Tag: centre

centre

  • Sarbananda Sonowal: সমুদ্রপথ উন্নয়নে ৩০ হাজার কোটির তহবিল গঠন কেন্দ্রের, জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    Sarbananda Sonowal: সমুদ্রপথ উন্নয়নে ৩০ হাজার কোটির তহবিল গঠন কেন্দ্রের, জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩০ হাজার কোটি টাকার সমুদ্র পথের উন্নয়ন তহবিল তৈরি করেছে ভারত সরকার, এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় বন্দর ও জাহাজ পরিবহণ এবং জলপথমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল (Sarbananda Sonowal)। প্রসঙ্গত, এই ফান্ডের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার জাহাজ নির্মাণ ও মেরামত শিল্পকে আরও শক্তিশালী করতে চায়। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের এমন উদ্যোগের মাধ্যমে তৈরি হবে ছয়টি গভীর বন্দর ও দুটি ট্রানস শিপমেন্ট হাব।

    জাহাজ নির্মাণ শিল্প অর্থনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ

    ভারতের জাহাজ নির্মাণ শিল্প অর্থনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত, এটি এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে প্রচুর কর্মসংস্থানেরও সুযোগ তৈরি হয়। এর পাশাপাশি দেশের মোট জিডিপিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে জাহাজ নির্মাণ শিল্প। একইসঙ্গে এই শিল্পের পরোক্ষ বা সহকারী শিল্প হিসেবে ইস্পাত, বন্দর তৈরির শিল্প- এগুলিও বাড়তে থাকে। জানা গিয়েছে, ভারতে সামুদ্রিক ক্রিয়াকলাপকে আরও শক্তিশালী করতে হাইড্রোজেন হাব তৈরির উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার এমনটাই জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল (Sarbananda Sonowal) এ নিয়ে বলেন, ‘‘আমরা ভারতকে একটি বৈশ্বিক সমুদ্রপথের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে মনোনিবেশ করেছি। তাই এমন পদক্ষেপ।’’

    পুরনো জাহাজ প্রতিস্থাপন করা যাবে

    বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের সমুদ্রপথ উন্নয়ন তহবিল তৈরি করার পদক্ষেপ দেশীয় জাহাজ নির্মাণ শিল্পকে অনেকটাই পুনরুজ্জীবিত করবে। এমন তহবিল গঠন মোদি সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। একইসঙ্গে ক্রেডিট নোটস স্কিমও তৈরি করা হচ্ছে। যার ফলে পুরনো জাহাজগুলির মালিকরা স্থানীয় শিপওয়ার্ডগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করে, সেই জাহাজগুলিকে প্রতিস্থাপন করতে পারবেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল (Sarbananda Sonowal) আরও জানিয়েছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে তাঁরা দেখতে চান যে জাহাজ পুনর্ব্যবহারে ভারত সারা বিশ্বের শীর্ষস্থানে রয়েছে। বর্তমানে ৮৫ শতাংশ ভারতীয় জাহাজে পুনর্ব্যবহারযোগ্য এবং হংকং কনভেনশনের নিয়ম মেনে চলে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Sarbananda Sonowal)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • HIV: এইচআইভি নিয়ে সচেতনতা তলানিতে, স্কুলের কর্মশালা বন্ধ! প্রশ্নের মুখে রাজ্যের ভূমিকা! 

    HIV: এইচআইভি নিয়ে সচেতনতা তলানিতে, স্কুলের কর্মশালা বন্ধ! প্রশ্নের মুখে রাজ্যের ভূমিকা! 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বাঙালি পুরুষদের মধ্যে এইচআইভি (HIV) নিয়ে সচেতনতা কমছে। বিশেষত, বয়ঃসন্ধিকালে থাকা কিশোরদের মধ্যে এই নিয়ে সচেতনতা তলানিতে। আর এর জেরে বাড়ছে বিপদ। প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকারের ভূমিকা!

    কী বলছে সমীক্ষার রিপোর্ট? 

    সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে এইচআইভি (HIV) নিয়ে সচেতনতা কমছে। বিশেষত ছেলেদের মধ্যে এই প্রসঙ্গে সচেতনতার হার বেশ কম। ওই সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৫-২৫ বছর বয়সি ৫৪ শতাংশ ছেলের এইচআইভি সংক্রমণ সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। কীভাবে এই রোগ সংক্রমিত হয়, এই রোগের জেরে কী ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে, সে সম্পর্কে বিশেষ ধারণা নেই।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ মতো কী নির্দেশ (HIV) দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার? 

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী, স্কুল স্তর থেকেই সমস্ত পড়ুয়াদের এইচআইভি সংক্রমণ সম্পর্কে সতর্ক করতে হবে। বয়ঃসন্ধিকালে থাকা পড়ুয়াদের পাঠ্যসূচিতেও রাখতে হবে। কীভাবে এই রোগ ছড়াতে পারে, এই ভাইরাস সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক ভাবনাচিন্তা তৈরি করতে হবে, যাতে সমাজে কোনও রকম ভ্রান্ত ধারণা তৈরি না হয়। প্রয়োজনীয় কর্মশালার আয়োজন করতে হবে। 
    কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী, স্কুলের পাঠ্যপুস্তকেই আটকে থাকলে চলবে না। পড়ুয়াদের সচেতন করতে একাধিক কর্মশালার আয়োজন জরুরি। এই রোগে আক্রান্ত মানেই সে অস্পৃশ্য নয়, কিংবা এই রোগ গোপন রাখার প্রয়োজন নেই, সে সম্পর্কে বোঝাতে হবে। প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ (HIV) নির্ণয় ও তার চিকিৎসা কতখানি জরুরি সে সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য স্কুল স্তর থেকেই নানান কর্মসূচি করতে হবে। সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে, সংক্রমণ আটকানো সম্পর্কে সতর্ক করার বিষয়ে। কোন ধরনের সাবধানতা অবলম্বন করলে এই রোগ সংক্রমণ আটকানো সম্ভব, সে সম্পর্কেও স্কুল স্তর থেকেই সচেতনতা তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

    রাজ্য সরকারের ভূমিকায় প্রশ্ন কেন? 

    কিন্তু রাজ্যে এইচআইভি নিয়ে সচেতনতার হার কমার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকারের ভূমিকা। স্কুল স্তরে নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্য বইতে এইচআইভি (HIV) ভাইরাস সম্পর্কে উল্লেখ থাকলেও, এই নিয়ে কর্মশালা বা প্রয়োজনীয় আলোচনা স্কুলে হয় না বলেই অভিযোগ। স্বাস্থ্য ভবনে এই বিষয়ে দায়িত্বে থাকা এক কর্তা জানান, গত দেড় বছর ধরে রাজ্যের শিক্ষা দফতরের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কর্মসূচি চূড়ান্ত করা যায়নি। কীভাবে বিভিন্ন জেলার স্কুল পড়ুয়াদের একসঙ্গে নিয়ে কর্মসূচি করা যায়, তা নিয়ে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। যদিও রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, গত আড়াই বছর করোনা মহামারির জেরে ঠিকমতো নিয়মিত স্কুল চালু হয়নি। অনিয়মিত স্কুলের জেরেই নানান কর্মসূচি আটকে রয়েছে। তাই সচেতনতা কর্মসূচি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু আস্তে আস্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। তাই ঘাটতি পূরণ দ্রুত হবে।

    কী বলছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    কিন্তু রাজ্য সরকারের এইচআইভি নিয়ে সচেতনতা প্রসারের সদিচ্ছা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে বিশেষজ্ঞ মহল। সম্প্রতি রাজ্যের এক সরকারি হাসপাতাল জে এন এম মেডিক্যাল কলেজে ডায়লিসিস করাতে গিয়ে এইচআইভি সংক্রমণের অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগকারীদের সম্পর্কে কটূক্তি করেছিলেন রাজ্যের শাসক দলের একাধিক নেতা। বিশেষজ্ঞ মহলের প্রশ্ন, এই ভাইরাস ঘটিত রোগ (HIV) সম্পর্কে মানুষের একাধিক ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। তারপরেও যাঁরা এগিয়ে এসে এই রোগ সম্পর্কে মুখ খুলেছেন, যখন তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়, তখন এই রোগ সম্পর্কে আদৌ সচেতনতা তৈরি করতে চায় কি রাজ্য? সে নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে বিজ্ঞানসম্মত ধারণা গড়তে না পারলে, ভবিষ্যতে এইচআইভিও কিন্তু আরেক মহামারির রূপ ধারণ করতে পারে। এমনই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Pollution: কেন্দ্রের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও নিষিদ্ধ প্লাস্টিকে রাশ টানতে ব্যর্থ রাজ্য

