Tag: Central Team

Central Team

  • Post Poll Violence: “পলিটিক্যাল ট্যুরিজম নয়, মমতাকে জাগাতে এসেছি”, বলেন বিপ্লব দেব

    Post Poll Violence: “পলিটিক্যাল ট্যুরিজম নয়, মমতাকে জাগাতে এসেছি”, বলেন বিপ্লব দেব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনোত্তর হিংসায় আক্রান্তদের নিয়ে রাজভবনে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার তিনি যখন রাজভবনে, তখন হিংসার (Post Poll Violence) অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এল বিজেপির কেন্দ্রীয় দল। মাহেশ্বরী সদনে ঘরছাড়া কর্মী-সমর্থকদের অভিযোগ শোনেন কেন্দ্রীয় দলের প্রতিনিধিরা। বিজেপির কেন্দ্রীয় দলের কাছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নালিশ করেন কয়েকজন ঘরছাড়া।

    কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল (Post Poll Violence)

    কেন্দ্রীয় এই দলটি তৈরি করে দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এই দলে রয়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ বিপ্লব দেব, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ, উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন ডিজিপি তথা রাজ্যসভার সাংসদ ব্রিজলাল এবং বিজেপি সাংসদ কবিতা পতিদার। বিমানবন্দর থেকে (Post Poll Violence) তাঁরা সটান চলে আসেন মাহেশ্বরী সদনে। কেন্দ্রীয় টিমের সঙ্গে সমন্বয়কারী হিসেবে রাজ্য নেতৃত্বের তরফে ছিলেন অগ্নিমিত্রা পাল, তমোঘ্ন ঘোষ। কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা ঘরছাড়াদের জানান, শিশু থেকে মহিলা কাউকে ছাড়ছে না তৃণমূলের গুন্ডারা।

    নির্বাচনোত্তর হিংসা

    নির্বাচনোত্তর হিংসা নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ। তিনি বলেন, “মমতাদি আপনার রাজ্যে কী চলছে যে মানুষ ভোট দেওয়ার পর ঘরে যেতে পারছেন না? আমাদের এক কার্যকর্তার ভাইকে খুন করে ফেলেছে। এখন তাঁকেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অনেক কর্মীরা রয়েছেন, তাঁরা ইদ পালন করতে যেতে পারছেন না। মমতাদি আপনার রাজ্যে কী চলছে?”

    আরও পড়ুন: “মুখ্যমন্ত্রীর জন্য রাজভবনের দরজা বন্ধ, বলেছেন রাজ্যপাল”, দাবি শুভেন্দুর

    এদিকে, বিজেপির এই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল যাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। ডায়মন্ড হারবার ও জয়নগরে যাওয়ার কথা তাদের। মঙ্গলবার ওই দলের সদস্যরা যাবেন কোচবিহারে। দিল্লি ফিরে তাঁরা রিপোর্ট দেবেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতিকে। বিপ্লব বলেন, “পলিটিক্যাল ট্যুরিজম নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জাগাতে এসেছি।” তিনি বলেন, “গত ১২-১৩ বছর ধরে তাঁর ঘুমই ভাঙছে না।” ত্রিপুরার প্রাক্তন এই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বিজেপির লিগ্যাল সেল ঘরছাড়াদের পাশে থাকবে। তবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়টি রাজ্য সরকারের এক্তিয়ারভুক্ত।” তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার যদি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করে, তাহলে দিল্লি থেকে বিজেপির প্রতিনিধিদলের বাংলায় আসার প্রয়োজন হয় না (Post Poll Violence)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sandeshkhali: ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকেও সন্দেশখালি ঢুকতে বাধা, ধস্তাধস্তি, ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করল পুলিশ

    Sandeshkhali: ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকেও সন্দেশখালি ঢুকতে বাধা, ধস্তাধস্তি, ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করল পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি (Sandeshkhali) যাওয়ার পথে এবার বাধাপ্রাপ্ত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। বাধা দিল পুলিশ। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সন্দেশখালি যাচ্ছিলেন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যরা। সন্দেশখালি যাওয়ার পথে ভোজেরহাটেই কেন্দ্রের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে আটকে দিল পুলিশ। ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। সেই যুক্তি দেখিয়ে বাধা দেওয়া হয় পুলিশের তরফে। ডিসি সৈকত ঘোষ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যদের অনুরোধ করে জানান, এই মুহূর্তে সন্দেশখালির যা পরিস্থিতি তাতে সেখানে এখন যাওয়া সম্ভব নয়। আইন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। কিন্তু, টিমের সদস্যরা জানাচ্ছেন, তাঁরা দু’জন যাবেন সেখানে। যদিও পরে পুলিশ কেন্দ্রীয় টিমের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করে।

    কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয় (Sandeshkhali)

    ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে আটকানোর জন্য রাজ্য পুলিশেরক পক্ষ থেকে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। ভোজেরহাটে ইস্ট ডিভিশনের ডিসি আরএস বিলাল ও ভাঙড় ডিভিশনের ডিসি সৈকত ঘোষের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী উপস্থিত ছিলেন। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় টিমে ৬ জন সদস্য রয়েছেন। টিমে রয়েছেন পাটনা হাইকোটের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি নরসিমা রেড্ডি, রজপাল সিং, ওপপ্রকাশ ব্যাস, সঞ্জীব নায়ক, ভাবনা বাজাজ এবং চারু আলি খান্না। এই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রাজ্যের বেশ কয়েকজন আইনজীবী সন্দেশখালি (Sandeshkhali) এলাকায় যাবেন বলেই প্রাথমিক ভাবে জানা যায়। আইনজীবী তথা এনসিড্বলু-র  সদস্য চারু আলি খান্না জানান বলেন, “আমরা পুলিশকে বললাম দুজন যাব। বাংলার পুলিশ দুই মহিলাকে ভয় পাচ্ছে? কীসের ভয় পাচ্ছে ওরা? আমি কী করব ওইখানে গিয়ে। আমি তো ফিরব না। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় টিমের মহিলাদের আটক করার জন্য গাড়িতে তুলছিল পুলিশ। সেই সময় বাধা হয় সিআরপিএফ এর জওয়ানের সঙ্গে। তারা বাধা দেয়। চলে ধস্তাধস্তি।

    প্রতিনিধি দলকে গ্রেফতার

    ভাঙড় ডিভিশনের ডিসি সৈকত ঘোষ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে বলেন,”স্যর আপনাদের আটক করব? আমরা পুলিশের পক্ষ থেকে আপনাদের অনুরোধ করছি ফিরে যাওয়ার জন্য।” পাল্টা প্রতিনিধি দলের এক সদস্য বলেন, “ওইখানে ১৪৪ ধারা জারি। এখানে তো ১৪৪ ধারা নেই। যেতে দিচ্ছেন না। আমাদের বারণ আছে।”১৪৪ ধারার যুক্তি দিয়ে তথ্য অনুসন্ধানকারী দলকে আটকাল পুলিশ। পরে, পুলিশ কেন্দ্রীয় টিমের ৬ জন সদস্যকে গ্রেফতার করে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালির পথে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় টিমকে বাধা পুলিশের, বচসা-ধস্তাধস্তি

    Sandeshkhali: সন্দেশখালির পথে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় টিমকে বাধা পুলিশের, বচসা-ধস্তাধস্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার সন্দেশখালির (Sandeshkhali) পথে কেন্দ্রীয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। নিরাপত্তার স্বার্থে নস্কর পাড়াতেই আটকে দেওয়া হয় তাদের। তারই প্রতিবাদে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার কলকাতায় আসেন কেন্দ্রীয় টিমের সদস্যরা। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার নির্দেশে ইতিমধ্যেই গঠিত হয়েছে ছয় সদস্যের বিশেষ এই টিম। এই টিমের এদিন সন্দেশখালিতে পৌঁছে পরিস্থিতি অনুসন্ধান করার কথা ছিল। কিন্তু রামপুরের কাছেই নস্কর পাড়ায় আটকে দেওয়া হয় তাদের।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Sandeshkhali)

    গত সপ্তাহে দফায় দফায় অশান্তির ঘটনা ঘটেছিল সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali)। সেসময় স্থানীয় মহিলাদের একাংশ দাবি করেছিলেন, দিনের পর দিন তাঁদের ওপর যৌন নির্যাতন হয়েছে।  মহিলাদের ওপর সেই নির্যাতনের অভিযোগ সংবাদ মাধ্যমে দফায় দফায় উঠে এসেছে। সেখানে সংসদীয় দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার গড়ে দেওয়া ওই উচ্চপর্যায়ের অনুসন্ধান কমিটি শুক্রবার সন্দেশখালি রওনা দেয়। প্রতিনিধিদলে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী ও প্রতিমা ভৌমিক, তিন সাংসদ সুনীতা দুগ্গল, কবিতা পাতিদার, সংগীতা যাদব ও রাজ্যসভা সাংসদ ও উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন ডিজিপি ব্রিজলাল। তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক ও বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। ঠিক ছিল,এই প্রতিনিধিদল সন্দেশখালির মহিলা ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন। তাঁদের অভিযোগের কথা শুনবেন। এরপর জেপি নাড্ডার হাতে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা তাঁদের রিপোর্ট তুলে দেবেন। কিন্তু, শুক্রবার ওই কেন্দ্রীয় টিমকে সন্দেশখালি যাওয়ার পথে রামপুর নস্করপাড়ায় আটকে দেওয়া হয়। চারজনের প্রতিনিধিকে যাওয়ার অনুমতি চাওয়া হয়। কিন্তু, পুলিশ অনুমতি দেয়নি। এরপরই পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় টিমের সদস্যদের প্রথম বচসা হয়। পরে, ধস্তাধস্তি হয়। সেখানেই অবস্থান বিক্ষোভে বসেন সেন্ট্রাল টিমের সদস্যরা।

    পুলিশি বাধা নিয়ে কী বললেন কেন্দ্রীয় টিমের সদস্য?

