Tag: chandrakona

chandrakona

  • Land Encroachment: চন্দ্রকোনায় সরকারি খাসজমি দখলের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে!

    Land Encroachment: চন্দ্রকোনায় সরকারি খাসজমি দখলের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি জমি দখল (Land Encroachment) করার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক বৈঠক করে দিয়েছিলেন উচ্ছেদের নির্দেশ। অথচ শাসক দলের একাধিক নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সরকারি জমি দখল করার ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠেছে। এই আবহের মধ্যে মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায় সরকারি খাস জমি-সহ একটি কবরস্থান দখলের অভিযোগ উঠেছে জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধেই। ঘটনায় অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে।

    স্থানীয়দের অভিযোগ (Land Encroachment)

    গত শুক্রবার কবরস্থান দখলের অভিযোগে এলাকায় ব্যাপক হইচই পড়ে যায়। এরপর এলাকার মানুষ জমিতে বেড়া দিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। তাঁদের অভিযোগ, ওই জমি সরকারি খাতায় করবস্থান বলে পরিচিত। কিন্তু এক প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার মদতে এই জমি রায়তি বলে রেকর্ড করানোর চেষ্টা করা হয়েছে। জমি কেলেঙ্কারির (Land Encroachment) অভিযোগে অভিযুক্ত এই নেতাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা।

    প্রশাসনের বক্তব্য

    জমির শ্রেণী পরিবর্তন করায় ভূমি দফতরের ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে পড়েছে। চন্দ্রকোনা ২ ব্লকের বিডিও উৎপল পাইক বলেছেন, “কবরস্থানটি উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।” আবার চন্দ্রকোনা (Chandrakona) পুরসভার চেয়ারম্যান প্রতিমা পাত্রের বক্তব্য, “অভিযোগ পেয়েছি। পুরসভা কড়া পদক্ষেপ করবে। দখল করা সরকারি জমি (Land Encroachment) পুনরুদ্ধার করা হবে।”

    কবর স্থানের মোট জমি ৩৬ শতক (Land Encroachment)

    চন্দ্রকোনা (Chandrakona) পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের নরহরিহরি মৌজায় নির্দিষ্ট একটি দাগের ৩৬ শতক জমি কবরস্থান বলে উল্লেখ করা ছিল। সেটি বহু আগে থেকেই এলাকায় কবরস্থান নামে পরিচিত। কিন্তু মাত্র একবছর আগে এই জমি দখল (Land Encroachment) হয়ে যায়। একই ভাবে চন্দ্রকোনা শহরের বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া নির্দিষ্ট একটি দাগের মোট ২৮৪ শতক জমি ঘেরা হয়েছিল। এর মধ্যে একটা বড় অংশ রায়ত জমি এবং তার সঙ্গে সরকারি জমিও রয়েছে। রাতারাতি রায়তের ৩৬ শতক কবরস্থান, ডাঙা বাঁশ বাগান হিসাবে দখল করে নিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ জঙ্গি-যোগে চেন্নাইয়ে এসটিএফের জালে মঙ্গলকোটের আনোয়ার!

    জেলা ভূমি দফতরের বক্তব্য

    জেলা ভূমি দফতরের একপদস্থ আধিকারিক বলেছেন, “অভিযোগ ইতিমধ্যেই আমরা পেয়েছি। তদন্ত শেষ হলে তবেই বলা যাবে কতটা জমি দখল (Land Encroachment) হয়েছে। সবটা উদ্ধার করা হবে। জমি পরিবর্তনের বিষয়টিও আমরা খতিয়ে দেখব।” আবার তৃণমূল নেতা হীরালাল ঘোষ বলেছেন, “এই জমি দখলের খবর রাজ্য নেতৃত্বের কাছে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। দলীয় ভাবে তদন্ত করা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC Conflict: নিজেদেরই মহিলা পঞ্চায়েত প্রধানকে চুলের মুঠি ধরে পেটাল তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা

    TMC Conflict: নিজেদেরই মহিলা পঞ্চায়েত প্রধানকে চুলের মুঠি ধরে পেটাল তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসক দলের মহিলা পঞ্চায়েত প্রধানকে চুলের মুঠি ধরে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণায়। তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল (TMC Conflict) একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে প্রধানের ওপর হামলা! (TMC Conflict)

