Tag: Cancer

Cancer

  • Fish: নিয়মিত ভাতের পাশে মাছ! কোন মাছে শরীরে উপকার, আর কোনটি বাড়াচ্ছে রোগ? 

    Fish: নিয়মিত ভাতের পাশে মাছ! কোন মাছে শরীরে উপকার, আর কোনটি বাড়াচ্ছে রোগ? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    অতিথি আসুক কিংবা কোনও আনন্দ উদযাপন, অথবা রোজদিনের খাবারের মেনু, বাঙালির ভাতের পাশে মাছ না হলে চলে না। বাঙালির প্রিয় খাবারের তালিকায় মাছ থাকবেই। নানান রকমের মাছ বাঙালির হেঁসেলে রান্না হয়। কিন্তু সব মাছের (Fish) পুষ্টিগুণ কি সমান! কোন ধরনের মাছ নিয়মিত খাওয়া উচিত, আর কোন মাছ বিপদ বাড়াচ্ছে, এ নিয়ে স্পষ্ট ধারণা অনেকের নেই। আর তার জেরেই স্বাস্থ্যে প্রভাব পড়ছে‌। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বহু রোগ মোকাবিলায় মাছ সাহায্য করে‌। আবার কিছু রোগ বাড়ায় মাছ! এ নিয়ে সচেতনতা থাকলে, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা সহজ হবে‌ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কোন মাছ শরীরের জন্য উপকারী? (Fish)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রুই, কাতলার মতো বড় মাছ শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের মাছে ওমেগা থ্রি ও ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। ফলে একাধিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। বিশেষত হাড়ের জন্য এই মাছ বিশেষ উপকারী। তাছাড়া, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এই মাছ। রেটিনার কার্যক্ষমতা বাড়ায়। ফলে চোখের সমস্যা কমে। 
    পাশপাশি যে কোনও সামুদ্রিক মাছ শরীরে ভিটামিন ডি-র জোগান দেয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ মানুষ ভিটামিন ডি-র অভাবে ভুগছেন। বিশেষত মহিলাদের হাড়ের নানান সমস্যার কারণ শরীরে ভিটামিন ডি-র অভাব। তাই সামুদ্রিক মাছ (Fish) খেলে শরীরে ভিটামিন ডি-র জোগান পাওয়া যাবে। ইলিশ, চিংড়ি, পমফ্লেটের মতো সামুদ্রিক মাছ খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে। এই ধরনের মাছে আয়োডিন বেশি থাকে। ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। 
    লইট্যা, চিংড়ির মতো মাছে মিনারেল, জিঙ্কের মতো উপাদান আছে। ফলে শরীরে খনিজ পদার্থের চাহিদা সহজেই পূরণ করে এই মাছ। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ক্লান্তি দূর করে পেশিকে শক্তিশালী করতে এই মাছ খুবই উপকারী (Health Benefits of Fish)।

    ক্যান্সার এবং স্নায়ুর রোগেও কার্যকর

    যে কোনও মাছে থাকে সেলেনিয়াম। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই উপাদান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। যা শরীরের ক্যান্সার সহ একাধিক জটিল রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে দেয়। স্নায়ুর রোগ কমাতেও মাছ বিশেষ সাহায্য করে। বিশেষত ভেটকি মাছ (Fish) স্নায়ুর রোগ কমাতে বিশেষ সাহায্য করে বলেই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। পুঁটি, কাচকি, মৌরলার মতো ছোট মাছ শরীরে ক্যালসিয়ামের জোগান দেয়। এই মাছে ক্যালসিয়াম, আয়রন পর্যাপ্ত থাকে। তাই নিয়মিত এই ধরনের মাছ খেলে রক্তাল্পতার মতো রোগ প্রতিরোধ সহজ হয়‌। 
    তাছাড়া, রুই, কাতলা, ইংলিশ যে কোনও বড় আকারের মাছে থাকে ফসফরাস। এই উপাদান রক্ত সঞ্চালনে বিশেষ সাহায্য করে। তাই হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। 

    বিপদ বাড়ায় কোন মাছ? (Fish) 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মাছে বিশেষ বিপদ নেই। বিপদ রয়েছে রান্নার পদ্ধতিতেই। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, যেকোনও খাবার অতিরিক্ত খাওয়া বিপজ্জনক। তাই ইলিশ, চিংড়ি বা কাতলা অত্যন্ত বেশি পরিমাণে খেলে তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। কারণ তখন হজমের সমস্যা দেখা যায়। শরীরে ফ্যাট ও কোলেস্টেরলের মাত্রাও বেড়ে যায়। ফলে একাধিক রোগ তৈরি হয়। তাছাড়া পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, মাছ (Fish) কখনোই ঠিকমতো সেদ্ধ না করে খাওয়া উচিত নয়। অর্থাৎ, কাঁচা মাছ যেন না থাকে। তাতে পেটে নানান ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধার আশঙ্কা থাকে। ফলে নানান রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। মাছ হালকা ভেজে ভালোভাবে ঝোলে ফুটিয়ে খেলে মাছের পুষ্টিগুণ শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ (Health Benefits of Fish)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cancer In Indians: চল্লিশের নীচে ভারতীয়দের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে, সতর্ক করলেন চিকিৎসকরা

    Cancer In Indians: চল্লিশের নীচে ভারতীয়দের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে, সতর্ক করলেন চিকিৎসকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মারণ ব্যাধি ক্যান্সার (Cancer In Indians)। নামটা শুনলেই আঁতকে ওঠেন না এমন মানুষ নেই বললেই চলে। ফি বছর তামাম বিশ্বে ক্যান্সারের করাল গ্রাসে মৃত্যু হয় বহু মানুষের। ভারতেও ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। চিকিৎসকদের মতে, নিম্নমানের খাবার খাওয়ার পাশাপাশি বেহিসেবি জীবনযাপনের কারণে চল্লিশের নীচে ভারতীয়দের ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।

    ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার কারণ (Cancer In Indians)

    ভারতে ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার অনেকগুলি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে চিকিৎসকরা মূল কারণ হিসেবে বেছে নিয়েছেন নিম্নমানের খাবার এবং জীবনযাপনের ধরনকেই। চিকিৎসকদের মতে, ভারতীয়দের মধ্যে প্রসেসড (Cancer In Indians) ফুড খাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। বাড়ছে তামাক এবং মদ্যপানের প্রবণতাও। স্থূলত্ব, স্ট্রেস এবং বেহিসেবি জীবনযাপনও তাঁদের ক্যান্সারের কারণ। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো রয়েছে পরিবেশ দূষণ। ভারতীয় শহরগুলিতে দূষণের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি।

    কী বলছেন চিকিৎসকরা?

    চিকিৎসকদের মতে, এ থেকেও হচ্ছে নানা ধরনের ক্যান্সার। বায়ু দূষণ এবং জল দূষণও ক্রমেই বাড়িয়ে তুলছে ভারতীয় জীবনে ক্যান্সারের ঝুঁকি। বিশিষ্ট চিকিৎসক রাহুল ভার্গব বলেন, “আল্টা-প্রসেসড খাবার খাওয়া এবং বেহিসেবি জীবনযাপন কম বয়সী ভারতীয়দের জীবনে কারণ হচ্ছে ক্যান্সারের। প্রচুর পরিমাণে এই জাতীয় খাবার খাওয়া, অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করা এবং এই দুইয়ের সঙ্গে কায়িক পরিশ্রম না করা ভারতীয় তরুণদের স্বাস্থ্যে সৃষ্টি করছে নানা সমস্যা।” তাঁর মতে, এসব খাবার থেকে দূরে থাকা এবং জীবনযাপনের ধরন বদলালেই থাকা যাবে সুস্থ।

    আর পড়ুন: ‘‘হিন্দুরা নয়, শুধুমাত্র একটি ধর্মই সাম্প্রদায়িকতা ছড়ায়’’, তোপ হিমন্তের

    ‘ক্যান্সার মুক্ত ভারত ফাউন্ডেশনে’র সমীক্ষায় প্রকাশ, প্রতি একশো জনের মধ্যে ২০ জন ভারতীয় তরুণ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন চল্লিশের নীচেই। এঁদের মধ্যে ৬০ শতাংশই পুরুষ। বাকি ৪০ শতাংশ নারী। প্রবীণ ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ তথা বিশিষ্ট চিকিৎসক আশিস গুপ্ত বলেন, “আমাদের দেশে স্থূলত্বের হার বাড়ছে। বদলাচ্ছে খাদ্যাভ্যাস। আল্ট্রা-প্রসেসড খাবার খাওয়ার চলও বাড়ছে। এর সঙ্গে রয়েছে বেহিসেবি জীবনযাপন। এসবের কারণেই বাড়ছে ক্যান্সারের ঝুঁকি।” জীবন যাপনের ধরনে বদল আনলেই যে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমবে, তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। আশিস বলেন, “দূষণমুক্ত পরিবেশ, কায়িক শ্রম, নিয়মিত ব্যায়ামের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসে বদলও কমিয়ে দেবে ক্যান্সারের ঝুঁকি (Cancer In Indians)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • IPS Shiladitya Cheti: ক্যান্সার কেড়েছে স্ত্রীকে, মৃত্যুশোকে হাসপাতালেই আত্মঘাতী আইপিএস অফিসার!

    IPS Shiladitya Cheti: ক্যান্সার কেড়েছে স্ত্রীকে, মৃত্যুশোকে হাসপাতালেই আত্মঘাতী আইপিএস অফিসার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন সিনেমা। সত্যিকারের ভালোবাসায় মানুষ কী না করে। স্ত্রীকে হারানোর শোকে এবার আত্মঘাতী হলেন অসমের একজন আইপিএস অফিসার। হাসপাতালে স্ত্রীর মৃতদেহের সামনেই আত্মঘাতী হন তিনি। মৃত পুলিশ কর্তার নাম শিলাদিত্য ছেতি (IPS Shiladitya Cheti)। জানা গিয়েছে, তিনি অসম সরকারের স্বরাষ্ট্র এবং রাজনীতি দফতরের সচিব (Assam Home Secretary) ছিলেন। 

    কেন এই সিদ্ধান্ত? (IPS Shiladitya Cheti)

    জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই চলছিল আইপিএস অফিসার শিলাদিত্য ছেতির স্ত্রী‌র। ক্যান্সার একেবারে শেষ পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। সম্প্রতি শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তাঁর স্ত্রী। স্ত্রীর অসুস্থতার জন্য দীর্ঘ চার মাস ধরে তিনি ছুটিতে ছিলেন। এরপর মঙ্গলবার সন্ধ্যেয় মারা যান ছেতির স্ত্রী। সেই শোক সহ্য করতে না পেরে আইসিইউ’র ভিতরেই স্ত্রীর দেহের সামনে সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি।  হাসপাতাল সূত্রে খবর, স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তিনি চিকিৎসক ও নার্সকে জানিয়েছিলেন, কিছুক্ষণ স্ত্রীর দেহের সামনে তাঁকে একা থাকতে দিতে। এর কিছুক্ষণ পরেই গুলির আওয়াজ শোনা যায়। ঘরে ঢুকতেই দেখা যায়, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তিনি। চিকিৎসকরা চেষ্টা করলেও বাঁচানো যায়নি আইপিএস অফিসারকে।  

