Tag: Child Death

Child Death

  • Hospital: জীবিত শিশুকে মৃত বলে ঘোষণার অভিযোগ, গ্রামীণ হাসপাতালে রাতভর বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

    Hospital: জীবিত শিশুকে মৃত বলে ঘোষণার অভিযোগ, গ্রামীণ হাসপাতালে রাতভর বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার রাতে এলাকারই একটি পাঁচদিনের অসুস্থ শিশুকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে (Hospital) নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন বলে অভিযোগ। শিশুটিকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন চিকিৎসক। শিশুটিকে মৃত ভেবে বাড়িতে নিয়ে চলে গেলে সে নাকি পুনরায় শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে শুরু করে এবং হাত-পা নাড়া শুরু করে। এরপরই বাড়ির লোক তৎক্ষণাৎ তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক চাঁচল মহকুমা হাসপাতালে রেফার করে দেন। সেখানে পৌঁছলে ডাক্তাররা মৃত ঘোষণা করেন শিশুটিকে। এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ঘেরাও করে গভীর রাতে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার ভালুকা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ঘটনা। গভীর রাতে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের জেরে চাঞ্চল্য ছড়ায় ভালুকা এলাকা জুড়ে। খবর পেয়ে এলাকায় ছুটে যায় ভালুকা ফাঁড়ির বিশাল পুলিশ বাহিনী। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভালুকা এলাকার গোবরা গ্রামের বাসিন্দা তপন মহালদারের পাঁচদিনের শিশু রাতে অসুস্থ হয়ে পড়ায় বাড়ির লোক তাকে স্থানীয় ভালুকা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে (Hospital) নিয়ে আসেন। সেখানে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার আই ফারানা ইয়াসমিন শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন এবং তৎক্ষণাৎ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। বাড়ির লোক শিশুটিকে বাড়িতে নিয়ে এলে শিশুটি চোখ মেলে তাকায় এবং শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে শুরু করে। পুনরায় ওই শিশুকে ভালুকা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চাঁচলে রেফার করেন। সেখানে ওই শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তবে চাঁচল মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, আর কিছুক্ষণ আগে আনলেই শিশুটিকে বাঁচানো যেত। এই ঘটনা জানার পরে শিশুটির আত্মীয়-স্বজন এবং গ্রামবাসীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে ভালুকা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এবং দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও করে রাখেন। তাঁদের অভিযোগ, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকের গাফিলতির কারণে শিশুটি মারা গেল। এর দায় কে নেবে। গ্রামবাসীরা ভালুকা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক আই ফারানা ইয়াসমিনের উপযুক্ত শাস্তির দাবি তুলেছেন। তাঁদের দাবি, ভালুকা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে উপযুক্ত চিকিৎসকের ব্যবস্থা করতে হবে। না হলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে শামিল হবেন। বিক্ষোভকারী এক গ্রামবাসী নীরদ চৌধুরী বলেন, ভালুকা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকের গাফিলতির কারণে আজকে এই শিশুর মৃত্যু হল। আমরা চাই ওই চিকিৎসকের যেন উপযুক্ত শাস্তি হয়।

    কী বললেন অভিযুক্ত চিকিৎসক?

    এদিকে অভিযুক্ত ওই চিকিৎসক জানান, শিশুটিকে যখন হাসপাতালে (Hospital) নিয়ে আসা হয়, তার আগেই শিশুটি মারা গিয়েছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Accident: বেহালার পর ফের দুর্ঘটনা শহরে! সৌরনীলের মৃত্যুর পর রাতারাতি বদলে গেল ট্রাফিক নিরাপত্তা

