Tag: Coochbehar

Coochbehar

  • Sukanta Majumdar: পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ সংবিধান ভুলে গিয়েছে! দিনহাটায় পৌঁছেই বিস্ফোরক সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ সংবিধান ভুলে গিয়েছে! দিনহাটায় পৌঁছেই বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষের আবহে আজ, মঙ্গলবার কোচবিহারের দিনহাটায় পৌঁছলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। দিনহাটা পৌঁছেই পুলিশের উদ্দেশে ঝাঁঝালো বার্তা দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। সরাসরি পুলিশের নাম করে বিজেপি রাজ্য সভাপতির বার্তা, ‘পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ সংবিধান ভুলে গিয়েছে। সেই সংবিধান মনে করাতেই এখানে আসা।’ একইসঙ্গে তিনি বলেন, ”দিনহাটায় আক্রান্ত কর্মীদের বাড়িতে যাওয়ার পথে বাধা দিলে সেই বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়া হবে।”

    পুলিশকে বিঁধলেন সুকান্ত, নিশীথ

    দিনহাটার বুড়িরহাটে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে বিজেপি নেতা কর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় সরব সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। গত শনিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয় যাওয়ার সময় তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে দিনহাটার বুড়িরহাট এলাকা। চলে গুলি, বোমাবাজি। মন্ত্রীর গাড়িতে হামলাও হয় বলে অভিযোগ। মন্ত্রীর দাবি, তাঁর গাড়িতেও গুলি লাগে। গণ্ডগোলের ঘটনায় দিনহাটা শহর মণ্ডল সভাপতি অজয় রায় সহ ২৮ জন বিজেপি নেতা-কর্মীর নামে মামলা করেছে সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ। সোমবার রাতে ওই সমস্ত বিজেপি নেতা-কর্মীর বাড়িতে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik)। তিনি পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন ও তাঁদের মনোবল বাড়ান।

    সুকান্ত-দিলীপ একমত

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) ও নিশীথ প্রামাণিকের মতোই দিনহাটার ঘটনা প্রসঙ্গে, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘ভয় দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে, যাতে আমরা নির্বাচনে না যাই, না লড়ি। লোক যাতে ভোট না দেয় পঞ্চায়েতে। ফাঁকা মাঠে জিততে চাইছে। ওটা হবে না। মানুষ তৈরি আছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আক্রমণ তো আমাদের উপর বহুবার হয়েছে। এটা সারা দেশ দেখছে, এমন একটা রাজ্য যেখানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীও সুরক্ষিত নয়। মাননীয় নাড্ডাজিকেও আক্রমণ করা হয়েছিল। সরকার বলে কিছু নেই। প্রশাসন বলে কিছু নেই।’’

    আরও পড়ুন: ত্রিপুরা-নাগাল্যান্ডে বিজেপিকেই এগিয়ে রাখছে বুথ ফেরত সমীক্ষা, মেঘালয়ে ত্রিশঙ্কু!

    রাজ্য প্রশাসনকে এক হাত নেন নিশীথও। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, “পুলিশ একতরফা কাজ করছে। পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত নিন্দনীয়। রাজ্যে পুলিশ পোশাকধারী তৃণমূলের গুন্ডায় পরিণত হয়েছে। তারা কী উদ্দেশে আসতে চাইছিল আমাদের কাছে সন্দেহ রয়েছে। পুলিশ যারা এসেছিলেন তাদের কারোর পায়ে হাওয়াই চপ্পল, কেউ বা মাফলার পরে। আবার কারোর হাতে আগ্নেয়াস্ত্র। পুলিশ এই অবস্থায় আসতে পারে না।” পুলিশ এভাবে অত্যাচার করতে পারে না, বলে অভিমত রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজিমদারেরও (Sukanta Majumdar)। আজ দিনহাটার বিভিন্ন প্রান্তে যাবেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। দলের কোচবিহারের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গেও সুকান্ত মজুমদার বৈঠক করবেন বলে বিজেপি সূত্রের খবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: তৃণমূলের ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে ব্যাপক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, মারামারি, ছেঁড়া হল ব্যালট   

