Tag: conflict

conflict

  • Birbhum: বৈঠকই সার! মঞ্চ থেকেই নামিয়ে দেওয়া হল তৃণমূল নেত্রীকে, কেষ্ট গড়ে ফের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    Birbhum: বৈঠকই সার! মঞ্চ থেকেই নামিয়ে দেওয়া হল তৃণমূল নেত্রীকে, কেষ্ট গড়ে ফের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল গরু পাচারকাণ্ডে জেলে রয়েছে। যত দিন যাচ্ছে বীরভূম জেলায় তৃণমূলের দ্বন্দ্ব বেড়েই চলেছে। কোন্দল থামাতে কয়েকদিন আগে ঘটা করে জেলা নেতৃত্বের উপস্থিতিতে বীরভূমের (Birbhum) খয়রাশোলে বৈঠক করা হয়েছিল। জেলা নেতৃত্বের আশা ছিল, বৈঠকে সমস্যার সমাধান হয়েছে। জোটবদ্ধভাবে সকলকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা নেতৃত্বের নির্দেশে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়। আর তাতেই তৃণমূলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এল।

    তৃণমূলের রাজ্য নেত্রীকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেওয়া হল (Birbhum)

    জেলা নেতৃত্বের নির্দেশে বীরভূমের (Birbhum) খয়রাশোলে তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়। মঞ্চে শতাব্দী রায়, বিকাশ রায়চৌধুরী, চন্দ্রনাথ সিনহা, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, কাজল শেখ সহ একাধিক জেলা নেতৃত্ব ছিলেন। সেই মঞ্চে ঠাঁই না পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন রাজ্য মহিলা সেলের সাধারণ সম্পাদক অসীমা ধীবর। মঞ্চ থেকে তাঁকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। জানা গিয়েছে, ব্লকের তৃণমূল নেতা উজ্জ্বল কাদেরি, খয়রাশোলের ব্লক সভাপতি কাঞ্চন অধিকারীর উদ্যোগেই এদিন জেলা তৃণমূলের এই বিজয়া সম্মিলনী হয় বলে জানা গিয়েছে। সেখানেই জেলার শীর্ষনেতৃত্ব ছিল। তৃণমূল সুপ্রিমো নিজে নির্দেশ দিয়েছে, এসব কোন্দল দলে বরদাস্ত করা হবে না। সেই নির্দেশই সার। কোনও কিছুই কাজেই এল না। জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে রাজ্য সেলের মহিলা সাধারণ সম্পাদক অসীমা ধীবর মঞ্চে বসেন।  মঞ্চে বসার সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নামিয়ে দেওয়া হয়। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কী বললেন বিক্ষুব্ধ রাজ্য নেত্রী?

    রাজ্য সেলের মহিলা সাধারণ সম্পাদক অসীমা ধীবর বলেন, কয়েকদিন আগে বৈঠক করে কোন্দল মেটানোর জন্য বলা হল। আমরা ভাবলাম, সব মিটে গিয়েছে। কিন্তু, আমার মতো রাজ্য নেত্রীকে প্রকাশ্যে মঞ্চ থেকে নামিয়ে অপমান করা হল। আমাকে অপমান করার অর্থ দলকে অপমান করা। এই ব্লকের যারা দায়িত্বে রয়েছে, তারা এসব করল। এটা মেনে নেওয়া যায় না।

    তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূলের বীরভূমের (Birbhum) জেলা নেতা বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, মন্ত্র একটাই তৃণমূল কংগ্রেস, নাম একটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে মতান্তর বা কোন্দলের কোনও জায়গাই নেই। এটা নিয়ে ভাবার কিছু নেই। অসীমা আমাদের পুরানো কর্মী, এখানকার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। কোনও কারণে হয়ত ভুল বুঝেছে, দেখে নেওয়া হচ্ছে।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপির দুবরাজপুর বিধানসভার বিধায়ক অনুপ সাহা বলেন, কাটমানি আর কোন্দল নিয়ে তৃণমূল দল গঠিত। তাই, বিজয়া সম্মিলনীতে অসীমা ধীবরকেই মঞ্চে উঠতে দিল না। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে তৃণমূল যে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করেছিল, সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও প্রকট হল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gram Panchayat: দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব! দলীয় নেতার উপর হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    Gram Panchayat: দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব! দলীয় নেতার উপর হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের অঞ্চল সহ- সভাপতির ওপর হামলার অভিযোগ উঠল দলেরই অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে। হামলায় মাথা ফাটল সহ- সভাপতির। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের গলসি-১ নং ব্লকের মানকর গ্রাম পঞ্চায়েত (Gram Panchayat) এলাকায়। গুরুতর জখম তৃণমূল নেতা স্বরূপ মণ্ডল মানকর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    কেন হামলা? (Gram Panchayat)

