Tag: Chhattisgarh

Chhattisgarh

  • Chhattisgarh: মাথার দাম ছিল ২৫ লক্ষ, দান্তেওয়াড়ায় খতম করা হল শীর্ষ মাওবাদী নেত্রীকে

    Chhattisgarh: মাথার দাম ছিল ২৫ লক্ষ, দান্তেওয়াড়ায় খতম করা হল শীর্ষ মাওবাদী নেত্রীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাথার দাম ছিল ২৫ লক্ষ, দান্তেওয়াড়ায় খতম করা হল শীর্ষ মাও নেত্রী। প্রসঙ্গত, গতকাল রবিবার ৫০ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করে। প্রশাসনের তরফে তখনই জানানো হয়েছিল, হয় অস্ত্র ছাড়ো নয় মরো। এবার সোমবার সকালেই এনরাউন্টারে খতম করা হল ওই মাও নেত্রীকে (Chhattisgarh)। প্রসঙ্গত, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা আজ ৩১ মার্চ একটি মহিলা মাওবাদী নেত্রী দেহ উদ্ধার করেন। তাঁর সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে ইনসাস রাইফেল সমেত গোলা-বারুদ। এর পাশাপাশি প্রাত্যহিক ব্যবহারের অন্যান্য জিনিসপত্রও উদ্ধার (Chhattisgarh) করা হয়েছে।

    অনেক নাম নিয়ে ঘোরাফেরা করতেন ওই মাওবাদী নেত্রী

    দান্তেরওয়ার থেকে উদ্ধার হওয়া (Chhattisgarh) ওই মহিলা মাওবাদী নেত্রীর নাম রেনুকা ওরফে বানু ওরফে চৈতি ওরফে সরস্বতী। এই এতগুলি নাম নিয়ে তিনি ঘোরাফেরা করতেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁর বাড়ি অন্ধ্রপ্রদেশে কদভেন্দি জেলাতে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত আজ সকালেই এই এনকাউন্টার শুরু হয়। এখানেই খতম করা হয় ওই মাওবাদী নেত্রীকে (Maoist)। জানা যাচ্ছে, রেনুকা মাওবাদীদের মিডিয়া ইনচার্জ ছিলেন। রেনুকা দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটির একজন সদস্যও ছিলেন তিনি।

    রবিবার পঞ্চাশ জনেরও বেশি মাওবাদী আত্মসমর্পণ করে

    প্রসঙ্গত, রবিবার পঞ্চাশ জনেরও বেশি মাওবাদী আত্মসমর্পণ করে ছত্তিশগড়ে। সে রাজ্যের বিজাপুর জেলার পুলিশের কাছে এই আত্মসমর্পণ করে মাওবাদীরা। এ নিয়ে জেলার পুলিশ সুপার জিতেন্দ্র যাদব সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘মাওবাদী দমনে আমরা সফল হয়েই চলেছি। হয় তারা আত্মসমর্পণ করুক, নয়তো তাদের গ্রেফতার করা হবে অথবা খতম করা হবে।’’ এই আবহে তাদের (মাওবাদী) সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন অমিত শাহ।

    এটা খুবই আনন্দের মুহূর্ত, সমাজমাধ্যমে পোস্ট অমিত শাহের

    মাওবাদীদের আত্মসমর্পণ নিয়েই সামনে এসেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের একটি সমাজ মাধ্যমের পোস্ট। যেখানে তিনি লিখছেন, ‘‘এটা খুবই আনন্দের মুহূর্ত যে ৫০ জনেরও বেশি মাওবাদী (Chhattisgarh) আজকে আত্মসমর্পণ করেছে বিজাপুর জেলায়। তারা হিংসার পথকে ছেড়েছে। আমি এদের প্রত্যেককে স্বাগত জানাতে চাই। তারা হিংসার পথ এবং অস্ত্র- দুটোকেই ছেড়েছে।’’

  • Chhattisgarh: হয় অস্ত্র ছাড়ো নয় মরো! ছত্তিশগড়ে আত্মসমপর্ণ ৫০ মাওবাদীর, সিদ্ধান্তকে স্বাগত শাহের

    Chhattisgarh: হয় অস্ত্র ছাড়ো নয় মরো! ছত্তিশগড়ে আত্মসমপর্ণ ৫০ মাওবাদীর, সিদ্ধান্তকে স্বাগত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) মাওবাদী দমন অভিযানে ব্যাপক সাফল্যের পরেই রবিবার পঞ্চাশ জনেরও বেশি মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছে। সে রাজ্যের বিজাপুর জেলার পুলিশের কাছে এই আত্মসমর্পণ করে মাওবাদীরা। এ নিয়ে জেলার পুলিশ সুপার জিতেন্দ্র যাদব সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘মাওবাদী দমনে আমরা সফল হয়েই চলেছি। হয় তারা আত্মসমর্পণ করুক, নয়তো তাদের গ্রেফতার করা হবে অথবা খতম করা হবে।’’ এই আবহে তাদের (মাওবাদী) সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন অমিত শাহ।

