Tag: College

College

  • Saraswati Pujo Row: মমতার কলেজে সরস্বতী পুজো দেখতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে ব্রাত্য

    Saraswati Pujo Row: মমতার কলেজে সরস্বতী পুজো দেখতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে ব্রাত্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ নয়, খোদ কলকাতার কলেজ। এই কলেজেরই প্রাক্তনী তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সেই কলেজেই সরস্বতী পুজো (Saraswati Pujo Row) হল কড়া পুলিশি প্রহরায়। সেই পুজো দেখতে গিয়ে আবার (Jogesh Chandra Day College) পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ঘটনার পরম্পরা দেখে সিনেমা করিয়েরা বলতেই পারেন, যতকাণ্ড কলকাতায়!

    কড়া পুলিশি প্রহরায় পুজো

    ভনিতা ছেড়ে দিয়ে ফেরা যাক খবরে। যোগেশচন্দ্র কলেজে সরস্বতী পুজোয় বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। শেষমেশ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কড়া পুলিশি প্রহরায় রবিবার কলেজের ভিতরে হল আইন বিভাগের সরস্বতী পুজো। পুজো উপলক্ষে এদিন সকাল থেকেই কলেজের বাইরে মোতায়েন করা হয়েছে সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে পরিচয়পত্র দেখে তবেই কলেজে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে পড়ুয়াদের। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার অজয় প্রসাদ নিজেও গিয়েছিলেন কলেজে।

    ব্রাত্যকে ঘিরে বিক্ষোভ

    দুপুরে পুজো দেখতে কলেজে গিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং স্থানীয় সাংসদ তথা পরিচালন কমিটির সদস্য মালা রায়। তাঁদের দেখে ‘বিচার চাই’ স্লোগান দিতে শুরু করেন পড়ুয়ারা। ছাত্রীদের অভিযোগ, এদিনও তাঁদের অশালীন ভাষায় হুমকি দেওয়া হয়েছে (Saraswati Pujo Row)। বিক্ষোভের মুখে পড়ের দৃশ্যতই হকচকিয়ে যান শিক্ষামন্ত্রী। পরে চার ছাত্রীকে অধ্যক্ষের ঘরে ডেকে পাঠিয়ে বৈঠক করেন ব্রাত্য। বৈঠক শেষে কলেজ থেকে বেরিয়ে যান রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী।

    মালা জানান, এতদিন এ বিষয়ে তাঁকে কিছু জানানো হয়নি। এনিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানান তিনি। মালা বলেন, “পুজোর দিনে বিচার চাই স্লোগান শুনব না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব রকম পুজো, উৎসবে উৎসাহ দেন। সেই মতো সব ছাত্রছাত্রী (Jogesh Chandra Day College) পুজোয় শামিল হবেন, এটাই চাইব।” এদিকে, উত্তর ২৪ পরগনার নহাটা যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল স্মৃতি মহা বিদ্যালয়েও সরস্বতী পুজোয় বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে (Saraswati Pujo Row)।

  • Manipur: মণিপুরের ইম্ফলে শিথিল করা হল কারফিউ, ফের খুলল স্কুল-কলেজ, পড়ুয়ারা ফিরছে ক্লাসে

    Manipur: মণিপুরের ইম্ফলে শিথিল করা হল কারফিউ, ফের খুলল স্কুল-কলেজ, পড়ুয়ারা ফিরছে ক্লাসে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে অশান্তির আবহ কাটিয়ে মণিপুরের (Manipur) ইম্ফল উপত্যকা এবং জিরিবাম জেলার স্কুল ও কলেজগুলি ফের খোলা শুরু হল। শুক্রবার থেকে স্কুল-কলেজে ক্লাস নেওয়া শুরু হয়েছে। উপত্যকার জেলাগুলিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পড়ুয়াদের স্কুল ইউনিফর্ম এবং অভিভাবকদের রাজ্যের রাজধানী ইম্ফলে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গিয়েছে।

    কী নির্দেশে দিয়েছে শিক্ষা দফতর? (Manipur)

    স্কুল শিক্ষা দফতর এবং উচ্চ ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার ইম্ফল পূর্ব, ইম্ফল (Manipur) পশ্চিম, বিষ্ণুপুর, কাকচিং, থৌবাল এবং জিরিবাম জেলায় ক্লাস পুনরায় শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে। স্কুল খোলা প্রসঙ্গে এক কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিক কে বিকেন সিং বলেন, ‘‘আমার দুই ছেলে ইম্ফলের একটি বেসরকারি স্কুলে পড়াশুনা করে। একজন ক্লাস সিক্স, একজন ক্লাস সেভেনে পড়ে। তাদের ফাইনাল পরীক্ষা নির্ধারিত ছিল। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হবে। কিন্তু, পাঠ্যক্রমের কিছু অংশ এখনও শেষ হয়নি। তাই, আমরা চরম উদ্বেগে ছিলাম। স্কুলগুলি পুনরায় খোলার ফলে শিক্ষকরা তাদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। ছেলেরাও স্কুল যেতে পেরে ভালো লাগবে। এটা আমাদের কাছে বড় স্বস্তির খবর।’’

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দুদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র, আজ সংসদে বিবৃতি দেবেন জয়শঙ্কর

    শিথিল করা হল কারফিউ!

