Tag: coal mafia

coal mafia

  • Arrest: রাজু ঝা খুনের ১৮ দিনের মাথায় প্রথম গ্রেফতার! কে এই ধৃত ব্যক্তি?

    Arrest: রাজু ঝা খুনের ১৮ দিনের মাথায় প্রথম গ্রেফতার! কে এই ধৃত ব্যক্তি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজু ঝা খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার (Arrest) করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম অভিজিৎ মণ্ডল। তার বাড়ি কাঁকসা থানার বামুনাড়া এলাকায়। সেখানে একটি বহুতল আবাসনের ফ্ল্যাটে থাকতো সে। সেই ফ্ল্যাট এখন তালাবন্ধ। রাজু ঝা খুনের ঘটনায় এটিই প্রথম গ্রেফতার (Arrest)। রাজু ঝাকে খুন করার পিছনে ধৃতের ঠিক কী ভূমিকা ছিল, তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজু ঝা খুন হওয়ার পর বর্ধমান জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ১২ সদস্যের সিট গঠন করা হয়েছিল। এতদিন ধরে তল্লাশির পর অবশেষে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার (Arrest) করতে সমর্থ হল। ধৃত ওই যুবক শিল্পাঞ্চলের দাপুটে এক ব্যবসায়ীর গাড়ির চালক ছিলেন। যদিও এই বিষয়ে পুলিশ স্পষ্ট করে কিছু বলেনি।

    কী বললেন জেলা পুলিশ সুপার?

    পয়লা এপ্রিল, শনিবার রাত ৮ টা নাগাদ পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে ল্যাংচার দোকানের সামনে ফিল্মি কায়দায় এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে রাজু ঝা-কে খুন করে দুষ্কৃতীরা। জানা যায়, কয়লামাফিয়া রাজু ঝা দুর্গাপুর-আসানসোল শিল্পাঞ্চলের বেতাজ বাদশা ছিলেন। তাঁর সঙ্গে গরুপাচারকাণ্ডের অন্যতম মাথা আব্দুল লতিফও ছিলেন। এই লতিফের দুধসাদা গাড়িতে করেই রাজু ঝা কলকাতায় যাচ্ছিলেন। গাড়ির পিছনের সিটে বসেছিলেন লতিফ আর ব্রতীন মুখোপাধ্যায়। গাড়ি চালাচ্ছিলেন নুরুল হোসেন নামে একজন। শক্তিগড়ে ল্যাংচার দোকানের সামনে তাঁদের গাড়ি দাঁড়িয়েছিল। শুটআউটের আগেই গাড়ির চালক নুরুল নেমে গিয়েছিলেন। হামলার সময় রহস্যজনকভাবে লতিফও গাড়ি থেকে নেমে গিয়েছিলেন। নীল রংয়ের একটি গাড়ি থেকে রাজু ঝা-কে গুলি করা হয়। পূর্ব বর্ধমানের জেলা পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন বলেন, খুন হওয়ার ১৮ দিনের মাথায় একজনকে গ্রেফতার (Arrest) করা হল। ধৃত অভিজিৎ মণ্ডলের আদি বাড়ি বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাঁটি এলাকায়। সে পানাগড় এলাকায় থাকত, চাকরি করত প্রাইভেট কোম্পানিতে। মঙ্গলবার রাতে তাকে দুর্গাপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বুধবার তাকে বর্ধমান আদালতে তোলা হয়। বিচারক ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Attack: কয়লাকাণ্ডে সিবিআই হাজিরার আগেই খুন রাজু ঝা! তথ্য ফাঁস হওয়ার আশঙ্কাতেই কি হত্যা?

    Attack: কয়লাকাণ্ডে সিবিআই হাজিরার আগেই খুন রাজু ঝা! তথ্য ফাঁস হওয়ার আশঙ্কাতেই কি হত্যা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কয়লাকাণ্ডে সিবিআইকে বড় কারও নাম বলে দেবেন বলেই কয়লা মাফিয়া রাজু ঝাকে খুন করা হয়েছে। এমনই দাবি করেছেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ইতিমধ্যেই খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহে সিবিআই তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিল। সোমবারই তাঁর হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। তার আগেই তাঁকে খুন করতে ফিল্মি কায়দায় হামলার (Attack) ঘটনা ঘটেছে। তিনি একসময় শিল্পাঞ্চলে কয়লাপাচারের কিংপিন ছিলেন। বেআইনি কোন রুট ধরে এই পাচার হত তা তার মুখস্থ ছিল। কোন পুলিশ অফিসার, প্রশাসনিক কর্তা এবং রাজনৈতিক নেতার কাছে কত নজরানা যেত তা তাঁর নখদর্পণে ছিল। কয়েকদিন আগেই তাঁর ওপর হামলার (Attack) ঘটনা ঘটেছিল। যদিও সে যাত্রায় তিনি প্রাণে রক্ষা পেয়ে যান। তবে, এবার কেন্দ্রীয় সংস্থা ডাকার ঠিক আগেই তাঁকে খুন করা হল। স্বাভাবিকভাবে কয়লাপাচারকাণ্ডে তিনি অনেকের জড়িত থাকার নাম বলে দিতে পারতেন। আর তাই পরিকল্পিতভাবে তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে ওয়াকিবহল মনে করছে।

    শুটআউটের আগে লতিফের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে কেন?

    কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা দুর্গাপুর-আসানসোল শিল্পাঞ্চলের বেতাজ বাদশা। তাঁর সঙ্গে গরুপাচারকাণ্ডে অন্যতম মাথা আব্দুল লতিফের ভালো সম্পর্ক ছিল। বহু বছর ধরেই তাঁরা বন্ধু হিসেবেই পরিচিত ছিল। লতিফের বাড়ি ইলামবাজার। তাঁর সঙ্গে এনামূল হকের ভাল সম্পর্ক ছিল। অন্ধকার জগতে সকলেই লতিফকে এনামূলের ভাই হিসেবেই জানত। জানা গিয়েছে, এই লতিফের দুধ সাদা গাড়িতে করেই রাজু ঝা কলকাতায় যাচ্ছিলেন। গাড়ির পিছনের সিটে বসেছিলেন লতিফ আর ব্রতীন মুখোপাধ্যায়। আর নুরুল হোসেন নামে একজন গাড়ি চালাচ্ছিলেন। শক্তিগড়ে ল্যাংচার দোকানের সামনে তাঁদের গাড়ি দাঁড়িয়েছিল। শুটআউটের আগেই গাড়ির চালক নুরুল নেমে গিয়েছিলেন। হামলার (Attack) সময় রহস্যজনকভাবে লতিফ নিজের গাড়ি থেকে নেমে গিয়েছিলেন। নীল রংয়ের গাড়ি থেকে তাঁকে গুলি করা হয়। শক্তিগড় স্টেশনের কাছ থেকে গাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়। ঘটনার আগেই লতিফ কেন গাড়ি থেকে নেমে গেলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    কে এই রাজু ঝা?

    রাজু ঝা-র আদি বাড়ি বিহারের দ্বারভাঙা। এলাকার তার আসল নাম রাজেশ ঝা। তিনি দুর্গাপুরে রাজু ঝা নামেই পরিচিত। রাজুর উত্থান রানিগঞ্জ থেকে। রানিগঞ্জের মাড়োয়ারি সনাতন বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলেন। পরে, সরজু উপাধ্যায় নামে এক কয়লা কারবারের দলে সে নাম লেখায়। পরবর্তী সময়ে কয়লার ট্রাকের খালাসি হয়ে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া তাঁর কাজ ছিল। সরজুকে খুন করা হয়। নয়ের দশকে কয়লা মাফিয়া হিসেবে তাঁর আত্মপ্রকাশ। বাম জমানা থেকে কয়লা-মাফিয়া হিসেবে দাপিয়ে রাজত্ব করেছেন তিনি। ২০১১ সালের আগে, খনি অঞ্চলে প্রায় দেড় দশক ধরে অবৈধ কয়লার কারবারে রাজুর নাম ছিল প্রথম সারিতে। অণ্ডাল থেকে ডানকুনির আগে পর্যন্ত তাঁর অবৈধ কয়লার কারবার চলত। তবে ২০১১ সালে সরকার বদলের পাশাপাশি তাঁর সাম্রাজ্যের পতন শুরু হয়।

    বীরভূমের বিভিন্ন থানাতে বেআইনি কয়লা কারবারের অভিযোগ রয়েছে তার নামে। কয়লা কারবারের রাজত্ব হাতছাড়া হতে তিনি ধীরে ধীরে দুর্গাপুরে বিভিন্ন ব্যবসা শুরু করেন। দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে রয়েছে তাঁর একাধিক বিলাসবহুল রেস্তোরাঁ, পার্কিং প্লাজ়া, শাড়ির দোকান। দুর্গাপুরের বিধাননগরে তাঁর আভিজাত্যপূর্ণ বিলাসবহুল একটি বাড়িও করেন। এরপর রাজু ঝা ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে দুর্গাপুরের একটি সভায় বিজেপিতে যোগ দেন। বিধানসভা ভোটের পর থেকে বিজেপির সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। বেশ কিছুদিন এলাকার বাইরে ছিলেন তিনি। এখন এলাকায় ফিরে দাদাগিরি ট্যাক্স জারি করেছিল। তাতে শিল্পাঞ্চলের ব্যবসায়ীরা চটে গিয়েছিলেন। অন্ডালের এক মাফিয়ার রাজত্বে তিনি থাবা বসাচ্ছিলেন। ফলে, তাঁর সঙ্গে একটা শত্রুতা তৈরি হয়েছিল। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় সংস্থা কয়লাপাচার কাণ্ডে ডেকে পাঠানোর আগেই তাঁর এই খুনের ঘটনায় রহস্য দানা বাঁধছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: সিউড়ি থানার আইসিকে নিজাম প্যালেসে ডেকে জেরা সিবিআইয়ের, কেন জানেন?

