Tag: Cholesterol

Cholesterol

  • Chia seeds: নিয়মিত এক চামচ চিয়া বীজ! কেমন করে খাবেন, কী কী উপকার মেলে?

    Chia seeds: নিয়মিত এক চামচ চিয়া বীজ! কেমন করে খাবেন, কী কী উপকার মেলে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বাড়তি ওজনের ঝামেলা কিংবা কোলেস্টেরলের বাড়বাড়ন্তে দুশ্চিন্তা! সব মুশকিল সহজেই মেটাতে পারে এক চামচ চিয়া বীজ। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, আধুনিক ব্যস্ত জীবনে নানান রোগের প্রকোপ বাড়ছে। কম বয়সিদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, মাত্রাতিরিক্ত কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিসের মতো নানান রোগ দেখা দিচ্ছে। যার ফলে খুব‌ কম বয়স থেকেই শারীরিক জটিলতা তৈরি হচ্ছে। সুস্থ স্বাভাবিক জীবন‌ যাপন কঠিন হয়ে যাচ্ছে। চল্লিশের চৌকাঠে যাওয়ার আগেই হার্ট অ্যাটাকের মতো ঘটনা বাড়ছে। পাশপাশি মহিলাদের হাড়ের সমস্যা মারাত্মক ভাবে বেড়েছে। ক্যালসিয়ামের ঘাটতির জেরে তিরিশের আগেই মহিলারা হাঁটু ও কোমরের সমস্যায় ভুগছেন। তবে এই ধরনের নানান রোগের মোকাবিলা করতে পারে চিয়া (Chia seeds)! এখন দেখা যাক, নিয়মিত এক চামচ চিয়া বীজ কোন কোন রোগের মোকাবিলা করবে?

    হৃদরোগের ঝুঁকি কমাবে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের সমস্যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিয়া বীজ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে বিশেষ সাহায্য করে। চিয়া বীজে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। চিয়ার বীজ খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ একটি খাবার। তাই এই খাবার নিয়মিত খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় আক্রান্তদের জন্য বিশেষ উপকারী। তাই এই উপাদান হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে। পাশপাশি চিয়া বীজে থাকে ওমেগা থ্রি। এই উপাদান হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতাও স্বাভাবিক রাখে।

    হাড়ের জন্য বিশেষ উপকারী (Chia seeds)

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিয়া বীজে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো নানান খনিজ পদার্থ থাকে। এর ফলে নিয়মিত চিয়া বীজ খেলে হাড় মজবুত হয়। হাড়ের ক্ষয়রোগ কমে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতে বিশেষত মহিলারা হাড়ের ক্ষয় রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই চিয়া‌ বীজ তাদের জন্য বিশেষ উপকারী।

    ওজন কমাতে সাহায্য করে

    স্থূলতা ভারতের অন্যতম বড় স্বাস্থ্য সমস্যা। অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস এবং অস্বাস্থ্যকর খাবারের জন্য স্থূলতার সমস্যা বাড়ছে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে স্থূলতা একটা বড় সমস্যা। এই স্বাস্থ‌্য সমস্যা একাধিক রোগের জন্ম দিচ্ছে। হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এমনকি ক্যান্সারের কারণ হিসেবেও স্থূলতাকে দায়ী করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ওজন নিয়ন্ত্রণ জরুরি। আর এই কাজে সাহায্য করে চিয়া (Chia seeds)। ওমেগা থ্রি, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ উপাদান শরীরের অপ্রয়োজনীয় মেদ তৈরি করে না। বরং ক্যালোরি কমাতে সাহায্য করে।

    হজম শক্তি বাড়ায় চিয়া বীজ

    অন্ত্রের কার্যকারিতা ঠিক রাখতে এবং লিভার, পাকস্থলীকে সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে চিয়া বীজ। খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ এই খাবার হজম শক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে। তাই নিয়মিত চিয়া বীজ খেলে হজমের গোলমাল কমে যায়। লিভার এবং পাকস্থলীও সুস্থ থাকে‌।

    কীভাবে খাবেন চিয়া বীজ (Chia seeds)

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত এক চামচ চিয়া বীজ খেলেই শরীরে একাধিক উপকার হয়। তাঁদের পরামর্শ, সারারাত এক চামচ চিয়া বীজ জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে খেলেই শরীরে উপকার পাওয়া যায়। তাছাড়া, যে কোনও খাবার, যেমন দুধ কিংবা ফলের রসের সঙ্গেও ভেজানো চিয়া বীজ খাওয়া যেতে পারে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকেই জলখাবারে দুধ কর্নফ্লেক্স খান। তাঁরা কাজু, কিসমিস জাতীয় নানান ড্রাই ফ্রুটস মিশিয়ে সেটা খান। সেই খাবারেও চিয়া‌ বীজ ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে। তাছাড়া যে কোনও রকম স্যালাডের সঙ্গে চিয়া বীজ ছড়িয়ে খাওয়া যেতে পারে। শশা, গাজর, টমেটোর উপরেও এক চামচ চিয়া বীজ ছড়িয়ে খাওয়া যেতে পারে। আবার স্যান্ডুইচের ভিতরেও চিয়া‌ বীজ ছড়িয়ে খাওয়া যেতে পারে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, যে কোনও ধরনের খাবারের সঙ্গে প্রতিদিন এক চামচ চিয়া বীজ খেলেই শরীরে উপকার পাওয়া যাবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Stroke: স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে! উত্তরোত্তর মানসিক চাপই কি সঙ্কটের মূলে? 