    আরও পড়ুন: নৈসর্গিক ডাল লেকের পাড়ে যোগ দিবস পালন, যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী, আঁটসাঁট নিরাপত্তা

    অসম পুলিশের ডিজির বক্তব্য 

    এ প্রসঙ্গে অসম পুলিশের ডিজি জিপি সিং জানিয়েছেন, স্ত্রীর মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই আত্মঘাতী হন আইপিএস অফিসার (IPS Shiladitya Cheti)। অসম পুলিশের পক্ষ থেকে শিলাদিত্যের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করা হয়েছে। জানা গিয়েছে অসমের স্বরাষ্ট্র এবং রাজনীতি দফতরের সচিব পদে দায়িত্ব নেওয়ার আগে তিনি অসমের তিনসুকিয়া এবং সোনিতপুর জেলার পুলিশ সুপার ছিলেন। বর্তমানে এই আইপিএসের আত্মহত্যার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nutrition: ক্যান্সার থেকে হার্ট অ্যাটাক, রুখতে পারে কোন খাবার? কী কী খাবারে বাড়ছে সমস্যা?

    Nutrition: ক্যান্সার থেকে হার্ট অ্যাটাক, রুখতে পারে কোন খাবার? কী কী খাবারে বাড়ছে সমস্যা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ক্যান্সার, হার্ট অ্যাটাক কিংবা স্ট্রোক, যে কোনও বড় স্বাস্থ্যসঙ্কট আটকে দিতে পারে সঠিক খাবার (Nutrition)। আবার, শরীরে ফুসফুস থেকে লিভার, যে কোনও অঙ্গে রোগের অন্যতম কারণ হল খাবার। ওয়ার্ল্ড নিউট্রিশন ডে-তে পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাবারেই রয়েছে সুস্থ জীবনযাপনের চাবিকাঠি। সঠিক পুষ্টি যেমন মানুষকে সুস্থ রাখে, ঠিক তেমনি পুষ্টি সম্পর্কে অসচেতনতা বিপদ বাড়িয়ে দেয়। যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। একাধিক রোগেরও ঝুঁকি বাড়ায়। বিশেষত অপরিকল্পিত ডায়েটের অভ্যাস কমবয়সিদের জন্য একাধিক রোগের কারণ হয়ে উঠছে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, কোন খাবারে বাড়ছে কোন রোগের ঝুঁকি?

    চিনি ও ময়দার তৈরি তেলে ভাজা খাবার বাড়াচ্ছে ক্যান্সারের ঝুঁকি! (Nutrition)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেহের যে কোনও অঙ্গের কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ক্যান্সারের ঝুঁকি তৈরি করে। অতিরিক্ত মশলাদার খাবার, বিশেষত ময়দা আর চিনি দিয়ে তৈরি তেলে ভাজা খাবার এই ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ময়দা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। তাই অতিরিক্ত পরিমাণ ময়দার তৈরি জিনিস‌ খেলে ক্যান্সারের মতো‌ রোগের ঝুঁকিও বাড়ে‌।

    অতিরিক্ত মিষ্টি ডায়াবেটিসের কারণ

    পেস্ট্রি, কেক হোক কিংবা রসগোল্লা, সন্দেশ-যে কোনও মিষ্টিজাতীয় খাবার নিয়মিত খেলেই ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়বে। দেশজুড়ে ডায়াবেটিসের প্রকোপ বাড়ছে। শিশুদের মধ্যেও টাইপ ২ ডায়াবেটিসের প্রকোপ দেখা দিচ্ছে। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, অধিকাংশ ভারতীয় শিশুকাল থেকেই নিয়মিত মিষ্টি খাওয়ায় অভ্যস্থ। এর জেরে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ছে। কিডনি, হার্ট সহ একাধিক অঙ্গের উপরে তার প্রভাব পড়ছে (Nutrition)। পাশপাশি চিনি খাওয়ার অভ্যাস শরীরে বিপদ বাড়াচ্ছে। রান্নায় অতিরিক্ত পরিমাণ চিনি দেওয়া‌ কিংবা চা-কফিতে চিনি খাওয়ার অভ্যাস অত‌্যন্ত বিপজ্জনক বলেই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ।

    চর্বিযুক্ত খাবার বাড়াচ্ছে হৃদরোগের ঝুঁকি (Nutrition)

    মাংসের পদ হোক কিংবা প্রিজার্ভ করা খাবার বাড়াচ্ছে হৃদরোগের ঝুঁকি।‌ পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের অনেকের নিয়মিত খাদ্যতালিকায় ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেটের সঙ্গে প্রাণীজ প্রোটিনের ভারসাম্য থাকে না।‌ অর্থাৎ সব্জির পরিমাণ কম থাকে। অথচ মাছ, মাংসের পরিমাণ বেশি থাকে। এর ফলে শরীরে প্রোটিন ও ফ্যাট বেশি পরিমাণে যায়। অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। এর জেরে হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ে।

    হজমের গোলমাল থেকে ত্বকের সমস্যা বাড়াচ্ছে বাড়তি তেল

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ভারতীয় প্রয়োজনের অতিরিক্ত তেল খাবারে খান। নিয়মিত রান্নায় অতিরিক্ত পরিমাণ তেল ব্যবহারের জেরে একদিকে লিভার, পাকস্থলীতে চাপ পড়ছে‌। হজমের গোলমাল হচ্ছে। হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ছে। আবার অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবার (Nutrition) খেলে ত্বকের একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সঠিক পুষ্টিকর খাবার নিয়মিত খেলেই উপকার পাওয়া যাবে। রুখে দেবে নানান‌ রোগ।