    এটা খুবই আনন্দের মুহূর্ত, সমাজমাধ্যমে পোস্ট অমিত শাহের

    এ নিয়েই সামনে এসেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের একটি সমাজ মাধ্যমের পোস্ট। যেখানে তিনি লিখছেন, ‘‘এটা খুবই আনন্দের মুহূর্ত যে ৫০ জনেরও বেশি মাওবাদী (Chhattisgarh) আজকে আত্মসমর্পণ করেছে বিজাপুর জেলায়। তারা হিংসার পথকে ছেড়েছে। আমি এদের প্রত্যেককে স্বাগত জানাতে চাই। তারা হিংসার পথ এবং অস্ত্র- দুটোকেই ছেড়েছে।’’

    ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে মাওবাদী মুক্ত হবে দেশ

    তিনি এক্ষেত্রে বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নীতি খুবই পরিষ্কার। যে সমস্ত মাওবাদী (Chhattisgarh) উন্নয়নের পথকে বেছে নেবে এবং অস্ত্র পরিত্যাগ করবে, তাদেরকে নতুনভাবে সমাজের স্রোতে ফিরিয়ে আনা হবে।’’ একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবেদন জানিয়েছেন তাদের উদ্দেশে, যারা এখনও পর্যন্ত অস্ত্র পরিত্যাগ করেনি। ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে মাওবাদীকে দেশ থেকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা হবে।

    কী বলছেন ছত্তিশগড়ের উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মা?

    এ নিয়ে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মা জানিয়েছেন, সরকার সর্বদা বল প্রয়োগ করে মাওবাদী দমনে বিশ্বাস রাখছে না। উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, যারা এই (সশস্ত্র) পথে আছে তারা সেই পথ ছেড়ে দিক। চলতি বছরে ১৩৩ জন মাওবাদীকে মূল স্রোতে ফেরানো গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ছত্তিশগড় সরকারের পরিসংখ্যান বলছে, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ২৮০০ থেকে ২৯০০ মাওবাদী (Maoists) হয় আত্মসমর্পণ করেছে, নয় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে অথবা খতম করা হয়েছে।

  • Maoist Encounter in Bastar: ছত্তিসগড়়ে ফের মাওবাদী দমনে বড় সাফল্য যৌথবাহিনীর, ১ পুলিশ কর্মী সহ হত ২৩

    Maoist Encounter in Bastar: ছত্তিসগড়়ে ফের মাওবাদী দমনে বড় সাফল্য যৌথবাহিনীর, ১ পুলিশ কর্মী সহ হত ২৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিসগড়়ে ফের মাওবাদী দমন (Maoist Encounter in Bastar) অভিযানে বড় সাফল্য পেল যৌথবাহিনী। বৃহস্পতিবার সকালে বিজাপুর এবং কাঁকের জেলায় দু’টি পৃথক সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ২২ জন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। ছত্তিসগড়় পুলিশ জানিয়েছে, পাল্টা হামলায় নিরাপত্তাবাহিনীর এক জন সদস্যেরও মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত আরও দুই। এখনও দু’পক্ষের গুলির লড়াই চলছে।

    কোথায় কোথায় অভিযান

    বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে বিজাপুর ও দান্তেওয়াড়া জেলার সীমানায় দু’পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, ছত্তিসগড় (Chhattisgarh Encounter) পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা এ দিন সকালে গঙ্গালুর থানা এলাকায় মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযানে (Maoist Encounter in Bastar) নামেন। গঙ্গালুর থানা বিজাপুর জেলায়। প্রথম থেকে এলাকা ঘিরে চিরুনি তল্লাশি শুরু হয়। পুলিশ দেখেই এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করে জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা মাওবাদীরা। তাদের গুলিতে মারা যান ছত্তিসগড় ডিসট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডের এক পুলিশ কর্মী। এখনও পর্যন্ত বীজাপুরের জঙ্গল থেকে সংঘর্ষে নিহত ১৮ মাওবাদীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে মাওবাদীদের ব্যবহৃত রাইফেল ও বিস্ফোরক। এখনও গুলির লড়াই বন্ধ হয়নি। কাঙ্কেরের জঙ্গল থেকে পাওয়া গিয়েছে আরও চার মাওবাদীর দেহ। সূত্রের মতে, নিরাপত্তা বাহিনী মাওবাদীদের শীর্ষ নেতাদের একটি দলকে বনাঞ্চলে ঘিরে ফেলেছে এবং দিনের শেষে মৃতদেহের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এখনও তল্লাশি অভিযান চলছে।