    Stroke: স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে! উত্তরোত্তর মানসিক চাপই কি সঙ্কটের মূলে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দেশ জুড়ে বাড়ছে বিপদ! কম বয়সিদের মধ্যে বাড়তি ঝুঁকি তৈরি করছে উদ্বেগ। চিকিৎসক মহল জানাচ্ছেন, আগাম সচেতনতা না বাড়লে এমন রোগের ঝুঁকি এড়িয়ে চলা কঠিন হয়ে যাবে। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে মৃত্যুর কারণ হিসেবে যেসব রোগের তালিকা রয়েছে, তাতে চতুর্থ স্থানে রয়েছে স্ট্রোক (Stroke)। যেসব রোগে শারীরিক অক্ষমতা তৈরি হয়, স্বাভাবিক জীবন‌যাপন ব্যাহত হয়, সেই তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে এই রোগ। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে। কয়েক বছর আগেও পঞ্চাশোর্ধ্বদের এই রোগের প্রকোপ বেশি ছিল। কিন্তু এখন পঁচিশ পেরনোর পরেই বহু মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।‌ এই প্রবণতা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই তাঁরা মনে করছেন। 

     কেন বাড়ছে স্ট্রোকের ঝুঁকি? (Stroke)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেশ জুড়ে বাড়ছে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা দিচ্ছে। তাই স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেহে রক্তচাপ স্বাভাবিক না থাকলে স্নায়ুর উপরেও চাপ পড়ে। মস্তিষ্কের উপরেও তার প্রভাব দেখা যায়। উচ্চ রক্তচাপ তাই স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তরুণ প্রজন্মের অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। 
    এছাড়াও মানসিক চাপ (Stress ও অবসাদ স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ বলেই মনে করছেন‌ চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের অনেকেই এমন সামাজিক ও কর্মজগতের চাপে থাকেন, তাতে মানসিক শান্তি ব্যাহত হয়। তাঁরা নানান অবসাদের শিকার হন। যার জেরে তাদের দেহে একাধিক হরমোন অধিক সক্রিয় থাকে। আবার পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। এর জেরে মস্তিষ্কে নানান প্রতিক্রিয়া হয়। এর থেকেই স্ট্রোকের (Stroke) ঝুঁকি বাড়ে। 
    অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনকেও স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে জানান চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত হয়। এর ফলে শরীরে নানান সমস্যা দেখা দেয়। একাধিক রোগের কারণ এই অনিয়মিত অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই নিয়মিত বাজারের চটজলদি খাবার খান। এর ফলে তাঁদের অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যায়। আবার রক্তচাপের সমস্যাও দেখা যায়। কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ে। সবমিলিয়ে স্ট্রোকের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়তে থাকে। 

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা? (Stroke) 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীর ও মনের বিশ্রাম সবচেয়ে বেশি জরুরি। স্ট্রোকের মতো রোগের দাপট এড়াতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। তাতে ঝুঁকি অনেকটাই কমবে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাড়তি নুন খাওয়া যাবে না।‌ কম তেলমশলার খাবার খাওয়া জরুরি। নির্দিষ্ট সময় অন্তর খাবার খাওয়া দরকার। 
    বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, নিয়মিত যোগাভ্যাস জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, মানসিক চাপ দূর করতে এবং দেহের স্ট্রেস হরমোনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত যোগাভ্যাস দরকার। এতে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভালোভাবে হবে‌। আবার স্ট্রেস হরমোন নিয়ন্ত্রণে থেকে মানসিক শান্তি বজায় থাকবে‌। 
    পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অপ্রয়োজনীয় রাত জাগার অভ‌্যাস ক্ষতিকারক। রাতে নির্দিষ্ট সময়ে অন্তত আট ঘণ্টা ঘুমোনো দরকার। তাহলে স্ট্রোকের (Stroke) মতো রোগ প্রতিরোধ সহজ হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bhai Phota 2024: ভাইফোঁটায় মাছ-মাংসের সঙ্গে দেদার মিষ্টি! কোন দিক খেয়াল না রাখলেই বিপদ? 

    Bhai Phota 2024: ভাইফোঁটায় মাছ-মাংসের সঙ্গে দেদার মিষ্টি! কোন দিক খেয়াল না রাখলেই বিপদ? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ভাইফোঁটা! ভাই-বোনের সম্পর্কের উদযাপন।‌ বছরের এই দিনটা (Bhai Phota 2024) প্রত্যেক ভাই-বোনের কাছেই বিশেষ। আর বিশেষ দিনে খাবারে বিশেষ পদ ছাড়া চলে না। বাঙালির যে কোনও উদযাপনেই খাওয়া-দাওয়া বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ভাইফোঁটাও সেই তালিকা থেকে আলাদা নয়। বছরের এই বিশেষ দিনে বোনেরা নানান রকমারি পদ ভাইদের জন্য সাজিয়ে দেন। কিন্তু উদযাপনের জন্য স্বাস্থ্যের ব্যাঘাত কতখানি হয়? সতর্কতা বজায় না রাখলে সুস্থ থাকা বেশ কঠিন হয়ে যাবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই ভাইফোঁটার খাওয়া-দাওয়াতেও দরকার বিশেষ নজরদারি। তবেই সুস্থভাবে জীবনযাপন সম্ভব।

    কোন দিকে বিশেষ নজরদারি জরুরি? (Bhai Phota 2024)

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সুস্বাদু খাবার মানেই অতিরিক্ত তেল-মশলা দিয়ে তৈরি খাবার, এই ধারনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত তেল শরীরের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকারক। তাই রান্নায় অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করা একেবারেই চলবে না। অতিরিক্ত তেল শরীরের ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দেয়। হৃদরোগের ঝুঁকিও তৈরি করে। বিশেষত উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। খাবারের তালিকায় টাটকা সব্জি এবং প্রাণীজ প্রোটিন যেমন নানান ধরনের মাছ, মাংস থাকতে পারে। কিন্তু প্রসেসড প্রাণীজ প্রোটিন থাকলে, তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই রান্নার একাধিক মেনুতে নানান প্রসেসড মাংস রাখেন। এই ধরনের প্রসেসড মাংসে প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক দেওয়া থাকে। সেগুলো লিভার, কিডনিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। এইসব খাবার একাধিক রোগের কারণ। তাই মেনু নির্বাচনের সময়ে প্রসেসড মাংস বাদ দেওয়া উচিত বলেই পরামর্শ পুষ্টিবিদদের একাংশের।

