Tag: China border

China border

  • PM Modi: উত্তরাখণ্ডের চিন সীমান্তে পৃথিবীর দ্বিতীয় উচ্চতম ট্রেকিং পথের উদ্বোধন করবেন মোদি

    PM Modi: উত্তরাখণ্ডের চিন সীমান্তে পৃথিবীর দ্বিতীয় উচ্চতম ট্রেকিং পথের উদ্বোধন করবেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) সফর করবেন। এই সফরে তিনি উদ্বোধন করবেন জনাকতল এবং মুলিঙ্গানা পাস এই দুটি ট্রেকের। জানা যাচ্ছে, এরমধ্যে জনাকতল ট্রেক হল বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ট্রেকিং রুট। এই উদ্বোধন কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। জনাকতল ট্রেক একেবারে চিন সীমান্তে অবস্থিত।  প্রধানমন্ত্রীর মোদির এই সফর এই সফরে আগামীদিনে উত্তরাখণ্ডে পর্যটক আরও বাড়বে বলেই মনেক করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    জনাকতল ট্রেকটি ১৭,০০০ ফুটেরও বেশি উচ্চতায় অবস্থিত (PM Modi)

    একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, জনাকতল ট্রেকটি ১৭,০০০ ফুটেরও বেশি উচ্চতায় অবস্থিত। জানা গিয়েছে, উত্তরাখণ্ডের জাদুং থেকে জনাকতল পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ রয়েছে। পার্বত্য উপত্যকায় রয়েছে এই পথ। জানা যাচ্ছে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৭,৭১৬ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই ট্রেকটি।

    প্রধানমন্ত্রীর এই সফর ঘিরে আপাতত প্রস্তুতি তুঙ্গে চলছে

    প্রধানমন্ত্রীর এই সফর ঘিরে আপাতত প্রস্তুতি তুঙ্গে চলছে। নেলং, জাদুং, সোনম প্রভৃতি স্থানে সাজোসাজো রব। এই স্থানগুলিতে আগামীদিনে পর্যটকদের ভিড় বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে একাধিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করেছে উত্তরাখণ্ড সরকার। সেরাজ্যের হারসিল থেকে শুরু হবে মোটরবাইক র‍্যালি। একইসঙ্গে দুটি ট্রেকিং অভিযান সহ একাধিক অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

    মোদির (PM Modi) সম্মানে বাইক র‍্যালি

    জানা গিয়েছে, ভারতীয় সেনাবাহিনী হারসিল থেকে মোটরবাইক-ATV-RTV র‍্যালির নেতৃত্ব দেবে। অন্যদিকে উত্তরাখণ্ড পর্যটন উন্নয়ন বোর্ডও (UTDB) একটি মোটর বাইক র‍্যালি করবে। জানা যাচ্ছে, এই র‍্যালি সম্পন্ন হবে সেরাজ্যের জাদুং-এ। অন্যদিকে নীলাপানি থেকে মুলিং লা বেস পর্যন্ত একটি ট্রেকিং অভিযানও সম্পন্ন হবে। প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে এই অনুষ্ঠানের নেতৃত্ব দেবে ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ (ITBP)। এর পাশাপাশি, জাদুং থেকে জনকতাল পর্যন্ত আরেকটি ট্রেকিং অভিযানও অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা যাচ্ছে।

    মোদির (PM Modi) সফরে পর্যটনের প্রচার

    এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, উত্তরাখণ্ড সরকার প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে উত্তরাখণ্ডে শীতকালীন পর্যটন প্রচারের একটি বড় সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাতে চায়। ধানমন্ত্রী মোদির এই সফরে তিনি গঙ্গা মন্দিরে পুজোও করবেন বলে জানা গিয়েছে।

    প্রশাসনের তরফ থেকে পরিদর্শন

    মোদির (PM Modi) সফরের আগেই প্রশাসনিক কর্মকর্তারা হারসিলের স্থান পরিদর্শন করেছেন বলে জানা গিয়েছে। ওই স্থানের ট্রাফিক, পার্কিং, বিদ্যুৎ এবং জল সরবরাহ সমস্ত কিছুই খতিয়ে দেখেছেন। উত্তরাখণ্ডের স্থানীয় পণ্য প্রদর্শনের জন্য একটি প্রদর্শনীও করা হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

  • Rajnath Singh: অরুণাচলের ভারত-চিন সীমান্তে জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি পালন করবেন রাজনাথ

