Tag: card

card

  • E AADHAAR: আর হুটহাট ছুটতে হবে না আধার কার্ডের তথ্য আপডেট করতে, নয়া উদ্যোগ কেন্দ্রের

    E AADHAAR: আর হুটহাট ছুটতে হবে না আধার কার্ডের তথ্য আপডেট করতে, নয়া উদ্যোগ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আধার কার্ড নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল ইউআইডিএআই (ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া)। জানা গিয়েছে, কিউআর কোডের ওপর ভিত্তি করে গড়ে তোলা হবে (E AADHAAR) ডিজিটাল আধার সিস্টেম। এই সিস্টেমের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে (AADHAAR Card) ডিজিটাল পদ্ধতিতে আধার কার্ড শেয়ার করা যাবে। আঙুলের ছাপ এবং চোখের মণি বাদ দিয়ে আধার কার্ডের বাকি যাবতীয় পরিবর্তনও ডিজিটাল মাধ্যমেই করা যাবে।

    কিউআর কোড-ভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন (E AADHAAR)

    আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই একটি নতুন কিউআর কোড-ভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন চালু হয়ে যাবে। এর ফলে আর কোথাও আধার কার্ডের ফটোকপি জমা দিতে হবে না। দেশবাসী তাঁদের আধারের ডিজিটাল ভার্সন শেয়ার করতে পারবেন — পুরো বা আংশিকভাবে গোপন ফরম্যাটে, যেমন তাঁদের পছন্দ। নভেম্বরের মধ্যে ইউআইডিএআই একটি সহজ প্রক্রিয়া চালুর পরিকল্পনা করছে। এটি চালু হলে আধার আপডেট করতে কেন্দ্রগুলিতে যাওয়ার প্রয়োজন অনেকটাই কমে যাবে।জীবনধারণের প্রমাণ হিসেবে বায়োমেট্রিক তথ্য বাদে, ঠিকানা বা অন্যান্য তথ্যের আপডেট স্বয়ংক্রিয়ভাবেই করা যাবে। কারণ এটি বিভিন্ন সরকারি ডেটাবেসের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। এর মধ্যে থাকবে জন্মের শংসাপত্র, মাধ্যমিক পরীক্ষার রেকর্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট, প্যান কার্ড, রেশন ব্যবস্থা (PDS) এবং এমএনআরইজিএ (MNREGA) সিস্টেম।

    ইউআইডিএআই-র সিইওর বক্তব্য

    এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য হল নাগরিকদের ঝুট-ঝামেলা পোহানো বন্ধ করা এবং আধার রেজিস্ট্রেশনের সময় ভুয়ো নথিপত্র জমা দেওয়ার প্রবণতা কমানো। এছাড়াও, ব্যবহারকারীদের সুবিধা বাড়াতে বিদ্যুৎ বিলের রেকর্ডও যুক্ত করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। ইউআইডিএআই-র সিইও (E AADHAAR) ভুবনেশ কুমার জানান, চলতি বছরের নভেম্বর মাস থেকেই পুরোপুরিভাবে চালু হয়ে যাবে ই-আধার প্রকল্প। নয়া এই সিস্টেম চালু হয়ে গেলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আধার কার্ডের ফটোকপি জমা দেওয়ার আর প্রয়োজন পড়বে না। তার বদলে সাধারণ মানুষ আধার কার্ডের ডিজিটাল ভার্সন জমা দিতে পারবেন। চাইলে আধার কার্ডের মাস্কড ভার্সনও জমা দিতে পারবেন (AADHAAR Card)।  নতুনভাবে তৈরি অ্যাপ্লিকেশন সম্পর্কে তিনি জানান, এক লাখ যন্ত্রের মধ্যে প্রায় ২ হাজার যন্ত্র ইতিমধ্যেই এই নয়া সিস্টেম ব্যবহার করছে। তিনি বলেন, “আঙুলের ছাপ ও আইরিস (চোখের স্ক্যান) দেওয়া ছাড়া বাকি সব কিছু আপনি খুব শীঘ্রই বাড়িতে বসেই করতে পারবেন।”