    Abhishek Banerjee: তৃণমূলের ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে ব্যাপক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, মারামারি, ছেঁড়া হল ব্যালট   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayet Polls) আগে ঘর গুছোতে ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে তৃণমূল (TMC)। মঙ্গলবার কোচবিহারে শুরু হয়েছে সেই কর্মসূচি। তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) জানিয়েছিলেন ‘গ্রাম বাংলা মতামত’ কর্মসূচির আওতায় গোপন ব্যালটে ভোট নিয়ে হবে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা। সেই কর্মসূচিকে ঘিরেই এদিন কোচবিহারে দেখা গেল চরম বিশৃঙ্খলা। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মারামারি, হুড়োহুড়ি মায় ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটল। ঘটনায় যারপরনাই বিব্রত তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। শেষমেশ অভিষেক ঘোষণা করলেন, কেন এই ঘটনা ঘটল, তা তদন্ত করে দেখতে বলা হয়েছে জেলাশাসককে। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান, বুধবার ওই জায়গায়ই ফের ভোট হবে প্রার্থী বাছাইয়ের।

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সভায় বিশৃঙ্খলা…

    এদিন সাহেবগঞ্জ ও গোঁসানিমারি এলাকায় জনসভা করেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। পঞ্চায়েতে কারা প্রার্থী হবেন, তা জানতে গোপন ব্যালটে ভোট দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন এই তৃণমূল নেতা। প্রথমে তিনি সভা করেন সাহেবগঞ্জে। পরে যান গোঁসানিমারি হাইস্কুল মাঠের সভায়। বক্তৃতার শেষে অভিষেক জানান, মঞ্চে ব্যালট বাক্স রেখে যাচ্ছেন। উপস্থিত তৃণমূল নেতা-কর্মী-সমর্থকরা যেন নিজেদের প্রার্থী বাছাই শুরু করেন। বক্তৃতা শেষ করে শীতলখুচির উদ্দেশে রওনা দেন অভিষেক। তার পরেই শুরু হয় ব্যাপক বিশৃঙ্খলা। হুড়োহুড়ি করে যে যেখানে ছিলেন মঞ্চে ওঠার চেষ্টা করেন। কয়েকজন ব্যালট বাক্স নিয়ে পালানোর চেষ্টাও করেন। কয়েকজন আবার তাঁদের বাধা দেন।

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে এবার তাপসকে তলব সিবিআইয়ের, হাজিরা বুধেই

    ব্যালট বাক্স নিয়ে দু পক্ষে কার্যত চলতে থাকে দড়ি টানাটানি খেলা। কয়েকজনকে আবার ব্যালট পেপার ছিঁড়ে ফেলতে দেখা যায়। শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি, মারামারি। ব্যালট বাক্স ভেঙে ফেলাও হয়েছে বলে অভিযোগ। বাক্স থেকে কয়েকজনকে ব্যালট পেপার বের করে ফেলতেও দেখা যায়। হট্টগোল পরিস্থিতির মোকাবিলায় পুলিশ মঞ্চ থেকে ঠেলে নামিয়ে দেয় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের। মঞ্চের নিচে পুলিশের সামনেই ফের একপ্রস্ত মারামারি শুরু হয় তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে।

    গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Abhishek Banerjee) রাজ্যের সিংহভাগ আসনেই বিরোধীদের প্রার্থী দিতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। পরে অবশ্য অবাধ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে রাজ্যের শাসক দলের পক্ষ থেকে। এমতাবস্থায় দলীয় প্রার্থী নির্বাচন নিয়েই ঘটে গেল ব্যালট পেপার ছিনতাই, ব্যালট বাক্স ভাঙচুরের মতো ঘটনা। প্রত্যাশিতভাবেই অশনি সংকেত দেখছেন বিরোধীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: ছোট মেয়ের প্রেমে বাধা! তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা, তাঁর স্বামী এবং বড় মেয়েকে খুন করল প্রেমিক

