Tag: Chief Minister Yogi Adityanath

Chief Minister Yogi Adityanath

  • Maha Kumbh 2025: “সনাতন ধর্মই মানব ধর্ম”, প্রয়াগরাজে গিয়ে ফের মনে করালেন যোগী

    Maha Kumbh 2025: “সনাতন ধর্মই মানব ধর্ম”, প্রয়াগরাজে গিয়ে ফের মনে করালেন যোগী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সনাতন ধর্মই মানব ধর্ম”। শনিবার ফের একবার মনে করিয়ে দিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। মৌনী অমাবস্যায় প্রয়াগরাজের গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতীর ত্রিবেণী সঙ্গমে (Maha Kumbh 2025) অমৃতস্নান করতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় কয়েকজন পুণ্যার্থীর। তার পর এদিন কুম্ভে যান যোগী।

    ধর্মসভায় যোগ যোগীর (Maha Kumbh 2025)

    সেক্টর ২২-এ দুই পূজনীয় সন্তের পট্টাভিষেক উপলক্ষে আয়োজিত ধর্মসভায় যোগ দেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি সন্তদের আশীর্বাদ গ্রহণ করেন। নবনিযুক্ত জগৎ গুরুদের অভিনন্দনও জানান। এদিন যে দুই সন্তের পট্টাভিষেক হয়, তাঁরা হলেন সন্তোষ দাস সতুয়া বাবা এবং স্বামী রাম কমলাচার্য। তুলসী পীঠাধিশ্বর জগৎ গুরু স্বামী রামভদ্রাচার্য দুই সন্তকে জগৎ গুরু পদের জন্য মনোনীত করেন। এই অনুষ্ঠানেই উপস্থিত ছিলেন যোগী। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “আপনারা সকলেই সনাতন ধর্মের স্তম্ভ। বিপরীত পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে এই অভিযানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। কারণ সনাতন ধর্মই মানব ধর্ম। সনাতন ধর্ম থাকবে তো মানব ধর্ম থাকবে, মানবতা থাকবে, সৃষ্টি থাকবে।”

    প্রসঙ্গ সনাতন ধর্ম

    সনাতন ধর্ম প্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনারা দেখেছেন, যারা সনাতন ধর্মের বিরোধী, তারা চেষ্টা করছিল যাতে সন্তদের ধৈর্যচ্যুতি ঘটে এবং তারা উপহাস করতে পারে। কিন্তু আমি পূজনীয় সন্তদের প্রশংসা করব, যাঁরা সেই পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরে পুণ্যাত্মাদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন এবং মা গঙ্গার প্রতি তাঁদের দায়িত্ব পালন করে এই আয়োজন সফল (Maha Kumbh 2025) করে তুলেছেন।”

    তিনি বলেন, “এই প্রেরণায় গত ১৯ দিনে ৩২ কোটিরও বেশি পুণ্যার্থী জলে ডুব দিয়ে পুণ্যের অংশীদার হয়েছেন। কিছু মানুষ বিভ্রান্ত করে সনাতন ধর্মের প্রতিটি বিষয়ে ষড়যন্ত্র করতে ছাড়ে না।” যোগী বলেন, “রাম জন্মভূমি থেকে আজ পর্যন্ত তাদের আচরণ সকলেরই জানা। এমন মানুষদের থেকে সাবধান হয়ে সনাতন ধর্মের আদর্শ ও মূল্যবোধ নিয়ে এই পূজনীয় সন্তদের সান্নিধ্যে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। যতক্ষণ পূজনীয় (Yogi Adityanath) সন্তদের সম্মান আছে, সনাতন ধর্মের কেউ ক্ষতি করতে পারবে না (Maha Kumbh 2025)।” প্রসঙ্গত, সোমবারই রয়েছে বসন্ত পঞ্চমীর অমৃতস্নান যোগ।

