Tag: Civic volunteer

Civic volunteer

  • RG Kar Case: ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডে ধৃত সিভিক ছাড়া আর কে কে জড়িত? তদন্ত চলছে, শীর্ষ আদালতে জানালো সিবিআই

    RG Kar Case: ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডে ধৃত সিভিক ছাড়া আর কে কে জড়িত? তদন্ত চলছে, শীর্ষ আদালতে জানালো সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Case) হাসপাতলে চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় ধৃত সিভিক ছাড়া আর কেউ জড়িত কিনা, এই বিষয়ে জানতে তদন্ত চলছে। কার্যত সুপ্রিমকোর্টে এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসারেরা। উল্লেখ্য, আগেই সিবিআই (CBI), ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে সঞ্জয় রায়ের নামই চার্জশিটে উল্লেখ করেছে। কিন্তু গত ৯ অগাস্টের পর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে এই খুনের মামলায় একাধিক ব্যক্তির ষড়যন্ত্র ছিল বলে বিশেষজ্ঞ এবং চিকিৎসকরা মতামত দিয়েছিলেন। তারপর থেকেই সংবাদ মাধ্যমে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছিল।

    তদন্তের গতিপ্রকৃতির রিপোর্ট পড়েন প্রধান বিচারপতি (RG Kar Case)

    মঙ্গলবার ফের একবার চিকিৎসক তরুণীর হত্যা মামলার শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে। এদিন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি মনোজ মিশ্র, বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালার ডিভিশন বেঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় এই শুনানি। আবার আরজি কর মামলায়, গত ৭ অক্টোবর সিবিআই প্রথম চার্জশিট জমা দিয়েছিল শিয়ালদা আদালতে। এই চার্জশিটে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে নাম দেওয়া হয় ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম। সেইসঙ্গে শিটে নাম দেওয়া প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের নামও। এদিন সুপ্রিম কোর্টে এই চার্জশিটের কথার ফের উল্লেখ করা হয়। সেই সঙ্গে চার্জশিটের কপিও জমা করা হয় দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। খুনের পিছনে আরও কারা কারা যুক্ত রয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে বিশেষ রিপোর্ট দেন সলিসেটার জেনারেল তুষার মেহতা। সেই রিপোর্ট প্রধান বিচারপতি এদিন পড়েন।

    আরও পড়ুনঃ রাজ্যের আপত্তি খারিজ, ‘দ্রোহের কার্নিভাল’-কে অনুমতি হাইকোর্টের

    নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগে রয়েছে সিবিআই

    এদিন শুনানি চলার সময়, প্রধান বিচারপতি সিভিক নিয়োগ নিয়ে রাজ্যকে কড়া প্রশ্ন করেছেন। তিনি বলেন, ‘সিভিক ভলান্টিয়ারদের কে নিয়োগ করে? কী ভাবে নিয়োগ হয় তাঁদের? এখন রাজ্যে কত জন সিভিক ভলান্টিয়ার আছেন?’’ উত্তরে রাজ্য জানায় সরকার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিয়োগ করে থাকে। হাসপাতালের সুরক্ষার প্রসঙ্গে বলেন, “ইন্টিগ্রেটেড হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ১ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে। সব হাসপাতালে চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয় নিশ্চিত করতে হবে রাজ্যকে।” অপর দিকে নির্যাতিতার (RG Kar Case) পরিবারের সঙ্গে তদন্তকারী অফিসাররা (CBI) নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন বলে জানানো হয়েছে। এই বিষয়ে একজন নোডাল অফিসারও নিয়োগ করা হয়েছে।….

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: কোন প্রক্রিয়ায় সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ? রাজ্যের কাছে জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: কোন প্রক্রিয়ায় সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ? রাজ্যের কাছে জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে শুরু থেকেই প্রশ্ন উঠেছে সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের ভূমিকা নিয়ে। মূল অভিযুক্ত হিসেবে তাকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। এবার কোন পদ্ধতিতে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়োগ করা হয়, তা জানতে চাইলেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ওয়াই চন্দ্রচূড়।

    কী কী জানতে চাইল কোর্ট? (Supreme Court)