    Pollution: কেন্দ্রের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও নিষিদ্ধ প্লাস্টিকে রাশ টানতে ব্যর্থ রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে সারা দেশে কাপ, চামচ, থালা সহ একক ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক এবং ৩১ ডিসেম্বর থেকে ১২০ মাইক্রনের নিচে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই নিষেধাজ্ঞা জারি করার পরই রাজ্যের অন্যান্য জেলার মতো হাওড়া জেলাতেও মহা ধুমধাম করে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। মানুষের মধ্যে সচেতনতা (Pollution) বৃদ্ধি করা ও বাজারে বাজারে গিয়ে নিষিদ্ধ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করতে অভিযান চালায় হাওড়া পুরসভা। কিন্তু দু-চার দিন পর থেকে আবার যে কে সেই৷ সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে তোয়াক্কা না করে আগের মতোই ব্যবহার হচ্ছে একক ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক ও নিষিদ্ধ ক্যারিব্যাগ।

    সমীক্ষায় (Pollution) কী বেরিয়ে এল?

    ২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে এ রাজ্যে একক ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক ও ক্যারিব্যাগ নিয়ে একটি সমীক্ষা (Pollution) করা হয়। তাতে দেখা যাচ্ছে, গোটা রাজ্যের মধ্যে হাওড়া জেলা একক ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক ও ১২০ মাইক্রনের নিচে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ব্যবহারে শীর্ষস্থানে রয়েছে। যা নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন পরিবেশবিদ থেকে বিশেষজ্ঞরা। ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অফ ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট, এয়ার অ্যান্ড ওয়াটার (আইএসডব্লিউএমএডব্লিউ) সংস্থার উদ্যোগে ২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই সমীক্ষা চালানো হয়৷ সেখানেই দেখা যাচ্ছে, এই দু ধরনের নিষিদ্ধ প্লাস্টিক ব্যবহারে রাজ্যের অন্যান্য জেলার তুলনায় শীর্ষস্থানে রয়েছে হাওড়া। হাওড়া ও কলকাতা ছাড়াও এ রাজ্যের সল্টলেক, মালদা, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া, শিলিগুড়ি এবং দুর্গাপুরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে একক ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক ও ১২০ মাইক্রনের নিচে ক্যারিব্যাগ ও  প্লাস্টিকের ব্যবহার, উৎপাদন ও তার ম্যানেজমেন্ট বা পুনর্ব্যবহার নিয়ে এক সমীক্ষা চালানো হয়।

    সম্প্রতি এই গবেষণার রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন বিশিষ্ট অধ্যাপক, গবেষক ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রাক্তন প্রধান এবং ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অফ ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট, এয়ার অ্যান্ড ওয়াটার-এর সভাপতি অধ্যাপক সাধনকুমার ঘোষ। তিনি বলেন, হাওড়া শহরে প্রায় ৬৮ শতাংশ ক্ষেত্রে এই নিষিদ্ধ প্লাস্টিক ব্যবহার হচ্ছে। দক্ষিণ কলকাতার প্রায় ৪৭% এবং উত্তর কলকাতার ৫৩% রেস্টুরেন্ট ঠান্ডা পানীয়, কোল্ড কফি, বিভিন্ন শেক ইত্যাদি পরিবেশনের জন্য নিষিদ্ধ প্লাস্টিকের স্ট্র ব্যবহার করছে। একই ভাবে মালদা ও মুর্শিদাবাদে ৫১%, দুর্গাপুরে ৫৯%, এবং পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জেলায় ৫৮% ব্যবহার হচ্ছে এই নিষিদ্ধ প্লাস্টিকের।  