    Kolkata Accident: বেহালার পর ফের দুর্ঘটনা শহরে! সৌরনীলের মৃত্যুর পর রাতারাতি বদলে গেল ট্রাফিক নিরাপত্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেহালায় (Behala) ট্রাকের ধাক্কায় ৭ বছরের শিশুর মৃত্যুর পর শুক্রবার রাতে ফের এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন হাওড়ার এক যুবতী। মৃতের নাম সুনন্দা দাস। কলকাতার ধর্মতলা এলাকার এক হোটেলের কর্মী ছিলেন সুনন্দা। হাওড়ার নেতাজি সুভাষ রোডের বাসিন্দা তিনি। শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ স্কুটি চালিয়ে দ্বিতীয় হুগলি সেতু দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন সুনন্দা। ফ্লাইওভারে ওঠার মুখে পিছন থেকে একটি লরি এসে স্কুটিতে ধাক্কা মারে। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছন কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা। লরির ধাক্কায় সুনন্দার শরীরের একাংশ গাড়ির তলায় পিষে যায় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তাঁকে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকেরা সুনন্দাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ লরিটিকে আটক করলেও ঘটনাস্থল থেকে পলাতক লরির চালক।

    ট্রাক চলাচলে নয়া নিয়ম

    বেহালায় স্কুল ছাত্রের মৃত্যুর পর অবশেষে টনক নড়ল পুলিশের (Police)। লালবাজারের (Lalbazar) নির্দেশ, সকাল ৬টার পর কলকাতায় (Kolkata) ঢুকবে না কোনও ট্রাক। আজ থেকেই চালু হয়েছে এই নিয়ম। মৌখিকভাবে সমস্ত ট্রাফিক গার্ডকে ইতিমধ্যেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি হোক বা বেসরকারি, কলকাতার সমস্ত স্কুলের বাইরে থাকতে হবে ওসি বা অ্যাডিশনাল ওসি পদমর্যাদার একজন অফিসারকে। সমস্ত স্কুলের বাইরে যান নিয়ন্ত্রণ ও ভিড় সামলাতে থাকবে পুলিশ। গতকাল পথ দুর্ঘটনায় শিশু মৃত্যুর পরের দিন বদলে গেল বেহালা চৌরাস্তার ছবিও। 

    আরও পড়ুন: ‘‘গলায় গামছা দিয়ে পদত্যাগ করুন পুলিশ কমিশনার’’, বেহালা কাণ্ডে মন্তব্য শুভেন্দুর

    বদলে গেল বেহালার ছবি

    রাতারাতি পাল্টে দিল বেহালা চৌরাস্তা এলাকার ট্রাফিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শহরের অন্যান্য গুরত্বপূর্ণ মোড়গুলির মত বেহালা চৌরাস্তায় শুক্রবার রাতেই বসিয়ে দেওয়া হয়েছে ম্যানুয়াল ড্রপ গেট। জেব্রা ক্রসিংয়ের ঠিক সমান্তরাল ভাবেই। দড়ির বাঁধনের কন্ট্রোলে পুলিশকর্মীরা ড্রপ গেট তুলছেন এবং নামিয়ে দিচ্ছেন। রাস্তা পারাপার করতে হবে এখান দিয়েই। আর কোনও অবস্থাতেই, কোনওভাবে রাস্তা পারাপারের চেষ্টা করামাত্র জুটবে পুলিশের কড়া ধমক। বড়িশা হাই স্কুলের সামনেও বসানো হয়েছে ম্যানুয়াল ড্রপ গেট, মোতায়ন পুলিশ।ঠাকুরপুকুর থেকে তারাতলা পর্যন্ত ফুটপাতের সিংহভাগ কার্যত হকারদের দখলে। ব্যস্ততার মধ্যে একপ্রকার বাধ্য হয়েই পথচারীদের রাস্তার ধার ঘেঁষেই চলাচল করতে হয়। তাঁদের জন্য রাস্তার দু’দিকের লেনের এক পাশে আড়াই মিটার অংশ পথচারীদের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kaliaganj: সন্তানের মৃতদেহ বহনকারী বাবার পাশে জয়কৃষ্ণ

    Kaliaganj: সন্তানের মৃতদেহ বহনকারী বাবার পাশে জয়কৃষ্ণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাকার অভাবে অ্যাম্বুল্যান্স না মেলায় সন্তানের মৃতদেহ ব্যাগে ভরে বাড়ি (Kaliaganj) ফেরার ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যে। অমানবিক ঘটনার নিন্দা সর্বত্র। এই পরিস্থিতিতে মৃত শিশুর বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এলেন জলপাইগুড়ির সমাজসেবী অঙ্কুর দাস ও স্ত্রীর মৃতদেহ কাঁধে বহনকারী জয়কৃষ্ণ দেওয়ান।

    কী পরিচয় এই সমাজকর্মীদের?