    আরজি করের নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করে খুনের মতো বীভৎস কাজ একজন সিভিক যে একা করতে পারে, তা মানতে নারাজ অনেকেই। বারবার সুর চড়িয়েছেন ডাক্তাররা। প্রশ্ন তুলেছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরাও। সন্দেহ দানা বেঁধেছে নাগরিক মহলের বড় অংশের মধ্যে। কিন্তু, কিছুদিন আগেই সদ্য জমা দেওয়া চার্জশিটে ধৃত সিভিককেই মূল অভিযুক্ত হিসেবে দেখিয়েছে সিবিআই। এরই মধ্যে এবার সিভিকদের নিয়ে কৌতূহলী হতে দেখা গেল দেশের শীর্ষ আদালতকে (Supreme Court)। রাজ্যে কত সংখ্যক সিভিক ভলান্টিয়ার আছে জানতে চান প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। অভিযুক্তকেই বা কোন প্রক্রিয়ায় নিয়োগ করা হয়, জানতে চান তিনি। সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের আইনি অধিকার কার, সিভিক ভলান্টিয়ারের যোগ্যতা, কোন কোন প্রতিষ্ঠানে তাঁদের ডিউটি দেওয়া হয়, দৈনিক নাকি মাসিক টাকা পান তাঁরা, এর বাজেটই বা কোথা থেকে আসে ইত্যাদি নানান প্রশ্ন। কোন পদ্ধতিতে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ করা হয়, সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগকারী কে, কোন আইন বলে নিয়োগ করা হয়, মোট কত সিভিক ভলান্টিয়ার আছে, কোথায় কোথায় তাদের নিয়োগ করা হয়েছে, কীভাবে তাদের ভেরিফিকেশন করা হচ্ছে, সেই বিষয়ে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে রাজ্য সরকারকে। এদিনই এমনই নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়।

    আরও পড়ুন: ‘‘যৌন হেনস্থার অভিযোগ নিতে চায় না মমতার পুলিশ’’, সরব শুভেন্দু

    সিভিকদের ডিউটিতে নিষেধাজ্ঞা!

    হাসপাতাল এবং স্কুলের মত সংবেদনশীল জায়গায় সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা যাবে না। এই নির্দেশও দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। এদিন আদালতে পঞ্চম স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানান, আর্থিক দুর্নীতি মামলায় বেশ কয়েকটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে উল্লেখ করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা নিয়মিত নির্যাতিতার অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে জানান সলিসিটর জেনারেল। আরও কিছু জায়গা থেকে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তা নিয়েও তদন্ত চলছে বলে জানান। রাজ্য জানায়, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী নিরাপত্তা সংক্রান্ত কাজ প্রায় ৯৮ শতাংশ শেষ হয়ে গিয়েছে। যে টুকু কাজ বাকি রয়েছে, তা শেষ হবে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে। যদিও রাজ্য সঠিক তথ্য দিচ্ছে না, কাজ শুরু হলেও, এখনও প্রায় কিছুই হয়নি বলে দাবি করেন আইনজীবী করুণা নন্দী। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে বলে জানান প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়।

    রাত্রের সাথি প্রকল্পে সিভিক নিয়োগ নিয়ে উদ্বেগ

    এরই মধ্যে রাত্রের সাথি প্রকল্পে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ (Supreme Court) করতে দেখা যায় আইনজীবী করুণা নন্দীকে। তাঁর অভিযোগ, এই প্রকল্পে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের মাত্রা দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। যদিও রাজ্য সরকারের দাবি, সবটাই নিয়ম মেনে হয়েছে। প্রাইভেট সিকিউরিটি এজেন্সিস রেগুলেশন অ্যাক্ট, ২০০৫ এর ক্ষমতাবলেই চলেছে নিয়োগ প্রক্রিয়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Park Street: মহিলা সিভিকের শ্লীলতাহানি! পার্কস্ট্রিট থানার সাব-ইন্সপেক্টর গ্রেফতার

    Park Street: মহিলা সিভিকের শ্লীলতাহানি! পার্কস্ট্রিট থানার সাব-ইন্সপেক্টর গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্ক স্ট্রিট (Park Street) থানায় কর্মরত মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারের শ্লীলতাহানি করার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক সাব ইন্সপেক্টর। ধৃতের নাম অভিষেক রায়। তিনিও পার্ক স্ট্রিট থানায় কর্মরত রয়েছেন। রবিবার অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরই ওই পুলিশ অফিসারকে ক্লোজ় করে দেয় লালবাজার। শুরু হয় তদন্ত। তার পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

    কী অভিযোগ এসআইয়ের বিরুদ্ধে? (Park Street)

