Tag: Cattle smuggling

Cattle smuggling

  • SSC Scam: নিয়োগ-দুর্নীতিতে কাকে, কীভাবে চাকরি দিয়েছেন অনুব্রতঘনিষ্ঠ মলয়? নথি পেল সিবিআই

    SSC Scam: নিয়োগ-দুর্নীতিতে কাকে, কীভাবে চাকরি দিয়েছেন অনুব্রতঘনিষ্ঠ মলয়? নথি পেল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ-দুর্নীতিতে (SSC Scam) বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ মলয় পিটের বিরুদ্ধে নানা নথি পেয়েছে সিবিআই। শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ-দুর্নীতিতে বীরভূমের মলয় পিটের সঙ্গে কলকাতার কুন্তল ঘোষের মিল খুঁজে পাচ্ছে সিবিআই। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, মলয়ও কুন্তলের মতো মিডলম্যান হিসেবে কাজ করতেন। 

    নিয়োগ-দুর্নীতিতে এনজিও যোগ

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, মলয়ের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পেয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। মলয়ঘনিষ্ঠ পূর্ব বর্ধমানের এক এনজিও (NGO) কর্তার কাছ থেকে উদ্ধার চাকরি প্রার্থীদের একের পর এক তালিকা। সিবিআই (CBI) জানতে পেরেছে, সেই তালিকার মধ্যে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত ১৭ জন, যাঁরা প্রাথমিকে চাকরি পেয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচ জন এখনও চাকরি করছেন। এঁরা সবাই পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (SSC Scam) কর্মরত। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, এনজিওটি একটি বিএড কলেজ চালায়। ওই এনজিও-র ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সফিউল আলম মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি। 

    সফিউল আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ

    ইতিমধ্যেই সফিউলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। এমনকী সফিউলের ই-মেল আইডিও ঘেঁটে বিস্ফোরক সব তথ্য হাতে পেয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। এ থেকে ২০১৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ১৭টি ই-মেল (SSC Scam) পুনরুদ্ধার করেছে সিবিআই। প্রতিটিতেই রয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা। উদ্ধার হওয়া মেলের মধ্যে একটি আবার ২০১৭ সালের ১৩ই মার্চ করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, বীরভূমের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের কর্ণধার এবং একাধিক এনজিও –পরিচালক মলয় পিটের থেকে সফিউলের আইডিতেও ঢুকেছে ই-মেল। সেখানেও রয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা।

    আরও পড়ুন: চেন্নাইয়ের মেরিনা বিচে এয়ার শো দেখতে ১২ লক্ষ মানুষের জমায়েত! প্রবল গরমে মৃত ৫

    মলয়কে জিজ্ঞাসাবাদ

    প্রথমে গরুপাচার মামলা। পরে নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) নাম জড়িয়েছে অনুব্রতঘনিষ্ঠ মলয়ের। ইতিমধ্য সিবিআই দফতরে হাজিরাও দিয়েছেন তিনি। গত ফেব্রুয়ারি মাসে যখন মলয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই, সেই সময় তিনি নিয়োগ-দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। তবে সিবিআই সূত্রে খবর, সফিউল জানিয়েছেন, যা ই-মেল তিনি করেছেন বা তাঁর কাছে এসেছে, সবটাই মলয়ের নির্দেশে। মলয়ের নির্দেশেই তালিকা পাঠানো হত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তিকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BSF: সীমান্তে গরু পাচারে বাধা, বিএসএফের ওপর পাচারকারীদের হামলা, চলল গুলি

    BSF: সীমান্তে গরু পাচারে বাধা, বিএসএফের ওপর পাচারকারীদের হামলা, চলল গুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মুর্শিদাবাদ জেলায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে গরু পাচার চক্র। যদিও পাচার রুখতে প্রতিনিয়ত কড়া নজরদারি চালাচ্ছে বিএসএফ (BSF)। আর সীমান্তে এই পাচার রুখতে গিয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন বিএসএফ জওয়ানরা। দুদিন আগেই মুর্শিদাবাদের কাহারপাড়া সীমান্তে পাচারে বাধা দেওয়ায় বিএসএফ জওয়ানদের ওপর ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলা করে গরু পাচারকারীরা। সীমান্তে কয়েক রাউন্ড গুলি চালান জওয়ানরা। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। তবে, বিএসএফের তৎপরতার কারণে পাচারকারীরা পিছু হঠতে বাধ্য হয়। হামলার জেরে কয়েকজন জওয়ান জখম হয়েছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (BSF)

    বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, কাহারপাড়া সীমান্তে বেশিরভাগ অংশেই কোন কাঁটাতার নেই। বিশাল উঁচু পাট ক্ষেত। যার সুযোগ নেয় গরু পাচারকারীরা। বিএসএফ (BSF) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাংলাদেশের দিক থেকে একদল গরু পাচারকারী সীমান্তেই অপেক্ষা করছিল। ভারতের দিক থেকে পাচারকারীরা মাথায় বাক্স নিয়ে সীমান্ত পার করতে যায়। পাচারকারীদের দূরেই বেশ কয়েকটি গরু রাখা ছিল।  সেই সময় জওয়ানরা তাদের দাঁড়াতে বললে উল্টে পাচারকারীরা গালিগালাজ শুরু করে। এরপর জওয়ানরা এগিয়ে গেলে তাঁদের ওপর ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়। মূলত, পাচারকারীরা হামলা করার পরিকল্পনা করেই এসেছিল। বেশ কয়েকজন জওয়ানকে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারে। হামলার খবর পেয়ে অন্যান্য বিএসএফ জওয়ানরা সেখানে হাজির হন। তাঁরা হামলাকারীদের লক্ষ্য করে পরপর গুলি চালান। মুর্শিদাবাদের পাশাপাশি বিথারী সীমান্ত দিয়ে গরু পাচার করছিল পাচারকারীরা। বিষয়টি জানতে পেরে বিএসএফ জওয়ানরা পাচারকারীদের হাতেনাতে ধরে ফেলে। তবে, কাহাড়পাড়া সীমান্তে বিএসএফ এবং পাচারকারীদের মধ্যে ধস্তাধস্তির সময় জওয়ানরা পরপর গুলি চালান। বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে বলে বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে। গুলির আওয়াজ পেয়েই বাংলাদেশি পাচারকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালায়। তবে, ধারাল অস্ত্রগুলি সীমান্তে ফেলেই পালিয়ে যায় অভিযুক্ত পাচারকারীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Asansol: আসানসোলে ফের সক্রিয় গরু পাচার চক্র! ধরলেন এলাকাবাসী, পুলিশ কী করছিল?

    Asansol: আসানসোলে ফের সক্রিয় গরু পাচার চক্র! ধরলেন এলাকাবাসী, পুলিশ কী করছিল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডল এখন তিহারে। সিবিআইয়ে কড়া নজরদারিতে গরু পাচার প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তাছাড়া এতদিন আসানসোল সিবিআই গরু পাচার মামলা চলছিল। এবার সেই মামলা আসানসোল (Asansol) সিবিআই আদালত থেকে মামলা দিল্লিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এবার ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে গরু পাচার চক্র। তবে, পুলিশ প্রশাসন গরু পাচার রুখতে কতটা সক্রিয় তা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও সাধারণ মানুষ এই বেআইনী কারবারের বিরুদ্ধে এককাট্টা। বুধবার রাতেই আসানসোলের জামুড়িয়া থানার শ্রীপুর এলাকা থেকে রানিগঞ্জের পাঞ্জাবি মোড় এলাকায় গরু বোঝাই ট্রাক আটক হওয়ার ঘটনা সেকথা প্রমাণ করেছে। পুলিশ নয়, স্থানীয় বাসিন্দারা গরু পাচার হওয়া গাড়ি আটক করেন। ফলে, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটেছে? (Asansol)

    বুধবার রাতেই আসানসোলের (Asansol) জামুড়িয়া থানার শ্রীপুর এলাকা থেকে রানিগঞ্জের পাঞ্জাবি মোড় এলাকায় গরু বোঝাই একটি ট্রাক যাচ্ছিল। গাড়িটিকে স্থানীয় বাসিন্দারা আটক করেন। অভিযোগ, বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই গরু নিয়ে যাওয়ার জন্য বুধবার রাতে জাতীয় সড়কের উপর থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা আটক করেন। উদ্ধার করা হয় ৩১টি গরু। এরমধ্যে ট্রাকে ১৮টি গরু এবং ১৩টি বাছুর ছিল। আপাতত স্থানীয় একটি গোশালায় গরুগুলিকে রাখা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ট্রাকটির নম্বর পশ্চিমবাংলার। তাই ঝাড়খণ্ড থেকে লরিটি ঢুকে কোথায় যাচ্ছিল তা স্পষ্ট নয়। ওই লরিতে যে ভাবে গাদাগাদি করে গরু নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তাতে দু’টি বাছুর অচেতন হয়ে যায়। আরও বেশ কয়েকটি অসুস্থ হয়ে পড়ে।

