Tag: conjunctivitis

conjunctivitis

  • Conjunctivitis: শীতে বাড়ছে ভোগান্তি! কনজাংটিভাইটিসের আক্রমণ থেকে কীভাবে সুস্থ থাকবেন? 

    Conjunctivitis: শীতে বাড়ছে ভোগান্তি! কনজাংটিভাইটিসের আক্রমণ থেকে কীভাবে সুস্থ থাকবেন? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    উৎসবের মরশুমে সেজেছে শহর থেকে জেলা! বছর শেষের উদযাপনে মেতেছেন আট থেকে আশি, সব বয়সের মানুষ! কিন্তু তার মধ্যেই ভোগান্তি বাড়াচ্ছে নানান রোগ। সর্দি-কাশি কিংবা নানান ভাইরাস ঘটিত জ্বরের পাশপাশি ভোগান্তি বাড়াচ্ছে কনজাংটিভাইটিসের (Conjunctivitis) মতো সমস্যা। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শেষ এক সপ্তাহে কনজাংটিভাইটিসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। ফলে ভোগান্তি বাড়ছে।

    কনজাংটিভাইটিস কী? শীতে কেন এই রোগ বাড়ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কনজাংটিভাইটিস হল এক ধরনের চোখের সংক্রমণ (Eye infections)। এর ফলে চোখ ফুলে যায়। লাল হয়ে যায়। আবার চোখ থেকে লাগাতার জল পড়ে। অনেক সময় দেখতেও কষ্ট‌ হয়। চক্ষু রোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতে এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে। তার অন্যতম কারণ, এই আবহাওয়ায় বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে, চোখের সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ে। তাছাড়া এই আবহাওয়ায় বাতাসে একাধিক ভাইরাস সক্রিয় হয়। তার ফলেও সংক্রমণের ঝুঁকি এই সময়ে অনেকটাই বেড়ে যায়। এখন জেনে নিন, কীভাবে এই সমস্যার মোকাবিলা করবেন?

    নিয়মিত রোদচশমার ব্যবহার জরুরি (Conjunctivitis)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রোদচশমার ব্যবহার জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, বাইরে গেলেই রোদচশমা বা সানগ্লাস ব্যবহার করতে হবে। এমন সানগ্লাস পরতে হবে, যাতে চোখ ভালোভাবে ঢেকে থাকে। ধূলো না লাগে। হাওয়া লাগার ঝুঁকিও কম হয়। তবেই চোখের সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে।

    বাইরে থেকে ফিরেই চোখ ধুয়ে ফেলুন

    চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, চোখ নিয়মিত পরিশ্রুত জলে পরিষ্কার করা দরকার। নিয়মিত চোখ পরিষ্কার করলে যে কোনও জীবাণু সংক্রমণের (Conjunctivitis) ঝুঁকি কমে। বিশেষ করে বাইরে থেকে বাড়িতে ফেরার পরে চোখ পরিষ্কার করা জরুরি।

    চোখে হাত একদম নয় (Conjunctivitis)

    চোখে হাত দিয়ে চুলকানো একদম অস্বাস্থ্যকর বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই হাত থেকে নানান সংক্রমণ ছড়ায়। তাই হাত দিয়ে চোখ চুলকানো একেবারেই উচিত নয়। চোখে অস্বস্তি হলে বারবার জল দিয়ে পরিষ্কার করা দরকার। এছাড়া পরিষ্কার তুলো এবং গরম জল দিয়ে চোখ পরিষ্কার করা দরকার। এতে সংক্রমণ হলেও প্রকোপ বেশি হবে না।

    ভিড় এড়িয়ে চলুন

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, ভিড় এড়িয়ে চলুন। তাঁরা জানাচ্ছেন, যে কোনও সংক্রামক রোগ (Conjunctivitis) ভিড়ে বেশি ছড়ায়। কনজাংটিভাইটিস একটি সংক্রামক রোগ। এই জীবাণু ভিড়ে আরও নিজের ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। সংক্রমণ বাড়ায়‌। তাই চোখ লাল হয়ে গেলে, বারবার অস্বস্তি হলে কিংবা চোখ থেকে লাগাতার জল পড়ার মতো উপসর্গ দেখা দিলে ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এতে নিজের ভোগান্তি কমবে। আবার অন্যের সংক্রমণের (Eye infections) ঝুঁকিও কমবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Eye Infections: বহু শিশুই চোখে সংক্রমণ, ঝাপসা দেখার মতো সমস্যায় ভুগছে! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? 