    সব্জি রাখার পরামর্শ

    তবে খাবারের পদে প্রাণীজ প্রোটিনের পাশপাশি সব্জি রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শুধু প্রাণীজ প্রোটিন একেবারেই স্বাস্থ্যকর মেনু নয়। তাই সব্জির পদ রাখাও দরকার। এতে ব্যালেন্স ডায়েট হবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং স্থুলতার সমস্যা থাকলে অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই ভাইফোঁটায় (Bhai Phota 2024) একাধিক প্রাণীজ প্রোটিন পদে রাখেন। মটন কষা থেকে দই কাতলা কিংবা ইলিশ পাতুরির মতো পদ থাকে। কিন্তু এই খাবারগুলোতে একদিকে শরীরে মেদ জমার ঝুঁকি বাড়ে, আবার এই খাবারে বাড়তে পারে কোলেস্টেরল। তাই হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। তাই একসঙ্গে এই জাতীয় একাধিক পদ খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি।

    মিষ্টি খাওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ (Bhai Phota 2024)

    বাঙালির উৎসব উদযাপনের অন্যতম অংশ মিষ্টি। ভাইফোঁটার উদযাপনেও মিষ্টি অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু ডায়াবেটিস আক্রান্তদের কিংবা স্থুলতার সমস্যায় ভুগলে এই মিষ্টি খাওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ জরুরি। একাধিক মিষ্টি একেবারেই খাওয়া যাবে না। কারণ মিষ্টি (Sweets) রক্তে শর্করার পরিমাণ অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। যার জেরে একাধিক রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে। পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, মিষ্টির পরিবর্তে মেনুতে নানান রকমের ফল রাখা যেতে পারে। স্ট্রবেরি, লেবু, আপেলের মতো নানান রকমের ফল খাবারে বৈচিত্র্য আনবে। আবার স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী।‌ তাই ভাইফোঁটার বিশেষ পদে এমন নানান ফল রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ।

     

    ISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Biscuits: খিদে পেলেই বিস্কুট? জানেন কী কী জটিল রোগ হতে পারে? কতখানি বিপজ্জনক এই খাবার?

    Biscuits: খিদে পেলেই বিস্কুট? জানেন কী কী জটিল রোগ হতে পারে? কতখানি বিপজ্জনক এই খাবার?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সকালের চা হোক কিংবা হঠাৎ সন্ধ্যার খিদে, অথবা বাসে-ট্রেনে সফরের সঙ্গী, সবেতেই রয়েছে বিস্কুট (Biscuits)। ছোট থেকে বড়, সব বয়সীদের বিস্কুট নিত্যসঙ্গী। চা, দুধের সঙ্গে কিংবা এমনিতেই অনেকে বিস্কুট খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু সাম্প্রতিক একাধিক আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বিস্কুট কিছু ক্ষেত্রে আদৌ স্বাস্থ্যকর খাবার নয়। বরং বিস্কুটের উপকারের তুলনায় অপকার অনেক ক্ষেত্রে বেশি। নয়া রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরে চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিস্কুটের তুলনায় অনেক বেশি‌ ভালো বাঙালির মুড়ি।

    কী বলছে নয়া গবেষণা?

    সুইডেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক দল গবেষক বিস্কুট নিয়ে গবেষণা চালান। আর তাতেই প্রকাশ্যে আসে বেশ কিছু তথ্য। তাঁরা জানাচ্ছেন, বিস্কুটের একাধিক উপাদানে একেবারেই পুষ্টিগুণ নেই। বরং তাতে শরীরে নানান জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, একজন প্রতিদিন পাঁচটি বিস্কুট খেলে তাঁর হৃদপিণ্ড থেকে মস্তিষ্ক, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কার্যকারিতা কয়েক গুণ কমে যায়। বিশেষত ডায়বেটিস আক্রান্তদের বিস্কুট এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন ওই গবেষকেরা। এবার দেখা যাক, কোন কোন রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে বিস্কুট?

    ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায় (Biscuits)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিস্কুটে মূলত ময়দা ও চিনি থাকে। তাই নিয়মিত একাধিক বিস্কুট খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা কয়েক গুণ বেড়ে যায় (Serious Disease)। অনেক সময়েই ডায়াবেটিস আক্রান্তদের খিদে পায়। আর চটজলদি খাবার হিসেবে, তাঁরা বিস্কুট খান। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এতে শরীরে বেশি ক্ষতি হয়। কারণ এর জেরে রক্তে শর্করার মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে। চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, বিস্কুটের পরিবর্তে ডায়াবেটিস আক্রান্তেরা মুড়ি খেতে পারে। তবে পরিমাণে নিয়ন্ত্রণ জরুরি।

    স্থূলতা

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিস্কুট (Biscuits) দেহের ওজন বাড়িয়ে দেয়। বিস্কুটে থাকে তেল এবং ময়দা।‌ এই দুই উপাদান‌ শরীরের ওজন বাড়িয়ে দেয়। আর ওজন বাড়লে একাধিক রোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই স্থূলতার সমস্যা থাকলে বিস্কুট এড়িয়ে চলতে হবে।

    স্মরণশক্তি!