    Rajnath Singh: অরুণাচলের ভারত-চিন সীমান্তে জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি পালন করবেন রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) চলতি বছরের দীপাবলি অরুণাচল প্রদেশের ভারত-চিন সীমান্তে জওয়ানদের সঙ্গে পালন করবেন। জানা গিয়েছে, অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং জেলায় ৩১ অক্টোবর সেনা জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি (Diwali) পালন করবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Rajnath Singh)। বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে এমনটাই খবর মিলেছে। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে অরুণাচল প্রদেশে তাওয়াং সীমা বারবার খবরের শিরোনামে এসেছে। বিশেষত এখানকার কিছু এলাকাতে ভারত ও চিনা জওয়ানদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানের কথা বললে ভিক্ষার ঝুলি ধরানো হবে, মৌলবাদীদের হুঁশিয়ারি যোগীর

    ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ভারত-চিন সেনার সংঘর্ষ ঘটেছিল

    ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন সেনা জওয়ান আহত হন দু পক্ষেরই। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের সেই ঘটনার পর থেকেই ভারতীয় সেনাবাহিনী সেখানে আরও সতর্ক হয় এবং চিনের আগ্রাসন রোধ করে। এরপর থেকে দুদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও চলতে থাকে। বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, রাজনাথ সিংয়ের (Rajnath Singh) এমন কূটনৈতিক প্রচেষ্টা যথেষ্ট বার্তা দেবে প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে। ৩১ অক্টোবর রাজনাথ সিং তাওয়াং সীমান্তে পৌঁছানোর আগেই সেখানে পৌঁছে যাবেন অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু। ভারতীয় বায়ুসেনার ওয়ার মেমোরিয়ালে তাঁরা রাজনাথ সিংকে স্বাগত জানাবেন।

    ২০২৩ সালের বিজয়া দশমীতেও হাজির ছিলেন রাজনাথ

    প্রসঙ্গত, গত বছরের বিজয়া দশমীতেও রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) শস্ত্র পূজনের জন্য বেছে নেন তাওয়াং সীমানাকে। সেসময় অরুণাচলে দাঁড়িয়ে রাজনাথ সিং জানিয়েছিলেন, বর্তমানে বিশ্ব পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে, দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আরও বলেছিলেন, ‘‘কঠিন পরিস্থির মধ্যেও দেশের সশস্ত্রবাহিনীর জওয়ানরা যে ভাবে সীমান্তে প্রহরা দিচ্ছেন ও মাতৃভূমিকে সুরক্ষিত রাখছেন, তার যতই প্রশংসা করা হোক তা কম। দেশের মানুষ আপনাদের জন্য গর্বিত।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Budget 2024: ভারত-চিন সংঘাত! সীমান্তের পরিকাঠামো উন্নয়নে আগের থেকে বরাদ্দ বাড়ল ৩০ শতাংশ

    Budget 2024: ভারত-চিন সংঘাত! সীমান্তের পরিকাঠামো উন্নয়নে আগের থেকে বরাদ্দ বাড়ল ৩০ শতাংশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত অর্থ বছরের থেকে ৩০ শতাংশ বেশি অর্থ বরাদ্দ করল কেন্দ্রীয় সরকার (Budget 2024) চিন সীমান্তের পরিকাঠামোগত উন্নয়নে। বিগত ২-৩ বছরের তুলনায় এই বরাদ্দ দ্বিগুণের থেকেও বেশি ছাড়িয়েছে। প্রসঙ্গত, দুই পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিবাদ চলছে। জানা গিয়েছে, চলতি বছরেই (Budget 2024) ভারত সরকার চিন সীমান্তের সড়ক পরিবহন ব্যবস্থার নির্মাণে ৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। এই বরাদ্দ করা হয়েছে বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনকে।

    সিদ্ধান্ত যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহলের একাংশ

    এই সংস্থা সীমান্তে সড়ক নির্মাণের কাজ দেখাশোনা করে। ভারত-চিন সীমান্তের উত্তেজনার আবহে সরকারের এমন সিদ্ধান্ত যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। শুধু তাই নয় মঙ্গলবার বাজেট পেশ করার সময় সরকারের (Central Government) পক্ষ থেকে তা মেনেও নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগেই ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনকে বরাদ্দ করা হয়েছিল পাঁচ হাজার কোটি টাকা কিন্তু চলতি বছরের (Budget 2024) সেই পরিমাণ অনেকটাই বাড়ল বলে মনে করছেন ওয়াকিবহল মহলের একাংশ।

    প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে ৬ লাখ ২১ হাজার কোটি টাকা (Budget 2024)

    বর্তমানে ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্য়ে সীমান্তে পরিকাঠামো উন্নয়নেই বরাদ্দ করা হয়েছে প্রায় ৬,৫০০ কোটি টাকা। একথা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রসঙ্গত, ২০২০ সাল থেকেই ভারত-চিন সংঘাত দুই দেশের সামরিক এবং কূটনৈতিক মহলে উত্তেজনা বাড়িয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, তার পরের বছর থেকেই উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে সীমান্তে পরিকাঠামো তৈরির বরাদ্দ। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে সীমান্তে সড়ক পরিকাঠামোতে বরাদ্দ হয়েছিল ২,৫০০ কোটি টাকা, পরের অর্থবর্ষে ২০২২-২৩ সালে তা ৪০ শতাংশ বেড়ে হয় ৩,৫০০ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে তা ফের ৪০ শতাংশ বাড়ে, বরাদ্দ করা হয় ৫ হাজার কোটি টাকা (Central Government)। চলতি আর্থিক বছরে ফের ৩০ শতাংশ বেড়ে হল ৬ হাজার ৫০০ কোটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sela Tunnel: চিন সীমান্তে ‘সেলা টানেল’, দ্রুত যাতায়াত করতে পারবে সেনা, কত খরচ হল?

