Tag: Commonwealth

  • Commonwealth Meet: কমনওয়েলথ ওয়েটলিফটিং চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো জয় মেহকের, ব্রোঞ্জ লাভপ্রীতের

    Commonwealth Meet: কমনওয়েলথ ওয়েটলিফটিং চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো জয় মেহকের, ব্রোঞ্জ লাভপ্রীতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার কমনওয়েলথ (Commonwealth Meet) ওয়েটলিফটিং চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ দিনে ভারতের মেহক শর্মা ও লাভপ্রীত সিং যথাক্রমে রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন। বীর সাভারকর স্পোর্টস কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় মেহক শর্মা মহিলাদের +৮৬ কেজি বিভাগে মোট ২৫৩ কেজি (স্ন্যাচে ১১০ কেজি ও ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১৪৩ কেজি) উত্তোলন করে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন। এই বিভাগে সামোয়ার ইউনিয়ারা সিপাইয়া মোট ২৬১ কেজি (১১১ কেজি + ১৫০ কেজি) উত্তোলন করে স্বর্ণপদক জয় করেন। আর নাইজেরিয়ার মেরি তাইওয়ো ওসিজো ২৩১ কেজি উত্তোলন করে ব্রোঞ্জ জেতেন।

    মেহকের পারফরম্যান্স (Commonwealth Meet)

    মেহকের পারফরম্যান্স (Commonwealth Meet) ছিল প্রশংসনীয়। স্ন্যাচে তিনি প্রথমে ১০৩ কেজি, তারপর ১০৭ কেজি এবং তৃতীয় প্রচেষ্টায় ১১০ কেজি উত্তোলন করেন। ক্লিন অ্যান্ড জার্ক বিভাগে শুরু করেছিলেন ১৩০ কেজি দিয়ে, দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ১৩৭ কেজি এবং তৃতীয় প্রচেষ্টায় সফলভাবে ১৪৩ কেজি উত্তোলন করে রৌপ্য নিশ্চিত করেন (Commonwealth)।

    লাভপ্রীত সিংয়ের পারফরম্যান্স (Commonwealth Meet)

    পুরুষদের +১১০ কেজি বিভাগে, ভারতের লাভপ্রীত সিং মোট ৩৮০ কেজি (স্ন্যাচে ১৭৫ কেজি ও ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ২০৫ কেজি) উত্তোলন করে তৃতীয় স্থান দখল করেন। এই বিভাগে সামোয়ার সানেলে মাও ৪০১ কেজি (১৮১ কেজি + ২২০ কেজি) উত্তোলন করে স্বর্ণপদক জিতেছেন, আর নিউজিল্যান্ডের ডেভিড লিটি ৩৯৭ কেজি উত্তোলন করে রৌপ্য পান।

    ভারত চ্যাম্পিয়নশিপে মোট ১৩টি পদক অর্জন করেছে

    যুব পুরুষদের +৯৪ কেজি বিভাগে, ভারতের তুষার চৌধুরী দারুণ পারফরম্যান্স করে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন। তিনি মোট ২৮৫ কেজি (১২৫ কেজি + ১৬০ কেজি) উত্তোলন করেন, যা শ্রীলঙ্কার নেজিথা নেথসাহান-এর তুলনায় অনেক বেশি; নেথসাহান তুলেছিলেন মাত্র ১৯৭ কেজি (৯৭ কেজি + ১০০ কেজি)। ভারত চ্যাম্পিয়নশিপে মোট ১৩টি পদক অর্জন করেছে- ৩টি স্বর্ণ, ৭টি রৌপ্য, ৩টি ব্রোঞ্জ। প্রথম দিনেই ভারতের হয়ে টোকিও অলিম্পিক রৌপ্যজয়ী মীরাবাই চানু মহিলা ৪৮ কেজি বিভাগে স্বর্ণ জিতেছেন এবং ২০২৬ সালের কমনওয়েলথ গেমসের জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছেন। তাছাড়া, ঋষিকান্ত সিং (৬০ কেজি), এন. অজিথ (৭১ কেজি) এবং ভি. অজয় বাবু (৭৯ কেজি)-ও গ্লাসগো ২০২৬ সিডব্লিউজি-এর জন্য স্থান নিশ্চিত করেছেন।

    অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ফলাফল (Commonwealth Meet)

    সিনিয়র পুরুষদের ১১০ কেজি বিভাগ:

    ফিজির তানিলা তুইসুভা রেইনোগি – ৩৬৫ কেজি (১৬৫ কেজি + ২০০ কেজি)

    সামোয়ার জ্যাক ওপেলোগ – ৩৫৭ কেজি (১৫৭ কেজি + ২০০ কেজি)

    জ্যাকসন রবার্টস-ইয়ং – ৩৫৬ কেজি (১৫০ কেজি + ২০৬ কেজি)

    জুনিয়র পুরুষদের +১১০ কেজি বিভাগ:

    নিউজিল্যান্ডের ইসিস শুস্টার – ৩৩৮ কেজি (১৫৫ কেজি + ১৮৩ কেজি)

    মালয়েশিয়ার মুহাম্মদ ফারিস কামারুল – ৩১৫ কেজি (১৩৫ কেজি + ১৮০ কেজি)

    জুনিয়র মহিলা +৮৬ কেজি বিভাগ:

    মালয়েশিয়ার সিটি আকিলাহ ফারহানা – ২২৭ কেজি (১০৭ কেজি + ১২০ কেজি)

    কানাডার অ্যাঞ্জেল বিলেন – ২২৫ কেজি (৯৮ কেজি + ১২৭ কেজি)

    নিউজিল্যান্ডের আনিকা ফালাসিয়া – ২১৭ কেজি (১০০ কেজি + ১১৭ কেজি)

    যুব মহিলা +৭৭ কেজি বিভাগ:

    নিউজিল্যান্ডের আনিকা ফালাসিয়া – ২১৭ কেজি (১০০ কেজি + ১১৭ কেজি)

    শ্রীলঙ্কার সেওয়ান্দি সাস – ১৩৫ কেজি (৬০ কেজি + ৭৫ কেজি)

  • Commonwealth Weightlifting Championship: কমনওয়েলথ ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপে বিশ্বরেকর্ড বাংলার মেয়ে কোয়েলের, সোনা অনিকেরও

    Commonwealth Weightlifting Championship: কমনওয়েলথ ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপে বিশ্বরেকর্ড বাংলার মেয়ে কোয়েলের, সোনা অনিকেরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারোত্তোলনে কমনওয়েলথ ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপে (Commonwealth Weightlifting Championship) দেশকে জোড়া সোনা এনে দিলেন দুই বঙ্গ সন্তান। মেয়েদের ৫৩ কেজি বিভাগে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন বাংলার মেয়ে ১৭ বছরের কোয়েল বর। ছেলেদের যুব ৬৫ কেজি বিভাগে মোট ২৩৮ কেজি ভারোত্তোলন করে সোনা জিতলেন অনিক মোদি। সার্বিকভাবে কমনওয়েলথ ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপে ভালোই পারফর্ম করছেন ভারতীয়রা। এই প্রতিযোগিতা দিয়েই ভারোত্তোলন সার্কিটে কামব্যাক করেছেন মীরাবাঈ চানু। আর কামব্যাক ম্যাচেই মহিলাদের ৪৮ কেজি বিভাগে ক্লিন অ্যান্ড জার্কে মোট ১৯৩ কেজি (৮৪+১০৯ কেজি) ওজন তুলে শীর্ষ স্থান অর্জন করেছেন তিনি।