    নতুন গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, বিস্কুট অতিরিক্ত খেলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে। এর জেরে স্মৃতিশক্তি বা স্মরণশক্তি কমে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক বিস্কুটে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা শরীরে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। আর তার জেরেই এই ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে।

    কোষ্ঠকাঠিন্য (Biscuits)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিস্কুটে প্রচুর পরিমাণে ময়দা ব্যবহার হয়। আর অতিরিক্ত ময়দা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা তৈরি হয়। বিশেষত শিশুদের অতিরিক্ত বিস্কুট খাওয়ালে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যার পাশপাশি পেটের সমস্যা এবং হজমের গোলমাল হতে পারে।

    কোলেস্টেরল

    বিস্কুটে রয়েছে ক্ষতিকারক ফ্যাট। আর তার জেরেই অতিরিক্ত বিস্কুট (Biscuits) খেলে একদিকে স্থূলতার সমস্যা বাড়ে। আবার আরেকদিকে কোলেস্টেরলের মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যায়। তাই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত অত্যাধিক বিস্কুট কোলেস্টেরলের মতো রোগের প্রকোপ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়।

    হৃদরোগের ঝুঁকি

    বিস্কুটের জেরে একদিকে স্থূলতার সমস্যা বাড়ে। আরেকদিকে বিস্কুট কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ক্ষতিকারক ফ্যাটের জেরেই এই ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। তাই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিস্কুট হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্থূলতা ও অনিয়ন্ত্রিত কোলেস্টেরল, এই দুই সমস্যা হৃদরোগের অন্যতম কারণ। আর এর জেরেই বলা হয়, অত্যাধিক বিস্কুট খেলে হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ে (Serious Disease)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • International Men’s Health Week: ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে কোন কোন রোগ বাড়ছে? কীভাবে সুস্থ থাকবেন?

    International Men’s Health Week: ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে কোন কোন রোগ বাড়ছে? কীভাবে সুস্থ থাকবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    জুনের ১০ থেকে ১৬ তারিখ বিশ্ব জুড়ে ‘ইন্টারন্যাশনাল মেন হেলথ উইক’ (International Men’s Health Week) পালন করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, প্রতি বছর অসচেতনতার জেরে সময়ের আগে মারা যান কয়েক লাখ মানুষ। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, পুরুষেরা ঠিকমতো স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান না। আর তার জেরেই নানান জটিল রোগে তাঁরা আক্রান্ত হন। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। তাই এ বছরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, পুরুষদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিয়েই আরও বেশি সচেতনতা কর্মসূচি চালানো‌ হবে। যাতে রোগের চিকিৎসার দরকার না হয়‌। রোগের প্রকোপ আগেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তাই দরকার ঠিকমতো স্বাস্থ্য পরীক্ষা। ভারতের চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতোই ভারতীয় পুরুষদের মধ্যেও সচেতনতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। তার জেরেই সময়ের আগে অনেক সময় প্রাণ সংশয় দেখা দিচ্ছে‌। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে যে সব রোগের প্রকোপ বেশি, সেগুলো অধিকাংশ জীবন যাপন অস্বাস্থ্যকর হওয়ার জন্য হচ্ছে। জেনে নিন, কোন রোগের প্রকোপ বাড়ছে ভারতীয় পুরুষদের?

    ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে (International Men’s Health Week) 

    ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে‌। অধিকাংশ ভারতীয় পুরুষদের সময়ের আগে মৃত্যুর অন্যতম কারণ ফুসফুসের ক্যান্সার। দেশজুড়ে নানান ক্যান্সারের প্রকোপ বাড়ছে। তবে পুরুষদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সার প্রথম সারিতে রয়েছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে অসচেতনতার কারণে অনেক দেরিতে রোগ নির্ণয় হয়। তাই চিকিৎসা শুরু করতেও সময় চলে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকে না। তবে, অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন এই রোগের অন্যতম কারণ। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, পৃথিবী জুড়ে বায়ু দূষণ বাড়ছে। তাই সব বয়সের মানুষের ফুসফুসের নানান সংক্রমণ রোগের দাপট বাড়ছে‌। তবে, ফুসফুসের ক্যান্সারের অন্যতম কারণ তামাক সেবন। খুব কম বয়স থেকেই ভারতীয় পুরুষদের একাংশ সিগারেট, বিড়ির মতো তামাকজাত দ্রব্যের সেবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছেন। আর এর জেরেই ফুসফুসের ক্যান্সারের মতো রোগের শিকার হচ্ছেন।

    হৃদরোগের সমস্যা বেশি

    ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে বাড়ছে হার্ট অ্যাটাকের মতো সমস্যা। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের সমস্যা বাড়ছে। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতীয় পুরুষদের মৃত্যুর অন্যতম কারণ হৃদ সমস্যা। আর অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপনকেই এই জন্য দায়ী করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ভারতীয় পুরুষ খাবারে অতিরিক্ত তেলের ব্যবহার, অতিরিক্ত মশলাজাতীয় খাবার খাওয়া, প্রাণীজ প্রোটিন ও ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়ায় অভ্যস্থ। আর এর জেরেই অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে হৃদপিণ্ডের উপরে। তাই ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে হৃদরোগের (International Men’s Health Week) ঝুঁকি বাড়ছে।

    কিডনির সমস্যা দেখা দিচ্ছে (International Men’s Health Week) 

    খুব কম বয়স থেকেই ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে কিডনির নানান সমস্যা দেখা দিচ্ছে। যার জেরে স্বাভাবিক জীবন যাপনে বিঘ্ন ঘটছে‌। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এর নেপথ্যে রয়েছে ডায়াবেটিস। ভারতীয়দের মধ্যে ডায়াবেটিস বাড়ছে‌‌। শিশুদের মধ্যেও টাইপ ২ ডায়াবেটিস বাড়ছে। আর এর জেরেই কিডনির রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

    মানসিক অবসাদ বাড়ছে

    ভারতীয় পুরুষদের শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও সচেতনতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভারতীয় পুরুষদের হৃদরোগ কিংবা ডায়াবেটিসের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ার অন্যতম কারণ মানসিক চাপ বা অবসাদের মতো সমস্যা। আধুনিক জীবন যাপনে অনেকেই ব্যস্ততার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছেন না। পাশপাশি মানসিক চাপ বাড়ছে। একাকিত্বও বাড়ছে। আর তার জেরেই মানসিক স্বাস্থ্যে (International Men’s Health Week) প্রভাব পড়ছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মানসিক স্বাস্থ্যে বিপর্যয়ের জেরেই ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা তলানিতে। ঠিকমতো বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেন না। আর তার জেরেই অনেক সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকছে না।

    কী পরামর্শ দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা? (International Men’s Health Week) 

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা আরও বাড়ানো জরুরি। কর্মস্থলে আরও বেশি করে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় জোর দিতে হবে। যাতে বছরে অন্তত একবার ঠিকমতো স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়‌। তাতে রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের মাত্রা বোঝা যাবে। হৃদরোগের ঝুঁকি কতখানি সে বিষয়েও আন্দাজ করা যাবে। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চললে বড় বিপদ এড়ানো যাবে। তবে পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস তৈরি করতে হবে। ধূমপানের মতো অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Heart Attack: হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুভয় রুখে দেবে তিন পদক্ষেপ! কী করলে কমবে প্রাণ-সংশয়? 

