Tag: Cattle smuggling case

Cattle smuggling case

  • Anubrata Mondal: অন্যদের গুড়-বাতাসা খাওয়াতেন! সিবিআই হেফাজতে কী খেলেন কেষ্ট?

    Anubrata Mondal: অন্যদের গুড়-বাতাসা খাওয়াতেন! সিবিআই হেফাজতে কী খেলেন কেষ্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভা ভোটের আগে তাঁর মুখে শোনা গিয়েছিল, ‘ভয়ঙ্কর খেলা হবে’ স্লোগান। কিন্তু সেই খেলার পরিণতি যে এতটা ভয়ঙ্কর হবে তা হয়ত ভাবতেই পারেননি কেষ্ট। তাই কী এখন চুপ করে গিয়েছেন তিনি। শুধুই সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলছেন। তিনি তো বুঝতেই পারেননি, যে বীরভূমে নিজের একছত্র আধিপত্য গড়ে তুলেছিলেন সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করবে সিবিআই। তাঁর গড় থেকেই আটক হবেন তিনি। বৃহস্পতিবার সারাদিন ধকল সামলে রাত ২.৪৫ মিনিটে দীর্ঘ সাড়ে সাত ঘণ্টা যাত্রার পর নিজাম প্যালেসে পৌঁছন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। ক্লান্ত কেষ্ট।

    সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, রাতে নিজাম প্যালেসে ঢুকে ‘ফ্রেশ’ হয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। ১৫ তলায় অফিসারদের একটি ঘরে রাখা হয়েছে অনুব্রতকে। ঘরে একটি ক্যাম্প খাটে গদি পেতে শুতে দেওয়া হয়। ঘুম ভাঙে সকাল নটার পর। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর চা বিস্কুট খান অনুব্রত। একদা সকলকে গুড়-বাতাসা খাওয়ানো বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতার এখন দিন শুরু হচ্ছে চা-বিস্কুট দিয়ে। বীরভূমকে বিরোধী-শূন্য করতে গিয়ে আজ তিনি নিজেই সিবিআই হেফাজতে। তিনি তো দূরের কথা তাঁর অনুগামীরাও এই দিন দেখতে হবে ভাবেননি।

    বৃহস্পতিবার গরু-পাচার কাণ্ডে বীরভূমে অনুব্রতের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে তাঁকে হেফাজতে নেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারেরা। সিবিআই সূত্রে খবর, গতকাল রাতে নিজাম প্যালেসে আসার পর কিছু হাল্কা খাবার দেওয়া হয় তাঁকে। সময় মেনে ওষুধও দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: দুর্দিনে পাশে নেই দল, তাই কি কেষ্টর চোখে জল?

    শুক্রবার সকাল থেকেই জেরা শুরু করা হয়েছে অনুব্রতকে। অভিযোগ, বীরভূমকে পাচারের ট্রানজিট রুট হিসাবে ব্যবহার করেছেন অনুব্রত। সিবিআই জানতে চায়, কীভাবে গরু পাচারে মদত দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল? বিনিময়ে কত টাকা নিয়েছেন? সিবিআই অনুব্রতর কাছে জানতে চাইতে পারে, ইলামবাজারের গরুহাটের কথা। শেখ লতিফের কথা উঠে এসেছে ইতিমধ্যেই। অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের মোবাইল ফোনে বার বার পাওয়া গিয়েছে এই শেখ লতিফ ও এনামুল হকের ফোন নম্বর। শেখ লতিফ ও এনামুল হকের সঙ্গে সায়গল হোসেনের যোগাযোগ কেমন, সেই বিষয়ে কতটা জানতেন অনুব্রত, তাই নিয়ে আজ অনুব্রতকে জেরা করতে পারে সিবিআই। এছাড়াও, অনুব্রত মণ্ডল সরাসরি শেখ লতিফ ও এনামুল হকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতেন কি না, কেন গরু পাচারের টাকা তাঁর নাম করে আসত এই সমস্ত বিষয়ে আজ জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে অনুব্রত মণ্ডল কি তদন্তে সহযোগিতা করবেন?

    আরও পড়ুন: সকালে গ্রেফতার, সন্ধ্যে হেফাজত, রাতেই নিজাম প্যালেস! বৃহস্পতিবার অনুব্রতর সারা দিন

    অন্যদিকে, জেরার সময় অনুব্রতর মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য আলিপুর কমান্ড হাসপাতালকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে । দুপুরে বা বিকেলের পরে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য তাঁকে পাঠানো হতে পারে হাসপাতালে । পাঠানো হয়েছে কোর্টের নির্দেশনামার প্রতিলিপি। সিবিআই সূত্রে খবর, এদিন অনুব্রতর আইনজীবীকে তাঁর সঙ্গে ৩০ মিনিটের জন্য দেখা করতে দেওয়া হবে।

  • Anubrata Mondal: গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল! নিয়ে যাওয়া হতে পারে সিবিআই ক্যাম্প অফিসে

