Tag: Cattle smuggling case

Cattle smuggling case

  • Anubrata Mondal: সিবিআই-এর তলব এড়িয়ে ই-মেল করলেন কেষ্ট কন্যা, কী লিখেছেন চিঠিতে?

    Anubrata Mondal: সিবিআই-এর তলব এড়িয়ে ই-মেল করলেন কেষ্ট কন্যা, কী লিখেছেন চিঠিতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই-এর ডাক এড়ালেন কেষ্ট (Anubrata Mondal) কন্যা সুকন্যা (Sukanya Mondal)। গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) জেলে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল, এমন পরিস্থিতিতে সুকন্যা মণ্ডলকে গতকাল সিবিআই ডেকেছিল। কিন্তু তিনি সিবিআই-এর দফতরে উপস্থিত না হয়ে পাঠিয়েছেন চিঠি। কী আছে চিঠিতে? সূত্রের খবর অনুযায়ী, সুকন্যা রয়েছেন রাজ্যের বাইরে। তাই তিনি সিবিআই-এর কাছে সময় চেয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন রাজ্যের বাইরে থাকার জন্য তিনি হাজিরা দিতে পারেননি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, তাঁর সংস্থার আয়–ব্যয়ের গড়মিলের নথি নিয়েই গতকাল, সোমবার সিবিআই সুকন্যাকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল।

    তবে গতকাল শুধুমাত্র কেষ্ট কন্যা সুকন্যাকেই নয়, অনুব্রত (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েন-কেও হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল সিবিআই। আর তিনিও সুকন্যার মতই সিবিআই-এর ডাক এড়িয়ে গেলেন। তবে গতকাল সিবিআই-এর ডাক এড়ানোর কোনও কারণ জানানো হয়নি। সুকন্যার সংস্থা এএনএম অ্যাগ্রোকেম ফুড প্রাইভেট লিমিটেডকে নোটিস ধরিয়ে সেটির আয়ব্যয়ের যাবতীয় নথি চেয়ে সোমবার সুকন্যা ও বিদ্যুৎবরণকে তলব করেছিল সিবিআই।

    জানা গিয়েছে, আইনজীবী মারফত সিবিআইকে পাঠানো চিঠিতে সুকন্যা দাবি করেছেন, তাঁর বন্ধুর চিকিৎসার জন্য তিনি এখন চেন্নাইতে রয়েছেন। সেখান থেকে ফিরে এসে নিজেই যোগাযোগ করবেন তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে। ফলে তিনি সময় মত পৌঁছতে পারেননি। তবে পরবর্তীতে কবে তিনি হাজিরা দিতে যাবেন, তা এখনও জানা যায়নি। আরও জানা গিয়েছে, সুকন্যা ই-মেল করে সিবিআইকে নিজের সংস্থার আয়ব্যয়ের হিসাব দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুন: এবার কেষ্টকন্যা সুকন্যাকে দিল্লিতে তলব ইডির

    তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ২০১৫ সালের পর থেকে হঠাৎ সুকন্যা মণ্ডলের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে। ব্যাংক থেকে মিলেছে ১৮ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটের নথি। এছাড়াও বেশ কয়েকটি চাল কলের মালিকানা রয়েছে তাঁর নামেই, তাই তাঁর আয়–ব্যয়ের হিসেব নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে সিবিআই অফিসাররা। সিবিআই-কে আগে যেসব নথি তিনি পাঠিয়েছিলেন তাতে অনেক তথ্য স্পষ্ট উল্লেখ নেই, তাই নোটিস পাঠিয়ে তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

    প্রসঙ্গত, এর আগেও গত সেপ্টেম্বরে সুকন্যাকে নোটিস দিয়েছিল সিবিআই। সেসময় নিজের অসুস্থতার দোহাই দিয়ে সময় চেয়ে নিয়েছিলেন সুকন্যা। পরে আইনজীবী মারফত নথি পাঠানো হয়েছিল। এ বারও নোটিস পেয়ে তলব এড়ালেন অনুব্রত-কন্যা (Anubrata Mondal)। আবার সিবিআই তলবের পাশাপাশি আগামী ২৭ তারিখ দিল্লিতে সুকন্যাকে তলব করেছে ইডি-ও। ফলে সিবিআই-এর তলব এড়ানোর পাশাপাশি ইডির তলবও তিনি এড়িয়ে যাবেন কিনা সেটিই এখন দেখার।

  • Cattle Smuggling Case: গরুপাচার মামলায় কেষ্টর বিরুদ্ধে সাক্ষী দেবেন শতাব্দী?