    Sela Tunnel: চিন সীমান্তে ‘সেলা টানেল’, দ্রুত যাতায়াত করতে পারবে সেনা, কত খরচ হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার অরুণাচলের চিন সীমান্তে সেলা ট্যানেলের (Sela Tunnel) উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে এই সুড়ঙ্গ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। লাদাখ থেকে অরুণাচল প্রদেশ সম্প্রতিক অতীতে একাধিকবার চিন সীমান্তে সংঘাত বেঁধেছে। শুক্রবারই আবার চিনা বিদেশ মন্ত্রক কার্যত হুমকি দেয় ভারতকে সীমান্তে সেনা মোতায়েন নিয়ে। ঠিক সেই আবহে শনিবারই প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করে দিলেন সেলা টানেলের। দুর্গম এই অঞ্চলের যাতায়াত ব্যবস্থাও কঠিন হয়ে পড়ে সেনাবাহিনীর পক্ষে। সেই ছবিই এবার বদলে দিল মোদি সরকার। সেলা টানেলের (Sela Tunnel) মাধ্যমে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের কাছে যেতে বাধাহীনভাবে পৌঁছানো সম্ভব হবে এবার।

    কী বলছেন সেনার আধিকারিক?

    সেনার এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, জওয়ানরা যাতে সীমান্তের কাছে অতি দ্রুত পৌঁছে যেতে পারেন, যাতে অস্ত্রশস্ত্র তাড়াতাড়ি নিয়ে যাওয়া যায়, তার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হবে এই সেলা টানেল। ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, শীতকালে এই টানেল আরও অনেক বেশি কাজে আসবে। কারণ পার্বত্য অঞ্চলের রাস্তাগুলি শীতকালে সম্পূর্ণভাবে বরফে ঢেকে যায়। যেগুলি পেরিয়ে দ্রুত পৌঁছানো অসম্ভব হয়ে পড়ে। প্রসঙ্গত, এই টানেল (Sela Tunnel) তৈরি করতে খরচ হয়েছে ৮২৫ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে এই টানেল শুধু সেনা জওয়ানদের ক্ষেত্রে যে কাজে আসবে তা নয়, পর্যটন ক্ষেত্র হিসেবেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। তুষারপাতে যখন রাস্তা ঢেকে যাবে, পর্যটকরা এই পথে যাতায়াত করতে পারবেন।

    সেলা টানেল সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নিন

    ১) ১৩,৭০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই টানেল।

    ২) এই সুড়ঙ্গ পথ দিয়ে সহজেই সেনার গাড়ি যাতায়াত করতে পারবে এবং ভারত সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা তাইওয়ানের কাছে পৌঁছে যাবে সেনাবাহিনীর গাড়ি।

    ৩) এই টানেল (Sela Tunnel) ব্যবহার করলে সেনাবাহিনীর যাতায়াতের সময় অনেকটাই কমে আসবে।

    ৪) সুড়ঙ্গের প্রথম টানেলটি ৯৮০ মিটার দীর্ঘ সিঙ্গেল টিউব। অন্যদিকে ২ নম্বর টানেলটি হল ১,৫৫৫ মিটার দীর্ঘ।

    ৫) দ্বিতীয় টানেলে দুটি রাস্তা থাকবে একটি যাতায়াতের জন্য এবং অন্যটি জরুরি অবস্থায় ব্যবহার করার জন্য।

    ৬) প্রবল বর্ষা বা শীতকালেও সুড়ঙ্গটি ব্যবহার করা যাবে।

    ৭) টানেল তৈরি হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সুড়ঙ্গ পথ নির্মাণের প্রযুক্তি অনুযায়ী।

    ৮) সুড়ঙ্গের ভিতরে পর্যাপ্ত আলো এবং অগ্নি নির্বাপক সুবিধা রাখা হয়েছে।

    ৯) এই টানেল দিয়ে প্রতিদিন গড়ে তিন হাজার গাড়ি এবং দু হাজার ট্র্যাক চলাচল করতে পারবে।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে টানেলের (Sela Tunnel) ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উদ্বোধন করলেন ২০২৪ সালের মার্চে। টানেলটি উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘‘সেলা টানেল অনেক আগেই নির্মাণ হতে পারতো কিন্তু কংগ্রেস সরকার এ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।’’ প্রসঙ্গত সেলা টানেলের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়াল ভাবে উদ্বোধন করেন ১২৩টি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের। ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন ৯৫টি নতুন প্রজেক্টর। যেগুলিতে খরচ হবে ৫৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। সবগুলিই উত্তর পূর্ব ভারতের মণিপুর, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা এবং অরুণাচল প্রদেশ এবং সিকিমে অবস্থিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Helina: নজরে চিনা ট্যাঙ্ক, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ‘হেলিনা’ ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করছে ভারত