    Anubrata Mondal: গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল! নিয়ে যাওয়া হতে পারে সিবিআই ক্যাম্প অফিসে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জল্পনার অবসান। বহু নাটকের পর অবশেষে গরুপাচার (Cow Smuggling Case) মামলায় সিবিআই (CBI) আটক করল অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। গরু পাচার মামলায় একাধিকবার তাঁকে নোটিশ পাঠায় সিবিআই। বারবার নানা অজুহাতে তিনি সিবিআইকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এমনকি অসুস্থতার অভিযোগে পিজি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন অনুব্রত। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁর সাস্থ্য পরীক্ষা করে জানিয়ে দিয়েছিলেন ভর্তির কোনো প্রয়োজন নেই। তখন তিনি কলকাতা থেকে বীরভূম ফিরে যান। ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে বীরভূম মহকুমা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক অনিয়ে জোর করে অসুস্থতার সার্টিফিকেট লিখিয়েছিলেন অনুব্রত, অভিযোগ এমনটাই। কিন্তু তাতেও রেহাই পেলেন না।

    শেষপর্যন্ত তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে আটক করে সিবিআই। বৃহস্পতিবার বোলপুরে অনুব্রতর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে আটক করেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। বুধবার সিবিআইয়ের দশম তলব এড়িয়ে যান অনুব্রত। তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে বলেই কানাঘুষো শোনা গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকালেই বোলপুরে পৌঁছে যান গোয়েন্দারা। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়েই অনুব্রতর বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই।  

    আরও পড়ুন: পার্থ-অনুব্রত কাণ্ডের জের! “সবাই চোর নয়”, সাফাই আতঙ্কিত তৃণমূলের

    এদিন সকালে অনুব্রতর বাড়িতে ঢুকেই ভিতর থেকে তাঁর বাড়ির সমস্ত গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন আধিকারিকরা। বাইরে রাখা থাকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যদের। বাড়ির প্রত্যেকের এবং অনুব্রতর দেহরক্ষীদের ফোন কেড়ে নিয়ে বাইরে বের করে দেওয়া হয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) পর তৃণমূলের (TMC) আরও এক হেভিওয়েট নেতা কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে। আজ সকালে আদালতের নির্দেশনামা ও মেডিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে বোলপুরের নীচুপট্টিতে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির বাড়িতে পৌঁছে যান সিবিআই অফিসাররা। ঘণ্টাখানেক পর অনুব্রতকে বাড়ি থেকে বার করা হয়। বসানো হয় সিবিআইয়ের গাড়িতে।জানা যাচ্ছে, সিবিআইয়ের ক্যাম্প অফিসে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে দফায় দফায় তাঁকে জেরা করবেন সিবিআই আধিকারিকরা। গরুপাচার মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। 

     

  • Cattle  Smuggling Case: অনুব্রত মামলায় বিচারককে হুমকি চিঠি-কাণ্ডে ধৃত আইনজীবী! আটক তাঁর সহকারীও

    Cattle Smuggling Case: অনুব্রত মামলায় বিচারককে হুমকি চিঠি-কাণ্ডে ধৃত আইনজীবী! আটক তাঁর সহকারীও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) জামিন দেওয়া নিয়ে বিচারককে হুমকি চিঠি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় সোমবার আসানসোল আদালত চত্বর থেকে গ্রেফতার হন আইনজীবী সুদীপ্ত রায়। মোবাইল ফোনের নম্বর ট্র্যাক করে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ (Asansol South Police Station) তাঁকে গ্রেফতার করে। গত রাতেই সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সুদীপ্তের মা। তাঁর দাবি, এই ঘটনায় তাঁর ছেলেকে ফাঁসানো হচ্ছে। 

    গত ২৪ অগাস্ট গরুপাচার মামলায় আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে অনুব্রতর শুনানি ছিল। তার ঠিক আগের দিন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী একটি হুমকির চিঠি পান বলে অভিযোগ উঠেছিল ৷ তাতে লেখা হয়, বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতাকে জামিন না দিলে তাঁর পরিবারের সদস্যদের এনডিপিএস (NDPS) অর্থাৎ মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হতে পারে। চিঠিতে প্রেরকের নাম ছিল ‘বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়’ এবং তাঁর স্বাক্ষর, সরকারি সিলমোহরও ছিল। পরে জানা যায়, তিনি বর্ধমান এগজিকিউটিভ কোর্টে কর্মরত। 

    বাপ্পাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জানান, সুদীপ্ত রায় নামে বর্ধমান আদালতের এক আইনজীবী দিন দুয়েক আগে তাঁকে আদালত চত্বরে হুমকি দিয়েছিলেন। হুমকি চিঠির পিছনে সুদীপ্তর হাত রয়েছে বলে দাবি করেন বাপ্পা। শুক্রবার বাপ্পার গোপন জবানবন্দিও নেওয়া হয়। এরপরই সোমবার আসানসোল আদালত চত্বর থেকেই গ্রেফতার করা হয় সুদীপ্তকে।

    আরও পড়ুন: কয়লা পাচার কাণ্ডে ফের ইডির তলব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে

