Tag: Cardiovascular Disease

Cardiovascular Disease

  • Vegetables: শীতের রোগ মোকাবিলা করবে কোন পাঁচ সবজি? কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা? 

    Vegetables: শীতের রোগ মোকাবিলা করবে কোন পাঁচ সবজি? কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শীত মানেই পিকনিক, বেড়াতে যাওয়া, বড়দিনের উৎসব। কিন্তু শীতের সময়েই হানা দেয় নানান ভাইরাস ঘটিত অসুখ, পেটের গোলমাল, হজমের সমস্যার মতো একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা। এর ফলে ভোগান্তি বাড়ে। শিশু থেকে বয়স্ক, শীতের সময়ে অনেকেই নানান রোগের দাপটে নাজেহাল হয়। সর্দি-কাশির মতো অসুখের পাশপাশি অনেকেই ফুসফুসের নানান সংক্রমণের শিকার হন। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতের সবজিতেই (Vegetables) হতে পারে বাজিমাত। তাঁরা জানাচ্ছেন, শীতের সবজির পুষ্টিগুণ একাধিক। রয়েছে রোগ মোকাবিলা শক্তি। তাই শীতের মরশুমে নিয়মিত কয়েকটি সবজি খেলেই সুস্থ থাকবে শরীর। আসুন, দেখে নিই, কোন কোন সবজির কী কী পুষ্টিগুণ?

    পালং শাক বাড়াবে রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Vegetables)

    শীতের সবজির তালিকায় প্রথমেই থাকে পালং শাক। এর পুষ্টিগুণ প্রচুর। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, পালং শাকে থাকে ভিটামিন এ, বি, সি, ই এবং ভিটামিন কে। এই একাধিক ভিটামিন থাকার জেরেই এই শাক শীতকালে খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। আবার পালং শাকে প্রচুর ম্যাগনেশিয়াম এবং আয়রন রয়েছে। ফলে, হাড় মজবুত হয়। শীতে অনেকেই বাতের যন্ত্রণায় কাবু হন।‌ তাই শীতে এই শাক নিয়মিত খেলে ক্যালসিয়ামের জোগান সহজ হয়। আবার আয়রন থাকায় হিমোগ্লোবিনের জোগানও পাওয়া যায়।

    ব্রোকলি হজমে বাড়তি সাহায্য করে

    শীতের মরশুমে অনেকেই হজমের গোলমালে ভোগেন। হজম না হওয়া কিংবা বমি, পেটের সমস্যার মতো‌ ভোগান্তিও দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ব্রোকলি এই সমস্যা কমাতে অনেকটাই সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ব্রোকলিতে (Vegetables) আছে‌‌ ভিটামিন কে, সি, ফাইবারের মতো উপাদান। ফলে, ব্রোকলি খেলে হজম ভালো হয়। পাচনতন্ত্র সুস্থ থাকে।

    শরীর সুস্থ রাখতে এবং ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করবে ফুলকপি

    শীতের অন্যতম সবজি ফুলকপি। বাঙালির রান্নাঘরে শীতে ফুলকপি থাকবেই। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতে ফুলকপি শুধু স্বাদে নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর। তাঁরা জানাচ্ছেন, ফুলকপিতে থাকে প্রচুর ক্যালসিয়াম। তাছাড়া, ম্যাগনেশিয়াম এবং জিঙ্কের মতো খনিজ পদার্থও যথেষ্ট থাকে। তাই ফুলকপি খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলে। পাশপাশি ক্যালসিয়ামের চাহিদা সহজেই পূরণ হয়।

    ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে মূলো (Vegetables)

    শীতের মরশুমে বিয়ে‌বাড়ির নেমন্তন্ন কিংবা বনভোজনের ভূরিভোজে মেতে ওঠেন কমবেশি সকলেই। আর দেদার খাওয়া-দাওয়ার জেরে অনেকেই কিন্তু ওজন বাড়িয়ে ফেলেন। অতিরিক্ত ওজন একাধিক রোগের কারণ। তবে শীতে এই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে মূলো। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মূলো খুবই কম ক্যালোরি যুক্ত একটি সবজি। তাই নিয়মিত মূলো খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাছাড়া মূলোতে জলীয় পদার্থের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই মূলো ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকিও কমায়। শীতে অনেকেই জল খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেন। ফলে, শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। মূলোর মতো সবজি খেলে এই ঝুঁকি (Winter diseases) কমবে।

    শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জোগান দেবে গাজর

    সর্দি-কাশির মতো সমস্যা হোক কিংবা ফুসফুসের অসুখ, যে কোনও রোগের সঙ্গে লড়াই করতে জরুরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জোগান ঠিকমতো থাকলে রোগ মোকাবিলা সহজ হয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, গাজরে (Vegetables) থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। নিয়মিত গাজর খেলে তাই শরীর সুস্থ থাকবে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Heart Disease: ২০ থেকে ২৫ বছর বয়সি ছেলেমেয়েদের মধ্যেও বাড়ছে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা!