    Helina: নজরে চিনা ট্যাঙ্ক, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ‘হেলিনা’ ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিকে চিন এবং অপরদিকে পাকিস্তান। এই দুই প্রতিবেশীর আগ্রাসন রুখতে এবার শক্তিশালী করা হচ্ছে ভারতীয় সেনাকে। যুদ্ধ সরঞ্জামে ভারতীয় সেনাকে সাজানোর তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

    কী কী যুদ্ধ সরঞ্জাম তৈরির কাজ চলছে

    এবার তবে রাশিয়া বা ফ্রান্স থেকে কেনা হচ্ছে না যুদ্ধ সরঞ্জাম। দেশেই তৈরি করা হচ্ছে ক্ষেপনাস্ত্র।  যুদ্ধ সরঞ্জাম কেনার ব্যাপারে অনুমোদন লাগে ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিলের (DAC), যার সভাপতি রয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। চলতি মাসের ১০ তারিখে কাউন্সিলের একটি সভায় ৪২৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে যুদ্ধ সরঞ্জাম তৈরির জন্য। এর মধ্যে দুটি ভারতীয় সেনার স্থলবাহিনীর জন্য এবং একটি নৌবাহিনীর জন্য বরাদ্দ হয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিলের পক্ষ থেকে যে সমস্ত যুদ্ধ সরঞ্জামগুলির কথা বলা হয়েছে সেগুলি হল হেলিনা (HELINA)। এটি এক ধরনের সেনাবাহিনীর বিশেষ হেলিকপ্টার থেকে নিক্ষেপযোগ্য ট্যাঙ্ক ধ্বংসকারী মিসাইল, যা নাগ ক্ষেপণাস্ত্রের একটি ধরন বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। জানা যাচ্ছে, হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL) নির্মিত ভারতীয় সেনার অ্যাটাক হেলিকপ্টার রুদ্র-তে এই হেলিনা ক্ষেপণাস্ত্র লাগানো হবে। প্রসঙ্গত, এই রুদ্র হল হ্যাল নির্মিত অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার ধ্রুব-মার্ক থ্রি হেলিকপ্টারের সশস্ত্র সংস্করণ। পাশাপাশি, ভিশোরাড (VSHORAD) মিসাইল সিস্টেম কেনার বিষয়ে সেনার অ্যাকসেপ্টেন্স অফ নেসেসিটি (এওএন) প্রস্তাবেও সায় দিয়েছে ডিএসি। এটি তৈরি করেছে দেশীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও। এটি একটি অতি স্বল্প পাল্লার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম Very Short Range Air Defence System বা সংক্ষেপে ভিশোরাড। (VSHORADS)। এটি ৯০ মিলিমিটার ব্যাসের একটি ক্ষেপণাস্ত্র।

    অন্যদিকে নৌবাহিনীর জন্য কেনা হচ্ছে ব্রহ্মোস লঞ্চার এবং তার সঙ্গে ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেম। এগুলো শিবালিক শ্রেণির ফ্রিগেট এবং পরবর্তী প্রজন্মের মিসাইল ভেসেল (NGMV) যুদ্ধজাহাজে মোতায়েন করা হবে। বর্তমানে শিবালিক শ্রেণির ফ্রিগেটে রুশ-নির্মিত ক্লাব ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। সেগুলোকে পাল্টে দেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হবে।

    কোথায় মোতায়েন করা হবে এই ক্ষেপনাস্ত্র

    জানা যাচ্ছে যে চিনের সেনার আগ্রাসন রুখতে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে (LAC) বা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় এই অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল (ATGM) হেলিনা মোতায়েন হবে। আরও জানা যাচ্ছে প্রতিটি LCH রুদ্র সর্বোচ্চ ৮টি হেলিনা মিসাইল বহন করতে পারবে এবং ১০ কিলোমিটার দূরে শত্রুর ট্যাঙ্কে আঘাত করতে পারবে। চিন সীমান্তের মধ্যে লাদাখ এবং তিব্বতের পার্বত্য অঞ্চলগুলিতে এটি মোতায়েন করা হবে ‌। চিন এখন ব্যবহার ZTQ-15 ট্যাঙ্ক। এমন হালকা ট্যাঙ্ককে গুঁড়িয়ে দিতে হেলিনার (HELINA) বেশি সময় লাগবে না বলেই বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Arunachal Pradesh: অরুণাচলে চিন সীমান্তে আধ্যাত্মিক পরিকাঠামো গড়ছে ভারত, বিষয়টা কী?