    আজ, মঙ্গলবার তাঁকে আসানসোল আদালতে পেশ করার কথা। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে আসানসোল পুলিশ। এদিকে সুদীপ্তকে গ্রেফতার করার পর সোমবার রাতের দিকে তাঁর বর্ধমানের বড়নীলপুর মোড়ের বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। গভীর রাতে সেখানে তল্লাশি চালিয়েছিল আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ। অভিযানে রয়েছে বর্ধমান থানার পুলিশও। এরপর তদন্তে নেমে মেমারির রসুলপুর থেকে আরও এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। এমনকী, সুদীপ্ত রায়ের কাছ থেকে বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়ের নকল আধার কার্ড পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mandal: অনুব্রতের চালকলে সিবিআই হানা! মিলল রাজ্য সরকারের স্টিকার লাগানো ৫টি গাড়ি

    Anubrata Mandal: অনুব্রতের চালকলে সিবিআই হানা! মিলল রাজ্য সরকারের স্টিকার লাগানো ৫টি গাড়ি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  এবার বোলপুরে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) চালকলে হানা দিল সিবিআই (CBI)। মিলল পাঁচটি বিলাসবহুল গাড়ি। প্রতিটিতে তৃণমূলের স্টিকার লাগানো। এই গাড়ির মালিক কে? কী কাজে ব্যবহার করা হত এই গাড়িগুলি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে একাধিকবার প্রশ্ন করা হলেও মুখে কুপুপ এঁটেছেন মিল কর্মীরা।  স্থানীয়দের দাবি, প্রায়ই ওই মিলে যেতেন অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর মেয়ে সুকন্যা। 

    শুক্রবার সকালে প্রায় সোয়া দশটা নাগাদ ভোলে ব্যোম রাইস মিলে প্রবেশ করে সিবিআই। তবে শুরুতে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠে এসেছিল। দরজার তালা খোলা নিয়ে বেশ অনেকক্ষণ টালবাহানা চলে। প্রথমে নিরাপত্তারক্ষীরা বলেন , তাঁদের কাছে চাবি নেই। প্রায় মিনিট ৪০ পরে দরজা খুলে ভেতরে ঢোকেন সিবিআই আধিকারিকরা। সূত্রের খবর বোলপুরের ওই ভোলে ব্যোম রাইসমিল আসলে অনুব্রতের স্ত্রী এবং মেয়ের নামে। অনুব্রত কন্যা সুকন্যা ওই মিলে বসতেন। প্রায় ৪৫ বিঘা জায়গার ওপর অবস্থিত ওই রাইসমিল।

    আরও পড়ুন: অনুব্রতর ১৭ কোটির FD-তেই লুকিয়ে আরও ১৯ জনের ‘প্রাণভোমরা’! তাই কি ইডি-সিবিআইতে আপত্তি?

    সিবিআই সূত্রে খবর, চালকলের ভিতরে প্রবেশ করে তদন্তকারী অফিসারদের চোখ যায় একটি জায়গায়। সেখানে সার দিয়ে একের পর এক ঝকঝকে এসইউভি দেখতে পান তাঁরা। ওই গাড়িগুলির মালিক কে, তা জানার চেষ্টা করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। ঝকঝকে সেই সব গাড়িতে আবার সাঁটানো রয়েছে ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার’ লেখা স্টিকার। রয়েছে পাইলট কারও। পাশাপাশি, নিরাপত্তা রক্ষীরা কেন আধ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে গেট খোলেননি, সেটাও জানার চেষ্টা করছেন আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, গত দু’মাস ধরে এই চালকলটি বন্ধ রয়েছে। তা সত্ত্বেও এত কর্মী ভিতরে কী করছেন, সেই প্রশ্নও উঠেছে। 

    গরুপাচার মামলার তদন্তে সিবিআইয়ের নজরে অনুব্রত সহ তাঁর একাধিক ঘনিষ্ঠের সম্পত্তি। ইতিমধ্যে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ১৭ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। স্থানীয় সূত্রের খবর ২০১১ সালের আগে এই রাইস মিল অনুব্রত মণ্ডলের ছিল না। ছিল অন্য কারও হাতে। ২০১৩ সালে অনুব্রত মণ্ডল তা কিনে নেন। সূত্রের খবর, আনুমানিক ৫ কোটি টাকা দিয়ে চালকলটি কেনেন অনুব্রত। এ-ও জানা যাচ্ছে, ওই চালকল বিক্রি করতে আগের মালিক হারাধন মণ্ডলকে এক প্রকার বাধ্য করা হয়। ব্যবসা চালাতে না পেরে কলটি বিক্রি করে দেন তিনি। 

     

  • Anubrata Mondal: পার্থ এফেক্ট! “অনুব্রতকে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই”, জানাল এসএসকেএম মেডিক্যাল বোর্ড

    Anubrata Mondal: পার্থ এফেক্ট! “অনুব্রতকে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই”, জানাল এসএসকেএম মেডিক্যাল বোর্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগেভাগেই প্রস্তুত রাখা ছিল উডবার্ন ওয়ার্ডের (Woodburn ward) ২১৬ নম্বর কেবিন। সেইমতো, সিবিআই হাজিরা (CBI summon) এড়িয়ে এসএসকেএমেই (SSKM) পৌঁছলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। কিন্তু, কেষ্টকে পরীক্ষা করে মেডিক্যাল বোর্ড জানিয়ে দিল, “অনুব্রতকে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই।” 