    অনেকেরই হয়তো মনে আছে, কিছুদিন আগে অ্যাম্বুল্যান্সের ভাড়ার টাকা না থাকায় মৃত স্ত্রীর দেহ কাঁধে নিয়ে বাড়ির (Kaliaganj) পথে হাঁটা দেওয়া জলপাইগুড়ির সেই জয়কৃষ্ণ দেওয়ানের কথা। সেদিন অসহায় দেওয়ান পরিবারকে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা দিয়ে সাহায্য করে হাজতবাস করেছিলেন জলপাইগুড়ির এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অঙ্কুর দাস। সেই ঘটনার পর আবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এবার উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অসুস্থ শিশুপুত্রের মৃত্যুর পর টাকার অভাবে অ্যাম্বুল্যান্স না পেয়ে জামাকাপড়ের ব্যাগে সন্তানের মৃতদেহ ভরে বাড়ি নিয়ে আসেন কালিয়াগঞ্জের মুস্তাফানগরের বাসিন্দা অসীম দেবশর্মা। টিভির পর্দায় মর্মান্তিক ও অমানবিক এই ঘটনা দেখতে পেয়ে শোকার্ত পরিবারকে সমবেদনা জানাতে মঙ্গলবার কালিয়াগঞ্জে অসীম দেবশর্মার বাড়িতে ছুটে এলেন জয়কৃষ্ণ দেওয়ান ও অঙ্কুর দাস। ছেলে হারানোর যন্ত্রণায় শোকার্ত অসীম দেবশর্মা ও তাঁর স্ত্রীকে সমবেদনা জানান তাঁরা। পাশাপাশি অসীমবাবুর কাছে সমস্ত ঘটনা শোনেন দুজনেই।

    স্ত্রীর মৃতদেহ বহনকারী জয়কৃষ্ণ দেওয়ানের বক্তব্য

    জয়কৃষ্ণবাবু মানবিক হয়েই অসীমবাবুর বাড়িতে মর্মান্তিক কথা শুনতে আসেন। তিনি বলেন, আমি দেখেছি বাড়ির (Kaliaganj) অবস্থা! অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য ৮০০০ টাকা দেওয়ার ক্ষমতা নেই। আরও বলেন, আগামী দিনে আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিশেষ দাবি নিয়ে যাবো। পশ্চিমবঙ্গের সকল সরকারি হাসপাতাল থেকে গরীব মৃত মানুষের দেহগুলিকে বিনা খরচায় বাড়িতে পোঁছানোর পরিষেবা চালু করতে হবে বলে মত প্রকাশ করেন তিনি। আর যদি দাবি না মানা হয়, তাহলে আমি আমার নগরডাঙ্গাতে অনশনে বসব বলে ঘোষণা করেন।

    কী বললেন সমাজসেবী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক?

    জলপাইগুড়ির স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অঙ্কুর দাস বলেন, ৫ই জানুয়ারি জলপাইগুড়িতে একইভাবে মৃতদেহ নিয়ে আসার জন্য সাহায্য পাননি জয়কৃষ্ণবাবু। আমি সহযোগিতা করতে গেলে আমাকেও জেলে যেতে হয়। জেলাশাসক থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী সকলকে আমরা চিঠি দিয়ে জানিয়েছি, গরীব মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য সরকার বিনামূল্যে অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করুক। জলপাইগুড়ির মতো মৃতদেহ বহন করার ঘটনা আরও ঘটবে বলে সতর্ক করেছিলাম, প্রশাসন শোনেনি। আর তাই ঘটেছে কালিয়াগঞ্জে (Kaliaganj)। কিছু দিন চুপচাপ থাকলেও এরপর আবার অ্যাম্বুল্যান্স অ্যাসোসিয়েশনের দাদাগিরি শুরু হয়ে যায়। কিন্তু তাতেও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি প্রশাসন। আগামী দিনে আমরা গরীব মানুষের জন্য বিনা পয়সায় অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবার জন্য প্রথমে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হব। আর না মানলে অরাজনৈতিকভাবে বৃহৎ আন্দোলন করব। আরও বলেন, জয়কৃষ্ণবাবু এবং অসীমবাবুকে নিয়ে আমরা এই সামাজিক আন্দোলন করব।

