Tag: Chinsurah

Chinsurah

  • Hooghly: বিজেপি-র সভায় গেলে এলাকাছাড়া করে দেওয়া হবে, তৃণমূলের হুমকি-পোস্টার!

    Hooghly: বিজেপি-র সভায় গেলে এলাকাছাড়া করে দেওয়া হবে, তৃণমূলের হুমকি-পোস্টার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মতলায় ‘শাহি সমাবেশে’ বিপুল জমায়েতের ডাক দিয়েছে বিজেপি। আর সেই সভায় যাতে জমায়েত কম হয়, তা রজন্য উঠেপড়ে লেগেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। আড়ালে আবডালে নয়, একেবার প্রকাশ্যে পোস্টার দিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে। সমাবেশে যাতে মানুষ যোগ না দেন, তার জন্য ভয় দেখাচ্ছে জোড়াফুল শিবির। সভায় গেলে এলাকাছাড়া করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।  চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির (Hooghly) চুঁচুড়া পুরসভা এলাকায়। এখানকার এক নম্বর ওয়ার্ডের কেওটা বটতলা এলাকায় এই ধরনের পোস্টার দেখা যায়।

    পোস্টারে কী লেখা রয়েছে? (Hooghly)  

    ২৯ নভেম্বর ‘কলকাতা চলো’র ডাক দিয়েছে বিজেপি। ওই দিন ধর্মতলায় হবে প্রতিবাদ সভা। সেই সভায় যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে পোস্টার লাগানো হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। হুগলির (Hooghly) চুঁচুড়া-ব্যান্ডেলেও পোস্টার মারা হয়। বিজেপির সেই পোস্টারের উপর সাদা কাগজে ছাপানো লেখা পোস্টার মারা হয়েছে। তাতে লেখা, ‘কেন্দ্র আমাদের আবাসের টাকা দিচ্ছে না। এলাকা থেকে যাঁরা এই সভায় যাবেন, তাঁদের এলাকাছাড়া করে দেওয়া হবে। তলায় লেখা জয় বাংলা। স্থানীয়দের নজরে পড়ে এই পোস্টার। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

    তৃণমূল ভয় পেয়ে এসব করছে, সরব বিজেপি নেতৃত্ব

    বিজেপির হুগলি (Hooghly) সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, ‘তৃণমূল ভয় পেয়েছে। তাই এসব করছে। ওরা মানুষের আবাসের টাকা, একশো দিনের কাজের টাকা খেয়েছে। মানুষ এর জবাব দেবে। আর আমাদের প্রতিবাদ সভা বন্ধ করতে হাইকোর্টে গেল, কোনও কাজ হল না। এখন ভয় দেখাচ্ছে সভায় যাতে লোক না হয়। এসব করে কোনও লাভ হবে না। ধৰ্মতলা সভায় বহু মানুষের ভিড় হবে।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, ‘বিজেপি পোস্টারের উপর নিজেরাই পোস্টার মেরে প্রচার চাইছে। ওদের সঙ্গে তিনগাছা লোক নেই। তৃণমূলের খেয়েদেয়ে কাজ নেই পোস্টার মারতে যাবে। মানুষ সব দেখছে বুঝছে, ২৪ সালে সব জবাব দিয়ে দেবে।’

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: তৃণমূলকে ভোট না দেওয়ায় লাগাতার হুমকি, বিধায়কই ফাঁস করে দিলেন দলের সন্ত্রাস!