    কাঁটা-চামচ, প্লাস্টিকের থালা, দাঁতের কাঠি এই সব প্লাস্টিকের জিনিস হাওড়ায় প্রায় ৭৩ শতাংশ ব্যবহার হচ্ছে। যা দক্ষিণ কলকাতায় ৫১%, উত্তর কলকাতায় ৪৫%, সল্টলেক এলাকায় ৫৫%, মালদহ ও মুর্শিদাবাদ অঞ্চলে ৬৭%, দুর্গাপুরে ৫৮% এবং রাজ্যের অন্যান্য অংশে ৫১% ব্যবহার হচ্ছে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, ১২০ মাইক্রনের নিচে প্লাস্টিক ব্যাগ যে নিষিদ্ধ, তাও অনেকে জানেন না। মাত্র ৩৯% মানুষ এ ব্যাপারে সচেতন বলে সমীক্ষায় উঠে এসেছে। 

    ১২০ মাইক্রনের নিচে প্লাস্টিকের ব্যবহারের ক্ষেত্রেও রাজ্যের অন্যান্য জেলার থেকে এগিয়ে রয়েছে হাওড়া জেলা। নিষিদ্ধ ক্যারিব্যাগ হাওড়ায় ব্যবহার হচ্ছে ৮৯ শতাংশ। যা অন্যান্য জেলা এবং তার পাশের শহর কলকাতার থেকে অনেকটাই বেশি। যেটা দেখা যাচ্ছে, দক্ষিণ কলকাতায় ৪১%, উত্তর কলকাতায় ৫৯%, সল্টলেকে ৬৮%, মালদহ ও মুর্শিদাবাদ অঞ্চলে ৭৫%, হাওড়ায় ৮৯%, দুর্গাপুরে ৭৪%, শিলিগুড়ি এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের অন্যান্য অংশে ৬০%। বেশিরভাগ জায়গায় যে সব প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ব্যবহার হচ্ছে, তা ১০, ২০, ২৫ মাইক্রনের। ক্যারিব্যাগের গায়ে কত মাইক্রন, সেটা লিখে রাখার কথা। তাও লেখা হচ্ছে না।

    কী বললেন হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান?

    হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমন্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী বলেন, হাওড়ার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তাঁরা মাঝে মধ্যেই এই নিষিদ্ধ প্লাস্টিক ব্যবহারের বিরুদ্ধে অভিযান চালান। তাতেও বন্ধ করা যায়নি। পুলিশকেও বলা হয়েছে এই সব প্লাস্টিক যেখানে তৈরি হচ্ছে সেগুলি খুঁজে বার করে ব্যবস্থা নিতে। এ নিয়ে অবশ্য হাওড়া শহরের সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, প্লাস্টিক উৎপাদন বন্ধ করা হচ্ছে না। অথচ তাদের ব্যবহার করতে নিষেধ করা হচ্ছে। আগে উৎপাদন (Pollution) বন্ধ করা দরকার৷

    কী বলছেন গবেষকরা?

    সাধনবাবু বলেন, হাওড়া ও কলকাতা পুরসভার কয়েকটি ওয়ার্ডে যেভাবে সলিড ওয়েস্ট সংগ্রহ করে সেগুলি পৃথকীকরণ করে বিক্রি করা হচ্ছে পুনর্ব্যবহারের জন্য, প্রতিটি ওয়ার্ডেই সেই পরিকাঠামো গড়ে তোলা দরকার। পাশাপাশি সর্বত্র সচেতনতা (Pollution) বৃদ্ধি করা, এই নিষিদ্ধ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করতে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স গঠন করা জরুরি। সঠিক ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট গড়ে তুলতে ওয়ার্ড পর্যায়ে ভলান্টারি কমিটি গড়ে তোলা এবং সর্বোপরি রাজ্যের নিজস্ব ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট পলিসি তৈরি করাও দরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Election Commission: নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে কেন্দ্রের নতুন আইনে স্থগিতাদেশ দিল না শীর্ষ আদালত