    কয়েকদিন আগেই একটি অভিযোগপত্রে মহিলা সিভিক (Civic Volunteer) লেখেন, “আমি ২০১৭ সাল থেকে সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করছি। এখন পার্ক স্ট্রিট থানার (Park Street) অধীনে রয়েছি। চার তারিখ রাত ৯টা থেকে আমি ডিউটি করছিলাম। সে সময়ে ওই অফিসার আমাকে তাঁর গার্ডকে দিয়ে তাঁর রেস্টরুমে ডেকে পাঠান। পার্ক স্ট্রিট থানার তিনতলায় অবস্থিত ওই ঘর। রাত প্রায় ১টা ১০ নাগাদ আমি সেখানে যাই, যা ক্যালেন্ডারের হিসেবে ৫ অক্টোবর তারিখ।” চিঠিতে তিনি বলেন, “ওই এসআই অফিসার আমায় পুজোর উপহার হিসেবে একটি নতুন সালোয়ার কামিজ দেন। আমি সেটি নেওয়ার সময়ে তিনি আমার শরীরে অবাঞ্ছিত স্পর্শ করেন। আমি বাধা দিলে তিনি বলেন এটা কোনও ব্যাপার নয়। তিনি আমায় মৌখিকভাবে সান্ত্বনা দেওয়ারও চেষ্টা করেন। কিছুক্ষণ পরে আমি আমার ছোট ভাইকে ফোন করি এবং সে কিছুক্ষণের মধ্যে চলে আসে। একটি ডায়েরি করতে চাই। কিন্তু ডিউটি অফিসার রণবীর দাস আমার অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেন। আমায় বলা হয় থানাতেই কথা বলে মিটিয়েনিতে। ঘটনাটি এড়িয়ে যেতে।” চিঠিটি রাজ্যের মুখ্যসচিব, পুলিশ কমিশনার, জয়েন্ট পুলিশ কমিশনার, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ও পার্ক স্ট্রিট থানার ওসি- কে পাঠানো হয়েছে। এখানেই শেষ নয়। ওই মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারের দাবি, এর আগেও এমন ঘটনা তাঁর সঙ্গে ঘটিয়েছেন অভিযুক্ত ওই অফিসার। তিনি লিখেছেন, “এর আগেও ১৫ সেপ্টেম্বর তারিখে দুপুর দেড়টা নাগাদ মদ্যপ অবস্থায় তিনি পার্ক স্ট্রিট থানার কম্পিউটার রুমে আমার সঙ্গে একই ঘটনা ঘটিয়েছিলেন।” ওই মহিলা আরও লিখেছেন, যে এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত তিনি কোনও ডিউটি পালন করবেন না। নিচুতলার কর্মীর সঙ্গে ওই অফিসার যে আচরণ করেছেন, তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো তাঁর নৈতিক দায়িত্ব বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। এই চিঠিকে এফআইআর হিসেবে দায়ের করে পদক্ষেপ করার অনুরোধ করেছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: জয়নগরে জুনিয়র-সিনিয়র জাক্তার থেকে আইনজীবীর প্রতিনিধিরা, সিবিআই চাইছে পরিবার

    অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

    অভিযোগ পাওয়ার পরেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় লালবাজার। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিভাগীয় (Park Street) তদন্ত শুরু হয়। তাঁকে বসিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। তখনই আভাস দেওয়া হয়েছিল, যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয় তবে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। সোমবার সকালে ওই এসআই-কে গ্রেফতার করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: আরজি করের করিডরে দাঁড়িয়ে সঞ্জয়! সেই অভিশপ্ত ভোরের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে

    RG Kar Incident: আরজি করের করিডরে দাঁড়িয়ে সঞ্জয়! সেই অভিশপ্ত ভোরের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Incident) নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় চলছে। বিচার চেয়ে লাগাতার আন্দোলন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই আবহের মধ্যে ৯ অগাস্ট আরজি করের অভিশপ্ত ভোরের সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV Footage) প্রকাশ্যে এসেছে। সেই ফুটেজ নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    সিসি ফুটেজে কী দেখা যাচ্ছে?

    প্রকাশ্যে আসা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ভোর ৪টে ৩ মিনিট নাগাদ অভিযুক্ত সঞ্জয়কে চারতলার সিঁড়ি দিয়ে আসতে এবং যেতে দেখা গিয়েছে। তার গায়ে টিশার্ট এবং জিন্স রয়েছে। হাতে ঝুলছে হেলমেট। তার মানে বাইকে চেপে এসেছিল মূর্তিমান। গলায় হেডফোন। নির্লিপ্ত মুখে আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar Incident) করিডরে প্রবেশ করছে সিভিক ভলান্টিয়ার। তবে, কি কলকাতা পুলিশ লেখা সেই বাইক? পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার দেহের কাছ থেকে উদ্ধার করে সংগ্রহ করা হয়েছিল হেডফোনের ছেঁড়া অংশ। সেই সূত্র ধরে কলকাতা পুলিশের ফোর্থ ব্যাটেলিয়নের ব্যারাক থেকে সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তদন্তকারীরা মনে করছেন, ফুটেজে ধৃতের গলায় যে হেডফোন ঝুলছে, তারই ছেঁড়া অংশ মিলেছিল ঘটনাস্থলে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV Footage) পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে ৮ অগাস্ট রাতে একাধিক বার সঞ্জয় হাসপাতালে ঢুকেছিল এবং বেরিয়েছিল। তার মধ্যে রাত ৮টা নাগাদ সে চেতলার এক যৌনপল্লিতে গিয়েছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অতীতেও মহিলাদের সঙ্গে অভব্য ব্যবহার করার ‘রেকর্ড’ রয়েছে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের।

    আরও পড়ুন: নেপালের বাস দুর্ঘটনায় মৃত ৪১ ভারতীয়, শোকবার্তা রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    ফাঁসি দিলে দিন (RG Kar Incident)