    Cooch Behar: ছোট মেয়ের প্রেমে বাধা! তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা, তাঁর স্বামী এবং বড় মেয়েকে খুন করল প্রেমিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেয়ের সঙ্গে প্রতিবেশী যুবকের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় সেই প্রেমিকের হাতে খুন হতে হল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা, তাঁর স্বামী এবং বড় মেয়েকে। আততায়ীদের হামলায় গুরুতর জখম হয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্যার ছোট মেয়েও। শুক্রবার কোচবিহারের শীতলকুচির পশ্চিমপাড়ায় ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে শীতলকুচি থানার পুলিশ।

    প্রেমে বাধা, তাই খুন

    শুক্রবার ভোর রাতে ওই তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে আর্তনাদ, গোঙানিতে ঘুম ভেঙেছিল প্রতিবেশীদের। স্থানীয় সূত্রে খবর, ভোর রাতে চিৎকার শুনে পঞ্চায়েত সদস্যা নীলিমা বর্মণের বাড়িতে ছুটে যান পড়শিরা। গিয়ে দেখেন, নীলিমা, তাঁর স্বামী বিমলকুমার বর্মণ (৬৮) এবং তাঁদের বড় মেয়ে রুনা বর্মণ (২৪) রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছেন। তড়িঘড়ি তাঁদের মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে নীলিমা ও তাঁর স্বামীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। পরে বড় মেয়েকে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁরও মৃত্যু হয়। ছোট মেয়ে ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।

    আরও পড়ুন: প্রতিষ্ঠা দিবসেই যোগদান! বিজেপিতে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা এ কে অ্যান্টনির ছেলে অনিল অ্যান্টনি

    শুক্রবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ এই ঘটনার পরই এলাকায় তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে ওই দম্পতির মেয়ে ইতি বর্মন প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিল পাশের গ্রামের যুবক বিভূতি রায়ের সঙ্গে। যা নিতে তীব্র আপত্তি ছিল তার বাবা-মা দুজনেরই। বেশ কিছুদিন ধরে পরিবারে এই নিয়ে অশান্তিও চলছিল। অভিযোগ,  শুক্রবার কাকভোরে বিভূতি হাতে একটি কাঠারি নিয়ে ঘরে ঢুকে পড়ে। অতর্কিতে হামলা চালাতে শুরু করে সে। প্রেমিকার মাকেই সবার আগে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপায়। এরপর কোপায় বাবাকে। বাধা দিতে গিয়ে আহত হয় প্রেমিকা ও তার দিদিও। একাধিকবার নৃশংসভাবে কোপানো হয়েছে বিমল বর্মন ও তাঁর স্ত্রী নিলীমাকে।

    ব্যক্তিগত আক্রোশ নাকি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র

     মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত বর্মা বলেন, ‘‘প্রধান অভিযুক্ত বিভূতিভূষণ রায় এবং তাঁর সঙ্গীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রেমঘটিত সম্পর্কের কারণেই এই ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।’’এই ঘটনার প্রতিবাদে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শীতলকুচি বাজার এলাকায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়েরা। কেবলই কি ব্যক্তিগত আক্রোশ নাকি রয়েছে কোনও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রও? মৃত নিলীমা বর্মন শীতলকুচি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য। তাঁর স্বামী বিমল চন্দ্র বর্মন তৃণমূলের এসসিএসটি ওবিসি সেলের শীতলকুচি ব্লক সভাপতি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিবেশীদের বয়ান ও ধৃতদের জেরায় করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ইতির সঙ্গে বিভূতিভূষণের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সে কথা বিভূতিভূষণ জেরায় স্বীকারও করে নিয়েছেন। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, ‘প্রেমিকা’র পরিবার সেই সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়ানোর কারণেই এই খুন। তবে আর অন্য কোনও কারণ আছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “পুলিশ যদি তৃণমূলের ক্যাডারের মতো আচরণ করে তাহলে…”, কোচবিহারে হুঙ্কার সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “পুলিশ যদি তৃণমূলের ক্যাডারের মতো আচরণ করে তাহলে…”, কোচবিহারে হুঙ্কার সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিশীথ প্রামাণিকের ওপর হামলার ঘটনায় উত্তাল কোচবিহার রাজনীতি। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) তা আরও কিছুটা জোরদার হল। এবার পুলিশকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।  