    আজই গরু পাচার মামলায় নিজাম প্যালেসে (Nizam Palace) হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল অনুব্রত মণ্ডলের। কিন্তু, আইনজীবী মারফৎ কেষ্ট তদন্তকারী সংস্থাকে চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েছেন, ফিসচুলার পুরনো সমস্যা নাকি ফের মাথাচাড়া দিয়েছে।  সঙ্গে নাকি কাশি হচ্ছে, ঘাড়ের পিছনে প্রবল ব্যথা-ও নাকি রয়েছে কেষ্টর। কাধিক শারীরিক জটিলতা থাকার জন্য মেডিক্যাল চেক আপের প্রয়োজন রয়েছে তৃণমূল নেতার। এমনটাই জানিয়েছেন আইনজীবী। এমতাবস্থায় অনুব্রতর পক্ষে সম্ভব নয়, হাজিরা দেওয়ার। তাঁকে পরে কোনও একটা সময় দেওয়া হোক। 

    এদিকে, অনুব্রতর ভর্তি হওয়া নিয়ে এসএসকেএমে-র অন্দরেই দেখা দেয় বিতর্ক। অনুব্রতর চিকিৎসা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত ছিল মেডিক্যাল বোর্ড। একদল চাইছিলেন, তাঁকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা করতে। আরেকদল অনুব্রতকে পরীক্ষা না করে ভর্তি করতে নারাজ ছিলেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এই নিয়ে দীর্ঘ বৈঠক হয় মেডিক্যাল বোর্ডের। শেষমেশ, কেষ্টকে এদিন পরীক্ষা করে মেডিক্যাল বোর্ড জানিয়ে দিল, “অনুব্রতকে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই।”

    আরও পড়ুন: ‘দিদি’ ফোন ধরছেন না, সিবিআই ডাকে বিচলিত কেষ্টর চোখে ঘুম নেই

    হাসপাতালের এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে অনেকেই একে “পার্থ-এফেক্ট” বলে অভিহিত করছেন। সম্প্রতি, এসএসসি কাণ্ডে ইডি-র হাতে গ্রেফতার হওয়া তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিবও অসুস্থ হওয়ায় তাঁকে এসএসকেএমে ভর্তি করার নির্দেশ দেয় নিম্ন আদালত। এসএসকেএমে-র চিকিৎসকরা পার্থকে আইসিইউ-তে রাখার সুপারিশ করে। এদিকে, নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি-র তরফে দাবি করা হয়, এসএসকেমে পার্থ ‘ডন’-এর মতো আচরণ করছেন। তাঁকে এইমসে স্থানান্তর করে সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হোক। ইডি-র আবেদনকে মান্যতা দিয়ে হাইকোর্ট ভুূবনেশ্বর এইমসে পার্থর স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দেয়।

    সেখানে পরীক্ষা করে ভুবনেশ্বর এইমসের মেডিক্যাল বোর্ড সাফ জানিয়ে দেয়, হাসপাতালে পার্থকে ভর্তি করার কোনও প্রয়োজন নেই। তাঁর  যা যা সমস্যা রয়েছে সবই ক্রনিক। বাড়িতে থেকে নিয়মিত ওষুধ খেলেই হবে। এই ঘটনায় এসএসকেএমের মুখ যে পোড়ে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ ছিল না। পার্থ-এপিসোডে মুখে কিছু না বললেও, ভেতর ভেতর শাসক দলের সিদ্ধান্ত নিয়ে অসন্তুষ্ট চিকিৎসকদের একাংশ।

    এর আগেও, সিবিআই-ইডির তলব পেয়ে বিভিন্ন দুর্নীতিতে নাম উঠে আসা শাসক দলের একাধিক হেভিওয়েট নেতাদের এসএসকেএমে ভর্তি হওয়া ঘিরে জলঘোলা হয়েছে বিস্তর। বিরোধী দল বারবার এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এমনকী, মহামান্য হাইকোর্টেও তীব্র সমালোচিত হতে হয়েছে রাজ্য প্রশাসনকে। আদালতের পর্যবেক্ষণে মুখ পুড়েছে রাজ্যের এই প্রথম সারির হাসপাতালের।

    আরও পড়ুন: কোথায় কেষ্ট? পার্থর পর এবার কি অনুব্রতর পালা? জোর জল্পনা! 

    পার্থকাণ্ডের জেরে যেভাবে এই সুপার-স্পেশালিটি হাসপাতাল নিয়ে যেভাবে একাধিক অভিযোগের তির ধেয়ে এসেছে, অনেকেই মনে করছেন, নতুন করে আর বিতর্ক ঘৃতাহুতি দিতে চায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিরোধীদের কটাক্ষ, এসএসকেএম তো উপলক্ষ্য। আসলে সরকারের মনোভাবই ফুটে উঠেছে। তৃণমূল সূত্রে খবর,  অনুব্রতর বিষয়ে “উদাসীন” মনোভাব দেখাতে শুরু করেছে তৃণমূল। ঠিক যেমনটা পার্থর ক্ষেত্রে হয়েছিল। তৃণমূল সূত্রে খবর, বহু চেষ্টা করেও, ‘দিদি’-র সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি কেষ্ট। আর এখন, হাসপাতাল ভর্তিতে ‘না’ শুনতে হল। 

    সবমিলিয়ে সময়টা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না কেষ্ট মণ্ডলের!

     

     

     

     

     

     

  • CBI Summons Anubrata Mondal: বুধবার ফের সিবিআইয়ের তলব, এবার কী করবেন কেষ্ট?

