Tag: Cigarette smoking

Cigarette smoking

  • Hypertension: নাক থেকে রক্তপাত, ঝাপসা দৃষ্টি! কোন রোগের লক্ষণ? কোন দিকে বাড়তি সতর্কতা জরুরি?

    Hypertension: নাক থেকে রক্তপাত, ঝাপসা দৃষ্টি! কোন রোগের লক্ষণ? কোন দিকে বাড়তি সতর্কতা জরুরি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বয়স বাড়লে হানা দেয় নানা রোগ। বিশেষত জীবন যাপন সংক্রান্ত নানা রোগ যেমন ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরলের সমস্যা কিংবা উচ্চ রক্তচাপ সংক্রান্ত নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই কম বয়সে অনেকেই এই রোগ নিয়ে বিশেষ নজর দেন না। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পরিস্থিতি বদলে যাচ্ছে। দেশের তরুণ প্রজন্মের একাংশ ডায়াবেটিসের মতোই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন। বয়সের সীমারেখায় আর রোগ আটকে থাকছে না। খুব কম বয়স থেকেই অনেকে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় (Hypertension) ভুগছেন। কিন্তু উপসর্গ সম্পর্কে সতর্ক না থাকার জেরে নানান বিপদের আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।

    কেন উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি? (Hypertension)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপ একাধিক জটিল রোগের কারণ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ১২০/৮০ হল যে কোনও প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের স্বাভাবিক রক্তচাপ। ১৪০/৯০ রক্তচাপ ছাড়ালেই তাঁর উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে বলা যেতে পারে।
    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ভারতে হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের অন্যতম কারণ অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ। তাঁরা জানাচ্ছেন, গত কয়েক বছরে ভারতে স্ট্রোক এবং হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা মারাত্মক ভাবে বাড়ছে‌। আর তার কারণ উচ্চ রক্তচাপ। বিশেষত কম বয়সীদের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে সচেতনতা একেবারেই তলানিতে। তাই অনেক সময়েই স্ট্রোক কিংবা হার্ট অ্যাটাকের মতো বড় বিপদ এড়ানো কঠিন হয়ে যায়। কম বয়স থেকেই অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষেও ক্ষতিকারক। এর ফলে অবসাদ এবং মানসিক চাপের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
    এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় দীর্ঘদিন ভুগলে ডিমেনশিয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাচ্ছে। এদেশে ডিমেনশিয়া একটি মহামারির আকার ধারণ করছে। দীর্ঘদিন উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ব্যহত হচ্ছে বলেও মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কীভাবে বুঝবেন উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় আক্রান্ত?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় (Hypertension) আক্রান্ত হলে ক্লান্তিবোধ, বমি ভাবের মতো নানান উপসর্গ দেখা দেয়। তবে এছাড়াও আরও কিছু লক্ষণ জানান দেয় উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা।

    নাক থেকে রক্তক্ষরণ

    লাগাতার সর্দি-কাশি কিংবা সাইনাসের মতো সমস্যা না থাকলেও হঠাৎ নাক থেকে রক্তপাত (Nosebleeds) হলে সতর্কতা জরুরি। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নাক থেকে রক্তপাত উচ্চ রক্তচাপের (Hypertension) লক্ষণ। মাঝেমধ্যে নাক থেকে ফোঁটা ফোঁটা রক্তপাত হলে একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়।

    তীব্র মাথার যন্ত্রণা

    নানান কাজের চাপে অনেকের প্রায় মাথার যন্ত্রণা হয়। বিশেষত যারা দিনের দীর্ঘ সময় ল্যাপটপের সামনে বসে কাজ করেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই মাথার যন্ত্রণায় ভোগেন। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই মাথা যন্ত্রণার কারণ উচ্চ রক্তচাপ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে বারবার মাথা যন্ত্রণার মতো লক্ষণ দেখা যায়। তীব্র মাথার যন্ত্রণা হলে, বিশেষত মাথার পিছনের অংশে যন্ত্রণা অনুভব হলে সতর্কতা জরুরি। চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।

