Tag: century

century

  • Navratri: শুরু নবরাত্রি উৎসব, শক্তির আরাধনার উত্তরাধিকার ধরে রেখেছে আরএসএস

    Navratri: শুরু নবরাত্রি উৎসব, শক্তির আরাধনার উত্তরাধিকার ধরে রেখেছে আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ সেপ্টেম্বর, সোমবার থেকেই শুরু হয়ে গেল নবরাত্রি (Navratri) উৎসব। হিন্দু চান্দ্র-সূর্য ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ফি বছর আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের প্রতিপদ তিথি থেকে সূচনা হয় নবরাত্রি উৎসবের। শেষ হবে ২ অক্টোবর, বিজয়া দশমীর দিন। এই উৎসব পালিত (RSS) হবে ঘটস্থাপন, ব্রত, দুর্গা সপ্তশতী পাঠ, উপোস এবং আঞ্চলিক রীতিনীতি মেনে।

    হিন্দু সভ্যতার চেতনার প্রতিরূপ (Navratri)

    নবরাত্রি কেবলমাত্র একটি উৎসব নয়, এটি হিন্দু সভ্যতার চেতনার প্রতিরূপ – একটি আচার, একটি দর্শন এবং কর্মে আহ্বান। ন’রাত ধরে হিন্দুরা মা দুর্গা, মা চণ্ডী এবং মা ভবানীর উপাসনা করেন। এর মাধ্যমেই আহ্বান করা হয় সেই চিরন্তন শক্তিকে, যা সমাজকে পরাধীনতা ও নৈতিক অধঃপতন থেকে রক্ষা করেছে। এই আহ্বান আধ্যাত্মিক এবং অস্তিত্বময় উভয়ই। এটি মনে করিয়ে দেয় যে পরিচয়, সাহস এবং ধর্মকে সচেতনভাবে রক্ষা করতে হবে এবং কাজে প্রতিফলিত করতে হবে।

    হিন্দু সমাজকে বারবার দমিয়ে রাখার চেষ্টা

    গত এক হাজার বছরের ভারতীয় ইতিহাস প্রমাণ করে মুঘল আক্রমণ থেকে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন পর্যন্ত, এবং আধুনিক যুগে মতাদর্শগত আক্রমণ থেকে সাংস্কৃতিক বিকৃতি পর্যন্ত হিন্দু সমাজকে বারবার দমিয়ে রাখার চেষ্টা হয়েছে। তা সত্ত্বেও হিন্দু পরিচয়ের সূত্র কখনও ছিন্ন হয়নি। রাজা ও ঋষি উভয়েই দেবীর আহ্বান করেছেন সম্মিলিত চেতনায় শক্তি জাগ্রত করতে। এই শক্তিই রক্ষা করেছেন মহারানা প্রতাপের মেবারের সার্বভৌমত্ব, প্রাণিত করেছেন গুরু গোবিন্দ সিংজি খালসাকে। এই শক্তির সাহায্যেই ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আত্মমর্যাদা ও ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করেছেন। এসব কাজ কেবল যুদ্ধজয়ের ঘটনা নয়, বরং সভ্যতার স্থিতিশীলতা, নৈতিক সাহস এবং ধর্মনির্ভর জাতীয়তাবাদের ঘোষণাপত্র।

    ভারতীয় সংস্কতিকে বাঁচাতে আরএসএসের পদক্ষেপ

    ভারতীয় সংস্কতিকে বাঁচাতে গত ১০০ বছর ধরে এর চারা গাছে নিত্য জল দিয়ে চলেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ, সংক্ষেপে আরএসএস (RSS)। তাদের লক্ষ্য শুধু সমাজকে সুসংগঠিত করা নয়, বরং হিন্দু সভ্যতার চিরন্তন শক্তিকে পুনর্জাগরণ করা – শৃঙ্খলা, নৈতিক সাহস, সাংস্কৃতিক আত্মসচেতনতা এবং সমষ্টিগত পরিচয় (Navratri)। এটাই হিন্দু জাতীয়তাবাদের মূল সত্তা। এটি একটি দৃঢ়, আত্মসচেতন এবং নৈতিক ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত চেতনা, যা আক্রমণাত্মক না হয়ে বা আপোস না করেই নিজের পরিচয়কে রক্ষা ও উদযাপন করে চলেছে। এ বছরের নবরাত্রি ও বিজয়া দশমীর বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। কারণ ১৯২৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে আরএসএস প্রতি বিজয়া দশমীতে মা ভারতীকে আহ্বান করেছে শক্তি, সাহস ও ধর্মীয় কর্তব্যবোধ জাগ্রত করতে।