    Cattle Smuggling Case: গরুপাচার মামলায় কেষ্টর বিরুদ্ধে সাক্ষী দেবেন শতাব্দী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বিরুদ্ধে সাক্ষী দেওয়ার জন্যে চার্জশিটে তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের (Satabdi Roy as Witness) নাম উল্লেখ করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। গত শুক্রবারই অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে আসানসোল আদালতে ৩৫ পাতার চার্জশিট জমা দিয়েছে  সিবিআই৷ জানা গিয়েছে, সাক্ষী হিসেবে ওই চার্জশিটে মোট ৯৫ জন সাক্ষীর নাম উল্লেখ রয়েছে। তার মধ্যে ৪৬ নম্বরে নাম রয়েছে তারকা সাংসদের। চার্জশিট জমা করার একেবারে শেষ মুহূর্তে অর্থাৎ ২৮ সেপ্টেম্বর তাঁর বক্তব্য নথিভূক্ত করা হয়। ১৬০ নং ধারায় শতাব্দীকে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। ১৬১ নং ধারায় তৃণমূল সাংসদের বয়ান রেকর্ড করা হয়। তার পরই চার্জশিটে সাক্ষী হিসাবে শতাব্দীর নাম রেখেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই বিষয়ে এখনও মুখ খোলেননি সাংসদ। 

    প্রসঙ্গত, বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়ের সঙ্গে বীরভূম তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সম্পর্কের তিক্ততা কারও অজানা নয়। যদিও, অনুব্রত মণ্ডলকে গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) সিবিআই গ্রেফতার করার পর, অনুব্রত মণ্ডলের সমর্থনে কথা বলেছিলেন শতাব্দী ৷ শতাব্দী রায় ছাড়াও চার্জশিটে মলয় পিঠের নামও উল্লেখ করেছেন সিবিআই গোয়েন্দারা ৷ এছাড়া ব্যাংক ম্যানেজার ও ব্যাংক কর্মীদের নামও সাক্ষী তালিকায় রয়েছে ৷

    আরও পড়ুন: মোমিনপুর যাওয়ার পথে চিংড়িঘাটায় গ্রেফতার সুকান্ত মজুমদার, নিয়ে আসা হল লালবাজার  

    এবার প্রশ্ন উঠছে, যে শতাব্দী অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পর, তাঁর হয়ে সওয়াল করেছিলেন, সেই শতাব্দীই নেতার বিরুদ্ধে সাক্ষী দেবেন? এই বিষয়ে অনুব্রতর আইনজীবীরা বলছেন, “চার্জশিটে যে কাউকেই সাক্ষী করতে পারে তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু বিচারকের সামনে ওই সাক্ষী কী বলছেন, সেটাই বড় কথা।” শতাব্দী এজলাসে দাঁড়িয়ে কী বলেন, এবার সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল। 

    গরুপাচার মামলার তদন্তে নেমে বহু টাকা লেনদেনের তথ্য হাতে পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা। চার্জশিটে ১৮ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ওই ফিক্সড ডিপোজিট অনুব্রতের পরিবারের বলে দাবি করেছেন সিবিআই গোয়েন্দারা। ব্যাংকে লেনদেন সংক্রান্ত তথ্যে সিজার লিস্টে যে সকল ব্যাংক ম্যানেজার ও কর্মী সই করেছিলেন, তাঁদের নাম সাক্ষী হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata-Sukanya: বাবার শুনানি স্থগিত, মেয়ের জামিন খারিজ! আপাতত তিহাড়েই কেষ্ট-সুকন্যা

    Anubrata-Sukanya: বাবার শুনানি স্থগিত, মেয়ের জামিন খারিজ! আপাতত তিহাড়েই কেষ্ট-সুকন্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় দিল্লির আদালতে জোড়া ধাক্কা খেলেন বীরভূমের দাপুটে মণ্ডল-পরিবারের দুই জেলবন্দি সদস্য (Anubrata-Sukanya)। একদিকে, যেমন কেষ্ট মণ্ডলের শুনানি স্থগিত হয়ে গেল, তেমন অন্যদিকে ওই আদালতেই খারিজ হয়েছে মেয়ে সুকন্যার জামিনের আর্জি। ফলে, এখন বাপ-বেটিকে আপাতত দিল্লির তিহাড় জেলেই থাকতে হবে। 

    শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত। বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি দীনেশ কুমার শর্মা গরহাজির থাকায় অনুব্রতর জামিনের আবেদনের শুনানি হয়নি। ওদিকে সুকন্যার জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় রাউস অ্যাভিনিউ আদালত (Anubrata-Sukanya)।

    সুকন্যার শুনানিতে মণীশের বয়ান হাতিয়ার ইডি-র

    শুনানিতে সুকন্যার আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেন, সুকন্যার বয়স কম। তিনি এই দুর্নীতিতে যুক্ত নন। তিনি সব রকম ভাবে ইডিকে সহযোগিতা করেছেন। ফলে, তাঁকে জামিন দেওয়া হোক। পাল্টা ইডি জানায়, বাবার কারবারে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন সুকন্যা। তিনিই গরু পাচারের টাকা বিনিয়োগের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতেন। এ ব্যাপারে এই মামলায় জেলবন্দি অনুব্রতর হিসেবরক্ষক মণীশ কোঠারির বয়ানকে হাতিয়ার করে তদন্তকারী সংস্থা। ইডি-র আইনজীবী জানান, অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি জানিয়েছেন, সুকন্যা ব্যবসার দেখাশোনা করতেন এবং তাঁকেও নির্দেশ দিতেন। উভয় পক্ষের সওয়াল শুনে জামিন খারিজ করেন বিচারক।

    আরও পড়ুন: গ্রেফতারের আগে ‘কালীঘাটের কাকু’-র ওপর ৭ মাস নজর রাখেন গোয়েন্দারা!

