Tag: Chronic obstructive pulmonary disease

Chronic obstructive pulmonary disease

  • World COPD Day: ৬ কোটির বেশি ভারতীয় আক্রান্ত! চার মন্ত্রেই কাবু হবে সিওপিডি!

    World COPD Day: ৬ কোটির বেশি ভারতীয় আক্রান্ত! চার মন্ত্রেই কাবু হবে সিওপিডি!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    প্রবীণ থেকে শিশু, সব প্রজন্মের বাড়ছে ভোগান্তি। জীবন যাপন কঠিন হয়ে উঠছে। অনেক সময়েই ফুসফুস, শ্বাসনালীর সমস্যা এতটাই বেড়ে যাচ্ছে, যে প্রাণ সংশয় তৈরি হচ্ছে। আর এই সব হয়রানির নেপথ্যে রয়েছে ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি)। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেশ জুড়ে বাড়ছে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা। বড়দের পাশপাশি শিশুরাও এই রোগের শিকার হচ্ছে। জীবনভর নানান হয়রানিও ভোগ করতে হচ্ছে। আজ বুধবার, ১৯ নভেম্বর, ওয়ার্ল্ড ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ অ্যাওয়ারনেস ডে! আর সেই উপলক্ষে সপ্তাহ জুড়ে চিকিৎসকদের একাধিক কর্মশালা এবং সচেতনা কর্মসূচি চলছে। যেখানে সিওপিডি মোকাবিলার পাঠ শেখানোর পাশপাশি, কেন এই রোগের দাপট বাড়ছে সে নিয়েও সচেতনতা চলছে।

    কেন ভারতে সিওপিডি নিয়ে উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল?

    কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারতের প্রায় ৬ কোটি মানুষ সিওপিডি-তে আক্রান্ত। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই রোগের জেরে মানুষের জীবন যাপনের মান কমছে। অধিকাংশ আক্রান্ত বছর ভর ভোগান্তির শিকার হন। ঋতু পরিবর্তনের সময় তাঁরা শ্বাসকষ্টে ভোগেন। এর ফলে তাদের নানান সমস্যা হয়। স্বাভাবিক কাজের ক্ষতি হয়। প্রবীণদের পাশপাশি শিশুরাও এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। গত কয়েক বছরে শিশুদের মধ্যে সিওপিডি উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে।

    কেন সিওপিডি ভারতে বাড়ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সিওপিডি বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ বায়ু দূষণ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মোট সিওপিডি আক্রান্তের ৫০ শতাংশের রোগের ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে, বায়ু দূষণের জেরেই এই সমস্যা হচ্ছে। অক্সিজেনের তুলনায় বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনোঅক্সাইডের মতো ক্ষতিকারক উপাদান বেড়ে যাওয়ার ফলেই শ্বাসকষ্ট হচ্ছে।

    এছাড়া সিওপিডি আক্রান্ত বৃদ্ধির অন্যতম কারণ ধূমপানের অভ্যাস। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ নিয়মিত ধূমপানে অভ্যস্ত। এই অভ্যাস ফুসফুসের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। এর ফলে সিওপিডি হতে পারে। এছাড়াও বংশানুক্রমিক কারণেও এই রোগ হতে পারে। পরিবারের কেউ হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় ভুগলে পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে এই রোগ দেখা দিতে পারে।

    কোন চার মন্ত্রে সিওপিডি রুখতে পারবেন?

    সচেতনতা!

    সিওপিডি রুখতে প্রথম পদক্ষেপ হল সচেতনতা। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই রোগ মোকাবিলা করার জন্য রোগ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। পাশপাশি পরিবেশ সম্পর্কেও‌ সচেতনা জরুরি। প্রত্যেক এলাকায় গাছ লাগানো জরুরি। যতটা সম্ভব ধুলো ধোঁয়া থেকে এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। তাছাড়া উৎসব উদযাপন মানেই পরিবেশের ক্ষতি করে এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকা। এই ধরনের সচেতনা বোধ বাড়লে সিওপিডি-র দাপট কমবে। আবার আক্রান্তদের ভোগান্তিও কমবে।

    সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু!

    শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা তৈরি হলে কখনোই সেটা এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, এই রোগ মোকাবিলার জন্য সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু করা প্রয়োজন। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ধারাবাহিক চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া দরকার।‌ যাতে ফুসফুসের বেশি ক্ষতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখাও জরুরি। তাই ঠিকমতো চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া হলো‌ সিওপিডি মোকাবিলার অন্যতম অস্ত্র!

    পুষ্টি!