    স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চন্দ্রকোণার বান্দিপুর-১  নং গ্রাম  পঞ্চায়েত অফিসে বসে কাজ করছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান পিঙ্কি দলুই। আচমকাই অফিসের ভিতর ঢুকে পড়েন বেশ কয়েকজন মহিলা। কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই প্রধানের চুলের মুঠি ধরে বেধড়ক মারধর করতে থাকেন তৃণমূল কর্মীরা। এখানেই শেষ নয়, টানতে টানতে বাইরে নিয়ে গিয়ে মাটিতে ফেলে পঞ্চায়েত প্রধানকে লাথি-ঘুষি মারারও অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সামনে এসেছে ইতিমধ্যেই। এই ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (TMC Conflict) প্রকাশ্যে এসেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান। থানায় অভিযোগ হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    আরও পড়ুন: মন্ত্রক বদলাল না শান্তনুর, মোদি মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েই জোড়া দায়িত্ব সুকান্তর

    ব্লক সভাপতির মদতেই হামলা

    পঞ্চায়েত প্রধান পিঙ্কি দলুই বলেন, “তৃণমূলের ব্লক সভাপতির মদতেই আমার ওপর হামলা হয়েছে। আমাকে প্রধানের পদ থেকে সরানোর চেষ্টা চলছে অনেকদিন ধরেই। এদিন দুপুরে আমি কাজ করছিলাম। আচমকাই বেশ কয়েকজন মহিলা আমার ওপর হামলা চালায়। চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে লাথি-ঘুষি মারল তৃণমূল কর্মীরা। হাতে চোট লেগেছে। পায়ে চোট লেগে রক্ত বেরিয়েছে। আমাকে বারবার তোলাবাজি এবং চুরি করতে বলেছিল। তাতে সায় না দেওয়ায় আমার ওপর এই হামলা।”

    তৃণমূলের ব্লক সভাপতি কী সাফাই দিলেন?

    অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি হীরালাল ঘোষ। তিনি বলেন, “পুরো অভিযোগটাই ভিত্তিহীন। আমিও বলতে পারি, আমার ওপর হামলা করা হয়েছে। তথ্যপ্রমাণ চাই।” এই ঘটনায় স্তম্ভিত গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মীরা। অনেকেই এই বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ।

    সরব বিজেপি নেতৃত্ব

    বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুদীপ কুশারি বলেন, মহিলাকে মারধরের ঘটনায় নিন্দা জানাচ্ছি । তবে, তৃণমূলের কোন্দল (TMC Conflict) নিয়ে কোনওরকম আগ্রহ নেই। বরং, এই অবস্থায় এলাকার উন্নয়ন আদৌ হবে তো!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: চন্দ্রকোনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে দলেরই একাধিক গোঁজ প্রার্থী, শোরগোল

    Paschim Medinipur: চন্দ্রকোনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে দলেরই একাধিক গোঁজ প্রার্থী, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টিকিট পাওয়াকে কেন্দ্র করে ভোটের আগে শাসক দলের মধ্যেই প্রধানের সঙ্গে অঞ্চল সভাপতির দ্বন্দ্ব। পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট মেলেনি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের। তাঁর অনুগামীদেরও সেই মতো দেওয়া হয়নি টিকিট। মনোনয়নের শেষ দিনে নির্দল হিসাবে মনোনয়ন জমা দিলেন প্রধানের অনুগামীরা। অপরদিকে প্রধানের পক্ষে যাঁরা দলের টিকিট পেয়েছেন, এমন ৫টি আসনে নির্দল প্রার্থী খাড়া করেছেন অঞ্চল সভাপতি, এমনই দাবি খোদ প্রধানের। একাধিক নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা চন্দ্রকোনাতে (Paschim Medinipur)।

    কেমন ভাবে মনোনয়ন জমা হল?

    ভগবন্তপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের (Paschim Medinipur) আসন সংখ্যা ২১টি। তার মধ্যে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ইসমাইল খানের অনুগামীরা ৫টি টিকিট পেয়েছেন বলে তিনি জানান। অপরদিকে ওই অঞ্চলের অঞ্চল সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়, তিনি নাকি ১৬টি টিকিট পেয়েছেন। এই টিকিট বন্টনকে ঘিরেই উভয়ের মধ্যে বিবাদ প্রকাশ্য আসে। জানা যায়, পঞ্চায়েত প্রধান ইসমাইল খানের অনুগামীরা ১৫টির উপর নির্দল প্রার্থীর মনোনয়ন জমা দিয়েছেন গোঁজ প্রার্থী হিসাবে। প্রধান ইসমাইল খান তাঁর অনুগামীদের নির্দল হিসাবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার ঘটনা স্বীকার করে নেন। টিকিট বন্টনে যে তিনি অসন্তুষ্ট, তাও জানান।