    একটি সরকারি আদেশ অনুসারে, রাজ্য সরকার (Manipur) সমস্ত পাঁচটি উপত্যকা জেলা এবং জিরিবামে শুক্রবার সকাল ৫টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করার নির্দেশ দিয়েছে, যাতে মানুষজন প্রয়োজনীয় খাবার, জিনিসপত্র এবং ওষুধ কিনতে পারে। নির্দেশে বলা হয়েছে, ‘‘শিথিলের সময়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া কোনও জমায়েত/বসা/সমাবেশ করা যাবে না।’’ সম্প্রতি মণিপুরের জিরিবামে কুকি জঙ্গি এবং সিআরপিএফ জওয়ানদের মধ্যে গুলি বিনিময়ের পর নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সে রাজ্যের পরিস্থিতি। সেই আবহেই মণিপুর ও অসমের জিরি ও বরাক নদী থেকে জিরিবামে দুই দফায় মহিলা ও শিশুসহ ছ’জনের দেহ উদ্ধার হয়। দেহ উদ্ধারের পর থেকে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় মণিপুরে। বিচার চেয়ে এবং অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানিয়ে ইম্ফলের রাস্তায় বিক্ষোভ শুরু হয়। রাজ্যের বেশ কয়েক জন বিধায়কের বাড়িতে হামলা চালায় উত্তেজিত জনতা। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করার পর ফের স্কুল-কলেজ খোলার নির্দেশ জারি করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Krishna-Janmashtami: স্কুল-কলেজে জন্মাষ্টমী পালনের নির্দেশিকা মধ্যপ্রদেশ সরকারের

    Krishna-Janmashtami: স্কুল-কলেজে জন্মাষ্টমী পালনের নির্দেশিকা মধ্যপ্রদেশ সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী (Krishna-Janmashtami) পালনের জন্য স্কুল ও কলেজগুলিকে অনুষ্ঠান করার নির্দেশ দিয়েছে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) মোহন যাদবের সরকার। রাজ্যের স্কুলগুলিকে গুরু পূর্ণিমার জন্য বিশেষ দু’দিনের অনুষ্ঠান আয়োজনের নির্দেশের পর, বিজেপি সরকার এবার জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আগামী ২৬ অগাস্ট সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুরূপ নির্দেশ জারি করেছে৷ ইতিমধ্যে জেলাশাসকদের কাছে এই নির্দেশিকা পৌঁছে গিয়েছে। শ্রীকৃষ্ণের জীবন দর্শন, শিক্ষা ভাবনা, মানব দর্শন এবং ঐতিহাসিক গুরুত্বকে নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তুলে ধরার কথা বলেছে রাজ্য সরকার।

    কৃষ্ণের শিক্ষা তুলে ধরার নির্দেশিকা (Krishna-Janmashtami)

    প্রশাসন বিভাগ থেকে সমস্ত জেলাশাসকদের কাছে ছয় দফা নির্দেশ জারি করেছে মোহন যাদবের সরকার (Madhya Pradesh)। সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি স্কুল-কলেজে পণ্ডিতদের দ্বারা বক্তৃতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করার নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। ভগবান কৃষ্ণের শিক্ষা, জীবন, দর্শন, মানবতা ও বন্ধুত্বের মূল্যবোধের বিষয়গুলিকে অনুষ্ঠানে রাখার জন্য বলা হয়েছে। নির্দেশে আরও বলা হয়েছে যে ভারতের প্রাচীন ঐতিহ্য, যেমন যোগব্যায়ামের উপর প্রবন্ধ রচনার প্রতিযোগিতা, বক্তৃতামালার মধ্যমে বর্তমান সময়ে প্রাসঙ্গিক বিষয়কে উপস্থাপন করতে হবে। একই ভাবে জন্মাষ্টমীর (Krishna-Janmashtami) সময় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মন্দিরগুলিকে পরিষ্কার করা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন নিশ্চিত করতে জেলাশাসকদের বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জনপাভা (দেওয়াস), আমঝেরা (ধর), নারায়ণ এবং সন্দীপনি আশ্রম (উজ্জয়ন) সহ একাধিক জায়গা যেখানে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জীবন কথা জড়িত হয়ে আছে, সেই ধর্মীয় স্থানগুলিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলা হয়।

