Tag: Central Armed Police Force

Central Armed Police Force

  • Paramilitary Personnel: গুজরাটে ভোটের দায়িত্বে থাকা জওয়ানের গুলিতে নিহত ২ সহকর্মী, আহত ২

    Paramilitary Personnel: গুজরাটে ভোটের দায়িত্বে থাকা জওয়ানের গুলিতে নিহত ২ সহকর্মী, আহত ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনের মাসেই গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচন। আর তার আগেই ঘটে গেল এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। সহকর্মীর গুলিতে মৃত্যু হল প্যারামিলিটারি দুই জওয়ানের (Paramilitary Personnel)। আহত হয়েছেন আরও দুজন। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের পোরবন্দরের কাছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গুজরাটে ভোটের দায়িত্বে নিযুক্ত ছিলেন ওই জওয়ানরা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, নিজেদের মধ্যে বচসার জেরেই একে অপরকে লক্ষ্য করে একে ৪৭ থেকে গুলি চালিয়ে দেয়। আর তাতেই ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় দুজনের, আহত দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    নিহত দুই প্যারামিলিটারি জওয়ান

    গুজরাট পোরবন্দরের কালেক্টর এবং জেলা নির্বাচনী অফিসার এ এম শর্মা জানান, ঘটনার সময় ওই জওয়ানরা (Paramilitary Personnel) কর্তব্যরত ছিলেন না। নিজেদের মধ্যে বচসা চলাকালীন আচমকাই এক জওয়ানের হাতে থাকা রাইফেল থেকে গুলি চালানো হয়। নিহত ও আহত জওয়ানরা প্রত্যেকে মণিপুরের ইন্ডিয়া রিজার্ভ ব্যাটেলিয়নের (IRB) সদস্য। গুজরাটে নির্বাচনের আগে সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্সের (CAPF) পাশাপাশি আইআরবি-তেও মোতায়েন করা হয়েছে। কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এ এম শর্মা।

    আরও পড়ুন: ”২০০২ সালে দাঙ্গাবাজরা শিক্ষা পেয়েছিল, রাজ্যে শান্তি এনেছে বিজেপি”, গুজরাটে শাহ

    আহত জওয়ানদের পরিস্থিতি

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে একজনের পায়ে ও অপরজনের পেটে গুলি লেগেছে। তাঁদের প্রথমে পোরবন্দর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে জামনগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। যাঁর পেটে গুলি লেগেছে, তাঁর অবস্থা গুরুতর, আর একজন অপেক্ষাকৃত ভালো রয়েছেন। আর যে দুই জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের নাম খোইবা সিং ও জিতেন্দ্র সিং। এছাড়া আহত হয়েছেন চোরাজিৎ ও রোহিকানা। তাঁরা প্রত্যেকেই মণিপুরের বাসিন্দা (Paramilitary Personnel)।

    প্রসঙ্গত, গুজরাটে আগামী ডিসেম্বর মাসের প্রথমের দিকে রয়েছে ভোট। ১ ও ৫ তারিখ গুজরাটে ভোট রয়েছে। যে পোরবন্দর এলাকায় এই গুলি চালনার ঘটনা ঘটেছে সেখানে ১ ডিসেম্বর ছিল ভোট। পোরবন্দর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে ওই জওয়ানরা টুকড়া গোসা গ্রামে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

    এই ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে প্রশাসন। কিছুদিন বাকি নির্বাচনের। তার আগেই এমন ভয়াবহ ঘটনা, যার ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনাটি বচসার জেরে হলেও ঠিক কী কারণে তাঁদের (Paramilitary Personnel) মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়েছিল, তা এখনও স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। তাই এই বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

  • Trishakti corps: সমন্বয় বাড়াতে শিলিগুড়িতে কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে যৌথ মহড়া সেনার

    Trishakti corps: সমন্বয় বাড়াতে শিলিগুড়িতে কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে যৌথ মহড়া সেনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামরিক মহড়া চাক্ষুষ করলেন উত্তরবঙ্গের (North Bengal) আমজনতা। শিলিগুড়ির (Siliguri) কাছে তিস্তা ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে (Teesta field firing range) সম্প্রতি হয়ে গেল ওই মহড়া। ভারতীয় সেনার (Indian Army) ত্রিশক্তি কোরের (Trishakti corps) সঙ্গে ওই মহড়ায় যৌথভাবে অংশ নেয় কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী (CAPF)। সামরিক ও পুলিশ বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি ও সক্ষমতা প্রদর্শনের উদ্দেশ্যেই আয়োজন করা হয়েছিল এই বিশেষ মহড়ার। যার পোশাকি নাম “কৃপাণ শক্তি” (EX KRIPAN SHAKTI)।

    যৌথবাহিনীর ওই মহড়ায় প্রথমে সক্ষমতা প্রদর্শন করে ত্রিশক্তি কোরের সদস্যরা। লক্ষ্যবস্তুতে তাঁরা কত দ্রুত আঘাত হানতে পারেন, তারই প্রমাণ দেন এই সেনা জওয়ানরা। লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষিপ্র গতিতে আঘাত হানতে পারার কারণেই এই বাহিনীর এত নামডাক। এদিন এই বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্নরকমের সামরিক হাতিয়ার ও সরঞ্জাম ব্যবহার করে দেখান। বন্দুক, মর্টার, ইনফ্যান্ট্রি কমব্যাট ভেহিক্যালস, হেলিকপ্টার সহ বিভিন্ন সেনা-সরঞ্জাম। কেবল শব্দ শুনেই কীভাবে লক্ষ্য বস্তুতে আঘাত হানতে হয় (sensor to shooter), এদিন মহড়া হয়েছে তারও।

    এদিনের এই মহড়ায় অংশ নিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীর (Central Armed Police Forces) জওয়ানরাও। দক্ষতার প্রমাণ দেন এই জওয়ানরাও। বিপদ ঘনালে এই দুই বাহিনী যে ক্ষিপ্রতার সঙ্গে তার মোকাবিলা করতে প্রস্তুত, এদিন মূলত মহড়া হয়ে গেল তারই।

    মহড়া শেষে আয়োজন করা হয়েছিল অস্ত্রশস্ত্র প্রদর্শনের। আমজনতাও তিস্তা রেঞ্জে গিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিভিন্ন হাতিয়ার চাক্ষুষ করেন। মহড়ার সময় উপস্থিত ছিলেন সেনা লেফটেন্যান্ট জেনারেল তরুণ কুমার আইচ, ত্রিশক্তি কোরের জেনারেল কমান্ডিং অফিসার সহ দস্থ সেনাকর্তারা। কর্তাদের পাশাপাশি মহড়া চাক্ষুষ করেছেন বিএসএফ (BSF), সশস্ত্র সীমা বল (SSB), স্থানীয় সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের লোকজন। উপস্থিত ছিলেন স্কুল-কলেজের এনসিসি (NCC) ক্যাডেটরাও।

    সেনার এক মুখপাত্র জানান, মহড়ার মূল লক্ষ্য ছিল বাহিনীর বিভিন্ন বিভাগের জওয়ানদের মনোবল বাড়ানো। বিদেশি যে কোনও শক্তির মোকাবিলা করতে আমাদের সেনা যে প্রস্তুত, সেই বার্তাও দেওয়া হয়।

     

LinkedIn
Share