    গোটা জুন মাস তিহাড়েই কাটবে কেষ্ট-সুকন্যার? (Anubrata-Sukanya)?

    প্রসঙ্গত, গত ২৬ এপ্রিল দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে সুকন্যাকে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়। ৩১ বছরের সুকন্যাকে তিন দিন নিজেদের হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। তার পর থেকে সুকন্যা তিহাড় জেলে। সোমবার থেকে আদালতে গরমের ছুটি পড়ে যাওয়ায় আগামী এক মাসে আর এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই মনে করা হচ্ছে, গোটা জুন মাস তিহাড় জেলেই কাটাতে হবে অনুব্রত এবং সুকন্যাকে (Anubrata-Sukanya)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanya Mondal: পেটে ব্যথা! ফের ইডির তলব এড়ালেন কেষ্ট-কন্যা, কী প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর?

    Sukanya Mondal: পেটে ব্যথা! ফের ইডির তলব এড়ালেন কেষ্ট-কন্যা, কী প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ইডির (ED) তলব এড়ালেন তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mondal)। বুধবার দিল্লিতে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল কেষ্ট-কন্যাকে। তবে গত দুবারের মতো এবারও হাজিরা এড়ালেন সুকন্যা। কারণ হিসেবে তিনি পেটে ব্যথার কথা বলেছেন। প্রসঙ্গত, এ নিয়ে তিন-তিনবার ইডির ডাক এড়ালেন সুকন্যা। গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত। বর্তমানে তিহাড় জেলে রয়েছেন এই তৃণমূল নেতা। অনুব্রতর সম্পত্তি সংক্রান্ত খোঁজখবর নিতে সুকন্যাকেও দিল্লিতে তলব করে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, পিতা-পুত্রীকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে। তাই তলব করা হয়েছিল কেষ্ট-কন্যাকে।

    সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mondal)…

    প্রথমবার তলব করা হলে আইনজীবী মারফত চিঠি দিয়ে সুকন্যা (Sukanya Mondal) কিছু দিন সময় চেয়েছিলেন। ফের তাঁকে ডেকে পাঠানো হয় মার্চ মাসে। সেবারও হাজিরা এড়ান সুকন্যা। বুধবারও দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা এড়ালেন কেষ্ট-কন্যা। যদিও বর্তমানে বীরভূমের নিচুপট্টির বাড়িতেই রয়েছেন সুকন্যা। অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের দাবি, পেটের ব্যথায় ভুগছেন সুকন্যা। সুকন্যা ইডির তলব এড়ালেও অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী সুব্রত হাজরা ওরফে ডালিম বুধবার দিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন। তাঁকেও তলব করেছিল ইডি। তদন্তকারীদের অনুমান, গরু পাচারের টাকা লগ্নি করা হয়েছে পেশায় প্রোমোটার ডালিমের নির্মাণ শিল্পেও। সেই কারণেই ডাকা হয়েছে ডালিমকে।

    আরও পড়ুুন: রোজগার মেলায় ফের ৭১ হাজার নিয়োগপত্র বিলি করবেন প্রধানমন্ত্রী

    এদিকে, সুকন্যা (Sukanya Mondal) ইডির তলব এড়ানোয় তাঁকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, উনি বাবার সঙ্গে থাকতে চান, তাই এ সব করছেন। বুধবার উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের জনসভায় যোগ দিতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। বাগডোগরা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, আইন আইনের পথে চলবে। হাজিরা এড়ালে তদন্তকারী সংস্থা যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে। আমার মনে হচ্ছে, বাবার সঙ্গে এক সঙ্গে থাকতে চান। তাই এসব করছেন।

    প্রসঙ্গত, গত বছর অগাস্ট মাসে গ্রেফতার হন অনুব্রত। তার পরে পরেই মণ্ডল পরিবারের সম্পত্তি সংক্রান্ত খোঁজখবর নিতে সুকন্যাকে (Sukanya Mondal) দিল্লিতে ডেকে জেরা করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার দাবি, মণ্ডল পরিবারের বিপুল সম্পত্তি সম্পর্কে সুকন্যার কাছে প্রশ্ন করা হলে তিনি সদুত্তর দেননি। তিনি জানিয়েছিলেন, ওই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন তাঁরা বাবা ও হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: এবার গরু পাচারকাণ্ডে শুল্ক দফতরের ৪ আধিকারিককে তলব সিবিআইয়ের

