Tag: China

China

  • Donald Trump: ‘জি৭’-কে টেক্কা দিতে ‘সি৫’! ট্রাম্পের ‘প্রস্তাবিত’ সুপার ক্লাবে থাকছে কোন কোন দেশ?

    Donald Trump: ‘জি৭’-কে টেক্কা দিতে ‘সি৫’! ট্রাম্পের ‘প্রস্তাবিত’ সুপার ক্লাবে থাকছে কোন কোন দেশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার নয়া প্ল্যান ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump)! কোর ফাইভ বা সি৫ নামে বৈশ্বিক শক্তিগুলির একটি নয়া এলিট গোষ্ঠী গঠনের কথা ভাবছেন ট্রাম্প (Core 5 Superbloc Idea)। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, এই কোর ফাইভে জায়গা হয়েছে ভারতেরও। প্রস্তাবিত এই ব্লকে থাকবে আমেরিকা, রাশিয়া, চিন, ভারত এবং জাপান। সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, এটি মূলত ইউরোপ-প্রাধান্যযুক্ত জি৭ এবং গণতান্ত্রিক ও অর্থনৈতিক মানদণ্ডভিত্তিক অন্য জোটগুলিকে পাশ কাটাবে।

    কোর ফাইভ গড়ার ‘স্বপ্ন’ (Donald Trump)

    যদিও সরকারিভাবে এ ব্যাপারে কিছুই জানানো হয়নি, তবে খবরটি চাউর হয়ে গিয়েছে। যে পাঁচটি দেশ নিয়ে কোর ফাইভ গড়ার ‘স্বপ্ন’ দেখছেন ট্রাম্প, সেই দেশগুলির তরফেও এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক বার্তা মেলেনি। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ‘পলিটিকো’ তাদের প্রতিবেদনে দাবি করেছে, হোয়াইট হাউস সম্প্রতি জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, সেই সূত্রেই ছড়িয়েছে এই খবর। শোনা যাচ্ছে, ভারত, রাশিয়া, চিন এবং জাপানকে নিয়ে কোর ফাইভ গড়তে চাইছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। উল্লেখ্য যে, ট্রাম্পের এই প্রস্তাবিত কোর ফাইভে জায়গা হয়নি পাকিস্তানের। তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বের সব চেয়ে উন্নত অর্থনৈতিক গোষ্ঠী জি৭ এর গুরুত্ব লঘু করতেই এই কোর ফাইভ গঠনের ভাবনা মার্কিন প্রেসিডেন্টের (Core 5 Superbloc Idea)।

    দ্বিতীয় ট্রাম্প প্রশাসন

    ওয়াশিংটন যখন ইতিমধ্যেই আলোচনা করছে যে দ্বিতীয় ট্রাম্প প্রশাসন কতটা বৈশ্বিক ব্যবস্থাকে পুনর্গঠন করতে পারে, ঠিক সেই সময়ই এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ্যে এসেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই ধারণাটি জানিয়ে দেয়, জি৭ ও জি২০–এর মতো যে প্ল্যাটফর্মগুলি রয়েছে, সেগুলি বহু-মেরুকেন্দ্রিক বিশ্বের জন্য যথেষ্ট নয়। এটি মনে হয় বৃহৎ জনসংখ্যা ও সামরিক-অর্থনৈতিক শক্তিগুলির মধ্যে চুক্তি-ভিত্তিক সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দেয় (Donald Trump)। মার্কিন মিত্ররা একে এমন একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে যা শক্তিমান নেতাদের মান্যতা দেয়।  কারণ এতে রাশিয়াকে ইউরোপেরও ওপরে স্থান দেওয়া হয়েছে। এর ফলে পশ্চিমী ঐক্য ও ন্যাটোর সংহতি দুর্বল হতে পারে বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের। ট্রাম্প মনে করেন, পাঁচ শক্তিধর এই দেশকে যদি এক ছাতার তলায় নিয়ে চলে আসা যায়, তাহলে সেখান থেকে বিশ্বের অনেকটা সুবিধা হবে। প্রসঙ্গত, গত জুন মাসে জি৭ শীর্ষ সম্মলনে যোগ দিয়ে এমনই একটি প্রস্তাব দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছিলেন, রাশিয়া, চিন এই প্রস্তাবে সায় দিয়েছে। তবে এই সুপার ক্লাবে ভারতকে রাখতে চান তিনি।

    সাবধানে পদক্ষেপ

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ট্রাম্প খুবই সাবধানে এই পদক্ষেপটি করতে চাইছেন। তিনি মনে করেন, যদি এই দেশগুলি (Core 5 Superbloc Idea) এক ছাতার তলায় চলে আসে, তাহলে সেখানে তিনি তাঁদের নেতা হয়ে সকলকে পরিচালনা করতে পারবেন। তবে বিশ্বের আরও চারটি শক্তিধর দেশ ট্রাম্পের প্রস্তাব যে সহজে মেনে নেবে না, তাও ভালো করেই জানেন ট্রাম্প। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, সম্প্রতি ভারতের ওপর চড়া শুল্ক হার চাপিয়েছে আমেরিকা (Donald Trump)। তার জেরে ভারতের সঙ্গে যাতে আমেরিকার সম্পর্ক খারাপ না হয়, তা মাথায় রেখেই ‘ট্রাম্প কার্ড’টি খেলতে চলেছেন ট্রাম্প। বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর দেশগুলির তালিকায় রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতও। তাই তাকে না চটিয়েই কাজ হাসিল করতে চাইছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই কারণেই ট্রাম্পের ‘প্রস্তাবিত’ সুপার ক্লাবে ভারতের জায়গা হলেও, ঠাঁই হয়নি পাকিস্তানের।

    ভারত-মার্কিন সম্পর্ক

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীন মস্কো থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি কেনায় ভারতের ওপর বেজায় রুষ্ট ট্রাম্প। তার জেরেই ভারতীয় পণ্যের ওপর চড়া শুল্ক চাপিয়েছেন তিনি। কার্যত, এর পরেই তলানিতে ঠেকে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক। অথচ আমেরিকাবাসীর একটা বিরাট অংশই চাইছেন ভারতীয় পণ্যের ওপর যে চড়া হারে শুল্ক চাপানো হয়েছে, অবিলম্বে তা কমানো হোক (Donald Trump)। এ ব্যাপারে তাঁরা ট্রাম্পের হস্তক্ষেপও দাবি করেছেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তাই নিজের দেশেই বেশ বেকায়দায় পড়ে গিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই গাড্ডা থেকে উঠে আসতে মরিয়া ট্রাম্প। সেই কারণেই ভারতের মন রাখতে নয়াদিল্লিকে জায়গা দেওয়া হয়েছে সুপার ক্লাবে।

    হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি (Core 5 Superbloc Idea) হানা কেলি জানান, এই পরিকল্পনার কোনও ব্যক্তিগত কিংবা লুকোনো কোনও ভার্সন নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, কোর ফাইভ তৈরির বিষয়টি হতে পারে একেবারেই ট্রাম্পের ব্যক্তিগত ভাবনা (Donald Trump)।

  • Pokhara Airport: পোখরা বিমানবন্দর প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগে ৫৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

    Pokhara Airport: পোখরা বিমানবন্দর প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগে ৫৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেপালের দুর্নীতি তদন্ত কমিশন চিনের অর্থে নির্মিত পোখরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগে ৫৫ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করল দুর্নীতির মামলা (China Nepal)। অভিযুক্তদের মধ্যে পাঁচজন প্রাক্তন মন্ত্রীও রয়েছেন। রবিবার বিশেষ আদালতে দায়ের করা এই মামলা নেপালের পদস্থ রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্তাদের বিরুদ্ধে বৃহত্তম দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে (Pokhara Airport)।