    প্রশাসনের (Kaliaganj) ভূমিকা

    এদিকে এই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসন। কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে গাড়ি পাঠিয়ে অসীম দেবশর্মা সহ পরিবারের লোকেদের নিয়ে গিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ভুক্ত করা হয়। এ বিষয়ে রায়গঞ্জের মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতি ফোনে জানিয়েছেন, এদিন ওই পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ডেকে আনা হয়েছিল। পরবর্তীকালে তাঁদের জবকার্ডও করে দেওয়া হবে। এখন বিনামূল্যে সরকারি হাসপাতালে কবে থেকে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা চালু হয়, সেটাই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Tiljala Murder Case: তিলজলায় শিশুকন্যাকে যৌন নির্যাতন করে খুনের ঘটনায় উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় শিশুসুরক্ষা কমিশন

    Tiljala Murder Case: তিলজলায় শিশুকন্যাকে যৌন নির্যাতন করে খুনের ঘটনায় উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় শিশুসুরক্ষা কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিলজলায় (Tiljala murder case) সাত বছরের শিশুকে যৌন নির্যাতন করে খুনের ঘটনায় উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় শিশুসুরক্ষা কমিশন। সোমবার রাতে কেন্দ্রীয় শিশুসুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়ঙ্ক কানুনগো ট্যুইট করে একথা জানান। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, ‘‘কলকাতায় সাত বছরের শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় কমিশন উদ্বিগ্ন। ওই রাজ্যের ডিজিপি এবং মুখ্যসচিবের কাছে আমরা নোটিস পাঠাচ্ছি। আমাদের একটি প্রতিনিধি দল এই ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ জানবেন।’’

    কেন্দ্রীয় শিশুসুরক্ষা কমিশনের নোটিস

    মঙ্গলবার রাজ্যকে পাঠানো কমিশনের ওই নোটিসে বলা হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তিলজলার (Tiljala murder case) ঘটনায় বিস্তারিত তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। শুধু রিপোর্ট তলবই নয় কলকাতায় টিম পাঠানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস (NCPCR)। সূত্রের খবর, আগামী ৩১শে মার্চ কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়ঙ্ক কানুনগো নিজেই আসছেন কলকাতা। মৃত শিশুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। কথা বলবেন রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গেও। তিলজলা ছাড়াও মালদায় স্কুলে শিশু নিগ্রহের ঘটনায় প্রতিনিধিদল পাঠানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনসিপিসিআর।

    অগ্নিগর্ভ এলাকা

    তিলজলায় (Tiljala murder case) শিশুমৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, ওই শিশুটি রবিবার সকালে আবাসনের নীচে আবর্জনা ফেলতে গিয়েছিল। সেই সময় তাকে দোতলার ফ্ল্যাটে টেনে নিয়ে যান প্রতিবেশী যুবক অলোক কুমার। শিশুর হাত, পা, মুখ বেঁধে তার উপর অত্যাচার চালানো হয়। তার পর শিশুটিকে খুন করেন অলোক। রবিবার সন্ধ্যায় ওই ফ্ল্যাট থেকে নাবালিকার বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার করা হয়। এর পরেই এলাকা অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। 

    আরও পড়ুন: সন্তান পেতে তান্ত্রিকের নির্দেশে ‘শিশু-বলি’! নাবালিকা হত্যাকাণ্ডের জেরে ধুন্ধুমার তিলজলায়