    যে কোনও রোগ মোকাবিলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো পুষ্টি! আক্রান্ত প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেলে রোগ প্রতিরোধ সহজ হয়। আবার নিয়মিত পর্যাপ্ত পুষ্টি শরীর পেলে, নতুন রোগ সহজে আক্রমণ করতে পারে না। তাই সিওপিডি মোকাবিলাতেও পুষ্টি খুব জরুরি। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত আদা, এলাচের মতো মশলা রান্নায় ব্যবহার করা উচিত। এই মশলাগুলো শ্বাসনালীর সংক্রমন রুখতে সাহায্য করে। আবার ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল‌ যেমন লেবু, বেরি এগুলো নিয়মিত খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। আবার জলের সঙ্গে নিয়মিত তুলসী পাতা ভিজিয়ে খেলে শরীর ভালো থাকে। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা কমে। কারণ এগুলো যেকোনও ভাইরাস ঘটিত রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

    যোগাভ্যাস!

    নিয়মিত যোগাভ্যাস শ্বাসকষ্ট জনিত রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, যোগাযোগ শরীরে যেমন রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো করতে সাহায্য করে। তেমনি ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে হাঁপানি কিংবা ফুসফুসঘটিত যেকোনও রোগ প্রতিরোধ সহজ হয়।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Firecrackers: লাগামহীন বাজির জেরে উৎসবের মরশুমে সিওপিডি-র সমস্যা বেড়েছে কয়েকগুণ!

    Firecrackers: লাগামহীন বাজির জেরে উৎসবের মরশুমে সিওপিডি-র সমস্যা বেড়েছে কয়েকগুণ!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    উৎসবের মরশুমে প্রশাসনের তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন আগেই উঠেছিল। এবার সেই প্রশ্ন আরও জোরালো হল ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজের (সিওপিডি) সমস্যা কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দীপাবলির পরেই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আর এতেই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।

    কী বলছেন চিকিৎসকরা? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দুর্গাপুজোর পর থেকেই সর্দি-কাশির সমস্যায় অনেকে ভুগছিলেন। বিশেষত শিশুদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু দীপাবলির পরে সিওপিডি-র সমস্যা আরও বেশি দেখা যাচ্ছে। কলকাতা ও তার আশপাশের জেলায় এই রোগীর ভোগান্তি বাড়ছে। কলকাতার অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, রোগী ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে। এরপরে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হতে পারে।

    কেন পরিস্থিতি বিপজ্জনক হতে পারে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সিওপিডি হল ফুসফুসের একাধিক সমস্যা। যার জেরে শ্বাস নিতে সমস্যা হয়। দীপাবলির সময় কলকাতা ও তার আশপাশের জেলায় অবাধে বাজি পোড়ানো হয়েছে। শব্দবাজি, আলোবাজির ধোঁয়ার জেরে বাতাসে দূষণের মাত্রা কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। এর ফলে একাধিক শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা হচ্ছে। যাদের ধারাবাহিক সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। বাতাসে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ায় শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা আরও জটিল হচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতে ফুসফুসের ধারাবাহিক সমস্যা বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। কারণ, শীতে বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ বেড়ে যায়। তার উপর বাজির দাপট পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছে। বিশেষত যাদের সিওপিডি রয়েছে, তাদের শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে। 
    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, শিশুদের বিশেষ যত্ন জরুরি। যে সব শিশুরা হাঁপানির সমস্যায় ভোগে কিংবা যারা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে, তাদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি। শ্বাসকষ্ট জনিত কোনও রকম সমস্যা হলেই অবহেলা করা যাবে না। প্রয়োজনে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।

    কীভাবে মোকাবিলা সম্ভব? 

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, এই পরিস্থিতিতে যাদের সিওপিডি-র সমস্যা রয়েছে, মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। যাদের বাতাসের অতিরিক্ত ধোঁয়া আর ধূলিকণার জন্য বাড়তি সমস্যা তৈরি না হয়। পাশাপাশি সর্দি-কাশিতে যাতে ভোগান্তি না বাড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ, সর্দি-কাশি সিওপিডি-র রোগীর বিপদ বাড়ায়। 
    ফুসফুস সুস্থ রাখতে খাবারেও খেয়াল রাখতে হবে বলে পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাই তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত আপেল খাওয়া দরকার। আপেলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। খনিজ থাকে। ফলে, ফুসফুস সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কলা নিয়মিত খেলে সিওপিডি-র রোগীদের সমস্যা কমবে বলেও জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। কারণ, তাঁরা জানাচ্ছেন, কলাতে থাকে পটাশিয়াম। যা ফুসফুস সক্রিয় রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। পেয়ারা আর লেবু জাতীয় ফল নিয়মিত খেলেও বিশেষ উপকার হবে। কারণ, এগুলোতে থাকে ভিটামিন সি, যা ফুসফুস সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share