    কেন্দ্রীয় টিমের সদস্য তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী বলেন, পুলিশের যে ভূমিকা আমরা এখানে এসে দেখছি, সেই সক্রিয়তা শাহজাহানকে গ্রেফতারির ক্ষেত্রে পুলিশ দেখাত, তাহলে এই সময় আর আসত না। কেন্দ্রীয় টিমের সঙ্গে এসেছেন বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। তিনি বলেন, গায়ের জোরে আটকানো হচ্ছে। তৃণমূলের মন্ত্রীরা যেতে পারবেন। আর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা যেতে পারবে না। এটাই হচ্ছে বাংলা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Central Team: কনকনে শীতে খালি পায়ে পড়ুয়ারা, স্কুলে গিয়ে দেখল কেন্দ্রীয় দল

    Central Team: কনকনে শীতে খালি পায়ে পড়ুয়ারা, স্কুলে গিয়ে দেখল কেন্দ্রীয় দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পড়ুয়াদের পোশাক ও জুতো বিনামূল্যে দেয় রাজ্য। অথচ জঙ্গলমহলের দুই জেলা বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার স্কুলের পড়ুয়ারা বঞ্চিত এই পরিষেবা থেকে। কনকনে শীতে খালি পায়ে স্কুলে আসছেন পড়ুয়ারা। আদিবাসী প্রধান এই দুই জেলায় শিক্ষার পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে এসে কেন্দ্রীয় দলের (Central Team) কাছে এই খামতি সামনে আসে।

    পর্যাপ্ত জুতো না আসায় বিলি করা হয়নি, সাফাই কর্তৃপক্ষের

    কেন্দ্রের একটি দল (Central Team) সম্প্রতি বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করছে। তাদের রিপোর্টে দাবি, বাঁকুড়ার তালড্যাংরার মুগাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশকে খালি পায়ে স্কুলে যেতে দেখা গিয়েছে। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪৩ জন পড়ুয়ার বেশিরভাগেরই পায়ে জুতো নেই। অথচ পড়ুয়াদের পোশাক ও জুতো বিনামূল্যে দেয় রাজ্য। তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্র জয় ঘোষের বক্তব্য, প্রতি বছর পোশাক পেলেও জুতো একবারও পাইনি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুকুমার ভৌমিক এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক (তালড্যাংরা পশ্চিম চক্র) নন্দিতা সিংহ বলেন, দু’বছর অন্তর জুতো বিলি হয়। এ বার পর্যাপ্ত জুতো আসেনি বলে বিলি করা হয়নি। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ২ লক্ষ ৩৪ হাজার পড়ুয়ার জন্য জুতো চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। এখনও আসেনি।

    শিক্ষার পরিকাঠামো দেখে ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় দল (Central Team)

    পরিদর্শক দলের নেতৃত্বে থাকা কেন্দ্রের উচ্চশিক্ষা দফতরের অধিকর্তা এম এল সোনির আরও অভিযোগ, বাঁকুড়ার সিমলাপালের লক্ষ্মীসাগর এলাকার একটি স্কুলে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে কেনা কম্পিউটার পড়ে রয়েছে। বেশিরভাগ স্কুলে শৌচালয় অপরিষ্কার। বহু স্কুলে খোলা আকাশের নীচেই মিড- ডে মিল রান্না করা হচ্ছে। এক কথায় শিক্ষার পরিকাঠামো বেহাল অবস্থা দেখে ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।

    জুতো দেওয়ার আশ্বাস কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর

    কেন্দ্রীয় দলটির (Central Team) রিপোর্টের প্রেক্ষিতে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, কেন্দ্রীয় দল জানে না, রাজ্য সব সরকার পোষিত স্কুলে পোশাক ও জুতো দেয়। যদিও এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেন, মকর সংক্রান্তির মধ্যে পড়ুয়ারা জুতো না পেলে আমি নিজেই তাদের জুতো দেব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: আবাস যোজনায় বাড়ি পিছু তৃণমূল নেতাদের দাবি ১০ হাজার টাকা! অভিযোগ শুনল কেন্দ্রীয় টিম