    CBI Summons Anubrata Mondal: বুধবার ফের সিবিআইয়ের তলব, এবার কী করবেন কেষ্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) ফের তলব (Summon) করল সিবিআই (CBI)। আগামীকাল অর্থাৎ বুধবারই দিতে হবে হাজিরা। এবার কী করবেন অনুব্রত? প্রতিবারের মত এবারেও কী সিবিআই জেরা এড়িয়ে যাওয়ার অজুহাত প্রস্তুত রেখেছেন গরু পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত এই নেতা? নাকি এবার আর শেষ রক্ষা হবে না? 

    আরও পড়ুন: বালি-পাথরের ‘নবগ্রহ’ ইডি-সিবিআইয়ের নজরে, কেষ্টর পর কে কে?

    অনুব্রত-সিবিআই লুকোচুরি চলছে বেশ কয়েক মাস ধরে। সিবিআই তলব প্রতিবারই কোনও না কোনও ভাবে এড়িয়ে যাচ্ছেন কেষ্ট। আর প্রতিবারই বাহানা শরীর খারাপের। গতকালও সিবিআই জেরা থেকে বাঁচতে এসেছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালে (SSKM Hospital) ভর্তি হতে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে হাসপাতালে ভরতি হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই, সুস্থ আছে কেষ্টা। এবার অসুস্থতার অজুহাতও কাজ করবে না। তাহলে কী এবার পার্থর মত অনুব্রতরও ঠাই হবে শ্রীঘরে? নাকি এক রাতেই নতুন কোনও ফন্দি এঁটে ফেলবেন অনুব্রত? 

    আরও পড়ুন: অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ কেরিম খান, টুলু মণ্ডলের বাড়িতে যৌথ অভিযানে ইডি-সিবিআই

    বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে আগামীকাল সকাল ১১টার মধ্যে নিজাম প্যালেসে ( Nizam Palace ) হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার আগে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে দিল্লি থেকে এলেন সিবিআইয়ের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর অজয় ভাটনগর। বৈঠক করবেন দুর্নীতিদমন শাখার জয়েন্ট ডিরেক্টর, এসপি পদমর্যাদার অফিসার ও গরুপাচার মামলার তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে। তলব সত্ত্বেও গতকাল সিবিআই দফতরে হাজিরা দেননি অনুব্রত মণ্ডল। 

    সোমবার নিজাম প্যলেসে অনুব্রতকে তলব করে সিবিআই। কিন্তু সেদিন নিজাম প্যালেসের পরিবর্তে এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়ে হাজির হন তিনি। হাসপাতাল থেকে তাঁকে পরিষ্কার জানানো হয়, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো ততটাও অসুস্থ নন তিনি। তারপরেই সিবিআই নির্দেশ দিয়েছিল হাসপাতাল থেকেই সোজা নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে হবে তাঁকে। কিন্তু সেই কথায় পাত্তা না দিয়েই অনুব্রত মণ্ডল চলে গিয়েছিলেন তাঁর কলকাতার চিনার পার্কের বাড়িতে। সেখান থেকে যান বোলপুরের বাড়িতে।  এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের এই নেতা জানিয়েছিলেন আবার সিবিআই তলব করলে তিনি যাবেন কিনা সেটা পরে জানিয়ে দেবেন। এবার বীরভূমে যেতে না যেতেই ফের তলব করা হয়েছে। 

    গতকাল অনুব্রতর চিনার পার্কের বাড়িতে হানা দেন সিবিআই গোয়েন্দারা। কিন্তু সেখানে কেউ ছিলেন না। তার আগেই, অনুব্রত বোলপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দিয়েছিলেন। সিবিআই যখন পৌঁছয়, ফ্ল্যাটটি সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। বাড়ির কেয়ারটেকারের সঙ্গে কথা বলেই চলে যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। ফলে নোটিস দেওয়া ‌যায়নি তাকে। পরে অনুব্রতকে তলবের চিঠি ই-মেল করে পাঠিয়েছে সিবিআই। পাশাপাশি, আজই বোলপুরে অনুব্রতর বাড়িতে গিয়ে নোটিস দিয়ে আসবেন সিবিআই অফিসাররা। এর পাল্টা কী কৌশল নেন অনুব্রত তাই দেখার।  

    মূলত রাজ্যের শাসকদলের এই হেভিওয়েট নেতা গরুপাচার মামলায় অভিযুক্ত। এখন অবধি অসংখ্য বার তিনি ইডি-সিবিআইয়ের হাজিরা এড়িয়েছেন। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় তলব এড়িয়ে কিছুতেই যাতে এসএসকেমে না যেতে পারেন অভিযুক্ত নেতারা, তার জন্য পার্থ ইস্যুতে আগেই প্রস্তুতি নিয়েছিল সিবিআই। তারপরেই হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, এখন আর চাইলেই এসএসকেএমের উডবার্ন বিভাগে ভর্তি হওয়া যাবে না। আর এবার তাই আর এসএসকেএমে ভর্তি হতে পারেননি অনুব্রত। 

  • Cattle Smuggling Case: অনুব্রত, তাঁর ঘনিষ্ঠদের নথিভুক্ত সম্পত্তি ঠিক কত? জানলে চোখ কপালে উঠবে