    কোচবিহারের ঘোকসাডাঙ্গায় এক কর্মীসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্য পুলিশের দিকে নিশানা দেগে বালুরঘাটের সাংসদ (Sukanta Majumdar) বলেন, “পুলিশ যদি নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করে তাহলে পুলিশকে পুলিশ মনে করব। আর পুলিশ যদি তৃণমূলের ক্যাডারদের মতো কাজ করে তাহলে ক্যাডারদের সঙ্গে যা ট্রিটমেন্ট করা হয়, পুলিশের সঙ্গেও সেই ট্রিটমেন্ট করা হবে।” 

    তৃণমূলকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। গত শনিবার দিনহাটার বুড়িরহাটে তৃণমূল- বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক সংঘর্ষ ঘটে। আক্রান্ত হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়।

    আরও পড়ুন: “হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের ২০০ কোটি কোথায় গেল?”, রাজ্যকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে ৪৮ জন বিজেপি নেতাকর্মীর নামে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছে পুলিশ (Sukanta Majumdar)। সেই মামলায় ইতিমধ্যে ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন ঘোকসাডাঙ্গা এলাকার বিজেপি নেতা প্রশান্ত বর্মন।

    বুধবার প্রশান্ত বর্মনের বাড়িতে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। আইনি সহযোগিতার আশ্বাস দেন। সুকান্ত বলেন, “দলীয় কর্মীকে ছাড়ানোর জন্য বিজেপি সহযোগিতা করবে। প্রয়োজনে হাইকোর্টেও যাবে।” 

    সেখানেই পুলিশকে একহাত নেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। বলেন, “পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়েছে। পুলিশ যদি নিরপেক্ষভাবে কাজ করে তাহলে পুলিশকে পুলিশ বলে মনে করব। আর পুলিশ যদি তৃণমূলের দলদাস হয়ে কাজ করে তাহলে তৃণমূলের ক্যাডারদের সঙ্গে যে ট্রিটমেন্ট করা হয় পুলিশের সঙ্গেও সেই একই ট্রিটমেন্ট হবে।”

    দলীয় কর্মীদের বার্তা সুকান্তর

    এদিন দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “তৃণমূলের সন্ত্রাস মোকাবিলা করতে বিজেপি কর্মীদের হাতে ঝাণ্ডার সঙ্গে ডান্ডাও রাখতে হবে। কোচবিহারে ডান্ডা ছাড়া রাজনীতি হবে না। তৃণমূলের যে নেতা যে ভাষা বোঝে তাকে সেই ভাষাতেই জবাব দিতে হবে।”

    এদিন নাম না করে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহকে লুঙ্গি মন্ত্রী বলে ব্যাঙ্গ করেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “কোচবিহারের ছেলেকে আপনারাই সাংসদ করেছিলেন‌। নরেন্দ্র মোদি তাকে মন্ত্রী করে পাঠিয়েছেন। সেটা তৃণমূলের সহ্য হয়নি। আর তাই তার উপর আক্রমন হয়েছে লুঙ্গি মন্ত্রীর নির্দেশে।”

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “দিদি নিজের রাজ্য সামলাতে পারেন না মেঘালয়ে গিয়ে মাথায় পালক লাগিয়ে কাক সেজে কুকু করছেন। ‌রাজ্যের বেকার ছেলেরা কাজ পাচ্ছে না । তারা গুজরাটে চলে যাচ্ছে।‌ দিদি বলছেন ১০০ দিনের কাজে তারা এক নম্বর। তাতে সায় দিয়ে তিনি বলেন সেটাতো হবেনই, কারন‌ এই রাজ্যের বেকার যুককেরা কাজ না পেয়ে বাধ্য হয়ে ৩০০ টাকার মজুরিতে ১০০ দিনের কাজ করে। কিন্তু গুজরাটে কাজ করলে দৈনিক মজুরি এক হাজার টাকা পায়। ‌তাই সেখানে মানুষ ১০০ দিনের কাজ করে না।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