    জানা গিয়েছে, মানকর পঞ্চায়েতে (Gram Panchayat) ১৯টি আসনের মধ্যে – ১৮টি আসনে রয়েছে তৃণমূল ও একটি আসন রয়েছে বিজেপির। বোর্ড গঠনের দিন থেকে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে। দলের নির্দেশকে তোয়াক্কা না করে ভোটাভুটি হয় বোর্ড গঠনে। তাতে পঞ্চায়েত উপপ্রধান হন দলের অঞ্চল সভাপতি তন্ময় ঘোষ। তারপর পঞ্চায়েতের কাজ ও সুযোগ-সুবিধা প্রদানে দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব আরও প্রকাশ্যে চলে আসে। গত অক্টোবর মাসে অঞ্চল সহ- সভাপতি ও তাঁর স্ত্রী তথা পঞ্চায়েত সদস্য মিলু মালিক মণ্ডল দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হন। এমনকী, বিষয়টি তিনি স্থানীয় গলসি-১ নং বিডিওর কাছে জানান। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই চাপা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। এরপরই দোকান খোলার সময় অঞ্চল সভাপতি স্বরূপ মণ্ডলের ওপর হামলা করেন বলে অভিযোগ। আক্রান্ত তৃণমূল নেতা স্বরূপ মণ্ডল বলেন,’পঞ্চায়েতে তৃণমূলের ১৮ সদস্য থাকলেও ৭ জন সদস্যকে কোনওরকম গুরুত্ব দেওয়া হয় না। পঞ্চায়েতের কোনও কাজকর্মে, ছাগল বিলি, ত্রিপল বিলি-সহ সুবিধা প্রদানে কোনওরকম জানানো হয় না। বৈমাতৃসুলভ আচরণ করা হয়। তাই বিষয়টি বিডিওর কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। এবং সকলকে সঙ্গে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে পঞ্চায়েত কাজ করার কথা বলা হয়েছিল। এসব না করে আমার উপর হামলা করা হল।’

    হামলা নিয়ে অভিযুক্ত উপ প্রধান কী সাফাই দিলেন?

    যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূলের মানকর অঞ্চল সভাপতি তথা গ্রাম পঞ্চায়েতের (Gram Panchayat) উপপ্রধান তন্ময় ঘোষ। তিনি বলেন, সুযোগ-সুবিধা সমস্ত গ্রাম সংসদে সমানভাবে দেওয়া হয়। তার বাড়তি যদি কেউ চায়, সেটা সম্ভব নয়। পঞ্চায়েতে কোনওরকম দুর্নীতি নেই। প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিবাদের জেরে হামলার শিকার হয়েছে।

    হামলা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘড়ুই বলেন, ‘গোটা বিষয়টি সন্দেহজনক। এখন বখরা নিয়ে নিজেদের মধ্যে মারপিট শুরু করেছে। আর তার মাশুল সাধারণ মানুষকে পরিষেবায় ভুগতে হয়।’ অন্যদিকে, গলসি-১ নং ব্লক সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘পুলিশে অভিযোগ হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি দেখছে। দলের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: গোসাবায় তৃণমূল নেতা খুনে গ্রেফতার ৪, গোষ্ঠী সংঘর্ষেই কি খুন?