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দারা গরু পাচারের অভিযোগে ট্রাকটি আটক করেন। পরে, সেই গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়। গরুগুলিকে নিরাপদ জায়গায় রাখা হয়েছে। কোথায় থেকে এই গরুগুলি নিয়ে আসা হচ্ছিল এবং কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই ট্রাকের চালক এবং খালাসি পালিয়ে যাওয়ায় কাগজপত্র হাতে আসেনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: জলঙ্গির ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ-গরু পাচারকারীদের গুলির সংঘর্ষ, মৃত এক

    Murshidabad: জলঙ্গির ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ-গরু পাচারকারীদের গুলির সংঘর্ষ, মৃত এক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জলঙ্গিতে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে গরু পাচারকারীদের সঙ্গে বোমা-গুলির লড়াইয়ে নিহত এক পাচারকারী। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তরেখার কাছেই। মৃতের নাম মমিনুল ইসলাম। জলঙ্গিতেই এই পাচারকারীর বাড়ি। এলাকায় বিএসএফ-পাচারকারীদের সংঘর্ষে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে ।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Murshidabad)?

    জলঙ্গির (Murshidabad) সীমান্ত ঘেঁষা সরকারপাড়া এলাকায় গতকাল রাতে সংঘর্ষ হয় বলে জানা গেছে। রাতের বেলায় আচমকাই গ্রামবাসীরা বোমাবাজির শব্দ শুনতে পান। তারপর খবর হয়, পাচারকারীদের সঙ্গে সীমান্ত বাহিনীর লড়াই বেধেছে। বিএসএফ সূত্রের খবরে জানা যায়, সীমান্তের কাঁটাতারকে টপকে চলছিল অবৈধভাবে গরু পাচার। প্রথমে বিএসএফ বাধা দিলেও, কোনও বক্তব্য শোনেনি পাচারকারীরা। এরপর সতর্ক করে রবার বুলেট ছোড়া হয় কিন্তু পাল্টা বিএসএফকেই লক্ষ্য করে পাচারকারীরা বোমা এবং গুলিবর্ষণ শুরু করে। কিন্তু এরপর বিএসএফের গুলির জবাবে এক পাচারকারী গুলির আঘাতে আহত হয়। উল্লেখ্য বিএসএফ খুব স্পষ্ট করে জানায় যে তাদের আত্মরক্ষার জন্যই গুলি করতে হয়েছে। এরপর আহত মমিনুলকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে জানা যায়। মৃতদেহ এরপর জলঙ্গি থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়। 

    পরিবারের বক্তব্য

    পরিবারের (Murshidabad) পক্ষ থেকে জানা যায়, রাজ্যে কোনও কাজ নেই, তাই মমিনুল নিজে বাইরের রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করত। ঈদের সময় বাড়িতে এসেছেন, তারপর আর ভিন রাজ্যে যায়নি। এলাকার গরু পাচারকারীদের সঙ্গে ৫০০ টাকার বিনিময়ে কাজ করতে যেত সে। গত দু’ দিন আগে বাড়ি থেকে গেলেও, ফোনে পাওয়া যাচ্ছিল না তাকে। তার মূলত কাজ ছিল, গরুকে বাংলাদেশের সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া। মমিনুলের স্ত্রী মিনা বিবি জানান, গরু পাচার কাজের জন্য মূলত গরুগুলিকে দেখেশুনে নিয়ে যাওয়ার কাজ করত সে। সকালে পুলিশের কাছে খবর পাই, বিএসএফের গুলিতে মারা গিয়েছে ও।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: শুধুই কি গয়না কিনেছেন? অনুব্রতর দেহরক্ষীর সম্পত্তিতে বিস্মিত বিচারক

    Anubrata Mondal: শুধুই কি গয়না কিনেছেন? অনুব্রতর দেহরক্ষীর সম্পত্তিতে বিস্মিত বিচারক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে ভার্চুয়াল শুনানিতে অংশ নিলেন গরু পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ও তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। বুধবার আদালতে মূলত সায়গল হোসেনের সোনা-রূপোর গয়না সংক্রান্ত বিষয়েই শুনানি হয়।