    তদন্তকারীদের দাবি, এতবড় ঘটনার হওয়ার পরও সঞ্জয়ের মধ্যে অনুশোচনার লেশমাত্র ছিল না। এমনকী অভিযুক্ত একেবারে ভাবলেশহীন। রীতিমতো সে বলে দিচ্ছে, ফাঁসি দিলে দিন। এদিকে অভিযুক্তের পেশার বিষয়টি কার্যত এড়িয়ে গিয়েছিলেন পুলিশের শীর্ষ কর্তারা। তবে, সূত্রের খবর, ওই যুবক কলকাতা পুলিশের আওতাধীন সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ করত। আরজিকরে তার অবাধ যাতায়াত। যখন খুশি বের হত, যখন খুশি ঢুকত। কিন্তু অত রাতে আরজি করের (RG Kar Incident) সেমিনার হলে ঢুকে পড়ল, কেউ কিছু বলল না? তবে কি আরজি কর চালাচ্ছে এরাই? প্রশ্ন সাধারণ মানুষের। শুক্রবার ভোরে আরজিকরে ঢুকেছিল ওই অভিযুক্ত। সে ভেতরে ৩০-৩৫ মিনিট ছিল। পরে বেরিয়ে আসে।

    বিভ্রান্ত করছে ধৃত সিভিক

    হেফাজতে থাকাকালীন বার বার বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। সিবিআই (CBI) সূত্রে খবর, আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Incident) প্রবেশের কারণ, সময় নিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে ধৃত। সেমিনার হলের প্রবেশের কারণ নিয়েও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছে সে। যদিও সিবিআইয়ের হাতে ঘটনার রাতের সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV Footage) রয়েছে। তাতে অভিযুক্তকে চারতলায় আসতে এবং যেতে দেখা গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, বিভ্রান্তি কাটিয়ে সঠিক তথ্য উদ্ধার করতেই পলিগ্রাফ করতে চাইছেন তদন্তকারীরা। এদিকে ধৃতের সম্পর্কে তার প্রতিবেশীদের দাবি, সঞ্জয় এলাকায় সে নিজেকে কলকাতা পুলিশের কর্মচারী বলত। এও বলত যে, ও সব কিছু করতে পারে। মহিলাদের ওপর অত্যাচার করাটা তার কাছে কোনও ব্যাপার নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Civic Volunteer: অন্যায় করলেও সাত খুন মাফ! সিভিকদের বোনাস বৃদ্ধি করে মন জয়ের চেষ্টা

    Civic Volunteer: অন্যায় করলেও সাত খুন মাফ! সিভিকদের বোনাস বৃদ্ধি করে মন জয়ের চেষ্টা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর জি করকাণ্ড নিয়ে রাজ্য সরকারের মুখ পুড়েছে। নিহত চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় নাম জড়িয়েছে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের (Civic Volunteer)। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনা ছাড়াও রাজ্যে একাধিক জেলায় সিভিকদের বিরুদ্ধে তোলাবাজি, শ্লীলতাহানিসহ নানা কুকর্ম করার অভিযোগ ওঠে। ফলে, সিভিকদের ভাবমূর্তি নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই আবহে সিভিকদের বোনাস (Bonus) বৃদ্ধির ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। মূলত, অন্যায় করলেও সাত খুন মাফ! সঙ্গে সিভিকদের পাশে থাকার বার্তা দিতেই এই উদ্যোগ বলে বিরোধীদের অভিযোগ।

    ক্ষতে প্রলেপ দিতেই বোনাস বৃদ্ধি! (Civic Volunteer)

    প্রসঙ্গত, আরজি করকাণ্ডে জড়িত থাকার বিস্তর অভিযোগ রয়েছে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। তাঁকে গ্রেফতারের উদ্যোগ না নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনে ‘প্রাইজ পোস্টিং’ দিল সরকার। বিরোধীদের বক্তব্য, সন্দীপকে নিয়ে গোটা দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে। আর তাঁকে আড়াল করতেই মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল! ঠিক একইভাবে বোনাস বৃদ্ধি করে সিভিকদের (Civic Volunteer) মন জয় করার মরিয়া চেষ্টা তৃণমূল সরকারের। জানা গিয়েছে, গত বার প্রথম যে নির্দেশিকা জারি হয়েছিল, তাতে কলকাতার সিভিক ভলান্টিয়ারদের বোনাস ৫ হাজার ৩০০ টাকা থাকলেও জেলার সিভিক ভলান্টিয়ারদের ক্ষেত্রে ছিল ২ হাজার টাকা। এ বার কলকাতার সঙ্গে জেলার সিভিক ভলান্টিয়ার কিংবা গ্রামীণ এলাকার ভিলেজ পুলিশের বোনাসের অঙ্কের কোনও ফারাক রইল না। নবান্নের নির্দেশিকা অনুযায়ী ৫ হাজার ৩০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে সিভিক ভলান্টিয়ারদের বোনাস করা হচ্ছে ৬ হাজার টাকা।

    আরও পড়ুন: ব্র্যান্ড ভ্যালু হারানোর ভয়! মিছিলে নেই, মেয়ের সঙ্গে মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ সৌরভের