    নিয়মিত মাশরুম ও রসুন রুখবে ক‌্যান্সার

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত না হলেও অন্তত সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন মাশরুম খাওয়া জরুরি। একাধিক আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, শরীরে ক্যান্সার রুখতে মাশরুম খুবই উপকারী। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, শরীরে দ্রুত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জোগান দেয় মাশরুম। ক্যান্সার রুখতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খুবই জরুরি। তাই মাশরুম খাদ্যতালিকায় রাখলেই উপকার পাওয়া যাবে। এর পাশপাশি ক্যান্সার রুখতে আরেক ভারতীয় উপকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। সেটা হলে রসুন। তাঁরা জানাচ্ছেন, রসুনে থাকে অ্যালিসিস। এই যৌগ ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।

    নিয়মিত ৫-৬ লিটার জল কমাবে হজমের গোলমাল ও ত্বকের সমস্যা (Nutrition)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পরিশ্রুত জল কমাবে হজমের সমস্যা।‌ লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়াতে ও হজমের গোলমাল কমাতে নিয়মিত একজন প্রাপ্তবয়স্কের ৫-৬ লিটার জল খাওয়া জরুরি। এর জেরে ত্বকও ভালো থাকবে। শুষ্কতা কমবে। ত্বকের যে কোনও রকমের সমস্যা কমিয়ে উজ্জ্বলতা বাড়াবে।

    খেজুর ও বাদাম কমাবে হৃদরোগের ঝুঁকি

    রোজকার খাবারের তালিকায় খেজুর, কাজু, আখরোট কিংবা কাঠবাদামের মতো উপাদান রাখলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে (Nutrition)। খেজুর, কাঠবাদাম কিংবা কাজুতে রয়েছে একাধিক খনিজ পদার্থ। পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজের মতো খনিজ পদার্থে ভরপুর এই খাবার নিয়মিত খেলে দেহে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা বাড়ে। ফলে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

    লেবু বাড়াবে রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Nutrition)

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, যে কোনও ঋতুতেই শরীর সুস্থ রাখতে জরুরি দেহের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানো। নিয়মিত লেবু জাতীয় ফল খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। কারণ লেবুতে থাকে‌ ভিটামিন সি। তাই নিয়মিত লেবু খেলে যে কোনও ভাইরাস‌ঘটিত রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সহজ‌ হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Spices: মশলাতেই রয়েছে জটিল রোগমুক্তির পথ! জেনে নিন কোন মশলায় কোন রোগ সারতে পারে

    Spices: মশলাতেই রয়েছে জটিল রোগমুক্তির পথ! জেনে নিন কোন মশলায় কোন রোগ সারতে পারে

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ঘরোয়া উপাদানেই বাজিমাত। বাঙালির রান্নাঘরেই রয়েছে অব্যর্থ নিরাময়। জটিল রোগের মোকাবিলা করবে রান্নাঘরের মশলা (Spices)। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, রোজদিনের রান্নায় এমন কিছু মশলার ব্যবহার করা হয়, যাতে একাধিক জটিল রোগ মোকাবিলা সম্ভব। কিন্তু কোন‌ মশলায় কোন‌ রোগের মোকাবিলা হবে?

    এলাচে কমবে ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি

    সাম্প্রতিক এক‌ গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এলাচ বিশেষত ছোট এলাচ ফুসফুসের জন্য বিশেষ উপকারী। পায়েস থেকে মাংস, সব রকমের রান্নায় সুগন্ধের জন্য এলাচের ব্যবহার করা হয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত এলাচ খেলে ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ে। তাই বয়স্ক ও শিশুদের রান্নায় এলাচ ব্যবহার করলে‌ বাড়তি উপকার পাওয়া যায়। বিশেষত ঋতু পরিবর্তনের সময়ে নানান ভাইরাস ঘটিত জ্বরে অনেকেই কাবু হন। বয়স্ক ও শিশুদের ঝুঁকি বেশি‌ থাকে। ভাইরাসের দাপটে ফুসফুসে নানান সংক্রমণ দেখা দেয়। নিয়মিত এলাচ খেলে ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ে। তাই এলাচ বিশেষ উপকারী।

    ডায়াবেটিস আক্রান্তদের উপকার দেবে দারুচিনি (Spices) 

    সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দারুচিনি শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিস আক্রান্তেরা রান্নার পাশাপাশি চায়ে দারুচিনি দিয়ে খেলেও উপকার পাবেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, দারুচিনি রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের পাশপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণে ও বিশেষ সাহায্য করে। ডায়াবেটিস আক্রান্তদের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকাও জরুরি। কারণ হৃদরোগ কিংবা কিডনির সমস্যা এড়াতে জরুরি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা। তাই দারুচিনি বিশেষ সাহায্য করবে।

    হৃদরোগ কিংবা হাড়ের সমস্যা কাবু হবে ধনে গুঁড়োয়

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, দিনে অন্তত যে কোনও একটা রান্নায় ধনে গুঁড়ো ব্যবহার করলে‌ একাধিক শারীরিক উপকার পাওয়া যাবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ধনে গুঁড়োয় থাকে পটাশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন কে, ফলিক এসিড। তাই এই মশলা (Spices) রান্নায় ব্যবহার করলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। কারণ পটাশিয়াম রক্ত সঞ্চালনে বিশেষ সাহায্য করে। পাশাপাশি ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম হাড় মজবুত করে। ফলে হাড়ের রোগের ঝুঁকিও কমায়।

    রক্তাল্পতা এড়াতে নিয়মিত জিরে গুঁড়ো জরুরি

    জিরে গুঁড়োয় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। তাই রক্তাল্পতার সমস্যা এড়াতে নিয়মিত জিরে গুঁড়ো রান্নায় ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, জিরে গুঁড়ো মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতেও বিশেষ সাহায্য করে। এছাড়াও জিরের উপাদান লিভার ও কিডনির কার্যকারিতা বাড়ায়। হজম শক্তি বাড়ায়। ফলে শরীরের বিপাকক্রিয়া ভালোভাবে হয়।