    পঞ্চায়েত প্রধানের বক্তব্য

    ইসমাইল খান বলেন, আমি আশা করেছিলাম দল আমাকে কোথাও একটা জায়গা করে দেবে। কিন্তু তা হয়নি। পাশাপাশি আমার এলাকা মহেশপুর মুড়াকাটা (Paschim Medinipur) সংখ্যালঘু এলাকা। সেখানে ৯টি আসন রয়েছে। সেখানে অন্তত আমাকে টিকিট দেবে, এই আশা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। মাত্র ৫টি আসনে টিকিট দেওয়া হয়েছে। ফলে আমার দলের পুরনো কর্মীদের আমি প্রার্থী করতে পারিনি। ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁরা আমার থেকে সরে গিয়ে নির্দল হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। অঞ্চল সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করে ইসমাইল খান বলেন, যাঁকে দল ১৬টি টিকিট দিল, তিনি আমার অঞ্চলের আমার ৫টি আসনে নির্দল প্রার্থীর মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

    তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতির বক্তব্য

    ভগবন্তপুর (Paschim Medinipur) ১ নং অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় বলেন, দল আগেই ঘোষণা করে দিয়েছে নির্দলদের দলে কোনও স্থান নেই। মনোনয়নের শেষ দিনে কে কত নির্দল দিয়েছে জানি না। তিনি আরও বলেন, প্রধান ইসমাইল খান এবং আমাদের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল নেই। একটাই গোষ্ঠী, একটাই দল, তা হল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে যদি কোনও ক্ষোভ-বিক্ষোভ থেকে নির্দল প্রার্থী দিয়ে থাকে, তাহলে সেই ক্ষোভ প্রশমিত করার দায়িত্ব আমার বলেও জানান অঞ্চল সভাপতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ghatal: ডাইনি অপবাদ! বৃদ্ধ দম্পতিকে বেধড়ক মার, আতঙ্কে ভিটেছাড়া পরিবার

    Ghatal: ডাইনি অপবাদ! বৃদ্ধ দম্পতিকে বেধড়ক মার, আতঙ্কে ভিটেছাড়া পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডাইনি অপবাদ দিয়ে এক বৃদ্ধ দম্পতিকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। প্রতিবেশীদের হামলা থেকে রক্ষা পেতে সপরিবারে বাড়ি ছাড়লেন বৃদ্ধ। প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও মেলেনি সুরাহা, এমনই অভিযোগ পরিবারের। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের (Ghatal) চন্দ্রকোণা-১ নম্বর ব্লকের একটি গ্রামে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছরখানেক ধরে ঘাটালের (Ghatal) ওই গ্রামে একের পর এক বাসিন্দা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। আর এসবের জন্য গ্রামের এক বৃদ্ধকে ডাইনি অপবাদ দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে প্রত্যেক বছরের মতো এবারও গ্রামে শালিক পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। আর সেই পুজো থেকেই এলাকার মাতব্বররা ওই বৃদ্ধকে ডাইনির নিদান দেন। তার পরই ওই বৃদ্ধ ও তাঁর স্ত্রী সহ পরিবারের লোকজনের উপর হামলা চালানো হয়। লাঠি দিয়ে তাঁদের বেধড়ক পেটানো হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম অবস্থায় সপরিবারে ওই বৃদ্ধ গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যান। হামলার জেরে তাঁর পাঁজর ভেঙে যায়। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে, সুস্থ হলেও তিনি আর বাড়ি ফিরতে পারেননি। শেষমেশ  প্রাণভয়ে ওই বৃদ্ধ পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন আত্মীয়ের বাড়িতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

    কী বললেন পরিবারের সদস্য?

    এ বিষয়ে বৃদ্ধের ছেলের অভিযোগ, “একাধিকবার প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোনও সুরাহা হয়নি। আমরা চাই, প্রশাসন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। কুসংস্কার দূর করে আমাদের বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।” গ্রামের মানুষের বক্তব্য , “ওই বৃদ্ধ ডাইনি। তাঁর জন্যই গ্রামের মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।”

    কী বললেন বিডিও?

