Tag: conflict

conflict

  • Alipurduar: আলিপুরদুয়ারে বাড়ি বাড়ি জনসংযোগে বিজেপি, তৃণমূল ব্যস্ত কোন্দলেই

    Alipurduar: আলিপুরদুয়ারে বাড়ি বাড়ি জনসংযোগে বিজেপি, তৃণমূল ব্যস্ত কোন্দলেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) শাসক দল যখন প্রার্থী নিয়ে কোন্দল সামাল দিতে বেসামাল অবস্থায়, তখন গেরুয়া শিবিরের প্রার্থীরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগে ব্যস্ত থাকছেন। বড় বড় জনসভার উপর নজর না দিয়ে ছোট ছোট কর্মী-বৈঠক ও ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রার্থীদের হয়ে প্রচারেই জোর দিয়েছে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। জেলায় বিজেপি ভীষণ আত্মবিশ্বাসী বলে জানা গেছে।

    কেমন চলছে ভোটের প্রচার (Alipurduar)?

    নিজেদের খাস তালুকে (Alipurduar) ভোট প্রচারে বেশি হইচই না করে মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েই বাজিমাত করার ছক করেছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির জেলা সভাপতি ভূষণ মোদক বলেন, আগামী ৫ই জুলাই জেলায় কেন্দ্রীয়ভাবে একটি নির্বাচনী জনসভা করা হবে। সেখানে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব উপস্থিত থাকবেন। তবে কারা কারা সেই সভায় আসবেন, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে প্রার্থী ও কার্যকর্তারা জনসংযোগের উপরেই বেশি জোর দিয়েছেন। বাড়ি বাড়ি প্রচারে গিয়ে তাঁরা ভালো সাড়া পাচ্ছেন বলে দাবি করেন তিনি।

    তৃণমূলের দলীয় কোন্দল

    বিজেপি কয়েক মাস আগেই দলীয় প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করে রেখেছিল। সেই মতো ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই মনোনয়ন জমা করতে থাকেন বিজেপির প্রার্থীরা। অপর দিকে শাসক-শিবিরে আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar)  প্রার্থী নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তুমুল বিক্ষোভ হয়েছিল বলে জানা গেছে। ঘোষিত প্রার্থীদের বদলও করতে বাধ্য হয়েছে শাসক দল। কিন্তু তাতেও পুরোপুরি বিক্ষোভ তারা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। শাসক দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তির অনেক নেতাকর্মী শেষ পর্যন্ত টিকিট না পাওয়ায় নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন।

    বিজেপি ঘর গুছিয়ে নিয়েছে

    শাসকদলের প্রার্থীদের নিয়ে চাপা বিক্ষোভ থাকলেও গেরুয়া শিবিরের ছবিটা উল্টো বলেই মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহল। প্রার্থী নিয়ে তেমন দ্বন্দ্বের কথা নজরে আসেনি। গত লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) মানুষ একচেটিয়া ভাবে বিজেপির প্রার্থীদের ভোট দিয়েছেন। শাসক দল ধরাশায়ী হলেও পঞ্চায়েত ভোটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। যদিও গেরুয়া শিবির নিজেদের শক্ত ঘাঁটিকে আরও মজবুত করতে প্রার্থীদের নিয়ে সরাসরি জনসংযোগে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে বলে জানা গেছে। বিজেপির দাবি, পঞ্চায়েত ভোট যদি নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণ হয়, তাহলে বিজেপির প্রার্থীরা এবারেও ভালো ফল করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: “বিধায়কের বাড়িতে ঝাঁট দেয়, তাকেও টিকিট!” তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    Hooghly: “বিধায়কের বাড়িতে ঝাঁট দেয়, তাকেও টিকিট!” তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির (Hooghly) বলাগড় এখন বিখ্যাত। প্রাথমিক শিক্ষার নিয়োগ-দুর্নীতি কাণ্ডের মাথা শান্তনু-কুন্তলদের খাসতালুক এই বলাগড়। এবার বলাগড় শিরোনামে মূলত পঞ্চায়েতের টিকিট বণ্টনকে কেন্দ্র করে। প্রার্থী ঘোষণা হবার পর থেকে বেশ কিছু এলাকার মতো বলাগড়েও শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তীব্র আকার ধারণ করেছে। উঠে এসেছে টাকা দিয়ে প্রার্থী করার মতো গুরুতর অভিযোগ। প্রকাশ্যে কাদা ছোড়াছুড়িতে মেতে উঠেছেন স্থানীয় বিধায়ক ও ব্লক সভাপতি। একে অপরের নামে বিস্ফোরক সব অভিযোগ তুলেছেন। মূল দ্বন্দ্ব টাকা নিয়ে জেলখাটা দুষ্কৃতীদের কেন টিকিট দেওয়া হয়েছে!

    কেন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব?