    Birbhum: আবাস যোজনায় বাড়ি পিছু তৃণমূল নেতাদের দাবি ১০ হাজার টাকা! অভিযোগ শুনল কেন্দ্রীয় টিম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবাস যোজনার দুর্নীতির তদন্ত করতে রাজ্যের একাধিক জেলায় পরিদর্শনে করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বীরভূম জেলায় গত কয়েকদিন ধরেই রয়েছে এই টিম। রবিবার বীরভূমের (Birbhum) বোলপুর-শ্রীনিকেতন ব্লকের সিয়ান মুলুক গ্রাম পঞ্চায়েতের ডিহিপাড়া এলাকা পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় টিমের সদস্যরা। পরিদর্শনে গিয়ে আবাস যোজনার বাড়ি করা নিয়ে নানা অভিযোগ শুনলেন তাঁরা।

    দিতে হয়েছে তৃণমূল নেতাদের টাকা (Birbhum)

    শনিবার বীরভূমের (Birbhum) সিউড়ি থেকে কেন্দ্রীয় দলটি বোলপুরে ফিরে আসে। এরপর দুই সদস্যের দল ডিহিপাড়ায় যায়। ২০১৮-১৯, ২০১৯-২০ ও ২০২১-২২-এই তিন অর্থবর্ষে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় তৈরি হওয়া বাড়িগুলি কাদের নামে এসেছিল, প্রাপকেরা সেই বাড়ি পেয়েছেন কি না, গ্রামবাসীরা বাড়ি তৈরির সম্পূর্ণ অর্থ পেয়েছেন কি না, বাড়িতে শৌচালায় আছে কি না, তা করে দিতে কোনও টাকা দিতে হয়েছে কি না-এমন নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে থাকেন কেন্দ্রীয় টিমের সদস্যরা। উপস্থিত ছিলেন বোলপুর-শ্রীনিকেতন ব্লকের বিডিও সত্যজিৎ বিশ্বাস, বোলপুর-শ্রীনিকেতন ব্লকের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নোডাল অফিসার তন্ময় পালিত-সহ বিভিন্ন সরকারি আধিকারিকেরা। এখানেই গ্রামবাসীদের একাংশ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের কাছে আবাস যোজনার বাড়ি না-পাওয়ার অভিযোগ করেন। একই সঙ্গে জানান, আবাস যোজনার বাড়ি করার সময়ে এলাকায় তৃণমূল নেতাদের টাকা দিতে হয়েছে। টাকার পরিমাণও তাঁরা বলে দেন। গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, আবাস যোজনা বাড়ি পাওয়ার জন্য প্রায় তাঁদের বাড়ি পিছু ১০,০০০ টাকা করে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের দিতে হয়েছে। এক উপভোক্তা বলেন, টাকা না দিলে বাড়ি হবে না বলেছিল। তাই বাধ্য হয়ে তখন আমরা বাড়ির জন্য টাকা দিয়েছি। এই বিষয়টি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে আমরা জানিয়েছি। জানা গিয়েছে, এর পর কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলটি বাহিরি পাঁচশোয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোট শিমুলিয়া গ্রামটিও পরিদর্শন করেন।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    সিয়ান মুলুক এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি শেখ আনউয়ারুল ইসলাম বলেন, আমি কিছু দিন আগে অঞ্চল সভাপতি দায়িত্বে এসেছি। আগে কী হয়েছে বলতে পারব না। তৃণমূলের জেলা কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, বিষয়টি আমা জানা নেই। তবে সত্যিই যদি এমন অভিযোগ থেকে থাকে তাহলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডল বলেন, গ্রামবাসীরা বাস্তবটাই তুলে ধরেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের কাছে। কারণ, তৃণমূল টাকা ছাড়া কোনও কাজই করে না। এটাই তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Central Team: আবাস যোজনায় দুর্নীতি! উপভোক্তাদের বাড়িতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল

    Central Team: আবাস যোজনায় দুর্নীতি! উপভোক্তাদের বাড়িতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি আবাস যোজনার ঘর পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও দুর্নীতি হয়েছে কি না সেই সব খতিয়ে দেখতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় এলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল (Central Team)। বালুরঘাট ব্লকের অমৃতখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কিছু এলাকা পরিদর্শন করেন তারা। মূলত কারা কারা ঘর পেয়েছে। তারা আসল ঘর প্রাপক কি না। ঘরের টাকা দিয়ে ঠিক মতো বাড়ি করা হয়েছে কিনা সেইসব সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। আগামী কয়েকদিন জেলায় থাকার কথা রয়েছে প্রতিনিধি দলের।

    কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল নিয়ে কী বললেন উপভোক্তারা? (Central Team)