    দুর্নীতি তদন্ত কমিশনের বক্তব্য (Pokhara Airport)

    দুর্নীতি তদন্ত কমিশনের সহকারি মুখপাত্র গণেশ বহাদুর অধিকারীর মতে, অভিযুক্তরা বিমানবন্দর তৈরির সময় চিনের দেওয়া সফট লোনের আওতায় প্রকল্পটির জন্য বরাদ্দ করা ৮.৩৬ বিলিয়ন নেপালি রুপি আত্মসাৎ করেছেন। প্রকল্পটি দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত ব্যয়, চুক্তি-প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা এবং বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (BRI) অধীনে চিনা প্রতিষ্ঠানের ঋণনির্ভর পরিকাঠামো চাপিয়ে দেওয়ার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে।

    কাঠগড়ায় যাঁরা

    যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, তাঁরা হলেন প্রাক্তন মন্ত্রী রাম শরণ মহাত, ভীম প্রসাদ আচার্য, প্রয়াত পোস্ট বহাদুর বোগাটী, রাম কুমার শ্রেষ্ঠা এবং দীপক চন্দ্র আমাত্য। এছাড়াও নেপাল সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটির ১০ জন প্রাক্তন সচিব ও পদস্থ কর্তা, যাঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন ডিরেক্টর জেনারেল ত্রিরত্ন মহারজন, রতীশ চন্দ্র লাল সুমন এবং বর্তমান ডিরেক্টর জেনারেল প্রদীপ অধিকারী, এঁদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তোলা হয়েছে।

    চিনা ঠিকাদারি সংস্থা চায়না সিএএমসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড এবং এর নেপালে নিযুক্ত প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়েছে। এটি সরকারি পরিকাঠামো প্রকল্পে বিদেশি কোম্পানিগুলির ভূমিকা নিয়ে সিআইএএর নজরদারি আরও (Pokhara Airport) বিস্তৃত হয়েছে বলেই ইঙ্গিত দেয়।

    প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে উদ্বোধন করা পোখরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অন্নপূর্ণা সার্কিটের দ্বার। নেপালের পর্যটন খাতে বড় ধরনের অগ্রগতির অন্যতম মাধ্যম হিসেবে ভাবা হয়েছিল একে। কিন্তু উদ্বোধনের পর প্রায় দু’বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও বিমানবন্দরটি কোনও নির্ধারিত আন্তর্জাতিক (China Nepal) যাত্রিবাহী উড়ান পায়নি। এতেই ওঠে নানা প্রশ্ন। বিশ্লেষকদের মতে, নয়া দুর্নীতির অভিযোগ চিন-সমর্থিত নেপালের প্রকল্পগুলির ওপর নজরদারি আরও বাড়িয়ে দিতে পারে, বিশেষ করে যেসব প্রকল্পের সমালোচনা করা হয়েছে অস্বচ্ছ চুক্তি এবং সন্দেহজনক আর্থিক মডেলের জন্য (Pokhara Airport)।

  • India China Relation: অরুণাচল প্রদেশের বাসিন্দাকে হেনস্থা, ফের একবার চিনকে কড়া বার্তা নয়াদিল্লির

    India China Relation: অরুণাচল প্রদেশের বাসিন্দাকে হেনস্থা, ফের একবার চিনকে কড়া বার্তা নয়াদিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার চিনকে কড়া বার্তা দিল নয়াদিল্লি (India China Relation)। সোমবার ভারতের বিদেশমন্ত্রক কড়াভাবে বেজিংকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে, সম্প্রতি সাংহাই বিমানবন্দরে অরুণাচল প্রদেশের এক মহিলাকে যেভাবে হয়রান করা হয়েছে (MEA), সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যে হবে না, সে ব্যাপারে নিশ্চয়তা দেওয়া হোক। ভারতের তরফে এই বিবৃতি দেওয়া হয়েছে এমন একটা সময়ে, যখন ট্রানজিটে থাকা ভারতীয় যাত্রীদের ওপর ইচ্ছেমতো তল্লাশি এবং খারাপ আচরণ ক্রমেই বাড়ছে। প্রসঙ্গত, সাংহাই বিমানবন্দরে ভারতের অরুণাচল প্রদেশের এক মহিলাকে হয়রানির ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই চিনকে কড়া বার্তা দিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেশ।

    রণধীর জয়সওয়ালের বক্তব্য (India China Relatio)

    বিদেশমন্ত্রকের তরফে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা আশা করি চিনা কর্তৃপক্ষ ভারতীয় নাগরিকদের, যাঁরা চিনা বিমানবন্দর দিয়ে ট্রানজিট করছেন, তাঁদের কোনও রকম বাছাই করে টার্গেট করা, ইচ্ছে মতো আটক করা বা হয়রান করা হবে না এবং আন্তর্জাতিক আকাশপথ ভ্রমণের নিয়মগুলিকেও চিনের পক্ষ থেকে মান্যতা দিতে হবে।” তিনি বলেন, “আমরা বহুবার বলেছি যে অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে। শুধু তাই নয়, আমরা এতে কোনও ধরনের হস্তক্ষেপ চাই না।” চিন-ভারত সম্পর্ক প্রসঙ্গে জয়সওয়াল বলেন, “এই সম্পর্ক ধীরে ধীরে ইতিবাচক দিকের দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং আমরা চাই এটি সেই দিকেই এগিয়ে চলুক।”

    ভারতীয় নাগরিকদের সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ

    এদিকে, বিদেশমন্ত্রক ভারতীয় নাগরিকদের জন্য সতর্কতামূলক নির্দেশিকাও জারি করেছে। জয়সওয়াল বলেন, “চিন ভ্রমণ বা দেশটি হয়ে ট্রানজিট করার সময় ভারতীয় নাগরিকদের যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।” বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, প্রেমা ওয়াংজম থংডক নামে অরুণাচল প্রদেশের এক মহিলা, যিনি কর্মসূত্রে ব্রিটেনে থাকেন, তাঁকে আটক করার খবর পেয়ে ভারতের তরফে বেজিং এবং নয়াদিল্লিতে অবস্থিত চিনা দূতাবাসের কাছে জোরালো প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। যদিও চিনের নিয়ম অনুযায়ী তিনি ভিসা-মুক্ত ট্রানজিট সুবিধার যোগ্য ছিলেন, তবুও তাঁকে যাত্রাবিরতির সময় আটক করা হয়। জয়সওয়াল বলেন, “আমরা বলতে চাই যে অরুণাচল প্রদেশ ভারতের একটি অবিচ্ছেদ্য ও অখণ্ড অংশ, এবং এটি একটি স্বতঃসিদ্ধ সত্য। চিনের পক্ষ থেকে যত অস্বীকারই করা হোক না কেন, এটি অকাট্য সত্য যে বাস্তবতা পরিবর্তন করা সম্ভব নয় (India China Relation)।”

    আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল সম্পর্কিত কনভেনশন লঙ্ঘন

    বিদেশমন্ত্রকের মতে, বৈধ পাসপোর্টধারী ওই ভারতীয় নাগরিককে জাপানে যাওয়ার পথে সাংহাই বিমানবন্দরে আটক করা হয় (MEA)। ভারতের দাবি, চিনা কর্তৃপক্ষের এহেন আচরণ ভিত্তিহীন এবং আন্তর্জাতিক ভ্রমণ নীতি লঙ্ঘন করে। জয়সওয়াল বলেন, “এই বিষয়টি চিনের সামনে কঠোরভাবে উত্থাপন করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল সম্পর্কিত বহু কনভেনশন লঙ্ঘন করার পরেও চিনা কর্তৃপক্ষ এখনও তাঁদের কার্যকলাপের ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।” তাঁর মতে, চিনের এই পদক্ষেপ তাদের নিজেদের ভিসা-মুক্ত ট্রানজিট নীতির বিরোধী। বিদেশমন্ত্রক সতর্ক করে জানিয়েছে, এই ধরনের ঘটনা দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করে। জয়সওয়াল বলেন, “অরুণাচল প্রদেশের এক ভারতীয় নাগরিককে জড়িয়ে চিনের ইচ্ছাকৃত পদক্ষেপ উভয় পক্ষের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস ও বোঝাপড়া গড়ে তোলার প্রচেষ্টার পথে বড় বাধা সৃষ্টি করে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে (India China Relation)।”

    স্বেচ্ছাচারী পদক্ষেপ

    বিদেশমন্ত্রক সতর্ক করে বলেছে যে, এই ধরনের ঘটনা দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ককে দুর্বল করে। জয়সওয়াল বলেন, “চিন কর্তৃক অরুণাচল প্রদেশের একজন ভারতীয় নাগরিককে জড়িয়ে নেওয়া এই স্বেচ্ছাচারী পদক্ষেপ উভয় পক্ষের পারস্পরিক বিশ্বাস ও বোঝাপড়া গড়ে তোলার এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে (MEA)।” যদিও ভারতের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে চিন। বেজিং-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, “সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বৈধ অধিকার ও স্বার্থ সম্পূর্ণভাবে সুরক্ষিত ছিল এবং তাঁর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।” এই আটক কিংবা হয়রানির অভিযোগ নাকচ করে দেন তিনি।

    প্রসঙ্গত, ব্রিটেন প্রবাসী অরুণাচল প্রদেশের ওই মহিলা তাঁর দীর্ঘ দুর্ভোগের গল্প তুলে ধরে দাবি করেন, চিনা ইমিগ্রেশন কর্তারা তাঁর ভারতীয় পরিচয় নিয়ে উপহাস করেন এবং প্রশ্ন তোলেন, এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে সাংহাই ও বেইজিংয়ে ভারতীয় দূতাবাসের হস্তক্ষেপের পর (India China Relation)।

  • Asia Power Index 2025: ‘আত্মনির্ভরতা’-তেই বাজিমাত! ‘এশিয়া পাওয়ার ইনডেক্সে’ তৃতীয় ভারত, কোথায় পাকিস্তান?

    Asia Power Index 2025: ‘আত্মনির্ভরতা’-তেই বাজিমাত! ‘এশিয়া পাওয়ার ইনডেক্সে’ তৃতীয় ভারত, কোথায় পাকিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামরিক শক্তির দৌড়ে বিশ্ব তালিকায় আরও একধাপ উঠে এল ভারত। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার লোই ইন্সটিটিউটের তরফে এবছরের ‘এশিয়া পাওয়ার ইনডেক্স ২০২৫’ (Asia Power Index 2025) তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে, শক্তির তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ভারত। এই তালিকায় বর্তমানে ভারতের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে শুধুমাত্র আমেরিকা এবং চিন। এর পাশাপাশি ‘মেজর পাওয়ার’ তালিকাভুক্ত হয়েছে ভারত। এই তালিকায় প্রথম দশের মধ্যেও জায়গা পায়নি পাকিস্তান। তালিকায় অনুযায়ী, প্রতিবেশী দেশের স্থান ১৬ নম্বরে।

    কীভাবে তৈরি হয় এই ইনডেক্স

    অস্ট্রেলিয়ার একটি বিখ্যাত থিঙ্ক ট্যাঙ্ক লোই ইনস্টিটিউট তাদের ২০২৫ সালের বার্ষিক এশিয়া পাওয়ার ইনডেক্স প্রকাশ করেছে। আটটি বিষয়ের ১৩১টি সূচকের উপর নির্ভর করে এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তারা। আটটি বিষয়ের মধ্যে রয়েছে সামরিক ক্ষমতা, প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্ক, অর্থনৈতিক ক্ষমতা, সম্পর্ক, কূটনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাব। সাতাশটি দেশ এই তালিকায় রয়েছে। সেই তালিকায় প্রথমে রয়েছে আমেরিকা। লোই ইনস্টিটিউটের মতে, ১০০-র মধ্যে আমেরিকা পেয়েছে ৮১.৭। দ্বিতীয় স্থানে থাকা চিন পেয়েছে ৭৩.৭। আগের বারের চেয়ে চিনের পয়েন্ট বেড়েছে ১। আর এরপরই উঠে এসেছে ভারত। তৃতীয় স্থানে থাকা ভারত পেয়েছে ৪০। চতুর্থ স্থানে রয়েছে জাপান। আর পঞ্চম স্থানে রাশিয়া রয়েছে। ২০১৯ সালের পর রাশিয়ার অবস্থান উপরে উঠে এল। আর এই তালিকায় পাকিস্তান পেয়েছে মাত্র ১৪.৫ পয়েন্ট।

    মেজর পাওয়ার ভারত

    এশিয়ায় সামরিক শক্তির দিক দিয়ে কোন দেশ এগিয়ে প্রতিবছর তার তালিকা প্রকাশ করে ‘এশিয়া পাওয়ার ইনডেক্স’। কোনও দেশের সামরিক ক্ষমতা, প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্ক, অর্থনৈতিক শক্তি, কূটনৈতিক প্রভাব, সংস্কৃতি ও ভবিষ্যৎ সম্পদের উপর ভিত্তি করে নম্বর দেওয়া হয়। এশিয়াতে নিজেদের সামরিক শক্তি বাড়িয়েছে বিশ্বের এমন দেশগুলিকেও ধরা হয় এই তালিকায়। সেখানেই দেখা যাচ্ছে, এশিয়ার মধ্যে ভারত লাগাতার নিজের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বাড়িয়ে চলেছে। ২০২৫ সালে এই নিরিখে ভারতের স্কোর হয়েছে ৪০.০০। যার ভিত্তিতে তালিকায় মেজর পাওয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ভারত। আগামী দিনে সেটাও ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রভাব বৃদ্ধি

    অর্থনীতি থেকে সামরিক শক্তি, ক্রমশ ‘আত্মনির্ভর’ হয়ে উঠছে ভারত। জঙ্গি হামলার জবাব দিতে শত্রু দেশের সীমানায় ঢুকে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতেও দু-বার ভাবে না। আবার কোভিড কালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্যাকসিন পৌঁছে দিয়ে মানবিকতার নতুন নজির গড়েছে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের বার্তার গুরুত্ব বেড়েছে। আর এই সবের ফলেই এশিয়ায় শক্তিশালী দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে পৌঁছে গিয়েছে ভারত। করোনার মতো মহামারীর পর থেকে ভারতের অর্থনীতি দ্রুত উন্নত হয়েছে। এছাড়াও, বিশ্বব্যাপী ভারতের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রযুক্তি এবং আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কগুলিতে ভারত উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে। এর পাশাপাশি, সামরিক বাহিনীর সক্ষমতাও শক্তিশালী হয়েছে।