    CBI: এবার গরু পাচারকাণ্ডে শুল্ক দফতরের ৪ আধিকারিককে তলব সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার গরু পাচারকাণ্ডে (Cattle Smuggling Case) শুল্ক দফতরের (Customs Department) চার আধিকারিককে তলব করল সিবিআই (CBI)। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথিপত্র নিয়ে কলকাতায় নিজাম প্যালেসে দেখা করতে বলা হয়েছে তাঁদের। শুল্ক দফতরের এই চার আধিকারিকের বাড়িতে শনিবার তল্লাশি চালায় সিবিআই। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বেশ কিছু নথি। সোমবার তাঁদের তলব করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই দেখা করতে বলা হয়েছে তাঁদের। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ওই চার আধিকারিকের বাড়ি নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলায়। তাঁদের প্রত্যেককে ১০ বছরের ব্যাঙ্কের নথিপত্র নিয়ে দেখা করতে বলা হয়েছে।

    সিবিআইয়ের (CBI) দাবি…

    সিবিআইয়ের চার্জশিটে বলা হয়েছে, এনামুল-আবদুল লতিফের সঙ্গে যোগসাজশে ছিলেন শুল্ক দফতরের ওই চার আধিকারিক। শুল্ক আধিকারিক মারফত ঘুরপথে গরু কিনে পাচার করা হত বাংলাদেশে। আদালতে পেশ করা চার্জশিটে সিবিআইয়ের (CBI) দাবি, গরু পাচারের কিংপিন শেখ আবদুল লতিফ ও গরু ব্যবসায়ী এনামুল হকের সঙ্গে শুল্ক দফতরের কয়েকজন আধিকারিকের সরাসরি যোগাযোগ ছিল। শুল্ক দফতরের এই আধিকারিকদের যোগসাজশেই ঘুরপথে গরু কিনে পাচার করা হত বাংলাদেশে।

    এর আগে গরু পাচার মামলায় বিএসএফ আধিকারিক সতীশ কুমারকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। এবার তলব করা হল শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের। গরু পাচার মামলার তদন্ত চলাকালীন সিবিআই নানা সময় দাবি করেছে, রাজনৈতিক প্রভাবশালী, পুলিশ, কেন্দ্রীয় সরকারি দফতরের কর্তাদের নিবিড় বোঝাপড়া ছাড়া দিনের পর দিন এই কারবার চালানো সম্ভব ছিল না। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, এই শুল্ক আধিকারিকদের ডেকে জানার চেষ্টা করা হবে শুধু কলকাতার আধিকারিকরাই যুক্ত নাকি দিল্লিরও কেউ কেউ এর মধ্যে রয়েছেন।

    আরও পড়ুুন: ‘মমতা সকালে এক রকম কথা বলেন, সন্ধ্যায় অন্য রকম’, অভিযোগ সম্বিতের

    শনিবার শুল্ক দফতরের ওই চার আধিকারিকের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলায় শুল্ক দফতরের যে সব অফিস রয়েছে, সেগুলিতেও তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই (CBI)। তার পরেই সিবিআইয়ের স্ক্যানারে আসেন এই চার আধিকারিক। তাঁদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি তাঁদের রেকর্ডও বয়ান করতে চান তদন্তকারীরা। গরু পাচারকাণ্ডে তাঁদের কী ভূমিকা ছিল, তাও জানতে চান। সিবিআইয়ের অভিযোগ, গরু পাচারকাণ্ডে ধৃত এনামুল হক ও শেখ আবদুল লতিফের সঙ্গে একটা যোগসূত্র ছিল শুল্ক দফতরের কয়েকজন আধিকারিকের। তাই রাজ্যের যেখানে যেখানে গরু নিলাম হত সেখানে লতিফ ও এনামুলকে দামি গরুগুলি অনেক কম দাম দেখিয়ে তাঁদের হাতে তুলে দিতেন অভিযুক্ত শুল্ক আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Anubrata Mondal: গরু পাচারের টাকায় সুকন্যার নামে ১৬ কোটির এফডি! মণীশ ‘মুখ খোলায়’ মহাবিপদে কেষ্ট-কন্যা?

