Tag: chandannagore

chandannagore

  • Picnic: অনেকের চোখেই ‘ভিলেন’ টোটো চালকরা পিকনিক করলেন হোমের কচিকাঁচাদের নিয়ে

    Picnic: অনেকের চোখেই ‘ভিলেন’ টোটো চালকরা পিকনিক করলেন হোমের কচিকাঁচাদের নিয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রবল শীতে পিকনিকের (Picnic) মজাই আলাদা। কিন্তু অর্থনৈতিক চাপে অনেকেরই এই মজা বাস্তবে রূপায়িত হয় না। কেউ কেউ কিন্তু সেদিকেও খেয়াল রাখেন। যেমনটি ঘটল সোমবার রাতে। অনেকের কাছেই তাঁরা ‘ভিলেন’। চলার পথে বাধা সৃষ্টি করেন। রাস্তার জ্যাম নাকি তাঁদের জন্যই হয়। তাঁরা টোটো চালক নামে পরিচিত। সেই টোটো চালকরাই সোমবার নিজেদের উপার্জনের কিছুটা একত্রিত করে একটি হোমের কচিকাঁচাদের নিয়ে পিকনিক করলেন। চন্দননগর তেমাথা জোড়াঘাট টোটোস্টান্ডের ৩০ জন টোটো চালক হোমের ২৫০ জন শিশুর জন্য শুধু নৈশভোজই নয়, একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করেন।

    কব্জি ডুবিয়ে ফ্রায়েড রাইস, মুরগির মাংস (Picnic)

    এই শিশুরা খুবই অসহায়। ছোট ছোট শিশুরা কব্জি ডুবিয়ে চেয়ার টেবিলে বসে আহার করল ফ্রায়েড রাইস, আলু-ফুলকপির তরকারি, ডিমের ডেভিল, মুরগির মাংস, চাটনি, পাঁপড় ইত্যাদি।রান্না, পরিবেশন সবই করেছেন তেমাথা জোড়াঘাট টোটোস্ট্যান্ডের টোটো চালকরা। তাঁদের উদ্যোগে আপ্লুত হয়ে পড়েন হোমের কর্ণধার। তিনি বলেন, আমরা খুব খুশি। অন্যদিকে ওই টোটো চালকদের পক্ষ থেকে সন্তু মণ্ডল বলেন, আমাদের ভালো লাগছে এই অসহায় শিশুদের পাশে দাঁড়াতে পেরে। আগামী দিনে আরও বড় অনুষ্ঠান করব এদের নিয়ে। সব মিলিয়ে এক অভাবনীয় দৃষ্টান্ত (Picnic) তুলে ধরলেন চন্দননগরের তেমাথা জোড়াঘাট টোটোস্টান্ডের টোটো চালকরা।

    খুশি অনেকেই (Picnic)

    এই ঘটনা কানে গিয়েছে টোটো নির্মাতাদেরও। তাঁরাও খুব খুশি। এমনই একজন বললেন, আমি আপ্লুত। টোটো চালকরা খালি বদনামের ভাগিদার হয়। কিন্তু এইসব ঘটনা কারোর চোখে পড়ে না। আমি আশা করব, আরও বেশি বেশি টোটো চালক এই ধরনের সমাজসেবামূলক কাজে এগিয়ে আসুন। ‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য। একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না?’ বিখ্যাত এই গানটির যথার্থতা বুঝেছেন টোটো চালকরাই। এটাই বলব, সমাজে থাকতে গেলে এই ধরনের কর্মকাণ্ডের (Picnic) সঙ্গে যত বেশি বেশি নিজেকে যুক্ত করতে পারবেন, তত অন্তরাত্মার শান্তি মিলবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jagadhatri Puja 2023: জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন বাংলায় কীভাবে? জানুন ইতিহাস