    ঝামেলা পোহানোর দিন শেষ

    এখন আধার কার্ড আপডেট করতে হলে কোনও ব্যক্তিকে আধার কেন্দ্রে যেতে হয়। নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ বা মোবাইল নম্বর পরিবর্তন হোক না কেন, প্রতিটি আপডেটের জন্য ব্যক্তিকে সশরীরে উপস্থিত হতে হয়।   চলতি বছরের নভেম্বর থেকে এই ঝামেলা আর পোহাতে হবে না। তখন ব্যবহারকারীদের কেবলমাত্র একটি ওটিপি-র প্রয়োজন হবে, যার মাধ্যমে তাঁরা বাড়িতে বসেই তাঁদের আধার কার্ডের তথ্য আপডেট করতে পারবেন (E AADHAAR)। যাঁরা ব্যস্ততার কারণে আধার কেন্দ্রে যেতে পারছেন না, তাঁদের জন্য এই পরিবর্তন বিশেষভাবে উপকারী হবে।

    এক নজরে সুবিধা

    এক নজরে দেখে নেওয়া যাক নয়া এই অ্যাপ্লিকেশনে কী কী সুবিধা মিলবে।

    এই অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন ঠিকানা, টেলিফোন নম্বর, নাম এবং জন্মতারিখ সংশোধনের মতো তথ্য আপডেট করার সুবিধা দেবে। মোবাইল ডিভাইস বা অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে কিউআর কোড-ভিত্তিক আধার স্থানান্তর চালু করাকে অপব্যবহার রোধের জন্য অত্যাবশ্যক মনে করা হচ্ছে। এর ব্যবহার হতে পারে হোটেলে চেক-ইন থেকে শুরু করে রেলভ্রমণের সময় পরিচয়পত্র যাচাই পর্যন্ত। কুমার বলেন, “এটি ব্যবহারকারীদের নিজস্ব তথ্যের ওপর সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ দেবে এবং শুধুমাত্র সম্মতির ভিত্তিতে তা শেয়ার করা যাবে (E AADHAAR)।”

    এই ব্যবস্থা উপ-রেজিস্ট্রার ও রেজিস্ট্রারদের দ্বারা সম্পত্তি নিবন্ধনের সময় প্রতারণামূলক কাজকর্ম রোধেও প্রয়োগ করা যেতে পারে। কুমার জানান, ইউআইডিএআই রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে কাজ করছে যাতে সম্পত্তি নিবন্ধনের সময় আধার যাচাইকরণ অন্তর্ভুক্ত করা যায় এবং জালিয়াতির ঘটনা কমানো যায় (AADHAAR Card)।

    ইউআইডিএআই ইতিমধ্যেই সিবিএসই এবং অন্যান্য পরীক্ষা বোর্ডগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে যাতে শিক্ষার্থীদের বায়োমেট্রিক ও অন্যান্য তথ্য আপডেট করা যায়। এই আপডেট দুটি বয়সসীমার মধ্যে করতে হবে – পাঁচ থেকে সাত বছর, এবং ১৫ থেকে ১৭ বছর। এই বিষয়ে তারা একটি বিশেষ প্রচারের পরিকল্পনা করছে, যাতে প্রথম আপডেটের (৫-৭ বছর বয়সী শিশুদের) জন্য ৮ কোটি এবং দ্বিতীয় আপডেটের (১৫-১৭ বছর বয়সীদের) জন্য ১০ কোটি সমস্যার সমাধান করা যায় (E AADHAAR)। এছাড়াও ইউআইডিএআই বিভিন্ন সংস্থা, যেমন নিরাপত্তা সংস্থা এবং হসপিটিলিটি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা করছে, যেখানে আধার ব্যবহারে বাধ্যবাধকতা না থাকলেও তার পরিষেবা বিস্তারের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

  • No NRC No Aadhaar: এনআরসির আবেদন না করলে, বাতিল হবে আধার কার্ডের আবেদন, বড় সিদ্ধান্ত হিমন্তর