    ক্যান্সার সহ একাধিক রোগের প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায় লবঙ্গ (Spices)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত লবঙ্গ খেলে ক্যান্সারের মতো জটিল রোগেরও মোকাবিলা সম্ভব। তাঁরা জানাচ্ছেন, লবঙ্গে রয়েছে একাধিক খনিজ পদার্থ। যেমন, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন। এগুলো‌ দেহে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। পাশপাশি ভিটামিন কে, ভিটামিন এ সহ‌ একাধিক ভিটামিনের‌ জোগান দেয় লবঙ্গ। তাই যে কোনও সংক্রামক রোগের মোকাবিলা করতে বাড়তি শক্তি জোগায় লবঙ্গ। এছাড়াও দেহের প্রতিরোধ‌ শক্তি বাড়ায়।

    পেটের রোগ থেকে হরমোনের ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে মেথি

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মেথির গুণ প্রচুর। তাই রান্নায় মেথির ব্যবহার করলে বাড়তি উপকার পাওয়া যাবে। পেটের যে কোনও সমস্যায় মেথি বিশেষ উপকার করে। কারণ মেথি লিভার ও পাকস্থলীর জন্য বিশেষ উপকারী। এছাড়াও মেথির উপাদানগুলো দেহের হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে বিশেষ সাহায্য করে (Spices)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Plastic Pollution: ফ্রিজে প্লাস্টিকের কৌটোয় খাবার রাখছেন? কোন কোন রোগের ঝুঁকি বাড়ছে? 

    Plastic Pollution: ফ্রিজে প্লাস্টিকের কৌটোয় খাবার রাখছেন? কোন কোন রোগের ঝুঁকি বাড়ছে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সোমবার ছিল ওয়ার্ল্ড আর্থ ডে। পরিবেশ, প্রকৃতি সম্পর্কে আরও একটু সতর্ক আর সচেতন হওয়ার দিন। বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে প্লাস্টিকের দাপট। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই প্লাস্টিক শুধু জল, মাটির ক্ষতি করছে না। মারাত্মক বিপদ তৈরি করছে মানুষের স্বাস্থ্যের। প্লাস্টিকের ব্যবহার মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। কিন্তু অসচেতনতার জেরে মানুষ লাগাতার প্লাস্টিকের ব্যবহার করছেন। গরম খাবার দোকান থেকে কিনে আনার সময় হোক, কিংবা বাড়ির তৈরি খাবার অতিরিক্ত হলে ফ্রিজে ভরে রাখার সময়, দেদার ব্যবহার হচ্ছে প্লাস্টিক। প্লাস্টিকের কৌটোয় খাবার রাখার রেওয়াজ এখন প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই রয়েছে। আর তার জেরেই শরীরে একাধিক রোগের প্রকোপ বাড়ছে (Plastic Pollution)। তাই বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, প্লাস্টিকের জিনিসে খাবার খাওয়া কিংবা খাবার রাখলে সতর্ক হতে হবে। এখন দেখে নেওয়া যাক, প্লাস্টিকের জিনিসে রাখা খাবার কোন রোগের ঝুঁকি বাড়ায়?

    গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্কে কুপ্রভাব

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্লাস্টিকের পাত্রে বিভিন্ন স্তর থাকে। সেগুলোতে থাকে ক্ষতিকারক মোনোমার। এই মনোমার হল এক ধরনের কৃত্রিম ইস্ট্রোজেন হরমোন। তাই প্লাস্টিকের পাত্রে রাখা খাবার গরম করে গর্ভবতীকে খেতে দিলে, তার শরীরে এই কৃত্রিম হরমোনের প্রবেশের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এর জেরে গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে বাধা হয়। বিশেষত শিশুর হাইপার অ্যাকটিভ, অবসাদের মতো সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ বাড়ে।

    হার্ট ও লিভারের রোগের ঝুঁকি বাড়ে (Plastic Pollution)

    বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্লাস্টিকের পাত্রে খাবার রেখে নিয়মিত খেলে হার্ট ও লিভারের রোগের ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্লাস্টিকের পাত্র হয় নরম। এই নরম করার জন্য ফ্যালেটন নামে একপ্রকার উপাদান মেশানো হয়। এটার জেরেই হার্ট ও লিভারে উপরে এক ধরনের চাপ তৈরি হয়। তাই হার্ট ও লিভারের রোগের ঝুঁকি বাড়ে।

    একাধিক স্নায়ুর রোগের কারণ

    প্লাস্টিক বাড়িয়ে দেয় স্নায়ুর রোগের ঝুঁকি। এমনই জানাচ্ছেন দেশের গবেষক-চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্টাইরিন সহ একাধিক মনোমার প্লাস্টিকের পাত্রে ব্যবহার করা হয়। এই ধরনের মনোমার স্নায়ুর উপরে প্রভাব ফেলে। দেহের একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে (Plastic Pollution)। তাই মাথাব্যথা, অবসাদ, অবসন্নতার মতো একাধিক সমস্যা বাড়ে। নানান জটিল স্নায়বিক‌ রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়।

    স্তন ক্যান্সার এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও বাড়ায় (Plastic Pollution)