    বারবারই বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছিল একশো দিনের কাজের মত সরকারি আবাস যোজনার ক্ষেত্রেও ব্যাপক দুর্নীতি করা হয়েছে। এমন অভিযোগেই কেন্দ্রের তরফে একশো দিনের কাজের ও সরকারি আবাস যোজনার টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েক মাস আগে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল একশো দিনের কাজ খতিয়ে দেখতে জেলায় এসেছিলেন। এবার সরকারি আবাস যোজনার ঘরের দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে জেলায় এলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। মোট দুজনের প্রতিনিধি দল আগামীকালও জেলার বিভিন্ন এলাকা খতিয়ে দেখবেন বলেই জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর। যদিও কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এনিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি। তবে সূত্রের খবর, অমৃতখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতে সরকারি আবাস যোজনার ঘরের ক্ষেত্রে তেমন কোনও অভিযোগ পাননি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল (Central Team)। বৃহস্পতিবার বিকেলে বালুরঘাট ব্লকের অমৃতখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কিছু এলাকা পরিদর্শন করেন তারা। পাশাপাশি বংশীহারী ব্লকের মহাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। এবিষয়ে অমৃতখন্ডের বাসিন্দা শিবনাথ হেমব্রম বলেন, আমাদের সরকারি বাড়ি দেখতে উপর থেকে লোক এসেছিল। আমাদের ছবি তুলল। নাম ও সরকারি বাড়ি নিয়ে অনেক কিছুই জিজ্ঞেস করল।

    পঞ্চায়েত প্রধান কী বললেন?

    এবিষয়ে অমৃতখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দেবদূত বর্মন বলেন,  আমার পঞ্চায়েত এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় সরকারি আবাস যোজনা ঘর ঘুরে দেখেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল (Central Team)। কোথাও কোন অভিযোগ পাননি। সঠিক ভাবেই সব জায়গায় কাজ হয়েছে। কেন্দ্র উদ্দেশ্যে প্রনোদিত ভাবেই বাংলার আবাস যোজনার ঘরের টাকা আটকে রেখেছে। এইভাবে বাংলার উন্নয়নকে দমিয়ে রাখা যাবে না।

    বিডিও-র কী বক্তব্য?

    এবিষয়ে বালুরঘাট ব্লকের বিডিও সম্বল ঝাঁ বলেন, বালুরঘাট ব্লকের অমৃতখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের কিছু এলাকা পরিদর্শন করেন ওই প্রতিনিধি দল। যারা ঘর পেয়েছে সেই সব বাড়িতে যান তারা। কথা বলেন ঘর প্রাপকদের সঙ্গে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Corruption: একশো দিনের প্রকল্পে দুর্নীতি! কাজ করেও মেলেনি টাকা, শুনলেন কেন্দ্রীয় টিম, কোথায় জানেন?

    Corruption: একশো দিনের প্রকল্পে দুর্নীতি! কাজ করেও মেলেনি টাকা, শুনলেন কেন্দ্রীয় টিম, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ দুর্নীতির (Corruption) অভিযোগ ছিল। সত্যতা যাচাই করতে রবিবার কেন্দ্রীয় টিমের প্রতিনিধিরা মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা-২ ব্লকে কাশীপুর এলাকায় যান। সেখানে গিয়ে জবকার্ডধারীদের কাছে অভিযোগ শুনে কেন্দ্রীয় টিমের প্রতিনিধিদের চক্ষু চড়কগাছ। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে জবকার্ডধারীদের দিয়ে দিনের পর দিন ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ করানো হয়েছে। কিন্তু, তাঁরা কেউ টাকা পাননি। আলাউদ্দিন শেখ নামে এক জবকার্ডধারী বলেন, পঞ্চায়েতের  পক্ষ থেকে ১০০ দিনের কাজ দেওয়া হয়। দিনের পর দিন আমরা কাজ করেছি। কিন্তু, টাকা পাইনি। পঞ্চায়েতের প্রধান, পঞ্চায়েত সদস্যের কাছে টাকার জন্য দরবার করেছি। কিন্তু, তাঁরা বলেছেন, কেন্দ্রীয় টিম এসে টাকা দেবে। তাই, এসেছি। মনোরমা মণ্ডল বলেন,  ১০০ দিনের কাজ করেছি। পঞ্চায়েত টাকা দেয়নি। কেন্দ্রীয় টিম এসেছে। তাঁদের কাছে আমরা সকলে নালিশ জানাতে এসেছি। আর এই এলাকায় কোনও যানবাহন নেই। রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে খুব সমস্যা হয়। কেন্দ্রীয় টিমের কাছে সেই অভিযোগও জানিয়েছি। কেন্দ্রীয় টিমের প্রতিনিধিরা কাশীপুর এলাকা পরিদর্শনের সময় এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখে পড়েন। কারণ, ১০০ দিনের প্রকল্পের কাজ করার পরও অধিকাংশ জবকার্ডধারী টাকা পাননি। ফলে, কেন্দ্রীয় টিম টাকা দেবে ভেবে নিয়ে তাঁরা ক্ষোভ উগরে দেন। পরে, কেন্দ্রীয় টিমের সদস্যরা এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে সমস্ত কিছু নথিভুক্ত করে নেন। এলাকার তাঁরা ছবি তাঁরা তুলে রাখেন।