    Jagadhatri Puja 2023: জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন বাংলায় কীভাবে? জানুন ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজো, ভাইফোঁটার পর এবার জগদ্ধাত্রী পুজো। জগদ্ধাত্রী পুজোকে (Jagadhatri Puja 2023) ঘিরে উৎসবমুখর বাঙালির নজর এবং গন্তব্য থাকে দুটি জায়গায়–একটি কৃষ্ণনগর এবং অপরটি চন্দননগর। রাজনৈতিক দলগুলির সমাবেশ ‘ব্রিগেড চলো’, ‘কলকাতা চলো’ ইত্যাদি নামে পরিচিত। জগদ্ধাত্রী পুজোর দিন কোনও রাজনৈতিক দল ডাক না দিলেও ‘কৃষ্ণনগর চলো’ এবং ‘চন্দননগর চলো’ ডাকে সাড়া দিয়ে হাজির হয় রাজ্যের বড় অংশের মানুষ। সুসজ্জিত মণ্ডপ, দুর্দান্ত আলোকসজ্জা, মাতা জগদ্ধাত্রীর প্রতিমা দেখতে লক্ষ মানুষের সমাগম হয় এই দুই শহরে। জমজমাট জগদ্ধাত্রী পুজোর (Jagadhatri Puja 2023) জন্য ভারতীয় রেল বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থাও করে। রাত বাড়লে মানুষের ঢল নামতে দেখা যায়। কিন্তু জানেন কেন এই দুই শহরের জগদ্ধাত্রী পুজো এত জনপ্রিয়? এর নেপথ্যে ইতিহাস কী? কারা শুরু করেছিল এই পুজো?

    জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন কীভাবে হল?

    উত্তর জানতে আমাদের যেতে হবে নবাব আলিবর্দী খাঁ-এর আমলে। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের কাছে ১২ লক্ষ টাকা নজরানা দাবি করেন নবাব‌। কৃষ্ণচন্দ্র রায় দিতে অপারগ হলে, তাঁকে বন্দি করে নবাবের বাহিনী। মুর্শিদাবাদ অথবা বিহারের মুঙ্গেরে রাজাকে রাখা হয় বলে জানা যায়। মুক্তির পর নদীপথে নিজের রাজ্যে ফিরছিলেন রাজা। এমন সময় বিজয়া দশমীর প্রতিমা নিরঞ্জনের বাজনা শুনে তাঁর অন্তরে আকুলতা তৈরি হয়। দুর্গাপুজোয় অংশ না নিতে পারার আকুলতা। প্রাসাদে ফিরে রাজা মনের দুঃখে ঘুমোতে যান। কথিত আছে, ওই রাতে মাতা দুর্গা রাজাকে স্বপ্ন দেন, শুক্লা নবমী তিথিতে জগদ্ধাত্রী (Jagadhatri Puja 2023) রূপে তাঁকে পুজো করতে হবে। তখন থেকেই নাকি কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা।

    অন্য একটি মতে, ১৭৬৬ সালে কৃষ্ণনগরের রাজবাড়িতে জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা হয়। আবার অনেকে কৃষ্ণচন্দ্রের প্রপৌত্র গিরিশচন্দ্রকে কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রবর্তক মনে করেন। কৃষ্ণনগরের প্রাচীন জগদ্ধাত্রী পুজোগুলোর মধ্যে চাষা পাড়াতে বুড়িমার পুজো অত্যন্ত প্রসিদ্ধ। ৭৫০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার দ্বারা মাতা জগদ্ধাত্রীকে (Jagadhatri Puja 2023) সাজানো হয় এখানে। এই দেবী অত্যন্ত জাগ্রত বলে এলাকার মানুষ মনে করেন এবং দেবী তাঁর ভক্তদের সমস্ত মনস্কামনাও পূর্ণ করেন বলেই বিশ্বাস। এই পুজো শুরু হয় ১৭৯০ সালে। জগদ্ধাত্রী পুজোর দিন কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির দরজা খুলে রাখার রীতি আজও চোখে পড়ে। তৎকালীন কৃষ্ণনগরের রানিমা রাজবাড়িতে বসেই প্রতিমা দর্শন করতেন। নিরঞ্জনের পূর্বে প্রতিমা রাজবাড়ির সামনে থেকে একবার ঘুরিয়ে আনতে হয়, এটাই এখানকার রীতি।

    চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর ইতিহাস

    অন্যদিকে ফরাসি ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল চন্দননগর। এখানকার জগদ্ধাত্রী (Jagadhatri Puja 2023) পুজোর সূচনা করেন ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের অত্যন্ত  ঘনিষ্ঠ ছিলেন ইন্দ্রনারায়ণ। কর্মজীবনে তিনি ছিলেন চন্দননগরের ফরাসি সরকারের দেওয়ান। কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির পুজো দেখে মুগ্ধ হয়ে ইন্দ্রনারায়ণ চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু করেন। তাঁর প্রচলিত পুজো চন্দননগরে আদি পুজো নামে বিখ্যাত। জনশ্রুতি আছে, আদি প্রতিমাকে জলে নিরঞ্জন করা মাত্রই শুশুক বা সাপের দেখা পাওয়া যায়। স্থানীয় বিশ্বাসে এই দেবী অত্যন্ত জাগ্রত এবং ভক্তদের সকল মনস্কামনা পূর্ণ করেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share