    Eye Infections: বহু শিশুই চোখে সংক্রমণ, ঝাপসা দেখার মতো সমস্যায় ভুগছে! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    কম বয়স থেকেই বাড়ছে দৃষ্টিশক্তির সমস্যা। স্কুলের চৌকাঠে প্রবেশ করার আগেই অনেক শিশুর একাধিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের চোখের সমস্যা বাড়তি উদ্বেগজনক। শিশুদের অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি শেখানোর মতো প্রথম থেকেই চোখের যত্নের (Eye Infections) বিষয়ে সজাগ করা জরুরি। কীভাবে চোখ ভালো থাকবে, দৃষ্টিশক্তি বজায় থাকবে, এসব নিয়ে সচেতনতা জরুরি। অক্টোবর মাসে ‘ওয়ার্ল্ড সাইট অ্যাওয়ারনেস’ পালন করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, বিশ্ব জুড়ে চোখের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। বিশেষত শিশুদের দৃষ্টিশক্তি বাড়তি উদ্বেগজনক। তাই অন্ধত্ব,‌ দৃষ্টি ক্ষীণ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা নিয়ে আরও বেশি সতর্কতা জরুরি।

    কেন শিশুদের দৃষ্টিশক্তির সমস্যা বাড়তি উদ্বেগজনক? (Eye Infections)

    সাম্প্রতিক এক সর্বভারতীয় রিপোর্ট দেশ জুড়ে শিশুদের চোখ নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। ওই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রতি বছর ৩০ হাজার শিশু নতুন করে চোখের দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে যাওয়ার সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে। ১৫ বছরের কম বয়সি শিশুরা একাধিকবার চোখের নানান সংক্রমণের শিকার হচ্ছে। যা তাদের কর্নিয়ায় মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। বিশেষত বারবার চোখের কনজাংটিভাইটিস জাতীয় সংক্রমণ একদিকে ভোগান্তি বাড়াচ্ছে, আরেকদিকে চোখের ক্ষতি করছে। এর নিরিখে ভারতে চোখের নিয়মিত পরীক্ষা করার সচেতনতা খুবই কম। দেশ জুড়ে মাত্র ৪৬ শতাংশ শিশুর নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করা হয়। স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও ড্রাই আই জাতীয় রোগের প্রকোপ বাড়ছে। যার ফলে চোখের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা তৈরি হচ্ছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, অধিকাংশ শিশুর চোখের মারাত্মক সমস্যা হওয়ার আগে কিছু বোঝাই যায় না। ফলে দৃষ্টিশক্তির বড় ক্ষতি আটকানো আরও কঠিন হয়ে উঠছে। তাই শিশুদের চোখের স্বাস্থ্য নিয়ে বাড়তি উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে।

    সন্তানের চোখের বাড়তি যত্ন নেবেন কীভাবে?

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, শিশুর চোখ ভালো রাখার প্রথম ও প্রধান শর্ত ‘স্ক্রিন টাইম’-এ রাশ টানা। খুব কম বয়স থেকেই এখন সকলে মোবাইল, ট্যাবলেট, ল্যাপটপে অভ্যস্ত। কিন্তু এই অভ্যাস চোখের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। তাই শিশু কতক্ষণ মোবাইল কিংবা ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে থাকবে, সে নিয়ে সচেতনতা জরুরি। ছোট থেকে শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য মোবাইল দেওয়া একেবারেই উচিত নয়। এতে একাধিক শারীরিক সমস্যা (Eye Infections) তৈরি হয়। বিশেষত শিশুদের চোখে ড্রাই আই সহ নানান সংক্রমণ হতে পারে‌‌।
    দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে (Blurred vision) সবুজ সব্জি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন,‌ দিনে অন্তত একটা লেবু এবং বেরি জাতীয় ফল খাওয়া জরুরি।‌ পাশাপাশি কমলালেবু, অ্যাপ্রিকট, স্ট্রবেরি কিংবা মাল্টা, যে কোনও একটা ফল নিয়মিত খাওয়া উচিত। তাহলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে। তবে এর পাশপাশি পালং শাক, ঝিঙে, পটলের মতো সবুজ সব্জি নিয়মিত খাওয়া জরুরি।‌ কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে। এগুলো চোখের জন্য খুবই উপকারী। 
    পাশপাশি কম বয়সি শিশুরা এখন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছে। শিশুদের ডায়াবেটিস চোখের উপরে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে (Eye Infections)। ভারতীয় শিশুদের চোখের সমস্যার অন্যতম কারণ ডায়াবেটিস। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই ছোট থেকেই খাদ্যাভ্যাসে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। যাতে শিশু ডায়াবেটিসের‌ মতো রোগে আক্রান্ত না‌ হয়। শিশু যাতে অতিরিক্তি মিষ্টি খাওয়া এবং বাইরের চটজলদি খাবারে অভ্যস্ত না হয় সেদিকেও‌ খেয়াল‌ রাখা জরুরি। তবেই চোখের দীর্ঘমেয়াদি সমস্যার মোকাবিলা করা সহজ‌ হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Zika virus: গর্ভবতীদের বিপদ বাড়াচ্ছে জিকা! কতখানি বিপজ্জনক এই ভাইরাস?