    কেন বেলডাঙা-২ নম্বর ব্লক পরিদর্শনে কেন্দ্রীয় টিম? Corruption

    ১০০ দিনের প্রকল্পে বড়সড় দুর্নীতি (Corruption)  হয়েছে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা-২ ব্লকে। আর তার তদন্ত করতেই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল জেলায় আসেন। শনিবারই দুই সদস্যের ওই প্রতিনিধি  বেলডাঙা-২ ব্লক অফিসে যান। দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত তাঁরা ম্যারাথন বৈঠক করেন। সেখানে ১০০ দিনের প্রকল্পে যে সব দুর্নীতি (Corruption)  হয়েছে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এদিন কাশীপুর এলাকায় গিয়ে ১০০ দিনের প্রকল্পের সার্বিক পরিস্থিতি সরজমিনে তাঁরা খতিয়ে দেখেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Scam: তৃণমূলের মন্ত্রীর স্ত্রীও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত! কোথায় জানেন?

    Scam: তৃণমূলের মন্ত্রীর স্ত্রীও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ১০০ দিনের প্রকল্পে পুকুর না কেটেই টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ। বড়সড় এই দুর্নীতিতে (Scam) নাম জড়িয়েছে খোদ রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মনের স্ত্রী তথা পঞ্চায়েত প্রধান জ্যোৎস্না রানি বর্মনের। দলেরই এক নেতা এই অভিযোগ করেছিলেন। যা নিয়ে উত্তর দিনাজপুরে তৃণমূলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে। তবে, এখন আর এটা শুধু অভিযোগ নেই, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রমাণিত হতেই তাঁকে ৪ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তর দিনাজপুর জেলা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।  রায়গঞ্জ ব্লকের জগদীশপুর অঞ্চলের খাঁড়ি সরিয়াবাদ এলাকায় পুকুর খনন নিয়ে মন্ত্রীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির (Scam)  অভিযোগ ওঠে। অন্যদিকে, শনিবারই ১০০ দিনের প্রকল্পে দুর্নীতির (Scam)  অভিযোগের তদন্তে জেলায় এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা এদিন জেলার ইটাহার ব্লকে যান। সেখানে বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকা ঘুরে দেখেন। অনেক জবকার্ডধারীর সঙ্গে তাঁরা কথা বলেন।

    মন্ত্রীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে কী অভিযোগ রয়েছে? Scam

    একশো দিনের প্রকল্পে জগদীশপুর পঞ্চায়েতে ২১ টি পুকুর খনন করা হয়। তারজন্য প্রায় ২২ লক্ষ টাকা সরকারি অর্থ খরচ দেখানো হয়েছে। কিন্তু, বাস্তবে পুকুর না কেটেই টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। এই আর্থিক তছরূপের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যুক্ত রয়েছেন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মনের স্ত্রী জ্যোৎস্না রানি বর্মন। এমনই অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের  জগদীশপুর অঞ্চলের মাইনোরিটি সেলের সভাপতি মেহেতাব আলি। তিনি জেলা শাসক সহ জেলা প্রশাসনের পদস্থ কর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। প্রশাসন সেই অভিযোগের গুরুত্ব না দেওয়ায়, তিনি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন।  আদালত উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের কাছে তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেয়। জেলা প্রশাসন খাড়ি সরিয়াবাদ গ্রামের তিনটি পুকুর খননের তদন্ত করে আদালতে রিপোর্ট পেশ করেন। আদালত সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে পঞ্চায়েত প্রধানকে ৪ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