    মাওবাদী দমনে পরপর অভিযান

    বস্তার (Maoist Encounter in Bastar) ডিভিশনের অন্তর্গত বিজাপুর এবং কাঁকের জেলার অবুঝমাঢ়ের জঙ্গলে গত কয়েক মাসে নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-এর সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ (পিপল্‌স লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র সঙ্গে নিরাপত্তাবাহিনীর একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত ৯ ফেব্রুয়ারি বিজাপুরে সিআরপিএফ এবং ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৩১ জন মাওবাদী গেরিলা নিহত হয়েছিলেন। গত ১৯ জানুয়ারি থেকে ছত্তিসগড়, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা আন্তঃরাজ্য অভিযান চালাচ্ছে যৌথবাহিনী। ইতিমধ্যেই সংঘর্ষে দুশোর বেশি মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে ওই তিন রাজ্যে। নিহতদের তালিকায় রয়েছেন মাওবাদী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জয়রাম ওরফে চলপতি। আত্মসমর্পণ করেছেন নিহত মাওবাদী নেতা মাল্লোজুলা কোটেশ্বর রাও ওরফে কিষেণজির ভ্রাতৃবধূ বিমলা। তাঁর স্বামী মাল্লোজুলা বেণুগোপাল রাও ওরফে ভূপতি ওরফে বিবেক ওরফে সোনু নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।

    মাওবাদী-মুক্ত দেশ গঠনের দাবি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যেই দেশ থেকে মাওবাদীদের (Maoist Encounter in Bastar) একেবারে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। চলতি বছরে ছত্তিসগড়ের বিভিন্ন এলাকায় মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযানে বড় সাফল্য পেয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘২০২৬ সালের ৩১ মার্চের আগেই আমরা দেশ থেকে নকশালবাদকে নির্মূল করব। যাতে তাঁদের জন্য দেশের কোনও নাগরিককে প্রাণ হারাতে না হয়। এই জন্য আমি আমার সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করছি।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ মতোই বিভিন্ন রাজ্যে মাওবাদী দমনে অভিযান চালাচ্ছে যৌথ বাহিনী। এদিনের অভিযানও তারই অঙ্গ।

  • Maoists Surrender: সরকারি নীতিতেই মিলল সাফল্য! ছত্তিশগড়ে ফের আত্মসমর্পণ এক ঝাঁক মাওবাদীর

    Maoists Surrender: সরকারি নীতিতেই মিলল সাফল্য! ছত্তিশগড়ে ফের আত্মসমর্পণ এক ঝাঁক মাওবাদীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার সাফল্যের মুখ দেখল ‘মাও-দমন অভিযান’। তবে এবার আর অভিযান চালানো হয়নি। তার আগেই আত্মসমর্পণ করলেন ১৯ জন মাওবাদী (Maoists Surrender)। ১৭ মার্চ ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বিজাপুর জেলায় ঘটে আত্মসর্পণের এই ঘটনা। এদিন যাঁরা আত্মসমর্পণ করেছেন, তাঁদের সম্মিলিত পুরস্কার মূল্য ছিল ২৯ লাখ টাকা। জানা গিয়েছে, পুলিশ ও সেন্ট্রাল রিজার্ভের কর্তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন ওই মাওবাদীরা।

    আত্মসমর্পণকারী মাওবাদী (Maoists Surrender)

    আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের মধ্যে কয়েকজন এসিএম, পিপিসিএমের সদস্য হিসেবে সক্রিয় ছিলেন। অন্যরা পিপল লিবারেশন গেরিলা আর্মি এবং নিষিদ্ধ গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত মিলিশিয়া গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে সক্রিয় ছিলেন। তাঁদের প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে এবং রাজ্য সরকারের আত্মসমর্পণ ও পুনর্বাসন নীতির অধীনে তাদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে। এর আগে ১৩ মার্চ বিজাপুর জেলায়ই ১৭ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছিলেন। তারই কয়েকদিন পর ফের ঘটল আত্মসমর্পণের ঘটনা (Maoists Surrender)। আত্মসমর্পণকারীদের মাথার সম্মিলিত পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল ৪০ লাখ টাকা।

    প্রসঙ্গত, রবিবার তেলঙ্গনায়ও আত্মসমর্পণ করেছেন ৬০ জনেরও বেশি মাওবাদী। এঁদের মধ্যে ছত্তিশগড়ের এসিএম পদমর্যাদার এক মাওবাদীও ছিলেন। ১২ মার্চ ছত্তিশগড়ের বর্তমান রাজ্য সরকার মূলধারায় যোগদানকারীদের জন্য একটি নতুন আত্মসমর্পণ ও পুনর্বাসন নীতি ঘোষণা করার পর থেকেই সমাজের মূলস্রোতে ফিরতে দলে দলে আত্মসমর্পণ করছেন মাওবাদীরা।