    Arunachal Pradesh: অরুণাচলে চিন সীমান্তে আধ্যাত্মিক পরিকাঠামো গড়ছে ভারত, বিষয়টা কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই অরুণাচল প্রদেশকে (Arunachal Pradesh) চিনের অন্তর্ভুক্ত বলে দাবি করে মানচিত্রের নয়া সংস্করণ প্রকাশ করেছিল বেজিং। তবে অরুণাচল প্রদেশ যে ভারতেই অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে, নানা সময় চিনকে সে বার্তা দিয়েছে ভারত। এবার চিন সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছেই আধ্যাত্মিক পরিকাঠামো গড়ে তুলছে ভারত। 

    তাওয়াংয়ে ‘শস্ত্র পূজা’

    দিন কয়েক আগে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে ‘শস্ত্র পূজা’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। সেদিন তিনি তাওয়াং যুদ্ধের স্মৃতিসৌধও পরিদর্শন করেন। শ্রদ্ধা জানান চিন-ভারত যুদ্ধের শহিদদের। এই তাওয়াংয়েই রয়েছে লেজেন্ডারি ছুমি গিস্তে। এখানে রয়েছে ১০৮ পবিত্র জলপ্রপাতও। এটিকেই কাজে লাগাতে চাইছে অরুণাচল প্রদেশ সরকার এবং সেনাবাহিনী। তাদের ধারণা, জায়গাটির ভোল বদল করতে পারলে অভাব হবে না পর্যটকের। ফলে সমঝে দেওয়া যাবে চিনকেও।

    পবিত্র প্রপাত

    চিনের তরফে অরুণাচল প্রদেশ (Arunachal Pradesh) দখলের চেষ্টার খামতি নেই। গত ডিসেম্বরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার অদূরে নজরদারি কেন্দ্র গড়তে চেয়েছিল চিনের লালফৌজ। যদিও শেষমেশ আর তা দিনের আলো দেখেনি। এর পরেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা অঞ্চলে যাতায়াত বাড়িয়ে দেয় ভারত। লালফৌজের কার্যকলাপ যাতে নজরে পড়ে তাই এই উদ্যোগ। সেই উদ্যোগেরই অংশ হিসেবে এবার পবিত্র ১০৮ জলপ্রপাতের কাছে আধ্যাত্মিক পরিকাঠামো গড়ছে ভারত।

    আরও পড়ুুন: খোদ এসএসকেএমে ভুল চিকিৎসার শিকার মুখ্যমন্ত্রী! সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে?

    তিব্বতি উপাখ্যানে পবিত্র ১০৮ জলপ্রপাত খুব গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে রয়েছে। এই জলপ্রপাতকে ঘিরে ছড়িয়ে রয়েছে নানা কাহিনি। তিব্বতিদের বিশ্বাস, এই প্রপাতের জলের নানা ক্ষমতা রয়েছে। নানা রোগের উপশমে ব্যবহার করা হয় এই জল। বছরের এক বিশেষ সময়ে এখানে আসেন বৌদ্ধ তীর্থযাত্রীরা। উত্তর-পূর্ব ভারতের বহু মানুষও আসেন এই সময়। প্রার্থনা জানানোর পাশাপাশি তাঁরা সবাই সংগ্রহ করেন পবিত্র প্রপাতের জল। আধ্যাত্মিক পরিকাঠামোর উন্নয়ন হলে, বছরভর এখানে ঢল নামবে পর্যটকের।

    স্থানীয় বাসিন্দাদেরও বিশ্বাস, এলাকার রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হলে সারা বছরই আসতে থাকবেন পর্যটকরা। তাওয়াং শহর থেকে এখানে বেড়াতে এসেছিলেন সোনম সেরিং। তিনি বলেন, “জায়গাটার ভোল ক্রমেই বদলাচ্ছে। এখানে এখন মন্দির, গুম্ফা মায় লামাদেরও দেখতে পাচ্ছি। দীর্ঘদিন ধরে এই জায়গাটি দেখার ইচ্ছে ছিল। শেষমেশ তা পূরণ হওয়ায় আমি খুশি।” অসমের গুয়াহাটি থেকে এসেছিলেন (Arunachal Pradesh) পর্যটক রাজু তামাং। তিনি বলেন, “এই পবিত্র প্রপাতের বিষয়ে নানা কাহিনি শুনেছিলাম। চিন সীমান্তের কাছের এই পবিত্রভূমে আসতে পেরে আমি ধন্য। পবিত্র প্রপাতের জল সংগ্রহ করেছি আমিও।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: ‘ভারতের সার্বভৌমত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার ক্ষমতা কারও নেই’, চিনকে হুঁশিয়ারি শাহের