    Zika virus: গর্ভবতীদের বিপদ বাড়াচ্ছে জিকা! কতখানি বিপজ্জনক এই ভাইরাস?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    মশাবাহিত রোগের দাপটে জেরবার বঙ্গবাসী। বর্ষা শুরু হতেই কলকাতা সহ রাজ্যের একাধিক জেলায় ডেঙ্গির প্রকোপ শুরু হয়ে গিয়েছে। আর তার মধ্যেই আরেক নতুন ভাইরাসের শক্তি বৃদ্ধি বাড়তি চিন্তা তৈরি করল। এমনটাই জানাচ্ছেন রাজ্যের চিকিৎসক মহল। মহারাষ্ট্র সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা দিয়েছে জিকা ভাইরাসের (Zika virus) দাপট। বিশেষত গর্ভবতী মহিলাদের উপরে এই ভাইরাসের বাড়তি প্রকোপ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। তাই আগাম সচেতনতা জরুরি বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কেন উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য প্রশাসন? (Zika virus)

    সম্প্রতি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি-র তরফে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন রাজ্য থেকে পাঠানো নমুনায় জিকা ভাইরাসের পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাতে না যায়, সে দিকে এখন থেকেই কড়া নজরদারি জরুরি বলে জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট মহল। তাই জিকা-র সামান্য উপসর্গ দেখা দিলেও দ্রুত প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা করানো দরকার। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, গর্ভবতী মহিলারা এই সংক্রমণের বেশি শিকার হচ্ছেন। ইতিমধ্যে দেশের একাধিক সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে জিকা আক্রান্ত হয়ে গর্ভবতী মহিলাদের ভর্তির সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। আর তাই এই সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ ও বাড়ছে‌।

    জিকা সংক্রমণ কী?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, জিকা (Zika virus) একটি মশাবাহিত রোগ। মূলত, এডিস মশার মাধ্যমে এই ভাইরাস একজনের দেহ থেকে আরেকজনের দেহে যায়। মার্তৃগর্ভে থাকা শিশুও জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। এর জেরে প্রাণনাশের মতো ঘটনাও ঘটে।

    জিকা ভাইরাসের উপসর্গ কী? (Zika virus)

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। রোগীর মারাত্মক মাথার যন্ত্রণা হয়। পেশিতেও ব্যথা হয়। দেহের বিভিন্ন জায়গায় ফুসকুড়ি হয়। পাশপাশি কনজাংটিভাইটিসের মতোই চোখ লালচে হয়ে যায়। চোখের ভিতরে এক ধরনের ব্যথা অনুভব হয়। তাই এই ধরনের কোনও উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। নির্দিষ্ট কিছু শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা, তা নিশ্চিত করা যায়। আর দ্রুত রোগ নির্ণয় হলে তা নিরাময় সহজ বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Conjunctivitis: বর্ষাকালে চোখে সংক্রমণ! জানুন কনজাঙ্কটিভাইটিস প্রতিরোধে ঘরোয়া পদ্ধতি