    Heart Disease: ২০ থেকে ২৫ বছর বয়সি ছেলেমেয়েদের মধ্যেও বাড়ছে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে হৃদরোগের ঝুঁকি! বাদ নেই ভারত। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতি বছর সময়ের আগেই ভারতীয়দের মৃত্যুর অন্যতম বড় কারণ হৃদরোগ। বিশেষত ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। হার্ট অ্যাটাকে (Heart Disease) আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যাও বাড়ছে। তরুণ প্রজন্মের হৃদরোগ বেড়ে যাওয়া যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছে চিকিৎসক মহল। তাই এ বছর ওয়ার্ল্ড হার্ট ডে উপলক্ষে চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, সতর্কতাই পারবে হৃদরোগের বড়‌ ঝুঁকি রুখতে। তাঁরা জানাচ্ছেন, সময় মতো হৃদযন্ত্রের খেয়াল রাখতে পারলে, হার্ট অ্যাটাকের মতো রোগের মোকাবিলা সহজ হয়। কিন্তু অধিকাংশ সময়েই অসচেতনতার জেরে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে।

    তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে কেন বাড়তি উদ্বেগ? (Heart Disease)

    সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সমীক্ষার রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ভারতে ৫৫ বছর বয়সের আগেই ৫০ শতাংশ ভারতীয় হৃদরোগে আক্রান্ত হন। বিশেষত করোনা পরবর্তীকালে এই সমস্যা কয়েকগুণ বেড়েছে। তিরিশ থেকে চল্লিশ বছর বয়সি ভারতীয়দের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ বেড়েছে। এই পরিসংখ্যান যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছে চিকিৎসকদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, ২০ থেকে ২৫ বছর বয়সি ছেলেমেয়েদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বাড়ছে। দেড় দশক আগেও‌ এই ধরনের শারীরিক সমস্যা ৫০ বছর বয়স পার করেই দেখা দিত। তার সঙ্গে কম বয়সিদের মধ্যে ডায়াবেটিস এবং কোলেস্টেরলের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সব মিলিয়ে তরুণ প্রজন্মের স্বাস্থ্য সমস্যা দেশের জন্য যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মত বিশেষজ্ঞ মহলের।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা?

    ওয়ার্ল্ড হার্ট ডে উপলক্ষে দেশ জুড়ে নানান কর্মসূচি নিয়েছেন চিকিৎসকেরা। মানুষকে হৃদরোগ (Heart Disease) সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করতে নানান কর্মশালার আয়োজন করেছেন তাঁরা। জীবন যাপন স্বাস্থ্যকর থাকলে হার্ট অ্যাটাক মোকাবিলা সহজ, এই সব কর্মশালায় সে সম্পর্কেও সাধারণ মানুষকে সজাগ করা হচ্ছে। তবে, বংশানুক্রমিক হৃদরোগের ইতিহাস থাকলে, নিজের উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা থাকলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষাও জরুরি। যাতে হৃদযন্ত্রের কোনও সমস্যা হলে প্রথম পর্বেই রোগ চিহ্নিত হয়। তাহলে বড় বিপদ আটকানো সহজ হবে।