    Anubrata Mondal: গরু পাচারের টাকায় সুকন্যার নামে ১৬ কোটির এফডি! মণীশ ‘মুখ খোলায়’ মহাবিপদে কেষ্ট-কন্যা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার কাণ্ডে ধৃত অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। ইডি হেফাজতে রয়েছেন কেষ্টর হিসেবরক্ষক মণীশ কোঠারি। অন্যদিকে কেষ্ট কন্যা সুকন্যাকে তলব করা হলেও এড়িয়ে যান তিনি। তবে তাঁকে আবার ২০ মার্চ তলব করেছে ইডি, সূত্রের খবর। এই পরিস্থিতিতে অবশেষে মণীশ কোঠারি কেষ্ট-সুকন্যার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। আবার জানা গিয়েছে, এদিন দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে হাজিরা দিলেন অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির পরিচারক তথা রাঁধুনি বিজয় রজক। শুক্রবার বেলার দিকে লাভপুর কলেজের অস্থায়ী কর্মী বিজয়কে ইডি দফতরে ঢুকতে দেখা যায়।

    অনুব্রতের বিরুদ্ধে সরব মণীশ কোঠারি

    ইডির জেরার মুখে চাপে পড়েন মণীশ কোঠারি। প্রথমে তিনি মুখ না খুললেও পরে তিনি সরব হন কেষ্টর (Anubrata Mondal) বিরুদ্ধে। তিনি জানিয়েছেন, গরু পাচারের কালো টাকাতেই অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের নামে ১৬ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট করা হয়। মণীশ কোঠারি তদন্তকারীদের আরও জানিয়েছেন, অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশেই বিভিন্ন জায়গায় টাকা আমানত করেছেন তিনি। কোথায়, কার অ্যাকাউন্টে টাকা রাখা হবে, সেই নির্দেশ দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলই।

    ইডি সূত্রের খবর, মণীশ ইডি আধিকারিকদের জানিয়েছেন, পেশাদার চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে তিনি অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশ পালন করেছেন মাত্র এবং তাঁর কোনও কালো টাকা নেই। নিজেকে নির্দোষ বলেই দাবি করেছেন মণীশ কোঠারি। সুকন্যার নামে ১৬ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট কীভাবে? এই ফিক্সড ডিপোজিটের উৎস কী? তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছিল এতদিন। এরপর মণীশের বয়ান থেকেই জানা গেল, কালো টাকাতেই এই ফিক্সড ডিপোজিট।

    সুকন্যার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ ইডির

    অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, সুকন্যাকে এর আগে দিল্লিতে তলব করা হলেও হাজিরা দেননি তিনি। এবারে কিছুদিনের সময় দিয়ে ফের ২০ মার্চ তলব করা হয়েছে তাঁকে। কিন্তু ২০ মার্চও তাঁর দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজিরার সম্ভাবনা কম বলেই জানাচ্ছে ঘনিষ্ঠ মহল। অসুস্থতার কথা বলে সেইদিনও তিনি যদি হাজিরা এড়িয়ে যান তাহলে বাবা ও মেয়েকে মুখোমুখি বসিয়ে ইডির জেরা করতে পারার সম্ভাবনা কমে যাবে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। কারণ, পরের দিনই অর্থাৎ ২১ মার্চ অনুব্রতর ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এরপর তাঁকে ফের আদালতে পেশ করা হবে। তারপর যদি জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত, তাহলে কেষ্ট মণ্ডল যেতে পারেন তিহাড়ে। ফলে প্রশ্ন উঠছে, বাবার (Anubrata Mondal) মুখোমুখি বসিয়ে যাতে সুকন্যাকে জেরা করতে না পারে ইডি, তাই তাঁর এমন কৌশল? তবে, সুকন্যার বিরুদ্ধে এবারে নোটিশ জারি করল ইডি। আগামী সোমবারের মধ্যে দিল্লিতে ইডি অফিসে হাজিরা না দিলে সুকন্যা মণ্ডলের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে বার্তা দিয়েছেন তদন্তকারীরা। সুকন্যার আইনজীবী মারফত তাঁর কাছে এই মর্মে একটি চিঠিও পাঠানো হয়েছে বলে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সূত্রে খবর।

    হাজিরা দিলেন কেষ্টর বাড়ির পরিচারক

    ইডি সূত্রে খবর, শুধু সুকন্যা নন, গরু পাচার মামলার তদন্তে অনুব্রতের (Anubrata Mondal) মুখোমুখি বসিয়ে তাঁর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি-সহ মোট ১২ জন সন্দেহভাজন এবং সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। ইডি সূত্রেরই দাবি, ওই ১২ জনের তালিকাতেই ছিলেন কেষ্টর বাড়ির পরিচারক বিজয়। বোলপুর হাটতলা এলাকার বাসিন্দা বিজয় অনুব্রতের অত্যন্ত বিশ্বস্ত বলে পরিচিত। ইডি সূত্রের দাবি, অনুব্রতের বাড়ির পরিচারকদের অ্যাকাউন্টে নানা সময় বহু টাকার লেনদেন হয়েছে। সেই সূত্রে বিজয়ের একাধিক অ্যাকাউন্টের হদিশও মিলেছে। সেই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তাঁকে তলব করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে আজ তিনি ইডি দফতের হাজিরা দেন। এনাকেও জেরা করার পর কী কী তথ্য প্রকাশ্যে আসে, এটাই এখন দেখার।

  • Anubrata Mondal: গরু পাচারের টাকা সাদা করতে তৃণমূলের কেষ্ট বিনিয়োগ করেছিলেন আইপিএলে?

