Tag: Chief Justice of India

Chief Justice of India

  • D Y Chandrachud: বাবার মতো ছেলেও বসতে চলেছে দেশের প্রধান বিচারপতির পদে, চিনে নিন কারা?

    D Y Chandrachud: বাবার মতো ছেলেও বসতে চলেছে দেশের প্রধান বিচারপতির পদে, চিনে নিন কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকালই সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি (Chief Justice of India) হিসাবে ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের (D Y Chandrachud) নাম প্রস্তাব করেছেন বর্তমান সিজেআই উদয় উমেশ ললিত। মঙ্গলবার সকালে শীর্ষ আদালতের বিচারপতিদের বৈঠকে উত্তরসূরির নাম প্রস্তাব করে কেন্দ্রের হাতে চিঠি তুলে দেন তিনি। 

    প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণা অবসর নেওয়ার পর চলতি বছরের ২৭ অগাস্ট প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন ইউ ইউ ললিত। চলতি বছরের ৮ নভেম্বর তাঁর অবসর নেওয়ার কথা। তারপর ৯ নভেম্বর প্রধান বিচারপতির পদে বসবেন চন্দ্রচূড়। কার্যকালের মেয়াদ হবে দু বছর। নিয়ম অনুযায়ী, দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিই অবসরগ্রহণের আগে পরবর্তী বিচারপতির নাম প্রস্তাব করে যান। সেই প্রথা মেনেই, ললিতের সুপারিশে দেশের ৫০তম প্রধান বিচারপতি হতে চলেছেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।   

    আরও পড়ুন: অভিযুক্ত কাশির সিরাপের সমস্ত উৎপাদন বন্ধ করা হয়েছে, জানাল হরিয়ানা সরকার 

    পুরো নাম ধনঞ্জয় যশবন্ত চন্দ্রচূড় (Dhananjaya Yeshwant Chandrachud)৷ তাঁর জন্ম ১৯৫৯ সালের ১১ নভেম্বর ৷ ১৯৯৮ সালে দেশের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল পদে নিযুক্ত বিচারপতি চন্দ্রচূড়। ২০১৩ সালে এলাহাবাদ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথগ্রহণ করেন। বম্বে হাইকোর্টের দায়িত্বও কিছুদিন পালন করেছেন। ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হন। পারিবারিক সূত্রেই আইনি পেশায় এসেছিলেন বিচারপতি চন্দ্রচূড় ৷   

    বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি জাতীয় আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের (National Legal Services Authority) চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন বিচারপতি চন্দ্রচূড় ৷ দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হলে, এই প্রথম প্রধান বিচারপতির পদে বসার রেকর্ড তৈরি করবে বাবা-ছেলের জুটি ! 
     
    বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বাবা ওয়াই ভি চন্দ্রচূড়ও দেশের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। ১৯৭৮ সালে থেকে ৮৫ সাল পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি পদে নিযুক্ত ছিলেন তিনি। ওয়াই ভি চন্দ্রচূড়ই এখন অবধি সব থেকে বেশি সময় পদে থাকা প্রধান বিচারপতি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • CJI UU Lalit: প্রধান বিচারপতি পদে শপথ ললিতের, লক্ষ্য, দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি করা

    CJI UU Lalit: প্রধান বিচারপতি পদে শপথ ললিতের, লক্ষ্য, দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি করা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ৪৯তম প্রধান বিচারপতি (CJI) পদে শপথ নিলেন উদয় উমেশ ললিত (UU Lalit)। শনিবার তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। এদিন সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে ললিতকে শপথবাক্য পাঠ করান দেশের পঞ্চদশতম রাষ্ট্রপতি। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি পদে অবসর নিয়েছেন এনভি রামানা (NV Ramana)। তাঁরই স্থলাভিষিক্ত হলেন প্রধান বিচারপতি ললিত। প্রথা অনুযায়ী, অবসর গ্রহণের আগে আগে পরবর্তী প্রধান বিচারপতির নাম প্রস্তাব করেন প্রধান বিচারপতি। সেই মতো ললিতের নাম প্রস্তাব করেন রামানাই। পরে তাতে সিলমোহর দেন রাষ্ট্রপতি। প্রসঙ্গত, মাত্র ৭৪ দিনের জন্য প্রধান বিচারপতি পদ অলঙ্কৃত করবেন ললিত। কারণ সুপ্রিম কোর্টে অবসর গ্রহণের বয়স ৬৫ বছর।  

    এদিনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ললিত পরিবারের তিন প্রজন্ম। এবং তিনজনেই রয়েছেন আইনি পেশায়। ললিতের বাবা উমেশ রঙ্গনাথ ললিতের বয়স ৯০। প্রবীণ এই আইনবিদ হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। তাঁর বাবা রঙ্গনাথ ললিত স্বাধীনতার আগে সোলাপুরের আইনজীবী ছিলেন। এদিনের অনুষ্ঠানে দুই ছেলেকে নিয়ে উপস্থিত ছিলেন ললিতের স্ত্রী অমিতা। নয়ডায় তিনি একটি স্কুল চালান। তাঁর দুই ছেলে হর্ষদ ও শ্রীয়েশ ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তেন। পরে শ্রীয়েশ আইনের পাঠ নেন। তাঁর স্ত্রী রবীনাও রয়েছেন আইনি পেশায়।

    মহারাষ্ট্রে বাস ললিত পরিবারের। ১৯৮০ সালে দিল্লি আসেন দেশের বর্তমান প্রধান বিচারপতি। তার আগে তিনি প্র্যাকটিস করতেন বম্বে হাইকোর্টে। পরবর্তীকালে সুপ্রিম কোর্টে প্র্যাকটিস করতে শুরু করেন ললিত। দ্রুত নাম করেন ফৌজদারি মামলায়। যেসব হাই-প্রোফাইল মামলা তিনি লড়েছেন, তার মধ্যে উল্লেযোগ্য হল ২জি স্পেকট্রাম অ্যালোকেশন মামলা। ওই মামলায় ললিত নিযুক্ত হয়েছিলেন স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে। ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন ললিত। আইনি দক্ষতার জেরে ল’ ইয়ার থেকে সরসরি ওই পদে বসেন তিনি। তার পর প্রধান বিচারপতি পদে। ললিত বলেন, আমি বিশ্বাস করি যে দেশের শীর্ষ আদালতের ভূমিকা হল আইনের ব্যাখ্যা দেওয়া। বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠিয়ে যত দ্রুত সম্ভব মামলার নিষ্পত্তি করা।

    আরও পড়ুন : খয়রাতি ও জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের মধ্যে বিভাজন রেখা প্রয়োজন, মত সুপ্রিম কোর্টের

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • CJI U U Lalit: দেশের ৪৯তম প্রধান বিচারপতি হচ্ছেন উদয় উমেশ ললিত, জানেন তিনি কে?

    CJI U U Lalit: দেশের ৪৯তম প্রধান বিচারপতি হচ্ছেন উদয় উমেশ ললিত, জানেন তিনি কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের প্রধান বিচারপতি (Cheif Justice of India) পদের দায়িত্ব নিতে চলেছেন উদয় উমেশ ললিত (Uday Umesh Lalit)। দেশের ৪৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে তাঁকে নিযুক্ত করতে চলেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি। ভারতের দ্বিতীয় বিচার বিভাগীয় প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হচ্ছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: উত্তরসূরির নাম সুপারিশ করলেন এনভি রমানা, কে হবেন প্রধান বিচারপতি?     

    উদয় উমেশ ললিত মুম্বইয়ের ল কলেজে পড়াশোনা করেছেন। ১৯৮৫ সাল অবধি তিনি বোম্বে হাইকোর্টে প্র্যাক্টিশ করতেন। ১৯৮৬ সালে দিল্লিতে পাড়ি দেন তিনি। ১৯৮৬-১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল সোলি জে সোবারজির সঙ্গে কর্মরত ছিলেন। আগামী ২৭ অগস্ট তিনি শপথ গ্রহণ করবেন বলে সূত্রের খবর। ৬৪ বছর বয়সী জাস্টিস ললিতের জীবনে বেশ কিছু ঐতিহাসিক রায় রয়েছে।   
     
    প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা তাঁর নাম সুপারিশ করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। আগামী ৮ নভেম্বরই অবসরগ্রহণ করতে পারেন জাস্টিস ললিত। অত্যন্ত কম সময়ের জন্য় তিনি এই পদে বসছেন। জাস্টিস ললিত দ্বিতীয় প্রধান বিচারপতি হতে চলেছেন যিনি সরাসরি বার থেকে শীর্ষ আদালতের শীর্ষ পদে বসতে চলেছেন। এর আগে ভারতের ১৩তম প্রধান বিচারপতি জাস্টিস এসএম সিকরি সরাসরি শীর্ষ আদালতের বেঞ্চে বসেছিলেন। 

    আরও পড়ুন: বিচারালয় শুধুমাত্র সংবিধানের কাছেই দায়বদ্ধ, মন্তব্য দেশের মুখ্যবিচারপতির