  • ABVP: এবিভিপির ৭০ তম রাষ্ট্রীয় অধিবেশনে ভাষণ দেবেন যোগী আদিত্যনাথ

    ABVP: এবিভিপির ৭০ তম রাষ্ট্রীয় অধিবেশনে ভাষণ দেবেন যোগী আদিত্যনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (ABVP) ৭০ তম রাষ্ট্রীয় অধিবেশনে ভাষণ দেবেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Chief Minister Yogi Adityanath)। জানা গিয়েছে, আগামীকাল রবিবার, ২৪ নভেম্বর গোরক্ষপুরে দেশের প্রতি ছাত্রসমাজের দায়িত্ব এবং কর্তব্য সম্পর্কে এই ভাষণ দেবেন তিনি। খবর ছড়িয়ে পড়তেই উদ্বেলিত ছাত্রসমাজ। 

    ভারত সহ নেপালের ৪৪টি প্রদেশের প্রতিনিধিদের যোগদান(ABVP)

    ১৯৪৯ সালের ৯ জুলাই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ তথা এবিভিপি (ABVP)। এই বছর ৭০ তম রাষ্ট্রীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভারত সহ নেপালের ৪৪টি প্রদেশ থেকে মোট ১৫০০ ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, অধ্যাপক, গবেষক সম্মলেনে অংশ গ্রহণ করেছেন। ২৪ নভেম্বরে অনুষ্ঠিত অধ্যাপক যশবন্তরাও কেলকর যুব পুরস্কারের অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী (Chief Minister Yogi Adityanath)। এই অনুষ্ঠানে পুরস্কার দেওয়া হবে মহারাষ্ট্রের বিশিষ্ট সমাজসেবী দীপেশ নায়ারকে। তিনি সামজিক ক্ষেত্রে শিক্ষার প্রগতি বিস্তারে কাজ করছেন। বিশেষ করে শরীরীক প্রতিবন্ধীদের ব্যক্তিদের পড়াশুনা করানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকেন। পুরস্কার স্বরূপ ১ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করা হবে তাঁকে।

    উদ্যোগ, কর্মসংস্থান, আত্মনির্ভরতা

    উল্লেখ্য, প্রখ্যাত ভারতীয় ব্যবসায়ী এবং জোহা কর্পোরেশনের সিইও শ্রীধর ভেম্বু ২২ নভেম্বর এই এবিভিপির (ABVP) রাষ্ট্রীয় সম্মলেনের উদ্বোধন করেন। এদিন তিনি ভাষণ দিতে গিয়ে যুব সমাজের উদ্যোগ, কর্মসংস্থান, আত্মনির্ভরতা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার প্রয়োগের বিষয়ে অপার সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।

    একই ভাবে এবিভিপির নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক বীরেন্দ্র সোলাঙ্কি বলেন, “এবিভিপি এই বিশেষ সম্মলেনের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের মানববিদ্যা, বিজ্ঞান, ম্যানেজমেন্ট, প্রকৌশল, চিকিৎসা-সহ ইত্যাদি বিষয়ে যোগদানের জন্য উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণার কাজ করছে। সেই সঙ্গে একটি যুব পুরস্কার দেওয়া হয়। সমাজ এবং জাতির প্রতি কর্তব্যের ভাবনা দিয়ে কাজকে প্রধান্য দেওয় হয়। দিব্যাঙ্গ ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে জ্ঞানের আলো পৌঁছে দিতে বিরাট কাজ করছেন শ্রী দীপেশ নায়ার। জীবনকে অর্থপূর্ণ এবং সার্থক করতে এই উদ্যোগ অত্যন্ত অপরিহার্য।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: ৮ হাজার কিমি হেঁটে রামের জন্য সোনার পাদুকা আনছেন হায়দরাবাদের চার্লা শ্রীনিবাস

    Ram Mandir: ৮ হাজার কিমি হেঁটে রামের জন্য সোনার পাদুকা আনছেন হায়দরাবাদের চার্লা শ্রীনিবাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হায়দরাবাদ থেকে চার্লা শ্রীনিবাস শাস্ত্রী (৬৪) আট হাজার কিলোমিটার তীর্থযাত্রা করে অযোধ্যা পৌঁছাতে চলেছেন দিন কয়েকের মধ্যেই। ১ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত রামের পাদুকা নিয়ে তিনি পৌঁছাবেন রামনগরীতে (Ram Mandir)। ওই পাদুকা দুটি রুপোর তৈরি এবং সোনা দিয়ে মোড়া বলে জানা গিয়েছে। এক একটির ওজন ১২ কেজি। এর আগে, রাম জন্মভূমিতে (Ram Mandir) আড়াই কোজি ওজনের পাঁচটি রুপোর ইট প্রদান করেছিলেন শাস্ত্রী। প্রসঙ্গত, ২২ জানুয়ারি রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগেই অবশ্য অযোধ্যা পৌঁছানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর (শাস্ত্রী)।