    চন্দ্রকোণা- ১ নম্বর ব্লকের বিডিও রথীন্দ্রনাথ অধিকারী বলেন, “বিষয়টি আমরা শুনেছি। পুলিশ-প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।” কুসংস্কারের কারণে বসতভিটে ছেড়ে অন্যত্র থাকতে হচ্ছে অসহায় পরিবারকে। প্রশাসন উদ্যোগী হয়ে তাদের ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করে কি না, তার দিকেই তাকিয়ে রয়েছে ওই বৃদ্ধর পরিবার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেকের নবজোয়ারের প্রস্তুতি সভায় তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি! কেন জানেন?

    Abhishek Banerjee: অভিষেকের নবজোয়ারের প্রস্তুতি সভায় তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নবজোয়ার কর্মসূচিকে সামনে রেখে জেলা নেতৃত্বের উপস্থিতিতে প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়। আর সেই সভাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণায়। তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান ও জেলা সভাপতিকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা। সভাস্থলে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতি পর্যন্ত হয়। জেলা নেতৃত্বের সামনেই এই ঘটনা ঘটে। জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যানকে ধাক্কা দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এমনকী তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী চন্দ্রকোণা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হীরালাল ঘোষকে মেরে বাইরে বের করে দেয় বলে অভিযোগ।  পরে, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    শুক্রবার বিকেল নাগাদ চন্দ্রকোণা পুরসভার টাউন হলে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) নবজোয়ার কর্মসূচির একটি প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। চন্দ্রকোণা-২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সেই প্রস্তুতি সভায় ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান অমল পণ্ডা, ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি আশিস হুদাইতসহ জেলা সংগঠনের একাধিক নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আর সেই সভার শুরুতেই তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে যান। কারণ,  রাতারাতি অঞ্চল ও বুথ সভাপতিদের সরিয়ে দেওয়া হয়। সভাস্থলে এসে বিষয়টি জানাজানি হতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূলের চন্দ্রকোনা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হীরালাল ঘোষ,প্রাক্তন ব্লক সভাপতি জগজিৎ সরকারসহ প্রাক্তন বুথ ও অঞ্চল সভাপতি থেকে শুরু করে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা। সভাস্থলের ভিতরে চন্দ্রকোণা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হীরালাল ঘোষসহ তাঁর অনুগামীরা ঢুকে বিক্ষোভ শুরু করেন। আর এতেই দেখা দেয় চরম উত্তেজনা। দফায় দফায় ভিতরে, বাইরে চলে বিক্ষোভ। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হীরালাল ঘোষকে মারধর করে সভাস্থল থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আর এরই মাঝে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান অমল পণ্ডা বাইরে বেরিয়ে এলে তাঁকে ঘিরে ধরে তুমুল বিক্ষোভ দেখান বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের একাংশ। এমনকী সেসময় জেলা চেয়ারম্যানকে ধাক্কা মারতে দেখা যায় এক তৃণমূল কর্মীকে। পরক্ষণে জেলা সভাপতি আশিষ হুদাইত সভাস্থলে উপস্থিত হওয়ার জন্য পৌঁছালে তাঁকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। বাইরে থাকা বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের নেতা কর্মীরা জেলা সভাপতির সঙ্গে সভাস্থলে পুনরায় ঢোকেন। তারপরই শুরু হয়ে যায় তুমুল উত্তেজনা। পরে, চন্দ্রকোণা থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। আর এই ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে।

    কী বললেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতারা?

    বিক্ষোভকারী তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের একাংশের দাবি, অভিষেক (Abhishek Banerjee) আসার আগেই রাতারাতি অঞ্চল ও বুথ সভাপতি পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে। চন্দ্রকোণা-২ ব্লকের সভাপতি প্রসূন ঘোষ ও বিধায়কের নেতৃত্বে বুথ সভাপতি ও অঞ্চল নেতৃত্বদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে ব্লকের তৃণমূল নেতা কর্মীদের একাংশ জানতো না। চন্দ্রকোণা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হীরালাল ঘোষ বলেন, বুক চিতিয়ে যারা দল করে তাদের সরিয়ে দিয়ে সিপিএম, বিজেপি থেকে আসা লোকজনদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা প্রতিবাদ করেছি।

    কী বললেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব?

    যদিও সভাস্থলে গণ্ডগোল নিয়ে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান অমল পণ্ডা বলেন, তেমন কিছু হয়নি,কিছু নেতা কর্মীদের ক্ষোভ ছিল তা তাঁরা জানিয়েছেন। আর আমাকে কেউ ধাক্কাধাক্কি করেনি। আসলে সংসার বড় হয়েছে, তাই একটু মনোমালিন্য হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share