    প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকে ক্ষোভ দেখা যাচ্ছিল বলাগড়ের (Hooghly) তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে। শনিবার বিকালে তার গণবিস্ফোরণ ঘটে। ওই দিন হুগলির বলাগড়ের জিরাটে একটি লজে দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক ডাকেন বলাগড় ব্লক তৃণমূল সভাপতি নবীন গাঙ্গুলি। আর সেখানেই ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূলের কর্মীরা। বলাগড় পঞ্চায়েত সমিতির আগের বারের বোর্ডের ছজন বিজয়ী কর্মাধ্যক্ষ বাদ পড়েছেন, একাধিক প্রধান, উপ-প্রধান এমনকী ব্লক সভাপতি, সহ-সভাপতিদেরও টিকিট দেওয়া হয়নি। আর এর পিছনে বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর বিশেষ হাত রয়েছে বলে মনে করেন তৃণমূল দলেরই কর্মী-সমর্থকরা।

    ব্লক সভাপতি গোষ্ঠীর বক্তব্য

    ব্লক (Hooghly) সভাপতি নবীন গাঙ্গুলি বলেন, যে কোনওদিন দল করেনি, এরকম, এমনকি বিজেপির লোককেও টিকিট দিয়েছেন বিধায়ক। এখন দল বলছে ভোট করতে হবে। কর্মীরা যারা সারা বছর কাজ করে, তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। দলকে সব জানিয়েছি। দেখি কী হয়। ব্লকের সাধারণ সম্পাদক সুজয় মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, টাকা নিয়ে টিকিট দেওয়া হয়েছে। বিধায়কের বাড়িতে ঝাঁট দেয়, তাকেও প্রার্থী করা হয়েছে। বিদায়ী বোর্ডের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ বাদল সরকার বলেন, প্রথম থেকে দল করছি। প্রতি বছরই টিকিট নিয়ে এই ধরনের গন্ডগোল হয়। বাইরে সিপিএমের সঙ্গে লড়াই করতে হয়, আর ভিতরে দলের টিকিট নিয়ে লড়াই করতে হয়। তবে এবারে পঞ্চায়েতে যেভাবে প্রার্থী করা হয়েছে, তাতে দলের কর্মীদের কথা শোনা হয়নি বলে জানান তিনি।

    বিধায়ক গোষ্ঠীর বক্তব্য

    এই বিষয়ে বলাগড়ের (Hooghly) বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী বলেন, ২৩৮ টা গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে ৯০ টা আমি নিয়েছি। যারা আমাকে জেতাতে সাহায্য করেছিল, তাদের দেওয়া হয়েছে। আমি একটাকাও নিইনি। টাকা নিয়ে টিকিট দিয়েছে ব্লক সভাপতি স্বয়ং। যাদের থেকে টাকা নিয়েছে ব্লক সভাপতি তাদের টিকিট দিতে পারছে না বলে এসব বলছেন। বিজেপিকে টিকিট ওরাই দিয়েছে। বিধায়ক আরও বলেন, সব কানে যাচ্ছে বিজেপির। মুচকি মুচকি হাসছে তারা।

    বিজেপির বক্তব্য

    এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিজেপির হুগলি (Hooghly) সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, যে দলের কোনও গণতন্ত্র নেই, যে দলের উদ্দেশ্য কেবলমাত্র টাকা কামানো, সেই দলের মিটিংয়ে বলাগড়ে যেটা হয়েছে, সেটাই স্বাভাবিক। আজ যারা টাকা দিয়েছে, তারা টিকিট পেয়েছে। আর যারা দেয়নি, তারা পায়নি। যার ফলেই ঝামেলা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Murshidabad: সিপিএম, সিপিআই  এবং কংগ্রেস কর্মীদের লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তৃণমূলের টিকিট?

    Murshidabad: সিপিএম, সিপিআই এবং কংগ্রেস কর্মীদের লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তৃণমূলের টিকিট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের টিকিট না পেয়ে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাই। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কান্দি থানার অন্তর্গত কুমারষণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাঙ্গাপাড়া মোড়ে রীতিমতো রাস্তায় নেমে, এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধের আন্দোলন করতে দেখা যায়। প্রতিবাদীদের একটাই দাবি, কেন তৃণমূল কর্মীদের টিকিট না দিয়ে সিপিএম, সিপিআই এবং কংগ্রেস কর্মীদের টিকিট দেওয়া হল।