    Heart Attack: হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুভয় রুখে দেবে তিন পদক্ষেপ! কী করলে কমবে প্রাণ-সংশয়? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দেশ জুড়ে বাড়ছে হৃদরোগের সমস্যা। তরুণ প্রজন্মের একাংশ ভুগছে নানান‌ হৃদ সমস্যায়। খুব কম বয়স থেকেই কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ আর ডায়াবেটিসের কবলে পড়ছেন অনেকেই। আর এর জেরেই বাড়ছে হৃদরোগের (Heart Attack) ঝুঁকি। তবে চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হৃদরোগ মানেই মৃত্যুভয় নয়! বরং সচেতনতা থাকলেই কমবে প্রাণ-সংশয়। তাই বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, পরিবারের কেউ হৃদরোগে আক্রান্ত হলে অযথা উদ্বিগ্ন হওয়ার দরকার নেই। বরং চটজলদি সচেতন ভাবে কিছু পদক্ষেপ নিলেই বড় বিপদ এড়ানো যাবে। তাহলে জেনে নিন, কোন তিন পদক্ষেপ কমাবে মৃত্যুর আশঙ্কা?

    গোল্ডেন আওয়ারে হাসপাতালে নিয়ে যেতেই হবে (Heart Attack)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মৃত্যুর কারণ সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু হয় না। হার্ট অ্যাটাকের পরের ৪৫ মিনিট সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে চিকিৎসা শুরু করতে পারলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। এই সময়কেই বলা হয় গোল্ডেন আওয়ার। কিন্তু অধিকাংশ সময়েই রোগী এই গোল্ডেন আওয়ারের পরে হাসপাতালে পৌঁছন। চিকিৎসা শুরু হয় অনেকটাই দেরিতে। এর জেরে সমস্যা আরও জটিল হয়। প্রাণ-সংশয়ের আশঙ্কা বাড়ে। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, সচেতনতা না বাড়লে এই সমস্যা কমবে না। হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর ঘটনাও বাড়বে। পরিবারের কেউ উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস কিংবা কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগলে তার নির্দিষ্ট সময় অন্তর চিকিৎসকের পরামর্শ মতো স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো দরকার। এর পরেও হৃদরোগের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে রোগীর খুব ঘাম হওয়া, জ্ঞান হারানো কিংবা বুকে যন্ত্রণার মতো উপসর্গ দেখা দিলে একেবারেই দেরি করা চলবে না। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। হাসপাতালে সময় মতো নিয়ে যেতে পারলে, মৃত্যু ঝুঁকি কমবে।

    আক্রান্তকে জাগিয়ে রাখার চেষ্টা করতে হবে (Heart Attack) 

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, হার্ট অ্যাটাক হলে অনেকেই জ্ঞান হারান। আর এই উপসর্গ যথেষ্ট উদ্বেগজনক। পরিবারের সদস্যদের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, আক্রান্তকে সজাগ রাখার চেষ্টা করতে হবে। হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে, যেন রোগী জ্ঞান না হারান, সে দিকে নজর দিতে হবে (Heart Attack)। এতে মস্তিষ্কে প্রভাব পড়ার ঝুঁকি কমে। মস্তিষ্ক ও স্নায়ু সক্রিয় থাকে। ফলে, শারীরিক পরিস্থিতি সহজে অবনতি হয় না। পাশপাশি তার শ্বাস নেওয়ায় যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। কেউ বুকের যন্ত্রণা অনুভব করলে কিংবা শারীরিক অস্বস্তি হলে, ভিড় এলাকা থেকে সরিয়ে আনতে হবে। আশপাশের পরিবেশ যাতে শান্ত থাকে, সেটা সুনিশ্চিত করতে হবে। অকারণ উত্তেজনা তৈরি হলে শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হতে পারে।

    চেস্ট কম্প্রেসন সম্পর্কে সচেতন হলেই ঝুঁকি কমবে (Heart Attack)

    হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর চেস্ট কম্প্রেসন দিতে পারলে তা খুবই উপকারী। এমনটাই জানাচ্ছেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই নিয়ে একাধিক কর্মশালা হয়। তাই পরিবারের কেউ হৃদ সমস্যায় আক্রান্ত থাকলে, সদস্যদের এই বিষয়ে সচেতন থাকা দরকার। মিনিটে ১০০ বার হালকা চেস্ট কম্প্রেসন করলে হৃদ রোগে আক্রান্তের প্রাণের ঝুঁকি অনেক কমে। রক্ত সঞ্চালন কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতাও ফিরিয়ে আনার প্রাথমিক চেষ্টা হয়। তাই হাসপাতালে আনার পথে এই চেস্ট কম্প্রেসন দিতে পারলে রোগীর ঝুঁকি অনেকটাই কমবে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। 

    তবে, হার্ট অ্যাটাক রুখতে সচেতনতা ও সতর্কতা আরও বাড়ানো দরকার বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, জীবন যাপন স্বাস্থ্যকর করলে, চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চললে বড় বিপদ এড়নো সম্ভব (Heart Attack)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Nuts: রোজ কি বাদাম খান? কোন বাদামে কী রোগের মোকাবিলা হয় জানেন? 