    Hooghly: তৃণমূলকে ভোট না দেওয়ায় লাগাতার হুমকি, বিধায়কই ফাঁস করে দিলেন দলের সন্ত্রাস!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাসে উত্তপ্ত রাজ্য। এখনও বিভিন্ন জায়গায় বিরোধী কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা চলছে। মিছিলে হামলা, বাড়িতে ঢুকে হামলা, কোনও কিছুই বাদ নেই। বিজেপির পক্ষ থেকে বার বার অভিযোগ করা হচ্ছে, স্রেফ বিরোধী দল করার অপরাধেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাদের সমর্থকদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। যদিও তৃণমূল এইসব অভিযোগ সরাসরি উড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু এবার হুগলি (Hooghly) জেলায় এমন একটি ঘটনা সামনে এল, যাতে তৃণমূলের গোপন সন্ত্রাস আর গোপন রইল না। তা প্রকাশ্যে এনে দিলেন খোদ দলের বিধায়ক। এতে একদিকে যেমন বিরোধীদের তোলা অভিযোগ মান্যতা পেল, তেমনি সামনে এল তৃণমূলের নোংরা রাজনীতও।

    বিধায়ক কীভাবে সামনে আনলেন দলেরই সন্ত্রাস (Hooghly)!

    হুগলি জেলার চুঁচুড়ার কোদালিয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের রবীন্দ্রনগর কালীতলা এলাকার ঘটনা। এখানে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলেরই (TMC) প্রার্থী কৃষ্ণা মণ্ডল। কিন্তু জিতেও মেটেনি সাধ। এলাকার সাতটি পরিবার নাকি তৃণমূলকে ভোট দেয়নি। এটাই তাঁদের অপরাধ। আর যায় কোথায়! শুরু হয়ে যায় ধমক-চমক। অভিযোগ ওঠে, ওই প্রার্থীর স্বামী আধার মণ্ডল ওই পরিবারগুলিকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ফলে রীতিমতো আতঙ্কে দিন কাটাতে থাকে ওইসব পরিবার। কোনও ভাবেই সুরাহা না মেলায় অবশেষে তারা এলাকার বিধায়ক তৃণমূলের অসিত মজুমদারের দ্বারস্থ হয়।

    সেই অভিযোগ পেয়ে অসিতবাবু ওই এলাকায় গিয়ে যা করলেন, তাতে কিছুই আর আড়ালে থাকল না। নিজের দলের সন্ত্রাসই বেআব্রু হয়ে পড়ল। তিনি এলাকায় (Hooghly) গিয়ে দলের যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাকে ডেকে প্রকাশ্যে এমন ধমক দিলেন, যাতে সবার মনে হতেই পারে, তৃণমূল দলটা সত্যিই কতখানি শৃঙ্খলপরায়ণ। জনতার সামনে বিধায়ক ওই নেতাকে পাল্টা হুমকি দিয়ে বললেন, “এই তোর লাস্ট চান্স। তুই যদি একটা লোককে চমকাস, তোর হাড়গোড় আমি এক করে দেব।… তুই কেন চমকাবি?…তুই বাইরে থাকবি, না ভিতরে থাকবি?” তিনি পরে সংবাদ মাধ্যমের সামনে স্বীকারও করে নেন, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে ভুল স্বীকার করে নিয়েছে। ভবিষ্যতে আর করবে না বলেও কথা দিয়েছে। অর্থাৎ বিধায়কের ওই আপাত ধমক থেকে একটা জিনিস পরিষ্কার হয়ে গেল, স্রেফ তৃণমূলকে ভোট না দেওয়ার জন্য ৭টি পরিবারকে ব্যাপক সন্ত্রাসের মুখে পড়তে হয়েছে।