    কী ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কান্দিতে

    কান্দির (Murshidabad) দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার যাঁদের মনোনয়ন করার কথা ছিল, সকালে হঠাৎ তাঁরা জানতে পারেন, নাম বাদ গিয়েছে। আর তার পরিবর্তে সিপিএম এবং কংগ্রেস কর্মীদের লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের টিকিট বিক্রি করেছেন কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার। সংবাদ মাধ্যমের কাছে এই অভিযোগ করেন কান্দি ব্লক মাদার তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদক হাবিবুর রহমান। তিনি আরও বলেন, এই এলাকায় বর্তমান বিধায়ক এবং তাঁর ভাই মিলে একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন। টিকিট না পেয়ে আরেক প্রতিবাদী তৃণমূল কর্মী বলেন, আমরা এই এলাকায় ২০০১ সাল থেকে তৃণমূল দল করি। অত্যাচার সহ্য করে, তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে, এই এলাকা থেকে সিপিএমকে উৎখাত করেছি। তিনি আরও বলেন, আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আমাদের নেতা বগবুল হোসেন। আজ পুরাতন তৃণমূল কর্মী হওয়ায় আমাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এই এলাকার তৃণমূল নেতা বগবুল হোসেনের অনুগামী হওয়ার জন্য আমাদের বাদ দেওয়া হয়েছে।

    কেন এই দ্বন্দ্ব?

    বগবুল হোসেন বলেন, আমার অনুগত কেউ নন, সবাই আমরা দলের অনুগত। কে বা কারা বিক্ষোভ করছেন, আমার জানা নেই। তবে সবাইকে বলব, দলের হাত শক্ত করুন। অপরদিকে পাশেই রয়েছে ভরতপুর (Murshidabad) বিধানসভা এবং বিধায়ক হলেন হুমায়ন কবীর। উল্লেখ্য, অঞ্চলে ভোটের আগেই প্রায় ৪১ জনকে নিয়ে একটি বিশেষ অঞ্চল কমিটি গঠন করেন বিধায়ক হুমায়ন কবীর। কিন্তু কান্দি তৃণমূল ব্লক সভাপতি বগবুল হোসেন এবং তাঁর অনুগামীদের কাউকেই কমিটিতে রাখা হয়নি। ফলে কীভাবে নির্বাচন হবে এবং কারা দলের হয়ে কাজ পাবেন, তাও স্পষ্ট হয় এই কিমিটিতে। বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট না পাওয়াটা দলের অন্দরে কোন্দলেরই ফল।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: গলসিতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, ভোজালির কোপে জখম পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী

    Purba Bardhaman: গলসিতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, ভোজালির কোপে জখম পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলীয় কর্মীর ভোজালির কোপে ক্ষতবিক্ষত হলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী। এমনটাই অভিযোগ তুলেছেন পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) গলসির পোতনা পুরসা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা মীর আজমিরার স্বামী মীর জাকির হোসেন। এই ঘটনায় গলসি ১ নম্বর ব্লকে আবারও প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    পূর্ব বর্ধমানে (Purba Bardhaman) কীভাবে আক্রান্ত হলেন?

    জখম মীর জাকির হোসেন জানিয়েছেন, শনিবার রাত সাড়ে দশটার সময় মীর কওসার মদ্যপ অবস্থায় তাঁর স্ত্রীকে গালিগালাজ করছিল। ওই সময় তিনি গালি দিতে নিষেধ করলে কওসার আচমকা একটি ভোজালি নিয়ে তাঁর বাঁ দিকের বগলের কাছে আঘাত করে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। স্থানীয়রা তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুরসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রথমে নিয়ে যান। তারপর সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকরা তাঁকে বর্ধমান (Purba Bardhaman) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। এই আক্রমণের বিরুদ্ধে তিনি দলের কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ জানাবেন বলে জানিয়েছেন।

    স্থানীয় তৃণমূল কর্মীর বক্তব্য

    এই হামলার প্রতিবাদে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী শেখ কমল বলেন, আমরা তৃণমূল করি, আমাদের নেতা হলেন জাকির হোসেন। অপর দিকে মীর কওসারের নেতা হলেন পার্থ মণ্ডল এবং জানার্দন চ্যাটার্জি। ওরা গলসি এক নম্বর ব্লকের তৃণমূলের ব্লক (Purba Bardhaman) সভাপতি গোষ্ঠীর লোক। তিনি আরও বলেন, মূলত পঞ্চায়েত ভোটের টিকিট কে পাবে, এই নিয়ে মদ্যপ অবস্থায় কওসার প্রথমে পঞ্চায়েত সদস্যাকে গালিগালাজ করে। এরপর বাধা দিলে ভোজালি নিয়ে প্রাণঘাতী হামলা চালায় জাকির হোসেনের উপরে। তিনি আরও বলেন এই কওসারের কঠোর শাস্তি চাই। বিরোধীদের অভিযোগ, পুরোটাই তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের ফল। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে গ্রামে যায় গলসি থানার পুলিশ। পুলিশ কওসারকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMCP: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে বন্ধ হল পরীক্ষা, নিয়ন্ত্রণে কলেজে পুলিশ

    TMCP: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে বন্ধ হল পরীক্ষা, নিয়ন্ত্রণে কলেজে পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরীক্ষা চলাকালীন তৃণমূলের দুই ছাত্র ইউনিয়নের (TMCP) সংঘর্ষে রণক্ষেত্র শান্তিপুর কলেজ। অবাধে চলল ভাঙচুর! পরীক্ষা দিতে পারল না একাধিক ছাত্র। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর কলেজে।

    শান্তিপুর কলেজে কী হয়েছিল?