    Cattle Smuggling Case: অনুব্রত, তাঁর ঘনিষ্ঠদের নথিভুক্ত সম্পত্তি ঠিক কত? জানলে চোখ কপালে উঠবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় (Cattle smuggling Case) সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandol)। তাঁর নামে বেনামে থাকা প্রচুর সম্পত্তির হদিশও পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা। এবার পেল রেজিস্টার্ড সম্পত্তির হদিশ। অনুব্রত তো বটেই, তাঁর কন্যা এবং প্রয়াত স্ত্রী ছাড়াও অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের সম্পত্তির পরিমাণ দেখলেও চোখ কপালে উঠতে বাধ্য।

    গরু পাচারকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত। গ্রেফতার করা হয়েছে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ সায়গল হোসেনকেও। এঁদের নামেই মিলেছে বিপুল পরিমাণ নথিভুক্ত সম্পত্তির হদিশ। অনুব্রতের পরিবার ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সব মিলিয়ে ওই সম্পত্তির পরিমাণ ১৬২টি। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রতর একার নামেই রয়েছে ২৪টি সম্পত্তি। তাঁর মেয়ের সম্পত্তির পরিমাণ তাঁর চেয়েও বেশি, ২৬টি। অনুব্রতর প্রয়াত স্ত্রী ছবির নামে রয়েছে ১২টি সম্পত্তি। সব মিলিয়ে মণ্ডল পরিবারের নথিভুক্ত সম্পত্তির পরিমাণ ৬২টি।

    অনুব্রতর দেহরক্ষী ছিলেন সায়গল হোসেন (Saigal Hossain)। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ দেখলেও চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড়। সায়গলের নথিভুক্ত সম্পত্তির পরিমাণ ৪৭টি। নথিভুক্ত সম্পত্তির বিচারে কম যান না বোলপুর পুরসভার কর্মী অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েনও (Bidyut Baran Gayen)। তাঁর নামে রয়েছে ৩২টি সম্পত্তি। তাঁর স্ত্রী মহুয়ার নামেও রয়েছে ২টি। অর্থাৎ এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী গায়েন পরিবারের নথিভুক্ত সম্পত্তির পরিমাণ ৩৪টি। অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কমলকান্তি ঘোষের সম্পত্তির পরিমাণও নেহাত কম নয়। কমল এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামেও রয়েছে ১৮টি নথিভুক্ত সম্পত্তি।

    আরও পড়ুন : বীরভূমে ১৭টি চালকলে ঢুকেছে গরু পাচারের টাকা? কেষ্টর যোগসূত্রে তদন্তে ইডি-সিবিআই

    বুধবারই রাজ্যের চার জায়গায় হানা দিয়েছে সিবিআই। গরু পাচার মামলায় এদিনও গ্রেফতার করা হয়েছে অনুব্রতর এক ঘনিষ্ঠকে। তিনি বোলপুর পুরসভার কাউন্সিলর তৃণমূলের বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে মনু। জেলায় তিনি অনুব্রতর ছায়াসঙ্গী হিসেবেই পরিচিত। আয়-ব্যয় সংক্রান্ত নথি যাচাই করে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। অসঙ্গতি মেলায় প্রথমে আটক ও পরে গ্রেফতার করা হয় অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিশ্বজ্যোতিকে। এদিন অনুব্রতর হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারির বাড়িতেও তল্লাশি চালায় সিবিআই। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Cattle Smuggling: গরু পাচার মামলায় বিপুল সম্পত্তির হদিশ অনুব্রতর? আদালতে তথ্য দিল সিবিআই

    Cattle Smuggling: গরু পাচার মামলায় বিপুল সম্পত্তির হদিশ অনুব্রতর? আদালতে তথ্য দিল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ। শুক্রবার সিবিআই (CBI) আদালতে তোলা হয় সায়গল হোসেনকে। তখনই অনুব্রতর বিপুল সম্পত্তির কথা বিচারককে জানান সিবিআইয়ের আইনজীবী। সিবিআই সূত্রে খবর, এদিন ৪৫টি জমির দলিল জমা দেওয়া হয়েছে আদালতে। সেগুলি সবই অনুব্রত, তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের নামে। 

    গরু পাচারকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে অনুব্রতের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে। অনুব্রত তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। সূত্রের খবর, এদিন যে জমিগুলির দলিল আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে সেগুলি অনুব্রত এবং তাঁর মেয়ে ও প্রয়াত স্ত্রীর নামে রয়েছে। সিবিআইয়ের দাবি, জমিগুলি কেনা হয়েছে ২০১৫ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে। যার অর্থ, সায়গলের যে সময় সম্পত্তি কেনাবেচার হদিশ মিলেছে, সেই সময়ই জমি কেনা হয়েছে অনুব্রতর নামেও। যদিও সায়গলের আইনজীবীর দাবি, তাঁরা এ ধরণের সম্পত্তির হিসাব সম্পর্কে কিছু জানেন না। এ ধরণের জমির দলিল আদালতে জমা পড়েছে কিনা, তাও জানা নেই। সায়গলের আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা বলেন, গরু পাচার একটি স্মাগলিং কেস। এই কেসে এখনও পর্যন্ত কোনও স্মাগলার গ্রেফতার হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও কাস্টমস অফিসারও গ্রেফতার হয়নি। কোনও বিএসএফ অফিসারও গ্রেফতার হয়নি। গরু পাচার হয়েছে বিহার, উত্তরপ্রদেশ হয়ে বাংলাদেশে। অন্য রাজ্যের কোনও পুলিশ বা অন্য কেউ গ্রেফতার হয়নি। যে দেশে এই গরুপাচার হয়েছে বলে বলা হচ্ছে, সেদেশেও এই ঘটনা ঘটেছিল কিনা তার তদন্ত হয়নি। হঠাৎ করেই বীরভূমকে টার্গেট করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের পুলিশকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কেন্দ্রের এই এজেন্সি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে এই কাজ করছে।