    ২০১৪ সালের ১৩ অগাস্ট সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিযুক্ত হন জাস্টিস ললিত। তার সময়কালে একের পর এক দৃষ্টান্তমূলক রায় দিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল তিন তালাক প্রত্যাহার এবং তিন তালাককে ‘অকার্যকর’, ‘অবৈধ’ এবং ‘অসাংবিধানিক’ ঘোষণা করা। ২০১৯ সালে রাজনৈতিভাবে সংবেদনশীল বাবরি মসজিদ মামলার শুনানি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করেছিলেন তিনি। তাঁর আর এক দৃষ্টান্তমূলক রায় হল পক্সো আইনের আওতায় ‘স্কিন টু স্কিন’ থিওরি বাতিল। হাইকোর্ট বলেছিল নিপীড়িতের সঙ্গে অভিযুক্তের সরাসরি ত্বকের যোগাযোগ না হলে অভিযুক্ত  দোষী সাব্যস্থ হবে না। এই রায় বাতিল করে ললিত বলেন যৌন আক্রমণের ক্ষেত্রে ত্বকের সঙ্গে ত্বকের যোগাযোগের থেকেও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যৌন অভিপ্রায়। টু জি স্পেকট্রাম মামলায় সিবিআই-এর পক্ষে বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর নিযুক্ত করা হয়েছিল।   

    আইনজীবী হিসেবে একাধিক হাই প্রোফাইল মামলায় যুক্ত ছিলেন বিচারপতি ললিত। দেশের প্রাক্তন সেনা প্রধান ভিকে সিংহ, পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহ, সলমন খানের হয়ে মামলা লড়েছেন তিনি। দেশের বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হয়েও সোহরাবউদ্দিন শেখ এবং তুলসিরাম প্রজাপতি হত্যা মামলায় সওয়াল করেন জাস্টিস ললিত। 

  • Chief Justice of India: উত্তরসূরির নাম সুপারিশ করলেন এনভি রমানা, কে হবেন প্রধান বিচারপতি?   

    Chief Justice of India: উত্তরসূরির নাম সুপারিশ করলেন এনভি রমানা, কে হবেন প্রধান বিচারপতি?   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে সরকারের কাছে বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের (UU Lalit) নাম সুপারিশ করলেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি এনভি রমানা (NV Ramana)। রমানা অবসর নেবেন চলতি মাসের ২৬ তারিখে। তাই তাঁর উত্তরসূরির নামের সুপারিশ চেয়ে চিঠি পাঠানো হয় ভারতের প্রধান বিচারপতিকে (CJI)। সেই চিঠির জবাবেই বিচারপতি ললিতের নাম সুপারিশ করেন রমানা।

    প্রথা অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টের সব চেয়ে প্রবীণ বিচারপতিই বসেন প্রধান বিচারপতির চেয়ারে। সেই মতো ললিতই হলেন রমানার পরে সব চেয়ে প্রবীণ বিচারপতি। রমানার প্রস্তাব  আইনমন্ত্রী অনুমোদন করলে দেশের ৫৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেবেন ললিত। তবে এই পদে তিনি থাকবেন মাত্র ৭৪ দিন। ওই পদে তাঁকে বসানো হলে অবসর গ্রহণের দিন হবে ৮ নভেম্বর। তাঁর পরে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ওই পদে বসার কথা।

    আরও পড়ুন : ভোটারদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় অর্থনীতি, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    প্রসঙ্গত, বিচারপতি হিসেবে ললিতই হবেন দেশের দ্বিতীয় প্রধান বিচারপতি যিনি বার কাউন্সিল থেকে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চে যাবেন। তাঁর আগে এভাবে প্রধান বিচারপতির পদ অলঙ্কৃত করেছিলেন বিচারপতি এসএম সিক্রি। ১৯৭১ সালের জানুয়ারি মাসে দেশের ১৩তম প্রধান বিচারপতি পদে বসেছিলেন।

    আইনজীবী হিসেবে বম্বে হাইকোর্টে প্র্যাকটিস শুরু করেন ললিত। পরে চলে আসেন দেশের শীর্ষ আদালতে। এখানেই একের পর এক সাড়া জাগানো মামলায় অংশ নেন তিনি। সিবিআইয়ের হয়ে টু-জি স্পকট্রাম মামলায় স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর হয়েছিলেন ললিত। ২০১৪ সালের ১৩ অগাস্ট সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করা হয় ললিতকে। তাঁর বাবা বিচারপতি ইউআর ললিত ছিলেন প্রবীণ অ্যাডভোকেট এবং দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি। তাঁর উল্লেখযোগ্য রায়গুলি মধ্যে রয়েছে তিন তালাককে অসাংবিধানিক ঘোষণা। অযোধ্যার বাবরি মসজিদ মামলা থেকেও নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। বম্বে হাইকোর্টের বিতর্কিত স্কিন টু স্কিন রায় খারিজ করে দেন ললিতের বেঞ্চ।