    ঝাপসা দৃষ্টিতে বাড়তি সতর্কতা জরুরি (Hypertension)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকেই হঠাৎ চোখে ঝাপসা দেখেন। হয়তো চোখে জল দিয়ে ধুয়ে সাময়িক সমস্যা মেটান। কিন্তু বারবার দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে গেলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হলে রেটিনা ও তার আশপাশের রক্তনালীতে চাপ বাড়ে। এর ফলেই দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায়। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে যাদের চোখ ঝাপসা হয়ে যাওয়ার লক্ষণ দেখা দেয়, তাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি।

    শ্বাসকষ্টের সমস্যা

    শরীরে রক্তচাপ ওঠানামা করলে ফুসফুসের উপরে মারাত্মক চাপ পড়ে। তাই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    বিশেষজ্ঞ মহলের পরামর্শ, উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ দেখা দিলে একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো জীবন যাপন জরুরি। ধুমপান কিংবা মদ্যপানের মতো অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস ত্যাগ করা জরুরি। কারণ এগুলো এদেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বাড়িয়ে দিচ্ছে। সময় মতো পর্যাপ্ত ঘুম এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা (Hypertension) নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Tobacco: তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ফুসফুসের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে! এর অন্যতম কারণ কী জানেন?

    Tobacco: তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ফুসফুসের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে! এর অন্যতম কারণ কী জানেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সিগারেট, বিড়ির মাধ্যমে কিংবা পান, গুটখার মাধ্যমে। তামাক বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি। একাধিক আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে তামাক (Tobacco) সেবনের প্রবণতা বাড়ছে। পুরুষদের পাশপাশি মহিলাদের মধ্যেও এই প্রবণতা দেখা দিচ্ছে। বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের মধ্যেও তামাক সেবনের প্রবণতা বাড়ছে। বিশেষত ধূমপানে আসক্তি বাড়ছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। বিশ্ব তামাক বিরোধী দিবসে চিকিৎসকদের একাংশ জানালেন, তামাক সেবন না করলে কমবে একাধিক রোগের ঝুঁকি। তাঁরা জানাচ্ছেন, তামাক স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। সুস্থ জীবনযাপনের প্রথম শর্ত তামাকে আসক্ত না হওয়া। দেখে নিন, কোন কোন রোগের ঝুঁকি বাড়ায় তামাক?

    ১. ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় তামাক (Tobacco)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, যে কোনও ধরনের তামাক শরীরে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, সিগারেট, বিড়ির মতো তামাকজাত দ্রব্য নিয়মিত ধূমপান করলে ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। আবার পান, গুটখায় ব্যবহৃত তামাক মুখ ও গলার ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, আলকাতরা সহ একাধিক উপাদান তামাকজাত দ্রব্যে থাকে, যার প্রভাব স্বাস্থ্যের উপরে ভয়ঙ্কর পরে। তাই তামাক ক্যান্সারের অন্যতম কারণ।

    ২. তামাক বাড়ায় ফুসফুসের অসুখ

    ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) থেকে অ্যাজমা, ফুসফুসের একাধিক রোগের কারণ তামাক। অতিরিক্ত ধূমপান ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়।‌ ফুসফুসে বায়ু যাতায়াতের এক ধরনের জাল থাকে, তা নষ্ট করে দেয় তামাক। এর জেরে ফুসফুসের কার্যকারিতা কমে। এর জেরেই সিওপিডি, অ্যাজমার মতো রোগের প্রকোপ বাড়ে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ফুসফুসের সংক্রমণ বাড়ার অন্যতম কারণ ধূমপানের অভ্যাস। তামাক ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে (Tobacco)।