    Nuts: রোজ কি বাদাম খান? কোন বাদামে কী রোগের মোকাবিলা হয় জানেন? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়মিত বাদাম (Nuts) অনেকেই খান। বিশেষত অনেক অভিভাবক শিশুদের নিয়মিত বাদাম খাওয়ান। কিন্তু সব বাদামেই কি এক ধরনের উপকার পাওয়া যায়? চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রত্যেক ধরনের বাদামে রয়েছে আলাদা রকমের উপকার। তাই শরীরের প্রয়োজন বুঝে বাদাম খেলে তবেই বেশি উপকার পাওয়া যাবে। শিশুদের খাওয়ানোর সময়েও সে দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। তবেই বাদাম শরীরে কার্যকর প্রভাব দেখাতে পারবে।

    স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাবে চিনাবাদাম! (Nuts)

    মুড়ি হোক কিংবা চায়ের সঙ্গে অনেকেই চিনাবাদাম খান। বাড়ির ছোটরাও এই ধরনের বাদাম খেতে ভালোবাসে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিনাবাদামে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ম্যাগনেশিয়াম।‌ এর জেরে এই বাদাম নিয়মিত খেলে হাড় মজবুত হয়। শিশুদের জন্য এই বাদাম তাই বিশেষ‌ উপকারী। আর ম্যাগনেশিয়াম থাকায় এই বাদাম হার্টের জন্য উপকারী। এই বাদাম খেলে স্ট্রোকের ঝুঁকিও‌ কমে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    স্থূলতা আর কোলেস্টেরলের মোকাবিলা করবে হ্যাজাল নাট এবং ব্রাজিল নাট!

    হ্যাজাল নাট এবং ব্রাজিল নাট, এই দুই বাদাম সেলেনিয়াম। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই উপাদান শরীরের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষত কোলেস্টেরল কমাতে সেলেনিয়ামের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই নিয়মিত এই দুই ধরনের বাদাম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমবে। পাশপাশি ব্রাজিল নাট (Nuts) স্থূলতা কমাতেও বিশেষ সাহায্য করে। থাইরয়েডের সমস্যায় ভুক্তভোগীদের জন্যও এই দুই বাদাম বিশেষ উপকারী।

    রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে পেস্তা বাদাম! (Nuts)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত পেস্তা খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। পেস্তায় থাকে ফাইবার। এই উপাদান কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক রাখে। তাছাড়া, পেস্তায় থাকে ফসফরাস, ম‌্যাগনেশিয়াম এবং কপার। এই উপাদানগুলো‌ চোখের জন্য উপকারী। তাই শিশুদের নিয়মিত পেস্তা খাওয়ালে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকবে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায় কাজু!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত কাজু শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, কাজুতে থাকে ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, পটাশিয়াম। এই উপাদানগুলো শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। পাশপাশি কাজু দাঁত মজবুত করে। তাই শিশুরা নিয়মিত কাজু খেলে (Nuts) দাঁত মজবুত হবে। এতে দাঁতের সমস্যা কমবে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখে আখরোট!

    স্মৃতিশক্তি বাড়াতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে আখরোট। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, বয়স্ক ও শিশুদের নিয়মিত আখরোট খাওয়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, আখরোটে রয়েছে ভিটামিন বি, সি‌ এবং ই। তাছাড়া রয়েছে ফসফরাস। আখরোট খেলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে। তাছাড়া আখরোট (Nuts) ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে। তাই শিশু ও বয়স্কদের আখরোট বিশেষ উপকারী।

    ডায়াবেটিস রুখতে বিশেষ সাহায্য করে কাঠবাদাম! (Nuts)

    ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা রুখতে বিশেষ সাহায্য করে কাঠবাদাম। তাঁরা জানাচ্ছেন, কাঠবাদামে রয়েছে ভিটামিন ই এবং ম্যাগনেশিয়াম। এই উপাদান ত্বক, চুলের জন্য বিশেষ উপকারী। পাশপাশি এই বাদাম দেহে ইনসুলিনের মাত্রা ঠিক রাখে। তাই বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, পরিবারের কেউ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে, আক্রান্তের পাশপাশি বাকি সদস্যের নিয়মিত কাঠবাদাম খাওয়া উচিত। কারণ তাহলে আগে থেকেই দেহে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ডায়াবেটিস আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ কমবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Heart Attack: কাজের চাপ আর অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসই কি বাড়াচ্ছে তরুণ প্রজন্মের হৃদরোগ?

    Heart Attack: কাজের চাপ আর অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসই কি বাড়াচ্ছে তরুণ প্রজন্মের হৃদরোগ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ভারত জুড়ে বাড়ছে হৃদরোগ! হার্ট অ্যাটাকের পাশপাশি একাধিক হৃদরোগে (Heart Attack) আক্রান্ত হচ্ছেন তরুণ প্রজন্মের বড় অংশ। উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা হৃদরোগের ঝুঁকি আরও বাড়াচ্ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, জীবন যাপনের ধরনের জন্যই হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন ভারতীয়দের তরুণ প্রজন্মের বড় অংশ।

    কী বলছে সমীক্ষার রিপোর্ট? 

    ভারতে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হৃদরোগ (Heart Attack)। সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিষয়ক জার্নালে উল্লেখ করা হয়েছে, মোট ভারতীয়র ৫০ শতাংশ ৫৫ বছরের আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। ৩০ বছরের উর্ধ্বে প্রায় ৪৭ শতাংশ ভারতীয় হৃদরোগে আক্রান্ত। মহিলাদের তুলনায় ভারতীয় পুরুষদের হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি।

