মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকাল থেকে শহরে মেঘলা আকাশ, গুমোট ভাব। দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি নিম্নচাপের পরোক্ষ প্রভাবে (Weather Update) এক ধাক্কায় তিন ডিগ্রি বেড়ে গেল কলকাতার তাপমাত্রা। স্বাভাবিকের চেয়েও বেশ খানিকটা চড়েছে পারদ। আগামী কয়েক দিনে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আরও খানিকটা তাপমাত্রা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবার থেকে দক্ষিণের তিনটি জেলায় রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনাও। সাগরে নিম্নচাপের প্রভাব কেটে গেলে নতুন করে তাপমাত্রা কমবে। ডিসেম্বরের শুরুতেই শীতের আগমন কলকাতায়। এরই মধ্যে, মৌসম ভবন জানিয়ে দিল, ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হচ্ছে না ‘ফেনজল’। এখন থেকেই শক্তি হারাতে শুরু করে দিয়েছে সে।
শীতের পথে বাধা নিম্নচাপ
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার এবং রবিবার সামান্য বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে। বাকি জেলাগুলিতে আপাতত শুকনো আবহাওয়া থাকবে। তবে রাতের তাপমাত্রা আগামী দু’দিনের মধ্যে আরও খানিকটা বৃদ্ধি পেতে পারে। আপাতত শনিবার পর্যন্ত পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমে সকালের দিকে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকবে, জানিয়েছে আলিপুর। উত্তরবঙ্গে এখন বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। উত্তরের জেলাগুলিতে মূলত শুকনো আবহাওয়া থাকবে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
আরও পড়ুন: পান্নুনের হুমকিকে উপেক্ষা করে আজ ভুবনেশ্বরে শুরু ডিজি-আইজিদের সম্মেলন
বেড়েছে শহরের তাপমাত্রা
দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ রয়েছে। তার অভিমুখ তামিলনাড়ুর উপকূলের দিকে। এর ফলেই বেড়েছে শহরের তাপমাত্রা। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু শুক্রবার এক ধাক্কায় তাপমাত্রা বেড়ে গিয়েছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হয়েছে ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে যা ৩.৫ ডিগ্রি বেশি। বৃহস্পতিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৭ ডিগ্রি কম। এদিকে হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, নিম্নচাপের ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা আর নেই। ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তা শুক্রবার সকালে তুলে নিল মৌসম ভবন। শক্তি হারাচ্ছে ‘ফেনজল’। গভীর নিম্নচাপ ঢুকবে তামিলনাড়ুর উপকূলে। ভারী বৃষ্টিপাত হবে। মৌসম ভবনের তরফে এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তামিলনাড়ুর উপকূলে ইতিমধ্যে বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।