    স্ত্রীর বেতনের টাকাতেই গয়না, দাবি সায়গলের আইনজীবীর

    সায়গল ও তাঁর পরিবারের কাছ থেকে যে সোনার গয়না বাজেয়াপ্ত করেছিল সিবিআই, তার মূল্য ৩৬ লক্ষ ৬৭ হাজার ৭০৯ টাকা। সায়গলের (Anubrata Mondal) বাজেয়াপ্ত হওয়া গয়নার মূল্য সাড়ে ৩৬ লক্ষের বেশি, একথা তাঁকে বলেন বিচারক। এই প্রসঙ্গে সায়গলের আইনজীবী আদালতে বলেন, সায়গলের স্ত্রী ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষা দিয়ে শিক্ষিকার চাকরি পান। ওই বেতন থেকেই তিনি সোনার গয়না কিনেছেন। তখন বিচারক জিজ্ঞাসা করেন, এই কয়েক বছরে কি সে ৩৬ লক্ষের বেশি বেতন পেয়েছে? বিচারক এও বলেন, খাওয়া দাওয়া বা অন্যান্য খরচ না করে কেবল গয়নাই কিনেছেন? যদিও পুরনো সোনা ও রূপোর গয়না ফেরত দেওয়ার আদেশ দেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্ত্তী। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৯০ হাজার টাকা।

    জামিন চাইলেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)

    অন্যদিকে অনুব্রতর (Anubrata Mondal) আইনজীবী আদালতে জামিনের জন্য আবেদন করেননি। কিন্তু ভার্চুয়াল শুনানিতে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী অনুব্রতর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন। তখন অনুব্রত বলেন, আমি হাত-পায়ে ব্যালেন্স পাচ্ছি না। হাতে পায়ে যন্ত্রণা। শরীরের অবস্থা খুব খারাপ। হাই সুগার, এমনকী আমার ৯ মাস হয়ে গেল। আমাকে জামিন দিন। উত্তরে বিচারক বলেন, আপনার কেস তো উচ্চ আদালতে আছে। সেখানে আপনার আইনজীবীকে জামিনের জন্য আবেদন করতে বলুন। তারপর এখানে আবেদন করুন। যদিও আদালতে অনুব্রত এবং সায়গলের জামিনের জন্য কোনও আইনজীবী আবেদন করেননি। যেহেতু জামিনের জন্য আবেদন করেননি, সেই কারণে সিবিআইয়ের আইনজীবীর পক্ষ থেকে কোনও বিরোধিতা করা হয়নি। অবশেষে দুই পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী অনুব্রত মণ্ডল এবং সায়গল হোসেনের পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন ৩০ শে জুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: ‘‘আমি মাস্টারমাইন্ড নই’’, দাবি কেষ্টর, ‘‘পুলিশ ওনার পকেটে’’, পাল্টা সিবিআই

    Anubrata Mondal: ‘‘আমি মাস্টারমাইন্ড নই’’, দাবি কেষ্টর, ‘‘পুলিশ ওনার পকেটে’’, পাল্টা সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের জেল হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। গরুপাচার মামলায় দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি অনুব্রতের জামিনের আর্জি প্রত্যাখ্যাত হল সুপ্রিম কোর্টেও। মঙ্গলবার ফের সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল অনুব্রত মণ্ডলের জামিন মামলা। ২২ জানুয়ারি এই মামলার শুনানি। চার্জ গঠনের আগে জামিন মামলার শুনানি নয় বলেই জানিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।

    মাস্টারমাইন্ড নই

    এদিন সর্বোচ্চ আদালতে শুনানি চলাকালীন বিশেষ মন্তব্য করেন কেষ্ট তথা অনুব্রত (Anubrata Mondal)। সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে বর্ষীয়ান এই তৃণমূল নেতা প্রশ্ন তোলেন, ‘গোরু পাচারকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত এনামূল হক জামিন পেয়েছেন। বিএসএফ আধিকারিক সতীশ কুমার জামিন পেয়েছে। আমি গোটাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড নই। তারপরও আমাকে কেন আটকে রাখা হচ্ছে জেলে?’