    ভারতের আধিপত্য

    কোভিড-১৯ মহামারীর পর থেকে ভারতের অর্থনীতির দ্রুত বৃদ্ধি হয়েছে। গত কয়েকমাস ধরে আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে চাপানউতোর চলছে। আমেরিকায় ভারতীয় পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক চাপিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার মোকাবিলা করতে দেশবাসীকে ভারতীয় পণ্য আরও বেশি করে ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই মুহূর্তে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ভারত। খুব শীঘ্রই ভারত এক ধাপ উপরে উঠে আসবে বলে আশাবাদী বিশেষজ্ঞরা। সামরিক সরঞ্জামের ক্ষেত্রেও আত্মনির্ভর হয়ে উঠছে ভারত। এখন শুধু নিজের সেনাবাহিনীর জন্যই সামরিক সরঞ্জাম তৈরি করছে না, রফতানিও বাড়িয়েছে। বিশ্বের দরবারে ভারতের সামরিক সরঞ্জামের চাহিদা বাড়ছে। যেকোনও হামলার মোকাবিলা করতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর শক্তি আরও বেড়েছে। শুধু তাই নয়, জঙ্গি হামলার মোকাবিলায় শত্রু দেশে ঢুকে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে। কয়েকমাস আগে অপারেশন সিঁদুরে সেটা ফের করে দেখিয়েছে ভারতীয় সেনা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এশিয়ায় ক্রমশ আধিপত্য বিস্তার করছে ভারত।

    এক নম্বর, তবু পয়েন্ট কমেছে

    অন্যদিকে, এই তালিকায় এশিয়ার মধ্যে শীর্ষে উঠে এসেছে চিন। আমেরিকার পর সুপার পাওয়ার হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে তারা। যদিও ২০১৮ সালে এশিয়া পাওয়ার ইনডেক্স চালু হওয়ার পর এবারই সবচেয়ে নিচে এসেছে আমেরিকার স্কোর। বিশ্লেষকদের অনুমান, ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর তাঁর গৃহিত নীতিগুলির জেরেই নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। চিন লাগাতারভাবে আমেরিকার সঙ্গে নিজেদের স্কোরের ব্যবধান কমিয়ে আনছে। ২০১৯ সালের পর এশিয়ায় রাশিয়া তার অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করেছে। মস্কোর ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক উপস্থিতি মূলত চিন এবং উত্তর কোরিয়ার সাথে তার কৌশলগত প্রতিরক্ষা এবং অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের জন্য দায়ী। ২০২৪ সালে রাশিয়াকে পিছনে ফেলে অস্ট্রেলিয়া উপরে উঠে এলেও এবার রুশ ফের পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে। উল্লেখযোগ্য ভাবে এবার নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করেছে জাপানও। লোই ইনস্টিটিউটের একটি রিপোর্ট অনুসারে, ভারত ভবিষ্যতে একটি প্রধান এশীয় শক্তি হিসেবে তার অবস্থান আরও সুসংহত করতে পারে। এদিকে, এই তালিকায় প্রথম দশেও স্থান পায়নি। পাকিস্তান। ভারতের এই পড়শি দেশ রয়েছে ১৬ নম্বর স্থানে।

     

     

     

  • Hong Kong Fire: হংকং-এর হাইরাইজ এখন জতুগৃহ, অগ্নিকাণ্ডে মৃত বেড়ে ৪৪, নিখোঁজ অন্তত ৩০০

    Hong Kong Fire: হংকং-এর হাইরাইজ এখন জতুগৃহ, অগ্নিকাণ্ডে মৃত বেড়ে ৪৪, নিখোঁজ অন্তত ৩০০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হংকংয়ের (Hong Kong Fire) বহুতল আবাসনে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৪৪। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ৪৫ জন। বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। ২০ ঘণ্টা পার হলেও এখনও পর্যন্ত পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি আগুন। এই ঘটনায় তিন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার বিকেলে ২০০০ ফ্ল্যাটের ওই আবাসনে আগুন লাগে। জনবসতিপূর্ণ এলাকায় সুউচ্চ আবাসনের ৭টি বহুতল চোখের সামনে আগুনের গ্রাসে চলে যায়। বুধবার রাত পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছিল ৩৬। বৃহস্পতিবার সকাল হতে হতে তা বেড়ে হয় ৪৪। তবে হতাহতের সংখ্য়া অনেক বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ ৩০০ মানুষের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি এখনও পর্যন্ত।

    নির্মাণকারী সংস্থার চরম গাফিলতি

    হংকংয়ের উত্তরের তাই পো জেলার ওয়াং ফুক কোর্টের ওই বহুতলে বুধবারের ওই ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তের পর ওই আবাসনের নির্মাণকাজের দায়িত্বে থাকা সংস্থাকেই দুষল পুলিশ। জানানো হল, সংশ্লিষ্ট নির্মাণকারী সংস্থার চরম গাফিলতিতেই প্রাণ গিয়েছে এত মানুষের। বুধবার রাতে হংকং পুলিশের সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট আইলিন চুং সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘‘বহুতলের নির্মাণকাজের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা চরম অবহেলা করেছিলেন। তার ফলেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমাদের এমনটা মনে করার যথেষ্ট কারণও রয়েছে। তাঁদের গাফিলতিতেই আগুন অনিয়ন্ত্রিত ভাবে ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে এত বড় ঘটনা ঘটে যায়।’’ ইতিমধ্যে ওই সংস্থার তিন আধিকারিককে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের মধ্যে দু’জন সংস্থার ডিরেক্টর। তৃতীয় জন সংস্থার এক ইঞ্জিনিয়ার। তবে ঠিক কী থেকে ওই আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্ত চলছে।

    আবাসনের অধিকাংশ বাসিন্দাই বয়স্ক

    জানা গিয়েছে, বহুতলটি রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছিল। তাই বাঁশের ভারা বাঁধা ছিল ৩২ তলা বিল্ডিংয়ের বাইরে। সেই বাঁশের ভারা থেকেই আগুন আরও বিধ্বংসী আকার ধারণ করে। আবাসনের অধিকাংশ বাসিন্দাই বয়স্ক। বিপদে ছুটে বেরিয়ে আসার ক্ষমতা নেই তাঁদের শরীরে। রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলায় ফ্ল্যাটের জানলা-দরজাও বন্ধ করে রেখেছিলেন বাসিন্দারা। আগুন লেগেছে বলে গোড়ায় বুঝতেই পারেননি অনেকে। ফোন করে জানাতে তবেই বুঝতে পারেন। উদ্ধারকার্য চালাতে গিয়ে আগুনের গ্রাসে এক দমকলকর্মীরও মৃত্যু হয়েছে সেখানে। চিনের কর্তৃত্ব না মানলেও, হংকং চিনের অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে গণ্য হয়। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও। সবরকম সাহায্য়ের আশ্বাস জুগিয়েছেন সকলকে।

  • Randhir Jaiswal: “অরুণাচল প্রদেশ সব সময়ই ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ”, চিনা দাবি উড়িয়ে ফের জানিয়ে দিল ভারত