    তৃণমূলের  জগদীশপুর অঞ্চলের মাইনোরিটি সেলের সভাপতি মেহেতাব আলি বলেন, তিনটি পুকুর নয়, আরও ১৮টি পুকুরে দুর্নীতি (Scam)  হয়েছে। প্রশাসনের সব পুকুর খতিয়ে দেখে যে দুর্নীতি (Scam) হয়েছে তার সঠিক বিচার করা দরকার। আর টাকা ফেরতের পাশাপাশি অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি। অন্যদিকে,জগদীশপুর পঞ্চায়েতের প্রধান জ্যোৎস্নারানির স্বামী তথা রাজ্যের মন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মন বলেন, আদালতের নির্দেশ হাতে পাইনি। নির্দেশ পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব। তবে, জগদীশপুর অঞ্চলটি বন্যা প্রবণ এলাকা। ২০১৮ সালে পুকুর খনন করা হয়েছিল। পুকুর মাপা হল ২০২৩। বন্যার সময় পলি জমে পুকুরের নাব্যতা কমিয়ে দেয়। দীর্ঘ কয়েক বছর পর পুকুরের মাপ হওয়ায় সঠিক তথ্য না পাওয়ায় আদালত এধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন। পাশাপাশি অভিযোগকারী মেহেতাবের চরিত্র এবং  দলে তার অবস্থান নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PMAY: আবাস দুর্নীতির তদন্তে রাজ্যে ফের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল, ঘুরবে সেই ১০ জেলায়

    PMAY: আবাস দুর্নীতির তদন্তে রাজ্যে ফের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল, ঘুরবে সেই ১০ জেলায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মে মাসের শেষের দিকে হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Polls)। তার আগে রাজ্যে ফের এল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (PMAY) দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে রাজ্যে এসেছেন ওই দলের সদস্যরা। এর আগে এক দফা রাজ্যের ১০ জেলায় ঘুরে গিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। তারা রিপোর্টও জমা দিয়েছে। সেই রিপোর্টে কিছু অসঙ্গতি থাকায় এবার সচিব পর্যায়ের দুই সদস্যের মোট ১০টি দল পাঠানো হয়েছে। বুধবার তাঁরা ঘুরে দেখেন পূর্ব বর্ধমান।

    প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (PMAY) দুর্নীতির অভিযোগ…

    এদিন সরাইটিকর গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকার আমাড় এবং কোমলপুর গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়ি পরিদর্শন করেন ওই দলের সদস্যরা। কেন্দ্রীয় দলের কাছে অভিযোগ ছিল, পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও অনেকেই এই যোজনার উপভোক্তা। তারই তদন্ত করছিলেন কেন্দ্রীয় দলের দুই সদস্য। তাঁরা মেমারির বোহার গ্রাম পঞ্চায়েতের সোতলায়ও যান। বৃহস্পতিবার ওই দলের (PMAY) সদস্যরা গিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদে। জেলার রানিনগর ১ ব্লকের হেরামপুরের গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার অন্তর্গত কাঞ্চনপুর, ডিহিপাড়া, দুর্লভপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় যান তাঁরা। ওই দলে ছিলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের আবাস বিষয়ক দফতরের যুগ্ম সচিব অমিত শুক্লা এবং ওই দফতরের ডিরেক্টর দেবেন্দ্র কুমার।

    আরও পড়ুুন: ‘বিরোধিতা নয়, প্রধানমন্ত্রীকে অনুসরণ করুন’, মুখ্যমন্ত্রীকে বার্তা নিশীথের

    আগের রিপোর্টে যেসব অসঙ্গতি ধরা পড়েছে, তার ভিত্তিতে মোট ৬টি তালিকা তৈরি করে তা নিয়ে উপভোক্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় ওই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরাও। এর আগেও এ রাজ্যে এসেছিল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। সেবার তারা ঘুরেছিল রাজ্যের ১০টি জেলায়। এবারও তারা যাবে ওই জেলাগুলিতেই। রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানান, রাজ্যের ১০ জেলায় দ্বিতীয় দফার এই তদন্ত চলছে। তাঁর অভিযোগ, ইচ্ছে করেই তদন্ত প্রক্রিয়ায় দেরি করা হচ্ছে। প্রথম রিপোর্ট গেল। আবার দল এল। দ্বিতীয় রিপোর্ট যাবে। আবার দল আসবে। এভাবেই চলতে থাকবে। তাঁর আরও অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার (PMAY) যুক্তরাষ্ট্র কাঠামো নিয়ে ছেলেখেলা করছে। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, দ্বিতীয় দফার এই তদন্ত প্রক্রিয়া ৪ এপ্রিলের মধ্যে মিটিয়ে ফেলার কথা ছিল কেন্দ্রের। কিন্তু তা হয়নি। বিজেপির দাবি, বাংলাজুড়ে দুর্নীতি। মিড-ডে মিল থেকে আবাস। আর এই কারণেই বারংবার কেন্দ্রীয় দলকে আসতে হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rape: তিলজলার পর মালদহের গাজোলেও হেনস্থার শিকার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল, প্রতিবাদ বিজেপির