    Election Commission: নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে কেন্দ্রের নতুন আইনে স্থগিতাদেশ দিল না শীর্ষ আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের নতুন আইনে নির্বাচন কমিশনার (Election Commission) নিয়োগ সংক্রান্ত প্যানেলে দেশের প্রধান বিচারপতিকে রাখা হয়নি।  কেন্দ্রের এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করে একাধিক আবেদন জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেই আইনে স্থগিতাদেশ দেওয়ার আর্জি জানিয়ে মামলা হয়েছিল। তবে শুক্রবার ওই আইনে স্থগিতাদেশ দিল না শীর্ষ আদালত। এ বিষয়ে কেন্দ্রের বক্তব্য জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত।

    শীর্ষ আদালতের অভিমত

    বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত’র বেঞ্চ শুক্রবার প্রাথমিক শুনানি শেষে বলে আইনটির উপর স্থগিতাদেশ জারি জরুরি বলে আদালত মনে করে না। তবে মামলাকারীদের উত্থাপিত বিষয়গুলি নিয়ে আদালত কেন্দ্রীয় সরকারে বক্তব্য জানতে আগ্রহী। সেই মতো শুক্রবারই কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিস পাঠিয়েছে শীর্ষ আদালত। মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে ২০ এপ্রিল।  

    কী এই আইন

    কেন্দ্রের নতুন আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (Election Commission) এবং অন্য নির্বাচন কমিশনারদের বাছাই করতে যে তিন সদস্যের প্যানেল আছে, তার সদস্য হবেন প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা মনোনীত এক জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এই কমিটি যে নাম কিংবা নামগুলি প্রস্তাব করবে, তাঁকে বা তাঁদের নিয়োগ করবেন দেশের রাষ্ট্রপতি। 

    আরও পড়ুন: কনকনে কলকাতা! পৌষের শেষে ঝোড়ো ব্যাটিং শীতের, কত নামবে তাপমাত্রা?

    স্থগিতাদেশ নয়

    জানা গিয়েছে, কংগ্রেস নেত্রী জয়া ঠাকুর কেন্দ্রের আনা এই আইনের উপরে স্থগিতাদেশ জারির আর্জি জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। তাঁর তরফে উপস্থিত আইনজীবী বিকাশ সিং বলেন, “এই আইন ক্ষমতার বিভাজনের ভাবনার সম্পূর্ণ বিরুদ্ধ”। তবে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চের তরফে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের (Election Commission) এই আইনের উপরে স্থগিতাদেশ জারি করতে অস্বীকার করে। শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়, এই আইনে স্থগিতাদেশ জাকি করা যাবে না। পিটিশনের একটি কপি কেন্দ্রের কাউন্সিলকে পাঠানো হচ্ছে। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না বলেন, “আমরা সংশোধিত আইনের উপরে স্থগিতাদেশ জারি করতে পারি না। কেন্দ্রকে নোটিস দেওয়া হচ্ছে। এপ্রিল মাসের মধ্যে এই নোটিসের জবাব দিতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: কলকাতা হাইকোর্টে অতিরিক্ত ৯ জন বিচারপতি নিয়োগ কেন্দ্রের

    Calcutta High Court: কলকাতা হাইকোর্টে অতিরিক্ত ৯ জন বিচারপতি নিয়োগ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচারপতির অভাবে ঝুলে রয়েছে মামলা। দীর্ঘায়িত হচ্ছে বিচার প্রক্রিয়া। এবার সেই সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হল কেন্দ্র (Centre)। কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ৯জন অতিরিক্ত বিচারপতি নিয়োগ করার কথা ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government)।

    দেশের প্রাচীনতন হাইকোর্ট কলকাতা হাইকোর্ট। ১৮৬১ সালের হাইকোর্ট আইন বলে ১৮৬২ সালের ১ জুলাই স্থাপিত হয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই সময় এই আদালতের নাম ছিল হাইকোর্ট অফ জুডিকেচার অ্যাট ফোর্ট উইলিয়াম। বর্তমানে সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ কলকাতা হাইকোর্টের অন্তর্ভুক্ত। আন্দামান ও নিকোবরের রাজধানী পোর্ট ব্লেয়ারে কলকাতা হাইকোর্টের একটি সার্কিট বেঞ্চ রয়েছে। ১৮৭২ সালে স্যার বার্নেস পিকক কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হন। হাইকোর্টের প্রথম ভারতীয় বিচারক ছিলেন শম্ভুনাথ পণ্ডিত। হাইকোর্টের প্রথম প্রধান বিচারপতি ছিলেন রমেশ চন্দ্র মিত্র। প্রথম পূ্র্ণ মেয়াদের ভারতীয় প্রধান বিচারপতি ছিলেন ফণীভূষণ চক্রবর্তী।