    South 24 Parganas: গোসাবায় তৃণমূল নেতা খুনে গ্রেফতার ৪, গোষ্ঠী সংঘর্ষেই কি খুন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে খুনের ঘটনা যেন রাজ্যে থামছেই না। জয়নগরের পর ফের গোসাবা (South 24 Parganas)! তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে তৃণমূল নেতার খুনে গ্রেফতার হল ৪ জন। খুনের অভিযোগে গ্রেফতার ৪ জনেই তৃণমূলের কর্মী বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের মঙ্গলবার আদালতে তোলা হবে। গতকাল সোমবার রাস্তা সারাইয়ে ব্যবহার করা সামগ্রীর মান নিয়ে প্রশ্ন করলে এলাকার তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পুলিশ তদন্তে নেমে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে। এরপর ধৃতদের রাজনৈতিক পরিচয়ে স্পষ্ট হল। প্রত্যেকে এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত।

    অভিযুক্ত চার জনের পরিচয় কী (South 24 Parganas)?

    বারুইপুর (South 24 Parganas) পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূলের বুথ সভাপতি মোছাকুলি মোল্লাহত্যার পিছনে যে চারজন রয়েছে তারা হল, রউফ মোল্লা, ইমরান মোল্লা, ফারুক বৈদ্য এবং আনার জমাদার। হত্যার পিছনে তৃণমূল দলের দুষ্কৃতীরাই জড়িত ছিল বলে আগে থেকেই অনুমান করা হচ্ছিল। পুলিশ সূত্রে পরিচয়ে আরও স্পষ্ট হল এলাকায় ধৃতরা সকলেই তৃণমূলের হয়ে কাজ করতেন।

    কীভাবে ঘটেছিল খুনের ঘটনা?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বারুইপুর (South 24 Parganas) পুলিশের অধীনে পূর্ব রাধানগর এলাকায় তৃণমূলের বুথ সভাপতি ছিলেন মোছাকুলি মোল্লা। এলাকায় এক কিলোমিটার রাস্তা ঢালাইয়ের কাজ চলছিল। কিন্তু নিম্নমানের জিনিস ব্যবহারের কারণে, বচসা বাঁধে বাকিবুর মোল্লা নামক এক ব্যক্তির সঙ্গে। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, লোহার রড দিয়ে মোছাকুলিকে ব্যাপাক মারধর করা হয়। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

    উল্লেখ্য, রাজ্যে গত কয়েক মাসে একাধিক গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে। বিরোধীরা বার বার শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে জানিয়েছে জয়নগর বা বগটুইয়ের মতো জায়গাগুলিতে শাসক দলের নেতাদের মধ্যে গোষ্ঠীসংঘর্ষে উত্তাল হয়ে উঠেছিল। প্রত্যেক ক্ষেত্রে যারা খুন করছে তারা তৃণমূলের কর্মী এবং যাঁদের মৃত্যু হয়েছে তাঁরাও তৃণমূলের কর্মী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: বিজয়া সম্মেলনে তৃণমূলের গোষ্ঠদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে! বিস্ফোরক হুমায়ুন কবীর

    Murshidabad: বিজয়া সম্মেলনে তৃণমূলের গোষ্ঠদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে! বিস্ফোরক হুমায়ুন কবীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুরে তৃণমূল জেলা সভাপতির বিজয়া সম্মেলনে গরহাজির ছিলেন একাধিক দলের বিধায়ক। অসুস্থতার কথা বলে অনুপস্থিত ছিলেন জেলার সাংসদ। অবশ্য জেলার তৃণমূলের একাংশের নেতা-কর্মীদের বক্তব্য এই অনুপস্থিতি এক প্রকার অজুহাত ছিল। তবে এই প্রসঙ্গে বিস্ফোরক হলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তিনি তৃণমূলের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে বলেন, “ওঁকে জেলা সভাপতি বলে মনেই করিনা।” এই ঘটনায় মুর্শিদাবাদে ফের একবার গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এলো।

    প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল (Murshidabad)