    Amit Shah: ‘ভারতের সার্বভৌমত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার ক্ষমতা কারও নেই’, চিনকে হুঁশিয়ারি শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) সরকারের অধীনে ভারতের (India) দিকে চোখ তুলে তাকানোর ক্ষমতা কারও নেই। সোমবার অরুণাচল প্রদেশে চিনা সীমান্তের কাছে দাঁড়িয়ে এ কথা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ভাইব্রেন্ট ভিলেজ প্রকল্পের সূচনা করতে দু দিনের সফরে শাহ এসেছেন অরুণাচল প্রদেশে। অরুণাচল প্রদেশের চিন সীমান্তবর্তী গ্রাম কিবিথুতে এক সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে শাহ বলেন, আজ আমরা গর্ব করে বলতে পারি যে, আমাদের দিকে খারাপ দৃষ্টি দেওয়ার ক্ষমতা কারও নেই। ভারতের সার্বভৌমত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার ক্ষমতা কারও নেই। তিনি বলেন, কেউ আমাদের এক ইঞ্চি জমিও নিতে পারবে না।

    অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন…

    ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চিন। তাদের বক্তব্য, সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ করছে ভারত। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগে যে কেউ ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ ও জবরদখল করতে পারত। এখন ভারতীয় সূচ্যগ্র ভূখণ্ডও কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না। ১৯৬২ সালে চিনা ফৌজের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অরুণাচল প্রদেশবাসীর অনমনীয় মনোভাবের প্রশংসা করে শাহ বলেন, এই মনোভাবই সে দিন হামলাকারীদের পিছু হঠতে বাধ্য করেছিল। ওই যুদ্ধে কিবিথুতে চিনা হামলায় শহিদ ভারতীয় জওয়ানদের শ্রদ্ধা প্রদর্শনও করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: ২ মে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন, খেজুরির সভায় জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ((Amit Shah)) অরুণাচল প্রদেশ সফরের আগেই বিবৃতি জারি করে চিনা বিদেশ মন্ত্রক বলেছিল, এই পদক্ষেপ (শাহের সফর) দ্বিপাক্ষিক শান্তি প্রক্রিয়ার পরিপন্থী। আমাদের আঞ্চলিক সার্বভৌমত্ব হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না। চিনা হুমকি উপেক্ষা করেই এদিন চিন সীমান্তে সভা করেন শাহ। তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদি সরকারের আমলে ভাবনায় বদল এসেছে। কেন্দ্র এখন সীমান্তবর্তী অঞ্চলের উন্নয়নকে সব চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে চায়। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলি আর এখন শেষ গ্রাম নয়, প্রথম গ্রাম। এটাই ভাবনার বদল।

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই চিনের শি জিনপিংয়ের সরকার অরুণাচল প্রদেশের ১১টি এলাকার নাম বদলে দেয়। এর মধ্যে রয়েছে পাঁচটি পর্বতশৃঙ্গ, দুটি মালভূমি অঞ্চল, দুটি আবাসিক এলাকা এবং দুটি নদী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) বলেন, ২০১৪ সালের আগে পুরো উত্তর-পূর্বাঞ্চল উপদ্রুত এলাকা হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু গত ৯ বছরে প্রধানমন্ত্রীর লুক ইস্ট নীতির কারণে উত্তর-পূর্ব ভারতও দেশের উন্নয়নে অবদান রাখছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Indian Defence Ministry: চিনা আগ্রাসন রুখতে পূর্ব লাদাখে কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে ভারত, জানেন?  

    Indian Defence Ministry: চিনা আগ্রাসন রুখতে পূর্ব লাদাখে কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে ভারত, জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রুখতে হবে চিনা আগ্রাসন। তাই ভারতীয় সীমান্ত সুরক্ষিত করতে পূর্ব লাদাখ সেক্টরে ৪৫০টি ট্যাঙ্ক ও ২২ হাজার সৈন্য মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিল ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Indian Defence Ministry)। ভারত (India) ও চিনের (China) মধ্যে রয়েছে প্যাংগং সো লেক। সূত্রের খবর, এই লেকে চিনা আগ্রাসনের মোকাবিলা করতেই ভারতীয় আর্মির কোর অফ ইঞ্জিনিয়াররা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, পূর্ব লাদাখের (Ladakh Border) দু জায়গায় দুটি নয়া ল্যান্ডিং ক্র্যাফটস বসানো হবে। এর ফলে চিনা সীমান্তে নজরদারি আরও বাড়ানো যাবে। মানুষ কিংবা জিনিস সীমান্ত পেরিয়ে যা-ই এদেশে আসুক না কেন, তা ধরা পড়বে। সন্দেহজনক কিছু দেখলেই বাহিনীকে সে ব্যাপারের সতর্ক করে দেবে এই নয়া ব্যবস্থা। নয়া যে দুটি ক্র্যাফট বসানো হচ্ছে, সেগুলির প্রতিটি ৩৫ জন করে সেনা বহন করতে পারবে বলেও জানা গিয়েছে।

