্জনক। তাই ইলিশ, চিংড়ি বা কাতলা অত্যন্ত বেশি পরিমাণে খেলে তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। কারণ তখন হজমের সমস্যা দেখা যায়। শরীরে ফ্যাট ও কোলেস্টেরলের মাত্রাও বেড়ে যায়। ফলে একাধিক রোগ তৈরি হয়। তাছাড়া পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, মাছ (Fish) কখনোই ঠিকমতো সেদ্ধ না করে খাওয়া উচিত নয়। অর্থাৎ, কাঁচা মাছ যেন না থাকে। তাতে পেটে নানান ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধার আশঙ্কা থাকে। ফলে নানান রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। মাছ হালকা ভেজে ভালোভাবে ঝোলে ফুটিয়ে খেলে মাছের পুষ্টিগুণ শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ (Health Benefits of Fish)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cancer In Indians: চল্লিশের নীচে ভারতীয়দের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে, সতর্ক করলেন চিকিৎসকরা

    Cancer In Indians: চল্লিশের নীচে ভারতীয়দের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে, সতর্ক করলেন চিকিৎসকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মারণ ব্যাধি ক্যান্সার (Cancer In Indians)। নামটা শুনলেই আঁতকে ওঠেন না এমন মানুষ নেই বললেই চলে। ফি বছর তামাম বিশ্বে ক্যান্সারের করাল গ্রাসে মৃত্যু হয় বহু মানুষের। ভারতেও ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। চিকিৎসকদের মতে, নিম্নমানের খাবার খাওয়ার পাশাপাশি বেহিসেবি জীবনযাপনের কারণে চল্লিশের নীচে ভারতীয়দের ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।

    ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার কারণ (Cancer In Indians)

    ভারতে ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার অনেকগুলি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে চিকিৎসকরা মূল কারণ হিসেবে বেছে নিয়েছেন নিম্নমানের খাবার এবং জীবনযাপনের ধরনকেই। চিকিৎসকদের মতে, ভারতীয়দের মধ্যে প্রসেসড (Cancer In Indians) ফুড খাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। বাড়ছে তামাক এবং মদ্যপানের প্রবণতাও। স্থূলত্ব, স্ট্রেস এবং বেহিসেবি জীবনযাপনও তাঁদের ক্যান্সারের কারণ। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো রয়েছে পরিবেশ দূষণ। ভারতীয় শহরগুলিতে দূষণের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি।

    কী বলছেন চিকিৎসকরা?

    চিকিৎসকদের মতে, এ থেকেও হচ্ছে নানা ধরনের ক্যান্সার। বায়ু দূষণ এবং জল দূষণও ক্রমেই বাড়িয়ে তুলছে ভারতীয় জীবনে ক্যান্সারের ঝুঁকি। বিশিষ্ট চিকিৎসক রাহুল ভার্গব বলেন, “আল্টা-প্রসেসড খাবার খাওয়া এবং বেহিসেবি জীবনযাপন কম বয়সী ভারতীয়দের জীবনে কারণ হচ্ছে ক্যান্সারের। প্রচুর পরিমাণে এই জাতীয় খাবার খাওয়া, অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করা এবং এই দুইয়ের সঙ্গে কায়িক পরিশ্রম না করা ভারতীয় তরুণদের স্বাস্থ্যে সৃষ্টি করছে নানা সমস্যা।” তাঁর মতে, এসব খাবার থেকে দূরে থাকা এবং জীবনযাপনের ধরন বদলালেই থাকা যাবে সুস্থ।

    আর পড়ুন: ‘‘হিন্দুরা নয়, শুধুমাত্র একটি ধর্মই সাম্প্রদায়িকতা ছড়ায়’’, তোপ হিমন্তের

    ‘ক্যান্সার মুক্ত ভারত ফাউন্ডেশনে’র সমীক্ষায় প্রকাশ, প্রতি একশো জনের মধ্যে ২০ জন ভারতীয় তরুণ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন চল্লিশের নীচেই। এঁদের মধ্যে ৬০ শতাংশই পুরুষ। বাকি ৪০ শতাংশ নারী। প্রবীণ ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ তথা বিশিষ্ট চিকিৎসক আশিস গুপ্ত বলেন, “আমাদের দেশে স্থূলত্বের হার বাড়ছে। বদলাচ্ছে খাদ্যাভ্যাস। আল্ট্রা-প্রসেসড খাবার খাওয়ার চলও বাড়ছে। এর সঙ্গে রয়েছে বেহিসেবি জীবনযাপন। এসবের কারণেই বাড়ছে ক্যান্সারের ঝুঁকি।” জীবন যাপনের ধরনে বদল আনলেই যে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমবে, তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। আশিস বলেন, “দূষণমুক্ত পরিবেশ, কায়িক শ্রম, নিয়মিত ব্যায়ামের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসে বদলও কমিয়ে দেবে ক্যান্সারের ঝুঁকি (Cancer In Indians)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share