    পুলিশ ওনার হাতে

    পাল্টা অনুব্রতর (Anubrata Mondal) জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে শীষ আদালতে এদিন অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু বলেন, শাসকদলে তাঁর ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে জেলায় রাজার মতো থাকেন অনুব্রত। তিনি এই মামলার অন্য প্রত্যক্ষদর্শীদের ভয় দেখিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে সিবিআইয়ের গ্রেফতার ঠেকানোর চেষ্টা হয়েছে। তিনি জেলার পুলিশ অফিসারদের ট্রান্সফার এবং পোস্টিং ঠিক করেন। পুলিশ তাঁর পকেটে। জামিনের জন্য আদালতের স্পেশাল জাজকে ভয় দেখিয়ে চিঠি পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁকে জামিন দিলে তদন্ত প্রভাবিত হবে।

    আরও পড়ুন: ২০০০ টাকার বেশি জি-পে, ফোন-পে করতে লাগবে ৪ ঘণ্টা! জানেন কেন?

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    দুই পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে নিম্ন আদালতে এই মামলার শুনানি কোন পর্যায়ে রয়েছে তা জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট। অনুব্রতর আইনজীবী জানান, পাঁচটি চার্জশিট ফাইল করা হয়েছে। এখনও ট্রায়াল শুরু হয়নি। এরপরই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, আগে চার্জ গঠন করা হোক। তারপর জামিনের প্রসঙ্গে ভাবা যাবে। অতএব আরও একটি বছর  জেলেই শেষ হবে অনুব্রতের। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ১১ অগাস্ট গরু পাচার মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এই মামলার তদন্তে নেমে একাধিক তথ্য হাতে আসে গোয়েন্দাদের। এই মামলাতে তিহাড় জেলে রয়েছেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলও। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: অনুব্রতর খাসতালুকেই অবাধে চলছে গরু পাচার! পুলিশ কী করছে?

    Anubrata Mondal: অনুব্রতর খাসতালুকেই অবাধে চলছে গরু পাচার! পুলিশ কী করছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) খাসতালুক বীরভূমে ফের সক্রিয় হয়েছে গরু পাচার চক্র। ইডি, সিবিআইয়েক কড়া নজরদারির সময় কিছুদিন এই ধরনের কারবার বন্ধ ছিল। এখন অবাধে চলছে গরু পাচার। জেলা পুলিশের লাগাতার তল্লাশিতে একের পর এক গরু উদ্ধার হয়ে চলেছে। গরু পাচারের অভিযোগে নতুন করে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    কোন পথে গরু পাচার?

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নলহাটি থানার পুলিশ পাচারের আগে ২১টি গোরু আটক করেছে। নলহাটি থানার পানিটা গ্রামের রাস্তা দিয়ে গোরুগুলি পাচার করা হচ্ছিল। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিজামউদ্দিন শেখ এবং আব্দুল আলম নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মাসখানেক আগে এই জেলায় একটি ট্রাকে ৯টি গরু পাচার হওয়ার সময় পুলিশ হাতেনাতে ধরে। সেবারও দুজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার ফের গরু পাচার হওয়ায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও প্রশাসনের একাংশের দাবি, এই মুহূর্তে পুজোর প্রস্তুতি, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, কার্নিভ্যাল নিয়ে পুলিশ ব্যস্ত। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কোথাও কন্টেনারে, কোথাও লরিতে, কোথাও আবার ট্র্যাক্টরে করে অবাধে গোরু পাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এতদিন ইলামবাজারের গোরুর হাট থেকে বাংলাদেশে কন্টেনারে করে গোরু পাচার হত। বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত এই গোরু পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল লতিফের। গরু পাচারকারী এনামুল হকের অন্যতম সঙ্গী ছিল লতিফ। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) গ্রেফতার হওয়ার পরেই আব্দুল লতিফের খোঁজে ইলামবাজারে গরুর হাট, লতিফের বাড়ি, মার্বেল দোকানে তল্লাশি তল্লাশি চালান সিবিআই অফিসারেরা।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বার বার গরু পাচারের ঘটনা ঘটা প্রসঙ্গে বীরভূম জেলা বিজেপি সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, বীরভূম জুড়ে কেষ্টর (Anubrata Mondal) আমল থেকে গরু পাচার চক্র চলছে। এখনও তা অবাধেই চলছে। পুলিশ যেটা করছে, সেটা আইওয়াশ। এর চেয়ে অনেক বেশি গরু পাচার হচ্ছে। এর পিছনে শাসকদলের মদত রয়েছে। পাচার বন্ধ করা কোনওভাবে পুলিশের পক্ষে সম্ভব নয়।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের জেলার সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, বেআইনিভাবে গরু পাচার চালানো যাবে না। দল এসব প্রশয় দেয় না। পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cattle Smuggling Case: গরুপাচার কাণ্ডে গ্রেফতারির এখানেই শেষ নয়! আদালতে জানাল ইডি