    শুভেন্দুর চাপও আছে

    সিভিকদের বোনাস বৈষম্য নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বক্তব্য ছিল, “কলকাতার সিভিক ভলান্টিয়ারেরা ৫ হাজার ৩০০ টাকা পান তাতে কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু, জেলার সিভিক ভলান্টিয়ারেরা (Civic Volunteer) কেন বঞ্চিত হবেন? কেন তাঁদের কম অর্থ দেওয়া হবে। জেলার প্রতি বিমাতৃসুলভ মনোভাব দেখাচ্ছে রাজ্য।” সিভিকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ছিল। যদিও তার পরে ক্ষতি প্রলেপ দিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দিয়েছিলেন, কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ারদের মতোই রাজ্যের অন্য জেলায় কর্মরত সিভিক ভলান্টিয়াররাও সমান অঙ্কের পুজোর বোনাস পাবেন। অবশেষে সিভিকদের বোনাস বৃদ্ধি করা হল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Hospital: আরজি করের অধ্যক্ষ কার নয়নের মণি? অভিযোগের পাহাড় নিয়েও টিকে গেলেন কীভাবে?  

    RG Kar Hospital: আরজি করের অধ্যক্ষ কার নয়নের মণি? অভিযোগের পাহাড় নিয়েও টিকে গেলেন কীভাবে?  

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই একের পর এক অভিযোগ। কখনও ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশ, কখনও তাঁর অধীনস্থ কর্মকর্তাই তাঁর বিরুদ্ধে নানান গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন! গত দু’বছরে একাধিকবার তাঁকে নিয়ে নানান বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কিন্তু তারপরেও তাঁকে কেউ ক্ষমতা থেকে সরাতে পারেনি। এমনকী বদলিও করা হয়নি। গত শুক্রবার থেকে ফের তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যদিও এই সব কিছু নিয়ে তিনি ভাবতে নারাজ ছিলেন! তিনি আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ (RG Kar Hospital) সন্দীপ ঘোষ। অবশেষে অবশ্য প্রবল চাপের মুখে পড়ে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। বলা যায়, ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছেন।

    কী অভিযোগ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে? (RG Kar Hospital) 

    আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতির পাহাড়। এমনই অভিযোগ তুলছেন ওই হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক, কর্মীদের একাংশ। হাসপাতালে চিকিৎসক পড়ুয়াদের হস্টেলের পরিকাঠামো অত্যন্ত খারাপ, কয়েক বছর আগে এমন অভিযোগ তুলেছেন অধিকাংশ পড়ুয়া। এ নিয়ে অধ্যক্ষকে (Principal) অভিযোগ জানাতে গেলে, তিনি দু্র্ব্যবহার করেন বলেও অভিযোগ। এমনকী ছাত্রীদের সঙ্গে অশ্লীল আচরণের অভিযোগও ওঠে! এরপরেই বিক্ষোভ শুরু করেন পড়ুয়াদের একাংশ। যদিও শাসক দলের তৎপরতায় বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের নানান শাস্তি দেওয়া হয় বলেই তাদের অভিযোগ।

    আরজিকর হাসপাতালের প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন ওই হাসপাতালের সহকারী সুপারদের একাংশ। স্বাস্থ্য ভবনে দেওয়া তাদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, হাসপাতালের নানান যন্ত্রপাতি কেনা, চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রিন্সিপালের (RG Kar Hospital) অবৈধ লেনদেন চলত। এমনকী, মেডিক্যাল কলেজের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য যে টাকা বরাদ্দ হত, সেখানেও অনিয়ম চালানোর অভিযোগ ওঠে।

    বছর খানেক‌ আগেই স্বাস্থ্য ভবনের উদ্যোগে আরজি কর হাসপাতালের প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে ভিজিল্যান্স বিভাগের তদন্ত চলে। তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই সন্দীপ ঘোষের বদলি হয়ে যায়। স্বাস্থ্য ভবন থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়, তাঁকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু বদলির নির্দেশ দেওয়ার দেড় দিনের মধ্যে ফের বদলে যায় নির্দেশ‌। স্বাস্থ্য ভবনের তরফে নয়া নির্দেশ জারি করে জানানো হয়, তিনি আরজি কর হাসপাতালের দায়িত্বেই থাকবেন।

    কী বলছে চিকিৎসক মহল? (RG Kar Hospital) 

    শুক্রবার আরজি কর হাসপাতালের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের পর থেকেই রাজ্য জুড়ে নানান প্রশ্ন উঠছে। হাসপাতালের নিরাপত্তা, ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তা কতখানি, সে নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। চিকিৎসক মহলের একাংশ প্রশ্ন তুলছেন, আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ (Principal) এই ঘটনায় নিজের দায়িত্ব এড়িয়ে চলতে পারেন কি? চিকিৎসকদের একাংশ অবশ্য জানাচ্ছেন, প্রিন্সিপাল রাজ্যের শাসক দলের ঘনিষ্ঠ হওয়ার একাধিক সুবিধা নিচ্ছেন। আর তার জেরেই নানান অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি ক্ষমতায় বসে আছেন।

    অভিযোগ প্রসঙ্গে কী বললেন সন্দীপ ঘোষ? 

