Tag: Cold

Cold

  • Weather Update: পারদ পড়ল পনেরোতে, হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস মতোই রাজ্যে এল শীত

    Weather Update: পারদ পড়ল পনেরোতে, হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস মতোই রাজ্যে এল শীত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড়ের মেঘের কাঁটা সরলে শীত পড়বে (Weather Update) বলে আগেই জানিয়েছিল হাওয়া অফিস (West Bengal)। শেষমেশ সরে গেল শীতের পথের কাঁটা। প্রত্যাশিতভাবেই বঙ্গে এল ঠান্ডা। বাক্স থেকে বেরলো লেপ-কম্বল। বের হল মোটা চাদর এবং সোয়েটারও। হাওয়া অফিসের খবর, বুধবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে আলিপুর আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, এবার ধীরে ধীরে পড়বে ঠান্ডা। নামতে থাকবে পারদ। পূর্বাভাস মতোই মরশুমে প্রথমবার ১৬ ডিগ্রির নীচে নামল কলকাতার পারদ। বুধেও অতটা ঠান্ডা মালুম হয়নি। কারণ সকাল থেকেই আকাশে হালকা মেঘ ছিল। যদিও বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজ্যে দেখা গেল রোদ ঝলমলে আকাশ। তাই জাঁকিয়ে পড়েছে ঠান্ডা।

    সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (Weather Update)

    হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, এদিন আলিপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রয়েছে ১৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আপাতত এই ঠান্ডার দাপট চলবে। আগামী দিন কয়েক শহরের তাপমাত্রা আরও খানিকটা নেমে যাবে, কমে যেতে পারে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্র-শনিবার কলকাতার পারা নেমে হতে পারে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায়ই অবশ্য কমবেশি কুয়াশা হতে পারে। আপাতত বৃষ্টি হওয়ার কোনও সম্ভবনাই নেই। পশ্চিমের জেলায় তাপমাত্রা নেমে যেতে পারে ১১ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ঠান্ডার অনুভূতি সব চেয়ে বেশি রাত্রি এবং সকালবেলায়।

    শীতের আমেজ কতদিন

    আগামী পাঁচ দিন এমন শীতের আমেজই থাকবে। কুয়াশার জেরে কোথাও কোথাও দৃশ্যমানতা ৯০০ মিটার থেকে নেমে হতে পারে ২০০ মিটার পর্যন্তও। রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে কুয়াশার ঘনত্ব তুলনায় বেশি থাকার সম্ভাবনা। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আগামী সপ্তাহজুড়ে শুষ্ক আবহাওয়া বজায় থাকবে দক্ষিণবঙ্গে। প্রসঙ্গত, ঘূর্ণঝড় ‘দিতওয়াহ’ শক্তি হারিয়ে নিম্নচাপে পরিণত (Weather Update) হয়েছে। এই নিম্নচাপ থেকে লাক্ষাদ্বীপ পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে একটি অক্ষরেখা। বর্তমানে এটি অতিক্রম করেছে কর্নাটক-কেরল। এর পাশাপাশি উত্তর-পশ্চিম ভারতে একের পর এক পশ্চিমী ঝঞ্ঝা সক্রিয়। পাকিস্তান এবং সংলগ্ন জন্মু-কাশ্মীরে একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ও ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে (West Bengal)। নতুন করে শক্তিশালী পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকবে ৫ ডিসেম্বরের পর (Weather Update)।

  • Weather Update: নিম্নচাপের জের! তিন ডিগ্রি বাড়ল কলকাতার তাপমাত্রা, ডিসেম্বরের শুরুতেই শীত?