    তৃণমূল দলের কেন্দ্রীয় স্তর থেকে স্পষ্ট নির্দেশ ছিল দলের প্রত্যেক ব্লক স্তর পর্যন্ত দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিজায় সম্মেলন করতে হবে। বিধায়ক, ব্লক সভাপতি, অঞ্চল সভাপতি, টাউন সভাপতি, ওয়ার্ডের সভাপতি এবং অঞ্চলের নেতাদের এই বিজায়র সম্মলনে যোগদান করতে হবে। এখনও পর্যন্ত মুর্শিদাবাদ জেলায় মোট ২৭ টি বিজয়া সম্মেলনের অনুষ্ঠান হয়। গতকাল শনিবার ছিল বহরমপুরে বিজায় সম্মেলন কিন্তু এই অনুষ্ঠানে তৃণমূল জেলা সভাপতি শাওনি রায়, রাজ্য সহ-সভাপতি মইনুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু বিজয়া সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না নওদার (Murshidabad) বিধায়ক শাহিনা মমতাজ এবং ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। ফলে জেলায় ফের একবার হুমায়ুন কবীর বনাম শাওনি রায়ের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে।

    কী বললেন হুমায়ুন?

    বিজায় সম্মলনে উপস্থিত না থাকার কারণ হিসাবে তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন, জেলার (Murshidabad) সভাপতি শাওনি রায়ের বিরুদ্ধে বলেন, “জেলা সভাপতির সঙ্গে আমার সম্পর্ক একদম ভালো নয়। তাই আমি যাইনি। জেলা সভাপতিকে পরিবর্তন করার বিষয়ে দলকে জানিয়েছি। দল নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেবে। তবে ওঁকে আমি জেলার সভাপতি বলে মানেই করিনা”

    জেলা সভাপতির বক্তব্য

    অপর দিকে মুর্শিদাবাদের তৃণমূল জেলা সভাপতি দলের কোন্দলকে অস্বীকার করে শাওনি রায় বলেন, “গত নির্বাচনগুলি আমরা একসঙ্গে নির্বাচনে লড়াই করছি। দলের সাফল্যের মূলে অভ্যন্তরীণ সম্পর্ক বেশ ভালো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের ,  এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! ঘেরাও অঞ্চল সভাপতি, পঞ্চায়েত সদস্যদের তীব্র বিক্ষোভ  

    Hooghly: ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! ঘেরাও অঞ্চল সভাপতি, পঞ্চায়েত সদস্যদের তীব্র বিক্ষোভ  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত অফিসে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান ও অঞ্চল সভাপতিকে ঘেরাও করে তুমুল বিক্ষোভ করল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যরা। ঘটনা ঘটেছে আরামবাগের গোঘাট এলাকায় (Hooghly)। জানা গেছে, পঞ্চায়েত পরিষেবা পেতে অনুমতি লাগবে স্থানীয় তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি ও তাঁর অনুগামীদের। আর যদি তা না হয়, তাহলে কাজ হবে না! ঠিক এই অভিযোগ খোদ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের। রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের সময় পর্ব থেকেই শাসক দলের অন্দরে কোন্দলের কথা বার বার কথা উঠে এসেছে। সরকারি পরিষেবা পেতে গেলে তৃণমূলের নেতাদেরকেও কাটমানি দেওয়ার কথায় সরব হতে দেখা গেছে। এমনকি বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ককে বলতে শোনা গিয়েছিল, এই জেলার তৃণমূল নেতারা টাকা নিয়ে পঞ্চায়েতের টিকিট বিক্রি করেছিলেন! এবার পঞ্চায়েত পরিষেবা পেতে তৃণমূলের কর্মীরাই অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বিক্ষোভ করলেন। আর তাকে সামাল দিতে নামতে হয়েছে পুলিশকে। তৃণমূলের কর্মী ও সদস্যদের পাশাপাশি এই বিক্ষোভে সামিল হন এলাকার সাধারণ মানুষও।

    পঞ্চায়েত সদস্যদের অভিযোগ (Hooghly)

    শুক্রবার তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোঘাটের (Hooghly) কুমারগঞ্জ পঞ্চায়েতে। ওই পঞ্চায়েতের সদস্য ও অন্যান্য তৃণমূলের কর্মীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েতের প্রধান আল্পনা রায় কোনও কিছুই ঠিক মতো পরিষেবা দেন না। পরিষেবা দেওয়ার আগে স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি ও তার অনুগামীদের অনুমতি লাগবে বলে জানান। এমনকি অভিযোগ ওঠে, সব সময় পঞ্চায়েত অফিস দখল করে বসে থাকেন স্থানীয় তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সদরু দোজ্জা। পরিষেবা পেতে গেলে টাকা চাওয়া হয় সাধারণ মানুষের কাছে। আর সেই অভিযোগ তুলে, আজ দুপুরে পঞ্চায়েত অফিসের সামনে জমায়েত হন, বিক্ষুব্ধ তৃণমুল কর্মী ও সদস্যরা। তার পরেই পঞ্চায়েত সদস্যদের গোষ্ঠী, প্রধান ও অঞ্চল সভাপতিকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান।