    Conjunctivitis: বর্ষাকালে চোখে সংক্রমণ! জানুন কনজাঙ্কটিভাইটিস প্রতিরোধে ঘরোয়া পদ্ধতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষাকালে চোখে সংক্রমণের সমস্যা কয়েকগুণে বেড়ে যায়। এই সময় কনজাঙ্কটিভাইটিসের (Conjunctivitis) সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। প্রথমে একটি চোখে কনজাঙ্কটিভাইটিস (Pink Eyes) হয়, তারপর দ্বিতীয় চোখেও সেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এক সঙ্গে দুটি চোখই সংক্রমিত হয়ে পড়ে। এই সমস্যা বাড়লে জ্বরও হতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, বর্ষাকালে আর্দ্রতা বৃদ্ধির কারণে এই সংক্রমণ হয়।

    কেন হয় কনজাঙ্কটিভাইটিস (Conjunctivitis) 

    ধুলো, ধুঁয়ো, ফুলের পরাগ রেণু, কার্বনের কণা অথবা কিছু কিছু ক্ষেত্রে কসমেটিকসের কারণে অ্যালার্জিক কনজাঙ্কটিভাইটিস হয়ে থাকে। অনেক সময় বর্ষাকালে স্টেফায়লোকোকস, নিউমোকোকাস, হিমোকোকাস ইনফ্লুয়েঞ্জার ইত্যাদি জীবাণুর কারণে এই সংক্রমণ হয়ে থাকে, একে ব্যাক্টিরিয়াল কনজাঙ্কটিভাইটিস (Conjunctivitis) বলা হয়। বর্ষার জলে ছড়িয়ে থাকা এডিনোভাইরাসের কারণে এই সমস্যা দেখা দেয়। ভাইরাল কনজাঙ্কটিভাইটিস হলে কানের গোড়া ফুলে যেতে পারে। কর্নিয়ায় সূক্ষ্ম ক্ষত দেখা যায়। যার ফলে রোগী চোখে কম দেখতে পায় এবং চোখ লাল হয়ে যায়। সঠিক সময় চিকিৎসা না-করলে ব্যক্তির দৃষ্টিশক্তি চিরকালের জন্য অস্পষ্ট হয়ে যেতে পারে।

    কনজাঙ্কটিভাইটিসের লক্ষণ (Conjunctivitis) 

    চোখ লাল হয়ে যাওয়া। চোখ থেকে জল পড়া।
    সকালে উঠলে চোখের পাতা পরস্পরের সঙ্গে আটকে থাকা বা চোখ খুলতে সমস্যা হওয়া।
    চোখ চুলকানো, জ্বালা ও অবসাদ।

    আরও পড়ুন: আজ রাশিয়া যাচ্ছেন মোদি, ‘‘ওরা হিংসায় জ্বলছে’’, পশ্চিমকে কটাক্ষ ক্রেমলিনের

    কীভাবে সারাবেন সংক্রমণ

    এই রোগ অত্যন্ত ছোঁয়াচে। সুস্থ হতেও বেশ অনেকটা সময় লেগে যায়। কনজাঙ্কটিভাইটিস (Conjunctivitis) হলে চোখে ঘন ঘন হাত দেওয়া ঠিক নয়। ওষুধ কিংবা ড্রপ দেওয়ার পর হাত ধুয়ে নিতে ভুলবেন না। ওই হাত অন্য কোথাও স্পর্শ করলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। রোগীর জামাকাপড়, তোয়ালে, চশমা, বালিশ, বিছানার চাদর অন্য কেউ ব্যবহার না করাই ভালো। এগুলির মাধ্যমে অন্য কারও আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। সময়ে বেশি টিভি, ফোন না দেখাই ভালো। টিভি, ফোনের আলোয় চোখে অস্বস্তি বাড়তে পারে। কনজাঙ্কটিভাইটিস হলে যতক্ষণ চোখ বন্ধ করে থাকা যায়, ততই ভালো।

    প্রতিরোধের উপায়

    কনজাঙ্কটিভাইটিস বা গোলাপী চোখ (Pink Eyes) হওয়ার আগেই সাবধান হোন। আপনার দৃষ্টিশক্তি ও চোখ ভালো রাখতে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি মেনে চলুন। 

    প্রাণায়ম: প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে প্রাণায়ম করলে আপনার দৃষ্টি শক্তি বাড়বে। অনুলোম-বিলোম ও ভ্রামরি দিনে অন্তত ৭বার করুন। 

    মহা ত্রিফলা ঘৃত: দিনে ২বার খাওয়ার পর এক চা-চামচ মহা ত্রিফলা-ঘৃত দুধে  মিশিয়ে খেয়ে নিন। চোখ ভালো থাকবে। এছাড়াও আমলকীর রস, গোলাপ জল ও ত্রিফলার জল চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি/ডায়েট পরামর্শস্বরূপ। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলুন ও সেই মতো পরামর্শ মেনে চলুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Winter Disease: শীতে বাড়ছে সর্দি-কাশির দুর্ভোগ! শিশুদের ভোগাচ্ছে কনজাংটিভাইটিস!