    বরাবরই কলকাতা হাইকোর্টের ওপর মামলার চাপ পাহাড় প্রমাণ। বিচারপতি থাকার কথা ৭২ জন। অথচ রয়েছেন মাত্র ৪৬ জন। শূন্য পদের সংখ্যা ২৬। অতিরিক্ত এই ৯ জনের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ায় শূন্যপদের সংখ্যা কমে দাঁড়াল ১৭। স্বাভাবিক ভাবেই বিলম্বিত হচ্ছে বিচার প্রক্রিয়া। সেই সমস্যা মেটাতে অতিরিক্ত ৯ জন বিচারপতি নিয়োগ করার কথা ঘোষণা করল মোদি সরকার। যাঁদের নিয়োগ করা হল, তাঁরা হলেন, বিশ্বরূপ চৌধুরী, পার্থ সারথি সেন, প্রসেনজিৎ বিশ্বাস, উদয় কুমার, অজয় কুমার গুপ্ত, সুপ্রতিম ভট্টাচার্য, পার্থ সারথি চ্যাটার্জি, অপূর্ব সিনহা রায় এবং মহম্মদ শাব্বার রাশিদি। সিনিয়রিটির ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়েছে এঁদের। 

    আরও পড়ুন : পুরুলিয়া সূচকাণ্ডে মা, প্রেমিকের ফাঁসির সাজা রদ করে যাবজ্জীবন দিল হাইকোর্ট

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Tax Devolution: বঞ্চনার অভিযোগ মিথ্যা, ফের রাজ্যকে টাকা দিল কেন্দ্র    

    Tax Devolution: বঞ্চনার অভিযোগ মিথ্যা, ফের রাজ্যকে টাকা দিল কেন্দ্র    

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গকে (West Bengal) কর বাবদ প্রাপ্য দুই কিস্তির মোট অর্থ বাবদ ৮,৭৭৬ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা দিল কেন্দ্র (Centre)। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে বারবার সরব হয়েছে রাজ্যগুলি। এ ব্যাপারে সব চেয়ে বেশি সরব হয়েছে তৃণমূল (TMC) শাসিত পশ্চিমবঙ্গ। তবে সেই অভিযোগ যে নিছকই অভিযোগ, কোনও সারবত্তা নেই, তা প্রমাণ হল ফের। ১০ অগাস্ট রাজ্যগুলিকে কেন্দ্র দিয়েছে ১.১৬ লক্ষ কোটি টাকা। দুটি কিস্তিতে ওই টাকা দেওয়া হয়েছে। উন্নয়ন খাতে খরচ করতেই ওই টাকা দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে অর্থমন্ত্রকের তরফে।

    অর্থমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার দু কিস্তিতে রাজ্যগুলিকে মোট ১,১৬,৬৬৫ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা হস্তান্তরিত করা হয়েছে। ১০ অগাস্ট ওই টাকা দেওয়া হয়েছে। প্রতি মাসে করের যে লভ্যাংশ রাজ্যগুলিকে দেওয়া হয়, তার এই খাতে তার পরিমাণ ছিল প্রতি মাসে ৫৮,৩৩২ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা। সম্প্রতি কেন্দ্র কর বাবদ আদায় করেছে ৪১ শতাংশ। একটি অর্থবর্ষে ১৪টি কিস্তিতে রাজ্যগুলি থেকে ওই ট্যাক্স আদায় করা হয়েছে। সেই টাকারই লভ্যাংশের একটি ভাগ দেওয়া হল রাজ্যগুলিকে।