    আরও পড়ুন : উপাসনাস্থল আইনের বিরোধিতায় নতুন কোনও আবেদন নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

  • CJI NV Ramana: বিচারালয় শুধুমাত্র সংবিধানের কাছেই দায়বদ্ধ, মন্তব্য দেশের মুখ্যবিচারপতির

    CJI NV Ramana: বিচারালয় শুধুমাত্র সংবিধানের কাছেই দায়বদ্ধ, মন্তব্য দেশের মুখ্যবিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বরাবর নিজের নীতি এবং আদর্শে অবিচল থাকতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। স্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেছেন নিজের মতামত, পছন্দ-অপছন্দ। দায়িত্বের শেষ লগ্নে এসেও ব্যক্তিত্বের সেই বলিষ্ঠতা বজায় রাখলেন দেশের মুখ্যবিচারপতির (Chief Justice of India) এনভি রামানা (NV Ramana)। আমেরিকার স্যানফ্রান্সিসকোয় প্রবাসী ভারতীয়দের পরিচালিত একটি বিশেষ সম্মানজ্ঞাপন  অনুষ্ঠানে দৃপ্ত কন্ঠে তিনি বলেন, বিচারালয় শুধুমাত্র সংবিধানের কাছেই দায়বদ্ধ। বিচার ব্যবস্থা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির মনোভাবেরও তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। শনিবার আমেরিকার ওই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “সরকারপক্ষ চায় বিচারালয় তাদের সব সিদ্ধান্তকেই মান্যতা দিক, বিরোধী দলগুলি মনে করে তাদের বক্তব্যকেই গুরুত্ব দেওয়া উচিত। প্রধান বিচারপতির বক্তব্য, বিচারালয় শুধুমাত্র সংবিধানের কাছেই দায়বদ্ধ, অন্য কারও কাছে নয়।”

    আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপীকাণ্ডে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ জমিয়ত-উলেমা-ই-হিন্দ   

    বর্তমানে ইউরোপ ও আমেরিকা সফরে রয়েছেন মুখ্যবিচারপতি রামানা। এদিনের অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, “এবার আমরা স্বাধীনতার ৭৫ তম এবং প্রজাতন্ত্রের ৭২ বছর পালন করছি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমরা এখনও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ও তার ভূমিকার বিষয়ে পুরোপুরি ওয়াকিবহাল নই। সংবিধানের গণতান্ত্রিক কার্যকারিতা সম্পর্কে দেশবাসী এখনও সম্পূর্ণভাবে অবগত নয়।”   

    মুখ্যবিচারপতির মতে, সংবিধান ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সাধারণ মানুষের অজ্ঞতা রয়েছে। তিনি মনে করেন এ বিষয়ে মানুষকে জানানো প্রয়োজন, প্রচারের প্রয়োজন।

    আরও পড়ুন: গুজরাট হিংসায় মোদির ক্লিনচিট বহাল সুপ্রিম কোর্টের, বিরোধীদের নিশানা বিজেপির

    প্রবাসী বাঙালিদের উদ্দেশ্যেও এদিন তিনি বলেন, “দেশ ছেড়ে চলে গেলেও, দেশের সামাজিক পরিস্থিতি সম্পর্কে উদাসীনতা কাম্য নয়। আজ হয়ত আপনারা কোটিপতি হয়ে গিয়েছেন। কিন্তু সেই সম্পদ উপভোগ করতে হলেও চারপাশে শান্তি থাকা কাম্য। দেশে আপনাদের বাবা-মা রয়েছেন। তাঁরা যাতে ঘৃণামুক্ত সমাজে বসবাস করতে পারেন, তাও দেখা জরুরি। ভারত-আমেরিকা এই দুই দেশই বৈচিত্রের জন্যে পরিচিত। বিভাজন নয় বৈচিত্রকে বাঁচিয়ে রাখুন।”  

    তিনি আরও বলেন, “যে বিষয়গুলি আমাদের একত্রিত করে রাখে, সেগুলিতে জোর দেওয়া প্রয়োজন। বিভাজন করে এমন বিষয়ে গুরুত্ব দেবেন না। ২১ শতাব্দীতে আমাদের মনে কোনও সংকীর্নতাকে স্থান দেওয়া উচিত নয়।”

    বিচারপতি রামানা সমাজে মহিলাদের ভূমিকা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এদিন বলেন, “একজন পুরুষের ক্ষমতায়ণে একটি ক্ষমতাশীল মানুষের জন্ম হয়। কিন্তু একজন মহিলার ক্ষমতায়ণে সমাজের ক্ষমতায়ণ হয়।” 

     

     

LinkedIn
Share