    প্লাস্টিকের পাত্রে খাবার খেলে, দেহে কৃত্রিম হরমোনের প্রবেশের ঝুঁকি তৈরি হয়। আর তার জেরেই ডায়াবেটিস এবং স্তন ক্যান্সারের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ে। মহিলাদের দেহে কৃত্রিম ইস্ট্রোজেন হরমোনের প্রবেশের ফলে, দেহে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তাই স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। আবার পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার জেরে ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও বাড়ে।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, রোজের জীবনে বাদ দিতে হবে প্লাস্টিক। তাঁরা জানাচ্ছেন, ইউরোপ ও আমেরিকার বহু দেশের মানুষের মধ্যে প্লাস্টিক নিয়ে সচেতনতা তৈরি হচ্ছে। বিশেষত খাবার কেনা ও রাখার পাত্র হিসাবে প্লাস্টিকের ব্যবহার নিয়েও সতর্কতা তৈরি হচ্ছে। কিন্তু ভারতে সে নিয়ে সচেতনতার হার আরও বাড়ানো‌ দরকার বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত খাবার রাখার জন্য প্লাস্টিক একেবারেই উপযুক্ত নয়। বিশেষত খাবার গরম করা বা দীর্ঘ সময় খাবার রাখার জন্য প্লাস্টিক ব্যবহার না করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, কাচের পাত্রে খাবার রাখা যেতে পারে। মাইক্রোওয়েভ ওভেনে গরম করার ক্ষেত্রেও প্লাস্টিক নয় (Plastic Pollution), বরং কাচের পাত্রে গরম করা উচিত বলেই মত বিশেষজ্ঞ মহলের।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Prawns: জলের পোকা বলে শুধুই ‘বদনাম’! কোন‌ শারীরিক সমস্যার সহজে মোকাবিলা করে চিংড়ি?

    Prawns: জলের পোকা বলে শুধুই ‘বদনাম’! কোন‌ শারীরিক সমস্যার সহজে মোকাবিলা করে চিংড়ি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    খাদ্য রসিকদের অনেকেরই পছন্দের পদ! তবুও জলের পোকা বলে বদনাম তার আছেই! চিংড়ি (Prawns) নিয়ে তাই নানা লোকের নানা মত! অনেকেই মনে করেন, চিংড়ি খেলেই পেটের সমস্যা হতে পারে। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গিয়েছে, চিংড়ির উপকার একাধিক। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, একাধিক শারীরিক সমস্যা চিংড়ি খেলে সহজেই মোকাবিলা করা যায়। অ্যালার্জির সমস্যা না থাকলে, চিংড়ির পুষ্টিগুণ শরীরের জন্য খুবই উপকারী। দেখা যাক, কোন ধরনের শারীরিক সমস্যার সমাধানে সাহায্য করে চিংড়ি?

    সহজে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে, তাই পেশির সমস্যা কমে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিংড়ি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। তাই চিংড়ি খেলে দেহের প্রোটিনের চাহিদা সহজেই‌ পূরণ হয়। দেহের ৪২ শতাংশ প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম চিংড়ি। দেহে প্রোটিনের চাহিদা ঠিকমতো সহজে পূরণ হলে একাধিক শারীরিক সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়। বিশেষত পেশির সমস্যা সহজেই কমানো‌ যায়। প্রোটিনের ঘাটতি থেকেই পেশিতে ব্যথা ও দুর্বলতা তৈরি হয়। চিংড়ি (Prawns) প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করায় সহজেই পেশির সমস্যা কমে।

    মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখে, স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিংড়িতে (Prawns) রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস এবং আয়োডিন। এই দুই উপাদান মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। আয়োডিন স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। তাই কম বয়সি থেকে বয়স্ক, অনেকেই এখন স্মৃতিশক্তি হ্রাসের সমস্যায় ভুগছেন। চিংড়ি খেলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়বে। ফলে স্মৃতিশক্তি সংক্রান্ত সমস্যাও কমবে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    হাড়ের শক্তি বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে (Prawns)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিংড়ি মাছে ক্যালসিয়াম, ওমেগা থ্রি এবং ফ্যাটি অ্যাসিড প্রচুর পরিমাণে আছে। এই উপাদানগুলো হাড়ের জন্য বিশেষ উপকারী। দেশজুড়ে মহিলাদের হাড় ক্ষয়ের সমস্যা বাড়ছে। তাই চিংড়ি মাছ খেলে হাড় মজবুত হবে। হাড় ক্ষয়ের ঝুঁকি কমবে। এমনই মনে করছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ।

    রক্তাল্পতার সমস্যা কমাতে বিশেষ সাহায্য করে (Prawns)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিংড়ি মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি১২, মিনারেল। এই উপাদানগুলো শরীরে রক্তের ঘাটতি পূরণ করে। ফলে রক্তাল্পতার সমস্যা দূর হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mushrooms: ব্লাড সুগার থেকে অ্যানিমিয়া, একাধিক কোন কোন সমস্যায় কার্যকর মাশরুম?

    Mushrooms: ব্লাড সুগার থেকে অ্যানিমিয়া, একাধিক কোন কোন সমস্যায় কার্যকর মাশরুম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাশরুম খেতে ভালোবাসেন না, এমন মানুষ খুব কমই আছেন। এটি (Mushrooms) রান্নাঘরের নিত্যদিনের খাবারে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে অনেক বাড়িতেই। এটি দিয়ে বিভিন্ন মুখরোচক খাবার, স্যুপ, সবজি ও স্ন্যাক্স তৈরি করে খাওয়া যায়। এটি যেমন খেতে ভালো, ঠিক তেমনই এর আছে বিভিন্ন উপকারিতা যা কম নয় এবং অনেক মানুষই তা জানেন না।

    মাশরুমের উপকারিতা (Mushrooms)