    Cattle Smuggling Case: গরুপাচার কাণ্ডে গ্রেফতারির এখানেই শেষ নয়! আদালতে জানাল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তদন্ত এগিয়ে চলেছে দ্রুত গতিতে। গরুপাচার কাণ্ডে (Cattle Smuggling Case) গ্রেফতারির এখানেই শেষ নয়। আরও অনেককেই গ্রেফতার করা হবে এই মামলায়। ইডির আইনজীবী নীতেশ রাণা দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে এই কথা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার, ইডি-র আইনজীবীর এই দাবি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

    আর কে?

    এনামুল হক, সতীশ কুমার, সায়গল হোসেন থেকে অনুব্রত ও তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডল, মণীশ কোঠারিদের গ্রেফতারের পর আর কার পালা? জল্পনা চলছে। এর আগে ইডি আদালতে জানিয়েছে, ভুয়ো ঋণ দেখিয়ে নিজের বেআইনি কারবার ঢাকার চেষ্টা করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। এই ভুয়ো ঋণের সঙ্গে যোগ পাওয়া গিয়েছে তাঁর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির। তাঁরই এক আত্মীয়ের মাধ্যমে অনুব্রত এই ঋণ নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ইডি দাবি করে, মণীশ কোঠারির আত্মীয় মনোজ মেহেনত ২.৪ শতাংশ কমিশনে ভুয়ো ঋণের ব্যবস্থা করে দিতেন অনুব্রতকে। কালো টাকা সাদা করতে এই পথ বেছে নিয়েছিলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি।

    সুকন্যাই ঠিক করতেন 

    এদিন অনুব্রত মণ্ডল প্রার্থনা করেছেন, তাঁর মেয়ে সুকন্যা যেন দ্রুত জামিন পেয়ে যান। আগামী ১২ মে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে সুকন্যার জামিনের শুনানি হবে। অনুব্রত আজ রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট চত্বরে সাংবাদিকদের সামনে বলেছেন, ‘‘ঈশ্বর যেন জামিনটা করিয়ে দেন।’’ গত শনিবার তিহাড় জেলে অনুব্রতের সঙ্গে সুকন্যার দেখা হয়েছিল। তবে ইডির দাবি, গরুপাচারের (Cattle Smuggling Case) থেকে প্রাপ্ত কালো টাকা কোথায় কী ভাবে খাটানো হবে তা ঠিক করতেন অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলই। অনুব্রতর সিএ মণীশ কোঠারিই নাকি জেরায় ইডিকে এই কথা জানিয়েছেন। 

    আরও পড়ুন: ছত্তীসগঢ়ে ২০০০ কোটি টাকার দুর্নীতি! অবৈধ মদ ব্যবসায় ‘কিংপিন’ এক আইএএস অফিসার, দাবি ইডির

    ১২ জুলাই ফের শুনানি

    আজ গরুপাচার (Cattle Smuggling Case) মামলার মূল অভিযুক্ত এনামুল, সতীশ কুমার, সায়গল হোসেন, অনুব্রত মণ্ডলদের দিল্লির বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয়। গত ডিসেম্বরে ইডি গরুপাচারের তদন্তে চার্জশিট দায়েরের পরে আরও তিনটি অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করেছে। এনামুল, বিনয় ও বিকাশ মিশ্র, বিএসএফ অফিসার সতীশ কুমার, অনুব্রত ও সুকন্যা মণ্ডল-সহ মোট ১২ জন অভিযুক্ত এবং এনামুল-অনুব্রতদের ১৪টি সংস্থার নাম রয়েছে চার্জশিটে। আজ অভিযুক্তদের সকলকেই ইডি-র চার্জশিটের প্রতিলিপি তুলে দেওয়া হয়েছে। রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট জানিয়েছে, ১২ জুলাই ফের শুনানি হবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cow Smuggling Case: মেয়ে সুকন্যার বয়ানই হাতিয়ার! অনুব্রতের বিরুদ্ধে ২০৩ পাতার চার্জশিট পেশ ইডির

