Tag: China border

China border

  • LAC Faceoff: চিন সীমান্তে রাস্তা নির্মাণে গত পাঁচ বছরে ব্যয় প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা

    LAC Faceoff: চিন সীমান্তে রাস্তা নির্মাণে গত পাঁচ বছরে ব্যয় প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চিনের সঙ্গে  সংঘর্ষের বাতাবরণ অব্যাহত। মুখে শান্তির কথা বললেও এখনও কোনও সদর্থক পদক্ষেপ নেয়নি বেজিং। তাই ডোকলাম নিয়ে অশান্তির পর চিন সীমান্তে কয়েকটি রাস্তা তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সব ক’টিই অবস্থান ও কৌশলগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এই রাস্তা নির্মাণে গত কয়েক বছরে প্রায় ১৫ হাজার ৪৭৭ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় নিরাপত্তা বাহিনী যাতে দ্রুত সীমান্তে পৌঁছতে পারে, তাই এই পদক্ষেপ। রাজ্যসভায় সাংসদ সরোজ পাণ্ডের এক প্রশ্নের উত্তরে একথা জানান প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী অজয় ভাট। 

    আরও পড়ুন: দ্বিতীয়বার ইডির সামনে সোনিয়া! রাহুল-সহ ১৭ জন কংগ্রেস সাংসদ আটক

    অজয় ভাট জানান,চিন সীমান্তে দু হাজার ৮৮ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণে ১৫ হাজার ৪৭৭ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।  জম্মু-কাশ্মীর থেকে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত ভারত-চিনের চার কিলোমিটারের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা। বেশ কয়েক বছর ধরে সীমান্ত এলাকায় রাস্তাঘাট-সহ অন্যান্য উন্নয়নের উপর জোর দিয়েছে চিন। ২০১৭ সালে ডোকলামকে কেন্দ্র করে দু’দেশের উত্তেজনা চরমে পৌঁছয়। তার পর ভারত সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়াতে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছে। জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশ, এই পাঁচ রাজ্যের ভারত-চিন সীমান্তে কয়েকটি কৌশলগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা তৈরির কাজ চলছে।

    আরও পড়ুন: দেশের চেয়ে বিরোধীরা রাজনৈতিক স্বার্থকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে, অভিযোগ মোদির

    অন্যদিকে, ভারত পাকিস্তান সীমান্তে নতুন রাস্তা নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় চার হাজার ২৪২ কোটি টাকা। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চিনের বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে কেন্দ্র চিন সীমান্তে রাস্তা নির্মাণে প্রায় তিনগুণ বেশি অর্থ ব্যয় করেছে। অজয় ভাট মায়ানমার ও বাংলাদেশের সীমান্তে নির্মিত রাস্তার দৈর্ঘ্য এবং সংশ্লিষ্ট ব্যয় সম্পর্কেও বিশদ বিবরণ দিয়েছেন। ভারত-মায়ানমার সীমান্তে খরচ হয়েছে প্রায় ১৫১ কোটি টাকা। বাংলাদেশ সীমান্তে রাস্তা নির্মাণে ব্যয় করা হয়েছে মাত্র ১৯ কোটি টাকা। 

  • Missing Workers from AP: অরুণাচল প্রদেশে  ঘন অরণ্যে ৭ শ্রমিকের খোঁজ মিলল,  এখনও নিখোঁজ ১২

    Missing Workers from AP: অরুণাচল প্রদেশে ঘন অরণ্যে ৭ শ্রমিকের খোঁজ মিলল, এখনও নিখোঁজ ১২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরুণাচলের (Arunachal Pradesh) ভারত-চিন সীমান্তবর্তী (Indo-China border) গ্রামে রাস্তা তৈরির কাজ করতে গিয়ে নিখোঁজ হন ১৯ জন পরিযায়ী শ্রমিক। গত ১৩ জুলাই তাঁদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে, অভিযোগ দায়ের করা হয়। নিখোঁজ হওয়ার প্রায় দুই সপ্তাহ পর খোঁজ মিলল ৭ জন শ্রমিকের। এখনও নিখোঁজ ১২ জন। শুক্রবার কুরুং কুমে ( Kurung Kumey ) জেলার ঘন অরণ্যে তাঁদের খুঁজে পাওয়া যায়। 

    এক সরকারি আধিকারিক জানান, ৭ জন শ্রমিককে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনের (BRO) চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে। সেখানেই তাঁদের চিকিৎসা চলছে। তাঁদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। এদিকে অপর ১২ জনের খোঁজে শনিবার সকালে সার্ভে শুরু করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা (IAF)।  কুরুং কুমের জেলা বিপর্যয় মোকাবিলার আধিকারিক করণ খোলি বলেছেন, ‘বর্তমানে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ২৬ জন তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। অসমের তেজপুর থেকে বায়ুসেনার একটি চপার শনিবার বাকি ১২ শ্রমিকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।’

    আরও পড়ুন: ওয়েব চেক-ইনে অতিরিক্ত টাকা আর নয়, নয়া সিদ্ধান্ত অসামরিক বিমান মন্ত্রকের