    ১) বহুমূত্র বা ডায়াবেটিস নিরাময়ে মাশরুম: বর্তমানে প্রায় বাড়িতেই ডায়াবেটিস রোগীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এই মাশরুম ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। মাশরুমের মধ্যে ফ্যাট ও শর্করার পরিমাণ কম থাকে এবং ফাইবার বেশি থাকার কারণে বহুমূত্র বা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি খুবই উপকারী। এটি নিয়মিত খেলে ব্লাড সুগার কমানো সহজ হয়ে ওঠে।
    ২) চর্মরোগ প্রতিরোধে মাশরুম: বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ যেমন চুলকানি, দাদ প্রভৃতি থেকে মাশরুম (Mushrooms) অনেক উপকার করে। মাশরুম থেকে এমনকি মাথার খুশকি প্রতিরোধক ওষুধ তৈরি করা হয়।
    ৩) গর্ভবতী ও শিশুদের রোগ প্রতিরোধ: আমিষ, শর্করা, চর্বি, ভিটামিন ও মিনারেলের সমন্বয় আছে এই মাশরুমে যা শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে বাড়িয়ে তোলে। এছাড়াও বিভিন্ন রোগ যেমন স্কার্ভি, পেলেগ্রা প্রভৃতি থেকে গর্ভবতী মা এবং শিশুদের রক্ষা করা যায় এই মাশরুম থেকে। কারণ এর মধ্যে রয়েছে নিয়োসিন ও অ্যাসকরবিক অ্যাসিড ও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। 
    ৪) দাঁত ও হাড় গঠন: মাশরুমের মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি, ফসফরাস ও ক্যালসিয়াম, যা শিশুদের হার ও দাঁত গঠনে অত্যন্ত উপকারী।
    ৫) ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্যকারী: মাশরুমের (Mushrooms) মধ্যে আছে ল্যামপট্রোল, বেটা-ডি, বেনজো পাইরিন, টারপিনোয়েড যা ক্যান্সার ও টিউমার প্রতিরোধ করতে সাহায্যকারী। জাপানের একটি ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের সমীক্ষায় দেখা গেছে মাশরুম ক্যান্সার প্রতিহত করতে অত্যন্ত উপকারী। এমনকি ফ্রান্সের লোকেরা প্রচুর পরিমাণে মাশরুম খান বলে তাদের মধ্যে ক্যান্সার রোগের প্রাদুর্ভাব কম। 
    ৫) উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ প্রতিরোধ করে: মাশরুমের মধ্যে আছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যেমন ইরিটাডেনিন, লোভাস্টনিন, এনটাডেনিন, কিটিন, ভিটামিন বি, সি ও ডি মানুষের উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। 
    ৬) হেপাটাইটিস বি ও জন্ডিস প্রতিরোধক: মাশরুমে (Mushrooms) প্রচুর পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড, আয়রন এবং লিংকজাই ৮ নামক এমাইনো অ্যাসিড থাকায় হেপাটাইটিস বি ও জন্ডিসের মতো রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
    ৭) অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা নিয়ন্ত্রণ: শরীরে রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া দেখা দিলে মাশরুম (Mushrooms) খাওয়া অত্যন্ত উপকারী হতে পারে। শরীরের রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে মাশরুম খুবই উপকারী।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sreela Majumdar: তিন বছরের লড়াই শেষ! না ফেরার দেশে চলে গেলেন শ্রীলা মজুমদার

    Sreela Majumdar: তিন বছরের লড়াই শেষ! না ফেরার দেশে চলে গেলেন শ্রীলা মজুমদার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্যানসারে ভুগছিলেন টলিউড অভিনেত্রী শ্রীলা মজুমদার (Sreela Majumdar) । তিন বছর ধরে মারণরোগের সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে হার মানলেন তিনি। না ফেরার দেশে চলে গেলেন অভিনেত্রী। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। অভিনেত্রীর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন তাঁর পরিবারের লোকজন। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ টলিপাড়া।

    তিন বছর আগে অভিনেত্রীর শরীরে মারণরোগ থাবা বসায় (Sreela Majumdar)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন বছর আগে তাঁর (Sreela Majumdar) শরীরে মারণরোগ থাবা বসায়। নিয়মিত তিনি চিকিৎসা করাচ্ছিলেন। তবে, গত বছর নভেম্বর মাস নাগাদ তাঁর শারীরীক অবস্থার অবনতি হয়েছিল। পরে, চিকিৎসা করিয়ে তিনি কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠেন। তবে, চলতি মাসে তাঁর ফের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে টাটা মেডিক্যাল ক্যানসার সেন্টারে ভর্তি করা হয়। ২০ জানুয়ারি তাঁকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। তখন থেকে তিনি বাড়িতেই ছিলেন। তাঁর স্বামী এসএনএম আব্দি তাঁর দেখাশুনা করছিলেন। তাঁর ছেলে সোহেল আব্দি পড়াশুনার জন্য লন্ডনে থাকেন। তিনিও মায়ের শারীরীক অবস্থার অবনতি হওয়ার খবর পেয়ে আগেই বাড়ি ফিরে এসেছেন। শনিবার রাতে কেওড়াতলা শ্মশানে অভিনেত্রীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। টলি পাড়ার অনেকেই শোক প্রকাশ করেন।