    Cow Smuggling Case: মেয়ে সুকন্যার বয়ানই হাতিয়ার! অনুব্রতের বিরুদ্ধে ২০৩ পাতার চার্জশিট পেশ ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) অনুব্রত মণ্ডলের নামে চার্জশিট জমা দিল ইডি। গ্রেফতারির প্রা‍য় সাড়ে আট মাস বাদে অনুব্রতের নামে বৃহস্পতিবার দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দাখিল করেছে ইডি। ২০৩ পাতার চার্জশিটের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে প্রায় তিন হাজার পাতার নথিও জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    সুকন্যার বয়ানই হাতিয়ার 

    ইডি সূত্রে খবর, অনুব্রতর বিরুদ্ধে তাঁর মেয়ে সুকন্যার বয়ানকেই হাতিয়ার করেছেন তদন্তকারীরা। চার্জশিটে ইডি দাবি করেছে, জিজ্ঞাসাবাদে সুকন্যা তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, বাবার কথা মতোই তিনি চেকে সই করে দিতেন। আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে তিনি কিছুই জানতেন না। চার্জশিটে অনুব্রত এবং তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল সহ তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠদের নামে বিপুল সম্পত্তির উল্লেখ করেছে ইডি। 

    প্রভাবশালী তত্ত্ব

    অনুব্রত মণ্ডল কতটা প্রভাবশালী, তা বোঝাতে তাঁর দিল্লি যাত্রা আটকাতে দুবরাজপুরের এক তৃণমূল কর্মীকে খুনের চেষ্টার ঘটনায় এক বছর পর অনুব্রতকে পুলিশের গ্রেফতারির ঘটনাও চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে৷ আবার দিল্লি নিয়ে যাওয়ার সময় রাজ্য পুলিশের ঘেরাটোপে থাকা সত্ত্বেও যেভাবে শক্তিগড়ের একটি হোটেলে অনুব্রত প্রাতঃরাশের ফাঁকে ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন, সে বিষয়টিও চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে।

    নগদে লেনদেন

    ইডি-র দাবি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নগদে অর্থ জমার পাশাপাশি গরু পাচারের টাকাতেই অনুব্রত ১.৫১ কোটি টাকা খরচ করে স্ত্রী-কন্যার নামে ভোলে বোম রাইস মিল কিনেছিলেন। সুকন্যা ও বাড়ির পরিচারক বিদ্যুৎবরণ গায়েনের নামে ২.৪২ কোটি টাকায় নীড় ডেভেলপার নামের সংস্থা কেনা হয়েছিল। সে টাকাও এসেছিল গরু পাচারের আয় থেকে। সুকন্যা ও বিদ্যুতের নামেই এএনএম অ্যাগ্রোকেম নামের আর একটি সংস্থা মাত্র ১ লক্ষ টাকায় কেনা হয়েছিল। বাকি টাকা গরু পাচারের আয় থেকে বেনামে লেনদেন হয়েছিল। 

    অনুব্রত-এনামুল যোগসূত্র

    ইডি দাবি করেছে, নিজের ‘রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রভাব’ খাটিয়ে অনুব্রত এনামুল হককে গরু পাচারে (Cow Smuggling Case) সাহায্য করতেন। এনামুল ও তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করতেন। তার বিনিময়েই গরু পাচারের আয়ের টাকা অনুব্রতের কাছে পৌঁছে যেত। তার সুবাদেই ২০১৫-১৬ থেকে মণ্ডল পরিবারের অর্থ-সম্পত্তি ফুলেফেঁপে উঠতে শুরু করে। এখনও পর্যন্ত অনুব্রত ও তাঁর পরিবারের ১১ কোটি ২৬ লক্ষ টাকার সম্পত্তি আটক করা হয়েছে। ইডি জানিয়েছে, অনুব্রত মূলত তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের মোবাইলে গরু পাচার কারবারি এনামুলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। সায়গলই অনুব্রত ও এনামুলের মধ্যে যোগসূত্র হিসেবে কাজ করত।

    বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি ও অর্থের ব্যাখ্যা 

    ইডি চার্জশিটে জানিয়েছে, অনুব্রত তাঁর বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি ও অর্থের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে জানিয়েছেন, মূলত জমির দালালি ও চালের ব্যবসা থেকে এই টাকা এসেছে। কিন্তু তার কোনও নথি দেখাতে পারেননি। চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মণীশ ব্যাঙ্কে নগদ জমা থেকে ব্যবসায়িক লেনদেন, আয়কর রিটার্ন জমার বিষয়ে জানেন বলে অনুব্রত জানিয়েছেন। কিন্তু মণীশ নগদ টাকার কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।

    আরও পড়ুুন: জ্বলছে মণিপুর, জারি কারফিউ, অশান্তির কারণ কী জানেন?