    স্থায়ী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা…

    স্থায়ী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে বলতে গিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়র ইন চিফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরপাল সিং বলেন, মরুভূমি সেক্টরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কোর অফ ইঞ্জিনিয়াররা ৩-ডি প্রিন্টেড স্থায়ী প্রতিরক্ষা নির্মাণে তৎপর হয়েছে। এই ব্যবস্থাগুলি পুরোপুরি পরীক্ষামূলক ছিল। তবে এই স্থায়ী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলি পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, যে ছোট অস্ত্র থেকে টি-৯০ ট্যাঙ্কের মূল যে বন্দুক, সবগুলিকেই প্রতিরোধ করতে পারে। বিস্ফোরণের সময়ও কিছুই হবে না, অটল থাকবে। তিনি জানান, সব চেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল এগুলি ৩৬ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যে কোনও জায়গায় বসিয়ে দেওয়া যাবে। প্রয়োজনে এক স্থান থেকে অন্যত্র সরিয়েও নিয়ে যাওয়া যাবে। তিনি জানান, পূর্ব লাদাখে ঠিক একই রকম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা করা হচ্ছে পরীক্ষামূলকভাবে।

    আরও পড়ুন: এবার ট্রেনে চড়েই যাওয়া যাবে অরুণাচলের চিন সীমান্তে, কবে থেকে জানেন?

    চিন সীমান্তে বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের পরিকাঠামোর উল্লেখ করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্র জানায়, বর্তমানে ভারতে রয়েছে এমন নটি টানেল। এর মধ্যে একটি প্রায় ২ হাজার ৫৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ। এটিই বিশ্বের সর্বোচ্চ বাইলেন টানেল। এছাড়া আরও ১১টি টানেল নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে ওই সূত্র। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের মে মাস থেকেই লাদাখ সীমান্তে সেনা সমাবেশ বাড়িয়েছে চিন। ওই বছরই জুন মাসে ভারতীয় সেনার সঙ্গে চিনা সেনাদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষও হয়। তার পরেও ওই এলাকায় চিনা সেনা ক্রমেই বাড়িয়েছে তাদের নিয়ন্ত্রণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Sukhoi-30: নারীশক্তির জয়! চিন সীমান্তে সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমান ওড়াচ্ছেন এই বীর কন্যা…

    Sukhoi-30: নারীশক্তির জয়! চিন সীমান্তে সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমান ওড়াচ্ছেন এই বীর কন্যা…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটু দূরেই চিন সীমান্ত। এখানকার আকাশে প্রতিনিয়ত পাহারা দিচ্ছে চিনা সেনা পিপলস লিবারেশন আর্মির (PLA) লড়াকু বিমান। তাতে ভয় কী? এরা তো মহিষাসুরমর্দিনী। দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনই তো ভারতীয় মেয়েদের চিরায়ত বৈশিষ্ট্য। তাই চিনের চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC) বরাবর অসমের (Assam) তেজপুর  স্থিত ভারতীয় বায়ুসেনার ঘাঁটি (Tezpur Airbase) থেকে সুখই-৩০ (Sukhoi-30 MKI) যুদ্ধবিমান ওড়াচ্ছেন বীর কন্যা। 

    আরও পড়ুন: ভারতে রকেট লঞ্চার তৈরি করবে স্যাব! কী বলছে সুইডেনের সংস্থা?

    সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, মঙ্গলবার তেজপুর থেকে একটি সুখোই-৩০ চক্কর কেটেছে চিন সীমান্তের আকাশে। সেই বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তেজস্বী রঙ্গা রাও জানান, এই সুখোই-৩০ সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি। বিমানের নীচের অংশে লাগানো সেন্সর ধরে ফেলবে প্রতিপক্ষ অস্ত্র নিক্ষেপ করছে কিনা! সেই সঙ্কেত দেখেই অভ্যর্থ লক্ষ্যে আঘাত হানবে সুখোই। তাঁর কথায়, ‘আমরা উড়ছি আকাশ ছোঁয়ার স্পর্ধা নিয়েই। টাচ দ্য স্কাই উইথ গ্লোরি!’ তিনি  এও বলছেন, “দেশের স্বার্থে আমরা যে কোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত। যে কোনও পরিস্থিতি মানে যে কোনও পরিস্থিতিই!” তেজস্বী হলেন সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমানের একমাত্র মহিলা ওয়েপন সিস্টেম অপারেটর বা ‘উইজ়ো’। এঁরা মূলত কো-পাইলট। যুদ্ধবিমান চালানো নয় ওই বিমান থেকে শত্রুর উপর আঘাত হানার কাজ করেন তেজস্বী। বিমানের পিছনে বসে পুরো যুদ্ধ পরিচালনা করেন। শত্রুর উপর কত দূর থেকে কী ধরনের মিসাইল নিক্ষেপ করা হবে বা কীভাবে আক্রমণ চালানো হবে তা ঠিক করেন ‘উইজ়ো’।