    বিধায়ক নাটক করছেন, তোপ বিজেপির

    এলাকার (Hooghly) মানুষ অবশ্য এসবকে আমল দিতে নারাজ। কারণ, তাঁদের বক্তব্য, বিধায়কের প্রচ্ছন্ন মদত না থাকলে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে না। আর ওই নেতাকে লাস্ট চান্স দিয়ে বিধায়ক এটাও বুঝিয়ে দিয়েছেন, এই ধরনের কাজ ওই নেতা এই প্রথম করছেন না। বিজেপিও এই জায়গাতেই আক্রমণ হেনেছে। দলের হুগলি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, চুঁচুড়ায় সবথেকে বড় চমকাইবাজ নেতা যদি কেউ হয়ে থাকে, তবে সেটা তো হচ্ছে আমাদের চুঁচুড়ার বিধায়ক (TMC)। যে দলের গোড়ায় এরকম গলদ হয়ে রয়েছে, সেই দলের শাখাপ্রশাখা তো এই রকমই হবে। এ একে চমকাবে, ও তাকে চমকাবে। এটাই তো দলের কালচার। আজ উনি শুধুমাত্র একটা নাটক করার জন্য আইওয়াশ করতে শুরু করেছেন। লোককে ধমকানো চমকানোটাই এই দলের আইডিওলজি। কখনও কর্মীরা চমকাবে, কখনও বিধায়ক চমকাবেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Chinsurah: জামাইষষ্ঠীর দিনে বাজি কাণ্ডে আটক জামাইবাবু

    Chinsurah: জামাইষষ্ঠীর দিনে বাজি কাণ্ডে আটক জামাইবাবু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চুঁচুড়ায় (Chinsurah) জামাইষষ্ঠীর দিনে ফেঁসে গেলেন জামাই। বৃহস্পতিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে চুঁচুড়া থানার কাপাসডাঙ্গা এলাকায়, একজনের বাড়ি থেকে প্রায় ২০০০ কেজি বাজি আটক করলো চুঁচুড়া থানার পুলিশ। ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য।

    চুঁচুড়াতে (Chinsurah) কী ঘটেছিল?

    রাজ্যের একাধিক জায়গায় পর পর বাজি বিস্ফোরণের ঘটনার পর, রাজ্যজুড়ে অবৈধ বাজি কারখানায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। জায়গায় জায়গায় চলছে বাজি, বাজির মশলা উদ্ধার এবং ধরপাকড়। ঘটনা ঘটেছে চুঁচুড়ার কাপাসডাঙ্গা (Chinsurah) এলাকায়। শ্যালক বাপ্পাদিত্য নাথের বাজি কারখানায় তৈরি বাজি, তাঁর জামাইবাবু প্রণব দত্তের বাড়িতে রাখার জন্য গ্রেফতার হয়ে মহাবিপদে এখন জামাইবাবু ।

    পুলিশের ভূমিকায় কীভাবে উদ্ধার?

    বেশ কিছুদিন ধরে চন্দননগর কমিশনারেট এলাকায় বিভিন্ন থানার পুলিশ অবৈধ বাজি কারখানা খুঁজে বেড়াচ্ছে। ইতিমধ্যে দিন দুই আগেই চুঁচুড়া কামারপাড়ার একজনের বাড়ি থেকে ২৫ কিলো বাজি উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারও হয় একজন। এরপরেই জামাইষষ্ঠীর দিন দুপুরে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কাপাসডাঙায় অভিযান চালায় চুঁচুড়া (Chinsurah) থানার পুলিশ। উদ্ধার হওয়া শব্দবাজি গুলো বেআইনি বাজি বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় ওই বাড়ির মালিক প্রণব দত্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে পুলিশের কাছে প্রণবের দাবী, ওই বাজি তাঁর নয়। তাঁর শ্যালক বাপ্পাদিত্য নাথ গাড়ি ভর্তি করে ওই বাজি পাঠিয়েছিলেন তাঁর বাড়িতে রাখার জন্য। হুগলি গ্রামীন পুলিশ জেলার চণ্ডীতলা থানার বেগমপুর এলাকায় বাপ্পার বাজি কারখানা রয়েছে বলে জানিয়েছে। চন্ডিতলা থানা যেভাবে চেকিং শুরু করেছে, তাতে নিরাপদ নয় ভেবে বাপ্পাদিত্য নাথ সেখান থেকে সরিয়ে, বৃহস্পতিবার সকালেই গাড়ি করে বাজি নিয়ে আসেন চুঁচুড়ার কাপাসডাঙায়। আর সরল মনের প্রণব ওই ট্রাক ভর্তি বাজি বাড়িতে রেখে দেন। খবর মিলতেই এদিন এলাকা ঘিরে ফেলে চুঁচুড়া থানার পুলিশ। ঘন্টাখানেক ধরে তন্ন তন্ন করে খুঁজে সমস্ত বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়। ওই বাড়ির মালিক প্রণব দত্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে, জানিয়েছেন চুঁচুড়া থানার ওসি অনুপম চক্রবর্তী। আরও কে কে এই বাজির পেছনে জড়িত, তা বর্তমানে জানার চেষ্টা চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়াল সিপিএমের! লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে ধৃত দলীয় কর্মী

    Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়াল সিপিএমের! লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে ধৃত দলীয় কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার নিয়োগ দুর্নীতিতে (Scam) নাম জড়াল সিপিএমের। লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে সরকারি চাকরি দেওয়ার টোপ দিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠল এক সিপিএম কর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির চুঁচুড়া থানা এলাকায়। প্রতারিত পরিবারের লোকজন ওই সিপিএম কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে পুলিশ মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম পার্থ মণ্ডল। তাঁর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর থানা এলাকায়। পুলিশ জনিয়েছে, পার্থর কাছ থেকে একটি নিয়োগপত্র উদ্ধার হয়েছে। এই দুর্নীতির (Scam) সঙ্গে কারা রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় আড়াই বছর আগে  নন্দীগ্রামের সাঁইবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা স্বপন দাসের প্রতিবেশী সুদীপ্ত হাজরার মাধ্যমে অমিত পায়রা নামে এক যুবকের সঙ্গে আলাপ হয়। অমিত তাঁকে সরকারি চাকরি করে দেওয়ার টোপ দেন। বিনিময়ে টাকা দাবি করেন। স্বপনবাবু প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান। অমিতের হাত ধরে দুর্নীতির (Scam) চক্করে পড়ে যান তিনি। এরপর এই অমিতই পার্থ মণ্ডলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। স্বপনবাবু তাঁর ছেলে কৌশিক ও মেয়ে চামেলি দাসের চাকরির জন্য সারে এগারো লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন পার্থ মন্ডলকে। প্রথমে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতরে এবং পরে, প্রাথমিক স্কুলে চাকরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। সবশেষে স্বাস্থ্য দফতরে চাকরি করে দেওয়ার কথা বলেন। গত ১১ এপ্রিল পোস্ট অফিস মারফত একটি নিয়োগ পত্র পান স্বপন দাস। সেটি ছিল হুগলির জেলা হাসপাতালে গ্রুপ ডি পদের। সেই নিয়োগ পত্রের আসল কপি পার্থ নিজের কাছে রেখে একটি জেরক্স দিয়ে দেন স্বপন দাসকে। নিয়োগ পত্রে সরকারি সিল মারা ছিল, বিশ্ব বাংলার সরকারি লোগো ছিল। আসল নিয়োগপত্রের জন্য আরও দেড় লক্ষ টাকা পার্থ দাবি করেন। ১৩ এপ্রিল স্বপনবাবু চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে আসেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিয়োগ পত্র দেখে জানিয়ে দেয়, সেটি ভুয়ো। এরপরই চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। তদন্তে নেমে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।

    কী বললেন প্রতারিত ব্যক্তি

    স্বপনবাবু বলেন, আমি কলকাতায় বেকারিতে কাজ করি। জমি বিক্রি করে, ধারদেনা করে টাকা দিয়েছিলাম। টাকা দেওয়ার পর চাকরি না হওয়ায় অমিতকে ফোন করলে সে আর ফোন ধরে না। পরে, মোবাইল নম্বরই সে পাল্টে নেয়। হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারি, প্রতারিত হয়েছি। এরপর পার্থ মণ্ডলকে ফোন করি। তিনি দেড় লক্ষ টাকা না দিলে চাকরিতে যোগ দিতে পারবে না বলে জানায়। আমি তাঁকে জানাই, আমি চুঁচুড়ায় আছি, টাকা নিতে হলে সেখানেই আসতে হবে। সেখানে টাকা নিতে এসে পুলিশের জালে ধরা পরেন পার্থ। শুক্রবার আদালতে যাওয়ার পথে ধৃত পার্থ মণ্ডলের দাবি, তাকে ফাঁসানো হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Complain: অয়ন শীলের বিরুদ্ধে চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ! প্রতারিত চাকরি প্রার্থীর পাশে বিজেপি