    শতবর্ষে আরএসএস

    ২০২৫ সালের ২ অক্টোবর ১০০ বছর পূর্ণ করবে আরএসএস। এটি হিন্দু সভ্যতা রক্ষায়, পরিচয়, মূল্যবোধ ও জাতীয়তাবাদ সংরক্ষণে এক শতাব্দীর নিবেদিত সেবার প্রতীক। এই শতবার্ষিকী আমাদের প্রাণবন্তভাবে স্মরণ করিয়ে দেয় যে শক্তির চিরন্তন দর্শন হল সত্যকে রক্ষা করা, অত্যাচারের বিরোধিতা করা এবং শুভের দ্বারা অশুভের জয় নিশ্চিত করা – চিরকালীন ও প্রতিটি প্রজন্মে জীবন্ত। নবরাত্রি নিজেই শক্তিবোধের এক গভীর পাঠ। এটি অন্তর্নিহিত ও সামষ্টিক শক্তির জাগরণ। শৈলপুত্রী থেকে সিদ্ধিদাত্রী পর্যন্ত দেবীর ন’টি রূপ শুধু আধ্যাত্মিক গুণের প্রতীকই নন, বরং সাহস, প্রজ্ঞা ও কর্মের বাস্তব নীতিরও প্রতিফলন। নির্ভীক কালরাত্রি শেখান যে অন্ধকার, অজ্ঞতা ও অন্যায়কে দৃঢ়ভাবে মোকাবিলা করতে হবে। কল্যাণময়ী মহাগৌরী শেখান ন্যায়, পবিত্রতা ও শৃঙ্খলাই মজবুত কোনও শক্তির ভিত্তি। এই প্রতীকগুলির মাধ্যমে নবরাত্রি এক সাংস্কৃতিক পাঠ্যক্রমে রূপান্তরিত হয়েছে, যা আমাদের শেখায় যে টিকে থাকা, আত্মসম্মান ও পরিচয় রক্ষার জন্য অন্তরের শক্তি যেমন প্রয়োজন, তেমনি অপরিহার্য জগতের সঙ্গে সক্রিয় সম্পৃক্ততাও (Navratri)।

    মহিষাসুর-বধ জয়ের উৎসব

    বিজয়া দশমী দেবীর মহিষাসুর-বধ জয়ের উৎসব। এটি হল সেই প্রতীক যা আমাদের মনে করিয়ে দেয় প্রতিটি যুগে যখনই হিন্দু সমাজ অস্তিত্ব সংকটে পড়ে, তখনই সে বিজয়ী হয়েছে। এটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় পরিচয়ের সংরক্ষণ এবং ধর্মের প্রতিষ্ঠা সাহস, কর্ম এবং ঐক্যের থেকে অবিচ্ছেদ্য। যে শক্তি এক সময় ঐতিহাসিক যোদ্ধাদের প্রাণিত করেছিল, সেই একই শক্তিই আজ সমাজকে প্রাণিত করছে সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণে, জাতীয় আত্মসম্মানে এবং নৈতিক স্পষ্টতায় (RSS)। আধুনিক বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে হিন্দু পরিচয় এবং জাতীয়তাবাদ চাপের মুখে রয়েছে। কখনও অভ্যন্তরীণ বিভাজন, কখনও বা বহিরাগত বর্ণনার জেরে। তবুও, নবরাত্রির আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক কাঠামো আমাদের স্থিতিশীলতার একটি বার্তা দেয়। সেটি হল শক্তির আহ্বান, নৈতিক সাহসের বিকাশ, ধর্মের মাধ্যমে ঐক্য, এবং সত্য রক্ষার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ।