    রেকর্ডর পর রেকর্ড

    চলতি বছর গুজরাটে ভারোত্তোলনের কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়নশিপ চলছে। এখানেই তিনটি বিশ্বরেকর্ড করেছে হাওড়ার ১৭ বছরের মেয়ে কোয়েল বর। মঙ্গলবার ভারোত্তোলনের কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়নশিপে বিশ্বরেকর্ডের হ‍্যাটট্রিক করেন বঙ্গের কোয়েল। মোট ১৯২ কেজি ওজন তুলে যুব ভারোত্তোলনে বিশ্বরেকর্ড করেন কোয়েল। সেই সঙ্গে জিতে নেন সোনাও। যুব ভারোত্তোলনে ৫৩ কেজি বিভাগে আগের বিশ্বরেকর্ড ছিল ১৮৮ কেজি। কোয়েল সহজেই তা ভেঙে দেন। ক্লিন অ‍্যান্ড জার্ক বিভাগে ১০৭ কেজি ওজন তোলেন কোয়েল। এই বিভাগে বিশ্বরেকর্ড ছিল ১০৫ কেজি। স্ন্যাচে ৮৫ কেজি ওজন তুলে বিশ্বরেকর্ড স্পর্শ করেন কোয়েল।

    বাবাই অনুপ্রেরণা

    হাওড়ায় মুরগির মাংস বিক্রেতার মেয়ে কোয়েল ইউথ ছাড়াও জুনিয়র বিভাগেও সোনা জিতেছে। রেকর্ডের হ‍্যাটট্রিক, জোড়া সোনা। তার পরেও নির্বিকার কোয়ল বলে, “বিশ্বরেকর্ড করাই আমার লক্ষ‍্য ছিল। অনুশীলনের সময়ে ১০৭-১০৮ কেজি ওজন আমি নিয়মিত তুলেছি। ফলে, বিশ্বরেকর্ডের কাছাকাছি ছিলামই। রেকর্ড হতই। আমি ১০৯ কেজি তুলতে পারতাম। কিন্তু অল্পের জন্য পারলাম না।” কী ভাবে এই সাফল্য এল তা বলতে গিয়ে কোয়ল বলে, “বাবাকে দেখে ২০১৮ সালে ভারোত্তোলন শুরু করি। বাবা নিয়মিত জিমে যেত। বিজয় স্যারের (বিজয় শর্মা, কোয়েলর প্রশিক্ষক) কাছে প্রশিক্ষণ নিয়ে গত দু’বছরে আমার পারফরম্যান্সে অনেক উন্নতি হয়েছে। আগে সব মিলিয়ে ১৪৭ কেজি তুলতে পারতাম। এখন ১৯২ কেজি তুলছি।”

    কেন্দ্রের সহায়তায় অলিম্পিক্স গোল্ড কোয়েস্ট

    কথায় বলে,জহুরি জহর চেনেন। কোয়েলকে একঝলক দেখে জাতীয় দলের প্রধান কোচ বিজয় শর্মা বুঝে গিয়েছিলেন এই মেয়ে একদিন সোনা জিতবেন। লম্বা রেসের ঘোড়া তিনি। বাংলার মেয়েটিকে নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী চিন্তাভাবনা শুরু করে দেন বিজয় শর্মা। কোয়েলকে স্কাউট করেন তিনি। বিজয় বলেছেন, “কোয়েলকে দেখে আমার শারীরিক দিক থেকে শক্তিশালী বলেই মনে হয়েছিল। তাই অলিম্পিকের জন্য দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য নিয়ে তৈরি করছিলাম। অলিম্পিক্সের কথা মাথায় রেখে দীর্ঘকালীন লক্ষ‍্যে বেশ কয়েক জন খুদেকে নিয়ে কাজ করছিলাম। তখনই কোয়েল আমার নজরে পড়ে। প্রথমেই অন্য সব কিছু বাদ দিয়ে ওর টেকনিকের উপর জোর দিয়েছিলাম। বাচ্চাদের কী করে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া যায় তার জন্য অলিম্পিক্স গোল্ড কোয়েস্ট খুবই সাহায্য করছে।”

LinkedIn
Share