    তরুণ প্রজন্মকে কোন ‘তিন মন্ত্রে’ হৃদযন্ত্রের যত্ন শেখাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক কসরত এবং ঘুম-এই তিনটি দিকে তরুণ প্রজন্ম নজর দিলেই হৃদরোগের (Heart Disease) ঝুঁকি কয়েকগুণ কমবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, বছর কুড়ির চৌকাঠে পৌঁছনোর আগেই স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনকে অভ্যাস করতে হবে। তাঁদের পরামর্শ, প্রথম থেকে ঘুমের জন্য পর্যাপ্ত সময় নির্ধারণ করতেই হবে। দিনে অন্তত আট ঘণ্টা ঘুমানো জরুরি। স্কুল জীবনে রাতে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়া এবং ভোরে ওঠার অভ্যাস থাকলেও পরবর্তীতে অনেকেই সেই অভ্যাস ধরে রাখতে পারেন না। ফলে গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকা এবং অনেক দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা, প্রাতঃরাশ না করার মতো একাধিক অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু নিয়মিত ভোরে ঘুম থেকে ওঠা, সকালে অন্তত আধ ঘণ্টা হাঁটা কিংবা অন্য কোনও শারীরিক কসরত করার অভ্যাস শরীরকে সুস্থ রাখার অন্যতম হাতিয়ার (High blood pressure)। তাঁরা জানাচ্ছেন, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, ডায়াবেটিস আটকানোর সহজ পথ শরীরে পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং যোগাভ্যাস। এর পাশপাশি খাবারেও নজরদারি জরুরি। বিশেষত তেলজাতীয় খাবার যে কোনও রকম ভাজা কিংবা অতিরিক্ত রাসায়নিক দিয়ে তাজা রাখা মাংস খাওয়া একেবারেই চলবে না। প্রাণীজ প্রোটিনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সব্জি এবং ফল নিয়মিত খেতে হবে। খাওয়ার পরিমাণেও সতর্কতা জরুরি। রক্তের শর্করা, দেহের ওজন এবং কোলেস্টেরল-এই তিনের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই তরুণ প্রজন্ম হৃদরোগকে সহজেই মোকাবিলা করবে বলেই মনে করছে চিকিৎসকদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন সুস্থ জীবনের একমাত্র পথ!

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Biscuits: খিদে পেলেই বিস্কুট? জানেন কী কী জটিল রোগ হতে পারে? কতখানি বিপজ্জনক এই খাবার?

    Biscuits: খিদে পেলেই বিস্কুট? জানেন কী কী জটিল রোগ হতে পারে? কতখানি বিপজ্জনক এই খাবার?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সকালের চা হোক কিংবা হঠাৎ সন্ধ্যার খিদে, অথবা বাসে-ট্রেনে সফরের সঙ্গী, সবেতেই রয়েছে বিস্কুট (Biscuits)। ছোট থেকে বড়, সব বয়সীদের বিস্কুট নিত্যসঙ্গী। চা, দুধের সঙ্গে কিংবা এমনিতেই অনেকে বিস্কুট খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু সাম্প্রতিক একাধিক আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বিস্কুট কিছু ক্ষেত্রে আদৌ স্বাস্থ্যকর খাবার নয়। বরং বিস্কুটের উপকারের তুলনায় অপকার অনেক ক্ষেত্রে বেশি। নয়া রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরে চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিস্কুটের তুলনায় অনেক বেশি‌ ভালো বাঙালির মুড়ি।

    কী বলছে নয়া গবেষণা?

    সুইডেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক দল গবেষক বিস্কুট নিয়ে গবেষণা চালান। আর তাতেই প্রকাশ্যে আসে বেশ কিছু তথ্য। তাঁরা জানাচ্ছেন, বিস্কুটের একাধিক উপাদানে একেবারেই পুষ্টিগুণ নেই। বরং তাতে শরীরে নানান জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, একজন প্রতিদিন পাঁচটি বিস্কুট খেলে তাঁর হৃদপিণ্ড থেকে মস্তিষ্ক, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কার্যকারিতা কয়েক গুণ কমে যায়। বিশেষত ডায়বেটিস আক্রান্তদের বিস্কুট এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন ওই গবেষকেরা। এবার দেখা যাক, কোন কোন রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে বিস্কুট?

    ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায় (Biscuits)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিস্কুটে মূলত ময়দা ও চিনি থাকে। তাই নিয়মিত একাধিক বিস্কুট খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা কয়েক গুণ বেড়ে যায় (Serious Disease)। অনেক সময়েই ডায়াবেটিস আক্রান্তদের খিদে পায়। আর চটজলদি খাবার হিসেবে, তাঁরা বিস্কুট খান। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এতে শরীরে বেশি ক্ষতি হয়। কারণ এর জেরে রক্তে শর্করার মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে। চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, বিস্কুটের পরিবর্তে ডায়াবেটিস আক্রান্তেরা মুড়ি খেতে পারে। তবে পরিমাণে নিয়ন্ত্রণ জরুরি।

    স্থূলতা

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিস্কুট (Biscuits) দেহের ওজন বাড়িয়ে দেয়। বিস্কুটে থাকে তেল এবং ময়দা।‌ এই দুই উপাদান‌ শরীরের ওজন বাড়িয়ে দেয়। আর ওজন বাড়লে একাধিক রোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই স্থূলতার সমস্যা থাকলে বিস্কুট এড়িয়ে চলতে হবে।

    স্মরণশক্তি!