    CBI: সিউড়ি থানার আইসিকে নিজাম প্যালেসে ডেকে জেরা সিবিআইয়ের, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ মঙ্গলবার বীরভূমের সিউড়ি থানার আইসি শেখ মহম্মদ আলিকে নিজাম প্যালেসে ডেকে সিবিআই (Cbi) ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করেন। মূলত কয়লা পাচার করার জন্য তাঁকে নিয়মিত প্রোটেকশন মানি দেওয়া হত বলে তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পেরেছেন। কয়লা পাচারের মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার মুখেও এই পুলিশ অফিসারের নাম সিবিআই (Cbi) আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন। মহম্মদবাজারের অফিসার ইন চার্জ হিসেবে থাকার সময় এই পুলিশ আধিকারিক নিয়মিত প্রোটেকশন মানি নেওয়ার পাশাপাশি  বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে যেত। বিনিময়ে পাচারকারীদের   কয়লা পাচার করতে  কোনও সমস্যা হত না। কোনও সমস্যা হলেই মহম্মহ আলি মুশকিল আসান ছিলেন। মহম্মদ আলি থাকলে পাচারকারীদের কাজ করতে কোনও সমস্যা হত না বলে তদন্তকারী অফিসার জানতে পেরেছেন। কারণ, অনেকেই সে কথা তদন্তকারী অফিসারদের কাছে স্বীকার করেছে। এর আগে কয়লা পাচারে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালা এবং গরু পাচারে অভিযুক্ত এনামূল হকের আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে যে সব নথি পাওয়া গিয়েছে, তাতে রাজ্যে ১০০টি থানার অফিসার ইন চার্জের নাম পাওয়া গিয়েছে। লালার নিতুড়িয়ার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ১৫ হাজার পাতার খাতা পাওয়া গিয়েছে, তাতে সব পুলিশ অফিসারের খুঁটিনাটি রয়েছে। প্রোটেকশন মানি হিসেবে কাকে কত টাকা দেওয়া হত তার বিস্তারিত রয়েছে। সিউড়ি থানার আইসির কাছে নিয়মিত টাকার খাম পৌঁচ্ছে যেত। লালার কাছে থেকেই সেই তথ্য তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পেরেছে।

    মহম্মদ আলি বীরভূম জেলায় কত বছর আছে জানেন? Cbi

    ২০০৫ সালে বীরভূম জেলায় মহম্মদ আলির পোস্টিং হয়। এরপর নলহাটি, কাঁকড়তলা, খয়ড়াশোল, ইলামবাজার মহম্মদবাজার থানায় তিনি ঘোরাফেরা করেছেন। মূলত যে সব রুট দিয়ে কয়লা পাচার হত, সেই সব থানায় তিনি দায়িত্বে থাকতেন। এক সময় তিনি বাম নেতাদের কাছাকাছি থাকলেও রাজ্যে পালা বদলের পর তিনি শাসকদলের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। মহম্মদবাজার থানায় থাকার সময় তিনি কয়লা পাচারকারীদের ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেন। কয়লা পাচারকারীরা তাঁর মাধ্যমেই পুলিশের বিভিন্ন আধিকারিকদের কাছে টাকা পৌঁচ্ছে দিত। শুধু তাই নয়, যে সব থানা দিয়ে কয়লার গাড়ি যেত সেখানকার প্রোটেকশন মানিও তাঁর হাত দিয়ে যেত বলে (Cbi) সিবিআই তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পেরেছেন। কারণ, যারা নিয়মিত এই টাকা মহম্মদ আলিকে দিত তারা তদন্তকারী অফিসারের কাছে সে কথা স্বীকার করেছেন। কয়লা পাচারকারীদের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতার পাশাপাশি শাসক দলের দাপুটে নেতাদের সঙ্গে তাঁর নিয়মিত ওঠাবসা ছিল। বীরভূমের এক প্রভাবশালী নেতার কাছে তিনি নিয়মিত যেতেন বলে তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পেরেছেন। এক সময় প্রায় নিয়মিত সেই নেতার বাড়ি গিয়ে কী করতেন তা তদন্তকারী অফিসাররা জানার চেষ্টা করছেন। সিউড়ি থানার আইসি হিসেবে থাকলেও নলহাটি, মহম্মদবাজারসহ একাধিক থানা তিনি নিয়ন্ত্রণ করতেন। জেলার এক উচ্চ পদস্থ কর্তার সঙ্গে তাঁর এতটাই সখ্যতা ছিল যে জেলার বিভিন্ন থানায় কে কোথায় অফিসার হবেন তা তিনি ঠিক করতেন। তদন্তকারীরা আধিকারিকরা এই সব তথ্য কতটা সত্যি তা যাচাই করে দেখছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share