    হিন্দু জাতীয়তাবাদ

    অতএব, হিন্দু জাতীয়তাবাদ কেবল রাজনৈতিক নয়, এটি সভ্যতাগত, নৈতিক এবং আধ্যাত্মিক। এটি ঘোষণা করে (RSS) যে, যে জাতি তার শেকড়, তার ধর্ম এবং তার শক্তিকে জানে, তাকে কখনও দমন করা, বিকৃত করা বা মুছে ফেলা যায় না (Navratri)।

  • ICC World Cup 2023: ইডেনে বিরাট জয় ভারতের, দক্ষিণ আফ্রিকা হারল ২৪৩ রানে

    ICC World Cup 2023: ইডেনে বিরাট জয় ভারতের, দক্ষিণ আফ্রিকা হারল ২৪৩ রানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রিকেটের নন্দন কাননে শেষ হাসি হাসল রোহিত শর্মার ভারতই (ICC World Cup 2023)। বিরাট কোহলির অনবদ্য সেঞ্চুরি, রবীন্দ্র জাডেজার দাপট, সব মিলিয়ে চাপে পড়ে যান দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা। শেষতক অনায়স জয় পেয়ে যায় ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা বধ হয় ২৪৩ রানে।

    কোহলির জন্মদিন

    ৫ নভেম্বর, রবিবার ছিল বিরাট কোহলির জন্মদিন। এদিনই ৪৯তম সেঞ্চুরিটি হাঁকিয়ে ইডেনের দর্শকদের বাড়তি অক্সিজেন জুগিয়েছিলেন তিনি। এদিন পুরো দিনটাই বোধহয় ক্রিকেট-দেবতা ভারতের পক্ষেই ছিলেন! প্রথমে টসে জেতে ভারত। ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় টিম ইন্ডিয়া। এতেই চাপে পড়ে যায় টেম্বা বাভুমার দক্ষিণ আফ্রিকা। এদিন ব্যাট হাতে নেমে দাপিয়ে খেলতে লাগলেন রোহিত ও শুভমন গিল। তাঁদের আক্রমণাত্মক ভঙ্গি দেখে হকচকিয়ে যান মার্কো জানসেনরা। পরিস্থিতির বদল ঘটাতে মাঠে নামানো হয় কেশব মহারাজ এবং তাবরেজ শামসিকে। তাতেও বিশেষ লাভ হয়নি। কারণ ততক্ষণে খেলা ধরে নিয়েছেন বিরাট। এদিন ১১৯ বলে তিনি করেছেন ১০১ রান। এর মধ্যে রয়েছে ১০টি চার।

    লেজেগোবরে দশা দক্ষিণ আফ্রিকার

    প্রথমে ব্যাট (ICC World Cup 2023) করতে নেমে ভারত করে ৩২৬ রান। এই রান তাড়া করতে গিয়েই কার্যত লেজেগোবরে দশা হয় দক্ষিণ আফ্রিকার। মাত্র ৮৩ রানেই অলআউট হয়ে যায় টেম্বা বাভুমার টিম। পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই তিন ব্যাটসম্যানকে ফিরে যেতে হয় সাজঘরে। স্কোরবোর্ডে যখন ৪০ দেখাচ্ছিল, তখনই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে প্রোটিয়াজরা। প্রত্যাশিতভাবেই তারপর আর কূল খুঁজে পায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। এদিন জাদেজার হাতে বধ হয় তিন ক্রিকেটার। দুটি করে উইকেট নেন কুলদীপ ও মহম্মদ শামি।

    আরও পড়ুুন: জন্মদিনেই ক্রিকেটের নন্দন কাননে সেঞ্চুরি, সচিনকে ছুঁয়ে ফেললেন বিরাট কোহলি
    এদিন রোহিতকে ফেরান কাগিসো রাবাদা। গিলকে আউট করেন কেশব মহারাজ। তার পর থেকে ইডেনের রাশ নিয়ে নেন কোহলি। শ্রেয়স আইয়ারের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে কোহলি ১৩৪ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলের বড় রানের মঞ্চ গড়ে দেন। ৮৭ বলে শ্রেয়স করেন ৭৭ রান। সূর্যকুমার যাদব ও রবীন্দ্র জাডেজা যথাক্রমে ২২ ও ২৯ করে দলকে পৌঁছে দেন ৩২৬-এ। এদিন ভারতের জয়ের (ICC World Cup 2023) পর টিম ইন্ডিয়ার সঙ্গে উঠে দাঁড়িয়ে জনগণমন গাইছে ইডেন। এ দৃশ্য দীর্ঘ দিন দেখা যায়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • ICC World Cup 2023: জন্মদিনেই ক্রিকেটের নন্দন কাননে সেঞ্চুরি, সচিনকে ছুঁয়ে ফেললেন বিরাট কোহলি