    তরুণ প্রজন্মের কেন বাড়ছে হৃদরোগের (Heart Attack) ঝুঁকি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, জীবন যাপনের ধরনের জন্য হৃদরোগের (Heart Attack) ঝুঁকি বাড়ছে তরুণ প্রজন্মের ভারতীয়দের। বিশেষত খাদ্যাভ্যাস এবং কাজের চাপ এই ঝুঁকি আরও বাড়াচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপ এবং অনিয়ন্ত্রিত কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিসের মতো রোগ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তরুণ প্রজন্মের অধিকাংশের কাজের ডেড লাইনের চাপ বড্ড বেশি থাকে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারলে কর্মক্ষেত্রে নানা সমস্যা তৈরি হয়। আর অধিকাংশের এই নির্দিষ্ট সময় আসলে খুবই সীমিত হয়। এছাড়াও আধুনিক কর্মজীবনে অনিশ্চয়তা আর প্রতিযোগিতা বেশি। ফলে, অধিকাংশই মানসিক চাপের মধ্যে থাকে। যা অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপের অন্যতম কারণ। দীর্ঘদিন এই চাপ হৃদরোগের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়। 
    মানসিক চাপের পাশপাশি অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস হৃদরোগের অন্যতম কারণ বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের অধিকাংশ বিরিয়ানি, পিৎজার মতো অতিরিক্ত মশলাদার খাবারে অভ্যস্থ। অতিরিক্ত প্রোটিন আর ফ্যাট জাতীয় মশলাদার খাবার শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। পাশপাশি ডায়াবেটিস ডেকে আনে। আর এগুলো হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

    কীভাবে হৃদরোগের (Heart Attack) ঝুঁকি কমানো যাবে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, চল্লিশ কিংবা পঞ্চাশের চৌকাঠ পেরিয়ে নয়। হৃদরোগের (Heart Attack) ঝুঁকি কমাতে কুড়ির শুরুতেই সতর্ক হতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে হারে হৃদরোগের প্রকোপ বাড়ছে, তাতে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই ঘরে ঘরে হৃদরোগ আক্রান্তদের দেখা যাবে। ফলে, হৃদরোগ কমবেশি সকলের পারিবারিক সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। আর যার জেরে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আরও বাড়বে। ফলে, কম বয়স থেকেই সতর্ক থাকতে হবে। যাতে ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের সমস্যা না হয়। খাওয়ার দিকে তাই বিশেষ নজর দিতে হবে। খাবারে নুন, মশলা ও তেলের পরিমাণ কমাতে হবে। তেলে ভাজা একেবারেই বন্ধ করতে হবে। পাশপাশি, মিষ্টি খাওয়ার ক্ষেত্রেও নিয়ন্ত্রণ জরুরি। বিশেষত প্রিজারভেটিভ খাবার যেমন বার্গার, হটডগ, পিৎজা যেগুলোতে অতিরিক্ত নুন ও মশলা দিয়ে প্রাণীজ প্রোটিনের স্বাদ ধরে রাখা হয়, সেগুলো খাদ্যতালিকা থেকে সম্পূর্ণ বাদ দিতে হবে। 
    পাশপাশি ভারতীয়দের মধ্যে যোগাভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি। তরুণ প্রজন্মের ভারতীয়দের নিয়মিত যোগভ্যাসে অভ্যস্থ হতে হবে। এতে শরীর ও মন, দুই ভালো থাকবে। নিয়মিত হাঁটা, যোগাসন করার অভ্যাস হৃদরোগের ঝুঁকি কমাবে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Blood Sugar Control: সুগার কমানোর কিছু কার্যকরী টিপস

    Blood Sugar Control: সুগার কমানোর কিছু কার্যকরী টিপস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে গবেষণা করলে দেখা যায় প্রত্যেকটি ঘরে অন্তত একজন করে সুগারে আক্রান্ত রোগী রয়েছে। সুগার এখন মহামারী আকার ধারন করেছে। এটি এমন একটি রোগ যা মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। সুগার বেড়ে গেলে যেমন সমস্যা আবার একেবারে কমে গেলেও কিন্তু বিপদ বাড়বে। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন খাবারের তালিকার দিকে বিশেষ খেয়াল রাখা। এবং খাবারের পাশাপাশি কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে আপনি সুগার নিয়ন্ত্রণ করে সুস্থভাবে জীবনযাপন করতে পারবেন।

    ব্লাড সুগার কি (Blood Sugar)?

    ব্লাড সুগার বা গ্লুকোজ হল রক্তের প্রাথমিক উপাদান। রক্তে গ্লুকোজ বা শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে তাকে ডায়াবেটিস (Diabatic) বলে। শর্করা মূলত সৃষ্টি হয় কার্বোহাইড্রেট থেকে। আবার শরীরে শর্করার পরিমাণ কমে গেলেও শরীরের পেশী, অঙ্গ ও স্নায়ুতন্ত্রের পুষ্টি সরবরাহ কমে যায়।

    ব্লাড সুগার কমানোর কিছু কার্যকর উপায়-

     

    ১)ব্লাড সুগার কমানোর জন্য ওষুধ:-

    টাইপ ১ ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে ইনসুলিন ইঞ্জেশনের মাধ্যমে রক্তে ইনজেক্ট করা প্রয়োজন। টাইপ ২ রোগীদের সামান্য কিছু ওষুধ গ্রহণ করলেই চলে। ইনসুলিন নেবার পর তার প্রকৃত কাজ হতে ছয় ঘন্টা সময় লাগে। তারপরে ৩৬ ঘন্টা পর্যন্ত এর কার্যকারিতা থাকে।

    ২) সুষম খাবার গ্রহণ:-

    উচ্চফাইবারযুক্ত, স্বাস্থ্যকর চর্বি যুক্ত খাবার খাওয়া প্রয়োজন। রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে যব বা ওটস খাওয়া উচিত। ফাইবার যুক্ত খাবার খেলে বারবার খিদে পায়না। এছাড়াও পুষ্টিকর চর্বি যুক্ত খাদ্য যেমন কাঠবাদাম, বাদাম এগুলো খাওয়া প্রয়োজন তবে অবশ্যই ডাক্তারের নির্দেশ মেনে তা করা প্রয়োজন।

    ৩) নিয়মিত হাঁটাহাঁটির অভ্যাস:-

    ব্লাড সুগার কমানোর উপায় আলোচনা করতে গেলে আমরা হাঁটার কথা এড়িয়ে চলতে পারি না। নিয়মিত ২৫-৩০ মিনিট হাঁটলে সুগার নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। নিয়মিত ব্যায়াম ওজন হ্রাস করতে এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারেন।