    আরও পড়ুন: উচ্চ অসম ছাড়তে হবে সপ্তাহের মধ্যে, মিঞাদের ডেডলাইন ৩০ সংগঠনের

    কংগ্রেসকে পাল্টা তোপ বিজপির

    ভোপাল-মধ্যের কংগ্রেস বিধায়ক আরিফ মাসুদ মধ্যপ্রদেশ (Madhya Pradesh) সরকারের এই নির্দেশিকাকে (Krishna-Janmashtami) তীব্র কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেন, “কেন এই সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করতে চাইছে? ধর্মীয় উপলক্ষ্যে ছুটি ঘোষণা করার বিধান তো রয়েছেই।” পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় দিয়ে ভোপালের হুজুরের বিজেপি বিধায়ক রামেশ্বর শর্মা, সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে বলেন, “আমাদের সরকার রাজ্য জুড়ে জন্মাষ্টমী উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ

  • Gourbanga University: উপাচার্যের চেম্বার সিল করার নির্দেশ, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কঠোর রাজ্যপাল

    Gourbanga University: উপাচার্যের চেম্বার সিল করার নির্দেশ, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কঠোর রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের চেম্বার ‘সিল’ করে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবনের তরফে শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার বিশ্বজিৎ দাসকে এই মর্মে মেল পাঠানো হয়। উপাচার্য যাতে আর বিশ্ববিদ্যালয়ে না ঢুকতে পারেন, তা নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজ্যপালের দফতর থেকে রেজিস্ট্রারকে মেইল মারফৎ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ 

    রাজভবনের নির্দেশ

    শুক্রবার উপাচার্য রজতকিশোর দে-এর গৌরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ রেজিস্ট্রার বিশ্বজিৎ দাসকে মেল করে বলা হয়েছে, গত ৩১ মার্চ রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য রজতকিশোর দেকে তাঁর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছেন ৷ এবার উপাচার্যের চেম্বার সিল করে দিতে হবে ৷ কোনও পরিস্থিতিতেই রজতবাবু যাতে তাঁর ঘরে ঢুকতে না পারেন তার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে ৷ প্রয়োজনে পুলিশের সাহায্য নিয়ে অপসারিত উপাচার্য রজতকিশোর দে-কে আটকাতে হবে বলেও কড়া নির্দেশ দিয়েছে রাজভবন।

    আরও পড়ুন: “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই এনআইএ-র উপর হামলা হয়েছে”, ভূপতিনগরের ঘটনায় সরব সুকান্ত-শুভেন্দু

    কী বললেন রেজিস্ট্রার

    গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যকরী উপাচার্য হিসাবে গত অগাস্ট মাসে দায়িত্ব পান রজতকিশোর দে। রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোসই তাঁকে এই দায়িত্ব দিয়ে নিয়ে যান গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। ন’ মাসের মাথায় সেই আচার্যই পদ থেকে সরিয়ে দিলেন রজতকিশোর দে-কে। এদিকে আচার্যের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে রাজ্য। রজতকিশোর দে-কে উপাচার্য হিসাবেই কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় শিক্ষা দফতরের তরফে। এ প্রসঙ্গে রেজিস্ট্রার বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “আমি যখন সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা নাগাদ অফিস থেকে বেরচ্ছি তখন নিজের মেইল দেখি৷ সেই সময় রাজ্যপালের দফতর থেকে আসা মেইলটি নজরে পড়ে৷ সেই মেইলে অধ্যাপক রজতকিশোর দে’র চেম্বার সিল করতে বলা হয়েছে ৷ তাতে কোনও অসুবিধে হলে পুলিশ প্রশাসনের সাহায্য নিতেও বলা হয়েছে৷ তবে এ নিয়ে আমি নিজে কোনও পদক্ষেপ করতে পারব না৷ আমার সেই অধিকার নেই৷ উপাচার্য এখন ছুটিতে৷ বিষয়টি কয়েকজন ইসি সদস্যকে জানিয়েছি৷ উচ্চশিক্ষা দফতরকেও জানাব৷ ইসির নির্দেশমতো আমাকে কাজ করতে হবে৷”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থার এ কী হাল! ‘১০০ টাকায়’ গেস্ট লেকচারার নিয়োগ করছে কলেজ