    Anubrata Mondal: গরু পাচারের টাকা সাদা করতে তৃণমূলের কেষ্ট বিনিয়োগ করেছিলেন আইপিএলে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রতকাণ্ডে (Anubrata Mondal) নয়া মোড়। গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করতে বিনিয়োগ করা হয়েছিল আইপিএলে (IPL)। অন্তত ইডির (ED) দাবি এমনই। তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির পরামর্শেই অনুব্রত এ কাজ করেছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। মঙ্গল ও বুধবার টানা জেরা করা হয়েছে মণীশকে। অনুব্রতর মুখোমুখি বসিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছে তাঁর হিসাব রক্ষককে। তখনই মিলেছে বিস্ফোরক তথ্য। গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করতে লগ্নি করা হয়েছিল আইপিএলে।

    অনুব্রতকাণ্ডে (Anubrata Mondal) বিস্ফোরক দাবি…

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, গরু পাচারের টাকা ঠিক কোথায় বিনিয়োগ করলে সহজে ধরা পড়বে না, সে ফন্দি এঁটেছিলেন মণীশ। তিনিই বুদ্ধি দিতেন অনুব্রতকে (Anubrata Mondal)। কয়েকশো কোটি কালো টাকা কোন উপায়ে সাদা করা যাবে, সেই পথ বাতলে দিয়েছিলেন মণীশ। তিনিই এই বিষয়টি বুঝিয়েছিলেন যে, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ ভারতের একটি উঁচু দরের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। এতে টাকা বিনিয়োগ করলে কারচুপি সহজে ধরা পড়বে না। এভাবেই গরু পাচারের কোটি কোটি টাকা হাত ঘুরিয়ে সাদা করতেন অনুব্রত। তাঁর প্রধান মদতদাতা হিসেবে কাজ করতেন মণীশ কোঠারি, এমনই জানতে পেরেছে ইডি। শুধু আইপিএল-ই নয়, একের পর এক ভুয়ো কোম্পানি খুলে সেখানেও টাকা বিনিয়োগ করে কালো টাকা সাদা করানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন মণীশ।

    ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর ৬ দিনের হেফাজতে রয়েছেন মণীশ। এই ক’ দিন তাঁকে জেরা করবেন তদন্তকারীরা। আদালতের নির্দেশ মেনে জেরার সময় উপস্থিত থাকতে পারবেন মণীশের আইনজীবীরাও। প্রতিদিন তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আধ ঘণ্টা করে সময়ও বরাদ্দ করা হয়েছে। বুধবার আদালতে তোলা হয় মণীশকে। তখনই ভেঙে পড়েন অনুব্রতর হিসাব রক্ষক। কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমি একজন চাটার্ড অ্যাকাউন্টট্যান্ট। আর সেটাই আমার দোষ।

    আরও পড়ুুন: নোবেল শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি? কমিটির সদস্যের মন্তব্যে জল্পনা!

    জানা গিয়েছে, ইডির জেরায় অনুব্রত বলেছেন, মণীশ আমাকে যেভাবে কালো টাকা সাদা করতে বলেছে, আমি করেছি। যদিও মণীশ বলেন, উনি কারও কথা শুনতেন না। নিজের যা মনে হত করতেন। প্রসঙ্গত, দুদিন আগেই অনুব্রত (Anubrata Mondal) বলেছিলেন তিনি কিছু জানেন না। সব জানেন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। এবার হিসাব রক্ষকের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে অনুব্রত পাচারকাণ্ডের কালি ধুয়ে ফেলতে চাইছেন বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Anubrata Mondal:  দিল্লিতে হাজিরা এড়ালেন কেষ্ট কন্যা! চিঠি দিলেন ইডিকে, কী জানালেন সুকন্যা?

    Anubrata Mondal: দিল্লিতে হাজিরা এড়ালেন কেষ্ট কন্যা! চিঠি দিলেন ইডিকে, কী জানালেন সুকন্যা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দিচ্ছেন না অনুব্রত-কন্যা (Anubrata Mondal) সুকন্যা মণ্ডল। ইডি সূত্রে খবর, সুকন্যা জানিয়েছেন, তাঁর কিছু সমস্যা ও পূর্ব নির্ধারিত কাজ থাকায় আজ যেতে পারছেন না তিনি। তাঁকে সময় দেওয়া হোক। ইডি সূত্রে খবর, অনুব্রত-কন্যাকে ফের তলব করা হবে। গতকাল অনুব্রতের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে জেরা করার পরেই গ্রেফতার করা হয়। তাই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি গ্রেফতার হওয়ার আশঙ্কাতেই ইডির তলব এড়িয়ে গেলেন সুকন্যা?