    আরও পড়ুন : গরু পাচারকাণ্ডে সিবিআই দফতরে অনুব্রত মণ্ডল, কী বললেন তৃণমূল নেতা?

    এদিকে, এদিন সিবিআই আইনজীবী রাকেশ কুমার ফের সায়গলের প্রভাবশালী তত্ত্ব তুলে তার জামিনের বিরোধিতা করেন। দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শেষে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী সায়গলের জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন। তাঁকে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ২২ জুলাই।

    গত ১০ জুন সায়গলকে প্রথম আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয়। সেদিন সিবিআই সাতদিনের হেফাজতে নেয় তাকে। এরপর ফের ১৭ জুন সিবিআই আদালতে নিয়ে আসা হয় তাকে। সেদিনও বিচারক জামিন নাকচ করে সাতদিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন। ২৪ জুন ফের আসানসোল সিবিআই আদালতে নিয়ে আসা হয় সায়গলকে। সেদিন সায়গলের জেল হেফাজত হয়। এদিন ফের তোলা হয় আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে।

    প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় ধৃত সায়গল তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী। সিবিআইয়ের দাবি, তার কাছেই গরু পাচার মামলার অনেক তথ্য রয়েছে। সিবিআই সায়গলকে একাধিকবার নিজাম প্যালেসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। সায়গলের বক্তব্যে অসঙ্গতি থাকায় পরে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। কেবল সায়গল নয়, এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে এনামুল হক ও বিএসএফের কমান্ডান্ট সতীশ কুমারকে। এই মুহূর্তে তাঁরা শর্ত সাপেক্ষে জামিনে মুক্ত। তবে মামলার প্রধান অভিযুক্ত বিনয় মিশ্র এখনও পলাতক। যদিও তাঁর ভাই বিকাশকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই।

  • Saigal Hossain: সায়গলকে ঘিরে থাকতেন ১৪ ‘ভূত’, জানেন কি তাঁরা কারা?

    Saigal Hossain: সায়গলকে ঘিরে থাকতেন ১৪ ‘ভূত’, জানেন কি তাঁরা কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দেহরক্ষী পুলিশ কনস্টেবল সায়গল হোসেনের (Saigal Hossain) সাম্রাজ্যে হানা দিয়ে কার্যত চক্ষু চড়কগাছ তদন্তকারীদের। সায়গলের নামি-বেনামি সম্পত্তির হিসাব কষে কয়েকশো কোটি টাকার হদিশ মিলেছে। তার মধ্যে ৬০টি জমির ডিড মিলেছে শুধু ডোমকলেই। সিবিআই (CBI) তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, সায়গলকে ঘিরে অন্তত ১৪ জনের সন্ধান মিলেছে, যাঁরা তোলাবাজির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এই ১৪ জনের গ্যাং ধরা পড়লেই আরও কয়েকশো কোটি টাকার হদিশ মিলবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

    সিবিআই সূত্রের খবর, সায়গলের সাম্রাজ্য ছড়িয়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি জেলায়। তাঁর সঙ্গতকারীদের মধ্যে ডোমকলের ব্রিজ মোড়ের বাসিন্দা এক ব্যক্তিকে নজরে রাখা হয়েছে। জমির কাগজ, সোনাদানা বা নগদের বিস্তারিত বিবরণ তাঁর কাছে আছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। ডোমকলের রসুলপুর, ডোমকল বিডিও মোড়, ডোমকলের ভাদুরিয়া পাড়ার আরও ছয় যুবকও রয়েছে তদন্তকারীদের নজরে।

    আরও পড়ুন: কেন গ্রেফতার অনুব্রতর দেহরক্ষী, এত সম্পত্তি হল কীভাবে?