    আরও পড়ুন : ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি

    জানা গিয়েছে, কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গকে কর বাবদ প্রাপ্য দুই কিস্তির মোট অর্থ ৮,৭৭৬ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা হস্তান্তরিত করেছে এদিন। এই খাতে বিজেপি শাসিত ত্রিপুরাকে দেওয়া হয়েছে ৮২৬ কোটি টাকা। আর এক বিজেপি শাসিত রাজ্য আসাম এই খাতে পেয়েছে ৩৬৪৯ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা। তৃণমূল শাসিত বাংলা পেয়েছে তার চেয়েও ঢের বেশি। রাজ্যগুলির মূলধনের জোগান ও উন্নয়ন খাতে ব্যয়ের জন্য যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতেই কেন্দ্র অঙ্গীকারবদ্ধ। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক সূত্রেই এই খবর জানানো হয়েছে।

     

  • Supreme Court: ‘অযৌক্তিক’ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়া বন্ধে উদ্যোগী হল সুপ্রিম কোর্ট 

    Supreme Court: ‘অযৌক্তিক’ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়া বন্ধে উদ্যোগী হল সুপ্রিম কোর্ট 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ভোটের (Election) সময় নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়া বন্ধে উদ্যোগী হল দেশের শীর্ষ আদালত। এ ব্যাপারে কী করা যায় তা কেন্দ্রকে খতিয়ে দেখতেও বলল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। 

    প্রতিবার ভোটের সময় অযৌক্তিক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি (Irrational Freebies) দেয় বিভিন্ন রাজ্য সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলি। সে পঞ্চায়েত হোক কিংবা পুরসভা, বিধানসভা অথবা লোকসভা সব ক্ষেত্রেই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়া একটা রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে এ দেশে। ভোটারদের প্রভাবিত করতেই এটা করা হয় বলে অভিযোগ। এই অযৌক্তিক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়া বন্ধ হওয়া উচিত বলেই দাবি উঠেছিল দীর্ঘদিন। এটা বন্ধেই এবার কেন্দ্রকে পথ খুঁজতে বলল দেশের শীর্ষ আদালত। প্রাধান বিচারপতি এনভি রামানা বিষয়টিকে সিরিয়াস আখ্যা দিয়েছেন। এ ব্যাপারে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল কেএম নটরাজের কাছে যথাযথ উত্তর না পেয়ে প্রধান বিচারপতি কেন্দ্রকে অযৌক্তিক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বন্ধ করা হবে কিনা, সে ব্যাপারে তাদের অবস্থান জানাতে বললেন।

    আরও পড়ুন : কমিশনের তরফে দু পক্ষকেই স্ব স্ব দাবির সমর্থনে ৮ আগস্টের মধ্যে নথিপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ…

    এদিন শুনানি চলাকালীন কোনও কারণে কোর্টরুমে উপস্থিত ছিলেন বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিবাল। প্রধান বিচারপতি তাঁকে বলেন, সিবাল একজন বর্ষীয়ান সাংসদ। এ ব্যাপারে আপনার অভিমত কী? সিবাল জানান, অযৌক্তিক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি একটা গুরুতর বিষয়। তবে একে নিয়ন্ত্রণ করাও কঠিন। সিবাল বলেন, কেন্দ্র এ ব্যাপারে কোনও নির্দেশিকা জারি করতে পারে না। তিনি বলেন, অর্থ কমিশনই এই ইস্যুটি খুঁটিয়ে দেখার ব্যাপারে উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান। এর পরেই সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ বলে, আমরা কেন্দ্রকে নির্দেশ দিচ্ছি এ ব্যাপারে তাদের মতামত জানাতে। আগস্টের ৩ তারিখে মামলাটি ফের উঠবে আদালতে।

    আরও পড়ুন : নিম্ন আদালতের অবস্থান জেনেই রায় ঘোষণা, জ্ঞানবাপী মামলায় সুপ্রিম কোর্ট

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের এপ্রিলের গোড়ায় ভারতীয় নির্বাচন কমিশন সুপ্রিম কোর্টকে ভোটের আগে কিংবা পরে অযৌক্তিক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির বিষয়টি জানিয়েছিল। এফিডেভিট দিয়ে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, ভোটের আগে কিংবা পরে অযৌক্তিক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এগুলি রাজ্যের অর্থনৈতিক স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। প্রভাব ফেলে ভোটারদের ওপরও। এগুলি তাঁদের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে।

     

  • GST: জিএসটি বাবদ রাজ্যগুলির প্রাপ্য মেটাল কেন্দ্র, বাংলা কত পেল জানেন?