    Randhir Jaiswal: “অরুণাচল প্রদেশ সব সময়ই ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ”, চিনা দাবি উড়িয়ে ফের জানিয়ে দিল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরুণাচল প্রদেশ সব সময়ই ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ, এবং চিন একে বারবার অস্বীকার করলেও কখনও এই সত্য বদলাতে পারবে না। মঙ্গলবার চিনের সাংহাই বিমানবন্দরে হয়রানি করা হয় এক ভারতীয় মহিলাকে। তিনি আদতে অরুণাচল প্রদেশের বাসিন্দা হলেও, কর্মসূত্রে থাকেন ব্রিটেনে। সেখান (Randhir Jaiswal) থেকে জাপানে যাওয়ার পথে সাংহাই বিমানবন্দরে (Shanghai Airport) তাঁকে প্রায় ১৮ ঘণ্টা আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বেজিং। যদিও ফের একবার স্পষ্ট করে দিয়েছে তাদের অবস্থান। জানিয়ে দিয়েছে, অরুণাচল প্রদেশ ভারতের দ্বারা বেআইনিভাবে প্রতিষ্ঠিত একটি রাজ্য।

    রণধীর জয়সওয়ালের বক্তব্য (Randhir Jaiswal)

    ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা চিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের দেওয়া বিবৃতি দেখেছি, যা একজন ভারতীয় নাগরিককে অযৌক্তিকভাবে আটক করার বিষয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই মহিলা অরুণাচল প্রদেশের বাসিন্দা। তাঁর বৈধ পাসপোর্ট ছিল এবং তিনি জাপানে যাওয়ার পথে সাংহাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে ট্রানজিট করছিলেন।” তিনি বলেন, “অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য এবং অখণ্ড অংশ – এটি একটি স্বয়ংস্পষ্ট সত্য। চিনের পক্ষ থেকে যতই অস্বীকার করা হোক না কেন, এই অখণ্ড বাস্তবতা পরিবর্তিত হবে না।”

    ভিসা-মুক্ত ট্রানজিটের অনুমতি

    তিনি জানান,  ভারত ওই মহিলাকে আটক করার বিষয়ে চিনের কাছে (Randhir Jaiswal) জোরালোভাবে বিষয়টি উত্থাপন করেছে। জয়সওয়ালের মতে, চিন এখনও পর্যন্ত তাদের এই পদক্ষেপের কোনও কারণ জানায়নি। এটি আন্তর্জাতিক বিমান যাত্রা সংক্রান্ত বিভিন্ন নিয়মের বিরোধী। তিনি মনে করিয়ে দেন, চিনের নিজস্ব নিয়ম অনুযায়ী সব দেশের যাত্রীদের জন্য ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত ভিসা-মুক্ত ট্রানজিটের অনুমতি দেওয়া হয়, এবং এ ক্ষেত্রেও সেই নিয়ম মানা হয়নি।

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সাংহাই বিমান বন্দরে ট্রানজিট করার সময় পেমা ওয়াংজম থংডক নামের অরুণাচল প্রদেশের এক মহিলাকে আটকে দেওয়া হয়। তাঁর কাছে ভারতীয় পাসপোর্ট থাকা সত্ত্বেও (Randhir Jaiswal), আটকানো হয় তাঁকে। বিমানবন্দরে যেসব চিনা আধিকারিক ছিলেন, তাঁরা পেমাকে বলেছিলেন, তাঁর কাছে রয়েছে ভারতের পাসপোর্ট, চিনের নয়। কারণ অরুণাচল প্রদেশ চিনের অংশ। এর (Shanghai Airport) পরেই কড়া প্রতিক্রিয়া দেয় ভারত। সাফ জানিয়ে দেয় নয়াদিল্লির অবস্থান।

  • Arunachal Pradesh: অরুণাচল প্রদেশ চিনের অংশ! ভারতীয় মহিলাকে হেনস্থা, কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

    Arunachal Pradesh: অরুণাচল প্রদেশ চিনের অংশ! ভারতীয় মহিলাকে হেনস্থা, কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরুণাচল প্রদেশ (Arunachal Pradesh) চিনের অংশ। এই দাবি দীর্ঘদিন ধরেই করে আসছে ড্রাগনের দেশ। তবে শি জিনপিংয়ের দেশের সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে ভারত সাফ জানিয়ে দিয়েছে অরুণাচল প্রদেশ ভারতেরই ছিল, আছে এবং থাকবেও (Shanghai Airport)। তবে ভারত এবং চিনের এই দোটানার মধ্যে পড়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হল অরুণাচল প্রদেশের এই মহিলাকে।

    ১৮ ঘণ্টা আটকে, কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের (Arunachal Pradesh)

    আদতে অরুণাচল প্রদেশের বাসিন্দা ওই মহিলা বর্তমানে থাকেন ব্রিটেনে। ২১ নভেম্বর সাংহাই পুডং বিমানবন্দরে তাঁকে প্রায় ১৮ ঘণ্টা আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। ওই মহিলার নাম প্রেমা ওয়াংজম থংডক। বিমানবন্দরে থাকা কয়েকজন চিনা আধিকারিক দাবি করেন, তাঁর পাসপোর্টটি ভারতীয়। জন্মস্থান হিসেবে উল্লেখ রয়েছে অরুণাচল প্রদেশের। ওই আধিকারিকরা জানান, এটি অবৈধ। কারণ ওই প্রদেশ চিনের অংশ। খবরটি দ্রুত পৌঁছে যায় ভারতীয় কর্তাদের কানে। সঙ্গে সঙ্গেই পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তাঁরা। তীব্র প্রতিবাদ জানান চিনা কর্তৃপক্ষের কাছে। সাংহাইয়ে অবস্থিত ভারতীয় কনস্যুলেটও স্থানীয়ভাবে বিষয়টি উত্থাপন করে এবং প্রেমাকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সাহায্য দেয়।

    অরুণাচল প্রদেশের বাসিন্দা

    প্রেমা অরুণাচল প্রদেশের পশ্চিম কামেং জেলার রূপা এলাকার বাসিন্দা। গত ১৪ বছর ধরে কর্মসূত্রে ব্রিটেনে বসবাস করছেন তিনি। ঘটনার দিন লন্ডন থেকে জাপানে যাচ্ছিলেন তিনি (Arunachal Pradesh)। এর মধ্যে সাংহাই পুডং বিমানবন্দরে তিন ঘণ্টার ট্রানজিট ছিল। সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই মহিলা জানান, নিরাপত্তা তল্লাশির সময় চিনা ইমিগ্রেশনের এক আধিকারিক তাঁকে (Shanghai Airport) আলাদা করে ডেকে নেন। তিনি যখন তাঁকে আটকে রাখার কারণ জানতে চান, তখন ওই আধিকারিক জানান যে তাঁর ভারতীয় পাসপোর্ট ‘অবৈধ’। কারণ অরুণাচল প্রদেশ চিনের অংশ। প্রেমা বলেন, “আমি যখন তাঁদের প্রশ্ন করতে চেষ্টা করলাম এবং জানতে চাইলাম সমস্যাটা কী, তাঁরা বললেন, ‘অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অংশ নয়’। তাঁরা আমায় উপহাস করতে শুরু করল। তাঁরা বলতে লাগল, ‘তোমার চিনা পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা উচিত। তুমি চিনা, ভারতীয় নও’”। তিনি বলেন, “এর আগে আমি কোনও সমস্যা ছাড়াই সাংহাই হয়ে ট্রানজিট করেছি। আমি অনেকক্ষণ আমার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি, পারিনি।” ভারতীয় ওই মহিলা বলেন, “লন্ডন থেকে ১২ ঘণ্টা ভ্রমণ করার পর আমায় ১৮ ঘণ্টা বিমানবন্দরে আটকে রাখা হয় (Arunachal Pradesh)। তারা আমার পাসপোর্ট নিয়ে নেয় এবং আমায় বের হতে দেয়নি। আমি খাবারও পাইনি। চিনে গুগল নেই, তাই কোনও তথ্যও পেতে পারছিলাম না। তারা আমায় জাপানে যেতে দিতে অস্বীকার করেছিল। যদিও আমার বৈধ জাপানি ভিসা ছিল। তারা জোর করে বলে যে আমায় হয় ব্রিটেনে ফিরে যেতে হবে, নয়তো ভারতে যেতে হবে।”