    স্থানীয় সূত্রে খবর, শিশুকন্যা খুনে পুলিশ প্রথমে নিষ্ক্রিয় ছিল। তাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে তিলজলা (Tiljala murder case), পার্ক সার্কাস, বন্ডেল রোড, পিকনিক গার্ডেন এবং তপসিয়ার একাংশ। সকাল থেকে শিশুটিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। থানায় সে খবরটি জানানোও হয়। তারপরও পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ করেনি। অনেক পরে তল্লাশি শুরু করে। তিলজলাকাণ্ডের প্রতিবাদে এবং দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সোমবার পার্ক সার্কাসে রেল অবরোধ করা হয়। স্থানীয়েরা বিক্ষোভ দেখান এবং পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করেন। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া এবং পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তারপর রাতভর তল্লাশি চালিয়ে এলাকা থেকেই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Adeno Virus: ফের শিশুমৃত্যু! অ্যাডিনো সংক্রমণ রুখতে এবার বড়দের পরামর্শ স্বাস্থ্য দফতরের

    Adeno Virus: ফের শিশুমৃত্যু! অ্যাডিনো সংক্রমণ রুখতে এবার বড়দের পরামর্শ স্বাস্থ্য দফতরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বি সি রায় হাসপাতালে (BC Roy Hospital) আরও এক শিশুর মৃত্যু হল। অ্যাডিনো-আতঙ্কের (Adeno Virus) মধ্যেই জ্বর, শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে গত রবিবার থেকে হাসপাতালের (ICU) আইসিইউ-তে ভর্তি ছিল বিরাটির বাসিন্দা ৮ মাসের ওই শিশুটি। শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ তার মৃত্যু হয়। ডেথ সার্টিফিকেটে (Death Certificate) ‘নিউমোনিয়া’ (Pneumonia) বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই নিয়ে ২ মাসে রাজ্যে ৫৯ জন শিশুর মৃত্যু (Death) হয়েছে।  

    অ্যাডিনো-আতঙ্কে (Adeno Virus) ফের নয়া নির্দেশিকা

    ইতিমধ্যে দক্ষিণবঙ্গে ভয়াবহ আকার নিয়েছে অ্যাডিনো ভাইরাস (Adeno Virus) । শিশুরাই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে এই ভাইরাসে। এবার অ্যাডিনো ভাইরাস মোকাবিলায় আরও এক নতুন নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দফতর। অ্যাডিনো ভাইরাস মোকাবিলায় বড়দের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

    বাড়ির বড়দের উদ্দেশে চিকিৎসকদের পরামর্শ: 

    ১) বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোবেন এবং শিশুদেরও এটা অভ্যাস করান।

    ২) বাইরে থেকে এসে জামা-কাপড় বদল করে এবং হাত ধুয়ে তবে শিশুদের কাছে যাবেন।

    ৩) সংক্রমণ ঠেকাতে শিশুদের ভিড় থেকে দূরে রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে মাস্ক পরানোর ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।  

    ৪) কাশি বা হাঁচির সময় রুমাল অথবা নিজের কনুই দিয়ে মুখ ঢাকা দিন। যেখানে সেখানে কফ বা থুতু ফেলবেন না।

    ৫) যে সব শিশুদের কোনও গুরুতর জন্মগত অসুখ বা অপুষ্টিজনিত সমস্যা রয়েছে, তাদের বিশেষ সাবধানে রাখতে হবে।

    ৬) প্রতিদিন হালকা গরম নুন-জলে গার্গল করুন। ছোট বাচ্চাদের হালকা গরম জল বা অন্য যে কোনও গরম পানীয় বারে বারে খেতে দিন।

    ৭) বাসক, আদা, তুলসি, লবঙ্গ কাশি কমায় এবং কফ পাতলা হতে সাহায্য করে।  তাই কাশি হলে এগুলি খাওয়া যেতে পারে।

    ৮) চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া শিশুকে অ্যান্টিবায়োটিক বা কাফ সিরাপ দেবেন না। 

    আরও পড়ুন: ঋতু পরিবর্তনের সময় বাড়ছে ভাইরাল জ্বরের প্রকোপ! কী বলছেন চিকিৎসকরা?