    প্রথম সেমেস্টারের বাংলা পরীক্ষা ছিল কলেজে। কৃষ্ণনগর দ্বিজেন্দ্রলাল রায় কলেজ থেকে ১০৮০ জন ছাত্র পরীক্ষা দিতে এসেছিল শান্তিপুর কলেজে। অভিযোগ ওঠে, পরীক্ষা চলাকালীন হঠাৎ কৃষ্ণনগর দ্বিজেন্দ্রলাল রায় কলেজ ইউনিয়নের কয়েকজন সদস্য বাইরে থেকে বেশ কিছু লোক নিয়ে জোর করে শান্তিপুর কলেজের মধ্যে প্রবেশ করতে যায়। আর তাতে কলেজে থাকা নিরাপত্তা রক্ষীরা তাদের বাধা দেয়। এরপরেই রক্ষীদের ধাক্কা মেরে জোর করে তারা কলেজে ঢোকার চেষ্টা করে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত শান্তিপুর কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) সমর্থকরা বাধা দিতে গেলে দুপক্ষের মধ্যে শুরু হয় প্রবল হাতাহাতি। সময় গড়াতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা কলেজ চত্বর। এরপর চলে কলেজের মধ্যে ভাঙচুর। আতঙ্কে অনেকে পরীক্ষা না দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে বলে জানা যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

    পরীক্ষা না দিতে পারা ছাত্রদের বক্তব্য

    কৃষ্ণনগর দ্বিজেন্দ্রলাল কলেজের এক পরীক্ষার্থী সায়ন চক্রবর্তী বলেন, হঠাৎ করে শান্তিপুর কলেজ ইউনিয়নের তৃণমূল সমর্থকরা অধ্যাপকের সামনেই লোহার রড দিয়ে ছাত্রদের মারধর করতে আসে। অধ্যাপকরা ভয়ে চুপ করে ছিলেন। সেই কারণে আমরা ভয়ে ঠিকমতো পরীক্ষা দিতে পারিনি।

    নিরাপত্তারক্ষীর বক্তব্য

    ওই কলেজের নিরাপত্তারক্ষী সুধীর্ময় ঘোষ বলেন, হঠাৎ করে প্রথমেই কৃষ্ণনগর দ্বিজেন্দ্রলাল রায় কলেজ ইউনিয়নের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) সমর্থকরা কলেজের ভিতর জোর করে ঢুকতে চায়। আমরা বাধা দিতে গেলে আমাদের সঙ্গে দাদাগিরি শুরু করে এবং ধাক্কা দিয়ে কলেজে ঢুকে ভাঙচুর চালায়।

    শান্তিপুর কলেজের তৃণমূল সমর্থকদের বক্তব্য

    শান্তিপুর কলেজ ইউনিয়নের তৃণমূল কর্মী তথা নদিয়া জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) প্রাক্তন সভাপতি রূপম কর বলেন, যে সময় এই ঘটনাটি ঘটে, তখন আমাদের ইউনিয়নের কেউ এখানে উপস্থিত ছিল না। আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, পুরোটাই ভিত্তিহীন। তার কারণ, সাধারণ ভাবেই পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষার্থী ছাড়া কলেজের ভিতর কারও প্রবেশ করার অনুমতি থাকে না। কলেজে যারা ভাঙচুর করেছে, তারা কারা! সেগুলো তদন্ত করে দেখতে হবে।

    পরীক্ষকের বক্তব্য

    কলেজে পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, যখন ঝামেলা হয়, তখন আমি ঘরের মধ্যেই ছিলাম। সুতরাং বাইরে কী নিয়ে দুপক্ষের (TMCP) ঝামেলা হয়েছে, সে বিষয়ে আমি সঠিক জানি না। বাইরে এসে দেখলাম বেশ কিছু কলেজের গাছের টব এবং আসবাবপত্র ভাঙচুর হয়েছে। তবে এই ঘটনায় কারা জড়িত, কেন এই ঘটনা ঘটিয়েছে, সে বিষয়ে এখনই সঠিক কিছু বলা যাবে না। তবে প্রতিদিন পুলিশ-প্রশাসন পরীক্ষা চলাকালীন কলেজে উপস্থিত থাকে। আজ কেন ছিল না, সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেননি। পরবর্তীকালে ঘটনার তদন্ত কলেজ কর্তৃপক্ষ করবে বলেই জানান তিনি। তবে এই ধরনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা চলাকালীন কেন প্রশাসন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবকরাও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের মিটিংয়ে হামলা চালালো দলেরই কর্মীরা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    TMC: তৃণমূলের মিটিংয়ে হামলা চালালো দলেরই কর্মীরা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের মিটিংয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল দলেরই অপর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। হামলায় এক তৃণমূল কর্মী গুরুতর জখম হন। তাঁকে ভগবানপুর হাসপাতালে নিয়ে এসে চিকিত্সা করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর-১ ব্লকের শিমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এই ঘটনায় তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে।

    ঠিক কী ঘটেছে ?