     

     

     

     

     

     

  • Coochbehar: কোচবিহার আদালতের মালখানা থেকে উদ্ধার হ্যান্ড গ্রেনেড, নিষ্ক্রিয় করল সেনা জওয়ানরা

    Coochbehar: কোচবিহার আদালতের মালখানা থেকে উদ্ধার হ্যান্ড গ্রেনেড, নিষ্ক্রিয় করল সেনা জওয়ানরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাঁজার প্যাকেট থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল হ্যান্ড গ্রেনেড। রবিবার সকালে কোচবিহার আদালতের মালখানার ভেতরে থাকা সেই হ্যান্ড গ্রেনেডই নিষ্ক্রিয় করল ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ আধিকারিকরা। এদিন সকালে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেনাবাহিনীর ৬ থেকে ৭জনের সদস্যের একটি দল আদালত চত্বরে এসে হ্যান্ড গ্রেনেডটিকে নিষ্ক্রিয় করেন বলে জানা গেছে। গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করার সময় সাগরদিঘি চত্বরকে কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়। সেখানে এক দিকে যেমন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন তেমনি দমকল বাহিনীও মোতায়েন করা হয় সেখানে।

    কী ঘটেছিল?

    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দিন তিনেক আগে আদালতের মালখানা পরিষ্কার করতে গিয়ে ওই গ্রেনেডটি লক্ষ্য করেন সেখানে থাকা দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা। বিষয়টি সম্পর্কে জানানো হয় কোচবিহার জেলা পুলিশের কাছে। এরপর রাজ্য পুলিশের বোম স্কোয়াডের একটি দল পরবর্তীতে ওই গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করতে এলে তারা গোটা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে জানান, তাঁরা নিষ্ক্রিয় করতে পারবেন না। পরে কোচবিহার পুলিশের তরফ থেকে খবর দেওয়া হয় ভারতীয় সেনাবাহিনীকে।

    আরও পড়ুন: রাজ্য সফরে এসে মমতার কী নাম দিলেন নাড্ডা?

    সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার রেজিমেন্ট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে তাঁরা জানান ছুটির দিন রবিবার এই হ্যান্ড গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করতে হবে। সেই মত রবিবার সকালেই গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। সেনাবাহিনীর নিষ্ক্রিয়কারী দল যেখানে বোমা রাখা ছিল সেখানে পৌঁছে যান এবং তাঁরা দেখতে পারেন সেই বোমা বাইরে নিয়ে এসে নিষ্ক্রিয় করা যাবে না। পরবর্তীতে কোচবিহার জেলা আদালতের বিচারপতির অনুমতি নিয়েই ওই মালখানার ভেতরেই হ্যান্ড গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করার বন্দোবস্ত করা হয়। সেনাবাহিনীর জওয়ানরা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিখুঁতভাবে দক্ষতার সঙ্গে গ্রেনেড টি নিষ্ক্রিয় করেছেন বলে জানা গেছে। এই কাজের ফলে আদালতের মালখানার ঘরের কোনরকম ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানা যায়।

    এই বিষয়ে এডিশনাল এসপি জানান, কোর্টের মালখনায় ০.৩৬ আর্মি গ্রেট গ্রেনেড পাওয়া গেছে। যেহেতু আর্মি গ্রেনেড তাই পুলিশের টিম তা নিষ্ক্রিয় করতে পারেনি। জলপাইগুরির ইঞ্জিনিয়ারের রেজিমেন্ট এসে সব দেখে জানান গ্রেনেড টি ওখানেই নিষ্ক্রিয় করতে হবে।

    বিন্নাগুড়ির ৬-৭ জন  ইঞ্জিনিয়ারের টিম এসে জেলা আদালত ও জেলা জর্জ এর অনুমতি নিয়ে গ্রেনেডটি নিস্ক্রিয় করেন। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় আশেপাশে। কীভাবে গ্রেনেড এল, তা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