    আরজি কর হাসপাতালে শুক্রবারের ঘটনা প্রসঙ্গে সন্দীপ ঘোষের (RG Kar Hospital) সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পুলিশ তদন্ত করছে। তার আলাদা করে কিছুই বলার নেই। তবে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা নানান অভিযোগ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনও উত্তর দেননি। পরে অবশ্য তিনি ইস্তফা দিয়ে জোর গলায় বলেন, স্বেচ্ছায় তিনি এই কাজ করলেন। কেউ তাঁকে জোর করেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Hospital: আরজি কর থেকে ভাতার! মমতা প্রশাসনের মদতেই কি সিভিক ভলান্টিয়ারদের দাপট?

    RG Kar Hospital: আরজি কর থেকে ভাতার! মমতা প্রশাসনের মদতেই কি সিভিক ভলান্টিয়ারদের দাপট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্রেফ সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic Volunteer) হয়েও পরনে কেপি অর্থাৎ কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police) লেখা টি-শার্ট, বাইকে পুলিশ লেখা স্টিকার। পুলিশের দাপট নিয়ে রাস্তায় চলাফেরা, লোককে হুমকি। আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Hospital) তরুণী চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের গতিবিধি দেখে হতবাক শহরবাসী। শুধু সঞ্জয়ই নন, এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পূর্ব বর্ধমানের ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে আরজিকরের ঘটনার নাম করে হুমকি দেওয়ার। এরপরই প্রশ্ন উঠছে রাজ্যে সিভিক ভলান্টিয়ারদের দৌরাত্ম্য নিয়ে। কোথা থেকে এত সাহস পান সিভিকরা? হাইকোর্ট একাধিকবার সিভিক নিয়ে রাজ্যকে হুঁশিয়ার করেছে। তার পরেও পরিস্থিতি বদলায়নি। পুলিশের ছত্রছায়ায় থেকে শাসক দলের গুন্ডাবাহিনীতে পরিণত হয়েছে সিভিক ভলান্টিয়াররা, এমনই দাবি বিরোধী দল থেকে আম জনতার।

    সঞ্জয়ের দাপট

    কাগজেকলমে কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মী। কিন্তু একদিনও সেখানে ডিউটি না-করে রাতারাতি পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটির সদস্য হয়ে যান আরজি কর-কাণ্ডে (RG Kar Hospital) ধৃত সঞ্জয় রায়। কীভাবে তাঁর এই উত্থান উঠছে প্রশ্ন। নেপথ্যে কারও প্রশ্রয় রয়েছে? অভিযোগ, কমিটির এক প্রভাবশালী অফিসারের মদতেই সঞ্জয়ের এই বাড়াবাড়ি। পুলিশ সূত্রের খবর, ২০১৯-এ ডিএমজি বিভাগে কাজে যোগ দেওয়ার পর থেকে চতুর্থ ব্যাটালিয়নের বারাকে হামেশাই থাকতে শুরু করে সঞ্জয়, যে অনুমতি বা অধিকার তার ছিল না। করোনার পর থেকে সেটাই হয়ে ওঠে তার পাকাপাকি আস্তানা। তদন্তকারীরা জেনেছেন, সঞ্জয়ের বাড়ি দক্ষিণ কলকাতার শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালের কাছে হলেও বেশির ভাগ সময়ে সে আরজি কর হাসপাতালে ঘোরাফেরা করত। রাতেও অবাধ যাতায়াত ছিল হাসপাতালের বিভিন্ন ফ্লোরে। তাকে চিনত না, হাসপাতালে এমন কেউ নেই। শুধু পুলিশের টি-শার্ট পরে ঘোরাঘুরিই নয়, সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে বাহিনীর মহিলা কর্মীদের কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগও রয়েছে।

    ভাতারের ঘটনা

    আরজিকরেই (RG Kar Hospital) থেমে নেই সিভিকদের এই দাপট। সূত্রের খবর, ভাতারের হাসপাতালে সুশান্ত রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ার শুক্রবার রাতে মত্ত অবস্থায় এক মহিলা চিকিৎসককে গিয়ে রীতিমতো হুমকি দিয়ে বলেছিল, ‘‘আরজি করে কী হয়েছে জানেন তো?’’ পরে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে (Civic Volunteer) গ্রেফতার করা হয়। তবে এই ঘটনায় ফের সিভিকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রাজ্য প্রশাসনের প্রচ্ছন্ন মদতেই যে সিভিক ভলান্টিয়ারদের এত বাড়বাড়ন্ত তা মানছেন অনেকে। 

    আরও পড়ুন: আরজিকর কাণ্ডে জড়িত মমতার পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটি, দাবি সুকান্তর