    Dakshin Dinajpur: বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থার এ কী হাল! ‘১০০ টাকায়’ গেস্ট লেকচারার নিয়োগ করছে কলেজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজ। আর সেই কলেজে অতিথি শিক্ষকের ক্লাস পিছু পারিশ্রমিক শুনলে চমকে উঠবেন। এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন নাথালিয়ান মুর্মু কলেজে। কলেজ কর্তৃপক্ষ অতিথি শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। অতিথি শিক্ষকের বেতন ১০০ টাকা প্রতি ক্লাস! সপ্তাহে সর্বোচ্চ ১৫টি ক্লাস করা যাবে। দেওয়া হবে না যাতায়াত ও বাড়তি কোনও খরচ। নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতেই একথার স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। এনিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থার কী হাল, এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।

    কলেজে কতজন গেস্ট লেকচারার নিয়োগ করা হবে?

    ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর তপনে এই কলেজ স্থাপিত হয়। ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা-১৮০০ জন। এ বছরও ৫৮০ জন পড়ুয়া ভর্তি হয়েছেন এ কলেজে। সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত এই কলেজে যত সংখ্যক পূর্ণ সময়ের অধ্যাপক আছেন তা যথেষ্ট নয়। তাই গেস্ট লেকচারার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। ৬ জন অতিথি শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। ২ জন বাংলা, ২ জন এডুকেশন, ১ জন রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ১ জন দর্শনের অতিথি অধ্যাপক নিয়োগ হবে। আগামী ২০ তারিখ ইন্টারভিউ। তার আগেই এই বিতর্ক দানা বেধেছে। বালুরঘাটের নেট পাশ যুবক অসীম বর্মন এ বিজ্ঞপ্তি প্রসঙ্গে বলেন, ‘একজন শিক্ষকের মাইনে ক্লাস প্রতি ১০০ টাকা? আবার বলছেন ১৫টির বেশি ক্লাস দেবেন না। সে হিসাবে মাসে তো ৭ হাজার টাকা হচ্ছে। এখন মনে হচ্ছে পড়াশোনার কোনও দামই নেই।’

    কলেজ কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রণয় নারাজিনারি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে, কলেজ পরিচালন কমিটির সভাপতি অমলকুমার রায়ের বক্তব্য, কলেজে অধ্যাপকের সংখ্যা খুবই কম। অথচ ক্লাসের চাপ বাড়ছে। তাই গেস্ট টিচার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই পদের জন্য ক্লাস প্রতি ১০০ টাকা খুবই কম মানছেন তিনি। তবে, একইসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের কিছু করার নেই। আমাদের ফান্ড থেকে এই বেতন দিতে হবে। আমাদের কলেজের অত সামর্থ্য নেই। বাধ্য হয়েই এই পারিশ্রমিক দিতে হচ্ছে।

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি?

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, কলেজে ছাত্র সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু শিক্ষকের অভাব থাকায় কলেজের পরিচালন সমিতি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অনেকেই বেকার রয়েছেন যাঁরা স্কুল বা কলেজে পড়াতে ইচ্ছুক। তাঁরা এখানে শিক্ষকতা করতে পারবেন। তারজন্য সামান্য কিছু সাম্মানিক দেওয়া হচ্ছে। আমার মনে হয়, এক্ষেত্রে অনেকেরই উপকার হবে। অনেকেই তো বিনা পয়সায় নানা জায়গায় পড়ান। সেক্ষেত্রে কলেজের যা সামর্থ্য, তাই দিচ্ছে। এতে বিতর্ক হওয়ার কিছু নেই।

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ গেস্ট লেকচারার নিয়োগ করছে। তাকে ১০০ দিনের কাজের চেয়ে কম টাকা দেওয়া হচ্ছে, এর থেকে লজ্জার কি আছে? মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী এসব দেখতে পাননা। তারা বিদেশে হারমোনিয়াম বাজাচ্ছেন। বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থার কী হাল, এটাতেই স্পষ্ট।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • College: এই কি শিক্ষার পরিবেশ? কলেজ চত্বরে বসেই গাঁজায় সুখটান তৃণমূল ছাত্রনেতার!