    রামের বনবাসে যাওয়ার পথেই হাঁটছেন শাস্ত্রী

    জানা গিয়েছে, অযোধ্যা-রামেশ্বরমের পথেই হাঁটছেন শ্রীনিবাস শাস্ত্রী। প্রসঙ্গত এটাই হল রামচন্দ্রের বনবাসের পথ। তবে তিনি (শাস্ত্রী) দক্ষিণ থেকে উত্তরে আসছেন, এটাই পার্থক্য। গত বছরের ২০ জুলাই এই তীর্থযাত্রা শুরু করেন শাস্ত্রী। তীর্থপথের মাঝখানে প্রসিদ্ধ স্থান, যেখানে রামচন্দ্র শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বলে বিশ্বাস রয়েছে ভক্তদের, সেখানেও গিয়েছেন তিনি। ওড়িশা রাজ্যের পুরী, মহারাষ্ট্রের ত্রিম্বক, গুজরাটের দ্বারকা এই সমস্ত তীর্থভূমি ঘুরে তিনি অযোধ্যার খুব কাছেই চলে এসেছেন। প্রতিদিন ৩৮ কিলোমিটার করে পথ হাঁটছেন।

    কী বলছেন চার্লা শ্রীনিবাস শাস্ত্রী?

    শাস্ত্রীর সঙ্গে রয়েছে রামের পাদুকা (Ram Mandir) ছাড়াও পঞ্চধাতুর রামের মূর্তি। নিজের মাথায় তিনি তা বয়ে চলেছেন। পঞ্চধাতুর মূর্তি তিনি প্রদান করতে চান উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে। প্রসঙ্গত, তাঁর এই যাত্রার বিষয়ে শাস্ত্রী বলেন, ‘‘আমার বাবাও অযোধ্যাতে করসেবায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ভগবান হনুমানের ভক্ত ছিলেন। তাঁরও স্বপ্ন ছিল অযোধ্যার ভূমিতে রাম মন্দির দেখে যাওয়া। কিন্তু তিনি বর্তমানে বেঁচে নেই। তাই আমি স্থির করলাম তাঁর স্বপ্নকে পূরণ করার।’’ বর্তমানে তিনি চিত্রকোটে রয়েছেন, যেখান থেকে অযোধ্যা দূরত্ব ২৭২ কিলোমিটার। শাস্ত্রীর সঙ্গে আরও পাঁচজন রয়েছেন, যাঁরা তাঁর সঙ্গে তীর্থযাত্রা করছেন। তবে প্রথমে তাঁর সঙ্গে যাত্রায় সামিল হয়েছিলেন ২০ জন। তাঁরা ফিরে গিয়েছেন। জানা গিয়েছে অযোধ্যাতে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চান শাস্ত্রী এবং সেখানে একটি বাড়িও নির্মাণ করতে চাইছেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya Airport: উদ্বোধনের মুখে রামমন্দির, ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তৈরি হচ্ছে অযোধ্যার বিমানবন্দর

    Ayodhya Airport: উদ্বোধনের মুখে রামমন্দির, ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তৈরি হচ্ছে অযোধ্যার বিমানবন্দর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বছরের ২২ জানুয়ারি রামের বিগ্রহে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঠিক তার আগে শনিবারই উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘোষণা করলেন যে প্রথম ধাপে অযোধ্যার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরির কাজ শেষ হবে আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে। অযোধ্যার ওই বিমানবন্দরেরও (Ayodhya Airport) নামও রামের নামেই,’মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রীরাম ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট’। রামনগরী আগামীদিনে সারা পৃথিবীর হিন্দুদের কাছেই পবিত্র তীর্থস্থান হয় উঠতে চলেছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই রাম ভক্তরা আসবেন অযোধ্য়ায় (Ayodhya Airport)। সে কথা মাথায় রেখেই দ্রুত কাজ শেষ করতে চাইছে যোগী সরকার।