    সিভিকদের সীমানা

    এই দুই ঘটনা, বিশেষ করে আরজি কর (RG Kar Hospital) কাণ্ডের পর টনক নড়েছে মমতার প্রশাসনের। হাসপাতালে সিভিক ভলান্টিয়ারদের (Civic Volunteer) গতিবিধি নিয়ে প্রশ্ন তুলছে৷ হাসপাতালের কতটা সীমানা পর্যন্ত যেতে পারা সিভিকরা, সেই নিয়েও বিস্তারিত গাইডলাইন তৈরির পথে কলকাতা পুলিশ৷ ফলে এবার সরকারি হাসপাতালে ভলান্টিয়ারদের গতিবিধি রুখতে সক্রিয় হচ্ছে লালবাজার৷ এই বিষয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের এক উচ্চোপদস্থ আধিকারিক বলেন, “বিষয়টি আমরা ভালোভাবে খতিয়ে দেখে তবেই সম্পূর্ণ বলতে পারব৷” এই বিষয়ে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা বলেন, “ভলান্টিয়ার হল তৃণমূলের পোষা গুন্ডা ৷ এটা হল নিজের পার্টির মস্তানদের ঢুকিয়ে দেওয়ার একটা জায়গা৷ এদেরকে অবাধ আচরণ করতে দেওয়া হয়েছে৷ এরা রাজনৈতিকভাবে পুলিশের সঙ্গে যদি যুক্ত না হত, তাহলে এই প্রকারের ঘটনা ঘটত না৷” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Civic Volunteer: পুলিশের সার্টিফিকেট জাল করে ধৃত দুই গুণধর সিভিক ভলন্টিয়ার

    Civic Volunteer: পুলিশের সার্টিফিকেট জাল করে ধৃত দুই গুণধর সিভিক ভলন্টিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাকার বিনিময়ে জাল পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট গছিয়ে দেওয়ার অভিযোগে দুই সিভিক ভলেন্টিয়ারকে (civic volunteer) গ্রেফতার করল দুর্গাচক থানার পুলিশ। অভিযুক্তরা হলেন সঞ্জয় মান্না ও অনির্বাণ দাস। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ায় (Haldia)।

    কী অভিযোগ

    পুলিশ সূত্রে খবর কারখানায় কাজের জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রয়োজন ছিল বাহাদুর চন্দ্র দাসের। সেই মত তিনি দুর্গাচক (Durgachak) থানায় পৌঁছে যান। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নেওয়ার পর তাদেরকে জাল সার্টিফিকেট গছিয়ে দেয়। পুলিশের জাল শংসাপত্র (Fake certificate) দেওয়ার পাশাপাশি নকল স্ট্যাম্প ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। সার্টিফিকেট জাল বুঝে বাহাদুর চন্দ্র দাস থানার দ্বারস্থ হন। দুই গুণধর সঞ্জয় মান্না ও অনির্বাণ দাসের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এরপর ওই দুই গুণধরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সমস্ত তথ্য প্রমাণ খতিয়ে দেখে ছয় দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

    আরও পড়ুন: বাইরে তাপপ্রবাহ! সুস্থ থাকতে কী করবেন, কী করবেন না, নির্দেশিকা কেন্দ্রের

    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে হলদিয়ায় কোন কারখানায় কাজ করতে গেলে পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সেই সার্টিফিকেটের জন্যই কুমার চকের বাসিন্দা বাহাদুর বাবু দুর্গাচক থানায় গিয়েছিলেন। তার দাবি সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় মান্না আধার কার্ডের জেরক্স, দুটি ছবি ও ৫০০ টাকা দাবি করে। এরপর তাকে একটি মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়। ওই মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও কেউ ফোন ধরেনি। সঞ্জয় তাকে যে সার্টিফিকেট দেয় যাতে দুর্গাচক থানার স্ট্যাম্প ও আধিকারিকের সই ছিল। কিন্তু থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে তিনি জানতে পারেন তাকে যে সার্টিফিকেট গছিয়ে দিয়েছে থানার সিভিক ভলেন্টিয়ার তা জাল। তিনি সঞ্জয় মান্নার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে পুলিশ সঞ্জয়কে গ্রেফতার করে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করে। অনির্বাণের জড়িত থাকার ঘটনা জানতে পারে পুলিশ তাকেও গ্রেফতার করে। পুলিশ খতিয়ে দেখছে কোথা থেকে এই জাল সার্টিফিকেট এবং ভুয়া স্টাম্প তৈরি করা হয়েছিল। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: সিভিক ভলান্টিয়ারকে ব্যাজ খুলে নেওয়ার হুমকি দিলেন তৃণমূল নেতা, শোরগোল