    No NRC No Aadhaar: এনআরসির আবেদন না করলে, বাতিল হবে আধার কার্ডের আবেদন, বড় সিদ্ধান্ত হিমন্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনআরসির জন্য আবেদন না করলে, বাতিল হয়ে যাবে আধার কার্ডের আবেদন (No NRC No Aadhaar)। বুধবার এমনই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে অশান্তির জেরে নিত্য বাড়ছে অনুপ্রবেশের ঝুঁকি। তাই নাগরিকত্ব নিয়ে আরও কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে অসম সরকার (Assam Govt)।

    অনুপ্রবেশের চেষ্টা (No NRC No Aadhaar)

    মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সম্প্রতি অশান্ত বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ অনুপ্রবেশের (Bangladeshi Infiltration) চেষ্টা করেছে। গত দু’মাসে বহু অনুপ্রবেশকারীকে আটক করেছে অসম পুলিশ, ত্রিপুরা পুলিশ এবং বিএসএফ। তাই বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ আমাদের কাছে উদ্বেগের। আমাদের নিজস্ব সিস্টেম আরও শক্তিশালী করতে হবে।” তিনি বলেন, “সেই কারণেই আধার কার্ডের প্রক্রিয়া (No NRC No Aadhaar) আরও কঠোর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” অসম সরকারের (Assam Govt) সিদ্ধান্ত, এবার থেকে জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট ও রাজ্য সরকার আধার কার্ডের (Aadhaar Card) আবেদন যাচাইয়ের ক্ষেত্রে নোডাল এজেন্সি হিসেবে কাজ করবে। তারাই যাবতীয় আবেদন খুঁটিয়ে দেখবে। আবেদনপত্র যাচাইয়ের জন্য প্রতিটি জেলায় একজন করে অতিরিক্ত জেলা কমিশনার নিযুক্ত থাকবেন।

    এনআরসির আবেদন

    জানা গিয়েছে, প্রাইমারি ভেরিফিকেশন বা তথ্য যাচাইয়ের পর ইউআইডিএআই সেই আবেদনপত্র পাঠাবে রাজ্য সরকারের কাছে, যাচাইয়ের জন্য। স্থানীয় সার্কেল অফিসার প্রথমেই দেখবেন, যিনি আধার কার্ডের জন্য আবেদন করছেন, তাঁর মা-বাবা এনআরসিতে (NRC) অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন কিনা। যদি এনআরসির কোনও আবেদন না পাওয়া যায়, তাহলে আধার কার্ডের আবেদন বাতিল করে দেওয়া হবে (No NRC No Aadhaar)। ওই ব্যক্তি আর কখনও আধার কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন না। কেন্দ্রের কাছেও রিপোর্ট জমা পড়বে। যদি কারও এনআরসিতে আবেদন করা থাকে, তবে বাড়ি গিয়ে যাচাইয়ের পর আধার কার্ড তৈরি করে দেওয়া হবে। সূত্রের খবর, এই নিয়ম থেকে ছাড় পাবেন ভিন রাজ্য থেকে আসা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা। এনআরসিতে আবেদন করার কোনও প্রয়োজনই তাঁদের নেই।

    আরও পড়ুন: এবার এটিএম থেকেই তোলা যাবে পিএফের টাকা! বড় ঘোষণা কেন্দ্রের, জানুন প্রক্রিয়া

    অসমের (Assam Govt) মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যদি এমন দেখা যায় যে এনআরসির জন্য আবেদন করা হয়েছে, সিও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে ক্ষেত্র পর্যায়ে যাচাইয়ের জন্য যাবেন। সংশ্লিষ্ট অফিসার সম্পূর্ণরূপে আশ্বস্ত হওয়ার পরে আধার অনুমোদন করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “এই নতুন নির্দেশ সেই সমস্ত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না, যাঁরা অন্য রাজ্যে কাজ করছেন এবং যাঁরা এনআরসির জন্য আবেদন করেননি (No NRC No Aadhaar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share