    শনিবার বিমানবন্দর পরিদর্শনে যোগী আদিত্যনাথ

    শনিবারই বিমানবন্দরে পরিদর্শন করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তখনই তিনি বিমানবন্দরের প্রথম ধাপের কাজ শেষ করার ঘোষণা করেন। এদিন তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিমানমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এবং বিমান-মন্ত্রকের (Ayodhya Airport) প্রতিমন্ত্রী ভিকে সিং। ভিকে সিং এদিন বলেন, ‘‘অযোধ্যা নতুন ভারতের অন্যতম ভরকেন্দ্র হতে চলেছে এবং এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দূরদর্শিতা কারণে।’’ প্রসঙ্গত, রামমন্দির নির্মাণকে কেন্দ্র করে বদলে গিয়েছে, সম্পূর্ণ অযোধ্যার চিত্র। বাড়ছে ব্যবসা-বাণিজ্য। ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা, রামমন্দিরের আন্তর্জাতিক গুরুত্ব রয়েছে। দিন কয়েক আগেই থাইল্যান্ড থেকেও এসেছে মাটি। সম্প্রতি, ব্যাঙ্ককে বিশ্ব হিন্দু সম্মেলনে ঘোষণাও করা হয় যে ২০০টি দেশে সম্প্রচার করা হবে রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।

    রামনগরীর বিমানবন্দরে তিনটি উড়ান সম্ভব প্রতি ঘণ্টায়

    এদিন উচ্চস্তরের বৈঠকের পরে যোগী আদিত্যনাথ ঘোষণা করেন যে অযোধ্যা সমেত গোটা রাজ্যেই সরকার উন্নয়নের জন্য দায়বদ্ধ। রামনগরী অযোধ্যাতে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ আগামীদিনেও চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি। অন্য দিকে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেন, ‘‘অযোধ্যায় এই বিমানবন্দরে (Ayodhya Airport) প্রথম ধাপে ৬৫ হাজার বর্গফুট টার্মিনাল তৈরি করা গিয়েছে। তিনটি উড়ান সম্ভব প্রতি ঘণ্টায়।’’ ২,২০০ মিটার রানওয়ে রয়েছে রামনগরীর বিমানবন্দরে। মন্ত্রী আরও বলেন যে ওই রানওয়েকে বাড়ানো হবে ৩,৭০০মিটার পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Halal-Certified Products: যোগী রাজ্যে নিষিদ্ধ হল হালাল সার্টিফিকেটযুক্ত পণ্য

    Halal-Certified Products: যোগী রাজ্যে নিষিদ্ধ হল হালাল সার্টিফিকেটযুক্ত পণ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হালাল সার্টিফায়েড (Halal-Certified Products) পণ্যের বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করল উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার। শনিবার সন্ধ্যায় যোগী সরকারের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেখানেই সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় যে হালাল সার্টিফিকেটযুক্ত যে কোনও রকমের পণ্যের উৎপাদন, সংরক্ষণ, বিতরণ এবং বিক্রি নিষিদ্ধ করা হল। প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশে এই অভিযোগ বারবার উঠেছে যে জাল নথি দেখিয়ে হালাল সার্টিফিকেটযুক্ত পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।

    জঙ্গি সংগঠনগুলিকে ফান্ডিং করা হত?