    গরু পাচারের (Cow Smuggling Case) মূল অভিযুক্ত এনামুল হক, বিএসএফ অফিসার সতীশ কুমার, অনুব্রতের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনরা আগে থেকেই তিহাড় জেলে ছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ইডি আগেই চার্জশিট পেশ করেছে। অনুব্রত, সুকন্যা, মণীশও এখন তিহাড়ে। সব অভিযুক্তকে আগামী সোমবার, ৮ মে একসঙ্গে আদালতে তোলা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত! ঠিকানা তিহাড় জেল

    Anubrata Mondal: অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত! ঠিকানা তিহাড় জেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। আপাতত তিহাড় জেলই ঠিকানা তাঁর। গ্রেফতার হওয়ার পর ৫ দিন পর ইডি হেফাজত শেষে সোমবার আদালতে তোলা হয়েছিল মণীশ কোঠারিকে। এদিন মণীশকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়নি ইডি। তাদের দাবি, মণীশ কোঠারির থেকে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করা হয়ে গিয়েছে। তবে ইডির যুক্তি ছিল,জামিন পেলে তদন্ত প্রভাবিত করতে পারেন মণীশ কোঠারি।

    মণীশের নামে বিপুল সম্পত্তি

    ইডি সূত্রে খবর, গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করার পিছনে অনুব্রতের (Anubrata Mondal) হিসাবরক্ষক মণীশের সক্রিয় ভূমিকা ও পরিকল্পনা ছিল। মণীশকে জেরা করে ইডি জানতে পেরেছে, কালো টাকা সাদা করার জন্য অনুব্রতর কালো টাকা ঢালা হয়েছিল আইপিএলেও। মণীশ কোঠারির ‘পরামর্শেই’ নাকি এই কাজ করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। বোলপুরের আশপাশেও মণীশের নামে বিপুল অঙ্কের সম্পত্তির হদিস মিলেছে। তাঁর নামে সমস্ত জমির বাজারমূল্য ১৭-১৮ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের দাবি, মণীশকে জেরা করেই সুকন্যার নামে বোলপুর ও সল্টলেকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় প্রায় ১০ কোটি টাকা মেয়াদি আমানতের সন্ধান মিলেছে। এদিন শুরু থেকেই জামিনের আবেদন জানান মণীশের আইনজীবী। কিন্তু ইডির যুক্তি মেনে মণীশ কোঠারিকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। মণীশের স্ত্রী এদিন দাবি করেন তাঁর স্বামী নির্দোষ।

    আরও পড়ুুন: ‘তৃণমূল নেতাদের রাঁধুনি হলেও মিলবে ৬০ লক্ষ টাকা’! কটাক্ষ সুকান্তর

    ইডির তরফে জানানো হয়, জেরায় মণীশ জানিয়েছেন এনএম অ্যাগ্রোকেম সংস্থাটি আসলে তাঁর ছিল। তবে ২০১৮ সালে সেই সংস্থা তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে লিখে দিতে বাধ্য করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। বিক্রি করার সময় সংস্থার বাজারদর ছিল ১৫ কোটি। তার বদলে মাত্র ৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা মণীশকে দিয়েছিলেন অনুব্রত (Anubrata Mondal) । প্রসঙ্গত, গরুপাচারকাণ্ডের চার্জশিটে অনুব্রতর মেয়েকে একটি সংস্থা হস্তান্তরের কথা উল্লেখ করেছিল ইডি। মণীশ কোঠারির দাবি যাচাই করে দেখছেন গোয়েন্দারা। এই সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। আপাতত তিহাড় জেলেই থাকতে হবে মণীশকে। যেখানে রয়েছেন অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। মঙ্গলবার রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে তোলা হবে অনুব্রতকেও (Anubrata Mondal) । তাঁর কী পরিণতি হয়? এখন সেদিকেই নজর সকলের।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share