    ইডি দফতরে যাচ্ছেন না সুকন্যা

    ইডি সূত্রে খবর, বুধবার ইডির মুখোমুখি হবেন না সুকন্যা। আইনজীবী মারফত ই-মেল করে আজ দিল্লিতে ইডি অফিসে অনুপস্থিত থাকার কথা জানিয়েছেন সুকন্যা। যদিও ঠিক কী কারণে বুধবার হাজিরা দিতে পারবেন না সুকন্যা বা ইমেল-এ ঠিক কী উল্লেখ করেছেন তিনি, সেই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি।

    আরও পড়ুন: জামিনের আবেদন করলেন না পার্থ-অর্পিতা, জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়াল আদালত

    গরু পাচার মামলায় আজ ইডির দফতরে তলব করা হয়েছিল সুকন্যাকে। ঠিক ছিল, আজ বাবা-মেয়ে অর্থাৎ কেষ্ট-সুকন্যাকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে। আবার ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছিল, সুকন্যা মণ্ডল, মণীশ কোঠারি এবং অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal), এই তিনজনকেই মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। এদিকে আপাতত আদালতের নির্দেশে ইডি হেফাজতেই রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁকে নিয়মিত জেরা করছেন ইডি আধিকারিকরা।

    গ্রেফতার মণীশ কোঠারি

    গতকাল টানা ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর তদন্তে অসহযোগিতা এবং তথ্য গোপনের অভিযোগে অনুব্রতর (Anubrata Mondal) হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে গ্রেফতার করে ইডি। আজ তাঁকে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে পেশ করবে ইডি। মণীশ কোঠারির গ্রেফতারির পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছিল যে, এবারে কি তবে আজ সুকন্যাকেও জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হবে? কিন্তু আজ কেষ্ট কন্যা হাজিরা এড়িয়ে যাওয়ায় এখনও কোনও কিছুই স্পষ্ট নয়। ইডি সূত্রে খবর, ফের তলব করা হবে সুকন্যাকে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

     
  • Cattle Smuggling Case: গ্রেফতার কেষ্টর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি, এবার কি সুকন্যার পালা?

    Cattle Smuggling Case: গ্রেফতার কেষ্টর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি, এবার কি সুকন্যার পালা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) এবার ইডি-র জালে অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি (Manish Kothari)। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার তাঁকে তলব করা হয়েছিল দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে। সেখানেই মঙ্গলবার সকাল থেকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মণীশকে। এরপর সন্ধ্যার দিকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ইডি সূত্রে খবর, মণীশের বয়ানে অসঙ্গতি মিলেছে। সে কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নিতে চান গোয়েন্দা আধিকারিকরা। অভিযোগ, তথ্য লুকনোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি। উঠেছে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ।

    মোট ১২ জনকে অনুব্রতের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা ইডির!

    সূত্রের খবর, এর আগে অনুব্রতকে হেফাজতে চাওয়ার সময় আদালতে ইডি জানিয়েছিল, অনুব্রতের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল, হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি-সহ ১২ জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় তারা। ইডি সূত্রে খবর, ওই তালিকায় সুকন্যার গাড়িচালক তুফান মির্ধা, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কৃপাময় ঘোষ, অনুব্রতর বাড়ির পরিচারক বিজয় রজক-ও রয়েছেন। এছাড়া অনুব্রতর সহায়ক অর্ক দত্ত, অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত প্রধান শুভঙ্কর সাধু, অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়, অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ তৃণমূলকর্মী তাপস মণ্ডল-সহ আরও বেশ কয়েক জন রয়েছেন। তার মধ্যে মঙ্গলবার মণীশকে প্রথমে ডেকে পাঠানো হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: রামনবমীতে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিতে মুখরিত হবে বাংলা, জানালেন শুভেন্দু

    গ্রেফতার মণীশ কোঠারি

    গতকাল সকাল ১১ টায় শুরু হয় জেরা। চলে একটানা রাত ৮ টা পর্যন্ত।  প্রায় ৯ ঘন্টা ‘ম্যারাথন’ জেরার পরই নয়াদিল্লিতে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের বিশ্বস্ত হিসাবরক্ষক মনীশ কোঠারি। বুধবার কোর্টে পেশ করা হবে মণীশ কোঠারিকে। এর আগেও ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে মণীশকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। সূত্রের খবর, অনুব্রত, তাঁর স্ত্রী, কন্যা, আত্মীয়, ঘনিষ্ঠদের নামে বিপুল সম্পত্তি, একাধিক রাইস মিল, কোটি কোটি টাকার লেনদেন— এই সব নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। আর এবারে তাঁর তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় মণীশকে।

    সুকন্যাকেও গ্রেফতারির পথে ইডি!