    ভগবানপুর-১ ব্লকের শিমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ভীমেশ্বরী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃণমূলের (TMC) কর্মী-সমর্থকরা মিটিং করছিলেন। সেই সময় তৃণমূলের (TMC) অন্য গোষ্ঠীর লোকজন এই হামলা চালায় বলে অভিযোগ। হামলার জেরে এক তৃণমূল কর্মীর মাথা ফেটে যায়। জখম হন সেখ মুত্তালিব নামে এক তৃণমূল কর্মী। তাঁর বাড়ি কিশোরপুর গ্রামে। অভিযোগ, শিমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দীপ্তেন্দু   মাইতির নির্দেশে এই হামলা হয়েছে। মিটিংয়ে ডাক না পাওয়ার কারণে দলের বিরুদ্ধ গোষ্ঠী এই হামলা চালিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের প্রাক্তন সদস্য তৃণমূল (TMC) নেত্রী সবিতা প্রধানও আক্রান্ত হয়েছেন।

    হামলা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    আক্রান্ত তৃণমূল (TMC) কর্মী সেখ মুত্তালিব বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী হয়েও দলের ছেলেদের হাতে আক্রান্ত হলাম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে দোষীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। হামলার ঘটনার নিন্দা করেছেন ভগবানপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি শেখর পন্ডিত। তিনি বলেন, এই হামলা অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মীরা করেনি। করেছে, আমাদের দলের কর্মীরা। দুর্নীতি মুক্ত পঞ্চায়েত গড়তে আমরা উদ্যোগী হয়েছিলাম। তাই এই হামলা হয়েছে। ইনডোর মিটিং চলাকালীন হামলা হয়েছে। হামলা করেছে এলাকারই কয়েকজন তৃণমূল কর্মী। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ভগবানপুরের প্রাক্তন বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতির ভাই দীপ্তেন্দু মাইতি। শিমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বর্তমান উপপ্রধান দীপ্তেন্দু মাইতি বলেন, তৃণমূলের কোনও মিটিং ছিল বলে আমার জানা নেই। আমি তো ডাক পাইনি। হামলার কোনও ঘটনা আমার জানা নেই।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি স্বপন রায় বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যে তৃণমূলের (TMC)  নবজোয়ার শুরু হয়েছে। সেখানে তৃণমূল কর্মীরা গোপন ব্যালট নিয়ে প্রকাশ্যে মারামারি করছেন, কোথাও পঞ্চায়েতে চুরির  লাইসেন্স কার হাতে থাকবে তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারি হচ্ছে। তৃণমূলের (TMC) মারে তৃণমূল কর্মীদেরই মাথা ফাটছে। আদালতের একের পর এক রায়ে তৃণমূল নেতা কর্মীদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এদের বিদায় আসন্ন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ABVP: বন্‌ধ ব্যর্থ করতে এবিভিপি-র ওপর হামলার অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ

    ABVP: বন্‌ধ ব্যর্থ করতে এবিভিপি-র ওপর হামলার অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার শিলিগুড়ি পলিটেকনিক কলেজে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) ডাকা ১২ ঘণ্টার বন্‌ধ ব্যর্থ করতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠল। এদিন সকাল থেকেই বন্‌ধকে সফল করতে শিলিগুড়ি পলিটেকনিক কলেজের সামনে এবিভিপি’র সদস্যরা পিকেটিং করে। মূল অভিযোগ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের একদল কর্মী বন্‌ধ ব্যর্থ করতে এসে আচমকা এবিভিপির সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। এবিভিপি সদস্যদের বাঁশ, রড দিয়ে পেটানো হয়। তাতে এবিভিপি-র কয়েকজন ছাত্র জখম হয়েছে। শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হলে একজন বাদে সকলকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।

    কেন এই বন্‌ধ? 

    এবিভিপির তরফে জানানো হয়েছে, কলেজের ছাত্রছাত্রীদের একাধিক অসুবিধার কথা জানিয়ে বৃহস্পতিবার পলিটেকনিক কলেজে স্মারকলিপি জমা দিতে গেলে বাধা দেয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। অন্যদিকে পাল্টা অভিযোগ করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। তাদের অভিযোগ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ স্মারকলিপি দিতে গেলে এবিভিপি-ই বাধা দেয়। এই অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শিলিগুড়ির পলিটেকনিক কলেজ চত্বর। বাদানুবাদ থেকে দু-পক্ষ হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। ঘটনায় সংগঠনের দুই কর্মী জখম হওয়ার অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতেই শিলিগুড়ি থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় এবিভিপি। সেই সঙ্গে শুক্রবার ১২ ঘন্টা শিলিগুড়ি পলিটেকনিক কলেজ ধর্মঘটের ডাক দেয় তারা।

    কেন তৃণমূলের হামলা?