    প্রধানের এবং অঞ্চল সভাপতির বক্তব্য

    ঘটনায় এলাকার (Hooghly) পঞ্চায়েত প্রধান আল্পনা রায়, তাঁর বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “আমাকেই অপর গোষ্ঠী পঞ্চায়েতে ঢুকতে হেনস্থা করছে”। অন্যদিকে এই ঘটনায় তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সদরু দোজ্জা তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে মিথ্যা বলেছেন। তিনি বলেন, “বহিরাগত বেশ কিছু লোক ইচ্ছাকৃত ভাবে গোলমাল করার চেষ্টা করেছিল। তবে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গোঘাট থানার পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: আইপ্যাকের দেওয়া প্রধানকে অপছন্দ, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে পঞ্চায়েতে ঝুললো তালা

    Paschim Medinipur: আইপ্যাকের দেওয়া প্রধানকে অপছন্দ, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে পঞ্চায়েতে ঝুললো তালা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: না পসন্দ আইপ্যাকের খামবন্দি প্রধানের নাম। সরাসরি গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ের মূল গেটেই তালা ঝোলালো তৃণমূলের যুব সমর্থকরা। ঘটনাকে ঘিরে পশ্চিম মেদিনীপুরে (Paschim Medinipur) যুব-মাদার তৃণমূলের মধ্যে তীব্র শোরগোল। তৃণমূলের অঞ্চল যুব নেতৃত্বের দাবি, ভোটাভুটির মধ্য দিয়ে নির্বাচিত করতে হবে প্রধানকে। অন্যদিকে ব্লক সভাপতির সাফ জবাব, দলের নির্দেশ মানতেই হবে, না হলে দল ছাড়তে হবে।

    কোথায় ঘটল ঘটনা (Paschim Medinipur)?

    ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) দাসপুর ১ ব্লকের রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই দেখা যায়, গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ের মূল গেটে তালার উপর চেন জড়িয়ে গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাত যত বাড়ে, তাকে ঘিরেই তোলপাড় এলাকা। স্থানীয় তৃণমূলের রাজনগর এলাকার যুব নেতার দাবি, ভোটাভুটিতে নির্বাচিত হোক এবারের প্রধান। অন্যদিকে দাসপুর ১ ব্লক তৃণমূলের বর্তমান সভাপতি বলেন, দলের যে নির্দেশ তা মানতেই হবে। দল ভোটাভুটিকে অনুমোদন করে না।

    তৃণমূল যুব সম্পাদকের বক্তব্য

    এলাকার (Paschim Medinipur) যুব সম্পাদক প্রবীর মাল বলেন, অঞ্চলের কোর কমিটি আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করেনি। আইপ্যাকের সঙ্গে আঁতাত করে এক তরফা নিজেদের কাছের মানুষকে নিয়ে বোর্ড গঠন করেছেন ব্লক সভাপতি। তাই আমরা এই চাপিয়ে দেওয়া প্রধান অর্চনা সামন্তকে মানছি না। তিনি আরও অভিযোগ করেন, আমাদের না জানিয়ে রীতিমতো লুকিয়ে এই রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করা হয়েছে। দলে গণতন্ত্র নেই।

    তৃণমূলের ব্লক সভাপতির বক্তব্য

    ব্লক সভাপতি (Paschim Medinipur) সুকুমার পাত্র বলেন, সকলের সিদ্ধান্ত পছন্দ নাও হতে পারে। দাসপুর, চন্দ্রকোনাতে ভোটাভুটিতে নির্বাচন হলেও রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে তা হবে না। কারণ দলের স্পষ্ট কোনও নির্দেশ নেই। দল যেভাবে বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত নিতে বলবে, আমরাও ঠিক একই ভাবে সিদ্ধান্ত নেবো। যেহেতু এই পঞ্চায়েতে মহিলা সংরক্ষণ রয়েছে, তাই বোর্ডের প্রধান মহিলাকে করা হয়েছে। আর যাঁরা দলের সিদ্ধান্তকে অমান্য করে ভোটাভুটি বা নাম প্রস্তাব করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে দল ব্যাবস্থা গ্রহণ করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: তৃণমূল জেলা সভাপতির কুশপুতুল পুড়িয়ে ফের গোষ্ঠী কোন্দলে উত্তাল চোপড়া