    আজ, বুধবার আবার তলব করা হয়েছে অনুব্রত কন্যা সুকন্যাকে। অনুব্রতর মুখোমুখি বসিয়ে সুকন্যাকে জেরা করতে চায় ইডি। আবার প্রয়োজন পড়লে, অনুব্রত, তাঁর কন্য়া সুকন্য়া ও হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি তিন জনকে একসঙ্গে বসিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। সুকন্যা মণ্ডল এবং তাঁর প্রয়াত মা ছবিরানী মণ্ডলের নামে ৩৪ কোটি টাকার বিপুল সম্পত্তির যে হিসেব রয়েছে ইডির কাছে সেই বিষয়টি নিয়েই সুকন্যা এবং অনুব্রতকে একসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চলেছেন ইডির শীর্ষ আধিকারিকরা, এমনটাই দাবি সূত্রের। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, মঙ্গলে গ্রেফতার হলেন মণীশ, বুধে কী অপেক্ষা করছে সুকন্যার জন্য? বাবা ও বাবার হিসাবরক্ষক এবং দেহরক্ষীর পরে কী তবে এবার তাঁকেও গ্রেফতার করতে পারে ইডি?

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: বার্গার, কোল্ড কফি থেকে মাছের ঝোল-ভাত! ইডি হেফাজতে কেমন কাটছে অনুব্রতর?

    Anubrata Mondal: বার্গার, কোল্ড কফি থেকে মাছের ঝোল-ভাত! ইডি হেফাজতে কেমন কাটছে অনুব্রতর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রতর রসনাতৃপ্তিতে কসুর করছেন না ইডি আধিকারিকেরা। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে ম্যাকডোনাল্ডস থেকে বার্গার, সুগার ফ্রি কোল্ড কফি আসে কেষ্ট-র জন্য। দুপুরের আহারে অনুব্রতর আব্দার মেনে মাছের ঝোল, ভাতের সঙ্গে শেষ পাতে রাখা হয় সন্দেশের ব্যবস্থাও। বাংলা থেকে বহু দূরে ভোজন রসিক অনুব্রতের জন্য বেশ ভাল ব্যবস্থাই করছে ইডি।

    শুক্রবার গরু-পাচার মামলায় অনুব্রতকে আরও ১১ দিনের ED হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সবুজ রঙের একটি পাঞ্জাবিতে দেখা যায় অনুব্রত মণ্ডলকে। কোনও কথা বলেননি তিনি। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার ম্যারাথন জেরা করা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। তবে রাতে তাঁর পাতে পড়েছিল বাঙালি খাবার। তিনি খেয়েছিলেন ভাত, ডাল, মাছের ঝোল, আলু পোস্ত। শুক্রবার সকালে উঠেই তিনি কফি এবং বাটার টোস্ট খেয়েছিলেন।

    হিন্দি জানেন অনুব্রত!

    এদিন আদালতে ইডি-র আইনজীবী নীতেশ রানা জানান, গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডল হিন্দি, ইংরেজি কিছুই বোঝেন না। শুধুই বাংলা বোঝেন। তিনি লিখতেও পারেন না। তাই জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। তখন বিচারক রঘুবীর সিং অনুব্রতকে প্রশ্ন করেন, ‘আপকো হিন্দি নহি আতি?’ অনুব্রত উত্তর দেন ‘নহি!’ বিচারক ফের প্রশ্ন করেন, ‘আপকো স্রিফ বাংলা আতি হ্যায়?’ অনুব্রত উত্তর দেন,‘হ্যাঁ।’ বিচারকের হিন্দি প্রশ্নের উত্তর অনুব্রত ঠিকঠাক দেওয়ায় আদালতে ওঠে হাসির রোল। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন অনুব্রতের আইনজীবী মুদিত জৈন।

    আরও পড়ুন: গ্রুপ সি- র বাতিল হওয়া তালিকায় মুখ্যমন্ত্রীর ভাইঝি!  

    আপাতত অনুব্রতের ঠিকানা

    প্রসঙ্গত, আসানসোল সংশোধনাগারে থাকাকালীন নিজের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। এদিন তাঁর শরীর কেমন রয়েছে জানতে চায় আদালত।  ইডি-র আইনজীবী রানা বলেছেন, অনুব্রত ‘ফিট অ্যাজ় এ ফিডল’ এবং ‘হেল অ্যান্ড হার্টি’ রয়েছেন। রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালে তাঁকে ডাক্তাররাও ‘ফিট’ বলে জানিয়েছেন। আপাতত, আগামী ১১ দিন দিল্লিতে ইডির সদর দফতরই অনুব্রতের ঠিকানা। বীরভূমের একসময়ের এই দাপুটে নেতার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে একটি সিঙ্গল রুম। ঘরে রয়েছে একটি ছোট খাট, এসি এবং ফ্যান। ঘরের সঙ্গেই রয়েছে শৌচালয়। এমনকি, ঘর লাগোয়া একটি কেবিনও রয়েছে। সেই কেবিনেই অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করছেন তিন আধিকারিক। তাঁদের মধ্যে বাংলা জানা একজন দোভাষী ব্যাঙ্ককর্মীও রয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share