    Complain: অয়ন শীলের বিরুদ্ধে চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ! প্রতারিত চাকরি প্রার্থীর পাশে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অয়ন শীলের বিরুদ্ধে এবার চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ (Complain) দায়ের করলেন প্রতারিত এক চাকরি প্রার্থী। তাঁর নাম চয়নিকা আঢ্য। বাড়ি চুঁচুড়ার ষন্ডেশ্বর তলায়। দুর্নীতির অভিযোগে ইডি-র (ED) হাতে অয়ন শীল গ্রেফতার হওয়ার পর চয়নিকা তাঁর প্রতারণার কথা সংবাদ মাধ্যমের সামনে তুলে ধরেছিলেন। যোগ্যতা থাকার পরও টাকা না দেওয়ায় অয়ন চাকরি দেয়নি বলে তিনি অভিযোগ তুলেছিলেন। তবে, পুলিশ প্রশাসনের কাছে এই প্রথম অয়নের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ (Complain) দায়ের করেন। পাশাপাশি টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা প্রশান্ত চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ (Complain) দায়ের করা হয়েছে।

    অয়ন শীলের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ (Complain)?

    চয়নিকা আঢ্য নামে ওই চাকরি প্রার্থী ২০১৯ সালে টিটাগড় পুরসভার গ্রুপ ডি পদে চাকরি পেয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই চাকরিতে যোগ দিতে গেলে অয়ন শীল ৫ লক্ষ টাকা দাবি করেন। টাকা না দিতে পারায় নিজের যোগ্যতায় পাওয়া চাকরি করতে পারেননি চয়নিকা। টিটাগড় পুরসভায় প্রায় এক সপ্তাহ তিনি কাজও করেছিলেন। জিরো ব্যালেন্সে ব্যাংকের স্যালারি অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া হয়। এটিএম কার্ডও দেওয়া হয়। তারপরও চাকরি হয়নি তাঁর। পুরসভায় জানতে গেলে টাকা না দিলে চাকরি হবে না বলে জানানো হয়।

    এতদিন পর অয়নের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ (Complain) নিয়ে কী বললেন চয়নিকা?

    ১ লা এপ্রিল বিজেপি আইনজীবী সেলের এক প্রতিনিধি দল চয়নিকার বাড়িতে গিয়ে আইনি সাহায্য দেওয়ার আশ্বাস দেয়। এরপরই সোমবার চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ (Complain) দায়ের করেন চয়নিকা। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি আইনজীবী সেলের সদস্যরা। অয়ন শীল ছাড়া আরও তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (Complain) করা হয়। জানা গিয়েছে, যে পুলিশ কর্মী অয়ন শীলের বার্তা নিয়ে চয়নিকার বাড়িতে গিয়েছিলেন সেই মানস সেন, টিটাগড় পুরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরী এবং টিটাগড় পুরসভার বড়বাবু শঙ্কর কুমার সিং-এর বিরুদ্ধেও অভিযোগ (Complain) করা হয়েছে। চয়নিকা বলেন, পরীক্ষা দিয়ে নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছিলাম। অয়ন শীলের এই চক্রের জন্য সেই চাকরি করতে পারিনি। আমার হকের চাকরি ফেরত চাই। অভিযুক্তের শাস্তি চাই। আর অয়ন শীলের লোকজন হুমকি দিত বলে এতদিন থানায় অভিযোগ (Complain) করতে পারিনি। এখন পাশে অনেকে রয়েছে, তাই সাহস করে থানায় অভিযোগ (Complain) জানালাম।

    কী বললেন বিজেপি-র আইনজীবী সেলের সদস্য?