    Uttar Dinajpur: তৃণমূল জেলা সভাপতির কুশপুতুল পুড়িয়ে ফের গোষ্ঠী কোন্দলে উত্তাল চোপড়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরে (Uttar Dinajpur) তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল আরও প্রকাশ্যে। এবার তৃণমূল জেলা সভাপতির পদত্যাগের দাবিতে কুশপুতুল জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল করলেন তৃণমূলেরই একাংশ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যেন পিছু ছাড়ছে না তৃণমূলের। জেলায় তীব্র উত্তেজনা এই গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কারণে।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Uttar Dinajpur)?

    উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনার দিন চোপড়ার (Uttar Dinajpur) বিধায়ক হামিদুল রহমানকে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর দ্বারা মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন চোপড়া ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব। ঘটনার পরদিন থেকেই জেলা সভাপতি ও ঘটনায় যুক্ত পুলিশ অফিসারদের শাস্তির দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন চোপড়া ব্লক তৃণমূল কর্মীরা। জেলা সভাপতির ডাকা সমস্ত কর্মসূচি বয়কটের সিদ্ধান্তও গ্রহণ করেন এই হামিদুল গোষ্ঠী। আর তারই অঙ্গ হিসাবে বুধবার বিকেলে চোপড়া অঞ্চল তৃণমূল কমিটির পক্ষ থেকে ২১ শে জুলাই শহিদ দিবস উপলক্ষে ‘ধর্মতলা চলো’ কর্মসূচিকে সফল করতে একটি মিছিল বের করা হয়। সেই মিছিল থেকে পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের পদত্যাগের দাবি তোলা হয়। সেই সঙ্গে জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের কুশপুতুল দাহ করা হয়। শুধু জেলা সভাপতিই নয়, মন্ত্রী গোলাম রব্বানীর বিরুদ্ধেও সোচ্চার হন বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের এই নেতাকর্মীরা।

    বিক্ষুব্ধ তৃণমূল গোষ্ঠীর বক্তব্য

    তৃণমূলের হামিদুল গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে চোপড়ার (Uttar Dinajpur) তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল কমিটির কনভেনার অসীম মুখার্জি বলেন, অবিলম্বে জেলা সভাপতিকে অপসারণ করা হোক। তা না হলে শহিদ দিবসের পর কলকাতা থেকে ফিরে এসে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব আমরা। অবিলম্বে শাস্তি না দিলে, ২০ হাজার চা বাগানের শ্রমিকদের নিয়ে ইসলামপুর পুলিশ সুপারের দফতর এবং জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের বাড়ি ঘেরাও করব। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমাদের দাবি না মানলে আগামী দিনে আমরা তৃণমূলের সব কার্যক্রম বয়কট করব। চোপড়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির আরেক সদস্য মহঃ আনিফ বলেন, উত্তর দিনাজপুর জুড়ে যেভাবে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে, তাকে থামানোর যোগ্যতা নেই জেলা সভাপতি কানাইলালবাবুর। তাই তাঁর পদত্যাগ চাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ

  • Howrah: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বিজয় মিছিলে হামলা! আতঙ্কিত এলাকাবাসী

    Howrah: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বিজয় মিছিলে হামলা! আতঙ্কিত এলাকাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের ফলাফলের পরেই রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাসের আবহ। তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয় মিছিলে হামলাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল হাওড়ার (Howrah) ডোমজুড়ের কলোড়া দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের লস্কর পাড়ায়। তৃণমূলের বিজয়ী প্রার্থীর স্বামীর বক্তব্য, মিছিলে ইট-বোতল যারা ছুড়ে হামলা করেছে, তারাও তৃণমূল। এলাকায় তীব্র উত্তেজনা।

    কী ঘটেছে ডোমজুড়ে (Howrah)?