    নতুন গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, বিস্কুট অতিরিক্ত খেলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে। এর জেরে স্মৃতিশক্তি বা স্মরণশক্তি কমে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক বিস্কুটে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা শরীরে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। আর তার জেরেই এই ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে।

    কোষ্ঠকাঠিন্য (Biscuits)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিস্কুটে প্রচুর পরিমাণে ময়দা ব্যবহার হয়। আর অতিরিক্ত ময়দা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা তৈরি হয়। বিশেষত শিশুদের অতিরিক্ত বিস্কুট খাওয়ালে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যার পাশপাশি পেটের সমস্যা এবং হজমের গোলমাল হতে পারে।

    কোলেস্টেরল

    বিস্কুটে রয়েছে ক্ষতিকারক ফ্যাট। আর তার জেরেই অতিরিক্ত বিস্কুট (Biscuits) খেলে একদিকে স্থূলতার সমস্যা বাড়ে। আবার আরেকদিকে কোলেস্টেরলের মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যায়। তাই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত অত্যাধিক বিস্কুট কোলেস্টেরলের মতো রোগের প্রকোপ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়।

    হৃদরোগের ঝুঁকি

    বিস্কুটের জেরে একদিকে স্থূলতার সমস্যা বাড়ে। আরেকদিকে বিস্কুট কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ক্ষতিকারক ফ্যাটের জেরেই এই ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। তাই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিস্কুট হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্থূলতা ও অনিয়ন্ত্রিত কোলেস্টেরল, এই দুই সমস্যা হৃদরোগের অন্যতম কারণ। আর এর জেরেই বলা হয়, অত্যাধিক বিস্কুট খেলে হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ে (Serious Disease)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nutrition: ক্যান্সার থেকে হার্ট অ্যাটাক, রুখতে পারে কোন খাবার? কী কী খাবারে বাড়ছে সমস্যা?

    Nutrition: ক্যান্সার থেকে হার্ট অ্যাটাক, রুখতে পারে কোন খাবার? কী কী খাবারে বাড়ছে সমস্যা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ক্যান্সার, হার্ট অ্যাটাক কিংবা স্ট্রোক, যে কোনও বড় স্বাস্থ্যসঙ্কট আটকে দিতে পারে সঠিক খাবার (Nutrition)। আবার, শরীরে ফুসফুস থেকে লিভার, যে কোনও অঙ্গে রোগের অন্যতম কারণ হল খাবার। ওয়ার্ল্ড নিউট্রিশন ডে-তে পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাবারেই রয়েছে সুস্থ জীবনযাপনের চাবিকাঠি। সঠিক পুষ্টি যেমন মানুষকে সুস্থ রাখে, ঠিক তেমনি পুষ্টি সম্পর্কে অসচেতনতা বিপদ বাড়িয়ে দেয়। যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। একাধিক রোগেরও ঝুঁকি বাড়ায়। বিশেষত অপরিকল্পিত ডায়েটের অভ্যাস কমবয়সিদের জন্য একাধিক রোগের কারণ হয়ে উঠছে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, কোন খাবারে বাড়ছে কোন রোগের ঝুঁকি?

    চিনি ও ময়দার তৈরি তেলে ভাজা খাবার বাড়াচ্ছে ক্যান্সারের ঝুঁকি! (Nutrition)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেহের যে কোনও অঙ্গের কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ক্যান্সারের ঝুঁকি তৈরি করে। অতিরিক্ত মশলাদার খাবার, বিশেষত ময়দা আর চিনি দিয়ে তৈরি তেলে ভাজা খাবার এই ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ময়দা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। তাই অতিরিক্ত পরিমাণ ময়দার তৈরি জিনিস‌ খেলে ক্যান্সারের মতো‌ রোগের ঝুঁকিও বাড়ে‌।