    এই অভিযোগের ভিত্তিতে যোগী রাজ্যের পুলিশ একাধিক সংস্থা এবং ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের করে। আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে যে হালাল সার্টিফায়েড (Halal-Certified Products) পণ্য বিক্রির মাধ্যমে টাকা সন্ত্রাসবাদীদের ফান্ডিং-এর কাজে ব্যবহার করা হত। দেশবিরোধী কার্যকলাপগুলির সঙ্গে এভাবেই জড়িয়ে পড়ছিলেন হালাল সার্টিফিকেটযুক্ত পণ্য বিক্রেতারা। জঙ্গিদের ফান্ডিং ও বেআইনি ব্যবসা বন্ধ করতেই এই পদক্ষেপ যোগী সরকার নিল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। উত্তরপ্রদেশের থানাগুলিতে একাধিক ব্যবসায়ীর নামে এফআইআর দায়ের করা হয় এই মর্মে।

    সাহসী সিদ্ধান্ত যোগী সরকারের 

    নিত্যপ্রয়োজনীয় যে কোনও ধরনের জিনিস তা সে দুগ্ধজাত সামগ্রী হোক অথবা মাংস কিংবা গায়ে মাখার সাবান, এই সবকিছুই হালাল সার্টিফিকেট (Halal-Certified Products) দিয়ে বিক্রি করা হতো। যোগী রাজ্যের পুলিশ জানিয়েছে, টুথপেস্ট, প্রসাধনিক সামগ্রী, তেল এগুলো এই তালিকার বাইরে ছিল না এবং এর সবটাই করা হচ্ছিল জাল নথি দেখিয়ে। হালাল বিষয়টি ধর্মের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই স্পর্শকাতর এই বিষয়টির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে যোগী আদিত্যনাথ সরকার যথেষ্ট সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের বিজেপি যুব সংগঠন ভারতীয় যুব মোর্চার এক নেতা এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগ অনুযায়ী, কিছু কোম্পানি হালাল সার্টিফিকেটযুক্ত পণ্য বিক্রি করছে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মধ্যে বিক্রি বাড়ানোর জন্য।

    হালাল আসলে কি?

    হালাল একটি আরবি শব্দ। এর অর্থ জানতে হলে আমাদের বুঝতে হবে হারাম কী? ইসলামে বহুল প্রচলিত শব্দ হল হারাম। যে কোনও নিষিদ্ধ বস্তুকে বোঝাতে হারাম শব্দ ব্যবহার করা হয় ইসলামে। এটিও একটি আরবি শব্দ। হারাম শব্দের বিপরীত শব্দ হল হালাল। অর্থাৎ যা কিনা গ্রহণ করা যায় ইসলাম সম্মতভাবে। মূলত যে পশুর মাংস খাওয়া হয় ইসলামের রীতি অনুযায়ী সেটিকেই হালাল বলা যায়। আড়াই পোচে জবাই করা পশুর মাংস হল হালাল। অন্যদিকে যে পশুকে এক কোপে জবাই করা হয় তা হারাম হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, হালাল বিধি অনুযায়ী কোনও ধারালো ছুরি দিয়ে পশুর গলার শিরা বা শ্বাসনালীকে কেটে দেওয়া হয়। তবে কোনওভাবেই যেন মেরুদণ্ডের হার না কাটে। জবাই করার সময় পশুর মুখ থাকতে হবে মক্কার দিকে। এই বিধি না মেনে যদি কোনও পশুকে জবাই করা হয়, তাহলে সেটি হারাম হয়ে যাবে। ইসলামের নিয়ম অনুযায়ী সেই মাংস মুসলমানদের জন্য নিষিদ্ধ। পরবর্তীকালে হালাল শব্দটি ইসলামের ব্যবহারযোগ্য যে কোনও বস্তুর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হতে থাকে। হালাল সার্টিফায়েডযুক্ত (Halal-Certified Products) মানে তা ইসলামের নিয়ম রীতি মেনে তৈরি করা হয়েছে। খুব সরল কথায় বলতে গেলে ইসলামের আইন মেনে তৈরি করা হয়েছে যে কোনও জিনিসই হল হালাল। নিরামিষ খাবার, প্রসাধনিক ইত্যাদিও এখন হালাল সার্টিফিকেটযুক্ত হয়। ইসলামিক রীতি অনুযায়ী তা তৈরি হয়েছে কিনা, সেটা দেখার দায়িত্ব রয়েছে জমিয়ত-উলেমা-ই-মহারাষ্ট্র, জমিয়ত-উলেমায়ে-হিন্দ-হালাল ট্রাস্ট এই সমস্ত সংস্থাগুলির ওপর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share