    পরিস্থিতি সামাল দিতে সমস্ত শিশু বিভাগে PADEATRIC HIGH FLOW NASAL OXYGEN SUPPLY ব্যবস্থা চালু করছে স্বাস্থ্য দফতর। ইতিমধ্যে বিসি রায় শিশু হাসপাতালে এরকম ১০ টি মেশিন চালু হয়েছে। এতে ভেন্টিলেটর নির্ভরশীলতা কমবে। কোভিডের সময় বড়দের জন্য এই পদ্ধতি কার্যকরী হয়েছিল বলে, দাবি স্বাস্থ্য দফতরের। পাশাপাশি, শিশুদের চিকিৎসায় জেলা থেকে রেফার কমাতে, টেলি মেডিসিন ব্যবস্থায় আরও বেশি করে শিশু চিকিৎসককে যুক্ত করতে মেডিক্য়াল কলেজগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।  রোগের বিপজ্জনক লক্ষ্মণ সম্পর্কে আশাকর্মীদের সচেতন করা হচ্ছে। তাঁরা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে অ্যাডিনো ভাইরাসের (Adeno Virus) সংক্রমণ এবং উপসর্গ সম্পর্কে জানাচ্ছেন শিশুর আত্মীয় পরিজনদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Adeno Virus: এবার অ্যাডিনো ভাইরাসে প্রাণ কাড়ল রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত খড়্গপুরের কিশোরীর

    Adeno Virus: এবার অ্যাডিনো ভাইরাসে প্রাণ কাড়ল রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত খড়্গপুরের কিশোরীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ফের অ্যাডিনো ভাইরাসে (AdenoVirus) আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু এক কিশোরীর। বুধবার মৃত্যু হল রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত কিশোরী উর্জাসাথী রায় চৌধুরীর। গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে কলকাতার পিয়ারলেস হাসপাতালে ভর্তি ছিল বছর তেরোর উর্জাসাথী। তাঁর বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরে। এই ভাইরাসে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। 

    স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রফিতে আক্রান্ত 

    স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রফি নামে এক রোগে আক্রান্ত ছিল ওই কিশোরী। উর্জাসাথীর বাবা উজ্জ্বল রায় চৌধুরী জানিয়েছেন, স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রফি হল এমন একটি রোগ যাতে মাংসপেশীর একটি একটি কোষ নষ্ট হয়ে যায়। ফলে, দুর্বলতা বাড়ে। সে কারণেই সহজ অসুস্থ হয়ে পড়ত কিশোরী। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। সর্দি-কাশি বেড়ে গিয়েছিল অনেকটাই। উজ্জ্বল বাবু জানিয়েছেন চলতি মাসের শুরুর দিকে একবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল তার মেয়ে। পরে ৫ তারিখে বাড়ি ফিরে এসেছিল। এরপর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কলকাতার পিয়ারলেস হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। শেষ পর্যন্ত হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে লড়াই থামে উর্জাসাথীর।

    রাষ্ট্রপতি পুরস্কার

    সংগীতে বিশেষ কৃতিত্বের জন্য গত ২০১৯ সালের ৪ ডিসেম্বর বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবসের দিন রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছিল উর্জাসাথী রায়চৌধুরী। তাঁর হাতে তৎকালীন উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নায়ডু এই পুরস্কার তুলে দেন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে জাতীয় ও রাজ্য স্তরে একাধিক পুরস্কার পেয়েছে এই কিশোরী। প্রতিভাবান এই কিশোরীর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে পরিবার। এলাকায় শোকের ছায়া। 

    আরও পড়ুন: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সুপারফুড হতে পারে ঘি! কেন জানেন?

    বাড়ছে ভাইরাসের দাপট

    রাজ্যে ক্রমেই বেড়ে চলেছে অ্যাডিনোভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা। শিশুরোগ চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, অ্যাডিনোভাইরাসে শিশুদের ফুসফুস ও শ্বাসনালি মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সাধারণ সর্দি-কাশি শ্বাসকষ্টে বদলে যেতে দু’দিনও সময় লাগছে না। পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হতে থাকায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে স্বাস্থ্যকর্তাদের কপালেও। জ্বর, সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত শিশুর শারীরিক অবস্থার দিকে নজর রাখতে ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। শহরে অ্যাডিনোভাইরাসের হামলা রুখতে পুরকর্মীদের জন্যও নির্দেশিকা জারি করেছে কলকাতা পুরসভাও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share