    অতিরিক্ত মিষ্টি ডায়াবেটিসের কারণ

    পেস্ট্রি, কেক হোক কিংবা রসগোল্লা, সন্দেশ-যে কোনও মিষ্টিজাতীয় খাবার নিয়মিত খেলেই ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়বে। দেশজুড়ে ডায়াবেটিসের প্রকোপ বাড়ছে। শিশুদের মধ্যেও টাইপ ২ ডায়াবেটিসের প্রকোপ দেখা দিচ্ছে। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, অধিকাংশ ভারতীয় শিশুকাল থেকেই নিয়মিত মিষ্টি খাওয়ায় অভ্যস্থ। এর জেরে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ছে। কিডনি, হার্ট সহ একাধিক অঙ্গের উপরে তার প্রভাব পড়ছে (Nutrition)। পাশপাশি চিনি খাওয়ার অভ্যাস শরীরে বিপদ বাড়াচ্ছে। রান্নায় অতিরিক্ত পরিমাণ চিনি দেওয়া‌ কিংবা চা-কফিতে চিনি খাওয়ার অভ্যাস অত‌্যন্ত বিপজ্জনক বলেই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ।

    চর্বিযুক্ত খাবার বাড়াচ্ছে হৃদরোগের ঝুঁকি (Nutrition)

    মাংসের পদ হোক কিংবা প্রিজার্ভ করা খাবার বাড়াচ্ছে হৃদরোগের ঝুঁকি।‌ পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের অনেকের নিয়মিত খাদ্যতালিকায় ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেটের সঙ্গে প্রাণীজ প্রোটিনের ভারসাম্য থাকে না।‌ অর্থাৎ সব্জির পরিমাণ কম থাকে। অথচ মাছ, মাংসের পরিমাণ বেশি থাকে। এর ফলে শরীরে প্রোটিন ও ফ্যাট বেশি পরিমাণে যায়। অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। এর জেরে হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ে।

    হজমের গোলমাল থেকে ত্বকের সমস্যা বাড়াচ্ছে বাড়তি তেল

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ভারতীয় প্রয়োজনের অতিরিক্ত তেল খাবারে খান। নিয়মিত রান্নায় অতিরিক্ত পরিমাণ তেল ব্যবহারের জেরে একদিকে লিভার, পাকস্থলীতে চাপ পড়ছে‌। হজমের গোলমাল হচ্ছে। হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ছে। আবার অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবার (Nutrition) খেলে ত্বকের একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সঠিক পুষ্টিকর খাবার নিয়মিত খেলেই উপকার পাওয়া যাবে। রুখে দেবে নানান‌ রোগ।

    নিয়মিত মাশরুম ও রসুন রুখবে ক‌্যান্সার

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত না হলেও অন্তত সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন মাশরুম খাওয়া জরুরি। একাধিক আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, শরীরে ক্যান্সার রুখতে মাশরুম খুবই উপকারী। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, শরীরে দ্রুত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জোগান দেয় মাশরুম। ক্যান্সার রুখতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খুবই জরুরি। তাই মাশরুম খাদ্যতালিকায় রাখলেই উপকার পাওয়া যাবে। এর পাশপাশি ক্যান্সার রুখতে আরেক ভারতীয় উপকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। সেটা হলে রসুন। তাঁরা জানাচ্ছেন, রসুনে থাকে অ্যালিসিস। এই যৌগ ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।

    নিয়মিত ৫-৬ লিটার জল কমাবে হজমের গোলমাল ও ত্বকের সমস্যা (Nutrition)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পরিশ্রুত জল কমাবে হজমের সমস্যা।‌ লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়াতে ও হজমের গোলমাল কমাতে নিয়মিত একজন প্রাপ্তবয়স্কের ৫-৬ লিটার জল খাওয়া জরুরি। এর জেরে ত্বকও ভালো থাকবে। শুষ্কতা কমবে। ত্বকের যে কোনও রকমের সমস্যা কমিয়ে উজ্জ্বলতা বাড়াবে।

    খেজুর ও বাদাম কমাবে হৃদরোগের ঝুঁকি

    রোজকার খাবারের তালিকায় খেজুর, কাজু, আখরোট কিংবা কাঠবাদামের মতো উপাদান রাখলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে (Nutrition)। খেজুর, কাঠবাদাম কিংবা কাজুতে রয়েছে একাধিক খনিজ পদার্থ। পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজের মতো খনিজ পদার্থে ভরপুর এই খাবার নিয়মিত খেলে দেহে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা বাড়ে। ফলে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

    লেবু বাড়াবে রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Nutrition)

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, যে কোনও ঋতুতেই শরীর সুস্থ রাখতে জরুরি দেহের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানো। নিয়মিত লেবু জাতীয় ফল খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। কারণ লেবুতে থাকে‌ ভিটামিন সি। তাই নিয়মিত লেবু খেলে যে কোনও ভাইরাস‌ঘটিত রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সহজ‌ হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Heart Attack: কাজের চাপে পরিবারকে সময় দিতে পারছেন না? কী বিপদ ডেকে আনছেন জানেন?