    আত্মসমর্পণকারীদের সরকারি সাহায্য

    নয়া নীতির মাধ্যমে আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের আর্থিক সহায়তা, শিক্ষা, নিরাপত্তা, পুনর্বাসন এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে রাজ্য সরকার নিশ্চিত করতে চায় যে, যারা হিংসার পথ ত্যাগ করছে, তারা মর্যাদার সঙ্গে জীবন যাপন করতে পারে। উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মাও মাওবাদীদের কাছে অস্ত্র ছেড়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “মাওবাদীদের কাছে আমাদের আবেদন হল, তারা যেন অস্ত্র ছেড়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসে।”

    উল্লেখ্য, ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) সাম্প্রতিক সময়ে মাওবাদী ক্যাডারদের আত্মসমর্পণের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। অস্ত্র সমর্পণ করেছেন বহু উচ্চপদস্থ মাওবাদী নেতা (Maoists Surrender)।

  • CRPF: সিআরপিএফের স্কুলে যাচ্ছে বাড়ির বাচ্চারা, খুশি ছত্তিশগড়ের মাও-অধ্যুষিত এলাকার বাসিন্দারা

    CRPF: সিআরপিএফের স্কুলে যাচ্ছে বাড়ির বাচ্চারা, খুশি ছত্তিশগড়ের মাও-অধ্যুষিত এলাকার বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেন্ট্রাল রিসার্ভ পুলিশ ফোর্স বা সিআরপিএফ (CRPF) ছত্তিশগড়ের সুকমা-বিজাপুর জেলার তেকালগুডেম নামক জায়গাতে স্কুল তৈরি করেছে। এই অঞ্চল একদা মাওবাদী অধ্যুষিত ছিল। কিন্তু ক্রমশই সেখানে মাওবাদীরা কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। অনেক বছর ধরেই মাওবাদীরা এই অঞ্চলে যেকোনও ধরনের পরিকাঠামো নির্মাণ তথাপি স্কুল নির্মাণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যারাই এই কাজগুলো করতে যেত তাদেরই প্রাণ বিপন্ন হয়ে উঠত। কিন্তু বর্তমানে সে সমস্যা মিটেছে। সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (CRPF) ওই অঞ্চলে স্কুল তৈরি করেছে। পরিচালনায় বাহিনীর ১৫০ নম্বর ব্যাটালিয়ন।

    কী বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    ওই অঞ্চলের একজন স্থানীয় বাসিন্দা সংবাদমাধ্যমকে জানান যে, আমাদের গ্রামে আগে কখনও স্কুল (CRPF) ছিল না এবং মাওবাদীরা এই অঞ্চলের দাপিয়ে বেড়াত। যে কোনও রকমের স্কুল তৈরিতেও তারা বাধা দিত। যদি কেউ স্কুল তৈরি করতে চেয়েছে, এমন কয়েকজনকে তারা হত্যাও করেছে। কিন্তু আমরা এখন ধন্যবাদ জানাতে চাই সিআরপিএফ-কে (Chhattisgarh)। আমাদের কাছে এখন স্কুল আছে। আমাদের বাচ্চারা এখন স্কুলে যেতে প্রতিনিয়ত এবং তারা সেখানে খাবার পাবে।

    কী বললেন জেলার পুলিশ সুপার?

    সিআরপিএফ (CRPF) জওয়ানদের প্রচেষ্টাতেই তৈরি হয় এই স্কুল এবং সেখানে সহযোগিতা করে জেলা পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন। এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেলার পুলিশ সুপার কিরণ গঙ্গারাম চৌহান বলেন, ‘‘যে মাওবাদী মুক্ত অভিযান চলছে সুকমা জেলাতে, সেই অভিযানেরই অন্যতম অংশ হল নতুনভাবে স্কুল তৈরি করা। সিআরপিএফ জেলা পুলিশ এবং প্রশাসনের সহায়তায় আমরা বেশ কিছু স্কুল এখানে তৈরি করতে পেরেছি এবং বাড়ির ছোট ছোট বাচ্চারা সেখানে যাচ্ছে। তারা খাবার, বই এবং খেলার নানা সামগ্রী পাচ্ছে। ২০২৪ সাল থেকে এই উদ্যোগ শুরু হয়েছে এবং গ্রামের মানুষজন প্রশাসনকে যথেষ্ট বিশ্বাস করছে।’’ প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ এ দেশে মাওবাদীদের শেষ দিন হতে চলেছে (Chhattisgarh)। তার আগেই দেশ থেকে নির্মূল করা হবে মাওবাদীদের। গত বছরই এনকাউন্টারে খতম হয়েছে ২০৭ জন মাওবাদী।

  • Chhattisgarh Urban Bodies Election: ছত্তিশগড়ে পুরনির্বাচনে বিজেপির জয়জয়কার, রায়গড়ে মেয়র হলেন চাওয়ালা জীবর্ধন