    ওই শ্রমিকরা কুরুং কুমে জেলার হুরিতে কাজ করতেন। সেখান থেকে প্রায় ২০-২৫ কিলোমিটার দূরে একটি গভীর অরণ্যে প্রথমে নিখোঁজ তিন শ্রমিকের খোঁজ পান দামিনের স্থানীয় গ্রামবাসীরা। পরে আরও তিনজনের খোঁজ মেলে। কুরুং কুমের জেলা বিপর্যয় মোকাবিলার আধিকারিক করণ খোলি জানিয়েছেন, দামিনে যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব দুর্বল হওয়ায় খোঁজ পাওয়া শ্রমিকদের নাম এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তিনি জানিয়েছেন, নির্মাণ সাইট থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর তাঁরা হেঁটেই অসমের উদ্দেশে রওনা দেন। কিন্তু মাঝ পথেই রাস্তা হারিয়ে ফেলেন তাঁরা। 

    প্রসঙ্গত, গত ৫ জুলাই দামিন সার্কেলে নির্মাণ সংস্থার সাইট থেকে পালিয়ে যান ১৯ জন শ্রমিক। জানা গিয়েছিল অসম থেকে আসা এই শ্রমিকরা ইদ উপলক্ষে বাড়ি যাওয়ার ছুটি চেয়েছিলেন। কিন্তু ছুটি দিতে মালিক পক্ষ রাজি না থাকায় সেখান থেকে পালান তাঁরা। তারপর থেকেই তাঁদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। দীর্ঘ প্রায় তিন সপ্তাহ পর ভারত-চিন সীমান্তের কাছে গভীর অরণ্য থেকে তাঁদের মধ্যে ৭ জনের খোঁজ মিলল।

  • 2 jawans missing: চিন সীমান্তের কাছে নিখোঁজ দুই ভারতীয় জওয়ান

    2 jawans missing: চিন সীমান্তের কাছে নিখোঁজ দুই ভারতীয় জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’সপ্তাহ পরও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না দুই ভারতীয় জওয়ানের (Indian Soldier)। চিন (Chin) সীমান্তের কাছে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন হরেন্দ্র নেগি ও প্রকাশ সিং রানা নামের দুই জওয়ান। উত্তরাখণ্ডের ৭ম গাড়োয়াল রাইফেলসের ওই দুই জওয়ান গত ২৮ মে থেকে নিখোঁজ। ভারতীয় সেনাবাহিনী সূত্রে খবর,কোনও স্পষ্ট প্রমাণ না মিললেও মনে করা হচ্ছে অরুণাচলের অঞ্জ জেলার কাজব উপত্যকায় নদীতে পড়ে যান ওই দু’জন। অনুমান, প্রকাশ কোনওভাবে পা পিছলে নদীতে পড়ে গিয়েছিল। হরেন্দ্র তাঁর বন্ধুকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে তিনও ভেসে যান। দুজনেই উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগ জেলার উখিমঠের বাসিন্দা। 

    প্রকাশ সিং রানার স্ত্রী মমতা রানা জানান, সেনা কর্মকর্তারা ২৯ মে তাঁকে প্রথম ফোন করে জানায় যে তাঁর স্বামী ২৮ মে থেকে নিখোঁজ। দ্বিতীয় ফোনটি  আসে ১১ জুন। সেনার তরফে জানানো হয়, প্রকাশ ও তাঁর বন্ধু হরেন্দ্র দুজনেই নদীতে ডুবে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবু আশায় বুক বেঁধে আছেন মমতা এবং তাঁর দুই সন্তান অনুজ (১০)এবং অনামিকা (৭)। প্রকাশের জন্য অপেক্ষা করেই চলেছেন তাঁরা।

    এদিকে হরেন্দ্র নেগির স্ত্রী পুনম নেগির বিশ্বাসই হচ্ছে না যে তাঁর স্বামী এবং সহকর্মী নদীর কাছে গিয়েছিলেন অথচ কেউ জানত না। হরেন্দ্রর বিয়ে হয়েছে সবে তিন বছর, এক বছরের একটি সন্তান আছে তাঁদের। 

    গত ১৪ দিন ধরে নিখোঁজ চিন-অরুণাচল প্রদেশ সীমান্তে মোতায়েন থাকা দুই জওয়ান। সেনা সূত্রে খবর, তাঁদের খোঁজ চলছে। আকাশপথে খোঁজ করা হচ্ছে। অনুসন্ধানকারী কুকুরকেও ব্যবহার করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অজয় ভাট জানান, নিখোঁজ সেনাদের অনুসন্ধানে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। 

    প্রসঙ্গত,চলতি বছরের শুরুতেই অরুণাচল প্রদেশের এক কিশোর নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল।  এক সপ্তাহ পর জানা যায়, চিনের সেনারা তাকে বন্দি বানিয়ে রেখেছিল। পরে দুই দেশের সেনা ও কুটনৈতিক স্তরে আলোচনার মাধ্যমে ওই কিশোরকে ভারতে ফেরত আনা হয়। এই জওয়ানদের সঙ্গেও এরকম কিছু ঘটেছে কি না তা নিয়ে অনুসন্ধান চলছে।

LinkedIn
Share