    Heart Attack: কাজের চাপে পরিবারকে সময় দিতে পারছেন না? কী বিপদ ডেকে আনছেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হৃদরোগে (Heart Attack) আক্রান্তের সংখ্যা বিশ্বজুড়ে বাড়ছে। আর তার সঙ্গে উর্ধ্বমুখী উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা। ব্যতিক্রম নয় ভারত। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও এই সমস্যা বাড়ছে। প্রতি বছর যতজন এ দেশে মারা যান, সেই মৃত্যুর সবচেয়ে বড় কারণ হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া। যার নেপথ্যে থাকে উচ্চ রক্তচাপ। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বাড়ছে। বিশেষত পুরুষদের মধ্যে এই সমস্যা আরও বাড়ছে। সাম্প্রতিক তথ্যে জানা গিয়েছে, জীবনের অতিরিক্ত ব্যস্ততা আর ভারসাম্য রাখতে না পারার জেরেই এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে।

    কী বলছে তথ্য? (Heart Attack)

    স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে ১৯ কোটি মানুষ উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন। ১৫ বছরের উর্ধ্বে ছেলেদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি দেখা দিচ্ছে। ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৫ বছর বয়সের উর্ধ্বে ২৪ শতাংশ ছেলেদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি (Heart Attack) দেখা দিচ্ছে। তুলনায় মহিলাদের ঝুঁকি কম। 
    তবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তার চেয়েও দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে অধিকাংশ আক্রান্ত জানেন না, তাঁদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে। অর্থাৎ, আক্রান্ত যে আসলে কতজন, সেই হিসাব পাওয়া কঠিন। এক আন্তর্জাতিক সমীক্ষা অনুযায়ী, ৩৩ শতাংশ ভারতীয় রক্তচাপ পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন না।‌ যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক।

    কেন ভারতীয় পুরুষদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বাড়ছে? 

    সম্প্রতি কলকাতায় কার্ডিওলজিক্যাল সোসাইটি অব ইন্ডিয়ার এক সম্মেলনে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানালেন, জীবনে ঠিকমতো ভারসাম্য রাখতে না পারার জেরেই বিপদ বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, কাজের সময়ের পাশাপাশি পরিবারকে পর্যাপ্ত সময় দিতে পারছেন না। এ নিয়ে নানান পারিবারিক সমস্যা বাড়ছে। আর তার জেরেই উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে।‌ তরুণ প্রজন্মের অধিকাংশ কর্মক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় কাটাচ্ছেন।‌ কাজের নির্দিষ্ট সময় থাকছে না। এর জেরে পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন না। কিংবা পরিবারের সঙ্গে অবসর যাপনের সুযোগ কম হয়। আর এর ফলে তৈরি হয় নানান জটিলতা। ফলে, মানসিক চাপ ও অবসাদ দেখা দেয়। যার জেরেই উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা (Heart Attack) তৈরি হয়‌। তাই হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই ভারসাম্য তৈরি করতে না পারলে উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রণ কঠিন‌ হবে।

    কেন দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে উচ্চ রক্তচাপ? 

    হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে হৃদরোগের ঝুঁকি কয়েক গুণ বেড়ে যায়। কারণ, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে, তার সরাসরি প্রভাব হৃদপিণ্ডের উপরে পড়ে। বিশেষজ্ঞ মহল‌ জানাচ্ছেন, আধুনিক ব্যস্ত জীবনে চটজলদি খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। তাই স্থূলতার সমস্যা বাড়ছে। তার সঙ্গে বাড়ছে কোলেস্টেরল, ডায়বেটিসের সমস্যা। এগুলো সব হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তার উপরে উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা থাকলে বিপদ (Heart Attack) আরও বাড়বে। তাই তরুণ প্রজন্মের অধিকাংশের উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে। 