    Weather Update: নিম্নচাপের জের! তিন ডিগ্রি বাড়ল কলকাতার তাপমাত্রা, ডিসেম্বরের শুরুতেই শীত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকাল থেকে শহরে মেঘলা আকাশ, গুমোট ভাব। দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি নিম্নচাপের পরোক্ষ প্রভাবে (Weather Update) এক ধাক্কায় তিন ডিগ্রি বেড়ে গেল কলকাতার তাপমাত্রা। স্বাভাবিকের চেয়েও বেশ খানিকটা চড়েছে পারদ। আগামী কয়েক দিনে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আরও খানিকটা তাপমাত্রা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবার থেকে দক্ষিণের তিনটি জেলায় রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনাও। সাগরে নিম্নচাপের প্রভাব কেটে গেলে নতুন করে তাপমাত্রা কমবে। ডিসেম্বরের শুরুতেই শীতের  আগমন কলকাতায়। এরই মধ্যে, মৌসম ভবন জানিয়ে দিল, ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হচ্ছে না ‘ফেনজল’। এখন থেকেই শক্তি হারাতে শুরু করে দিয়েছে সে।

    শীতের পথে বাধা নিম্নচাপ

    হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার এবং রবিবার সামান্য বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে। বাকি জেলাগুলিতে আপাতত শুকনো আবহাওয়া থাকবে। তবে রাতের তাপমাত্রা আগামী দু’দিনের মধ্যে আরও খানিকটা বৃদ্ধি পেতে পারে। আপাতত শনিবার পর্যন্ত পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমে সকালের দিকে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকবে, জানিয়েছে আলিপুর। উত্তরবঙ্গে এখন বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। উত্তরের জেলাগুলিতে মূলত শুকনো আবহাওয়া থাকবে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

    আরও পড়ুন: পান্নুনের হুমকিকে উপেক্ষা করে আজ ভুবনেশ্বরে শুরু ডিজি-আইজিদের সম্মেলন

    বেড়েছে শহরের তাপমাত্রা

    দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ রয়েছে। তার অভিমুখ তামিলনাড়ুর উপকূলের দিকে। এর ফলেই বেড়েছে শহরের তাপমাত্রা। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু শুক্রবার এক ধাক্কায় তাপমাত্রা বেড়ে গিয়েছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হয়েছে ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে যা ৩.৫ ডিগ্রি বেশি। বৃহস্পতিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৭ ডিগ্রি কম। এদিকে হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, নিম্নচাপের ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা আর নেই। ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তা শুক্রবার সকালে তুলে নিল মৌসম ভবন। শক্তি হারাচ্ছে ‘ফেনজল’। গভীর নিম্নচাপ ঢুকবে তামিলনাড়ুর উপকূলে। ভারী বৃষ্টিপাত হবে। মৌসম ভবনের তরফে এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তামিলনাড়ুর উপকূলে ইতিমধ্যে বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Children Diseases: খামখেয়ালি আবহাওয়ায় ভোগান্তি বাড়ছে শিশুদের! কাহিল করে দিচ্ছে কোন কোন রোগ? 

    Children Diseases: খামখেয়ালি আবহাওয়ায় ভোগান্তি বাড়ছে শিশুদের! কাহিল করে দিচ্ছে কোন কোন রোগ? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দিন কয়েক ধরে গরমে জেরবার হচ্ছিল উত্তর থেকে দক্ষিণ! শরতের রোদে প্রায় পুড়েছে সকলে! আবার চলতি সপ্তাহে শুরু প্রবল বৃষ্টি! হাওয়া অফিসের অনুমান, আগামী ছ’দিন একনাগাড়ে চলবে বৃষ্টি! আগামী সপ্তাহে আবার রোদের দেখা মিলবে! তাপমাত্রার পারদ বাড়ছে-কমছে! আর আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনা স্বাস্থ্যের বিপদ (Children Diseases) বাড়াচ্ছে! বিশেষত শিশুদের ভোগান্তি বাড়ছে। তাই সতর্কতা জারি না রাখলে আরও সমস্যা বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছে চিকিৎসকদের একাংশ।

    গলাব্যথা, কাশি-সর্দি এবং জ্বর (Children Diseases)