    GST: জিএসটি বাবদ রাজ্যগুলির প্রাপ্য মেটাল কেন্দ্র, বাংলা কত পেল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জিএসটি (GST) বাবদ রাজ্যগুলির যাবতীয় বকেয়া প্রাপ্য টাকা মিটিয়ে দিল কেন্দ্র। গতকাল এই মর্মে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের (Ministry of Finance) তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে।

    সব মিলিয়ে রাজ্যগুলিকে কেন্দ্র দিয়েছে মোট ৮৬ হাজার ৯১২ কোটি টাকা। এই খাতে পশ্চিমবঙ্গ (west bengal) সরকার পেয়েছে ৬ হাজার ৫৯১ কোটি টাকা। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের অর্থ মন্ত্রকের তরফে রাজ্যের অর্থ দফতরে এ ব্যাপারে অর্ডারও পাঠানো হয়েছে।

    কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজ্যের বঞ্চনার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বিভিন্ন প্রশাসনিক বৈঠকে বারবার কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন নানা সময়ে। এই পরিস্থিতিতেই রাজ্যকে দেওয়া হল প্রায় সাড়ে ছ’হাজার কোটি টাকা।   

    আরও পড়ুন : দেউলিয়ার পথে রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্ক?   

    টাকা পেলেও, অভিযোগের অন্ত নেই নবান্নর। রাজ্যের দাবি, জিএসটি বাবদ বকেয়ার পরিমাণ ঢের বেশি। কেন্দ্রের তরফে টাকা পাওয়ার পর রাজ্য সরকার হিসেব করে এই বাবদ আরও টাকা চাইতে পারে বলেও নবান্ন সূত্রের খবর।

    মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাজ্যগুলি যাতে তাদের সম্পদ এবং মূলধন ব্যয় মসৃণভাবে পরিচালনা করতে পারে সেই জন্যই এই টাকা দেওয়া হয়েছে। জিএসটি ক্ষতিপূরণ তহবিলে প্রায় ২৫ হাজার কোটি থাকা সত্ত্বেও সরকার পুরো অর্থ দিয়েছে। অবশিষ্ট অর্থ কেন্দ্রের নিজস্ব সম্পদ, সেস সংগ্রহের মুলতুবি থাকা অর্থ থেকে দেওয়া হয়েছে।

    মোট ৮৬ হাজার ৯১২ কোটির মধ্যে জানুয়ারি পর্যন্ত ৪৭ হাজার ৬১৭ কোটি টাকা মূল্যের ক্ষতিপূরণ বকেয়া ছিল। ফেব্রুয়ারি-মার্চের জন্য বকেয়ার পরিমাণ ২১ হাজার ৩২২ কোটি টাকা। আর এপ্রিল-মে মাসে বকেয়ার পরিমাণ ১৭ হাজার ৯৭৩ কোটি টাকা। কেন্দ্র জানিয়েছে, ৩১ মে পর্যন্ত যাবতীয় বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন : ‘পিএম কিষান-এর টাকা ছেড়েছে কেন্দ্র, ব্যাঙ্কে ঢুকল কিনা দেখে নিন এভাবে

    কেন্দ্রের দাবি, রাজ্যগুলির সুরক্ষিত রাজস্ব ১৪ শতাংশ চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়ছে। অথচ সেস সংগ্রহ একই অনুপাতে বাড়েনি। রাজ্যগুলিকে টাকা দিতে কেন্দ্র ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ১.১ লক্ষ কোটি টাকা এবং পরের অর্থবর্ষে ১.৫৯ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। ছেড়ে দিয়েছে সেস আদায়ের ঘাটতির অংশও। কেন্দ্র ঘাটতি মেটাতে তহবিল থেকে নিয়মিত জিএসটি ক্ষতিপূরণও দিয়েছে রাজ্যগুলিকে। কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির যৌথ প্রচেষ্টায় সেস সহ মোট মাসিক জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে।

     

LinkedIn
Share