    কীভাবে মোকাবিলা হবে‌ এই সমস্যার? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে হবে। তবেই উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যার মোকাবিলা করা যাবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ, বয়স তিরিশের চৌকাঠ পেরলেই নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করা জরুরি।‌ রক্তচাপ ওঠানামা করছে কিনা, তা জানা প্রয়োজন। রোগ নির্ণয় হলে তবেই মোকাবিলা সহজ‌ হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ঠিকমতো রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে ২০৪০ সালের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা (Heart Attack) অর্ধেক কমে যাবে। তাই নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা জরুরি।

    যে কোনও সৃজনশীল কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে। বই পড়া, গান‌ শোনা, ছবি আঁকার মতো যে কোনও কাজ নিয়মিত করতে হবে। তাহলে মানসিক চাপ সহজেই কমবে। 

    পাশপাশি, খাদ্যাভ্যাস এবং শারীরিক কসরতের দিকে নজর দিতে হবে।‌ কারণ সহজপাচ্য হালকা খাবার নিয়মিত খেলে একাধিক রোগ এড়ানো‌ যাবে। নিয়মিত হাঁটা এবং যোগাভ্যাস রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Cardiovascular Disease: করোনা কালে আমেরিকাতে হৃদরোগে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে: রিপোর্ট

    Cardiovascular Disease: করোনা কালে আমেরিকাতে হৃদরোগে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে: রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার সময়কালে মৃত্যুর কারন নিয়ে একটি সমীক্ষা হয় আমেরিকাতে, আর তাতেই দেখা যাচ্ছে করোনার প্রথম বছর থেকেই হৃদরোগে মৃত্যুর সংখ্যা আমেরিকাতে উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে দেখা যাচ্ছে।

    সমীক্ষায় কী দেখা যাচ্ছে

     একটি পরিসংখ্যান বলছে সে দেশে ২০১৯-২০২০তে করোনার প্রথম ঢেউ যখন আসে তখন হৃদরোগে (Cardiovascular Disease) মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছিল ৬.২ শতাংশ। ২০১৯ সালে যেখানে হৃদরোগে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৮,৭৪,৬১৩, ২০২০ সালে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ ,২৮ ,৭৪১। শুধুমাত্র তাই নয়, এই পরিসংখ্যান বলছে এখনও অবধি সে দেশে রেকর্ড হৃদরোগে (Cardiovascular Disease) মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল ২০০৩ সালে, ওই বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হৃদরোগে (Cardiovascular Disease) মারা গেছিলেন ৯,১০,০০০ জন মানুষ। সেই সংখ্যাকেও ছাপিয়ে গেছে করোনার সময় হৃদরোগে (Cardiovascular Disease) মৃত্যুর সংখ্যা। ইতিমধ্যে একটি পূর্ববর্তী পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে বাৎসরিক মৃত্যুর হারেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিগত বছরগুলির রেকর্ড ছাপিয়ে গেছে করোনার সময় সে দেশে মৃত্যুর হার।

    আরও পড়ুন: অ্যান্টি এজিং জিন ১০ বছর পর্যন্ত কমাতে পারে হৃদয়ের বয়স, জানাচ্ছে গবেষণা

    ওই সমীক্ষায় আরও দেখা যাচ্ছে করোনার প্রথম ঢেউ এর সময় অর্থাৎ ২০২০ সাল থেকে, সে দেশে একই রকমের বয়সের মানুষদের মৃত্যুর হার কমেছে কিন্তু সামগ্রিকভাবে মৃত্যুর হার অনেকটাই বেড়েছে দেখা যাচ্ছে।

    আরও পড়ুন: কেমোথেরাপির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দূর করতে আসছে নতুন ইঞ্জেকশন

    ওই গবেষণায় আরও দেখা যাচ্ছে যে সামগ্রিকভাবে হৃদরোগে (Cardiovascular Disease) মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে এশিয়ানদের মধ্যে, ব্ল্যাক এবং হিস্প্যানিক মানুষদের মধ্যে।
    ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ বলেন, 
    করোনার প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ প্রভাব পড়ছে আমেরিকাতে সামগ্রিক হার্টের স্বাস্থ্যের উপরে, হার্টকে সরাসরি সংক্রমিত করার ক্ষমতা রয়েছে করোনা ভাইরাসের।

    আরও পড়ুন: একাকিত্বের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বাড়তি ওজনের, দাবি গবেষকদের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

LinkedIn
Share