    আরও পড়ুন: আত্মনির্ভর ভারতে আস্থা! আধুনিক প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার জন্য দেশীয় সংস্থাগুলির কাছে দরপত্র চাইল সেনা

    বায়ুসেনার হেলি-পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট সাক্ষ্য বাজপেয়ীর কথায়, “এখানকার ভৌগলিক পরিবেশ অত্যন্ত কঠিন। পাহাড়ের আড়ালে ঢেকে থাকে আকাশ। সেখানে এই যুদ্ধবিমান ওড়ানো যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের। সেই চ্যালেঞ্জটার মুখোমুখি হয়েছি আমরা। এবং আরও বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার রসদ পেয়েছি এখান থেকে।” বরাবরই দেশের নারীশক্তিকে প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই এগিয়ে চলেছে বায়ুসেনা। ‘মেয়েরা সব পারে’ এই আদর্শকে স্বীকার করে  চিন সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC) বরাবর হেলিকপ্টার, ফাইটার জেট নিয়ে টহল দিচ্ছেন মহিলারা। এই কাজে খুশি স্বয়ং বায়ুসেনার কর্তারা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Indian Mountaineer Missing: চিন সীমান্তে নিখোঁজ ভারতীয় পর্বতারোহী! নিছকই কি দুর্ঘটনা?

    Indian Mountaineer Missing: চিন সীমান্তে নিখোঁজ ভারতীয় পর্বতারোহী! নিছকই কি দুর্ঘটনা?

    মাধম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন পরেই মাউন্ট এভারেস্ট (Mount Everest) অভিযানে যাওয়ার কথা ছিল অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) প্রথম পর্বতারোহী তাপি ম্রা (Tapi Mra)। কিন্তু নতুন অভিযানে বেরিয়ে হঠাৎই তিনি নিখোঁজ। যা নিয়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে উত্তর-পূর্বের রাজ্যে। প্রশ্ন উঠছে, নিছকই এটা দুর্ঘটনা নাকি চিনের (China) সেনার হাত রয়েছে এই ঘটনার পিছনে?

    আরও পড়ুন: মধ্যরাতের শুনানিতে মিলল ছাড়পত্র, কর্নাটকের হুব্বালি ইদগাহ ময়দানে হবে গণেশ উৎসব

    দিন সাতেক আগে চিন সীমান্তের কিছুটা দূরে পূর্ব হিমালয়ের তুষার আচ্ছাদিত মাউন্ট কায়ারিসাতামের (East Kameng district) দিকে যাচ্ছিলেন তাপি। সঙ্গী ছিলেন বন্ধু নিকু দাও। অরুণাচল প্রদেশের সর্বোচ্চ তুষার ঢাকা শৃঙ্গ খায়ার সাতাম (Mount Kyarisatam) জয় করাই ছিল তাঁদের লক্ষ্য। আর তার জন্য দুর্গম পথ পেরিয়ে ৬৯০০ মিটার উচ্চতা আরোহন করতে হতো তাঁদের। সময় লাগার কথা ছিল প্রায় সাত দিন। কিন্তু তার আগেই ঘটল বিপত্তি। দুই পর্বতারোহীর সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন দু’জন সহকারি। তাঁরাই প্রশাসনকে অবগত করেন।

    আরও পড়ুন: কংগ্রেস সভাপতি পদে লড়ছেন শশী থারুর? আর কে লড়ছে জানেন?

    দুই পর্বতারোহীর নিখোঁজের পর তাঁদের খুঁজে বের করতে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। ডাকা হয়েছে দু’টি সেনা হেলিকপ্টারও। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে তল্লাশি অভিযানে বিঘ্ন ঘটেছে বার বার। বাধ্য হয়ে একটি দলকে পাঠানো হয়েছে পায়ে হেঁটে। এখনও পর্যন্ত কোনও খোঁজ মেলেনি। রাজ্যের ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক মন্ত্রী মামা নাতুং বলেছেন, “চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখা হচ্ছে না। তবে খারাপ আবহাওয়ার কারণে হেলিকপ্টারে তল্লাশি অভিযান ও উদ্ধারকার্যে সমস্যা হচ্ছে। তাই প্রশাসনকে পায়ে হেঁটে অনুসন্ধান অভিযান চালানোর নিদের্শ দেওয়া হয়েছে।” পর্বতারোহণ ও প্যারাগ্লাইডিং সংস্থার পক্ষ থেকে ৩৭ বছর বয়সি তাপি ম্রা’কে খুঁজে বের করার আবেদন করা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share