  • Coochbehar Accident: পিক-আপ ভ্যানে শর্ট-সার্কিট, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কোচবিহারে মৃত্যু ১০ পুণ্যার্থীর

    Coochbehar Accident: পিক-আপ ভ্যানে শর্ট-সার্কিট, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কোচবিহারে মৃত্যু ১০ পুণ্যার্থীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিক-আপ ভ্যানে বাজছিল ডিজে। পাশেই ছিল জেনারেটর। কখন যে তাতে শর্ট সার্কিট হয়ে গেছে, তা টেরই পাননি কেউ। তাতেই ঘটল বিপত্তি। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল ১০ পুণ্যার্থীর। 

    রবিবার গভীর রাতে চ্যাংরাবান্ধায় (Changrabandha) ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন কোচবিহারের শীতলকুচি থেকে প্রায় ১৫-২০ জন পুণ্যার্থী একটি পিক-আপ ভ্যানে চেপে জল্পেশের দিকে যাচ্ছিলেন। চ্যাংরাবান্ধার ধরলা সেতু পার হওয়ার পর  ময়নাগুড়ি-মাথাভাঙা সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। জেনারেটর থেকে সেই গাড়িতে শর্ট সার্কিট হয় বলে জানান কয়েকজন পুণ্যার্থী। আহত এক পুণ্যার্থী জানিয়েছেন, তাঁরা গাড়িতে জেনারেটরের সাহায্যে ডিজে বাজিয়ে যাচ্ছিলেন। এমন সময় জেনারেটর থেকে গাড়িটিতে শর্টসার্কিট হয়ে যায়। গাড়ির মধ্যে থাকা কয়েকজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে লুটিয়ে পড়েন। চালক অসুস্থদের চ্যাংরাবান্ধা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ১০ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। 

    আরও পড়ুন: গাড়ি ভর্তি টাকা! হাওড়ায় আটক ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়কের ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত

    জানা গিয়েছে, গাড়িতে চালক সহ ৩৬ জন ছিলেন। এর মধ্যে ঘটনার পরই ৭ জন অন্য গাড়িতে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। ১৪ জনকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করা হয়। খবর পেয়ে রাতে চ্যাংরাবান্ধা হাসপাতালে যান মাথাভাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত ভার্মা, মেখলিগঞ্জ পুলিশের এসডিপিও অরিজিত পাল চৌধুরী, ওসি রাহুল তালুকদার। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে।

    মৃতদের বাড়ি শীতলকুচিতে। ঘটনার জেরে এলাকায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বাড়ির ছেলেকে আর ফিরে পাবেন না ভাবতেই পারছেন না মৃতদের পরিবারের সদস্যরা। এই মর্মান্তিক ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে কোন গাফিলতিতে অকালে ঝরে গেল এতগুলো প্রাণ। প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও।

    প্রশ্ন উঠছে গাড়িতে এমনিতেই ডিজে বাজানো নিষিদ্ধ। তার ওপরে জেনারেটর সেট গাড়িতে রাখা হয়েছে যেটা অত্যন্ত বিপদজনক। এছাড়াও গাড়িতে ডিজের অপারেটর থাকলেও জেনারেটর সেটের কোনও অপারেটর ছিলেন না। যাঁরা গাড়িতে ছিলেন তাঁরাও জেনারেটর পরিচালনায় দক্ষ নন। ফলে জলে ভিজে  কি বিপদ হতে পারে তা নিয়ে কোনও ধারণাই ছিল না গাড়িতে সওয়ার যাত্রীদের। এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। সোমবার মেখলিগঞ্জে যান পুলিশের ডিআইজি সি সুধাকর। সঙ্গে ছিলেন কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমার, মাথাভাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত ভার্মা, এসডিপিও অরিজিৎ পাল চৌধুরী।

    আরও পড়ুন: চালু হয়ে গেল সিউড়ি-শিয়ালদহ এক্সপ্রেস, জনতার মুখে জগন্নাথ-স্তুতি

LinkedIn
Share