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, আবহাওয়ার এই রকমফের বাতাসে একাধিক ভাইরাসের দাপট বাড়াচ্ছে। সক্রিয় হচ্ছে একাধিক রোগসৃষ্টিকারী জীবাণু। আর তার জেরেই নানান রোগের প্রকোপ বাড়ছে। গত দু’সপ্তাহে শিশুদের ভাইরাসঘটিত জ্বরের প্রকোপ কয়েক গুণ বেড়েছে। গলাব্যথা, কাশি-সর্দি এবং জ্বর! এই উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। হঠাৎ গরম আবার তারপরেই লাগাতার বৃষ্টি-সব মিলিয়েই এই ধরনের সমস্যা বাড়ছে বলে জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। 
    আবার দিন কয়েক আগে তাপমাত্রা হঠাৎ অনেকটা বেড়ে যাওয়ায় (Strange weather) বহু শিশু ‘হিট বার্ন’-এর মতো সমস্যায় ভুগছে বলেও জানাচ্ছে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সর্দি-কাশি বা অন্য কোনও ভাইরাসঘটিত রোগের কবলে না পড়লেও বহু শিশুর দেহের তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়ে যাচ্ছে। থার্মোমিটারে মাপলে মনে হবে শিশুর জ্বর হয়েছে। দূর্বলতাও দেখা দিচ্ছে। কিন্তু আবহাওয়া হঠাৎ গরম হয়ে যাওয়ার জেরে শিশুর দেহ এই হঠাৎ বদলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছে না। প্রাপ্তবয়স্কদের মতো তাদের দেহ পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে নিজেকে ঠান্ডা রাখতে পারে না। তাই শরীর গরম হয়ে যাচ্ছে।

    পেটের অসুখ

    জ্বরের পাশপাশি পেটের অসুখের সমস্যাও বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, রাজ্যের একাধিক জেলায় জল জমে রয়েছে। বন্যা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শিশুরা মারাত্মক পেটের অসুখে ভুগছে। অনেক জায়গায় পরিশ্রুত জল নেই। ফলে সমস্যা (Children Diseases) আরও বাড়ছে‌। এই আবহাওয়ায় আরেকটি সমস্যা হচ্ছে ছত্রাক সংক্রমণ। ত্বক বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, শুষ্ক আর ভিজে আবহাওয়ার এই ঘনঘন পরিবর্তনের জেরে শিশুদের ত্বকে নানান ছত্রাক সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে! ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া আবার হালকা একটা আস্তরণ দেখা দিচ্ছে!

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা? (Children Diseases)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, বর্ষায় রাজ্যে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার প্রকোপ মারাত্মক। তাই জ্বর হলে কোনও ভাবেই অবহেলা করা চলবে না।‌ দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ মতো স্বাস্থ্য পরীক্ষা জরুরি। তবে আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনায় ভাইরাস ঘটিত অসুখ থেকে বাঁচতে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খাওয়া জরুরি। পাশপাশি নিয়মিত লেবু জাতীয় ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, যে কোনও লেবু জাতীয় ফলে থাকে ভিটামিন সি। সর্দি-কাশি কমাতে এবং রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে এই ধরনের ফল বিশেষ সাহায্য করে। স্কুল পড়ুয়াদের টিফিনে নিয়মিত কিউই জাতীয় ফল দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এতে ভাইরাস ঘটিত অসুখের (Children Diseases) প্রকোপ কমবে‌। 
    ছত্রাক সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে শিশুকে নিয়মিত স্নান করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ত্বক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখলে এই ধরনের অসুখের ঝুঁকি কমে। 
    জলের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, বর্ষার জেরে বহু জায়গায় জলের পাইপ ফেটে গিয়েছে‌। পরিশ্রুত পানীয় জল পাওয়া যাচ্ছে না। তাই জলঘটিত অসুখ যেমন কলেরা, ডায়ারিয়ার মতো রোগ প্রতিরোধ করতে শিশুদের জল ফুটিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pneumonia: নিউমোনিয়ার প্রকোপ থেকে বাঁচতে শিশুদের মতো বয়স্কদেরও কি টিকা জরুরি? 