    Chhattisgarh Urban Bodies Election: ছত্তিশগড়ে পুরনির্বাচনে বিজেপির জয়জয়কার, রায়গড়ে মেয়র হলেন চাওয়ালা জীবর্ধন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ের রং এখন গেরুয়া। ছত্তিশগড়ে স্থানীয় নির্বাচনেও (Chhattisgarh Urban Bodies Election) বিরাট জয় পেল বিজেপি। শনিবার সমস্ত মেয়র পদেই জয় পেয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও রাই ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এটা ছত্তিশগড় বিজেপির জন্য একটা ঐতিহাসিক দিন। ছত্তিশগড় পুরসভার নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীরা ১০টা আসনেই জয় পেয়েছে। বিপুল মার্জিনে জয় পেয়েছেন তারা। কংগ্রেস একটা আসনেও জিততে পারেনি। বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপর ভরসা রাখার জন্য সমস্ত ভোটারদের ধন্য়বাদ জানান তিনি।

    নাড্ডার শুভেচ্ছা

    ভোটের ফল ঘোষণার পরে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ছত্তিশগড়ে বিজেপির সভাপতি ও ছত্তিশগড়ে মুখ্য়মন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এই বিপুল বিজয়ের জন্য। জেপি নাড্ডা এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, এই ঐতিহাসিক জয় হল মানুষের আস্থা জনকল্যাণমুখী স্কিম ও আদিবাসী কল্যাণে নিয়োজিত স্কিমগুলির উপর। ডাবল ইঞ্জিন সরকার এই স্কিমগুলি প্রয়োগ করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গাইডেন্সে এই কর্মকাণ্ড চলছে। কার্যত ছত্তিশগড় থেকে ধুয়ে মুছে যাচ্ছে কংগ্রেস। একের পর এক ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। এবার পুরসভাগুলির ভোটেও বিজেপিরই জয় জয়কার।

    চা-ওয়ালা থেকে মেয়র

    একজন চাওয়ালার দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে বসার নজির আগেই দেখেছে দেশ। এবার এক চা বিক্রেতাকে মেয়রও হতে দেখল ছত্তিশগড়। নির্বাচনী লড়াইয়ে কংগ্রেসকে ‘নাকের জলে, চোখের জলে’ করে রায়গড় শহরের মেয়র হলেন বিজেপি নেতা জীবর্ধন চৌহান। তাঁর এই সাফল্য এখন মুখে মুখে ফিরছে। শূন্য থেকে শুরু করে শীর্ষে উঠে চৌহান হয়ে উঠেছেন নয়া অনুপ্রেরণা। এই ঘটনার পর স্থানীয় বিধায়ক ওপি চৌধুরী বলেন, ‘এই জয় ঐতিহাসিক জয়।’ জয়ের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে চৌহান বলেন, “যেদিন আমি খবর পেয়েছিলাম একজন চাওয়ালাকে মেয়র পদের জন্য মনোনীত করা হয়েছে, সেদিন বিশ্বাস করতে পারিনি। দীর্ঘ বছর ধরে আমি সংঘের সঙ্গে যুক্ত। অবশেষে এই সাফল্যে আমার অত্যন্ত আনন্দিত। আমি সংঘ, বিজেপি ও বিধায়ক ওপি সিংকে ধন্যবাদ জানাই, যারা আমার মতো একজন গরিব মানুষকে এই পদের যোগ্য বলে মনে করেছেন ও আমায় লড়াইয়ের সুযোগ দিয়েছেন।”

  • BJP: ১৩ মাস আগেই গঠিত হয় সরকার, বিজেপি জমানায় ছত্তিশগড়ে খতম ৩০০ মাওবাদী, গ্রেফতার ১,১০০

    BJP: ১৩ মাস আগেই গঠিত হয় সরকার, বিজেপি জমানায় ছত্তিশগড়ে খতম ৩০০ মাওবাদী, গ্রেফতার ১,১০০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাওবাদী (Maoists) দমন অভিযানের তীব্রতা আরও বাড়াল সরকার। মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযানে নিরাপত্তাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে ছত্তিশগড়ের বিজেপি (BJP) সরকার। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আগেই বার্তা দিয়েছিলেন, ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যেই দেশকে মাওবাদী মুক্ত করা হবে। এই কারণেই গত কয়েক মাস ধরে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে বাহিনীর অভিযান আরও জোরদার হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

    মাওবাদ দমনে বড় সাফল্য

    প্রসঙ্গত, রবিবারই বস্তারের জঙ্গলে প্রশিক্ষিত কমান্ডোদের একটি বাহিনী অভিযানে যায়। দলটিতে ছিলেন ৬০০ জন কমান্ডো। সেই অভিযানেই দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় বলে জানা গিয়েছে। সেই সংঘর্ষে ৩১ জন মাওবাদী নিহত হন। শহিদ হন বাহিনীর দুই জওয়ানও। রবিবারের মাওবাদী দমনের ওই অভিযানকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ‘বড় সাফল্য’ বলে দাবি করেন। এ বছরে এখনও পর্যন্ত ৮১ জন মাওবাদী নিহত হয়েছে বলে প্রশাসন জানিয়েছে।