    চয়নিকার আইনজীবী তথা বিজেপি-র আইনজীবী সেলের সদস্য শিবাজি দাস বলেন, চয়নিকার কাছে যে তথ্য প্রমাণ রয়েছে, তার ভিত্তিতে চাকরি ফিরে পেতে কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা না। তাই, এদিন এফ আই আর করা হয়েছে। পুলিশ কি ব্যবস্থা নেয় তা দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lover: বিয়েতে আপত্তি পরিবারের! প্রেমিকাকে নিয়ে গঙ্গায় মরণঝাঁপ প্রেমিকের, কোথায় জানেন?

    Lover: বিয়েতে আপত্তি পরিবারের! প্রেমিকাকে নিয়ে গঙ্গায় মরণঝাঁপ প্রেমিকের, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিয়েতে মত দেয়নি পরিবার। তাই প্রেমিকাকে (Lover) সঙ্গে নিয়ে গঙ্গায় মরণ ঝাঁপ দিল প্রেমিক। নৈহাটির জুবিলি ব্রিজে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রেমিকার নাম স্নেহা খাতুন (১৯) এবং প্রেমিক মহম্মদ মোক্তার। স্নেহাকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে চুঁচুড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। আর মোক্তারের হদিশ মেলেনি। যদিও পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে পুলিশ মোক্তারের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।

    কী করে দুজনের মধ্যে আলাপ হয়েছিল?

    চলতি বছরের শুরুতে ফেসবুকের মাধ্যমে দুজনের আলাপ। তারপর ফোন নম্বর আদান প্রদান হয়। জগদ্দলের বহড়াপাড়ায় বাড়ি স্নেহা খাতুনের। আর জগদ্দলের বাঁকাড় মোড়ে বাড়ি মহম্মদ মোক্তারের। প্রথমে বন্ধুত্ব। পরে, প্রেমের (Lover) সম্পর্ক গড়ে ওঠে দুজনের মধ্যে। স্নেহা মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করে। আর মোক্তার ইলেকট্রিকের কাজ করতেন। স্নেহার বাবার খুব বেশি রোজগার ছিল না। দুজনের সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পারার পর পরই মোক্তারের পরিবারের লোকজন আপত্তি জানান। ফলে, মেয়ের বাড়ির লোকের মত থাকলেও তাঁরা পিছিয়ে আসেন। দুই পরিবারের নির্দেশে দুজনের মেলামেশা বন্ধ করে দেয়। এরপরই তাঁরা দুজনেই গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। স্নেহার এক বান্ধবী সাবিনা খাতুন বলেন, পরিবারের লোকজন মেলামেশা বন্ধ করে দেওয়ায় তারা আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আমরা স্নেহাকে অনেকটাই বোঝাতে পেরেছিলাম বলে তাঁরা আত্মহত্যা সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসে। তবে, এবারও যে ওরা এরকম সিদ্ধান্ত নেবে তা ভাবতে পারিনি।

    জগদ্দল থেকে জুবিলি ব্রিজ কী করে গেল?

    পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ফোনে যোগাযোগ করে প্রেমিক (Lover) যুগল জগদ্দল থেকে ট্রেনে চেপে নৈহাটি আসে। সেখান থেকে ব্যান্ডেল লোকাল ধরে হুগলিঘাট স্টেশনে নামে। এরপর লাইন ধরে তারা জুবিলি ব্রিজে আসে। সেখান থেকে মরন ঝাঁপ দেয়। লাফ দেওয়ার পর প্রেমিকা সোজা গঙ্গায় পড়লেও প্রেমিক ব্রিজে ধাক্কা খেয়ে নিচে পড়ে। এরপর মেয়েটি চুঁচুড়ার তেলেনিপাড়া গঙ্গাঘাট এলাকায় পৌঁছাই। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ওই মহিলাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্যে চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। এরপর পুলিশ দুজনের পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share