    বুধবার সন্ধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা স্থানীয় সদ্য বিজয়ী পঞ্চায়েত সদস্যের নেতৃত্বে বিজয় মিছিল বের করেন। পাড়ার (Howrah) মধ্যে দিয়ে যখন মিছিল এগোতে থাকে, সেই সময় বেশ কিছু দুষ্কৃতী মিছিলকে লক্ষ্য করে বড় বড় ইট এবং বোতল ছোড়ে বলে অভিযোগ। এমনকী রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি অ্যাম্বুলেন্স এবং একটি বাইকেও ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ডোমজুড় থানার পুলিশ।

    তৃণমূলের প্রাক্তন উপপ্রধানের বক্তব্য

    স্থানীয় (Howrah) তৃণমূল পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান অভিযোগ করেন, সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ভোটের আগে থেকেই গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করছিল। গতকাল বিজয় মিছিলে যেমন হামলা হয়, তেমনি মিছিলের পর সন্ধ্যায় তৃণমূল কর্মীরা যখন রাস্তার ধারে বসে চা খাচ্ছিলেন, সেই সময় সিপিএম কর্মীরা পরিকল্পনামাফিক গন্ডগোল সংগঠিত করে। এরপর ইট দিয়ে আঘাত করে বেশ কয়েক জনকে। এরপরে বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী আহত হন। তিনি আরও বলেন, দোষীদের বিরুদ্ধে যাতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তার জন্য পুলিশের দ্বারস্থ হবে তৃণমূল।

    বিজয়ী তৃণমূল প্রার্থীর স্বামীর বক্তব্য

    স্থানীয় (Howrah) তৃণমূল পঞ্চায়েতের বিজয়ী সদস্যের স্বামী অবশ্য স্বীকার করেছেন, মিছিলে হামলা করে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরাই। এর পিছনে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কাজ করছে। ঘটনাস্থলে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। চাপা উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এলাকায়।

    সিপিএমের বক্তব্য

    এদিকে সিপিএমের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী (Howrah) তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, আমি জিতলেও জোর করে তৃণমূল হারিয়ে দেওয়া দিয়েছে। চোরেরা ভোট চুরি করেছে। তিনি আরও বলেন, সিপিএম কেন হামলা করবে! এই ঘটনার পেছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: কর্মীকে মারধর করল প্রার্থী, মুরারইতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তীব্র

    Birbhum: কর্মীকে মারধর করল প্রার্থী, মুরারইতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তীব্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী ও তাঁর স্ত্রীকে মারধর করার অভিযোগ উঠল দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে। তৃণমূল প্রার্থীর স্ত্রী আবার নির্দল প্রার্থী হয়েছেন পাশের বুথে। ঘটনায় গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর স্ত্রীকে মুরারই (Birbhum) গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। আক্রান্ত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর নাম রমজান আলি ও স্ত্রীর নাম রুকসানা খাতুন। তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।  

    কোথায় ঘটনা ঘটল (Birbhum)?

    ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) মুরারই থানার পানিয়ারা গ্রামে। অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর নাম রেজাউল দফাদার। তিনি এবার মুরারই গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫৭ নম্বর পানিয়ারা গ্রামের প্রার্থী হয়েছেন। তাঁর স্ত্রী শিল্পী বেগম আবার পাশের ৫৬ নম্বর বুথে নির্দল প্রার্থী হয়ে ভোটে লড়ছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে লড়াই করলেও রেজাউল দফাদার নিজের স্ত্রীকে জয়ী করতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নির্দল গোঁজ প্রার্থী দিয়েছেন। এই নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা জমা দেওয়ার পর থেকেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তি চলছিল। অপর দিকে তৃণমূল কর্মী রমজান আলি ৫৬ নম্বর বুথে তৃণমূলের হয়ে ভোট করাতে গিয়েছিলেন। তৃণমূলের হয়ে ভোট করাতেই রেজাউল দফাদারের রোষানলে পড়েন। দুই পক্ষের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি হয়। মূল অভিযোগ, রেজাউল দফাদার তাঁর লোকজনদের নিয়ে এসে রমজান আলির বাড়িতে চড়াও হয়ে মারধর শুরু করে। মারধরে আহত হয় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী রমজান আলি ও তাঁর স্ত্রী রুকসানা খাতুন। ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে মুরারই থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