    Pneumonia: নিউমোনিয়ার প্রকোপ থেকে বাঁচতে শিশুদের মতো বয়স্কদেরও কি টিকা জরুরি? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষা শুরু হতেই নানা রোগের প্রকোপ বাড়ছে! আর সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি বাড়াচ্ছে নিউমোনিয়া (Pneumonia)। তাই চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নিউমোনিয়া নিয়ে বিশেষ সতর্ক হতে হবে।

    কাদের ভোগান্তির (Pneumonia) আশঙ্কা বেশি? 

    কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, নিউমোনিয়ায় (Pneumonia) আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ভারতে শিশুদের পাশাপাশি বয়স্কদের জন্যও নিউমোনিয়া দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে। গোটা পৃথিবীর মোট নিউমোনিয়া আক্রান্তের ২৭ শতাংশ ভারতে হয়। প্রতি বছর ৩০ শতাংশ মানুষের মৃত্যুর কারণ নিউমোনিয়া। তাই নিউমোনিয়া নিয়ে সতর্কতা জরুরি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যে কোনও বয়সেই এই রোগ হতে পারে। তবে, শিশু ও বয়স্কদের ঝুঁকি বেশি। বিশেষত, ৬০ বছরের উর্ধ্বে এই রোগে আক্রান্ত হলে পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হতে পারে।

    নিউমোনিয়া (Pneumonia) কী? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নিউমোনিয়া (Pneumonia) হল ফুসফুসের সংক্রমণ। ঠান্ডা লাগলে ফুসফুসে এক ধরনের জীবাণু সংক্রমণ হয়। যার জেরে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমে। 

    কী কী উপসর্গ (Pneumonia) হলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি? 

    সাধারণ সর্দি-কাশি থেকেও নিউমোনিয়ার (Pneumonia) সমস্যা হতে পারে। তাই শিশুদের মতোই বয়স্কদের জন্য সচেতনতা জরুরি। যদি কয়েক সপ্তাহ লাগাতার কাশি-সর্দির মতো উপসর্গ থাকে, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। এছাড়া, যাদের ফুসফুসের কোনও সমস্যা রয়েছে, বর্ষা বা শীত, যে কোনও ঋতু পরিবর্তনের সময় তাদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি। সামান্য উপসর্গ দেখা দিলেও তাদের বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। 
    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নিউমোনিয়ার অন্যতম উপসর্গ হল বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট। তাই সর্দি-কাশির সঙ্গে শ্বাসকষ্ট হলে বাড়তি সতর্কতা দরকার। 
    অনেক সময় কাশির সঙ্গে সামান্য রক্তপাত হয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এটাও নিউমোনিয়ার উপসর্গ। 
    শ্বাস নেওয়ার সময় কাশি ও যন্ত্রণা অনুভব হলে তা নিউমোনিয়ার ইঙ্গিত বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। 

    শিশুদের মতো বয়স্কদেরও কি নিউমোনিয়ার (Pneumonia) ভ্যাকসিন জরুরি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নিউমোনিয়ার মোকাবিলায় ভ্যাকসিন সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। শিশুর জন্মের ন’মাসের মধ্যে যেমন তাকে নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। যা নিউমোনিয়া মোকাবিলায় সাহায্য করে। তেমনি বয়স্কদেরও নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন দেওয়া জরুরি। আমেরিকা, ইংল্যান্ডের মতো পশ্চিমের দেশগুলোয় প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণ নিয়ে সচেতনতা গড়ে উঠলেও, এদেশে সেই সচেতনতার হার কম বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। তাই নিউমোনিয়া (Pneumonia) রুখতে ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বয়স্কদের সজাগ করাও জরুরি বলে জানাচ্ছে তারা।৬০ বছরের উর্ধ্বে নিউমোনিয়ার ভ্যাকসিন নিলে বিপদ অনেকটাই কমানো যেতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। 
    তবে, ভ্যাকসিনের পাশপাশি অন্যান্য সচেতনতাও জরুরি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যে কোনও রকম ফ্লু হলেই বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে। অবহেলা বড় বিপদ আনতে পারে। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে শরীরে জলের পরিমাণ সম্পর্কে সজাগ হতে হবে। যেমন, অতিরিক্ত জল নিউমোনিয়া আক্রান্তের জন্য ক্ষতিকর। তেমনি শরীরে জলের পরিমাণ কমে গেলে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বাড়ে, যা প্রাণনাশের কারণ হতে পারে। তাই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Monsoon Health Tips: বর্ষাকালে রোগমুক্ত থাকবেন কীভাবে? রইল কিছু উপায়