    ৪)মিষ্টি খাবার এড়িয়ে চলতে হবে:-

    মিষ্টিযুক্ত খাবার খাওয়া সুগারের রোগীদের একদমই উচিত নয়। বিশেষত চিনি। চিনি ব্লাড সুগারের লেভেল হাই করে দেয়। চিনি ছাড়া চা পান করুন। এছাড়া আইসক্রিম, ফাস্ট ফুড খাবেন না। কারন এই খাবার শরীরে ইনসুলিনের মাত্রায় ক্ষতি করতে পারে। প্রয়োজন হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

    ৫) প্রচুর জলপানের প্রয়োজন:-

    নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করলে আপনার ব্লাড সুগার সুস্থ সীমায় থাকতে সহায়তা করবে। সুগারের রোগীদের শরীর হাইড্রেট রাখা প্রয়োজন। আর তা সম্ভব পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পানের মাধ্যমে। নিয়মিত জল পান করলে রক্ত পুনরায় হাইড্রয়েট হয়, রক্তে শর্করার মাত্রা কমায় এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস করে।

    ৬)পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন:-

    পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম দেহের ক্লান্তি এবং চাপ দূর করতে সক্ষম। অতিরিক্ত চাপের কারনে সুগার হাই হয়ে যায়। তাই আপনি যদি নিজের সুগার নিয়ন্ত্রণে রেখে সুস্থ থাকতে চান তাহলে সঠিক ঘুম এবং বিশ্রামের বিশেষ প্রয়োজন।

    ৭) গ্রিন টি:-

    সুগার রোগীরা গ্রিন টি খেতে পারেন। গ্রিন টি উচ্চ পরিমাণে পলিফেনল পাওয়া যায়। যা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। 

    নিজেরাই একটু সতর্ক হলে সুগারের মতো মারাত্মক রোগের হাত থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করা যেতে পারে। সুগার কমানোর উপরের এই নির্দেশগুলি অবলম্বন করে চললে সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে। তবে ডাক্তারের পরামর্শ অবশ্যই মেনে চলতে হবে এবং সময়মতো ঔষধ গ্রহণ করুন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Healthy Heart: হার্টের সমস্যা থেকে বাঁচতে এই খাবারগুলি এড়িয়ে চলা প্রয়োজন

    Healthy Heart: হার্টের সমস্যা থেকে বাঁচতে এই খাবারগুলি এড়িয়ে চলা প্রয়োজন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে ব্যস্ত জীবনযাপনের ফলে, হৃদজনিত সমস্যা বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেই কমবেশি দেখা দিচ্ছে। উচ্চ রক্তচাপ, অধিক মাত্রায় কোলেস্টেরল (Cholesterol) ও অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের অভিযোগ বেশি করে থাকেন হার্টের রোগীরা।এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য ও আহারের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। কারণ, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের ফলে হার্টের সমস্যা দেখা দেয়। যদি আপনি আপনার হার্টকে সুস্থ রাখতে চান, তাহলে আপনার জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসে বদল আনা প্রয়োজন।

    হার্টকে (Healthy Heart) সুস্থ রাখতে এই খাবার গুলো এড়িয়ে চলতে হবে-

    ময়দা জাতীয় খাবার (Flour Related Food)

    ময়দা জাতীয় খাবার মূলত রুটি খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।ময়দা খেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। অনেকেই জেনে অবাক হবেন যে, ময়দার তৈরী রুটি খাবারে সোডিয়ামের সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী। উচ্চ সোডিয়াম গ্রহণ করলে শরীরে রক্তচাপ বাড়তে পারে, যা হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের একটি প্রধান ঝুঁকির কারণ।

    বাটার বা বাটার জাতীয় খাবার (Butter Related Food)

    হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য মাখন কখনোই ভালো নয়। অনেকেই ভেজিটেবল অয়েল থেকে তৈরী মার্জারিনকে ( Margarine) স্বাস্থ্যের জন্য ভালো মনে করেন। মার্জারিনে থাকা ট্রান্স ফ্যাট শরীরে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল বাড়ায়। বাজারে পাম তেল দিয়ে তৈরী মার্জারিনে উচ্চ পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে যা শরীরে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহা্য্য করে।

    দুধ বা দুগ্ধজাত দ্রব্য (Dairy Food)

    দুধ বা দুগ্ধজাত দ্রব্যে দুধের চর্বিতে থাকে স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড যা হার্টের জন্য ক্ষতিকর। বাদাম, কাজু বা সয়ার দুধের থাকা অসম্পৃক্ত চর্বি হার্টের জন্য স্বাস্থ্যকর।তবে গরুর দুধে থাকা ক্যালসিয়াম হাড়কে শক্ত করে তবে ক্যালসিয়ামের জন্য বাদাম, ব্রোকলি, কমলা, মটরশুটি, এডামেম, ডুমুর খাওয়া যেতে পারে।

    ডিমের কুসুম (Egg Yolk)

    হার্টের রোগীদের অবশ্যই ডিমের কুসুম খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ এতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। তবে, ডিমের সাদা অংশ খেলে কোনও ক্ষতি নেই। বরং, আচমকা ডিম খাওয়া বন্ধ করাও উচিত নয়। কারণ, তাতে ভিটামিন এ ও বি প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। ফলত, অল্পমাত্রায় ডিম খাওয়া যেতে পারে।

    মিষ্টি বা শর্করা জাতীয় দ্রব্য (Sugar Related Foods)

    আপনি যদি বেশি পরিমাণ চিনি বা মিষ্টি খান, তাহলে, শরীরে ইনস্যুলিনের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। যা থেকে ডায়াবেটিস বা মধুমেহ রোগ হতে পারে। ফলে, হার্টের রোগীদের বেশি পরিমাণে মিষ্টি খাওয়া উচিত নয়। কারণ, তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর।

    তবে, এই নির্দেশ গুলি পালনের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
LinkedIn
Share