    এই বন্‌ধকে ঘিরে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য সকাল থেকেই কলেজের সামনে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন ছিল। উপস্থিত ছিলেন শিলিগুড়ি থানার আইসি অনুপম মজুমদার। শান্তিপূর্ণভাবে এবিভিপি পিকেটিং করছিল। সিংহভাগ ছাত্রছাত্রী বন্‌ধকে সমর্থন করায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। তারা এবিভিপির ছেলেদের কলেজ ছেড়ে যাওয়ার জন্য হুমকি দিতে থাকে। শুরু হয় দু-দলের মধ্যে বচসা, তারপর এবিভিপির সদস্যদের মারধর শুরু করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। পুলিশের সামনেই দুষ্কৃতীদের দল এবিভিপি সদস্যদের মাটিতে ফেলে পেটায়। এবিষয়ে এবিভিপির রাজ্য কমিটির সদস্য অনিকেত দে সরকার বলেন, আমরা সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে পিকেটিং করছিলাম। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের লোকজন আমাদের বাঁশ, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মেরেছে৷ অনেকেই জখম হয়েছে।পুলিশের সামনে গোটা ঘটনা ঘটেছে।

    কী বলছে তৃণমূল ও পুলিশ?

    দার্জিলিং জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (সমতল) সভাপতি তনয় তালুকদার বলেন, মারধরের কোনও ঘটনাই ঘটেনি৷ রড, লাঠি নিয়ে এবিভিপির কিছু গেরুয়া গুন্ডা এখানে এসে দাঁড়িয়েছিল। আমরা স্লোগান দিলে তারা ভয়ে এখান থেকে পালিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, এদিন এবিভিপির ডাকা বন্‌ধকে কেন্দ্র করে কলেজ চত্বরে উত্তেজনা দেখা দেয়। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও এবিভিপির সদস্যরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। সময়মতো পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

    বিধায়কের নিন্দা

    খবর পেয়ে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে এবিভিপির জখম কর্মী-সমর্থকদের দেখতে যান শিলিগুড়ির বিধায়ক বিজেপির শঙ্কর ঘোষ। তিনি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের গুন্ডাবাহিনী পুলিশের সামনে এবিভিপির শান্তিপূর্ণ পিকেটিংয়ে হামলা চালিয়েছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: জেলা তৃণমূল সভাপতি ছুটলেন বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর বাড়িতে, কোন্দল কি মিটল?

    TMC: জেলা তৃণমূল সভাপতি ছুটলেন বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর বাড়িতে, কোন্দল কি মিটল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে সাক্ষাৎ হল বিধায়ক ও জেলা সভাপতির। অভিষেক ব্যানার্জির নির্দেশমতো রবিবার রাতে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর বাড়িতে গিয়ে সাক্ষাৎ করলেন জেলা তৃণমূল (TMC) সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। এদিন সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উভয়ের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। সাম্প্রতিক নানা ঘটনাবলীতে তিক্ততার সূত্রপাত হলেও, অবশেষে তার অবসান ঘটল বলে আপাতভাবে মনে করা হচ্ছে। যদিও বিবাদ কি আদৌ মিটল? সন্দিহান জেলার মানুষই।

    কীভাবে বিবাদে জড়িয়েছিল দু-পক্ষ?

    রবিবার রাতে ইসলামপুরের গোলঘরে বিধায়কের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন জেলা তৃণমূল (TMC) সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনাবলীকে কেন্দ্র করে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বিধায়কের সংঘাতের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এমনকী তৃণমূলের জনসংযোগ যাত্রায় গত ৩০ শে এপ্রিল অভিষেক ব্যানার্জি ইসলামপুরে সভা করলেও সেখানে আমন্ত্রণ পাননি বিধায়ক। এরপর বিধায়কের বাড়িতে অভিষেক ব্যানার্জির আসার সম্ভাবনার কথা শোনা গেলেও বাস্তবে তা হয়নি। যা নিয়ে নিজের হতাশা ও ক্ষোভ ব্যক্ত করেন তিনি। গত ২রা মে রায়গঞ্জ থানার দুর্গাপুরে অভিষেক ব্যানার্জির ডাকা সাংগঠনিক বৈঠকেও আব্দুল করিম চৌধুরী অনুপস্থিত থাকায় রাজ্য রাজনীতিতে জোর জল্পনা শুরু হয়েছিল। তাঁকে বিদ্রোহী হিসেবে ঘোষণা করাতেই এই বৈঠক বয়কট বলে দাবি করেছিলেন বিধায়ক। এই বৈঠকেই জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালকে বিবাদ মিটিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি। তারই ফলশ্রুতি হিসেবে ররিবার বিধায়কের বাড়িতে গিয়েছিলেন জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল। 

    বৈঠক নিয়ে কে কী বললেন?