    ৩. তামাক বাড়ায় স্ট্রোকের ঝুঁকি

    নিয়মিত তামাকজাত দ্রব্য সেবন করলে রক্ত ও স্নায়ুর উপরে চাপ পড়ে। রক্ত ও স্নায়ুর চাপ বাড়লে, মস্তিষ্কের উপরে প্রভাব পড়ে। তার জেরেই হয় স্ট্রোক। তাই তামাকজাত দ্রব্য সেবন করলে স্ট্রোকের ঝুঁকি কয়েক গুণ বেড়ে যায় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    ৪. হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় তামাক (Tobacco)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হৃদরোগ বিশেষত হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায় তামাক। তামাকজাত দ্রব্য শরীরে এক ধরনের উত্তেজনা তৈরি করে। এর সরাসরি প্রভাব হৃদপিণ্ডের উপরে পড়ে। তাঁরা জানাচ্ছেন, তামাক সেবন করলে রক্ত সঞ্চালনে বাধা পড়ে। ফলে হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা ঠিক মতো হয় না‌। এর জেরে একাধিক হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। বিশেষত হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়।

    ৫. মানসিক অস্থিরতা তৈরি করে তামাক

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তামাকের রয়েছে নিকোটিন। তাই যে কোনও তামাকজাত দ্রব্য নিয়মিত সেবন করলে স্নায়ু ও হরমোন তার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। তামাকজাত দ্রব্যের জেরে এক ধরনের আসক্তি তৈরি হয়। এই নিকোটিনের জেরেই মানসিক স্বাস্থ্যে বিঘ্ন ঘটে। মানসিক অস্থিরতা তৈরি হয় (Tobacco)। তাই তামাক শরীরের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ও খুবই ভয়ঙ্কর।

    ৬. বন্ধ্যাত্বের অন্যতম কারণ তামাক

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তামাকজাত দ্রব্য বাড়ায় বন্ধ্যত্বের ঝুঁকি। তাঁরা জানাচ্ছেন, মহিলাদের বন্ধ্যাত্বের সমস্যা বাড়ার অন্যতম কারণ তামাক সেবন। তামাক জরায়ু এবং ওভারির বিশেষ ক্ষতি করে। তবে শুধু মহিলাদের নয়, তামাক পুরুষদের মধ্যেও বন্ধ্যাত্বের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়।

    ৭. ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্তের ঝুঁকি বাড়ায় তামাক (Tobacco)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে আক্রান্তের ঝুঁকিও বাড়ায় তামাক। এক সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, তামাক সেবনকারীরা ইনফ্লুয়েঞ্জায় বেশি আক্রান্ত হন। ভোগান্তিও বেশি হয়। বিশেষত প্রবীণ নাগরিকদের এই সমস্যা বেশি হয়।

    ৮. ডায়বেটিস রোগীদের বিপদ বাড়ায় তামাক সেবনের অভ্যাস

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগী ধূমপানে অভ্যস্ত হলে কিংবা তামাক সেবন করলে আরও বিপদ বাড়ে। ডায়বেটিস আক্রান্তদের হৃদরোগ ও কিডনির রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ বেশি থাকে। তার সঙ্গে ধূমপানের অভ্যাস সেই ঝুঁকি আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি, ডায়াবেটিস আক্রান্তদের রোগ প্রতিরোধ শক্তি কম থাকে। ধূমপান করলে নানান রোগের ঝুঁকি বিশেষত সংক্রমণ রোগের ঝুঁকি বাড়ে। কারণ এই অভ্যাস ফুসফুস ও শ্বাসনালীকে দূর্বল করে দেয়। তাই ডায়বেটিস আক্রান্তদের ধূমপানের অভ্যাস বাড়তি বিপদ তৈরি করে (Tobacco)। 

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রতি বছর ৫০ লাখের বেশি মানুষ তামাক সেবনের জন্য মারা যাচ্ছে। সময়ের আগেই মৃত্যুর কারণের তালিকায় তামাক সেবনের জেরে মৃত্যু সবচেয়ে বেশি হয়। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, তামাকমুক্ত জীবন জরুরি। তবেই সুস্থ দীর্ঘ জীবনযাপন সম্ভব।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kidney Disease: পাঁচ ঘরোয়া উপাদানেই সুস্থ থাকবে কিডনি! কোন কোন বিষয়ে সতর্কতা জরুরি?