    College: এই কি শিক্ষার পরিবেশ? কলেজ চত্বরে বসেই গাঁজায় সুখটান তৃণমূল ছাত্রনেতার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রের রহস্যমৃত্যু নিয়ে তোলপাড় চলছে। বহু ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশি তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে গাঁজা চাষ, হস্টেলের মধ্যে মদ্যপান করার মতো ঘটনা সামনে এসেছে। এই সব ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই পূর্ব বর্ধমানের একটি কলেজ (College) চত্বরে প্রকাশ্যে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক নেতাকে মাদক সেবন করতে দেখা যাচ্ছে। তা যথারীতি ভাইরালও। যদিও সেই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি ‘মাধ্যম’।

    ভিডিওতে কী দেখা যাচ্ছে? (College)

    শক্তিগড়ের হাটগোবিন্দপুর ভূপেন্দ্রনাথ দত্ত স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের (College) টিএমসিপি-র কলেজ ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক হিতেশ শেঠ। কলেজ ক্যাম্পাসে বসে বন্ধুদের সঙ্গে গাঁজা সেবন করছেন তিনি। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও-তে সেটাই দেখা যাচ্ছে। অন্য কোথাও নয়, কলেজ চত্বরে বসে মাদক নিচ্ছেন কয়েকজন ছাত্র, এমনই একটি ভিডিও বুধবার রাতে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

    অভিযোগ নিয়ে কী সাফাই দিলেন টিএমসিপি নেতা?

    যদিও ভিডিও-তে যাঁর ছবি দেখা যাচ্ছে বলে দাবি করা হচ্ছে, সেই টিএমসিপি-র কলেজ (College) ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক হিতেশ শেঠ বলেন, সামাজিক মাধ্যমে ছবিটি ভুয়ো। মুখ্যমন্ত্রী কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভোট হবে ঘোষণা করেছেন। তার জন্যই ইচ্ছাকৃতভাবে টিএমসিপিকে কালিমালিপ্ত করতে ছবি এডিট করে এসএফআই এই চক্রান্ত করছে। এসব আমরা কেউ করিনি। ওরা আমাদের ছাত্র সংগঠনকে বদনাম করার জন্যই এসব করছে।

    কী বললেন এসএফআই নেতৃত্ব?

    এসএফআইয়ের পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সম্পাদক অনির্বাণ রায়চৌধুরী বলেন, শুধু এই কলেজ (College) বলে নয় রাজ্যের সমস্ত কলেজেই শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেছে তৃণমূল ছাত্র সংগঠন। অধিকাংশ কলেজেই এই ধরনের মাদক সেবন চলে। প্রতিবাদ করলেই ওদের রোষের মুখে পড়তে হয়। এসব জেনেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। কারণ, এসব কাজের সঙ্গে তৃণমূল ছাত্রনেতারা জড়িত থাকে। তিনি আরও বলেন, ওই ছেলেটিই টিএমসিপি হাটগোবিন্দপুর কলেজ ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক। সে ওই কলেজেরই দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। আমরা এই ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMCP: ডুপ্লে কলেজের সামনে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর হাতাহাতি, আহত দুই ছাত্রী

    TMCP: ডুপ্লে কলেজের সামনে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর হাতাহাতি, আহত দুই ছাত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার দুপুরে চন্দননগর ডুপ্লে কলেজের সামনে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে। দুপক্ষের মধ্যে মারপিট, লাঠি, ঘুষি, কিল, চড় কিছুই বাদ যায়নি। দুপুরে এরকম ঘটনার সাক্ষী রইল কলেজ সংলগ্ন ঐতিহ্যশালী স্ট্র্যান্ড রোড। আটক করা হয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন জেলা সভাপতি সম্বুদ্ধ দত্ত এবং তাঁর অনুগামী অলীক সামন্ত এবং অর্ণব ঘোষ নামে দুই ছাত্রনেতাকে। পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাঙ্গন আরও একবার বিশৃঙ্খলার সাক্ষী থাকল বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদদের একাংশ।

    কেন হাতাহাতি?

    তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন জেলা সভাপতি সম্বুদ্ধ দত্তকে সংগঠনের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আর তারপর থেকেই কলেজ ক্যাম্পাসের রাজত্ব কার কাছে থাকবে, এই নিয়ে শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের (TMCP) অন্দরে দুই গোষ্ঠীর লড়াই চলছিল। ক্যাম্পাসের আধিপত্য বজায় রাখতেই এদিন এই সংঘর্ষ হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান। অভিযোগ, সংঘর্ষ হয় সম্বুদ্ধ দত্ত ঘনিষ্ঠ সমাজবিরোধীদের অভব্য আচরণের জেরে। কলেজ ক্যাম্পাসের আশেপাশে মেয়েদেরকে বহুদিন ধরেই সমাজবিরোধীরা হেনস্থা করছিল বলে বিশেষ অভিযোগ উঠছিল। কলেজের পর্যবেক্ষক সুইটি কোলে অভিযোগ করেন, পাপ্পু চৌধুরী সহ কয়েকজন সমাজবিরোধী কলেজের বাইরে তাঁদের বেশ কয়েকদিন ধরে উত্যক্ত করছিল। দিন দিন এটা সহ্যের সীমাকে অতিক্রম করে গিয়েছিল। প্রতিকার হচ্ছে না বলে কিছু একটা পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছিলেন তাঁরা। তাই প্রশাসনের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জানাতে মিছিল করতে করতে চন্দননগর থানায় ডেপুটেশন দিতে গিয়েছিলেন তাঁরা। কলেজে ফেরার সময় সম্বুদ্ধ দত্ত মদতপুষ্ট বহিরাগত দুষ্কৃতীরা তাঁদের উপর চড়াও হয়ে মারধর শুরু করে। দেখতে দেখতে এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আমিশা নামে এক ছাত্রী অভিযোগ করেন, তাঁদের ওপর সম্বুদ্ধ ও তাঁর দলবল চড়াও হয়ে তাঁর গায়ে হাত তোলে। তাঁর সোনার হার ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে জানা যায়। অন্যদিকে পাপ্পু চৌধুরীকেও বেধড়ক মারধর করার ফলে তাকে চন্দননগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং বিরোধীদের বক্তব্য

    তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) বর্তমান জেলা সভাপতি শুভদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, বহিরাগতদের সঙ্গে কলেজে ছাত্র-ছাত্রীদের একটা গণ্ডগোল হয়েছে। জানা গেছে, সম্বুদ্ধ দত্ত সেই সময় উপস্থিত ছিলেন। তিনি আরও বলেন, এই বিষয়ে দলের কোনও ব্যাপার নেই। আমরা বিশ্বাস করি পুলিশ আইন অনুযায়ী বিশেষ ব্যবস্থা নেবে। বিরোধী ছাত্র সংগঠন মনে করছে, তৃণমূলের শাসনে বহুদিন ছাত্র নির্বাচন বন্ধ। ভর্তির জন্য কাটমানি কে নেবে, নবীনবরণ উৎসবের নামে টাকা কে তুলবে-এই নিয়ে নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠীসংঘর্ষের ফলাফলস্বরূপ এমন ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনায় যদি দলের কোনও বিষয় না থাকে, তবে দলের নেতারা দাঁড়িয়ে থেকে কেন এই ঘটনার নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন? উত্তর মেলেনি। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতার বক্তব্যের মধ্যে অসঙ্গতি রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।

    পুলিশের ভূমিকা

    স্থানীয় চন্দননগর থানায় দুপক্ষের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) অভিযুক্ত দুপক্ষের নেতাদের আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল থানায়। পুলিশ ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে অনেককেই গ্রেফতার করে। রাত অবধি আটকে রাখা হয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অভিযুক্তদের। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Murshidabad: সেট পরীক্ষায় কলেজের ক্যান্টিনে বসে দেদার টুকলি! ফেসবুকে ভাইরাল ভিডিও

    Murshidabad: সেট পরীক্ষায় কলেজের ক্যান্টিনে বসে দেদার টুকলি! ফেসবুকে ভাইরাল ভিডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অধ্যাপক নিয়োগের সেট পরীক্ষায় কলেজের ক্যান্টিনে বসে দেদার টুকলি চলছিল। এই ঘটনায় অভিযোগ জানিয়ে ফেসবুকে লাইভ করলেন কেলেজেরই এক প্রতিবাদী অধ্যাপক। ঘটনায় মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) নরুল হাসান কলেজের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। অপর দিকে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার আশ্বাস কলেজ কর্তৃপক্ষের।

    ঘটনা কীভাবে ঘটল (Murshidabad)?

    সূত্রে জানা গিয়েছে, সেট পরীক্ষা অর্থাৎ স্টেট এলিজিবিলিটি পরীক্ষার মাধ্যম কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ করা হয়। গতকাল রবিবার ছিল এই সেট পরীক্ষার দিন। এই পরীক্ষা নিয়ে থাকেন পশ্চিমবঙ্গ কলেজ সার্ভিস কমিশন। কলেজের মধ্যেও একটি ঘরে চারজন পরীক্ষার্থী টুকলি করছিল। খবর পেয়ে কলেজের (Murshidabad) এক বাংলার অধ্যাপক সঞ্জয় মণ্ডল সেই ঘরে ঢুকে টুকলি করার ভিডিও করেন। সেই সঙ্গে তিনি চুরি করে পাশ করানোর কথা বলে অভিযোগ করে ফেসবুকে লাইভ করেন। এরপর মুহূর্তেই সেই লাইভ ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়।

    সঞ্জয় বাবুর অভিযোগ কী?