    ওঁদের আচরণ অত্যন্ত অপমানজনক

    প্রেমা বলেন, “ওঁদের আচরণ ছিল অত্যন্ত অপমানজনক এবং সন্দেহজনক, ইমিগ্রেশন স্টাফদের যেমন, তেমনই আচরণ করেছেন এয়ারলাইন স্টাফরাও। আমি সাংহাই এবং বেজিংয়ের ভারতীয় দূতাবাসে ফোন করি। এক ঘণ্টার মধ্যেই (Shanghai Airport) ভারতীয় কর্তারা বিমানবন্দরে এসে আমায় কিছু খাবার দেন। তাঁদের সঙ্গে সমস্যাগুলি নিয়ে কথা বলেন এবং আমায় দেশ থেকে বের হতে সাহায্য করেন। এটি ছিল দীর্ঘ ১৮ ঘণ্টার একটা লড়াই। কিন্তু আমি এখন খুশি যে এখন আমি সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছি (Arunachal Pradesh)।”

    ত্রাতার ভূমিকায় ভারতীয় কর্তারা

    জানা গিয়েছে, বিমানবন্দরে বেশ কয়েক ঘণ্টা আটকে থাকার পর প্রেমা একটি ফোন এবং তাঁর আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগের দাবি জানান। শেষ পর্যন্ত তিনি ব্রিটেনে থাকা তাঁর বন্ধুদের ফোন করেন। তাঁরা তাঁকে সাংহাইয়ের ভারতীয় কনস্যুলেটের সঙ্গে যোগাযোগ করাতে সাহায্য করেন। ভারতীয় কনস্যুলেটের কর্তারা এক ঘণ্টার মধ্যে বিমানবন্দরে পৌঁছন এবং তাঁকে সেই পরিস্থিতি থেকে বের হতে সাহায্য করেন। অরুণাচল প্রদেশের ওই মহিলা বলেন, “আমি কনস্যুলেটের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরে, সেখান থেকে ছ’জন কর্তা এক ঘণ্টার মধ্যেই বিমানবন্দরে এসে আমায় খাবার দেন। তাঁরা চেষ্টা করেছিলেন যেন আমায় জাপানে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু চিনা আধিকারিকরা তা কোনওভাবেই মানেনি। তাঁরা জোর করেছিলেন যে আমি যেন শুধু চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের মাধ্যমেই দেশ ছাড়ার টিকিট বুক করি। শেষ পর্যন্ত আমি তাইল্যান্ডে ট্রানজিট-সহ ভারতের ফ্লাইট বুক করি, এবং এখন তাইল্যান্ডেই থেকে কাজ করছি।” প্রেমা বলেন, “অনেক বছর ব্রিটেনে থাকার পরেও আমি আমার ভারতীয় পাসপোর্ট (Shanghai Airport) ছাড়িনি। কারণ আমি আমার দেশকে ভালোবাসি এবং নিজের দেশেই বিদেশি হতে চাই না (Arunachal Pradesh)।”

  • India Made iPhones: আইফোন উৎপাদনে দ্রুত উত্থান হচ্ছে ভারতের, পিছিয়ে পড়ছে চিনের আইফোন সিটি!

    India Made iPhones: আইফোন উৎপাদনে দ্রুত উত্থান হচ্ছে ভারতের, পিছিয়ে পড়ছে চিনের আইফোন সিটি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ‘ড্রাগন’কে গিলতে শুরু করেছে ‘হাতি’! সম্প্রতি এক রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, অ্যাপলের আইফোন (India Made iPhones) উৎপাদনে ভারতের দ্রুত উত্থান চিনের বহুদিনের আইফোন সিটির আধিপত্যকে পুনর্গঠন করছে, কিছু ক্ষেত্রে তো আবার খর্বও করে দিচ্ছে। ‘লে মন্ডি’তে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফক্সকনের বিশাল ঝেংঝৌ কারখানায় (Chinas iPhone city) শ্রমিকের সংখ্যা কমে যাওয়া, কঠোরতর বিধিনিষেধ এবং মরশুমি শ্রমিকের ঘাটতির কারণে সংগ্রামের মুখে পড়ছে। উল্টোদিকে, ভারত দ্রুতগতিতে উৎপাদন বাড়িয়ে চলেছে। তামিলনাড়ু এবং কর্নাটকে নয়া কারখানা চালু হওয়ার ফলে ভারত ধীরে ধীরে সেই সব কাজই করছে, যা একসময় পুরোপুরি ঝেংঝৌর দখলে ছিল।

    আইফোনের চাহিদা (India Made iPhones)

    এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ঝেংঝৌয়ের ওই কারখানায় শ্রমিক ছিল প্রায় ৩ লাখ। বস্তুত, তার জেরেই বিশ্বব্যাপী আইফোন জোগানের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল এই কারখানা। প্রতি বছর সেপ্টেম্বরের আইফোন উন্মোচনের আগে আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত উৎপাদন নাটকীয়ভাবে বেড়ে যায়। এই চাহিদা মেটাতে ফক্সকন ঐতিহ্যগতভাবে বিপুল সংখ্যক অস্থায়ী শ্রমিকের ওপর নির্ভর করতে শুরু করে। একসঙ্গে কয়েক হাজার শ্রমিক নিয়োগ করে। উদাহরণস্বরূপ, ২০২৪ সালের অগাস্টে কোম্পানি আইফোন ১৬ সিরিজের জন্য প্রায় ৫০ হাজার অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করেছে।

    চিনা আইন

    চিনের আইন অনুযায়ী, অস্থায়ী কর্মীর সংখ্যা কোনও কোম্পানির মোট শ্রমিকের ১০ শতাংশের বেশি হতে পারে না। ‘চায়না লেবার ওয়াচ’ জানিয়েছে, আইফোন সিটিতে ফক্সকনের মোট শ্রমিকের অর্ধেকেরও বেশি অস্থায়ী কর্মী, যা আইনের পরিপন্থী। কোম্পানির বিরুদ্ধে এই একই অভিযোগ উঠেছিল ২০১৯ সালেও। অস্থিতিশীল কর্মসংস্থান, খারাপ কর্মপরিবেশ, এবং প্রতি বছর বেতন ও বোনাস নিয়ে শ্রমিক অসন্তোষ-সহ নানা সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে সমালোচনার সম্মুখীন হচ্ছে এই কোম্পানি (India Made iPhones)। ওই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, প্ল্যান্টের মৌলিক মাসিক বেতন প্রায় ২৯৫ ডলার। এটি ঝেংঝৌয়ের গড় বেতনের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। ফলে ফক্সকনকে কর্মীদের আকর্ষণ করতে মোটা অঙ্কের বোনাসের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। বাজার যখন তুঙ্গে থাকে তখন এই বোনাস মাসে ১,৩০০ ডলারেরও বেশি হতে পারে। এজন্য কর্মীরা কয়েক মাসের জন্য যোগ দেন, উৎপাদন কমলেই ফের চাকরি ছেড়ে চলে যান (Chinas iPhone city)। জানা গিয়েছে, বর্তমানে বিশ্বের মোট আইফোনের প্রায় ২০ শতাংশ ভারতে তৈরি হয়, যা ২০২৪ এবং ২০২৫ সালে দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ অ্যাপল সরবরাহ শৃঙ্খলার বৈচিত্র্য বৃদ্ধি ও চিনা শুল্ক–ঝুঁকি কমাতে চায় (India Made iPhones)।