    আক্রান্ত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর বক্তব্য

    আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী রমজান আলি (Birbhum) বলেন, তৃণমূলের ভোট করাতে গিয়েছিলেন বলে নির্দল প্রার্থীর দুষ্কৃতীরা বাড়িতে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর করে। যদিও দুষ্কৃতীরা নির্দল প্রার্থীর স্বামীর প্রার্থীর অনুগামী। রামজান আলি আরও বলেন, বুথে পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদের হয়ে ভোট করাতে গিয়েছিলাম বলে ব্যাপক মারধর করা হয়। সেই সঙ্গে তাঁর স্ত্রীকেও খুব মারধর করে এবং কাপড়জামা ছিড়ে দিয়ে ধর্ষণ করারও চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করেন। হামলার সময় দুষ্কৃতীদের হাতে বন্দুক এবং বোমা ছিল বলে অভিযোগ করেন।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: তৃণমূলের জেলা সম্পাদক এবং ব্লক সভাপতির কোন্দলে ফের অস্বস্তিতে শাসক দল

    Purba Bardhaman: তৃণমূলের জেলা সম্পাদক এবং ব্লক সভাপতির কোন্দলে ফের অস্বস্তিতে শাসক দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের মুখে শাসক দলে ভাঙন পূর্ব বর্ধমানে (Purba Bardhaman)। ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে দল ছাড়লেন জেলা তৃণমূলের সম্পাদক অভিজিৎ সোম সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল সমর্থক। মঙ্গলবার বিকালে অভিজিৎ সোম তাঁর দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন। ফলে নির্বাচনের আগে তৃণমূল ফের অস্বস্তিতে।

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা সম্পাদক (Purba Bardhaman)?

    বর্ধমান (Purba Bardhaman) ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কাকলি তা-এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিজিৎ সোম বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য তাঁদের সঙ্গে ব্লক সভাপতি কোনও আলোচনা করেননি। কীভাবে দেওয়াল লিখন হবে বা ভোটপ্রচার হবে, সব ব্যাপারেই আমরা অন্ধকারে আছি। ব্লক নেতৃত্বের পক্ষ থেকে পার্টির কর্মসূচি সম্বন্ধে আমাদের কিছুই জানানো হচ্ছে না। তাঁর আরও অভিযোগ, যে বাড়িতে আমরা দলীয় কার্যালয় খুলেছি, সেই বাড়ির মালিককে দলের অঞ্চল সভাপতি সহ বেশ কয়েকজন হুমকি দিচ্ছে বলে বাড়ির মালিক জানিয়েছেন। বাড়ির মালিককে পার্টি অফিস করার জন্য ঘর দিতে নিষেধ করা হয়েছে। সেসব কারণেই আমরা দলের পদ থেকে অব্যাহতি নিলাম। দলীয় কার্যালয়ে বিভিন্ন আসবাবপত্র সহ যা কিছু ছিল, সবই এলাকার বিভিন্ন সংস্থাকে দান করে দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, এখন থেকে তাঁরা শুধু নিছকই সাধারণ ভোটার হিসাবেই থাকবেন।

    তৃণমূলের ব্লক সভাপতির বক্তব্য

    এবিষয়ে ব্লক (Purba Bardhaman) সভাপতি কাকলি তা পাল্টা বলেন, অঞ্চল সভাপতির সঙ্গে অভিজিৎ সোম কোনও রকম যোগাযোগ রাখতেন না, আলাপ আলোচনা করতেন না। তিনি কেবল মাত্র শহর কেন্দ্রীক দল করেন। তাই তাঁর থাকা বা না থাকাতে দল পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না। তাঁকে দল আগেও সম্মান দিয়েছিল, এখনও তাঁকে দল পদ দিয়ে সম্মান দেয়। আমাদের দলে কোনও বিভাজন বা গোষ্ঠীকোন্দল নেই বলে তিনি সাফ জানান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share