     মৃনাল সেনের হাত ধরে প্রথম টলিউডে পা রাখেন অভিনেত্রী

    টলিপাড়া ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বনামধন্য পরিচালক মৃনাল সেনের হাত ধরেই শ্রীলা মজুমদারের (Sreela Majumdar)টলিপাড়ায় আত্মপ্রকাশ। বয়স তখন তাঁর মাত্র ১৬ বছর। একটি নাটকের মহড়া থেকে সিনেমার জগতে তাঁকে নিয়ে এসেছিলেন পরিচালক মৃণাল সেন। ১৯৮০ সালে মৃণাল সেন পরিচালিত ‘পরশুরাম’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে তিনি প্রথম পা রাখেন। তাঁর জীবনের উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলোর মধ্যে অন্যতম গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’। অঞ্জন চৌধুরির ‘পূজা’, হরনাথ চক্রবর্তীর ‘প্রতিবাদ’। এই সব সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁচ্ছে গিয়েছিলেন। বাংলার পাশাপাশি বলিউডের নামজাদা তারকা শাবানা আজমি, নাসিরুদ্দিন শাহ, স্মিতা পাটিলের সঙ্গেও অভিনয় করেছিলেন তিনি। শ্রীলা মজুমদারের অভিনয় কেরিয়ারের আরও একটি উল্লেখযোগ্য দিক হল, ২০০৩ সালে চোখের বালি সিনেমায় ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের জন্য বাংলায় কণ্ঠ দিয়েছিলেন। শেষবার কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘পালান’ সিনেমায় তাঁকে দেখা গিয়েছিল। মারণরোগ থাবা বসাতে কাজ তিনি কিছুটা কমিয়ে দিয়েছিলেন। তবে, তাঁর অনুরাগীদের বক্তব্য, এরকম প্রতিভাময়ী অভিনেত্রীকে ঠিকমতো ব্যবহার করা হয়নি। এটা নিয়ে তাঁর অভিমান ছিল। তবে, তিনি এই বিষয় নিয়ে কারও কাছে অভিযোগও কোনওদিন করেননি। স্বর্ণযুগের সমান্তরাল ছবির নায়িকা শ্রীলা মজুমদারের অকাল প্রয়াণে গভীরভাবে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: এক পায়ে সাইকেল চড়ে অযোধ্যার রাম মন্দিরের পথে ক্যান্সার আক্রান্ত যুবক

    Ram Mandir: এক পায়ে সাইকেল চড়ে অযোধ্যার রাম মন্দিরের পথে ক্যান্সার আক্রান্ত যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনের জন্য সমস্ত রকম প্রস্তুতি চলছে। ২২ জানুয়ারি মন্দিরের উদ্বোধন হবে। সেই মাহেন্দ্রক্ষণে উপস্থিত হওয়ার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা সামিল হচ্ছেন। অযোধ্যার সেই কর্মযজ্ঞের সাক্ষী হতে উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙা থেকে সৌমিক গোলদার নামে এক যুবক এক পায়ে সাইকেল চালিয়ে পাড়ি দিলেন। তাঁর এই অদ্যম ইচ্ছাশক্তিকে কুর্ণিশ জানিয়েছে পরিবার, পরিচিত এবং এলাকার বাসিন্দারা। সাহায্যের জন্য সঙ্গে একজন বন্ধু নিয়ে মঙ্গলবার তিনি রওনা দিয়েছেন।

    দুর্ঘটনায় একটি পা খুইয়েছিলেন গোবরডাঙার সৌমিক (Ram Mandir)

    স্থানীয় এবং পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গোবরডাঙার বাবুপাড়ার বাসিন্দা সৌমিকের ২০২০ সালে ডান পায়ে ক্যান্সার ধরা পড়ে। তারপর দীর্ঘ দু’বছর ধরে চলা চিকিৎসায় সাড়াও মিলছিল। কিন্তু, ২০২২ সালে স্কুটি করে যাওয়ার সময় তিনি পড়ে যাওয়ায় ঘটে বিপত্তি। আঘাত লাগে পায়ে বসানো প্লেটে। সেখানে ইনফেকশন হয়ে তা গোটা পায়ে ছড়িয়ে পড়ে। চিকিৎসকরা কোনও উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে সৌমিকের ডান পা বাদ দেন। তারপর থেকে বাঁ পায়ের উপর ভরসা করেই শুরু হয় যুবকের বাকি জীবনের পথ চলা। এদিকে, অযোধ্যায় রাম মন্দির (Ram Mandir) তৈরি হওয়ার ছবি দেখে গোবরডাঙার এই যুবকের সেখানে যাওয়ার ইচ্ছে জাগে। পরিচিত এবং বন্ধুরাও তাঁকে উৎসাহ দেন। কিন্তু, এতটা পথ এক পায়ে সাইকেল চালিয়ে কীভাবে যাবে, তা ভেবে বাবা বাসুদেব গোলদার এবং মা ইতিকাদেবী ছেলেকে বহুবার বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু, ছেলের প্রবল ইচ্ছেশক্তির কাছে হার মানেন তাঁরা। সৌমিক তাঁর মা-বাবাকে বোঝাতে সক্ষম হন। কলকাতায় লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠেও এক পায়ে স্কুটি চালিয়ে তিনি গিয়েছিলেন। তারপরই তিনি ঠিক করেন, ৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার অযোধ্যার উদ্দেশে পাড়ি দেবেন।

    পরিবেশ দূষণ রোধের বার্তা দিতেই সাইকেলে অযোধ্যা

    সৌমিক বলেন, প্রায় ৯৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পথ যেতে সময় লেগে যাবে ১১ দিন। মূলত দিনের আলোতেই প্রতিদিন ৮০ কিমির বেশি পথ যাব। রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনের ঐতিহাসিক এই মুহূর্তের সাক্ষী থেকে পূণ্য লাভের জন্য পাড়ি দিচ্ছি অযোধ্যায়। পরিবেশ দূষণ রোধের বার্তা দিতেই সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছি। পাশাপাশি সাইকেল চালালে শরীর সুস্থও থাকে। এক পায়ে সাইকেল চালিয়ে যাব ঠিক করার পর পরিবার প্রথমে চায়নি। কিন্তু, বোঝানোর পর পরিবারই আমাকে উৎসাহ দিয়েছে। গোবরডাঙাবাসীর থেকেও উৎসাহ পেয়েছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share