  • PM Modi: জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় গেলেন প্রধানমন্ত্রী, বক্তব্য রাখবেন তিন অধিবেশনেই

    PM Modi: জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় গেলেন প্রধানমন্ত্রী, বক্তব্য রাখবেন তিন অধিবেশনেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হবে ভারতের এমন দৃষ্টিভঙ্গিই উপস্থাপন করব।” শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথমবারের জন্য অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে (G20) যোগ দিতে যাওয়ার আগে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিনই তিনি তিনদিন সফরে জোহানেসবার্গের উদ্দেশে রওনা দেন। জি২০ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি তিনি ষষ্ঠ আইবিএসএ সম্মেলনেও অংশ নেবেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি সম্মেলনে ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ এবং ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’ – আমাদের এই দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করব।” দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত জি২০ সম্মেলনে যোগ দেব। এই সম্মেলনটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি আফ্রিকা মহাদেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেখানে বিভিন্ন বৈশ্বিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে। সম্মেলনের সময় বিভিন্ন বিশ্বনেতার সঙ্গে সাক্ষাৎও করব।”

    দ্বিপাক্ষিক বৈঠক (PM Modi)

    জানা গিয়েছে, শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে জোহানেসবার্গে উপস্থিত কয়েকজন নেতার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। তিনি সেখানে ষষ্ঠ আইবিএসএ শীর্ষ সম্মেলনেও অংশ নেবেন। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী মোদি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার আমন্ত্রণে ২২–২৩ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করছেন। এবার ২০তম জি২০ শীর্ষ সম্মেলন হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার সভাপতিত্বে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটি একটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন হবে। কারণ এটিই হবে আফ্রিকা মহাদেশে অনুষ্ঠিত প্রথম জি২০ সম্মেলন। ২০২৩ সালে ভারতের জি২০ সভাপতিত্বকালে আফ্রিকান ইউনিয়ন জি২০-এর সদস্য হয়েছিল।” জি২০-এর সদস্য দেশগুলি হল, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চিন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুর্কিয়ে (পূর্বতন তুরস্ক), ব্রিটেন, আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আফ্রিকান ইউনিয়ন (PM Modi)।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    জি২০ সম্মেলন হবে বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করার একটি সুযোগ। এ বছরের জি২০-এর থিম হল ‘সংহতি, সাম্য ও টেকসই উন্নয়ন’। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এর মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকা নয়াদিল্লি এবং ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোতে অনুষ্ঠিত পূর্ববর্তী শীর্ষ সম্মেলনগুলির সিদ্ধান্তকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে (G20)।” তিনি এও বলেন, “সহযোগী দেশের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আমার আলোচনা এবং সম্মেলনের সাইডলাইনে নির্ধারিত ষষ্ঠ আইবিএসএ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য আমি মুখিয়ে রয়েছি।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে সেখানকার প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে দেখা করার জন্যও আমি আগ্রহী। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রবাসী ভারতীয় সম্প্রদায় বিশ্বের বৃহত্তম প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে অন্যতম।” এর আগে বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছিল (PM Modi), সম্মেলনের তিনটি অধিবেশনেই বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। এই অধিবেশনগুলি হল, “সমন্বিত ও টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি—কাউকে পিছনে না রেখে: আমাদের অর্থনীতি গঠন, বাণিজ্যের ভূমিকা, উন্নয়নের অর্থায়ন এবং ঋণের বোঝা”, “একটি সহনশীল জি২০-এর অবদান: দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস, জলবায়ু পরিবর্তন, ন্যায়সঙ্গত জ্বালানি রূপান্তর, খাদ্য ব্যবস্থা” এবং “সবার জন্য ন্যায়সঙ্গত ও সুবিচারপূর্ণ ভবিষ্যৎ: গুরুত্বপূর্ণ খনিজ, মর্যাদাপূর্ণ কর্মসংস্থান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।”

    জি২০

    প্রসঙ্গত, জি২০-এর সদস্য রাষ্ট্রগুলি বিশ্বের প্রধান অর্থনীতিগুলির প্রতিনিধিত্ব করে। এটি বিশ্ব জিডিপির ৮৫ শতাংশ, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ৭৫ শতাংশ এবং বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ জনসংখ্যা নিয়ে গঠিত। গ্রুপটির টানা চতুর্থ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে গ্লোবাল সাউথে। ২০২২ সালে জি২০-এর সভাপতিত্ব করেছে ইন্দোনেশিয়া, তার পরের বছর ভারত, ২০২৪ সালে ব্রাজিল এবং চলতি বছর দক্ষিণ আফ্রিকা। নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি২০ (G20) সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষণা অনুযায়ী আফ্রিকান ইউনিয়ন বিশ্বের ২০টি বৃহত্তম অর্থনীতির এই গ্রুপের স্থায়ী সদস্য হয় (PM Modi)।

    গ্লোবাল সাউথ

    উল্লেখ্য যে, বিদেশমন্ত্রকের সচিব সুধাকর দালেলার মতে, জি২০ এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ফোরাম, যেখানে আগের অধিবেশনগুলিতে দেশগুলি গ্লোবাল সাউথকে প্রভাবিত করে এমন বিভিন্ন বিষয়ে একটি ঐক্যমত্য ঘোষণা, পাইলট প্রকল্প এবং নয়া উদ্যোগ নিতে রাজি হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা খুব খুশি যে ব্রাজিলের সভাপতিত্বে এবং অবশ্যই দক্ষিণ আফ্রিকার নিজেদের সভাপতিত্বের জন্য নির্ধারিত চারটি ভার্টিক্যালের অধীনে এই আলোচনাগুলি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই সব ক্ষেত্রে বছরভর বিভিন্ন ট্র্যাকজুড়ে বেশ কিছু সাফল্য অর্জিত হয়েছে। তাই আমরা খুব খুশি যে গ্লোবাল সাউথের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে এবং তুলে ধরা হচ্ছে (PM Modi)।”

  • Rafale Jets: রাফাল নিয়ে অপপ্রচার চিনের! এআই ছবি-ভুয়ো ভিডিও ব্যবহার বেজিংয়ের, দাবি মার্কিন রিপোর্টে

    Rafale Jets: রাফাল নিয়ে অপপ্রচার চিনের! এআই ছবি-ভুয়ো ভিডিও ব্যবহার বেজিংয়ের, দাবি মার্কিন রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন রাফাল যুদ্ধবিমান নিয়ে নিজেদের স্বার্থে ভুয়ো প্রচার চালিয়েছিল চিন। বিস্ফোরক রিপোর্ট প্রকাশ করে দাবি আমেরিকার। আমেরিকা-চিন অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তা পর্যালোচনা কমিশনের পেশ করা রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছে, এআই ব্যবহার করে এবং ভুয়ো সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলিকে কাজে লাগিয়ে রাফালে ধ্বংসের খবর ছড়িয়েছিল চিন। সঙ্গী হয় পাকিস্তানও। কিন্তু আমেরিকার রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, রাফাল নিয়ে মিথ্যা প্রচার চালিয়েছে চিন। প্রাথমিকভাবে বেজিংয়ের উদ্দেশ্য ছিল, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে রাফালের জনপ্রিয়তা কমিয়ে বিকল্প হিসেবে নতুন প্রযুক্তির চিনা জে-৩৫ যুদ্ধবিমানকে তুলে ধরা। তাই অপারেশন সিঁদুরের সময়টাকেই হাতিয়ার করে চিন।