    Birbhum: সিভিক ভলান্টিয়ারকে ব্যাজ খুলে নেওয়ার হুমকি দিলেন তৃণমূল নেতা, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইন মেনে কাজ করতে গিয়ে তৃণমূল নেতার হুমকির মুখে পড়তে হল এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে অনুব্রতের গড় বীরভূমের (Birbhum) সিউড়ি এলাকায়। প্রকাশ্যে তৃণমূল নেতার ‘দাদাগিরি’ দেখলেন এলাকাবাসী। হুমকি সেই ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। সিভিক ভলান্টিয়ারকে হুমকি দিলেও কোনও পুলিশ আধিকারিক তার প্রতিবাদ করার সাহস দেখায়নি। এই ঘটনা নিয়ে জেলা জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Birbhum)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালবেলা বীরভূমের (Birbhum) সিউড়ি শহরে দুজন বাইক আরোহী হেলমেট ছাড়া গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তা দেখতে পেয়ে কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ার কৃষ্ণ গোপাল মণ্ডল ওই বাইক আরোহীদের জরিমানা করার জন্য গাড়ির ছবি তোলেন। অভিযোগ, এরপর বাইক থেকে নেমে অভিযুক্তরা কৃষ্ণকে হেনস্থা করে। শুধু তাই নয়, যে ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে এই ঘটনাটি ঘটেছে সেখানকার আইএনটিটিইউসির সাধারণ সম্পাদক শেখ ডালিম কাছে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি বিষয়টি জানার পরই সিভিক ভলান্টিয়ারকে ব্যাজ খুলে নেওয়ার হুমকি দেন বলে অভিযোগ। সিভিক ভলান্টিয়ার কৃষ্ণ গোপাল মণ্ডল বলেন, “রাস্তা দিয়ে বাইক চড়ে হেলমেট ছাড়া যাচ্ছিল দেখে আমি ছবি তুলছিলাম। তখন ওরা বলল ভাল করে ছবি তোল। দেখে নেব বাকিটা। তারপর ডালিম বলে একজন এসে আমাকে বললেন, তোর ব্যাজ খুলে নেব। আমায় চিনিস তুই। আমি বললাম, না চিনি না। আইন মেনে কাজ করার জন্য আমাকে প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়া হল। আমি বিষয়টি ওপরতলায় জানিয়ে দেব।”

    তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    সিউড়ির ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের আইএনটিটিইউসির সাধারণ সম্পাদক শেখ ডালিম বলেন, “আমাদের ড্রাইভার বাইক নিয়ে যাচ্ছিলেন। ওর গাড়ির ছবি তোলে ওই সিভিক। তারপর ড্রাইভার বলেন দাদা আমি ভুলে গিয়েছি হেলমেট নিতে। ও স্বীকারও করে। তারপরও ওই সিভিক তাকে ছাড়েনি। আমি কোনও হুমকি দিইনি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shantipur: সিভিক ভলান্টিয়ারে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    Shantipur: সিভিক ভলান্টিয়ারে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিভিক ভলান্টিয়ার এর চাকরি করে দেওয়ার নাম করে দফায় দফায় এক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। টাকা চাইতে গেলে হুমকির অভিযোগ পরিবারের। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর (Shantipur) থানার ফুলিয়া হাসপাতালপাড়া এলাকার।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Shantipur)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ছয় মাস আগে শান্তিপুর (Shantipur) হাসপাতাল পাড়া এলাকার বাসিন্দা মালা শর্মার কাছ থেকে তাঁর ছেলেকে সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি করে দেওয়ার নাম করে টাকার দাবি করেন। প্রথমে ৫০ হাজার টাকা নেন ওই মহিলার কাছ থেকে। এরপর দ্বিতীয় দফায় আরও ৫০ হাজার টাকা নেন বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সুপ্রভাত সরকার ফুলিয়া টাউনশিপ অঞ্চলের তৃণমূলের আহ্বায়ক। মালা শর্মার দাবি, তিন মাসের মধ্যে চাকরি দেওয়ার শর্ত থাকলেও ছয় মাস পেরিয়ে গেল চাকরি দিতে পারেনি ওই তৃণমূল নেতা। ছয় মাস অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পর টাকা চাইতে গেলে বিভিন্ন কথা বলে বার বার বাড়ি পাঠিয়ে দেন তিনি। শুধু তাই নয় অবশেষে টাকা চাইলে হুমকি দেন। কোনও উপায় না পেয়ে অবশেষে শান্তিপুর থানায় অভিযোগ জানাই।

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কী বললেন?

    প্রতারিত মহিলার তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন তৃণমূল নেতা সুপ্রভাত সরকার। তিনি বলেন, ওই মহিলা সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করছেন। এটা বিরোধী রাজনৈতিক দলের চক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে। আমি কারও কাছ থেকে কোনও টাকা পয়সা আজ পর্যন্ত নিইনি।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    এ বিষয়ে বিজেপি নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক সোমনাথ কর বলেন, তৃণমূলের সব ছোট বড় নেতারই একই চরিত্র। সবাই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। আসলে পুলিশের নাম করেই এরা দুর্নীতি করেই চলেছে। এরা জানে রাজ্য পুলিশ কোনও তৃণমূল নেতাকে কিছু করতে পারবে না। আমরা চাই যে নেতা টাকা আত্মসাৎ করেছে তাঁর কঠোরতম শাস্তি হোক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share