    সেখানে সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানিয়েছেন জেলা সভাপতি। তিনি বলেন, আগেরদিন ইটাহারে যে সমাবেশ হয়েছিল, সেখানে আমাদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আপনি একবার করিম সাহেবের বাড়ি যান। আমাকে নির্দেশ দেওয়াতেই আমি করিম সাহেবের বাড়ি যাই। গত পরশু আমি উনাকে ফোন করি এবং তারপর গতকাল উনার বাড়িতে যাই। সাংগঠনিক আলোচনা হয়েছে, এটুকুই শুধু। অন্যদিকে জেলা সভাপতির আগমনকে স্বাগত জানিয়েছেন বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। দলীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানান তিনিও। পাশাপাশি জেলায় দল (TMC) পরিচালনার ক্ষেত্রে নিজের মতামত ও প্রস্তাবনা জেলা সভাপতির সামনে তুলে ধরেছেন, এমনটাও জানিয়েছেন তিনি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে! জেলাজুড়ে শোরগোল

    TMC: ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে! জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শিলিগুড়িতে তৃণমূলের (TMC) দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল। তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা (সমতল) সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন তৃণমূল (TMC) নেতা তথা শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র পরিষদ সদস্য দিলীপ বর্মন। জেলা সভানেত্রীও দলীয় ওই নেতার বিরুদ্ধে দলের কী অবস্থান, তা জানিয়ে দিলেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।  

    ঠিক কী হয়েছিল?

    গত মঙ্গলবার তৃণমূলের ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র পরিষদ সদস্য দিলীপ বর্মন। পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের (TMC) জেলা (সমতল) সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ ও অন্যান্য নেতৃত্ব। দিলীপ বর্মনকে দেখেই তিনি অন্য নেতাদের মাধ্যমে তাঁকে সেই অনুষ্ঠান ছেড়ে চলে যেতে বলেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বারবার দিলীপ বর্মনের বিরুদ্ধে বিতর্কিত অভিযোগ জমা পড়ায় জেলা নেতৃত্ব সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেয়, দিলীপ বর্মন দলীয় কোনও কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। সেই নির্দেশ অমান্য করে ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ায় জেলা নেতৃত্ব মঙ্গলবার তাকে সেখান থেকে বের করে দেয় বলে অভিযোগ।

    কী বললেন শিলিগুড়ির পুরসভার মেয়র পরিষদ সদস্য?

    এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দলের জেলা সভানেত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন দিলীপ বর্মন। তিনি যে জেলা সভানেত্রী তথা জেলা কমিটিকে মানেন না, সেকথাও বুধবার সাংবাদিকদের  জানিয়েছেন। এদিন তিনি বলেন, শিলিগুড়ি পুরভোটে আমাকে এখান থেকে কেউ টিকিট দেয়নি। কলকাতা থেকে আমার টিকিট এসেছে। আর ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষ আমাকে ভোট দিয়েছেন। কাজেই তৃণমূলের (TMC) এখানকার নেতানেত্রীরা আমাকে জেতাননি।  তাই, এখানে কে কী বলছেন, আমি সে নিয়ে ভাবতে রাজি নই। পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের আমন্ত্রণেই আমি গিয়েছিলাম। আমি গোটা ঘটনা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে লিখিতভাবে জানাচ্ছি।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC)  জেলা সভানেত্রী?

    এদিকে দিলীপ বর্মনের এই চ্যালেঞ্জের জবাব দিলেন তৃণমূলের (TMC) জেলা সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বারবার দিলীপ বর্মনের বিরুদ্ধে নানা ধরনের বিতর্কিত অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছিল।  জেলা কমিটিতে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, দিলীপ বর্মন দলীয় কোনও কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারবেন না। সেইমতো মঙ্গলবার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে আমাদের ‘দিদির দূত’ কর্মসূচি থেকে তাঁকে চলে যেতে বলা হয়েছিল। ওই অনুষ্ঠানে তিনি আমন্ত্রিত ছিলেন না। এটা আমাদের দলগত সিদ্ধান্ত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: অনুব্রত ঘনিষ্ঠকে পার্টি অফিসে মারধর করে বের করে দিলেন কাজল অনুগামীরা! কোথায় জানেন?