    কেন অপপ্রচার চালায় চিন

    চলতি বছর মে মাসে অপারেশন সিঁদুর চলাকালীনই রাফাল যুদ্ধবিমান নিয়ে অপপ্রচার শুরু করে চিন। ভারত-পাক যুদ্ধ পরিস্থিতিতে পাকিস্তান দাবি করেছিল, ভারতীয় বায়ুসেনার অন্তত ৩টি রাফাল যুদ্ধবিমান নামিয়েছে তারা। শুরুতে পাকিস্তানের সেই দাবি নিয়ে ভারত মুখ খোলেনি। এবার জানা গেল, ভারতীয় বায়ুসেনার গর্ব রাফাল যুদ্ধবিমানের সুনাম নষ্ট করতে সোশ্যাল মিডিয়ায় জঘন্য ষড়যন্ত্র করেছে চিন। সম্প্রতি ‘আমেরিকা-চিন ইকোনমিক অ্যান্ড সিকিওরিটি রিভিউ কমিশন’-এর এক রিপোর্টে উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, নিজেদের পঞ্চম প্রজন্মের জে-৩৫ যুদ্ধবিমানের বিক্রি বাড়াতে মরিয়া বেজিং, ভারতের রাফাল যুদ্ধবিমানের বিরুদ্ধে মিথ্যে অপপ্রচার চালিয়েছে।

    ভুয়ো সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার

    রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মে মাসে ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের সময় থেকেই চিন এই ‘তথ্য যুদ্ধ’ শুরু করেছিল। এআই দিয়ে তৈরি ভাঙা রাফালের ছবি গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে ভুয়ো সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছে চিন, এমনটাই দাবি আমেরিকা-চিন অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তা পর্যালোচনা কমিশনের পেশ করা রিপোর্টে। ভুয়ো ছবি দেখিয়ে দাবি করা হয়, পাকিস্তানের ব্যবহার করা জে-৩৫ যুদ্ধবিমানের সামনে টিকতে পারেনি ভারতীয় রাফাল যুদ্ধবিমান। ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। আসলে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ভারতের সাফল্যকে খাটো করে এবং রাফালকে দুর্বল প্রমাণ করে ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তানের মতো দেশগুলির কাছে নিজেদের যুদ্ধবিমান বেচতে চেয়েছিল শি জিনপিংয়ের দেশ। আমেরিকার রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, বিনা উস্কানিতে পাকিস্তানের হামলার পরে ভারত যখন তার যোগ্য জবাব দিচ্ছিল, তখন নেপথ্যে থেকে পাকিস্তানের হয়ে এই ডিজিটাল যুদ্ধ চালায় চিন। এমনকি এই সুযোগে পাকিস্তানের কাছে ৪০টি জে-৩৫ বিমান বিক্রির প্রস্তাবও দেয় তারা।

    ফ্রান্সের সংস্থার দাবি

    চিনের এই হীন চক্রান্ত ফাঁস হতেই আন্তর্জাতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। রাফাল প্রস্তুতকারী ফরাসি সংস্থা দাসো অ্যাভিয়েশনের কর্তারা বলছেন, অপারেশন সিঁদুরের পর বিভিন্ন দেশে গিয়ে রাফাল সম্পর্কে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে চিন ও পাকিস্তান। ওই দেশগুলি যাতে রাফাল না কেনে সেটা নিশ্চিত করতে চাইছে ওই দুই দেশ। তাদের মূল উদ্দেশ্য, রাফাল যুদ্ধবিমানের ‘সুখ্যাতি’ নষ্ট করা। ফ্রান্সের শীর্ষকর্তারা দাবি করেছেন, রাফাল নিয়ে পাকিস্তানের দাবি সত্যি নয়। রাফাল নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। ফ্রান্স দাবি করে, তাদের যুদ্ধবিমান নিখুঁত। রাফালের বিরুদ্ধে ভুয়ো প্রচার অভিযান চলছে এবং ফরাসি আধিকারিকেরা তার মোকাবিলার চেষ্টা করছেন, দাবি করেছিল সে দেশের সরকার। সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস ফরাসি গোয়েন্দা সূত্র উল্লেখ করে একটি রিপোর্টে জানিয়েছিল, রাফাল যুদ্ধবিমানের বিক্রি কমানোর জন্য চিনের মদতে এই ধরনের প্রচার চলছে। এ বার মার্কিন রিপোর্টও একই দাবি জানাল। রাফাল নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে ফ্রান্সের একটি চুক্তি হওয়ার কথা ছিল। ভারত-পাক সংঘাতের পর সেই চুক্তি স্থগিত হয়ে যায়। রাফাল জেটের কার্যক্ষমতা নিয়ে সন্দিহান হয়ে ওঠে ইন্দোনেশিয়া সরকার। মার্কিন রিপোর্টে দাবি, এতেও চিনের হস্তক্ষেপ রয়েছে। পাকিস্তান চিনের তৈরি জে-৩৫ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে। ২০২৫ সালের জুন মাসে পাকিস্তানের কাছে আরও ৪০টি জে-৩৫ যুদ্ধবিমান, কেজে-৫০০ বিমান এবং ব্যালিস্টিক মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে চিন। প্রায় একইসঙ্গে পাকিস্তান প্রতিরক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দও বৃদ্ধি করেছে।

    দেশের ভিতরে অপপ্রচার

    বিজেপি নেতা অমিত মালব্য এই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে প্রশ্ন তুলেছেন, ভারতের ভিতরে কারা সেদিন চিনের এই মিথ্যা আখ্যানের পালে হাওয়া দিয়েছিল? কারা কয়টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে জানতে চেয়েছিল? তিনি কারও নাম করেননি, তবে তিনি যে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর কথাই বলতে চেয়েছেন, তা বুঝতে অসুবিধা হয় না। অপারেশন সিঁদুরে ভারতের কাছে বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, আকাশ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, ব্রহ্মস মিসাইল, রাফাল যুদ্ধবিমানের মতো অস্ত্রের সামনে পাকিস্তানের হাল খারাপ হয়ে গিয়েছিল। আর সেই পরিস্থিতিতে নিজেদের মুখ বাঁচাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যে এবং ভুয়ো দাবি করছিল পাকিস্তান। ইসলামাবাদ দাবি করছিল যে ভারতের নাকি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়েছে। প্রমাণ হিসেবে দাবি করছিল যে “সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই দাবি ঘুরে বেড়াচ্ছে।” তারই মধ্যে এখন মার্কিন কংগ্রেসের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, রাফাল ধ্বংস করার যে দাবি করছিল পাকিস্তান, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও জাল ছিল। এর পিছনে চিনের একটি বড় ষড়যন্ত্র ছিল। মার্কিন কমিশন এটিকে চিনের ব্যাপক ‘গ্রে জোন কৌশল’-র অংশ হিসেবে উল্লেখ করেছে, যেখানে সরাসরি সামরিক সংঘাত ছাড়াই ভূ-রাজনৈতিক সুবিধা অর্জন করা হয়।

LinkedIn
Share