    কলেজের (Murshidabad) অধ্যাপক সঞ্জয় মণ্ডল বলেন, “সাধারণ ভাবে সেট পরীক্ষা শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কলেজের এক ক্যান্টিনে বসে চারজন পরীক্ষা দিচ্ছিল। খবর জানতেই আমরা অনেকে ঘরে ঢুকে দেখি টুকলি চলছে। সঙ্গে সঙ্গে চোরেরা পালিয়ে যেতে চেষ্টা করে। সম্পূর্ণ চুরির কাজ কলেজের অধ্যক্ষের সামনেই ঘটছিল। তিনি মোটা অঙ্কের টাকা খেয়ে এই অনৈতিক কাজ করেছেন। তবে এই ঘটনা প্রথম নয়। বছর বছর সেট পরীক্ষায় এই ভাবেই টাকার বিনিময়ে পাশ করানো হয়। চোখের সামনে এতও বড় দুর্নীতি দেখে আমি আর চুপ থাকতে পারলাম না। ফেসবুক লাইভ করে সকলের কাছে দুর্নীতি কথা রাখলাম।”

    কলজের অধ্যক্ষের বক্তব্য

    সেট পরীক্ষায় টুকলি নিয়ে কলজের (Murshidabad) অধ্যক্ষ শিবাশিস বলেন, “বাংলার ওই অধ্যাপক নিজে পরীক্ষার নিয়ম ভেঙেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আমরা আইন আনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

    কলেজ পরিচালন সমিতির বক্তব্য

    টুকলির বিষয়ে কলজের (Murshidabad) পরিচালন সমিতির পক্ষ থেকে বক্তব্য দিয়ে জানানো হয় পরীক্ষায় এই রকম দুর্নীতি কাম্য নয়। পরিচালন সমিতির সভাপতি সৌমেন পাণ্ডে বলেন, “ফেসবুকে লাইভ দেখেছি। অধ্যাপকের কাছ থেকেও অভিযোগ পেয়েছি। গোটা ঘটনাকে খতিয়ে দেখা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ragging in College: ব়্যাগিংয়ের শিকার! অন্ধ্রপ্রদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলার ছাত্র সৌরদীপের রহস্যমৃত্যু

    Ragging in College: ব়্যাগিংয়ের শিকার! অন্ধ্রপ্রদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলার ছাত্র সৌরদীপের রহস্যমৃত্যু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) বাংলা বিভাগের ছাত্রের মৃত্যুর খবর সামনে আসতেই ফের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার কথা জানা গেল। এবার অন্ধ্রপ্রদেশের বিশ্ববিদ্য়ালয়ে (AP University) রহস্যমৃত্যু হল এ রাজ্যের এক পড়ুয়ার। বিশ্ববিদ্য়ালয়ের তরফে দাবি করা হয়েছে, এগারো তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা (suicide) করেছেন ওই ছাত্র। 

    র‍্যাগিং-এর অভিযোগ

    যাদবপুরের পড়ুয়ার মতোই সদ্য উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে একরাশ স্বপ্ন নিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়ার কে এল ইউনিভার্সিটিতে পড়তে গিয়েছিলেন সৌরদীপ চৌধুরী। স্বপ্নপূরণ তো হয়-ই-নি। মা-বাবা হস্টেলে রেখে আসার ৪ দিনের মাথায় বাড়িতে এসেছে ছেলের মৃত্যুসংবাদ। মৃতের বাবা জানিয়েছেন, ১৭ জুলাই, কম্পিউটার সায়েন্সে বিটেক করতে মেদিনীপুরের বাড়ি থেকে ছেলেকে অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়ার কে এল ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি করেন। ২০ জুলাই ফিরে আসেন তাঁরা। ছেলের সঙ্গে একাধিকবার কথা হওয়ার সময়, সে ভালই আছে বলে জানিয়েছিল। সূত্রের খবর, ২৪ জুলাই সৌরদীপের বাবা সুদীপ চৌধুরীর কাছে আসে ফোন। জানানো হয় ছেলের মৃত্যুর খবর। বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মধ্যে থাকা হস্টেলের ১১ তলা থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে সৌরদীপের। খবর পাওয়া মাত্রই অন্ধ্রপ্রদেশের উদ্দেশে পাড়ি দেয় তাঁর পরিবারের লোকজন। বাংলায় নিয়ে আসা হয় দেহ। ছেলের আকস্মিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নামে পরিবারে।

    আরও পড়ুন: ‘‘মমতা নয়, স্বপ্নদীপের মৃত্যুর তদন্ত হোক কোর্টের নির্দেশে’’, মৃত পড়ুয়ার বাড়িতে দাবি শুভেন্দুর