    Monsoon Health Tips: বর্ষাকালে রোগমুক্ত থাকবেন কীভাবে? রইল কিছু উপায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে বর্ষাকাল শুরু হয়ে গিয়েছে আর বর্ষাকাল মানেই একাধিক রোগের আশঙ্কা। করোনা এখনও শেষ হয়নি, তারমধ্যেই বর্ষাকাল আসায় বিভিন্ন রোগের সংক্রমণও বেড়ে গিয়েছে। বর্ষার স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে বিভিন্ন ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যায়। এই সময় ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া এবং জীবাণুর সংখ্যাও বৃদ্ধি পায়। ডেঙ্গু, জ্বর, ম্যালেরিয়া, সর্দি-কাশি, মাথা ব্যথা একটা না একটা লেগেই থাকে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে আরও রোগ সংক্রমণ এড়ানোর জন্যে আগে থেকেই সতর্ক হয়ে যান।

    আরও পড়ুন: সকালে উঠে কখন জল খাবেন? জানালেন বিশেষজ্ঞ

    বর্ষাকালে যেসব রোগ সাধারণত দেখা যায় সেগুলো হল:

    মশাবাহিত রোগ- ডেঙ্গু (Dengue) , ম্যালেরিয়া (Malaria)।

    বায়ুজনিত রোগ- ইনফ্লুয়েঞ্জা (Influenza) , সর্দি-কাশি (Common cold), নিউমোনিয়া (pneumonia)।

    জলবাহিত রোগ- কলেরা (Cholera), ডায়রিয়া ( Diarrhoea), টাইফয়েড (Typhoid), হেপাটাইটিস এ, ই (hepatitis A & E)।

    রোগ সংক্রমণ থেকে বাঁচতে কী কী করণীয়?

    • আশেপাশে কোথাও জল জমতে দেওয়া উচিত নয়। কারণ জমা জলেই মশার উপদ্রব বাড়ে। এছাড়াও মশার কামড় থেকে বাঁচতে মশারি ব্যবহার করা উচিত।
    • এইসময় খাদ্য তালিকায় বিশেষ নজর রাখা উচিত। রোগ প্রতিরোধকারী ও পুষ্টিকর খাবার বেশি করে খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
    • যাঁদের শ্বাসযন্ত্রজনিত রোগ আছে, তাঁদের মাস্ক ব্যবহার করা উচিত।
    • যাঁদের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কম তাঁদের সংক্রমিত রোগীর থেকে দূরে থাক উচিত।
    • আপনার চারপাশ পরিস্কার, পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত।
    • বারবার হাত ধোয়া উচিত ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করা উচিত।
    • যদি আপনি কোনও রোগের উপসর্গ দেখতে পান তবে নিজে থেকে ওষুধ না খেয়ে, সরাসরি চিকিৎসকের পরামর্শ নেন।
    • বদ্ধ ঘরে থাকা উচিত নয়, সবসময় খোলামেলা জায়গায় থাকা উচিত।
    • বাইরের খাবার কম খান। বাড়িতেও হাল্কা খাবার রান্না করুন।
    • জল ফুটিয়ে খান। এতে জলে জীবাণু থাকার আশঙ্কা কমে যায়।

    আরও পড়ুন: ডায়াবেটিসে আক্রান্ত? এই ভেষজ খেলে নিয়ন্ত্রণে আসবে রক্তে শর্করার মাত্রা

LinkedIn
Share