    Winter Disease: শীতে বাড়ছে সর্দি-কাশির দুর্ভোগ! শিশুদের ভোগাচ্ছে কনজাংটিভাইটিস!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    কলকাতা থেকে জেলা, রাজ্যের সর্বত্র তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করছে। বড়দিনের আগে শীতের আমেজ রাজ্য জুড়ে। কিন্তু বছর শেষের আনন্দ মাটি হতে পারে। যে হারে সর্দি-কাশির ভোগান্তি বাড়ছে, তাতে ভাইরাসঘটিত জ্বরের দাপট বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। পাশপাশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কনজাংটিভাইটিস। বিশেষত শিশুরোগ‌ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, পাঁচ বছরের কম বয়সীদের এই সময়ে চোখে সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে। তাই বাড়তি সতর্কতা জরুরি।

    কোন ধরনের সমস্যা বেশি হচ্ছে? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আট থেকে আশি সর্দি-কাশিতে ভুগছেন। বিশেষত কাশির দাপট মারাত্মক। তাপমাত্রার পারদ কমতেই আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়েছে। যার জেরে একাধিক ভাইরাস সক্রিয় হয়েছে। ফলে, ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণের হার বাড়ছে। জ্বর কয়েক দিনের মধ্যে কাবু হলেও, ভোগান্তি বাড়াচ্ছে কাশি। সপ্তাহ খানেক একটানা গলাব্যথা, কাশির মতো সমস্যা থাকছে। তবে, জেরেন্টোলজিস্ট অর্থাৎ, বয়স্কদের রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, বয়স্কদের নিয়ে বাড়তি উদ্বেগ রয়েছে। কারণ, মাত্রাতিরিক্ত বায়ুদূষণের জেরে ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। তার উপরে লাগাতার কাশি-সর্দি শ্বাসনালীর সংক্রমণের মতো সমস্যা, ফুসফুসের রোগের ঝুঁকি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। 
    পাশাপাশি এই আবহাওয়ায় শিশুদের কনজাংটিভাইটিসের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। চোখ চুলকানো, লাল হয়ে যাওয়া, বারবার চোখ দিয়ে জল পড়ার মতো সমস্যায় জেরবার শিশুরা। এমনটাই জানাচ্ছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এই আবহাওয়ার জেরেই সমস্যা বাড়ছে বলে তাঁরা জানাচ্ছেন।

    কোন ঘরোয়া উপাদান সমস্যা মোকাবিলা করতে পারে? 

    বড় সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতোই চলতে হবে। কিন্তু ঘরোয়া কয়েকটি উপাদান নিয়মিত ব্যবহার করলে ভোগান্তি কমবে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। 
    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতকাল জুড়ে কিউই, মাল্টা, কমলালেবুর মতো ফল নিয়মিত খেতে হবে। এই ধরনের ফলে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি। এছাড়া রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানোর ক্ষমতা রয়েছে। তাই নিয়মিত এই ধরনের ফল একটি করে খেলে যে কোনও ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে। 
    নিয়মিত এক চামচ মধু এবং হলুদ গরম দুধে মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সর্দি-কাশি মোকাবিলায় মধু উপকারী। হলুদ দেহের প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। আর দুধের প্রচুর পুষ্টিগুণ। এই দুটি একসঙ্গে খেলে সর্দি-কাশির হাত থেকে রেহাই পাওয়া সহজ হয়। 
    কাশির ভোগান্তি কমাতে দিনে একবার তুলসী পাতার সঙ্গে গোলমরিচ এবং লবঙ্গ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এগুলো গলার খুসখুসে ভাব কমাতে সাহায্য করে। 
    রসুন নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, রসুনে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা যে কোনও রোগের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জোগান পর্যাপ্ত থাকলে, সহজে কোনও রোগ কাবু করতে পারে না। তাই শীতকালে নিয়মিত রসুন খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। 
    শিশুদের কনজাংটিভাইটিসের সমস্যা কমাতে দিনে একাধিকবার চোখ এবং হাত গরম জলে পরিষ্কার করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, বাইরে থেকে আসলে অবশ্যই পরিষ্কার করতে হবে। বাড়িতে থাকলেও একাধিকবার পরিষ্কার তুলো দিয়ে গরম জলে চোখ পরিষ্কার করতে হবে। হাত সাবান দিয়ে গরম জলে ধুয়ে দিতে হবে। তাহলে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Conjunctivitis: দাপট বাড়াচ্ছে ‘গোলাপি চোখ’! কনজাঙ্কটিভাইটিস রুখতে কী করবেন? 