    জানা যাচ্ছে, দুবরাজপুরের দুই ব্যক্তি, সিউড়ির হাটজানবাজারের এক যুব তৃণমূল নেতা, ইলামবাজারের দুই তৃণমূল নেতা, রানিনগর শেখ পাড়া এবং ইসলামপুরের নাজিরপুরের দুই যুবকও ছিলেন সায়গল সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রক। তদন্তকারীদের দাবি, এই ১৪ জন তৃণমূল নেতা ও ব্যবসায়ীর মাধ্যমেই সায়গল অপারেট করত। গ্রেফতারির পর এঁদের অনেকেই এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছেন। তবে আজ না হয় কাল গরু, কয়লা, পাথর, বালির সাম্রাজ্যে হানা দেওয়া হলেই এরা ধরা পড়বেন বলে জানাচ্ছেন তদন্তকারীরা।

    এদের মধ্যে দু-এক জন ইতিমধ্যেই তদন্তে সহযোগিতাও করছেন। সেই কারণেই সায়গলের ৬০টির বেশি জমির ডিড, ছটি বাড়ি-ফ্ল্যাট, পেট্রল পাম্প, রিসর্ট, ডাম্পার, অজস্র মোটরবাইক, চারচাকা, সোনা, নগদ উদ্ধার হয়েছে। দ্রুত আরও সম্পত্তি উদ্ধার হতে চলেছে বলে তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন।

    আরও পড়ুন: ফের সাতদিনের সিবিআই হেফাজতে অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন

    তাঁদের অনেকের প্রশ্ন, যদি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী এক পুলিশ কনস্টেবলের কাছ থেকেই এত টাকা-সম্পত্তি উদ্ধার হয়, তা হলে আরও বড় চাঁইরা ধরা পড়লে কী পরিমাণ সম্পত্তি পাওয়া যাবে। গরুপাচার (Cattle smuggling) চক্রে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ গ্রেফতারি সামনের দিনে হতে চলেছে বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছে।

  • CBI Summons Anubrata: ফের গরুপাচার মামলায় অনুব্রতকে তলব সিবিআইয়ের, হাজির হবেন কেষ্ট?

    CBI Summons Anubrata: ফের গরুপাচার মামলায় অনুব্রতকে তলব সিবিআইয়ের, হাজির হবেন কেষ্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার-কাণ্ডে (Cattle Smuggling) সোমবার অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) ফের তলব করল সিবিআই (CBI)।  বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতিকে সকাল ১১টার মধ্যে নিজাম প্যালেসে (Nizam Palace) হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

    এর আগে, গরুপাচার মামলায় ৬ বার সিবিআইয়ের তলব পেয়েও হাজিরা এড়ান অনুব্রত মণ্ডল। শেষে ১৯ মে প্রথমবার এই মামলায় সিবিআইয়ের মুখোমুখি হন তিনি। সিবিআইয়ের দুর্নীতিদমন শাখা (Anti Corruption Branch) তাঁকে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে। বুকে ব্যথা অনুভব করায় সেখান থেকে সরাসরি অনুব্রত চলে যান এসএসকেএম-এ (SSKM)। 

    অনুব্রত মণ্ডলের আয়করের নথি, সম্পত্তির খতিয়ান ও ব্যাংকের নথি চেয়ে পাঠায় তদন্তকারী সংস্থা। তা আইনজীবি মারফত জমাও দেন তিনি। সিবিআই সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডল যে নথি জমা দেন, তা খতিয়ে দেখা হয়। আয়কর দফতরের কাছেও নথি চেয়ে পাঠায় তারা। গরু পাচার কাণ্ডে ধৃত কেষ্টর দীর্ঘদিনের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, তাঁর কাছ থেকেই সিবিআই জানতে পারে কেরিম খান ও টুডু মণ্ডলের নাম। তদন্তকারী সংস্থা জানতে পারে, সায়গলের ব্যবসা দেখাশোনা করতেন কেরিম।

    আরও পড়ুন: অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ কেরিম খান, টুলু মণ্ডলের বাড়িতে যৌথ অভিযানে ইডি-সিবিআই

    এই তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার কয়লা ও গরুপাচার কাণ্ডে বুধবার বীরভূমের একাধিক জায়গা তল্লাশি চালায় সিবিআই ও ইডি-র যৌথ দল। অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল (TMC) নেতা তথা বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খান, কেরিম খানের ছেলের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী জিয়াউল হক এবং কেষ্টর কাছের এক পাথর ব্যবসায়ী টুডু মণ্ডলের (Stone trader Tudu Mondal) বাড়িতে সকাল সকাল হানা দেয় সিবিআই। 

    পাশাপাশি, তল্লাশি চালানো হয় কেরিম খানের ডান হাত হিসাবে পরিচিত তৃণমূল নেতা তথা নানুরের আটকুলা গ্রামে চালের আড়তের মালিক মুক্তার শেখের বাড়িতেও। সূত্রের খবর, তল্লাশিতে কয়েক লক্ষ টাকা সহ একাধিক নথি পান তদন্তকারীরা। এমনকি প্রচুর নথি পেয়েছেন তাঁরা। আর এরপরেই সেগুলি খতিয়ে দেখা হয়। আর সেই সমস্ত তথ্যের ভিত্তিতেই অনুব্রত মন্ডলকে সিবিআই জেরা করতে চায় বলে জানা যাচ্ছে।

    এদিকে, আবারও জামিন নাকচ হল সায়গল হোসেনের। শুক্রবার শুনানির শেষে আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী সায়গলকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। আগামী ১৮ অগাস্ট আবার আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হবে বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীকে। গত ৯ জুন তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। অভিযোগ, গরু পাচারের টাকা লগ্নির ক্ষেত্রে সায়গল মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছিলেন। 

    আরও পড়ুন: ঘনিষ্ঠতা! তিনি ভালোভাবে চেনেনই না অর্পিতাকে, পার্থর কথা শুনে অবাক ইডি

LinkedIn
Share