    শাস্তির দাবি পরিবারের

    ছেলের মৃত্যুর কারণ র‍্যাগিং-বলেই মনে করছে সৌরদীপের পরিবার। খুন, আত্মহত্যা নাকি দুর্ঘটনা জানার জন্য সিবিআই তদন্তের দাবিতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন মৃতের বাবা। মৃত সৌরদীপের বাবার দাবি, ২৪ জুলাই অর্থাৎ ঘটনার দিন, সকাল ৬টা ও দুপুর দেড়টা নাগাদ ছেলের সঙ্গে কথা হয়। এরপর, দুপুর ৩টে ২৭-এ ছেলের মোবাইল থেকে আসা এসএমএস-এ লেখা ছিল ‘টাটা’। পরের এসএমএস ঢোকে ৩টে ৪১ মিনিটে। যেখানে লেখা ছিল- ভাল থাকবে তোমরা। তখন মেসেজটি দেখেননি তিনি। ৭ মিনিটের মাথায় অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে- ১১ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে সুইসাইড করেছে আপনাদের ছেলে। প্রসঙ্গত, চলতি বছর মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে সৌরদীপ। পেয়েছিল ৭৫ শতাংশ নম্বর। তারপরই অন্ধপ্রদেশের কে এল বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হয় বাংলার ছেলে। তারপরই এই ঘটনা। ছেলের মৃত্যুর বিচার পেতে শনিবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন সৌরদীপের বাবা।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal: রাজ্যপাল নিযুক্ত অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যদের বেতন ও ভাতা বন্ধের নির্দেশ রাজ্যের

    West Bengal: রাজ্যপাল নিযুক্ত অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যদের বেতন ও ভাতা বন্ধের নির্দেশ রাজ্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত ফের চরমে উঠল। যে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল, তাঁদের বেতন ও আর্থিক সুবিধা বন্ধ করল রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকার (West Bengal) ও রাজভবনের দ্বন্দ্বের মধ্যে সমস্যায় উপাচার্যেরা। রাজ্যপাল নিযুক্ত উপাচার্যদের নিয়োগ বেআইনি বলেই গণ্য় করছে রাজ্য। 

    রাজ্যের দাবি নিয়োগ অবৈধ

    রাজ্য সরকারের দাবি, শিক্ষা দফতরের সঙ্গে আলোচনা না করেই একতরফাভাবে উপাচার্য নিয়োগ করেছেন আচার্য। শিক্ষা দফতরের আর্জি খারিজ করে আগেই রাজ্যের ৮টি বিশ্ববিদ্য়ালয়ে নতুন অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। রাজভবনের বিবৃতির পরেই ট্যুইট করে এই সিদ্ধান্তকে বেআইনি বলে আক্রমণ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। নবনিযুক্ত উপাচার্যদের নিয়োগ প্রত্যাখ্যানের আবেদনও করেন তিনি। রাজ্যপাল নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকায় সংঘাতের পথে চলে যায় রাজ্য। উচ্চশিক্ষা দফতর থেকে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারদের কাছে ইতিমধ্যে নির্দেশ পৌঁছেছে, ওই সব অস্থায়ী উপাচার্যের নিয়োগ বেআইনি। তাই তাঁরা বেতন ও ভাতা পাবেন না। আইনি পরামর্শ নেওয়ার পরই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এনিয়ে রাজভবনের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর আমেরিকা সফরের আগে মার্কিন রেস্তোরাঁয় চালু ‘মোদিজি থালি’

    যে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যদের মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছিল, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের জন্য কয়েকজন অধ্যাপককে ডেকে গত মাসে বৈঠক করেছিলেন রাজ্যপাল। সেই বৈঠকের অব্যবহিত পরই নিয়োগ করা হয় উপাচার্যদের। রাজ্যপাল নিজের পছন্দের অধ্যাপক অধ্যপিকাদের সেই সব বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য করেছিলেন বলে অভিযোগ করেছিল শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কেউ কেউ রাজ্যপালের নিয়োগ প্রত্যাখ্যান করলেও বেশিরভাগই তা গ্রহণ করেন। সোমবার সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলির রেজিস্ট্রারদের এ বিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, “শিক্ষা দফতরের মন্ত্রীর সঙ্গে কথা না বলে করা এই অস্থায়ী নিয়োগ আইন মেনে হয়নি।” আরও বলা হয়েছে, “এই উপাচার্যদের নিয়োগ বৈধ নয়। তাই তাঁরা পারিশ্রমিক ও ভাতা তুলতে পারবেন না। অন্যথায় কড়া পদক্ষেপ করা হবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share