    Rape: তিলজলার পর মালদহের গাজোলেও হেনস্থার শিকার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল, প্রতিবাদ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার তিলজলার পর মালদহের গাজোল। স্কুলের মধ্যে ছাত্রীকে ধর্ষণের (Rape) ঘটনায় নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে রাজ্য প্রতিনিধি দলের হাতে হেনস্থা হতে হল কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিদের। এমনকী তৃণমূলের জেলা পরিষদের সদস্যা সাগরিকা সরকার জুতো হাতে নিয়ে তেড়ে যান কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের দিকে। আর সমস্ত ঘটনাই ঘটল পুলিশের সামনে। এমনটাই অভিযোগ কেন্দ্রীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিদের।

    এর আগে তিলজলাতেও শিশু সুরক্ষা কমিশনের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে একইভাবে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। কেন্দ্রীয় ওই দলের সঙ্গে এদিন ছিলেন ইংরেজবাজারের বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। তাঁকেও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। কেন্দ্রীয় কমিশনের প্রতিনিধিদের তদন্তে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে ইংরেজবাজারের বিজেপি বিধায়ক ঘটনাস্থলেই ধর্নায় বসেন। বিজেপি বিধায়ক বলেন, আমরা ওই নির্যাতিতার পরিবার যাতে সঠিক বিচার পায় তারজন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলাম। তৃণমূলীরা এসে যে ভাবে তান্ডব চালাল, নির্যাতিতার বাড়ি ভাঙচুর করল তা ঠিক নয়। এই ঘটনার আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

    গাজোলে ঠিক কী নিয়ে গন্ডগোল? Rape 

    ১৮ মার্চ গাজোলের ফতেপুর জুনিয়র হাইস্কুলের মধ্যে এক ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ (Rape) করার ঘটনা ঘটেছিল। বিষয়টি জানাজানি হতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। নির্যাতিতার পরিবার পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এই ঘটনায় তিনজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। সরকারি স্কুলের মধ্যে এরকম ধর্ষণের ঘটনার বিষয়টির তদন্তের জন্য জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের দ্বারস্থ হন বিজেপি বিধায়ক। শনিবার নির্যাতিতা ওই স্কুল ছাত্রীর বাড়িতে তদন্ত করতে যায় কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধি দল।

    এদিন সকালে ওই ছাত্রীর (Rape) বাড়িতে কেন্দ্রীয় কমিশনের প্রতিনিধিরা গেলে দেখতে পান, সেখানে আগেই পৌঁছে গিয়েছে রাজ্যের নারী ও শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এমনকী নির্যাতিতার বাড়িতে ঢুকতে গেলে মালদহ জেলা পরিষদের সদস্যা তথা গাজলের তৃণমূল নেত্রী সাগরিকা সরকার জুতো নিয়ে তেড়ে যান। স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা হাতাহাতিতে জ়ড়িয়ে পড়েন। তৃণমূলীদের তান্ডবের জেরে নির্যাতিতার টিনের বাড়ির একাংশ ভেঙে যায়।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল? Rape

    কেন্দ্রীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রিয়ঙ্ক কানুনগো বলেন, ১০ দিন আগে ঘটনা ঘটেছে। এতদিন রাজ্যের প্রতিনিধিরা কেউ আসেনি। আমি সমস্ত বিষয়টি মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট সচিবকে জানিয়ে এখানে এসেছি। আর আমরা এসেছি বলেই এদিন ওরাও চলে এসেছে। আমাদের সঙ্গে নির্যাতিতাকে আলাদাভাবে কথা বলতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তিলজলাতেও একই ঘটনা ঘটল। এটা মেনে নেওয়া যায় না।

    কী বললেন রাজ্যের প্রতিনিধি দলের কর্তারা? Rape 

    রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায় বলেন, ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর আমরা এখানে এসেছি। কেন্দ্রীয় কমিশনের প্রতিনিধিরা আমাদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন। আমাদের গেট আউট বলেন। আমরা কোনও বাধা দিইনি। আমরা একসঙ্গে তদন্ত করার কথা বলেছিলাম। কিন্তু, সেটা তারা মানতে রাজি নন। আমরা কোনও হেনস্থা করিনি।

    কী বললেন নির্যাতিতা পরিবারের সদস্য? Rape 

    নির্যাতিতা পরিবারের সদস্য বলেন, মেয়ের ঘটনা নিয়ে তদন্ত করতে এসেছে জেনে ভালো লাগছে। কিন্তু, বাড়ির ভিতরে ঢুকে যে ভাবে তাণ্ডব চালাল তা ঠিক হয়নি। আমার বাড়ি ভাঙচুর করে দেওয়া হয়েছে। এখন এর ক্ষতিপূরণ কে দেবে? মেয়ের ঘটনা নিয়ে আমরা আতঙ্কে রয়েছি। এরপর এই ঘটনায় আমরা আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share