    ICC World Cup 2023: জন্মদিনেই ক্রিকেটের নন্দন কাননে সেঞ্চুরি, সচিনকে ছুঁয়ে ফেললেন বিরাট কোহলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫ নভেম্বর জন্মদিন বিরাট কোহলির। এদিনই সচিন তেন্ডুলেকরের বিশ্বরেকর্ড ছুঁয়ে ফেললেন তিনি (ICC World Cup 2023)। একদিনের ক্রিকেটে ৪৯তম শতরান করলেন কোহলি। এবং সেটা হল ১১৯ বলে। এর মধ্যে ছিল ১০টি চার। রবিবাসরীয় ইডেন গার্ডেন্সে তিনি অপরাজিত রইলেন ১২১ বলে ১০১ রান করে।

    জন্মদিন উপলক্ষে সেজেছিল ইডেন

    কোহলির জন্মদিন উপলক্ষে এদিন সাজানো হয়েছিল ইডেন। দর্শকদের জন্য মুখোশ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন সিএবি কর্তারা। কিন্তু আইসিসির অনুমোদন না মেলায় কোহলির জন্মদিন পালনের পরিকল্পনা বাতিল করতে হয়েছে সিএবিকে। এদিন স্বামীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান কোহলি-পত্নী অনুষ্কা শর্মা। সন্ধ্যায় রেকর্ড করে ফের একবার নিজেকে বিরাট প্রমাণ করলেন কোহলি। বছর তিনেক পর ২০২২ সালের এশিয়া কাপে (টি- টোয়েন্টি) আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে সেঞ্চুরির খরা কাটে কোহলির। তার পর থেকে একের পর এক সেঞ্চুরি করে চলেছেন তিনি (ICC World Cup 2023)।

    ইডেনের অভিনন্দন

    তেইশের বিশ্বকাপেও একটি সেঞ্চুরি করেছেন। চলতি বিশ্বকাপে তিনবার শতরানের দোরগোড়ায় গিয়েও ফিরে আসতে হয়েছে কোহলিকে। অবশ্য বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। তবে চলতি বিশ্বকাপেই যে তিনি ‘বিরাট’ মাপের কিছু করে দেখাবেন, সে প্রত্যাশা ক্রিকেটপ্রেমীদের ছিলই। শেষমেশ তা পূরণ হল ক্রিকেটের নন্দনকাননে। এক দিনের ক্রিকেটে ৪৯তম শতরান পূর্ণ করতেই উঠে দাঁড়িয়ে অভিনন্দন জানায় ইডেন।

    আরও পড়ুুন: দোরগোড়ায় নির্বাচন, বামলেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিয়ে দিগম্বর সন্ত দর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    এদিনও কেশব মহারাজের একটি ডেলিভারিতে আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। মিডল স্টাম্পে পড়ে বল টার্ন নিয়ে কিপার কুইন্টন ডিককের হাতে। অন ফিল্ড আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা আউট না দেওয়ায় রিভিউ নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। রিভিউয়ে দেখা যায়, প্যাড-ব্যাটের সাউন্ডই ছিল। ৬৭ বলে কোহলি হাফ সেঞ্চুরিতে পৌঁছতেই বাড়তে থাকে অপেক্ষা। কাগিসো রাবাডার একটা ভয়ঙ্কর ইয়র্কার সামলে দিতেই হাসি ফোটে গ্যালারিতে। প্রথম একশো বলে এদিন ছক্কা মারেননি কোহলি। ধরে খেলছিলেন। মার্কো জানসেনের বলে বাউন্ডারি মেরে ৮৬ রান করতেই গ্যালারিতে ধ্বনিত হয় কোহলি…কোহলি। শেষমেশ ১১৯ বলে আসে সেঞ্চুরি। উদযাপন (ICC World Cup 2023) হয় জন্মদিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share