    ১৩ মাসে হত ৩৫৮ মাওবাদী

    ছত্তিশগড় রাজ্য প্রশাসনের একটি সূত্র জানিয়েছে, বিগত ১৩ মাসে ছত্তিশগড়ে বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৩৫৮ জন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। গ্রেফতার করা হয়েছে ১,১৭৭ জন মাওবাদীকে। আত্মসমর্পণ করেছেন ৯৮৫ মাওবাদী। এটাকেই মাওবাদ দমনে বড় সাফল্য বলে মনে করছে রাজ্য প্রশাসন। প্রতিনিয়ত অভিযানের গতি বাড়ছে। আরও বেশি ধারালো করা হচ্ছে মাওবাদ বিরোধী অভিযান। মাওবাদীদের নিকেশ করতে একেবারে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাতে চাইছে বাহিনী।

    বিজেপি (BJP) সরকার ক্ষমতায় আসতেই শুরু জোরালো অভিযান

    ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ছত্তিশগড়ে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসে বিজেপি (BJP)। গেরুয়া শিবিরের (BJP) মুখ্যমন্ত্রী হন বিষ্ণু দেও সাই। তিনি রাজ্যের দায়িত্ব নেওয়ার পরেই মাওবাদীদের বিরুদ্ধে বাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন, এমনটাই খবর সূত্রের। ঠিক এই কারণেই গত এক বছরের মধ্যে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযানের গতি আরও জোরালো হয়েছে। ২০২৪ সালে ২১৯ জন মাওবাদী নিহত হয়েছেন বলে প্রশাসন সূত্রের দাবি।

  • Maoists Death: ছত্তিশগড়ে এনকাউন্টারে খতম ৩১ মাওবাদী, চলছে অভিযান

    Maoists Death: ছত্তিশগড়ে এনকাউন্টারে খতম ৩১ মাওবাদী, চলছে অভিযান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাওবাদী দমনে ফের বড়সড় সাফল্য পেল যৌথবাহিনী। রবিবার সকালে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বিজাপুর জেলায় যৌথবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম হন ৩১ জন মাওবাদী (Maoists Death)। শহিদ হয়েছেন নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্যও। জখমও হয়েছেন দুজন। সপ্তাহখানেক আগেই এই বিজাপুরেই নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারে নিকেশ হয়েছিল অন্তত ১৮ জন মাওবাদী। এদিন দুপুর পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, মাওবাদীদের খোঁজে চলছে অভিযান।

    পুলিশের বক্তব্য (Maoists Death)

    ছত্তিশগড় পুলিশের এক কর্তা বলেন, “শুক্রবার বিজাপুরের জঙ্গল এলাকায় মাওবাদীদের পশ্চিম বস্তার ডিভিশনের সদস্যদের উপস্থিতি সম্পর্ক খবর মেলে সূত্র মারফত। তার পরেই ওই এলাকায় অভিযান শুরু করে সিআরপিএফ, ছত্তিশগড় সশস্ত্র পুলিশ এবং কোবরা ইউনিটের সদস্যরা। শনিবার রাত থেকে শুরু হয় গুলির লড়াই। রবিবার সকালে উদ্ধার হয় ৩১ জন মাওবাদীর দেহ।” চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি থেকে বস্তার ডিভিশনজুড়ে নতুন করে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে যৌথবাহিনী। বিজাপুর ও সুকমার পাশাপাশি নারায়ণপুর, দান্তেওয়াড়া, জগদলপুর, কাঁকের এবং কোন্ডাগাঁও জেলার পাহাড় জঙ্গলেও চলছে তল্লাশি অভিযান। তার জেরেই হচ্ছে এনকাউন্টার। নিকেশ হচ্ছেন একের পর এক মাওবাদী। যাঁদের অনেকেরই মাথার দাম কোটি টাকা।

    মাও গেরিলাদের সমাজের মূল স্রোতে ফেরানোর চেষ্টা

    মাও-দমন অভিযান চালানোর পাশাপাশি চলছে মাও গেরিলাদের সমাজের মূল স্রোতে শামিল করানোর প্রয়াস (Maoists Death)। প্রশাসনের এই প্রচারে সাড়া দিয়ে ইতিমধ্যেই আত্মসমর্পণ করেছেন গান্ধী তাঁতি ওরফে কমলেশ এবং মাইনু ওরফে হেমলাল কোররাম, রঞ্জিত লেকামি ওরফে অর্জুন এবং তাঁর স্ত্রী কোসি ওরফে কাজলের মতো মাওবাদীরা।