    Conjunctivitis: দাপট বাড়াচ্ছে ‘গোলাপি চোখ’! কনজাঙ্কটিভাইটিস রুখতে কী করবেন? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বর্ষার মরশুমে বাড়ছে ভোগান্তির তালিকা। একে সর্দি-কাশিতে নাজেহাল অনেকেই। বিশেষত শিশু আর বয়স্কদের বাড়ছে ভোগান্তি। আর তার সঙ্গে বাড়ছে আরেক সমস্যা। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ায় বাড়ছে কনজাঙ্কটিভাইটিস। যার আরেক নাম ‘পিঙ্ক আই’!

    কনজাঙ্কটিভাইটিস কী? 

    কনজাঙ্কটিভাইটিস হল চোখে এক ধরনের অ্যালার্জি। ভাইরাসঘটিত এই অ্যালার্জি মূলত চোখের সাদা অংশে হয়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই রোগ খুব দ্রুত সংক্রমিত হয়। আক্রান্তের চোখের দিকে তাকালেও আরেক জন এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রতি বছর ১০ মিলিয়নের বেশি ভারতীয় কনজাঙ্কটিভাইটিসে আক্রান্ত হন।

    কাদের ভোগান্তির ঝুঁকি বেশি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ঠান্ডা লাগলেই এই কনজাঙ্কটিভাইটিসে আক্রান্তের ঝুঁকি বাড়ছে। তাই যাঁরা সর্দি-কাশিতে বেশি ভোগেন, তাঁদের এই রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। তাছাড়া, শিশুদের ভোগান্তির ঝুঁকি বেশি। স্কুল থেকে বহু শিশুই এই রোগে সংক্রমিত হয়। পরিবারের যে কোনও একজনের এই রোগ হলে, বাকি সদস্যদের হওয়ার আশঙ্কা থাকে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই রোগে সংক্রমণের ক্ষমতা অনেক বেশি। তাই দরকার বাড়তি সতর্কতা।

    কনজাঙ্কটিভাইটিসের উপসর্গ কী? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কনজাঙ্কটিভাইটিস হলে চোখ লাল হয়ে যায়। চোখে এক ধরনের চুলকানি হয়। দেখতেও অসুবিধা হয়। ঘুম থেকে উঠে চোখ ফুলে যায়। চোখ খুলতে অসুবিধা হয়। বারবার চোখে অস্বস্তি বোধ হলে, চুলকানি অনুভব হলে এবং চোখ লাল হলেই সতর্ক হতে হবে।

    কনজাঙ্কটিভাইটিস রুখতে কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা? 

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, কনজাঙ্কটিভাইটিসের প্রথম উপসর্গ থেকেই সতর্ক হলে ভোগান্তি কম হবে। পাশপাশি পরিবারের অন্যদের মধ্যেও রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে। চোখে সামান্য লাল ভাব কিংবা চোখে চুলকানি হলে একেবারেই চোখে হাত দেওয়া যাবে না। বারবার হাত পরিষ্কার রাখতে হবে। কারণ, হাতের মধ্যেই এই জীবাণু দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তাছাড়া, চোখ বারবার জল দিয়ে ধুতে হবে। পরিষ্কার জলে বারবার চোখ ধুয়ে ফেললে রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। প্রয়োজনে গরম জলে পরিষ্কার তুলো ভিজিয়ে চোখের পাতা পরিষ্কার করতে হবে। এতে দেখার সমস্যা কমে, আবার সংক্রমণের তীব্রতাও কমে। এমনই পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। তবে, এই রোগে আক্রান্ত হলে আলাদা ঘরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। যাতে এই রোগ পরিবারের অন্যদের মধ্যে সংক্রমিত না হয়, তাই কালো চশমা পরে থাকারও পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
LinkedIn
Share