    Anubrata Mondal: অনুব্রত ঘনিষ্ঠকে পার্টি অফিসে মারধর করে বের করে দিলেন কাজল অনুগামীরা! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ গরু পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) এখন তিহার জেলে রয়েছেন। এবারই প্রথম অনুব্রতহীন (Anubrata Mondal)  পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে চলেছে। স্বাভাবিকভাবেই এই জেলায় এবার সংগঠন দেখার রাশ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের হাতে নিয়েছেন। ২৪ মার্চ কালীঘাটে তিনি বীরভূম জেলার নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে দলীয় নেতার বিরুদ্ধে মুখ খোলার জন্য কাজল শেখকে তৃণমূল নেত্রী ধমক দেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। ফলে, কালীঘাটের মিটিং নিয়ে বীরভূমে শাসক দলের অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে নানুরে দলীয় কার্যালয়ে কেষ্ট (Anubrata Mondal)  ঘনিষ্ঠ সংখ্যালঘু সেলের নেতা রিঙ্কু চৌধুরীকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে কাজল শেখের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের ওই নেতার জামাও ছিঁড়ে দেওয়া হয়। পরে, তাঁকে পাটি অফিস থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পঞ্চায়েত ভোটের আগে কেষ্ট (Anubrata Mondal)  অনুগামী এবং কাজল অনুগামীদের কোন্দল নিয়ে ফের সরগরম বীরভূমের রাজনীতি।

    ঠিক কী হয়েছিল? Anubrata Mondal

    এমনিতেই কাজল শেখের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বরাবরই দ্বন্দ্ব রয়েছে। কারণ, নানুর গণহত্যায় কাজল শেখের পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়। আর এই গণহত্যার নেপথ্যের নায়ক তত্কালীন বাম নেতা রানা সিংহ বলে কাজল শেখের অনুগামীদের দাবি। ফলে, তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর কেষ্ট মণ্ডলের (Anubrata Mondal) হাত ধরে রানা সিংহ তৃণমূলে যোগ দেন। যেটা কাজল শেখ ভালোভাবে মেনে নেয়নি। প্রকাশ্যে এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। কিন্তু, অনুব্রতের (Anubrata Mondal) ক্ষমতাবৃদ্ধি যত হয়েছে, কাজল শেখ তত দলে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। গরু পাচারকাণ্ডে কেষ্টর (Anubrata Mondal)  জেলযাত্রার পর থেকে বীরভূমে কাজল ফের স্বমহিমায়। তৃণমূল নেত্রীর নির্দেশে তিনি কোর কমিটিতে ঠাঁই পান। ফলে, কাজলের অনুগামীরা এখন চাঙা। গোটা এলাকা তাঁরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,  শনিবার দলীয় কার্যালয়ে কেষ্ট (Anubrata Mondal)  ঘনিষ্ঠ সংখ্যালঘু সেলের নেতা রিঙ্কু চৌধুরী বসেছিলেন। সেখানে অন্যান্য কর্মীরাও ছিলেন। কালীঘাটের বৈঠক নিয়ে কার্যালয়ে আলোচনা হয়। সেই সময় তৃণমূলের নানুর ব্লকের সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য কার্যালয়ে ঢোকেন। তাঁর উপস্থিতিতে  বচসা শুরু হয়। এরপরই কাজল শেখের অনুগামীরা তাঁর উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ।

    কী বললেন আক্রান্ত তৃণমূল নেতা রিঙ্কু চৌধুরী? Anubrata Mondal

    দলীয় কার্যালয় থেকে জামা ছিঁড়ে বের করে দেওয়ার ঘটনায় দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসে।  কারণ, রিঙ্কু অনুব্রত ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। তাই, তাঁর উপর হামলা চালানোর অর্থ কেষ্ট মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)  কাজল অনুগামীরা আমল দিতে নারাজ তা প্রমাণ হয়ে গেল বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। হামলার প্রসঙ্গে রিঙ্কু চৌধুরী বলেন, আমি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)  অনুগামী। আমি দলীয় কার্যালয়ে বসেছিলাম। কাজল শেখ, সুব্রত ভট্টাচার্যরা বলল অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)  কোনও লোককে পার্টি অফিসে ঢুকতে দেওয়া হবে না। পার্টি অফিসে থাকতে পারবে না। এরপরই ওরা আমার উপর হামলা চালায়। মারধর করে জামা ছিঁড়ে আমাকে কার্যালয় থেকে বের করে দেয়।

    কী বললেন তৃণমূলের নানুর ব্লকের সভাপতি? Anubrata Mondal

    তৃণমূলের নানুর ব্লকের সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য বলেন, মারধর করা হয়নি। এটা মিথ্যা অভিযোগ। রিঙ্কু পার্টি অফিসে এসে কালীঘাটের বৈঠক নিয়ে কর্মী-নেতাদের বিরুদ্ধে নানা প্ররোচনামূলক কথা বলতে থাকেন। আমাদের দলের কর্মীরা তাতে রেগে যায়। আমি রিঙ্কুকে কার্যালয় থেকে চলে যেতে বলি। কিন্তু, ও আমাকে মারধর করতে আসে। এটা দেখেই দলের ছেলেরা রেগে যায়। তারা পার্টি অফিস থেকে তাকে বের করে দেয়। তাঁকে কোনও মারধর করা হয়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share