    নতুন বছরের প্রথম থেকে এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে এনকাউন্টারে ছত্তিশগড়ে নিকেশ হয়েছে প্রায় ৬০ জন মাওবাদী। এর মধ্যে ৩৪ জনই বস্তারের। মাওবাদীদের আক্রমণে শহিদ হয়েছেন ১১জন জওয়ান এবং একজন সাধারণ নাগরিক। এদিকে, নকশাল-মুক্ত ঘোষণা করা হল কর্ণাটককে। তার আগে আত্মসমর্পণ করেছেন শেষ মাওবাদী। চিক্কমাগালুরু জেলায় আত্মসমর্পণ করেছেন ওই মাওবাদী। পুলিশ সুপার বিক্রম আমাথে বলেন, “এই আত্মসমর্পণের সঙ্গে সঙ্গে এখন সম্পূর্ণ নকশাল-মুক্ত হল কর্ণাটক।”

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ এ দেশে মাওবাদীদের শেষ দিন হতে চলেছে (Chhattisgarh)। তার আগেই দেশ থেকে নির্মূল করা হবে মাওবাদীদের। গত বছরই এনকাউন্টারে খতম হয়েছে ২০৭ জন মাওবাদী (Maoists Death)।

  • Maoist Guerrilla Killed: মাও দমনে ফের সাফল্য, ছত্তিশগড়ে এনকাউন্টারে খতম ১

    Maoist Guerrilla Killed: মাও দমনে ফের সাফল্য, ছত্তিশগড়ে এনকাউন্টারে খতম ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাও দমনে ফের মিলল সাফল্য। সোমবার, বসন্ত পঞ্চমীর দিন দুপুরে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বস্তার ডিভিশনের কাঁকের জেলায় গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হল মাওবাদীদের (Maoist Guerrilla Killed) সশস্ত্র শাখা পিএলজিএর এক সদস্যের। এ নিয়ে গত মাসের অভিযানে বস্তার ডিভিশনে সিপিআই মাওবাদীর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রামচন্দ্র রেড্ডি ওরফে চলপতি-সহ মোট ৩৪ জন গেরিলা খতম হল। শনিবারই রাতে কাঁকেরের পাশের জেলা বিজাপুরে এনকাউন্টারে নিকেশ হয়েছিলেন আট মাওবাদী।

    মাও দমনে অভিযান (Maoist Guerrilla Killed)

    এদিন উত্তর বস্তার ও মাঢ় ডিভিশনের সীমানায় অবুঝমারের জঙ্গলের দুর্গম এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী বিএসএফ, ছত্তিশগড় সশস্ত্র পুলিশ ও ডিসট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড বাহিনীর যৌথ অভিযানে এই সাফল্য মিলেছে বলে দাবি পুলিশের। গত ৩ জানুয়ারি থেকে বস্তার ডিভিশনজুড়ে নতুন করে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে যৌথবাহিনী। বিজাপুর ও সুকমার পাশাপাশি মাও অধ্যুষিত নারায়ণপুর, দন্তেওয়াড়া, জগদলপুর, কাঁকের এবং কোন্ডাগাঁও জেলার পাহাড়-জঙ্গলেও চলছে নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি অভিযান।

    পুলিশ কর্তার বক্তব্য

    অভিযানের পাশাপাশি মাওবাদীদের সমাজের মূল স্রোতে ফেরার জন্য ধারাবাহিক প্রচারও চালানো হচ্ছে। প্রশাসনের সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইতিমধ্যেই আত্মসমর্পণ করেছেন গান্ধী তাঁতি ওরফে কমলেশ, মাইনু ওরফে হেমলাল কোররাম, রঞ্জিত লেকামি ওরফে অর্জুন এবং তাঁর স্ত্রী কোসি ওরফে (Maoist Guerrilla Killed) কাজল। ছত্তিশগড় পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “বেশ কয়েকজন মাওবাদী খতম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জখমও হয়েছেন অল্প কয়েকজন। মাওবাদীদের খোঁজে জারি রয়েছে তল্লাশি অভিযান।”

    প্রসঙ্গত, নতুন বছরের প্রথম থেকে এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে এনকাউন্টারে ছত্তিশগড়ে নিকেশ হয়েছে ৫০ জন মাওবাদী। এর মধ্যে ৩৪ জনই বস্তারের। মাওবাদীদের আক্রমণে শহিদ হয়েছেন ৯জন জওয়ান এবং একজন সাধারণ নাগরিক। এদিকে, নকশাল-মুক্ত ঘোষণা করা হল কর্ণাটককে। তার আগে আত্মসমর্পণ করেছেন শেষ মাওবাদী। চিক্কমাগালুরু জেলায় আত্মসমর্পণ করেছেন ওই মাওবাদী। পুলিশ সুপার বিক্রম আমাথে বলেন, “এই আত্মসমর্পণের সঙ্গে সঙ্গে এখন সম্পূর্ণ নকশাল-মুক্ত হল কর্ণাটক।”