    Kidney Disease: পাঁচ ঘরোয়া উপাদানেই সুস্থ থাকবে কিডনি! কোন কোন বিষয়ে সতর্কতা জরুরি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বয়স বাড়লেই বিপদ, এমন আর নয়। কমবয়সীদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে সমস্যা। আর তার জেরে বিস্তর ভোগান্তি। স্বাভাবিক জীবন‌যাপন ব্যাহত হচ্ছে। তাই আগাম সচেতনতা জরুরি হয়ে উঠছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত কিছু বিষয় খেয়াল করলেই কিডনি সুস্থ (Kidney Disease) রাখা সম্ভব। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, সম্প্রতি কিডনির সমস্যা বাড়ছে। শুধু বয়স্কদের নয়। কমবয়সীদের মধ্যেও এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে। কিডনির একাধিক রোগে কাবু অনেকেই। তার জেরেই সরকারি হোক কিংবা বেসরকারি, ডায়ালিসিস সেন্টারে রোগীর লম্বা লাইন। দীর্ঘ ভোগান্তির পরেও আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারছেন না অনেকেই। তাই প্রথম থেকেই কয়েকটি বিষয়ে সতর্কতা জরুরি বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসক মহল।

    কোন পাঁচ ঘরোয়া উপাদান সুস্থ রাখবে কিডনি? (Kidney Disease)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রতিদিন অন্তত পাঁচ থেকে ছয় লিটার জল খাওয়া দরকার। বিশেষত যাঁরা দিনের অনেকটা সময় বাড়ির বাইরে থাকেন, তাঁদের জলের পরিমাণের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। কারণ, শরীরে জলের অভাব দেখা দিলে, সবচেয়ে বেশি কুপ্রভাব পড়ে কিডনিতে। কিডনি সুস্থ এবং সক্রিয় রাখতে নিয়মিত পর্যাপ্ত জল খাওয়া দরকার। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, রোগীর পর্যাপ্ত জল খাওয়ার অভ্যাস নেই। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত জল খাওয়া জরুরি। 
    দিনে অন্তত একবার প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার খেতেই হবে। এমনই পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কিডনিকে সক্রিয় ও সুস্থ রাখতে প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার সবচেয়ে কার্যকরী। কারণ, এতে ভালো ব্যাকটেরিয়া থাকে। যা কিডনিকে সুস্থ (Kidney Disease) রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। আর টক দই এক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকরী বলেই মনে করছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। কারণ, টক দই খেলে শরীরে প্রচুর ভালো ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে। তাই নিয়মিত এক কাপ টক দই খাওয়া দরকার বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার (Kidney Disease)

    ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার কিডনি ভালো রাখতে বিশেষ সাহায্য করে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভিটামিন সি শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এতে যেমন রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে, তেমনি কিডনির সক্রিয়তাও বাড়ে। তাই নিয়মিত ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেলে কিডনি ভালো থাকবে। তাই যে কোনও এক ধরনের লেবু, যেমন, পাতিলেবু, কমলালেবু, মৌসম্বি লেবু দিনে অন্তত একটা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এতে শরীরে ভিটামিন সি-র চাহিদা পূরণ হবে। 
    ক্র্যানবেরি জুস কিংবা ড্রাই ফ্রুটস হিসাবে ক্র্যানবেরি খেলে কিডনি ভালো (Kidney Disease) থাকবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ক্র্যানবেরিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশন রুখতেও এই ফলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। পাশপাশি কিডনি সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে‌।

    মদ্যপান ও কফি পানে রাশ (Kidney Disease)

    কিডনি সুস্থ রাখতে মদ্যপান ও কফি পানে রাশ টানতে হবে বলেই সাফ জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই দুই পানীয় কিডনির জন্য ক্ষতিকারক। এই দুই পানীয়র জেরে শরীরে প্রচুর পরিমাণে টক্সাইট বেড়ে যায়। কিডনির উপরে মারাত্মক চাপ পড়ে। কিডনির কোষ ক্ষতিগ্রস্থ হয় (Kidney Disease)। তাই কিডনি সুস্থ রাখতে কফি আর মদ্যপানে রাশ জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share