    প্রসঙ্গত, শুক্রবারই নিঃশর্তে শৃঙ্গেরিতে এসপি আমাথের কাছে আত্মসমর্পণ করেন বছর চুয়াল্লিশের কোটেহোল্ডা রবীন্দ্র (Chhattisgarh)। তিনি ‘এ’ ক্যাটেগরির নকশাল (Maoist Guerrilla Killed)।

  • Chhattisgarh: ছত্তিশগড়ের চিলকাপল্লী গ্রামে স্বাধীনতার পরে প্রথম পৌঁছল বিদ্যুতের আলো

    Chhattisgarh: ছত্তিশগড়ের চিলকাপল্লী গ্রামে স্বাধীনতার পরে প্রথম পৌঁছল বিদ্যুতের আলো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড় (Chhattisgarh) রাজ্যের চিলকাপল্লী গ্রাম। স্বাধীনতার পর এই গ্রামে প্রথম পৌঁছল বিদ্যুৎ। জেলা সদর শহর বিজাপুর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই গ্রামে খুশিতে মেতেছেন বাসিন্দারা। প্রসঙ্গত, চিলকাপল্লী হল ষষ্ঠ গ্রাম বিজাপুর জেলার, যেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছল। ছত্তিশগড় রাজ্যের কর্মসূচি ‘নিয়াজ নেলানার’ প্রকল্প অনুযায়ী এই বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। বিজাপুরের জেলাশাসক সম্বিত মিশ্র এ নিয়ে নিজের খুশি প্রকাশ করেন। তিনি জানান, আরও অনেক গ্রামে পৌঁছে যাবে বিদ্যুতের আলো।

    কী বললেন জেলাশাসক?

    সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সম্বিত মিশ্র বলেন, ‘‘এটা সত্যিই খুব আনন্দের যে চিলকাপল্লী (Chilkapalli) গ্রামে গত ২৩ জানুয়ারি বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছেছে। এটা হল বিজাপুরের (Chhattisgarh) ষষ্ঠ গ্রাম। যেখানে আমরা বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছে দিতে পেরেছি। আমরা আশাবাদী আগামী কয়েক মাসের ভিতরে আরও অনেক গ্রামে আমরা বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দিতে সক্ষম হব।’’ প্রসঙ্গত, নিয়ত নিলানা প্রকল্প চালু করেছেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও সাঁই। এই প্রকল্পে লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে যে উপজাতি অধ্যুষিত প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে বিদ্যুৎ পরিষেবা সঙ্গে নিত্যপ্রয়োজনীয় যা কিছু সুবিধা সেই সবকিছুকে পৌঁছে দেওয়া হবে। প্রত্যন্ত গ্রামগুলিকে একটি আদর্শ গ্রাম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করাও লক্ষ্য এই কর্মসূচির। এই প্রকল্পের আওতায় বিদ্যুৎ পরিষেবার সঙ্গে সঙ্গে পানীয় জল, রাস্তা, ব্রিজ, স্কুল- এই সব কিছুই গড়ে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, চিলকাপল্লীর (Chhattisgarh) বাসিন্দারা বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছানোয় খুশিতে মেতে ওঠেন। তাঁদের মতে, এটি উন্নয়নের একটি বড় ধাপ।

    কী বলছেন গ্রামের বাসিন্দারা?

    গ্রামের একজন উপজাতি মহিলা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘আগে আমাদের গ্রামে কোনও বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না। কিন্তু বর্তমানে নতুন সংযোগ এসেছে। এর ফলে আমরা রান্না করতে পারব এবং আমাদের ছেলেরা রাত্রিবেলায় পড়াশোনা করতে পারবে।’’ অন্য আর একজন বাসিন্দা বলেন, ‘‘বর্তমানে আমাদের গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ আছে। আমরা এখন টিভি দেখতে পাচ্ছি। রান্না করতে পারছি এবং রাত্রিবেলায়ও আমরা বাইরে বেরোতে পারছি।’’ এ নিয়ে ছত্তিশগড় রাজ্যের বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মচারী সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘প্রত্যন্ত গ্রাম চিলকাপল্লীতে (Chhattisgarh) বিদ্যুৎ পরিষেবা নিয়ে যাওয়া যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং ছিল কিন্তু আমরা তিন চার মাসের প্রচেষ্টায় তা করতে সমর্থ হয়েছি।’’ প্রসঙ্গত, এই গ্রাম নকশাল অধ্যুষিত এলাকা বলে পরিচিত। বর্তমানে এখানে উন্নয়ন যেমন পৌঁছে যাচ্ছে, তেমনই সিআরপিএফ জওয়ানরাও নজরদারি চালাচ্ছেন।

LinkedIn
Share